আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৬. অধ্যায়ঃ নফল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮৭ টি
হাদীস নং: ১০০৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০০৩. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ
যে ব্যক্তি চাশতের বার রাক'আত সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি কোঠা নির্মাণ করবেন।
(ইবন মাজাহ ও তিরমিযী উভয়ে একই শায়খ থেকে একই সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন: এ হাদীস গরীব।)
যে ব্যক্তি চাশতের বার রাক'আত সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি কোঠা নির্মাণ করবেন।
(ইবন মাজাহ ও তিরমিযী উভয়ে একই শায়খ থেকে একই সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন: এ হাদীস গরীব।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1003 - وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صلى الضُّحَى ثِنْتَيْ عشرَة رَكْعَة بنى الله لَهُ قصرا فِي الْجنَّة من ذهب
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ بِإِسْنَاد وَاحِد عَن شيخ وَاحِد وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ بِإِسْنَاد وَاحِد عَن شيخ وَاحِد وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০০৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০০৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) একটি অভিযান প্রেরণ করেন। তারা বিপুল গণীমত সামগ্রী নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসে। লোকেরা তাদের যুদ্ধের সফলতা, অধিক গণীমত লাভ ও দ্রুত প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বলাবলি করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ আমি তোমাদের যুদ্ধে জয়লাভ, বিপুল গণীমত সামগ্রী লাভ এবং দ্রুত প্রত্যাবর্তনকারীর চেয়ে আরো অধিক সাফল্য বয়ে আনতে পারে এমন বিষয়ে কি বলব না? এরপর তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি উযূ করে মসজিদে গিয়ে চাশতের সালাত আদায় করে, সে যুদ্ধে জয়লাভ, বিপুল গণীমত সামগ্রী লাভ এবং দ্রুত প্রত্যাবর্তনকারী (যোদ্ধা) অপেক্ষা (সওয়াবের দিক থেকে) অধিক নিকটবর্তী।
(ইবন লাহীয়া সূত্রে আহমদ এবং তাবারানী উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(ইবন লাহীয়া সূত্রে আহমদ এবং তাবারানী উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1004 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ بعث رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سَرِيَّة فغنموا وأسرعوا الرّجْعَة فَتحدث النَّاس بِقرب مغزاهم وَكَثْرَة غنيمتهم وَسُرْعَة رجعتهم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أدلكم على أقرب مِنْهُم مغزى وَأكْثر غنيمَة وأوشك رَجْعَة من تَوَضَّأ ثمَّ غَدا إِلَى الْمَسْجِد لسبحة الضُّحَى فَهُوَ أقرب مِنْهُم مغزى وَأكْثر غنيمَة وأوشك رَجْعَة
رَوَاهُ أَحْمد من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد
رَوَاهُ أَحْمد من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০০৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০০৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) একটি অভিযান প্রেরণ করেন। তারা বিপুল গণীমত সামগ্রী লাভ করে এবং দ্রুত শত্রুসেনা পর্যুদস্ত করে। এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এ অভিযানের চেয়ে দ্রুত শত্রুসেনা পর্যুদন্তকারী ও বিপুল গণীমত সামগ্রী লাভকারী কোন অভিযান দেখিনি। তিনি বললেনঃ এর চেয়ে অধিক দ্রুত শত্রুসেনা পযুর্দন্ত ও বিপুল গণীমত সামগ্রী লাভ করার উত্তম পন্থা আমি কি বলে দেব? এরপর তিনি বলেনঃ একব্যক্তি উত্তমরূপে উযূ করে মসজিদে এসে ফজরের সালাত আদায় করল। এরপর চাশতের সালাত আদায় করে নিল। ফলে সে যেন অতি দ্রুত শত্রুসেনা পর্যুদস্ত করল এবং বিপুল গণীমত সামগ্রী লাভ করল।
(আবূ ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে সকল রাবীর বর্ণনা সহীহ। বাযযার ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাযযার তাঁর বর্ণনায় উক্ত ব্যক্তির নাম হযরত আবূ বক্স (রা) বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটি তাঁর 'জামে' গ্রন্থের দাওয়াত অধ্যায়ে হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। এ হাদীসটি আগেও বর্ণনা করা হয়েছে।)
(আবূ ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে সকল রাবীর বর্ণনা সহীহ। বাযযার ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাযযার তাঁর বর্ণনায় উক্ত ব্যক্তির নাম হযরত আবূ বক্স (রা) বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটি তাঁর 'জামে' গ্রন্থের দাওয়াত অধ্যায়ে হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। এ হাদীসটি আগেও বর্ণনা করা হয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1005 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ بعث رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بعثا فأعظموا الْغَنِيمَة وأسرعوا الكرة فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله مَا رَأينَا بعثا قطّ أسْرع كرة وَلَا أعظم غنيمَة من هَذَا الْبَعْث فَقَالَ أَلا أخْبركُم بأسرع كرة مِنْهُم وَأعظم غنيمَة رجل تَوَضَّأ فَأحْسن الْوضُوء ثمَّ عمد إِلَى الْمَسْجِد فصلى فِيهِ الْغَدَاة ثمَّ عقب بِصَلَاة الضحوة فقد أسْرع الكرة وَأعظم الْغَنِيمَة
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرِجَال إِسْنَاده رجال الصَّحِيح وَالْبَزَّار وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَبَين الْبَزَّار فِي رِوَايَته أَن الرجل أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ وَقد روى هَذَا الحَدِيث التِّرْمِذِيّ فِي الدَّعْوَات من جَامعه من حَدِيث عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ وَتقدم
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرِجَال إِسْنَاده رجال الصَّحِيح وَالْبَزَّار وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَبَين الْبَزَّار فِي رِوَايَته أَن الرجل أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ وَقد روى هَذَا الحَدِيث التِّرْمِذِيّ فِي الدَّعْوَات من جَامعه من حَدِيث عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ وَتقدم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০০৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০০৬. হযরত উকবা ইবন আমির জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, আল্লাহ তা'আলা বলেন: হে বনী আদম। তুমি দিনের প্রথম অংশে আমার জন্য চার রাক'আত সালাত আদায় কর, আমি তোমার দিনের শেষাংশের জন্য যথেষ্ট হব।
(আহমদ ও আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের একজনের বর্ণনাকারীগণ সহীহ শর্তে বর্ণনা করেছেন।)
(আহমদ ও আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁদের একজনের বর্ণনাকারীগণ সহীহ শর্তে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1006 - وَعَن عقبَة بن عَامر الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله عز وَجل يَقُول يَا ابْن آدم اكْفِنِي أول النَّهَار بِأَرْبَع رَكْعَات أكفك بِهن آخر يَوْمك
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَرِجَال أَحدهمَا رجال الصَّحِيح
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَرِجَال أَحدهمَا رجال الصَّحِيح
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০০৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০০৭. হযরত আবুদ-দারদা ও আবু যর (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে বনী
আদম! তুমি দিনের প্রথমাংশে আমার জন্য চার রাক'আত সালাত আদায়ে নিজকে অপারগ মনে করো না, (তাহলে) আমি তোমার দিনের শেষাংশের জন্য যথেষ্ট হব।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান-গরীব।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এ হাদীসের সনদে ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ বর্ণনাকারী রয়েছেন। তিনি সিরীয় রাবীদের একজন। আহমদ হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে এককভাবে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদীসের সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। আবু দাউদ নাঈম ইবন হাম্মাদ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
আদম! তুমি দিনের প্রথমাংশে আমার জন্য চার রাক'আত সালাত আদায়ে নিজকে অপারগ মনে করো না, (তাহলে) আমি তোমার দিনের শেষাংশের জন্য যথেষ্ট হব।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান-গরীব।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এ হাদীসের সনদে ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ বর্ণনাকারী রয়েছেন। তিনি সিরীয় রাবীদের একজন। আহমদ হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে এককভাবে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদীসের সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। আবু দাউদ নাঈম ইবন হাম্মাদ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1007 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء وَأبي ذَر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن الله تبَارك وَتَعَالَى أَنه قَالَ يَا ابْن آدم لَا تعجزني من أَربع رَكْعَات من أول النَّهَار أكفك آخِره
