আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৬. অধ্যায়ঃ নফল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৮৭ টি

হাদীস নং: ৮৮৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে উঠার উদ্দেশ্যে পবিত্রাবস্থায় ঘুম যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৮৮৩. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমরা তোমাদের শরীর পবিত্র করে নাও, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করবেন। কেননা যে বান্দা পবিত্রাবস্থায় রাত কাটায়, তার সাথে রাত কাটায় একজন ফিরিশতা। যে সারা রাত তার জন্য এই বলে দু'আ করেঃ اللَّهُمَّ اغْفِر لعبدك فلَان فَإِنَّهُ بَات طَاهِرا
অর্থাৎ “হে আল্লাহ! তোমার বান্দাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা, সে পবিত্রাবস্থায় রাত কাটিয়েছে।"
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي أَن ينَام الْإِنْسَان طَاهِرا نَاوِيا للْقِيَام
883 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ طهروا هَذِه الأجساد طهركم الله فَإِنَّهُ لَيْسَ من عبد يبيت طَاهِرا إِلَّا بَات مَعَه فِي شعاره ملك لَا يَنْقَلِب سَاعَة من اللَّيْل إِلَّا قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر لعبدك فَإِنَّهُ بَات طَاهِرا

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد جيد
হাদীস নং: ৮৮৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে উঠার উদ্দেশ্যে পবিত্রাবস্থায় ঘুম যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৮৮৪. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি পবিত্রাবস্থায় বিছানায় আসে এবং আল্লাহর যিকর করে, এমনকি তার তন্দ্রা এসে পড়ে এবং রাতের যে কোন
সময় (ডানে-বামে) ফিরতে আল্লাহর নিকটই ইহ-পরলৌকিক কল্যাণ কামনা করে, আল্লাহ তা'আলা নিশ্চয়ই তাকে তা দান করেন।
(তিরমিযী শাহর ইবন হাওশাব থেকে হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ হাদীসটি হাসান।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي أَن ينَام الْإِنْسَان طَاهِرا نَاوِيا للْقِيَام
884 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من أَوَى إِلَى فرَاشه طَاهِرا يذكر الله حَتَّى يُدْرِكهُ النعاس لم يَنْقَلِب سَاعَة من ليل يسْأَل الله خيرا من خير الدُّنْيَا وَالْآخِرَة إِلَّا أعطَاهُ الله إِيَّاه

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ عَن شهر بن حَوْشَب عَن أبي أُمَامَة وَقَالَ حَدِيث حسن
হাদীস নং: ৮৮৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে উঠার উদ্দেশ্যে পবিত্রাবস্থায় ঘুম যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৮৮৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি রাতে সালাত আদায়ে অভ্যস্ত, কিন্তু ঘুমের প্রভাববশত সে সালাত আদায় করতে পারে নি, আল্লাহ তা'আলা তাকে সালাত আদায়ের সওয়াব দেবেন এবং তার ঘুম হবে তার জন্য সাদকা।
(মালিক, আবু দাউদ ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ সনদে একজন অজ্ঞাতনামা রাবী রয়েছেন। ইমাম নাসাঈ তাঁর বর্ণনায় উক্ত ব্যক্তির নাম আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী এবং সনদের অবশিষ্টাংশও বিশ্বস্ত রাবীগণ কর্তৃক বর্ণিত। ইবন আবুদ-দুনিয়া তাহাজ্জুদ অধ্যায়ে উত্তম সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাটি দলীল হিসেবে গ্রহণ করা সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي أَن ينَام الْإِنْسَان طَاهِرا نَاوِيا للْقِيَام
885 - وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من امرىء تكون لَهُ صَلَاة بلَيْل فيغلبه عَلَيْهَا نوم إِلَّا كتب الله لَهُ أجر صلَاته وَكَانَ نَومه عَلَيْهِ صَدَقَة

