আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৬. অধ্যায়ঃ নফল
হাদীস নং: ৯৫৩
অধ্যায়ঃ নফল
তন্দ্রাবস্থায় মানুষের সালাত আদায় ও কিরাআত পাঠ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৯৫৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: তোমাদের কারো যখন সালাতে তন্দ্রা আসে, তখন তন্দ্রা চলে না যাওয়া পর্যন্ত যেন ঘুমিয়ে থাকে । কেননা তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়ে, তখন সম্ভবত সে ইসতিগফার করে (কিন্তু) প্রকারান্তরে সে নিজকে গালমন্দ করে।
(মালিক, বুখারী ও মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন:
তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়ে, তখন সে যেন সালাত থেকে বিরত থাকে। কেননা সম্ভবত সে অজান্তে নিজকে বদদু'আ করে বসে।)
(মালিক, বুখারী ও মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন:
তোমাদের কেউ যখন সালাতে তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়ে, তখন সে যেন সালাত থেকে বিরত থাকে। কেননা সম্ভবত সে অজান্তে নিজকে বদদু'আ করে বসে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْهِيب من صَلَاة الْإِنْسَان وقراءته حَال النعاس
953 - عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ
إِذا نعس أحدكُم فِي الصَّلَاة فليرقد حَتَّى يذهب عَنهُ النّوم فَإِن أحدكُم إِذا صلى وَهُوَ ناعس لَعَلَّه يذهب يسْتَغْفر فيسب نَفسه
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه إِذا نعس أحدكُم وَهُوَ يُصَلِّي فلينصرف فَلَعَلَّهُ يَدْعُو على نَفسه وَهُوَ لَا يدْرِي
إِذا نعس أحدكُم فِي الصَّلَاة فليرقد حَتَّى يذهب عَنهُ النّوم فَإِن أحدكُم إِذا صلى وَهُوَ ناعس لَعَلَّه يذهب يسْتَغْفر فيسب نَفسه
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه إِذا نعس أحدكُم وَهُوَ يُصَلِّي فلينصرف فَلَعَلَّهُ يَدْعُو على نَفسه وَهُوَ لَا يدْرِي
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নামায পড়া অবস্থায় ঘুমের চাপ দেখা দিলে শুয়ে পড়তে বলা হয়েছে। এর কারণ- যদি ঘুমের চাপ খুব বেশি দেখা দেয় এবং এমন তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে, নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, তখন নামায পড়তে থাকলে অনেক বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এক তো শারীরিক দুর্ঘটনা যে, তন্দ্রার প্রকোপে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে এবং পড়ে গিয়ে কঠিন ব্যাথা পাবে। আরেক হচ্ছে ঈমান-আমল সম্পর্কিত দুর্ঘটনা। তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে অনেক সময়ই বোধ-অনুভব এমন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যে, তখন কী বলা হয় নিজেই বুঝতে পারে না। বলতে চায় একটা, বলে ফেলে আরেকটা। নামাযে এমন হলে হয়তো সূরা পড়তে গিয়ে বলে ফেলবে অন্যকিছু, ইস্তিগফার করতে গিয়ে করে বসবে গালাগালি, আল্লাহর কাছে চাবে জান্নাত কিন্তু চেয়ে বসবে জাহান্নাম এবং চাওয়ার ইচ্ছা হিদায়াত কিন্তু চেয়ে ফেলবে গোমরাহী। এটা তো শারীরিক দুর্ঘটনা অপেক্ষাও বেশি বিপজ্জনক। এ কারণেই তন্দ্রা অবস্থায় সংক্ষেপে নামায শেষ করে শুয়ে পড়তে বলা হয়েছে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নামায পড়া ঠিক নয়।
খ. নফল ইবাদতে এত বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়, যাতে শরীরের হক নষ্ট হয়। ঘুমও শরীরের একটা হক।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নামায পড়া ঠিক নয়।
খ. নফল ইবাদতে এত বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়, যাতে শরীরের হক নষ্ট হয়। ঘুমও শরীরের একটা হক।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)