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش وَلكنه إِسْنَاد شَامي وَرَوَاهُ أَحْمد عَن أبي الدَّرْدَاء وَحده وَرُوَاته كلهم ثِقَات وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد من حَدِيث نعيم بن همار
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش وَلكنه إِسْنَاد شَامي وَرَوَاهُ أَحْمد عَن أبي الدَّرْدَاء وَحده وَرُوَاته كلهم ثِقَات وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد من حَدِيث نعيم بن همار
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০০৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০০৮. হযরত আবূ মুররা তায়ফী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে বনী আদম। তুমি দিনের প্রথম অংশে আমার জন্য চার রাকআত সালাত আদায় কর, আমি তোমার দিনের শেষাংশের জন্য যথেষ্ট হবো।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশুদ্ধ গ্রন্থে বর্ণনাকারীদের মতই।)
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশুদ্ধ গ্রন্থে বর্ণনাকারীদের মতই।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1008 - وَعَن أبي مرّة الطَّائِفِي رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول قَالَ الله عز وَجل ابْن آدم صل لي أَربع رَكْعَات من أول النَّهَار أكفك آخِره
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০০৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০০৯. হযরত উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাথে তাবুক যুদ্ধে বের হন। একদা রাসূলুল্লাহ তাঁর সাহাবাদের মাঝে বসে আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন: সূর্য যখন ঊর্ধ্বাকাশে উঠে (চাশতের সময়), তখন যদি কেউ উত্তমরূপে উযু করে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নেয়, তার যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা করা হবে এবং সে এমন হবে যে, তার মা যেন তাকে আজ প্রসব করেছে।
(আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1009 - وَرُوِيَ عَن عقبَة بن عَامر رَضِي الله عَنهُ أَنه خرج مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي غَزْوَة تَبُوك فَجَلَسَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْمًا يحدث أَصْحَابه فَقَالَ من قَامَ إِذا استقبلته الشَّمْس فَتَوَضَّأ فَأحْسن وضوءه ثمَّ قَامَ فصلى رَكْعَتَيْنِ غفرت لَهُ خطاياه وَكَانَ كَمَا وَلدته أمه
رَوَاهُ أَبُو يعلى
رَوَاهُ أَبُو يعلى
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০১০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১০. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি উযু করে ফরয সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মজিদে গেল, হজ্জের ইহরামকারীর ন্যায় রয়েছে তার সওয়াব। আর যে ব্যক্তি চাশতের সালাত আদায়ের জন্য গেল, তার জন্য রয়েছে উমরাকারীর সমতুল্য সওয়াব। এক সালাতের পর অন্য সালাত আদায় করা, যার মাঝে অশ্লীল ও অনর্থক কথাবার্তা হয়নি, তার আমলনামা রয়েছে ইল্লীনে।
(হাদীসটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন। এটি পূর্বেও এসেছে।)
(হাদীসটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন। এটি পূর্বেও এসেছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1010 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من خرج من بَيته متطهرا إِلَى صَلَاة مَكْتُوبَة فَأَجره كَأَجر الْحَاج الْمحرم وَمن خرج إِلَى تَسْبِيح الضُّحَى لَا ينصبه إِلَّا إِيَّاه فَأَجره كَأَجر الْمُعْتَمِر وَصَلَاة على إِثْر صَلَاة لَا لَغْو بَينهمَا كتاب فِي عليين
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَتقدم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَتقدم
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০১১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১১. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুই রাক'আত চাশতের সালাত আদায় করবে, সে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। আর যে ব্যক্তি চার রাক'আত আদায় করবে, সে হবে আবিদদের অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি ছয় রাক'আত আদায় করবে, ঐ দিনের জন্য তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। আর যে ব্যক্তি আট রাক'আত আদায় করবে, সে হবে কানিতীনের অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি বারো রাক'আত সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তা'আলা জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করবেন। প্রত্যহ দিনরাতে বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া বর্ষিত হয়। আর আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি যে অনুগ্রহ করেন, তা বান্দার প্রতি নিশ্বাসের যিকরের চেয়েও উত্তম।
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাঁর বর্ণনাকারীগণের বর্ণনা সহীহ। মূসা ইবন ইয়াকুব যামাঈ-এর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে দ্বিমত রয়েছে। এ হাদীসটি একদল সাহাবা হতে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে। আমার জানামতে উল্লিখিত হাদীসের সনদ সর্বাধিক উত্তম। বাযযার হুসায়ন ইবন আতা হতে, তিনি যায়দ ইবন আসলাম হতে, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবু যর (রা)-কে বললামঃ হে চাচা! আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ তুমি যেরূপ আমার কাছে প্রশ্ন করলে, আমিও তদ্রুপ রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে প্রশ্ন করেছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ তুমি যদি সালাতুদ-দুহার দুই রাকা'আত সালাত আদায় কর, অবশ্যই তোমাকে গাফিলদের অন্তুর্ভুক্ত করা হবে না। পরে বায্যার হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন। এরপর তিনি বলেন: উল্লিখিত সূত্র ব্যতীত উক্ত হাদীসটি মারফু সূত্রে বর্ণিত আছে বলে আমরা জানি না।)
(তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাঁর বর্ণনাকারীগণের বর্ণনা সহীহ। মূসা ইবন ইয়াকুব যামাঈ-এর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে দ্বিমত রয়েছে। এ হাদীসটি একদল সাহাবা হতে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে। আমার জানামতে উল্লিখিত হাদীসের সনদ সর্বাধিক উত্তম। বাযযার হুসায়ন ইবন আতা হতে, তিনি যায়দ ইবন আসলাম হতে, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবু যর (রা)-কে বললামঃ হে চাচা! আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ তুমি যেরূপ আমার কাছে প্রশ্ন করলে, আমিও তদ্রুপ রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে প্রশ্ন করেছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ তুমি যদি সালাতুদ-দুহার দুই রাকা'আত সালাত আদায় কর, অবশ্যই তোমাকে গাফিলদের অন্তুর্ভুক্ত করা হবে না। পরে বায্যার হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন। এরপর তিনি বলেন: উল্লিখিত সূত্র ব্যতীত উক্ত হাদীসটি মারফু সূত্রে বর্ণিত আছে বলে আমরা জানি না।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1011 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى الضُّحَى رَكْعَتَيْنِ لم يكْتب من الغافلين وَمن صلى أَرْبعا كتب من العابدين وَمن صلى سِتا كفي ذَلِك الْيَوْم وَمن صلى ثمانيا كتبه الله من القانتين وَمن صلى ثِنْتَيْ عشرَة رَكْعَة بنى الله لَهُ بَيْتا فِي الْجنَّة وَمَا من يَوْم وَلَا لَيْلَة إِلَّا لله من يمن بِهِ على عباده وَصدقَة وَمَا من الله على أحد من عباده أفضل من أَن يلهمه ذكره
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات وَفِي
مُوسَى بن يَعْقُوب الزمعِي خلاف وَقد رُوِيَ عَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وَمن طرق وَهَذَا أحسن أسانيده فِيمَا أعلم
وَرَوَاهُ الْبَزَّار من طَرِيق حُسَيْن بن عَطاء عَن زيد بن أسلم عَن ابْن عمر قَالَ قلت لابي ذَر يَا عماه أوصني
قَالَ سَأَلتنِي كَمَا سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِن صليت الضُّحَى رَكْعَتَيْنِ لم تكْتب من الغافلين
فَذكر الحَدِيث ثمَّ قَالَ لَا نعلمهُ يرْوى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا من هَذَا الْوَجْه
كَذَا قَالَ رَحمَه الله تَعَالَى
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات وَفِي
مُوسَى بن يَعْقُوب الزمعِي خلاف وَقد رُوِيَ عَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وَمن طرق وَهَذَا أحسن أسانيده فِيمَا أعلم
وَرَوَاهُ الْبَزَّار من طَرِيق حُسَيْن بن عَطاء عَن زيد بن أسلم عَن ابْن عمر قَالَ قلت لابي ذَر يَا عماه أوصني
قَالَ سَأَلتنِي كَمَا سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِن صليت الضُّحَى رَكْعَتَيْنِ لم تكْتب من الغافلين
فَذكر الحَدِيث ثمَّ قَالَ لَا نعلمهُ يرْوى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا من هَذَا الْوَجْه
كَذَا قَالَ رَحمَه الله تَعَالَى