رَوَاهُ مَالك وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَفِي إِسْنَاده رجل لم يسم وَسَماهُ النَّسَائِيّ فِي رِوَايَة لَهُ الْأسود بن يزِيد وَهُوَ ثِقَة ثَبت وَبَقِيَّة إِسْنَاده ثِقَات وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب التَّهَجُّد بِإِسْنَاد جيد رُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
হাদীস নং: ৮৮৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে উঠার উদ্দেশ্যে পবিত্রাবস্থায় ঘুম যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৮৮৬. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই নিয়্যাত করে শয্যা গ্রহণ করল যে, সে সালাতুল লায়ল আদায় করবে, কিন্তু তার উপর ঘুমের প্রভাববশত সে ঘুমিয়ে পড়ল, এমনকি সকাল হয়ে গেল (এবং সালাত আদায় করতে পারল না), এমতাবস্থায় আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে তাকে সালাত আদায়ের সওয়াব দেওয়া হবে এবং তার রবের পক্ষ থেকে ঘুম হবে সদকা।
(নাসাঈ ওইবন মাজাহ উত্তম সনদে এটি বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযয়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং নাসাঈও বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা হযরত আবুদ-দারদা ও আবু যর (রা) থেকে মাওকুফ সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম দারু কুতনী বলেছেন: এ হাদীসটি মাহফুয। ইবন খুযায়মা বলেনঃ হুসায়ন ইবন আলী থেকে যায়িদার সূত্র ব্যতীত এ হাদীসটির সনদ আমার জানা নেই। আর এ হাদীসের রাবীগণ সনদ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي أَن ينَام الْإِنْسَان طَاهِرا نَاوِيا للْقِيَام
886 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ يبلغ بِهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أَتَى فرَاشه وَهُوَ يَنْوِي أَن يقوم يُصَلِّي من اللَّيْل فغلبته عينه حَتَّى أصبح كتب لَهُ مَا نوى وَكَانَ نَومه صَدَقَة عَلَيْهِ من ربه

رَوَاهُ النَّسَائِيّ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد جيد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ أَيْضا وَابْن خُزَيْمَة عَن أبي الدَّرْدَاء وَأبي ذَر مَوْقُوفا
قَالَ الدَّارَقُطْنِيّ وَهُوَ الْمَحْفُوظ وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة هَذَا خبر لَا أعلم أحدا أسْندهُ غير حُسَيْن بن عَليّ عَن زَائِدَة وَقد اخْتلف الروَاة فِي إِسْنَاد هَذَا الْخَبَر
হাদীস নং: ৮৮৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে উঠার উদ্দেশ্যে পবিত্রাবস্থায় ঘুম যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৮৮৭. হযরত আবু যর অথবা আবুদ-দারদা (রা) (বর্ণনাকারী শুবা সন্দেহ পোষণ করেছেন থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে বান্দা মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল যে, সালাতুল-লায়ল আদায় করবে। কিন্তু ঘুম তার উপর প্রভাব বিস্তার করল, আল্লাহর কাছে তার ঘুম হবে সদকা এবং সে যে নিয়্যাত করেছিল, তিনি তাকে তার সওয়াব দেবেন।
(ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে মারফু সনদে এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে মাওকুফ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي أَن ينَام الْإِنْسَان طَاهِرا نَاوِيا للْقِيَام
887 - وَعَن أبي ذَر أَو أبي الدَّرْدَاء شكّ شُعْبَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من عبد يحدث نَفسه بِقِيَام سَاعَة من اللَّيْل فينام عَنْهَا إِلَّا كَانَ نَومه صَدَقَة تصدق الله بهَا عَلَيْهِ وَكتب لَهُ أجر مَا نوى

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه مَرْفُوعا وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه مَوْقُوفا لم يرفعهُ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৮৮৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৮৮. হযরত বারা ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) বলেছেন: তুমি যখন শয়নের জন্য বিছানায় যাওয়ার ইচ্ছা করবে, তখন সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করবে। তারপর ডান কাত হয়ে বিছানায় শুয়ে বলবেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أسلمت نَفسِي إِلَيْك ووجهت وَجْهي إِلَيْك وفوضت أَمْرِي إِلَيْك وألجأت ظَهْري إِلَيْك رَغْبَة وَرَهْبَة إِلَيْك لَا منجا وَلَا ملْجأ مِنْك إِلَّا إِلَيْك
آمَنت بكتابك الَّذِي أنزلت وَنَبِيك الَّذِي أرْسلت
অর্থাৎ "হে আল্লাহ! আমি আমাকে তোমার কাছে সম্পূর্ণরূপে সোপর্দ করলাম। আমি তোমার অভিমুখী হলাম, আমি আমার সকল ব্যাপার তোমার ইখতিয়ারে ছেড়ে দিলাম এবং তোমাকেই আমার পৃষ্ঠপোষক বানালাম, তোমার আযাবের ভয়ে আমি ভীত এবং তোমার রহমতের আশায় আমি আশান্বিত। তোমা থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার এবং নাজাত পাওয়ার জন্য তুমি ভিন্ন আর কেউ নেই। তুমি যে কিতাব নাযিল করেছ, আমি তার উপর ঈমান এনেছি। তুমি যে নবী পাঠিয়েছ, আমি তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি।"
যদি (এটা পড়ে তুমি নিদ্রা যাও এবং এ রাতেই) তোমার মৃত্যু ঘটে, তবে তুমি ফিতরাতের (ইসলামের) উপর মৃত্যবরণ করবে। এ কথাগুলো তোমার কথার শেষে পড়বে (অর্থাৎ এ বাক্যগুলো পড়ে ঘুমিয়ে পড়বে আর অন্য কোন কথা বলবে না)। রাবী বলেন: আমি নবী (সা) এর নিকট উক্ত বাক্যগুলো পুনরাবৃত্তি করলাম।
আমি যখন এ দু'আ রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট পুনরাবৃত্তি করতে যেয়েঃ آمَنت بكتابك الَّذِي أنزلت পর্যন্ত পৌঁছলাম তখন আমি: وَرَسُولك বললাম। তিনি বললেন: না, বরং তুমি বলবেঃ وَنَبِيك الَّذِي أرْسلت
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে বুখারী ও তিরমিযী শরীফের বর্ণনায় আছেঃ তুমি যদি সে রাতে মারা যাও, তাহলে তুমি ফিতরাতের (ইসলামের) উপর মৃত্যুবরণ করলে। আর যদি সকাল কর, তা হবে তোমার জন্য উত্তম সকাল।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
888 - عَن الْبَراء بن عَازِب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا أتيت مضجعك فَتَوَضَّأ وضوءك للصَّلَاة ثمَّ اضْطجع على شقك الْأَيْمن ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أسلمت نَفسِي إِلَيْك ووجهت وَجْهي إِلَيْك وفوضت أَمْرِي إِلَيْك وألجأت ظَهْري إِلَيْك رَغْبَة وَرَهْبَة إِلَيْك لَا منجا وَلَا ملْجأ مِنْك إِلَّا إِلَيْك
آمَنت بكتابك الَّذِي أنزلت وَنَبِيك الَّذِي أرْسلت فَإِن مت من ليلتك فَأَنت على الْفطْرَة واجعلهن آخر مَا تَتَكَلَّم بِهِ قَالَ فرددتها على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَلَمَّا بلغت آمَنت بكتابك الَّذِي أنزلت قلت وَرَسُولك قَالَ لَا وَنَبِيك الَّذِي أرْسلت