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০১২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১২. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ সূর্য যখন উদয়াচল থেকে উদিত হয় এবং তা আসরের সময় পেরিয়ে মাগরিবের সময়ে অস্তমিত হওয়ার কাছাকাছি হয়, তখন কোন ব্যক্তি চারটি সিজদার সাথে দুই রাক'আত সালাত আদায় করলে, তার জন্য রয়েছে সমস্ত দিনের সওয়াব। আমার ধারণা তিনি (আরো) বলেছেন। তার যাবতীয় গুনাহ ও অপরাধ ক্ষমা করা হবে। আমার (আরো) ধারণা তিনি বলেছেন: যদি ঐ দিন মারা যায়, তাহলে সে হবে জান্নাতী।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর সনদ বিশুদ্ধের কাছাকাছি। উক্ত সনদে এমন বর্ণনাকারী নেই যার হাদীস বাদ দেওয়া যায় এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি একত্র করা যেতে পারে।)
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর সনদ বিশুদ্ধের কাছাকাছি। উক্ত সনদে এমন বর্ণনাকারী নেই যার হাদীস বাদ দেওয়া যায় এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি একত্র করা যেতে পারে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1012 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا طلعت الشَّمْس من مطْلعهَا كهيئتها لصَلَاة الْعَصْر حِين تغرب من مغْرِبهَا فصلى رجل رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبع سَجدَات فَإِن لَهُ أجر ذَلِك الْيَوْم وحسبته قَالَ وَكفر عَنهُ خطيئته وإثمه وَأَحْسبهُ قَالَ وَإِن مَاتَ من يَوْمه دخل الْجنَّة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده مقارب وَلَيْسَ فِي رُوَاته من ترك حَدِيثه وَلَا أجمع على ضعفه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده مقارب وَلَيْسَ فِي رُوَاته من ترك حَدِيثه وَلَا أجمع على ضعفه
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০১৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: 'আওয়্যাব' ব্যতীত চাশতের সালাতের সমকক্ষ নেই। তিনি বলেন, তা হল, সালাতুল আওয়্যাবীন।
(তাবারানী ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ইসমাঈল ইবন আবদুল্লাহ ইবন যুরারা রাকী উক্ত হাদীসটি মুত্তাসিল হাদীস বলে সমালোচনা করেন। দারাওয়ারদী মুহাম্মাদ ইবন আমর হতে, তিনি আবূ সালামা হতে মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাম্মাদ ইবন সালামা মুহাম্মদ ইবন আমর হতে, তিনি আবূ সালামা হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ইসমাঈল ইবন আবদুল্লাহ ইবন যুরারা রাকী উক্ত হাদীসটি মুত্তাসিল হাদীস বলে সমালোচনা করেন। দারাওয়ারদী মুহাম্মাদ ইবন আমর হতে, তিনি আবূ সালামা হতে মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাম্মাদ ইবন সালামা মুহাম্মদ ইবন আমর হতে, তিনি আবূ সালামা হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1013 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يحافظ على صَلَاة الضُّحَى إِلَّا أواب
قَالَ وَهِي صَلَاة الْأَوَّابِينَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ لم يُتَابع إِسْمَاعِيل بن عبد الله يَعْنِي ابْن زُرَارَة الرقي على اتِّصَال هَذَا الْخَبَر وَرَوَاهُ الدَّرَاورْدِي عَن مُحَمَّد بن عَمْرو عَن أبي سَلمَة مُرْسلا وَرَوَاهُ حَمَّاد بن سَلمَة عَن مُحَمَّد بن عَمْرو عَن أبي سَلمَة قَوْله
قَالَ وَهِي صَلَاة الْأَوَّابِينَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ لم يُتَابع إِسْمَاعِيل بن عبد الله يَعْنِي ابْن زُرَارَة الرقي على اتِّصَال هَذَا الْخَبَر وَرَوَاهُ الدَّرَاورْدِي عَن مُحَمَّد بن عَمْرو عَن أبي سَلمَة مُرْسلا وَرَوَاهُ حَمَّاد بن سَلمَة عَن مُحَمَّد بن عَمْرو عَن أبي سَلمَة قَوْله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০১৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুদ-দুহা (চাশতের সালাত) আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: দুহা নামে জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। কিয়ামতের দিন একজন আহ্বানকারী ডেকে বলবে, সর্বদা 'দুহা' সালাত আদায়কারীগণ কোথায়? এ হল তোমাদের দরজা, তোমরা আল্লাহর রহমতে এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ কর।
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الضُّحَى
1014 - وَرُوِيَ عَنهُ رَضِي الله عَنهُ أَيْضا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن فِي الْجنَّة بَابا يُقَال لَهُ الضُّحَى فَإِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة نَادَى مُنَاد أَيْن الَّذين كَانُوا يديمون صَلَاة الضُّحَى هَذَا بَابَكُمْ فادخلوه برحمة الله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০১৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্ তাসবীহর প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৫. হযরত ইকরামা (রা) থেকে হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-কে বললেনঃ হে আব্বাস, হে আমার প্রিয় চাচা! আমি কি আপনাকে
দান করব না, আমি কি আপনাকে দেব না, আমি কি আপনাকে বলব না, আমি কি আপনাকে এমন একটি জিনিস দেব না যার মাধ্যমে' আপনি দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন? যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আল্লাহ তা'আলা আপনার পূর্বাপর যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। চাই তা পূর্বের হোক, কি পরের, পুরাতন হোক কিংবা নতুন, ভুলক্রমে হোক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে, বড় হোক কিংবা ছোট, প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে। আপনি এই দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন, যদি আপনি চার রাক'আত সালাত নিয়ে বর্ণিত পদ্ধতিতে আদায় করেন। আপনি এর প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহা পাঠের পর এর সাথে অন্য একটি সূরা মেলাবেন। এরপর যখন আপনি কিরাআত পাঠ শেষ করবেন তখন পনরবার দাঁড়ানো অবস্থায় এই দু'আ পাঠ করবেন:
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"আল্লাহরই পবিত্রতা, তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা এবং আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। পরে রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা তুলে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করা পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাকা'আতের জন্য) দাঁড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন এবং এরূপে চার রাক'আত সালাত আদায় করবেন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয়, তবে আপনি এই সালাত দৈনিক একবার আদায় করবেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতি মাসে একবার, যদি তাও অসম্ভব হয়, তবে প্রতি বছরে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে গোটা জীবনে অন্ততঃ একবার আদায় করবেন।
(আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা বলেন: যদি হাদীসটি সহীহ হয়, তাহলে (ভাল কথা), যেহেতু সনদের মধ্যভাগে কিছু জটিলতা রয়েছে। এরপর তিনি বলনঃ ইবরাহীম ইবন হাকাম ইবন আবান তাঁর পিতা থেকে, তিনি ইকরামা সূত্রে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি ইবন আব্বাসের কথা উল্লেখ করেন নি।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] তাবারানী এরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীসের শেষাংশে বলেছেনঃ যদি তোমার গুনাহ সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জ সমানও হয় অথবা বালুস্তূপের সমানও হয়, আল্লাহ তা'আলা তা ক্ষমা করে দেবেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। একদল সাহাবী এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে ইকরামার বর্ণনাটি সর্বোত্তম। একদল মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, তন্মধ্যে আবু বকর আজরী, আমাদের উস্তাদ আবু মুহাম্মদ আবদুর রহীম মিসরী ও হাফিয আবুল হাসান মুকাদ্দিসী (র) অন্যতম। আবু বকর ইবন আবু দাউদ (র) বলেন: আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, উক্ত হাদীস ব্যতীত সালাতুত্-তাসবীহ সম্পর্কিত কোন বিশুদ্ধ হাদীস নেই। মুসলিম ইবন হাজ্জাজ (র) বলেনঃ উক্ত হাদীস থেকে বিশুদ্ধ সনদ সালাতুত্-তাসবীহের ব্যাপারে আর নেই। হাকিম বলেন: সহীহ বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর চাচাকে এই সালাত শিখিয়েছিলেন। হাকিম বলেন: আমার নিকট আহমদ ইবন দাউদ, মিসরী বর্ণনা করেছেন। তিনি ইসহাক ইবন কামিল থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আমার নিকট ইদরীস ইবন ইয়াহইয়া হায়াত ইবন শুরাইহ্ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবন আবূ হাবীব হতে, তিনি নাফি হতে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সা) জাফর ইবন আবু তালিবকে আবিসিনিয়ার দিকে প্রেরণ করেন। তিনি প্রত্যাবর্তন করলে রাসূলুল্লাহ তার সাথে আলিঙ্গন করেন এবং তার ললাটে চুমু দেন। এরপর তিনি বলেন: আমি কি তোমাকে দান করব না, আমি কি তোমাকে আনন্দিত করব না, আমি কি তোমাকে উপঢৌকন দেব না।" পরে তিনি হাদীসের অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ এ হাদীসের সনদটি সহীহ এবং এর মধ্যে কোন সমালোচনার অবকাশ নেই।
[গ্রন্থকার বলেন]: হাকিমের উস্তাদ আহমদ ইবন দাউদ ইবন আবদুল গাফফার আবু সালিহ হাররানী মিসরী। একাধিক ইমাম তাঁর বিশ্বস্ততার ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ইমাম দারু কুতনী তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেছেন।
দান করব না, আমি কি আপনাকে দেব না, আমি কি আপনাকে বলব না, আমি কি আপনাকে এমন একটি জিনিস দেব না যার মাধ্যমে' আপনি দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন? যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আল্লাহ তা'আলা আপনার পূর্বাপর যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। চাই তা পূর্বের হোক, কি পরের, পুরাতন হোক কিংবা নতুন, ভুলক্রমে হোক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে, বড় হোক কিংবা ছোট, প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে। আপনি এই দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন, যদি আপনি চার রাক'আত সালাত নিয়ে বর্ণিত পদ্ধতিতে আদায় করেন। আপনি এর প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহা পাঠের পর এর সাথে অন্য একটি সূরা মেলাবেন। এরপর যখন আপনি কিরাআত পাঠ শেষ করবেন তখন পনরবার দাঁড়ানো অবস্থায় এই দু'আ পাঠ করবেন:
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"আল্লাহরই পবিত্রতা, তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা এবং আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। পরে রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা তুলে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করা পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাকা'আতের জন্য) দাঁড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন এবং এরূপে চার রাক'আত সালাত আদায় করবেন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয়, তবে আপনি এই সালাত দৈনিক একবার আদায় করবেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতি মাসে একবার, যদি তাও অসম্ভব হয়, তবে প্রতি বছরে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে গোটা জীবনে অন্ততঃ একবার আদায় করবেন।
(আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা বলেন: যদি হাদীসটি সহীহ হয়, তাহলে (ভাল কথা), যেহেতু সনদের মধ্যভাগে কিছু জটিলতা রয়েছে। এরপর তিনি বলনঃ ইবরাহীম ইবন হাকাম ইবন আবান তাঁর পিতা থেকে, তিনি ইকরামা সূত্রে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি ইবন আব্বাসের কথা উল্লেখ করেন নি।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] তাবারানী এরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীসের শেষাংশে বলেছেনঃ যদি তোমার গুনাহ সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জ সমানও হয় অথবা বালুস্তূপের সমানও হয়, আল্লাহ তা'আলা তা ক্ষমা করে দেবেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। একদল সাহাবী এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে ইকরামার বর্ণনাটি সর্বোত্তম। একদল মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, তন্মধ্যে আবু বকর আজরী, আমাদের উস্তাদ আবু মুহাম্মদ আবদুর রহীম মিসরী ও হাফিয আবুল হাসান মুকাদ্দিসী (র) অন্যতম। আবু বকর ইবন আবু দাউদ (র) বলেন: আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, উক্ত হাদীস ব্যতীত সালাতুত্-তাসবীহ সম্পর্কিত কোন বিশুদ্ধ হাদীস নেই। মুসলিম ইবন হাজ্জাজ (র) বলেনঃ উক্ত হাদীস থেকে বিশুদ্ধ সনদ সালাতুত্-তাসবীহের ব্যাপারে আর নেই। হাকিম বলেন: সহীহ বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর চাচাকে এই সালাত শিখিয়েছিলেন। হাকিম বলেন: আমার নিকট আহমদ ইবন দাউদ, মিসরী বর্ণনা করেছেন। তিনি ইসহাক ইবন কামিল থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আমার নিকট ইদরীস ইবন ইয়াহইয়া হায়াত ইবন শুরাইহ্ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবন আবূ হাবীব হতে, তিনি নাফি হতে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সা) জাফর ইবন আবু তালিবকে আবিসিনিয়ার দিকে প্রেরণ করেন। তিনি প্রত্যাবর্তন করলে রাসূলুল্লাহ তার সাথে আলিঙ্গন করেন এবং তার ললাটে চুমু দেন। এরপর তিনি বলেন: আমি কি তোমাকে দান করব না, আমি কি তোমাকে আনন্দিত করব না, আমি কি তোমাকে উপঢৌকন দেব না।" পরে তিনি হাদীসের অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ এ হাদীসের সনদটি সহীহ এবং এর মধ্যে কোন সমালোচনার অবকাশ নেই।
[গ্রন্থকার বলেন]: হাকিমের উস্তাদ আহমদ ইবন দাউদ ইবন আবদুল গাফফার আবু সালিহ হাররানী মিসরী। একাধিক ইমাম তাঁর বিশ্বস্ততার ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ইমাম দারু কুতনী তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেছেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّسْبِيح
1015 - عَن عِكْرِمَة عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم للْعَبَّاس بن عبد الْمطلب يَا عَبَّاس يَا عماه أَلا أُعْطِيك أَلا أمنحك أَلا أحبوك أَلا أفعل بك عشر خِصَال إِذا أَنْت فعلت ذَلِك غفر الله لَك ذَنْبك أَوله وَآخره وقديمه وَحَدِيثه وَخَطأَهُ وعمده وصغيره وكبيره وسره وعلانيته عشر خِصَال أَن تصلي أَربع رَكْعَات تقْرَأ فِي كل رَكْعَة
بِفَاتِحَة الْكتاب وَسورَة فَإِذا فرغت من الْقِرَاءَة فِي أول رَكْعَة فَقل وَأَنت قَائِم سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر خمس عشرَة مرّة ثمَّ تركع فَتَقول وَأَنت رَاكِع عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من الرُّكُوع فتقولها عشرا ثمَّ تهوي سَاجِدا فَتَقول وَأَنت ساجد عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا ثمَّ تسْجد فتقولها عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ فِي كل رَكْعَة تفعل ذَلِك فِي أَربع رَكْعَات وَإِن اسْتَطَعْت أَن تصليها فِي كل يَوْم مرّة فافعل فَإِن لم تستطع فَفِي كل جُمُعَة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل شهر مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل سنة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي عمرك مرّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ إِن صَحَّ الْخَبَر فَإِن فِي الْقلب من هَذَا الْإِسْنَاد شَيْئا فَذكره ثمَّ قَالَ وَرَوَاهُ إِبْرَاهِيم بن الحكم بن أبان عَن أَبِيه عَن عِكْرِمَة مُرْسلا لم يذكر ابْن عَبَّاس
قَالَ الْحَافِظ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَقَالَ فِي آخِره فَلَو كَانَت ذنوبك مثل زبد الْبَحْر أَو رمل عالج غفر الله لَك
قَالَ الْحَافِظ وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث من طرق كَثِيرَة وَعَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وأمثلها حَدِيث عِكْرِمَة هَذَا وَقد صَححهُ جمَاعَة مِنْهُم الْحَافِظ أَبُو بكر الْآجُرِيّ وَشَيخنَا أَبُو مُحَمَّد عبد الرَّحِيم الْمصْرِيّ وَشَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن الْمَقْدِسِي رَحِمهم الله تَعَالَى
وَقَالَ أَبُو بكر بن أبي دَاوُد سَمِعت أبي يَقُول لَيْسَ فِي صَلَاة التَّسْبِيح حَدِيث صَحِيح غير هَذَا وَقَالَ مُسلم بن الْحجَّاج رَحمَه الله تَعَالَى لَا يرْوى فِي هَذَا الحَدِيث إِسْنَاد أحسن من هَذَا يَعْنِي إِسْنَاد حَدِيث عِكْرِمَة عَن ابْن عَبَّاس وَقَالَ الْحَاكِم قد صحت الرِّوَايَة عَن ابْن عمر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علم ابْن عَمه هَذِه الصَّلَاة ثمَّ قَالَ حَدثنَا أَحْمد بن دَاوُد بِمصْر حَدثنَا إِسْحَاق بن كَامِل حَدثنَا إِدْرِيس بن يحيى عَن حَيْوَة بن شُرَيْح عَن يزِيد بن أبي حبيب عَن نَافِع عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ وَجه رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَعْفَر بن أبي طَالب إِلَى بِلَاد الْحَبَشَة فَلَمَّا قدم اعتنقه وَقبل بَين عَيْنَيْهِ ثمَّ قَالَ أَلا أهب لَك أَلا أسرك أَلا أمنحك فَذكر الحَدِيث ثمَّ قَالَ هَذَا إِسْنَاد صَحِيح لَا غُبَار عَلَيْهِ
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَشَيْخه أَحْمد بن دَاوُد بن عبد الْغفار أَبُو صَالح الْحَرَّانِي ثمَّ الْمصْرِيّ تكلم فِيهِ غير وَاحِد من الْأَئِمَّة وَكذبه الدَّارَقُطْنِيّ
بِفَاتِحَة الْكتاب وَسورَة فَإِذا فرغت من الْقِرَاءَة فِي أول رَكْعَة فَقل وَأَنت قَائِم سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر خمس عشرَة مرّة ثمَّ تركع فَتَقول وَأَنت رَاكِع عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من الرُّكُوع فتقولها عشرا ثمَّ تهوي سَاجِدا فَتَقول وَأَنت ساجد عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا ثمَّ تسْجد فتقولها عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ فِي كل رَكْعَة تفعل ذَلِك فِي أَربع رَكْعَات وَإِن اسْتَطَعْت أَن تصليها فِي كل يَوْم مرّة فافعل فَإِن لم تستطع فَفِي كل جُمُعَة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل شهر مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل سنة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي عمرك مرّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ إِن صَحَّ الْخَبَر فَإِن فِي الْقلب من هَذَا الْإِسْنَاد شَيْئا فَذكره ثمَّ قَالَ وَرَوَاهُ إِبْرَاهِيم بن الحكم بن أبان عَن أَبِيه عَن عِكْرِمَة مُرْسلا لم يذكر ابْن عَبَّاس