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَفِي رِوَايَة للْبُخَارِيّ وَالتِّرْمِذِيّ فَإنَّك إِن مت من ليلتك مت على الْفطْرَة وَإِن أَصبَحت أصبت خيرا أَوَى غير مَمْدُود
হাদীস নং: ৮৮৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৮৯. হযরত রাফি' ইবন খাদীজ (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন ডান কাতে শোবে এবং এই দু'আ পাঠ করবে:
اللَّهُمَّ أسلمت نَفسِي إِلَيْك ووجهت وَجْهي إِلَيْك وألجأت ظَهْري إِلَيْك وفوضت أَمْرِي إِلَيْك لَا منجا مِنْك وَلَا ملْجأ إِلَّا إِلَيْك أُؤْمِن بكتابك وبرسولك
অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমি আমাকে তোমার নিকট (সম্পূর্ণভাবে) সোপর্দ করলাম, আমি আমার চেহারা তোমার অভিমুখী করলাম, আমি তোমার অশ্রিত হলাম। আমি আমার সম্পূর্ণ ব্যাপার তোমার কাছে সোপর্দ করলাম। তোমা থেকে (পালিয়ে) আশ্রয় নেয়ার এবং নাজাত পাওয়ার জন্য তুমি ভিন্ন আর কেউ নেই। আর আমি ঈমান এনেছি তোমার কিতাব ও রাসূলের উপর।" যদি সে ঐ রাতে মারা যায়, তবে সে জান্নাতী হবে।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
889 - وَعَن رَافع بن خديج رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا اضْطجع أحدكُم على جنبه الْأَيْمن ثمَّ قَالَ اللَّهُمَّ أسلمت نَفسِي إِلَيْك ووجهت وَجْهي إِلَيْك وألجأت ظَهْري إِلَيْك وفوضت أَمْرِي إِلَيْك لَا منجا مِنْك وَلَا ملْجأ إِلَّا إِلَيْك أُؤْمِن بكتابك وبرسولك فَإِن مَاتَ من ليلته دخل الْجنَّة