قَالَ الْحَافِظ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَقَالَ فِي آخِره فَلَو كَانَت ذنوبك مثل زبد الْبَحْر أَو رمل عالج غفر الله لَك
قَالَ الْحَافِظ وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث من طرق كَثِيرَة وَعَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وأمثلها حَدِيث عِكْرِمَة هَذَا وَقد صَححهُ جمَاعَة مِنْهُم الْحَافِظ أَبُو بكر الْآجُرِيّ وَشَيخنَا أَبُو مُحَمَّد عبد الرَّحِيم الْمصْرِيّ وَشَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن الْمَقْدِسِي رَحِمهم الله تَعَالَى
وَقَالَ أَبُو بكر بن أبي دَاوُد سَمِعت أبي يَقُول لَيْسَ فِي صَلَاة التَّسْبِيح حَدِيث صَحِيح غير هَذَا وَقَالَ مُسلم بن الْحجَّاج رَحمَه الله تَعَالَى لَا يرْوى فِي هَذَا الحَدِيث إِسْنَاد أحسن من هَذَا يَعْنِي إِسْنَاد حَدِيث عِكْرِمَة عَن ابْن عَبَّاس وَقَالَ الْحَاكِم قد صحت الرِّوَايَة عَن ابْن عمر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علم ابْن عَمه هَذِه الصَّلَاة ثمَّ قَالَ حَدثنَا أَحْمد بن دَاوُد بِمصْر حَدثنَا إِسْحَاق بن كَامِل حَدثنَا إِدْرِيس بن يحيى عَن حَيْوَة بن شُرَيْح عَن يزِيد بن أبي حبيب عَن نَافِع عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ وَجه رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَعْفَر بن أبي طَالب إِلَى بِلَاد الْحَبَشَة فَلَمَّا قدم اعتنقه وَقبل بَين عَيْنَيْهِ ثمَّ قَالَ أَلا أهب لَك أَلا أسرك أَلا أمنحك فَذكر الحَدِيث ثمَّ قَالَ هَذَا إِسْنَاد صَحِيح لَا غُبَار عَلَيْهِ
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَشَيْخه أَحْمد بن دَاوُد بن عبد الْغفار أَبُو صَالح الْحَرَّانِي ثمَّ الْمصْرِيّ تكلم فِيهِ غير وَاحِد من الْأَئِمَّة وَكذبه الدَّارَقُطْنِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০১৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্ তাসবীহর প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৬. হযরত আবু রাফি (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আব্বাস (রা)-কে বলেছেন: হে আমার প্রিয় চাচা। আমি কি আপনাকে কিছু বলব না, আমি কি আপনার উপকার করব না, আমি কি আপনার সাথে সম্পর্ক অটুট রাখব না? তিনি বললেন: হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ আপনি চার রাক'আত সালাত আদায় করুন। আপনি এর প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সুরা মিলিয়ে নিন। কিরাআত শেষে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে আপনি এই দু'আ: سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
আল্লাহর পবিত্রতা তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" পনরবার পাঠ করে নিন। এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। তারপর রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার
পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা উঠিয়ে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাক'আতের জন্য) দাড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন। এইভাবে চার রাক'আতে উক্ত দু'আ তিনশবার পাঠ করা হবে। কাজেই আপনার গুনাহ যদি স্তূপীকৃত বালুরাশির সমান হয়, তবুও আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রত্যহ কার এরূপ সামর্থ্য আছে যে, সে এগুলো আদায় করবে? তিনি বললেন: তা হলে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতিমাসে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে এমনকি প্রতি বছরে একবার পাঠ করবেন।
(ইবন মাজাহ তিরমিযী ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম বায়হাকী (র) বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র) এ আমল করতেন। এভাবে নেককারগণ এই আমল একে অন্যের থেকে শিখে আমল করতেন। বর্ণনাটি মারফু হাদীস দ্বারা শক্তিশালী। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: আবু রাফি বর্ণিত হাদীসের তুলনায় এই বর্ণনাটি গরীব। এরপর তিনি বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক এবং একাধিক মুহাদ্দিসের মতে, সালাতুত্-তাসবীহ-এর বর্ণনা সূত্র বিশুদ্ধ। তাঁরা এর ফযীলত বর্ণনা করেছেন। আমার নিকট আহমদ ইবন 'আবদা যাব্বী, তিনি আবু ওয়াহাব থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারককে সালাতুত-তাসবীহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন: তিনি তাকবীর বলে এরপর বলতেন:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك
হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা। তোমারই প্রশংসা। তোমার নাম অতীব বরকতময়। তুমি মহান মর্যাদার
অধিকারী । তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই।" তারপর তিনি পনেরবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"পবিত্রতা আল্লাহরই, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ মহান।" এরপর তিনি আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন এবং সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সূরা মিলাতেন। তারপর তিনি দশবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
তারপর রুতে দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন, তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এরপর
সিজদায় দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন। তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। তারপর দ্বিতীয় সিজদায় উক্ত দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এভাবে তিনি চার রাক'আত সালাত আদায় করতেন। এরূপে প্রতি রাকআতে তাসবীহ হল পঁচাত্তরবার। প্রত্যেক রাক'আতের শুরুতে এই তাসবীহ পনেরবার পাঠ করতেন। তারপর কিরাআত পাঠ করে দশবার তাসবীহ পাঠ করতেন। আমি রাতে এ সালাত আদায় করলে প্রতি দুই রাক'আতে সালাম ফিরানো পসন্দ করি। আর যদি দিনে আদায় করি, তাহলে কখনো সালাম ফিরাই, আবার কখনো সালাম ফিরাই না।
আবূ ওয়াহব বলেন: আবদুল্লাহ (র) সূত্রে আবদুল আযীয ইবন আবু রিযমা আমার কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন। যে, তিনি বলেছেনঃ তিনি রুকুর শুরুতে سبحان رَبِّي الْعَظِيم আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) এবং সিজদায় سبحان رَبِّي الْأَعْلَى আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) তিনবার করে পাঠ করতেন। তারপর তিনি তাসবীহসমূহ পাঠ করতেন।
(আহমদ ইবন আবদা বলেনঃ ওয়াহ্ব ইবন আবূ যাম'আ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আবদুল আযীয ইবন আবূ রিযমা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারাক (র)-কে বললামঃ কেউ যদি এ সালাতে ভুল করে, তাহলে সাহু সিজদায়ও কি দশবার-দশবার করে তাসবীহ পাঠ করবে? তিনি বললেনঃ না। কেননা তাসবীহ সংখ্যা হল তিনশ। এভাবে তিনি ইমাম তিরমিযীর ন্যায় বর্ণনা করেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ ইবন মুবারকের হাদীসটি হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আবু রাফি'র বর্ণনার সঙ্গেও। তবে আবু রাফি' বলেছেনঃ কিরাআতের পূর্বে পনরবার এবং কিরাআতের পর দশবার তাসবীহ পাঠ করবে। তবে তিনি মধ্য বৈঠকে তাসবীহের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে তাঁর হাদীসে আছে। তিনি কিরাআতের পর পনরবার তাসবীহ পাঠ করতেন। তবে তিনি কিরাআতের পূর্বে তাসবীহ পাঠের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে কিয়াম অবস্থায় দশবার তাসবীহ পাঠের পূর্বে মধ্য বৈঠক থেকে উঠে তাসবীহ পাঠ করতেন।
আল্লাহর পবিত্রতা তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" পনরবার পাঠ করে নিন। এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। তারপর রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার
পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা উঠিয়ে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাক'আতের জন্য) দাড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন। এইভাবে চার রাক'আতে উক্ত দু'আ তিনশবার পাঠ করা হবে। কাজেই আপনার গুনাহ যদি স্তূপীকৃত বালুরাশির সমান হয়, তবুও আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রত্যহ কার এরূপ সামর্থ্য আছে যে, সে এগুলো আদায় করবে? তিনি বললেন: তা হলে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতিমাসে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে এমনকি প্রতি বছরে একবার পাঠ করবেন।
(ইবন মাজাহ তিরমিযী ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম বায়হাকী (র) বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র) এ আমল করতেন। এভাবে নেককারগণ এই আমল একে অন্যের থেকে শিখে আমল করতেন। বর্ণনাটি মারফু হাদীস দ্বারা শক্তিশালী। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: আবু রাফি বর্ণিত হাদীসের তুলনায় এই বর্ণনাটি গরীব। এরপর তিনি বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক এবং একাধিক মুহাদ্দিসের মতে, সালাতুত্-তাসবীহ-এর বর্ণনা সূত্র বিশুদ্ধ। তাঁরা এর ফযীলত বর্ণনা করেছেন। আমার নিকট আহমদ ইবন 'আবদা যাব্বী, তিনি আবু ওয়াহাব থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারককে সালাতুত-তাসবীহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন: তিনি তাকবীর বলে এরপর বলতেন:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك
হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা। তোমারই প্রশংসা। তোমার নাম অতীব বরকতময়। তুমি মহান মর্যাদার
অধিকারী । তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই।" তারপর তিনি পনেরবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"পবিত্রতা আল্লাহরই, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ মহান।" এরপর তিনি আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন এবং সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সূরা মিলাতেন। তারপর তিনি দশবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
তারপর রুতে দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন, তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এরপর
সিজদায় দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন। তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। তারপর দ্বিতীয় সিজদায় উক্ত দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এভাবে তিনি চার রাক'আত সালাত আদায় করতেন। এরূপে প্রতি রাকআতে তাসবীহ হল পঁচাত্তরবার। প্রত্যেক রাক'আতের শুরুতে এই তাসবীহ পনেরবার পাঠ করতেন। তারপর কিরাআত পাঠ করে দশবার তাসবীহ পাঠ করতেন। আমি রাতে এ সালাত আদায় করলে প্রতি দুই রাক'আতে সালাম ফিরানো পসন্দ করি। আর যদি দিনে আদায় করি, তাহলে কখনো সালাম ফিরাই, আবার কখনো সালাম ফিরাই না।
আবূ ওয়াহব বলেন: আবদুল্লাহ (র) সূত্রে আবদুল আযীয ইবন আবু রিযমা আমার কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন। যে, তিনি বলেছেনঃ তিনি রুকুর শুরুতে سبحان رَبِّي الْعَظِيم আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) এবং সিজদায় سبحان رَبِّي الْأَعْلَى আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) তিনবার করে পাঠ করতেন। তারপর তিনি তাসবীহসমূহ পাঠ করতেন।
(আহমদ ইবন আবদা বলেনঃ ওয়াহ্ব ইবন আবূ যাম'আ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আবদুল আযীয ইবন আবূ রিযমা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারাক (র)-কে বললামঃ কেউ যদি এ সালাতে ভুল করে, তাহলে সাহু সিজদায়ও কি দশবার-দশবার করে তাসবীহ পাঠ করবে? তিনি বললেনঃ না। কেননা তাসবীহ সংখ্যা হল তিনশ। এভাবে তিনি ইমাম তিরমিযীর ন্যায় বর্ণনা করেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ ইবন মুবারকের হাদীসটি হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আবু রাফি'র বর্ণনার সঙ্গেও। তবে আবু রাফি' বলেছেনঃ কিরাআতের পূর্বে পনরবার এবং কিরাআতের পর দশবার তাসবীহ পাঠ করবে। তবে তিনি মধ্য বৈঠকে তাসবীহের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে তাঁর হাদীসে আছে। তিনি কিরাআতের পর পনরবার তাসবীহ পাঠ করতেন। তবে তিনি কিরাআতের পূর্বে তাসবীহ পাঠের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে কিয়াম অবস্থায় দশবার তাসবীহ পাঠের পূর্বে মধ্য বৈঠক থেকে উঠে তাসবীহ পাঠ করতেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّسْبِيح
1016 - وَرُوِيَ عَن أبي رَافع رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم للْعَبَّاس يَا عَم أَلا أحبوك أَلا أنفعك أَلا أصلك قَالَ بلَى يَا رَسُول الله قَالَ فصل أَربع رَكْعَات تقْرَأ فِي كل رَكْعَة بِفَاتِحَة الْكتاب وَسورَة فَإِذا انْقَضتْ الْقِرَاءَة فَقل سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر خمس عشرَة مرّة قبل أَن تركع ثمَّ اركع فقلها عشرا ثمَّ ارْفَعْ رَأسك فقلها عشرا ثمَّ اسجد فقلها عشرا ثمَّ ارْفَعْ رَأسك فقلها عشرا ثمَّ اسجد فقلها عشرا ثمَّ ارْفَعْ رَأسك فقلها عشرا قبل أَن تقوم فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ فِي كل رَكْعَة وَهِي ثَلَاثمِائَة فِي أَربع رَكْعَات فَلَو كَانَت ذنوبك مثل رمل عالج غفرها الله لَك
قَالَ يَا رَسُول الله وَمن لم يسْتَطع يَقُولهَا فِي كل يَوْم قَالَ قلها فِي كل جُمُعَة فَإِن لم تستطع فقلها فِي شهر حَتَّى قَالَ فقلها فِي سنة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ كَانَ عبد الله بن الْمُبَارك يَفْعَلهَا وتداولها الصالحون بَعضهم من بعض وَفِيه تَقْوِيَة للْحَدِيث الْمَرْفُوع انْتهى
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب من حَدِيث أبي رَافع ثمَّ قَالَ وَقد رأى ابْن الْمُبَارك وَغير وَاحِد من أهل الْعلم صَلَاة التَّسْبِيح وَذكروا الْفضل فِيهِ
حَدثنَا أَحْمد بن عَبدة الضَّبِّيّ حَدثنَا أَبُو وهب قَالَ سَأَلت عبد الله بن الْمُبَارك عَن الصَّلَاة الَّتِي يسبح فِيهَا قَالَ يكبر ثمَّ يَقُول سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك ثمَّ يَقُول خمس عشرَة مرّة سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يتَعَوَّذ وَيقْرَأ بِسم الله الرَّحْمَن الرَّحِيم وفاتحة الْكتاب وَسورَة ثمَّ يَقُول عشر مَرَّات سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يرْكَع فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد الثَّانِيَة فيقولها عشرا يُصَلِّي أَربع رَكْعَات على هَذَا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ تَسْبِيحَة فِي كل رَكْعَة يبْدَأ فِي كل رَكْعَة بِخمْس عشرَة تَسْبِيحَة ثمَّ يقْرَأ ثمَّ يسبح عشرا فَإِن صلى لَيْلًا فَأحب أَن يسلم فِي كل
رَكْعَتَيْنِ وَإِن صلى نَهَارا فَإِن شَاءَ سلم وَإِن شَاءَ لم يسلم
قَالَ أَبُو وهب وَأَخْبرنِي عبد الْعَزِيز هُوَ ابْن أبي رزمة عَن عبد الله أَنه قَالَ يبْدَأ فِي الرُّكُوع بسبحان رَبِّي الْعَظِيم وَفِي السُّجُود بسبحان رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا ثمَّ يسبح التسبيحات
قَالَ أَحْمد بن عَبدة وَحدثنَا وهب بن زَمعَة قَالَ أَخْبرنِي عبد الْعَزِيز وَهُوَ ابْن أبي رزمة
قَالَ قلت لعبد الله بن الْمُبَارك إِن سَهَا فِيهَا أيسبح فِي سَجْدَتي السَّهْو عشرا عشرا قَالَ لَا
إِنَّمَا هِيَ ثلثمِائة تَسْبِيحَة
انْتهى مَا ذكره التِّرْمِذِيّ
قَالَ المملي الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ وَهَذَا الَّذِي ذكره عَن عبد الله بن الْمُبَارك من صفتهَا مُوَافق لما فِي حَدِيث ابْن عَبَّاس وَأبي رَافع إِلَّا أَنه قَالَ يسبح قبل الْقِرَاءَة خمس عشرَة وَبعدهَا عشرا وَلم يذكر فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة تسبيحا وَفِي حديثيهما أَنه يسبح بعد الْقِرَاءَة خمس عشرَة مرّة وَلم يذكرَا قبلهَا تسبيحا ويسبح أَيْضا بعد الرّفْع فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة قبل أَن يقوم عشرا
قَالَ يَا رَسُول الله وَمن لم يسْتَطع يَقُولهَا فِي كل يَوْم قَالَ قلها فِي كل جُمُعَة فَإِن لم تستطع فقلها فِي شهر حَتَّى قَالَ فقلها فِي سنة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ كَانَ عبد الله بن الْمُبَارك يَفْعَلهَا وتداولها الصالحون بَعضهم من بعض وَفِيه تَقْوِيَة للْحَدِيث الْمَرْفُوع انْتهى
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب من حَدِيث أبي رَافع ثمَّ قَالَ وَقد رأى ابْن الْمُبَارك وَغير وَاحِد من أهل الْعلم صَلَاة التَّسْبِيح وَذكروا الْفضل فِيهِ
حَدثنَا أَحْمد بن عَبدة الضَّبِّيّ حَدثنَا أَبُو وهب قَالَ سَأَلت عبد الله بن الْمُبَارك عَن الصَّلَاة الَّتِي يسبح فِيهَا قَالَ يكبر ثمَّ يَقُول سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك ثمَّ يَقُول خمس عشرَة مرّة سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يتَعَوَّذ وَيقْرَأ بِسم الله الرَّحْمَن الرَّحِيم وفاتحة الْكتاب وَسورَة ثمَّ يَقُول عشر مَرَّات سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يرْكَع فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد الثَّانِيَة فيقولها عشرا يُصَلِّي أَربع رَكْعَات على هَذَا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ تَسْبِيحَة فِي كل رَكْعَة يبْدَأ فِي كل رَكْعَة بِخمْس عشرَة تَسْبِيحَة ثمَّ يقْرَأ ثمَّ يسبح عشرا فَإِن صلى لَيْلًا فَأحب أَن يسلم فِي كل
رَكْعَتَيْنِ وَإِن صلى نَهَارا فَإِن شَاءَ سلم وَإِن شَاءَ لم يسلم
قَالَ أَبُو وهب وَأَخْبرنِي عبد الْعَزِيز هُوَ ابْن أبي رزمة عَن عبد الله أَنه قَالَ يبْدَأ فِي الرُّكُوع بسبحان رَبِّي الْعَظِيم وَفِي السُّجُود بسبحان رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا ثمَّ يسبح التسبيحات
قَالَ أَحْمد بن عَبدة وَحدثنَا وهب بن زَمعَة قَالَ أَخْبرنِي عبد الْعَزِيز وَهُوَ ابْن أبي رزمة
قَالَ قلت لعبد الله بن الْمُبَارك إِن سَهَا فِيهَا أيسبح فِي سَجْدَتي السَّهْو عشرا عشرا قَالَ لَا
إِنَّمَا هِيَ ثلثمِائة تَسْبِيحَة
انْتهى مَا ذكره التِّرْمِذِيّ
قَالَ المملي الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ وَهَذَا الَّذِي ذكره عَن عبد الله بن الْمُبَارك من صفتهَا مُوَافق لما فِي حَدِيث ابْن عَبَّاس وَأبي رَافع إِلَّا أَنه قَالَ يسبح قبل الْقِرَاءَة خمس عشرَة وَبعدهَا عشرا وَلم يذكر فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة تسبيحا وَفِي حديثيهما أَنه يسبح بعد الْقِرَاءَة خمس عشرَة مرّة وَلم يذكرَا قبلهَا تسبيحا ويسبح أَيْضا بعد الرّفْع فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة قبل أَن يقوم عشرا