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ هَذَا حَدِيث حسن غَرِيب
হাদীস নং: ৮৯০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯০. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি ইবন আবুদকে বলেছেন: আমি কি তোমাকে আমার পক্ষ থেকে এবং ফাতিমা বিনতে রাসূলুল্লাহ (সা) সূত্রে হাদীস বর্ণনা করব না? সে ছিল তাঁর কাছে পরিবারের সর্বাধিক প্রিয়, আর সে ছিল আমার স্ত্রী। আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন: সে (ফাতিমা (রা)। গম পেষার চাক্কি চালানোর দরুন তার হাতে ফোস্কা পড়ে যায়। পানি বহন করতে করতে তার কোমরে দাগ বসে যায় এবং বাড়ী ঝাড়ু দিতে দিতে কাপড় ময়লা হয়ে যায়। নবী-এর নিকট (কয়েকজন) খাদিম আসলে আমি তাকে বললামঃ তুমি যদি তোমার পিতার কাছে যেতে এবং একজন খাদিম চাইতে। সে তাঁর নিকট গেল এবং কতগুলো অল্প বয়স্ক খাদিম দেখতে পেল। সে ফিরে এলো এবং পরের দিন আবার গেল। তিনি বললেনঃ তোমার কি প্রয়োজন পড়েছে? সে নীরব রইল। আমি (আলী) বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার নিকট একটি কথা বলব। আটা পিষে তার হাতে ফোস্কা পড়ে গেছে, পানি বহন করতে করতে তার কোমরে দাগ বসে গেছে। যখন আপনার নিকট খাদিম আসে, তখন আমি তাকে আপনার কাছে খাদিম চাওয়ার জন্য আসতে বলেছিলাম, যেন সে বর্তমান কষ্ট থেকে বাঁচতে পারে। তখন তিনি (নবী করীম সা.) বললেনঃ হে ফাতিমা! তুমি আল্লাহকে ভয় কর, তোমার রবের ফরয আদায় কর, তোমার পরিবার-পরিজনের জন্য কাজ কর। যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে, তখন তুমি তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদু লিল্লাহ এবং চৌত্রিশ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে। মোট একশতবার হল। খাদিম হতে এটি তোমার জন্য উত্তম। সে বলল: আমি আল্লাহ তা'আলা এবং তাঁর রাসূলের প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি বাড়িয়ে আরো বলেন: রাসূল তাকে খাদিম দিলেন না।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নিজ শব্দে এবং তিরমিযী সংক্ষেপে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীস সম্পর্কে একটি ঘটনা রয়েছে। তবে তিনি তা উল্লেখ করেন নি।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
890 - وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ أَنه قَالَ لِابْنِ أعبد أَلا أحَدثك عني وَعَن فَاطِمَة رَضِي الله عَنْهَا بنت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَكَانَت من أحب أَهله إِلَيْهِ وَكَانَت عِنْدِي قلت بلَى
قَالَ إِنَّهَا جرت بالرحى حَتَّى أثرت فِي يَدهَا واستقت بالقربة حَتَّى أثرت فِي نحرها وكنست الْبَيْت حَتَّى اغبرت ثِيَابهَا فَأتى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خدم فَقلت لَو أتيت أَبَاك فَسَأَلته خَادِمًا فَأَتَتْهُ فَوجدت عِنْده حدثاء فَرَجَعت فَأَتَاهَا من الْغَد فَقَالَ مَا كَانَ حَاجَتك
فَسَكَتَتْ فَقلت أَنا أحَدثك يَا رَسُول الله جرت بالرحى حَتَّى أثرت فِي يَدهَا وحملت بالقربة حَتَّى أثرت فِي نحرها فَلَمَّا أَن جَاءَ الخدم أَمَرتهَا أَن تَأْتِيك فتستخدمك خَادِمًا يَقِيهَا حر مَا هِيَ فِيهِ قَالَ اتقِي الله يَا فَاطِمَة وَأدِّي فَرِيضَة رَبك واعملي عمل أهلك وَإِذا أخذت مضجعك فسبحي ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ واحمدي ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وكبري أَرْبعا وَثَلَاثِينَ فَتلك مائَة فَهُوَ خير لَك من خَادِم قَالَت رضيت عَن الله وَعَن رَسُوله
زَاد فِي رِوَايَة وَلم يخدمها

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ مُخْتَصرا
وَقَالَ وَفِي الحَدِيث قصَّة وَلم يذكرهَا
হাদীস নং: ৮৯১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯১. হযরত ফারওয়া ইবন নাওফাল (রা) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী (সা) নাওফল (রা)-কে বললেনঃ তুমি قل يَا أَيهَا الْكَافِرُونَ (অর্থাৎ বল, হে কাফির সম্প্রদায়।) পড়বে, এরপর তা শেষ করে নিদ্রায় যাবে। কেননা তা তোমাকে শিরক থেকে মুক্ত করবে।
(আবু দাউদ নিজ শব্দযোগে এবং তিরমিযী, নাসাঈ প্রমুখ মুত্তাসিল ও মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বান 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম এটি বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন: হাদীসটি সনদ সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
891 - وَعَن فَرْوَة بن نَوْفَل عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لنوفل اقْرَأ {قل يَا أَيهَا الْكَافِرُونَ} الْكَافِرُونَ 1 ثمَّ نم على خاتمتها فَإِنَّهَا بَرَاءَة من الشّرك

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ مُتَّصِلا ومرسلا وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৯২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে মুসলিম বান্দা দুটো স্বভাব অথবা তিনি বলেছেন: দুটি বৈশিষ্ট্য অবলম্বন করবে, সে জান্নাতী। সে দুটো খুব সহজ কাজ। এই দুটি কাজের আমলকারীর সংখ্যা খুবই কম। তা হল: প্রত্যেক সালাতের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং দশবার আল্লাহু আকবার পড়বে। এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে যবানে একশ পঞ্চাশবার হবে। আর দেড় হাজারবার হবে মীযানে। নিদ্রা যাওয়ার সময় চৌত্রিশবার আল্লাহ আকবার, আলহামদু লিল্লাহ তেত্রিশবার এবং সুবহানাল্লাহ তেত্রিশবার বলবে। ফলে, ঐ আমলটি যবানে একশবার এবং মীযান একহাজার বার হবে। আমি রাসূলুল্লাহ-কে হাতে গুণে এভাবে পড়তে দেখেছি। তারা বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ। ঐ দুটি আমল কেমন করে সহজ হল আর কেমন করে তার আমলকারীর সংখ্যা কম হল? তিনি বললেন, তোমাদের কাছে নিদ্রাবস্থায় শয়তান আসে, এই তাসবীহ পাঠ করার আগেই তাকে ঘুম পাড়ায় এবং সে তার সালাত আদায়ের সময় উক্ত তাসবীহ পাঠ করার আগেই তার কাছে আসে এবং তাকে তার জরুরতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
(আবূ দাউদ, তিনি নিজ শব্দে ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ। নাসাঈ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বাড়িয়ে বলেছেন ألف وَخَمْسمِائة فِي الْمِيزَان এই বাক্যের পরে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যদি দিন রাতে দুই হাজার পাঁচশবার উক্ত তাসবীহ পাঠ করে, তার কি কোন গুনাহ থাকতে পারে?)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
892 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ خصلتان أَو خلَّتَانِ لَا يحافظ عَلَيْهِمَا عبد مُسلم إِلَّا دخل الْجنَّة هما يسير وَمن يعْمل بهما قَلِيل يسبح فِي دبر كل صَلَاة عشرا ويحمد عشرا وَيكبر عشرا فَذَلِك خَمْسُونَ وَمِائَة بِاللِّسَانِ وَألف وَخَمْسمِائة فِي الْمِيزَان وَيكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ إِذا أَخذ مضجعه ويحمد ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ويسبح ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَذَلِك مائَة بِاللِّسَانِ وَألف فِي الْمِيزَان
فَلَقَد رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يعقدها
قَالُوا يَا رَسُول الله كَيفَ هما يسير وَمن يعْمل بهما قَلِيل قَالَ يَأْتِي أحدكُم
يَعْنِي الشَّيْطَان فِي مَنَامه فينومه قبل أَن يَقُوله ويأتيه فِي صلَاته فيذكره حَاجَة قبل أَن يَقُولهَا

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَزَاد بعد قَوْله وَألف وَخَمْسمِائة فِي الْمِيزَان قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَيكُمْ يعْمل فِي الْيَوْم وَاللَّيْلَة أَلفَيْنِ وَخَمْسمِائة سَيِّئَة
হাদীস নং: ৮৯৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯৩. হযরত ইরবায় ইবন সারীয়া (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) ঘুমাবার আগে মুসাববাহাত পাঠ করতেন এবং তিনি বলতেন: তাতে রয়েছে একটি আয়াত, যা হাজার আয়াত অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ।
(হাদীসটি আবূ দাউদ ও তিরমিযী নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: এ হাদীসটি হাসান-গরীব এবং নাসাঈও। তিনি বলেন, মুআবিয়া ইবন সালিহ বলেছেন: কিছু সংখ্যক আহলে ইল্ম সূরা হাদীদ, হাশর, হাওয়ারিয়্যীন (সাফ), জুমুআ, তাগাবুন ও আলা প্রমুখ সূরাকে মুসাববাহাত বলেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
893 - وَعَن الْعِرْبَاض بن سَارِيَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يقْرَأ المسبحات قبل أَن يرقد وَيَقُول إِن فِيهِنَّ آيَة خير من ألف آيَة

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَقَالَ قَالَ مُعَاوِيَة يَعْنِي ابْن صَالح
إِن بعض أهل الْعلم كَانُوا يجْعَلُونَ المسبحات سِتا سُورَة الْحَدِيد والحشر والحواريين وَسورَة الْجُمُعَة والتغابن وَسبح اسْم رَبك الْأَعْلَى
হাদীস নং: ৮৯৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিছানায় ঘুমোতে যেয়েঃ
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه الْعلي الْعَظِيم سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
অর্থাৎ "আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই রাজত্ব এবং তাঁরই প্রশংসা। তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান। তিনি শক্তিমান, তিনি মহান ও মর্যাদাবান। আল্লাহ পুতঃপবিত্র। প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।"
পড়বে, তার গুনাহ ক্ষমা করা হবে অথবা তিনি বলেছেন: তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমান হয়।
(নাসাঈ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ শরীফে আছে: আল্লাহ মহান এবং যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই। হাদীসের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেছেন: তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জের চেয়েও অধিক হয়।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
894 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ حِين يأوي إِلَى فرَاشه لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه الْعلي الْعَظِيم سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر غفرت لَهُ ذنُوبه أَو خطاياه شكّ مسعر وَإِن كَانَت مثل زبد الْبَحْر

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَعند النَّسَائِيّ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ وَقَالَ فِي آخِره غفرت لَهُ ذنُوبه وَلَو كَانَت أَكثر من زبد الْبَحْر
হাদীস নং: ৮৯৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯৫. হযরত শাদ্দাদ ইবন আওস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যখন কোন মুসলিম বান্দা ঘুমোতে যায়, তখন সে যেন কুরআনের একটি সূরা তিলাওয়াত করে। এতে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করবেন। ফলে কষ্টদায়ক কোন বস্তু তার নিকটবর্তী হবে না, এমনকি সে নিদ্রা থেকে জাগরিত হবে।
(তিরমিযী ও আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আহমদ বলেছেন। আল্লাহ তা'আলা তার কাছে একজন ফিরিশতা পাঠাবেন। সে তাকে যাবতীয় কষ্টদায়ক বস্তু হতে হিফাযত করবে, এমন কি সে নিদ্রা থেকে জাগরিত হবে। আহমদ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
895 - وَعَن شَدَّاد بن أَوْس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من مُسلم يَأْخُذ مضجعه فَيقْرَأ سُورَة من كتاب الله إِلَّا وكل الله لَهُ بِهِ ملكا فَلَا يقربهُ شَيْء يُؤْذِيه حَتَّى يهب من نَومه مَتى هَب

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَرَوَاهُ أَحْمد إِلَّا أَنه قَالَ بعث الله لَهُ ملكا يحفظه من كل شَيْء يُؤْذِيه حَتَّى يهب مَتى هَب
ورواة أَحْمد رُوَاة الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৯৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯৬. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কোন ব্যক্তি যখন বিছানায় ঘুমোতে যায়, তখন তার কাছে দ্রুতবেগে একজন ফিরিশতা ও শয়তান উপস্থিত হয়। ফিরিশতা বলেন: তোমার শেষ পরিণতি শুভ হোক, আর শয়তান বলে: তোমার শেষ পরিণতি অশুভ হোক। যখন সে আল্লাহর যিকর করে ঘুমোতে যায়, তখন একজন ফিরিশতা তাকে হিফাযতের জন্য রাত কাটান। আর যখন সে জাগে, তখন ফিরিশতা তাকে বলেন: তোমার শুভ সূচনা হোক। আর শয়তান বলে: তোমার অশুভ সূচনা হোক। যে ব্যক্তি বলবেঃ
الْحَمد لله الَّذِي رد عَليّ نَفسِي وَلم يمتها فِي منامها الْحَمد لله الَّذِي يمسك السَّمَوَات وَالْأَرْض أَن تَزُولَا فاطر 14 إِلَى آخر الْآيَة الْحَمد لله الَّذِي يمسك السَّمَاء أَن تقع على الأَرْض إِلَّا بِإِذْنِهِ
অর্থাৎ "সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি আমাকে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু না দিয়ে আমার আত্মা ফিরিয়ে দিয়েছেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি আসমান-যমীনের কম্পনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন
আয়াতের শেষ পর্যন্ত।" (সূরা ফাতির, ৩৫ঃ ৪২) "সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি আসমানকে যমীনের উপর ভেঙ্গে পড়া থেকে রক্ষা করেন, তবে তাঁর হুকুম হলে" (ভিন্ন কথা)।
এরপর যদি সে খাট থেকে পড়ে মারা যায়, তবুও সে জান্নাতী।
(আবূ ইয়ালা সহীহ সনদে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাকিম হাদীসের শেষের দিকে আরো বলেছেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি মৃতকে জীবন দান করেন, আর তিনি সর্ববিষয়ে সর্ব শক্তিমান এবং তিনি বলেছেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
896 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا أَوَى الرجل إِلَى فرَاشه ابتدره ملك وَشَيْطَان فَيَقُول الْملك اختم بِخَير وَيَقُول الشَّيْطَان اختم بشر فَإِن ذكر الله ثمَّ نَام بَات الْملك يكلؤه
وَإِذا اسْتَيْقَظَ قَالَ الْملك افْتَحْ بِخَير وَقَالَ الشَّيْطَان افْتَحْ بشر فَإِن قَالَ الْحَمد لله الَّذِي رد عَليّ نَفسِي وَلم يمتها فِي منامها الْحَمد لله الَّذِي يمسك السَّمَوَات وَالْأَرْض أَن تَزُولَا فاطر 14 إِلَى آخر الْآيَة الْحَمد لله الَّذِي يمسك السَّمَاء أَن تقع على الأَرْض إِلَّا بِإِذْنِهِ فَإِن وَقع عَن سَرِيره فَمَاتَ دخل الْجنَّة

رَوَاهُ أَبُو يعلى بِإِسْنَاد صَحِيح وَالْحَاكِم وَزَاد فِي آخِره الْحَمد لله الَّذِي يحيي الْمَوْتَى وَهُوَ على كل شَيْء قدير
وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
يكلؤه أَي يَحْرُسهُ ويحفظه
হাদীস নং: ৮৯৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: তুমি যখন বিছানায় ঘুমোতে যাবে, তখন তুমি ফাতিহাতুল কিতাব (সূরা ফাতিহা) ও قل هُوَ الله أحد (সূরা ইখলাস) পাঠ করবে। ফলে মৃত্যু ব্যতীত যাবতীয় বিষয় (অনিষ্ট) হতে তুমি নিরাপদ থাকবে।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। গাসসান ইবন উবায়দ ব্যতীত এ সনদের সকল রাবী সহীহ বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
897 - وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا وضعت جَنْبك على الْفراش وقرأت فَاتِحَة الْكتاب وَقل هُوَ الله أحد فقد أمنت من كل شَيْء إِلَّا الْمَوْت

رَوَاهُ الْبَزَّار وَرِجَاله رجال الصَّحِيح إِلَّا غَسَّان بن عبيد
হাদীস নং: ৮৯৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯৮. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিছানায় ঘুমোতে যায় এবং ডান কাতে শোয়, এরপর একশবার قل هُوَ الله أحد (সূরা ইখলাস) তিলাওয়াত করে, কিয়ামতের দিন তার রব তাকে বলবেনঃ হে আমার বান্দা। তোমার ডানদিক দিয়ে তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এ হাদীসটি গরীব।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
898 - وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أَرَادَ أَن ينَام على فرَاشه فَنَامَ على يَمِينه ثمَّ قَرَأَ {قل هُوَ الله أحد} الْإِخْلَاص 1 مائَة مرّة فَإِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يَقُول لَهُ الرب يَا عَبدِي ادخل على يَمِينك الْجنَّة

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
হাদীস নং: ৮৯৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৮৯৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে নবী সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিছানায় শুয়েঃ
أسْتَغْفر الله الَّذِي لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم وَأَتُوب إِلَيْهِ
অর্থাৎ "আমি ক্ষমা চাই ঐ আল্লাহর কাছে, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং তাঁরই কাছে তাওবা করছি।" পাঠ করবে, তার যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা হয় সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জের সমান, যদিও তা হয় গাছের পাতা-পল্লবের সমান, যদিও তা হয় স্তূপীকৃত বালুকারাশির সমান,
যদিও তা হয় পৃথিবীর দিনসমূহের সমান।
(ইমাম তিরমিযী ওয়াসাফী থেকে আতীয়া সূত্রে হযরত আবু সাঈদ (রা)-এর বরাতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: এ হাদীসটি হাসান-গরীব। তিনি আরো বলেন: উবায়দুল্লাহ ইবন ওয়ালীদ ওয়াসাফীর সূত্রে ব্যতীত আমি এ হাদীস সম্পর্কে জানি না।)
[গ্রন্থকার বলেনঃ] এ হাদীসের একজন রাবী উবায়দুল্লাহ, যিনি উল্লেখযোগ্যে ব্যক্তি নন। কিন্তু ইমাম ইবন কুদামা উক্ত হাদীসের অনুসরণ করেছেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী। ইমাম বুখারী উক্ত হাদীসটি তাঁর 'তারীখে' কুদামার সূত্রে অনুরূপ শব্দে বর্ণনা করেছেন। আর আতীয়া, যিনি হলেন 'আওফী; তাঁর ব্যাপারে আলোচনা আসবে।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
899 - وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ حِين يأوي إِلَى فرَاشه أسْتَغْفر الله الَّذِي لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم وَأَتُوب إِلَيْهِ غفرت لَهُ ذنُوبه وَإِن كَانَت مثل زبد الْبَحْر وَإِن كَانَت عدد ورق الشّجر وَإِن كَانَت عدد رمل عالج وَإِن كَانَت عدد أَيَّام الدُّنْيَا

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من طَرِيق الْوَصَّافِي عَن عَطِيَّة عَن أبي سعيد وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من هَذَا الْوَجْه من حَدِيث عبيد الله بن الْوَلِيد الْوَصَّافِي
قَالَ المملي عبيد الله هَذَا واه لَكِن تَابعه عَلَيْهِ عِصَام بن قدامَة وَهُوَ ثِقَة خرجه البُخَارِيّ فِي تَارِيخه من طَرِيقه بِنَحْوِهِ وعطية هَذَا هُوَ الْعَوْفِيّ يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ
হাদীস নং: ৯০০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৯০০. আবূ আবদুর রহমান হুবালী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) আমাদের কাছে এক টুকরা কাগজ নিয়ে এসে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের এই দু'আ শিক্ষা দেনঃ
اللَّهُمَّ فاطر السَّمَوَات وَالْأَرْض عَالم الْغَيْب وَالشَّهَادَة
أَنْت رب كل شَيْء وإله كل شَيْء أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أعوذ بك من الشَّيْطَان وشركه وَأَعُوذ بك أَن أقترف على نَفسِي سوءا أَو أجره إِلَى مُسلم
অর্থাৎ "হে আল্লাহ! আসমান-যমীনের স্রষ্টা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, আপনি সবার প্রতিপালক, সবার ইলাহ, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আমি অপনার কাছে শয়তান ও তার শিরক থেকে পানাহ চাই। আমার নমঙ্সর উপর আপতিত অনিষ্টতা হতে পানাহ চাই। অথবা- যা কোন মুসলিমের উপর বর্তায়, তা হতে পানাহ চাই।"
আবূ আবদুর রহমান বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে এ দু'আ শিক্ষা দেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) বলেন: যখন তিনি নিদ্রা যাবার ইচ্ছা করতেন, তখন এই দু'আ পাঠ করতেন।
(আহমদ হাসান সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
900 - وَعَن أبي عبد الرَّحْمَن الحبلي رَضِي الله عَنهُ قَالَ أخرج إِلَيْنَا عبد الله بن عَمْرو
رَضِي الله عَنْهُمَا قرطاسا وَقَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يعلمنَا يَقُول اللَّهُمَّ فاطر السَّمَوَات وَالْأَرْض عَالم الْغَيْب وَالشَّهَادَة
أَنْت رب كل شَيْء وإله كل شَيْء أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أعوذ بك من الشَّيْطَان وشركه وَأَعُوذ بك أَن أقترف على نَفسِي سوءا أَو أجره إِلَى مُسلم
قَالَ أَبُو عبد الرَّحْمَن كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُعلمهُ عبد الله بن عَمْرو وَيَقُول ذَلِك حِين يُرِيد أَن ينَام

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯০১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৯০১. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি বিছানায়
ঘুমাতে গিয়ে: الْحَمد لله الَّذِي علا فقهر وبطن فخبر وَملك فَقدر الْحَمد لله الَّذِي يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير
অর্থাৎ "সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, তিনি প্রভাব বিস্তারকারী, তিনি সৃষ্টি জগৎ থেকে অদৃশ্য তথাপি ও তিনি সর্ব বিষয়ে অবহিত আছেন। তিনি সকল বস্তুর মালিক, তিনি নির্ধারক। আল্লাহরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা, যিনি জীবন দেন ও মৃত দেন। তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।"
এই দু'আ পাঠ করবে, সে গুনাহ থেকে এমন নিষ্পাপ হবে যে, যেন তার মা আজ তাকে প্রসব করেছে।
(তারাবানীর 'আওসাত' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও তাঁর 'শু'আবুল ঈমান' অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
901 - وَرُوِيَ عَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ إِذا أَوَى إِلَى فرَاشه الْحَمد لله الَّذِي علا فقهر وبطن فخبر وَملك فَقدر الْحَمد لله الَّذِي يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير
خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْحَاكِم وَمن طَرِيقه الْبَيْهَقِيّ فِي الشّعب وَغَيره
হাদীস নং: ৯০২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৯০২. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিছানায় ঘুমোতে গিয়েঃ الْحَمد لله الَّذِي كفاني وأواني وَالْحَمْد لله الَّذِي أَطْعمنِي وسقاني وَالْحَمْد لله الَّذِي من عَليّ
অর্থাৎ "সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি আমাকে নিরাপত্তা এবং বাসস্থান দান করেছেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, যিনি আমার খাবার ও পানীয় সংস্থান করেছেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লারই জন্য, যিনি আমার
প্রতি অনুগ্রহ করে মর্যাদা দান করেছেন।" পাঠ করবে, সে যেন সৃষ্টিলোকের সকলের প্রশংসা করল।
(বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর সনদ সূত্র আমার জানা নেই।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
902 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ إِذا أَوَى إِلَى فرَاشه الْحَمد لله الَّذِي كفاني وأواني وَالْحَمْد لله الَّذِي أَطْعمنِي وسقاني وَالْحَمْد لله الَّذِي من عَليّ فأفضل
فقد حمد الله بِجَمِيعِ محامد الْخلق كلهم

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَلَا يحضرني إِسْنَاده الْآن