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০১৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্ তাসবীহর প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৭. বায়হাকী হযরত আবূ হুবাব কালবী থেকে, তিনি আবূ জাওযা সূত্রে হযরত ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাকে নবী (সা) বলেছেন: আমি কি আপনাকে বলব না, আপনাকে কি দান করব না? তারপর তিনি ইমাম তিরমিযী বর্ণিত ইবন মুবারক সূত্রে অত্র হাদীস বর্ণনা করেন। এরপর তিনি বলেনঃ আমরা যা বর্ণনা করেছি, তা ইবন মুবারক থেকে বর্ণিত হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কুতায়বা ইবন সাঈদ ইয়াহইয়া ইবন সুলায়ম হতে, তিনি ইমরান ইবন মুসলিম হতে, তিনি আবূ জাওযা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: আমার কাছে আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) আসলেন। তারপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন। তবে তিনি এ হাদীসটিকে মারফু' হাদীসরূপে মেনে নেয়ার বিরোধী। তিনি কিরাআতের শুরুতে তাসবীহের উল্লেখ করেন নি, তবে তিনি পরে তাসবীহের উল্লেখ করেছেন। এরপর তিনি মধ্য বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। যেভাবে অন্যান্য রাবীগণ মধ্য বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন।
[হাফিয (র) বলেন]: হযরত ইবন আব্বাস (রা) ও আবূ রাফি'-এর বর্ণনার সাথে অধিকাংশ বর্ণনাকারীর বর্ণনার সামঞ্জস্য রয়েছে। একটি বর্ণনায় মারফ্' প্রমাণিত হওয়া ব্যতীত আর কোন মারফু' বর্ণনা পাওয়া যায়নি। তাই এটি আমলের ক্ষেত্রে উত্তম। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
[হাফিয (র) বলেন]: হযরত ইবন আব্বাস (রা) ও আবূ রাফি'-এর বর্ণনার সাথে অধিকাংশ বর্ণনাকারীর বর্ণনার সামঞ্জস্য রয়েছে। একটি বর্ণনায় মারফ্' প্রমাণিত হওয়া ব্যতীত আর কোন মারফু' বর্ণনা পাওয়া যায়নি। তাই এটি আমলের ক্ষেত্রে উত্তম। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّسْبِيح
1017 - وروى الْبَيْهَقِيّ من حَدِيث أبي حباب الْكَلْبِيّ عَن أبي الجوزاء عَن ابْن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ لي النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أحبوك أَلا أُعْطِيك فَذكر الحَدِيث بِالصّفةِ الَّتِي رَوَاهَا التِّرْمِذِيّ عَن ابْن الْمُبَارك ثمَّ قَالَ وَهَذَا يُوَافق مَا روينَاهُ عَن ابْن الْمُبَارك وَرَوَاهُ قُتَيْبَة عَن سعيد عَن يحيى بن سليم عَن عمرَان بن مُسلم عَن أبي الجوزاء قَالَ نزل عَليّ عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ فَذكر الحَدِيث وَخَالفهُ فِي رَفعه إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلم يذكر التسبيحات فِي ابْتِدَاء الْقِرَاءَة إِنَّمَا ذكرهَا بعْدهَا ثمَّ ذكر جلْسَة الإستراحة كَمَا ذكرهَا سَائِر الروَاة انْتهى
قَالَ الْحَافِظ جُمْهُور الروَاة على الصّفة الْمَذْكُورَة فِي حَدِيث ابْن عَبَّاس وَأبي رَافع وَالْعَمَل بهَا أولى إِذْ لَا يَصح رفع غَيرهَا وَالله أعلم
قَالَ الْحَافِظ جُمْهُور الروَاة على الصّفة الْمَذْكُورَة فِي حَدِيث ابْن عَبَّاس وَأبي رَافع وَالْعَمَل بهَا أولى إِذْ لَا يَصح رفع غَيرهَا وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০১৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্ তাসবীহর প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৮. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: হে বৎস! আমি কি তোমাকে দান করব না, আমি কি তোমার জন্য উপহার দেব না, আমি কি তোমাকে দান করব না? তিনি বলেন, আমি বললাম: হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা) আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোন। তিনি বললেন: আমি' ধারণা করলাম, অনতিবিলম্বে তিনি আমাকে কিছু ধন-সম্পদ দেবেন। এরপর তিনি আমাকে চার রাকা'আত সালাত আদায়ের কথা বললেন। তারপর তিনি পূর্ববৎ হাদীস উল্লেখ করেন। হাদীসের শেষাংশে তিনি বলেছেন: তাশাহ্হুদ শেষে সালামের পূর্বে তুমি এই দু'আ পাঠ করবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك توفيق أهل الْهدى وأعمال أهل الْيَقِين ومناصحة أهل التَّوْبَة وعزم أهل الصَّبْر وجد أهل الخشية وَطلب أهل الرَّغْبَة وَتعبد أهل الْوَرع وعرفان أهل الْعلم حَتَّى أخافك اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك مَخَافَة تحجزني عَن مَعَاصِيك حَتَّى أعمل بطاعتك عملا أستحق بِهِ رضاك وَحَتَّى أناصحك بِالتَّوْبَةِ خوفًا مِنْك وَحَتَّى أخْلص لَك النَّصِيحَة حبا لَك وَحَتَّى أتوكل عَلَيْك فِي الْأُمُور حسن ظن بك سُبْحَانَ خَالق النُّور
"হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার, মুমিনদের আমলের, তাওবাকারীদের থেকে উপদেশ গ্রহণের, বিপদে অবিচল থেকে ধৈর্য ধারণের, আল্লাহ-ভীরুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার, ভীত-সন্ত্রস্তভাবে তোমাকে আহবানকারীদের, মুত্তাকীদের মত ইবাদতের এবং আহলে ইলমের পরিচিতি লাভের সামর্থ্য কামনা করছি, যাতে আমি তোমাকে (তোমার আযাবকে) ভয় করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এমন ভীতি প্রার্থনা করছি, যা তোমার নাফরমানী থেকে বাঁচাবে, এমনকি তোমার অনুগত হয়ে এমন আমল করতে পারি, যদ্বারা আমি তোমার সন্তুষ্টি লাভে সফলকাম হই। তোমার ভয়ে তাওবা করে যাতে তোমার দ্বীনের ব্যাপারে কল্যাণ সাধন করতে পারি এবং তোমার ভালবাসার উপরই তোমার দীনের কল্যাণকামী হিসেবে নিষ্ঠাবান হতে পারি এবং তোমার প্রতি সু-ধারণা রেখে সব কাজে আমি যেন তোমার প্রতি ভরসা করি। হে জ্যোতির স্রষ্টা। তোমারই পবিত্রতা।" হে ইবন আব্বাস। যখন তুমি এ কাজ করবে, আল্লাহ তোমার ছোট-বড়, পুরাতন-নতুন, গোপন-প্রকাশ্য এবং ইচ্ছা ও অনিচ্ছাকৃত সব পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন।
(তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিনি আবুল জাওয়া থেকেও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃ আমাকে ইবন আব্বাস (রা) বললেনঃ ওহে আবু জাওযা। আমি কি তোমাকে দান করব না, আমি কি তোমাকে জানাব না, আমি কি তোমাকে দেব না? আমি বললাম। হ্যাঁ। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি চার রাক'আত সালাত আদায় করবে, তারপর তিনি সংক্ষেপে উক্ত সনদে হাদীস বর্ণনা করেন। তার সনদটি দুর্বল। সালাতুত্ তাসবীহের ব্যাপারে দীর্ঘ বিবরণ আছে। তবে শব্দমালার বৈপরীত্য বিদ্যমান। আমি অন্য কিতাবে সবিস্তারে আলোচনা করেছি। তারগীব তারহীব গ্রন্থে আমি এতটুকু বর্ণনা করাই যথেষ্ট মনে করেছি।)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك توفيق أهل الْهدى وأعمال أهل الْيَقِين ومناصحة أهل التَّوْبَة وعزم أهل الصَّبْر وجد أهل الخشية وَطلب أهل الرَّغْبَة وَتعبد أهل الْوَرع وعرفان أهل الْعلم حَتَّى أخافك اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك مَخَافَة تحجزني عَن مَعَاصِيك حَتَّى أعمل بطاعتك عملا أستحق بِهِ رضاك وَحَتَّى أناصحك بِالتَّوْبَةِ خوفًا مِنْك وَحَتَّى أخْلص لَك النَّصِيحَة حبا لَك وَحَتَّى أتوكل عَلَيْك فِي الْأُمُور حسن ظن بك سُبْحَانَ خَالق النُّور
"হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার, মুমিনদের আমলের, তাওবাকারীদের থেকে উপদেশ গ্রহণের, বিপদে অবিচল থেকে ধৈর্য ধারণের, আল্লাহ-ভীরুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার, ভীত-সন্ত্রস্তভাবে তোমাকে আহবানকারীদের, মুত্তাকীদের মত ইবাদতের এবং আহলে ইলমের পরিচিতি লাভের সামর্থ্য কামনা করছি, যাতে আমি তোমাকে (তোমার আযাবকে) ভয় করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এমন ভীতি প্রার্থনা করছি, যা তোমার নাফরমানী থেকে বাঁচাবে, এমনকি তোমার অনুগত হয়ে এমন আমল করতে পারি, যদ্বারা আমি তোমার সন্তুষ্টি লাভে সফলকাম হই। তোমার ভয়ে তাওবা করে যাতে তোমার দ্বীনের ব্যাপারে কল্যাণ সাধন করতে পারি এবং তোমার ভালবাসার উপরই তোমার দীনের কল্যাণকামী হিসেবে নিষ্ঠাবান হতে পারি এবং তোমার প্রতি সু-ধারণা রেখে সব কাজে আমি যেন তোমার প্রতি ভরসা করি। হে জ্যোতির স্রষ্টা। তোমারই পবিত্রতা।" হে ইবন আব্বাস। যখন তুমি এ কাজ করবে, আল্লাহ তোমার ছোট-বড়, পুরাতন-নতুন, গোপন-প্রকাশ্য এবং ইচ্ছা ও অনিচ্ছাকৃত সব পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন।
(তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিনি আবুল জাওয়া থেকেও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃ আমাকে ইবন আব্বাস (রা) বললেনঃ ওহে আবু জাওযা। আমি কি তোমাকে দান করব না, আমি কি তোমাকে জানাব না, আমি কি তোমাকে দেব না? আমি বললাম। হ্যাঁ। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি চার রাক'আত সালাত আদায় করবে, তারপর তিনি সংক্ষেপে উক্ত সনদে হাদীস বর্ণনা করেন। তার সনদটি দুর্বল। সালাতুত্ তাসবীহের ব্যাপারে দীর্ঘ বিবরণ আছে। তবে শব্দমালার বৈপরীত্য বিদ্যমান। আমি অন্য কিতাবে সবিস্তারে আলোচনা করেছি। তারগীব তারহীব গ্রন্থে আমি এতটুকু বর্ণনা করাই যথেষ্ট মনে করেছি।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّسْبِيح
1018 - وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَهُ يَا غُلَام أَلا أحبوك أَلا أنحلك أَلا أُعْطِيك قَالَ قلت بلَى بِأبي أَنْت وَأمي يَا رَسُول الله فَظَنَنْت أَنه سيقطع لي قِطْعَة من مَال فَقَالَ لي أَربع رَكْعَات تصليهن
فَذكر الحَدِيث كَمَا تقدم وَقَالَ فِي آخِره
فَإِذا فرغت قلت بعد التَّشَهُّد وَقبل السَّلَام اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك توفيق أهل الْهدى وأعمال أهل الْيَقِين ومناصحة أهل التَّوْبَة وعزم أهل الصَّبْر وجد أهل الخشية وَطلب أهل الرَّغْبَة وَتعبد أهل الْوَرع وعرفان أهل الْعلم حَتَّى أخافك اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك مَخَافَة تحجزني عَن مَعَاصِيك حَتَّى أعمل بطاعتك عملا أستحق بِهِ رضاك وَحَتَّى أناصحك بِالتَّوْبَةِ خوفًا مِنْك وَحَتَّى أخْلص لَك النَّصِيحَة حبا لَك وَحَتَّى أتوكل عَلَيْك فِي الْأُمُور حسن ظن بك سُبْحَانَ خَالق النُّور فَإِذا فعلت ذَلِك يَا ابْن عَبَّاس غفر الله لَك ذنوبك كلهَا صغيرها وكبيرها وقديمها وحديثها وسرها وعلانيتها وعمدها وخطأها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرَوَاهُ فِيهِ أَيْضا عَن أبي الجوزاء قَالَ قَالَ لي ابْن عَبَّاس يَا أَبَا الجوزاء أَلا أحبوك أَلا أعلمك أَلا أُعْطِيك قلت بلَى فَقَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صلى أَربع رَكْعَات فَذكر نَحوه بِاخْتِصَار وَإِسْنَاده واه وَقد وَقع فِي صَلَاة التَّسْبِيح كَلَام طَوِيل وَخلاف منتشر ذكرته فِي غير هَذَا الْكتاب مَبْسُوطا وَهَذَا كتاب ترغيب وترهيب وَفِيمَا ذكرته كِفَايَة
فَذكر الحَدِيث كَمَا تقدم وَقَالَ فِي آخِره
فَإِذا فرغت قلت بعد التَّشَهُّد وَقبل السَّلَام اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك توفيق أهل الْهدى وأعمال أهل الْيَقِين ومناصحة أهل التَّوْبَة وعزم أهل الصَّبْر وجد أهل الخشية وَطلب أهل الرَّغْبَة وَتعبد أهل الْوَرع وعرفان أهل الْعلم حَتَّى أخافك اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك مَخَافَة تحجزني عَن مَعَاصِيك حَتَّى أعمل بطاعتك عملا أستحق بِهِ رضاك وَحَتَّى أناصحك بِالتَّوْبَةِ خوفًا مِنْك وَحَتَّى أخْلص لَك النَّصِيحَة حبا لَك وَحَتَّى أتوكل عَلَيْك فِي الْأُمُور حسن ظن بك سُبْحَانَ خَالق النُّور فَإِذا فعلت ذَلِك يَا ابْن عَبَّاس غفر الله لَك ذنوبك كلهَا صغيرها وكبيرها وقديمها وحديثها وسرها وعلانيتها وعمدها وخطأها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرَوَاهُ فِيهِ أَيْضا عَن أبي الجوزاء قَالَ قَالَ لي ابْن عَبَّاس يَا أَبَا الجوزاء أَلا أحبوك أَلا أعلمك أَلا أُعْطِيك قلت بلَى فَقَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صلى أَربع رَكْعَات فَذكر نَحوه بِاخْتِصَار وَإِسْنَاده واه وَقد وَقع فِي صَلَاة التَّسْبِيح كَلَام طَوِيل وَخلاف منتشر ذكرته فِي غير هَذَا الْكتاب مَبْسُوطا وَهَذَا كتاب ترغيب وترهيب وَفِيمَا ذكرته كِفَايَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০১৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্ তাসবীহর প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৯. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। একদা উন্মু সুলায়ম (রা) সকালবেলা রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে গিয়ে বললেনঃ আমি সালাতে বলব, আপনি আমাকে এমন কতিপয় বাক্য শিক্ষা দিন। তিনি বললেনঃ তুমি দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করবে। তারপর তুমি যা ইচ্ছা তা চাইতে পার। তিনি বললেনঃ জ্বি হ্যাঁ, জ্বি হ্যাঁ।
(আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান-গরীব। নাসাঈ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন: মুসলিমের শর্তানুযায়ী এ হাদীসটি সহীহ।)
(আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান-গরীব। নাসাঈ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন: মুসলিমের শর্তানুযায়ী এ হাদীসটি সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّسْبِيح
1019 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ أَن أم سليم غَدَتْ على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَت عَلمنِي كَلِمَات أقولهن فِي صَلَاتي فَقَالَ كبري الله عشرا وسبحيه عشرا واحمديه عشرا ثمَّ سَلِي مَا شِئْت يَقُول نعم نعم
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্-তাওবা আদায়ের অনুপ্রেরণা
১০২০. হযরত আবূ বকর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ করে, এরপর সে উযূ করে নেয়, তারপর সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এরপর তিনি এই আয়াত শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন:
........وَالَّذين إِذا فعلوا فَاحِشَة أَو ظلمُوا أنفسهم ذكرُوا الله
তারা যখন অশ্লীল কাজ করে অথবা নিজেদের উপর যুলম করে, তখন তারা আল্লাহর যিকর করে....।"
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বান ও বায়হাকীর বর্ণনায় আছে যে "তারপর সে দুই রাকাআত সালাত আদায় করল।" ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বিনা সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তাতেও তিনি দুই রাক'আতের কথা উল্লেখ করেছেন।)
........وَالَّذين إِذا فعلوا فَاحِشَة أَو ظلمُوا أنفسهم ذكرُوا الله
তারা যখন অশ্লীল কাজ করে অথবা নিজেদের উপর যুলম করে, তখন তারা আল্লাহর যিকর করে....।"
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বান ও বায়হাকীর বর্ণনায় আছে যে "তারপর সে দুই রাকাআত সালাত আদায় করল।" ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বিনা সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তাতেও তিনি দুই রাক'আতের কথা উল্লেখ করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّوْبَة
1020 - عَن أبي بكر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من رجل يُذنب ذَنبا ثمَّ يقوم فيتطهر ثمَّ يُصَلِّي ثمَّ يسْتَغْفر الله إِلَّا غفر الله لَهُ ثمَّ قَرَأَ هَذِه الْآيَة {وَالَّذين إِذا فعلوا فَاحِشَة أَو ظلمُوا أنفسهم ذكرُوا الله} آل عمرَان 531
إِلَى آخر
الْآيَة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالا ثمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَذكره ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِغَيْر إِسْنَاد وَذكر فِيهِ الرَّكْعَتَيْنِ
إِلَى آخر
الْآيَة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالا ثمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَذكره ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِغَيْر إِسْنَاد وَذكر فِيهِ الرَّكْعَتَيْنِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্-তাওবা আদায়ের অনুপ্রেরণা
১০২১. হযরত হাসান বসরী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যখন বান্দা কোন গুনাহ করে, এরপর (অনুশোচনা আসায়) উত্তমরূপে উযূ করে নেয়, তারপর সে খোলা মাঠের উদ্দেশ্যে বের হয়ে দুই রাকআত সালাত আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।
(বায়হাকী মুরসাল সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বায়হাকী মুরসাল সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّوْبَة
1021 - وَعَن الْحسن يَعْنِي الْبَصْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أذْنب عبد ذَنبا ثمَّ تَوَضَّأ فَأحْسن الْوضُوء ثمَّ خرج إِلَى برَاز من الأَرْض فصلى فِيهِ رَكْعَتَيْنِ واستغفر الله من ذَلِك الذَّنب إِلَّا غفره الله لَهُ
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ مُرْسلا
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ مُرْسلا
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১০২২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ সালাতুত্-তাওবা আদায়ের অনুপ্রেরণা
১০২২. হযরত বুরায়দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ভোরবেলা রাসূলুল্লাহ (সা) হযরত বিলাল (রা)-কে ডেকে বললেনঃ হে বিলাল! কি সে তোমাকে জান্নাতে অগ্রগামী করেছে? (কেননা) আমি জান্নাতে প্রবেশ করে আমার সামনে তোমার হাঁটার শব্দ শুনতে পেয়েছি। তিনি বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! যখনই আমি গুনাহ করি, তখনই দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নিই। যখনই আমার উযূ ভঙ্গ হয়, তখনই আমি উযূ করে নিই এবং দুই রাকাআত সালাত আদায় করি।
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। অন্য বর্ণনায় ما أذنبت قط এর স্থলে ما أذنبت এসেছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। অন্য বর্ণনায় ما أذنبت قط এর স্থলে ما أذنبت এসেছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّوْبَة
1022 - وَعَن عبد الله بن بُرَيْدَة رَضِي الله عَنهُ عَن أَبِيه قَالَ أصبح رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْمًا فَدَعَا بِلَالًا فَقَالَ يَا بِلَال بِمَ سبقتني إِلَى الْجنَّة إِنِّي دخلت الْجنَّة البارحة فَسمِعت خشخشتك أَمَامِي فَقَالَ يَا رَسُول الله مَا أذنبت قطّ إِلَّا صليت رَكْعَتَيْنِ وَمَا أصابني حدث قطّ إِلَّا تَوَضَّأت عِنْدهَا وَصليت رَكْعَتَيْنِ
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَفِي رِوَايَة مَا أذنبت وَالله أعلم
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَفِي رِوَايَة مَا أذنبت وَالله أعلم
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: