আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৬. অধ্যায়ঃ নফল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮৭ টি
হাদীস নং: ৯০৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৯০৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ আমাকে রমযানের সাদাকাতুল ফিতর উসূলের জন্য তহশীলদার নিযুক্ত করেন। এমন সময় আমার কাছে এক আগন্তুক এলো। সে দুই হাত
ভরে খাদ্য বস্তু নিল। আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং বললাম: আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে পেশ করব। সে বলল: আমি একজন সাহায্যপ্রার্থী, আমার উপর রয়েছে ঋণের বোঝা, আমার রয়েছে পরিবার-পরিজন এবং আমার রয়েছে তীব্র চাহিদা। ফলে আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। আমি সকালে নবী -এর কাছে হাযির হলে তিনি বললেনঃ হে আবু হুরায়রা। তুমি তোমার গত রাতের বন্দীর সাথে কিরূপ আচরণ করলে? তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। সে তার তীব্র চাহিদা ও পরিবারের কথা বলেছে। ফলে আমি তার প্রতি দয়া পরবশ হয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেছেন: নিশ্চয়ই সে তোমার সাথে মিথ্যা বলেছে এবং অচিরেই সে আবার আসবে। আমি রাসূলুল্লাহ-এর কথামত জানতে পারলাম যে, সে পুনরায় আসবে। আমি তার আসার অপেক্ষায় বসে থাকলাম। এমন সময় সে এসে খাদ্য সামগ্রী দ্বারা অঞ্জলী পূর্ণ করতে লাগল। এরপর তিনি পূর্ণ হাদীসটি দ্বিতীয়বারের মত উল্লেখ করেন। এভাবে আমি তাকে তৃতীয়বার ধরলাম। তখন আমি বললাম: আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট নিয়ে যাব। এ ছিল তৃতীয়বারের ব্যাপার। তুমি বলঃ তুমি আর ফিরে আসবে না, অথচ তুমি পুনরায় ফিরে আস। সে বলল: তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিক্ষা দেব, যদ্বারা আল্লাহ তোমাকে উপকৃত করবেন। আমি বললামঃ সেই বাক্যগুলো কি? সে বলল: যখন তুমি বিছানায় ঘুমোতে যাবে, তখন তুমি পূর্ণ আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হতে পারবে না। এরপর আমি তাকে তার পথে ছেড়ে দিলাম। পরের দিন সকালে আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি আমাকে বললেনঃ তোমার বন্দী গত রাতে কি করেছে? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে বলেছে, আমাকে সে এমন কিছু বাক্য শিক্ষা দেবে, যদ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। এরপর আমি তাকে তার পথে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: সেই বাক্যগুলো কি? আমি বললামঃ সে আমাকে বলেছে, যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে, তখন পূর্ণ আয়াতুল কুরসী পাঠ করে নেবে। সে বলেছে, এতে আল্লাহ তোমার জন্য একজন রক্ষক (ফিরিশতা) নিয়োগ করবেন এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হতে পারবে না। সাহাবায়ে কিরাম কল্যাণকর কাজের প্রতি ছিলেন অধিক লোভাতুর। রাসূলুল্লাহ বললেন: হ্যাঁ, সে এ ব্যাপারে সত্য বলেছে, অথচ সে মিথ্যুক। হে আবু হুরায়রা। তুমি কি জান, তুমি গত তিন দিন যার সাথে কথা বলেছ, সে কে? তিনি বলেন: না। তিনি বললেন: সে শয়তান।
(বুখারী, ইবন খুযায়মা ও অন্যান্যগণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আর তিরমিযী ও অন্যান্যগণ হযরত আবু আযাব (রা)-এর হাদীসের শব্দমালার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযীর কোন কোন সূত্রে নিম্নরূপ বর্ণিত আছে: "তুমি যদি আমাকে ছেড়ে দাও, তবে আমি তোমাকে কুরআনের এমন একটি আয়াত শিক্ষা দেব, যদ্বারা তোমার সন্তান ও সম্পদ রক্ষা পাবে এবং তোমার কাছে কখনো শয়তান আসতে পারবে না। আমি বললামঃ তা কি? সে বলল: তা আমি পাঠ করতে পারি না, আর তা হলঃ আয়াতুল কুরসী।"
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] এই অধ্যায়ে রাসূলুল্লাহ (সা) এর আমল হতে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত আছে। আমার কিতাবের শর্তানুরূপ না হওয়ায় আমি তা বর্জন করেছি।
ভরে খাদ্য বস্তু নিল। আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং বললাম: আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে পেশ করব। সে বলল: আমি একজন সাহায্যপ্রার্থী, আমার উপর রয়েছে ঋণের বোঝা, আমার রয়েছে পরিবার-পরিজন এবং আমার রয়েছে তীব্র চাহিদা। ফলে আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। আমি সকালে নবী -এর কাছে হাযির হলে তিনি বললেনঃ হে আবু হুরায়রা। তুমি তোমার গত রাতের বন্দীর সাথে কিরূপ আচরণ করলে? তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। সে তার তীব্র চাহিদা ও পরিবারের কথা বলেছে। ফলে আমি তার প্রতি দয়া পরবশ হয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেছেন: নিশ্চয়ই সে তোমার সাথে মিথ্যা বলেছে এবং অচিরেই সে আবার আসবে। আমি রাসূলুল্লাহ-এর কথামত জানতে পারলাম যে, সে পুনরায় আসবে। আমি তার আসার অপেক্ষায় বসে থাকলাম। এমন সময় সে এসে খাদ্য সামগ্রী দ্বারা অঞ্জলী পূর্ণ করতে লাগল। এরপর তিনি পূর্ণ হাদীসটি দ্বিতীয়বারের মত উল্লেখ করেন। এভাবে আমি তাকে তৃতীয়বার ধরলাম। তখন আমি বললাম: আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট নিয়ে যাব। এ ছিল তৃতীয়বারের ব্যাপার। তুমি বলঃ তুমি আর ফিরে আসবে না, অথচ তুমি পুনরায় ফিরে আস। সে বলল: তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিক্ষা দেব, যদ্বারা আল্লাহ তোমাকে উপকৃত করবেন। আমি বললামঃ সেই বাক্যগুলো কি? সে বলল: যখন তুমি বিছানায় ঘুমোতে যাবে, তখন তুমি পূর্ণ আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হতে পারবে না। এরপর আমি তাকে তার পথে ছেড়ে দিলাম। পরের দিন সকালে আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি আমাকে বললেনঃ তোমার বন্দী গত রাতে কি করেছে? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে বলেছে, আমাকে সে এমন কিছু বাক্য শিক্ষা দেবে, যদ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। এরপর আমি তাকে তার পথে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: সেই বাক্যগুলো কি? আমি বললামঃ সে আমাকে বলেছে, যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে, তখন পূর্ণ আয়াতুল কুরসী পাঠ করে নেবে। সে বলেছে, এতে আল্লাহ তোমার জন্য একজন রক্ষক (ফিরিশতা) নিয়োগ করবেন এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হতে পারবে না। সাহাবায়ে কিরাম কল্যাণকর কাজের প্রতি ছিলেন অধিক লোভাতুর। রাসূলুল্লাহ বললেন: হ্যাঁ, সে এ ব্যাপারে সত্য বলেছে, অথচ সে মিথ্যুক। হে আবু হুরায়রা। তুমি কি জান, তুমি গত তিন দিন যার সাথে কথা বলেছ, সে কে? তিনি বলেন: না। তিনি বললেন: সে শয়তান।
(বুখারী, ইবন খুযায়মা ও অন্যান্যগণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আর তিরমিযী ও অন্যান্যগণ হযরত আবু আযাব (রা)-এর হাদীসের শব্দমালার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযীর কোন কোন সূত্রে নিম্নরূপ বর্ণিত আছে: "তুমি যদি আমাকে ছেড়ে দাও, তবে আমি তোমাকে কুরআনের এমন একটি আয়াত শিক্ষা দেব, যদ্বারা তোমার সন্তান ও সম্পদ রক্ষা পাবে এবং তোমার কাছে কখনো শয়তান আসতে পারবে না। আমি বললামঃ তা কি? সে বলল: তা আমি পাঠ করতে পারি না, আর তা হলঃ আয়াতুল কুরসী।"
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] এই অধ্যায়ে রাসূলুল্লাহ (সা) এর আমল হতে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত আছে। আমার কিতাবের শর্তানুরূপ না হওয়ায় আমি তা বর্জন করেছি।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
903 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ وكلني رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِحِفْظ زَكَاة رَمَضَان فَأَتَانِي آتٍ فَجعل يحثو من الطَّعَام فَأَخَذته فَقلت لأرفعنك إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِنِّي مُحْتَاج وَعلي دين وعيال ولي حَاجَة شَدِيدَة فخليت عَنهُ فَأَصْبَحت فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا هُرَيْرَة مَا فعل أسيرك البارحة قَالَ قلت يَا رَسُول الله شكا حَاجَة شَدِيدَة وعيالا فرحمته فخليت سَبيله
قَالَ أما إِنَّه قد كَذبك وَسَيَعُودُ فَعرفت أَنه سيعود لقَوْل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّه سيعود فرصدته فجَاء يحثو الطَّعَام وَذكر الحَدِيث إِلَى أَن قَالَ فَأَخَذته يَعْنِي فِي الثَّالِثَة فَقلت لأرفعنك إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهَذَا آخر ثَلَاث مَرَّات تزْعم أَنَّك لَا تعود ثمَّ تعود
قَالَ دَعْنِي أعلمك كَلِمَات ينفعك الله بهَا
قلت مَا هن قَالَ إِذا أويت إِلَى فراشك فاقرأ آيَة الْكُرْسِيّ {الله لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم} الْبَقَرَة 552 حَتَّى تختم الْآيَة فَإنَّك لن يزَال عَلَيْك من الله حَافظ وَلَا يقربك شَيْطَان حَتَّى تصبح فخليت سَبيله فَأَصْبَحت فَقَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا فعل أسيرك البارحة قلت
قَالَ مَا هِيَ قلت قَالَ لي إِذا أويت إِلَى فراشك فاقرأ آيَة الْكُرْسِيّ من أَولهَا حَتَّى تختم الْآيَة {الله لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم} وَقَالَ لن يزَال يَا رَسُول الله زعم أَنه
يعلمني كَلِمَات يَنْفَعنِي الله بهَا فخليت سَبيله عَلَيْك من الله حَافظ وَلَا يقربك شَيْطَان حَتَّى تصبح وَكَانُوا أحرص شَيْء على الْخَيْر فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما إِنَّه قد صدقك وَهُوَ كذوب تعلم من تخاطب مُنْذُ ثَلَاث لَيَال يَا أَبَا هُرَيْرَة قَالَ لَا قَالَ ذَاك الشَّيْطَان
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَغَيرهمَا وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَغَيره من حَدِيث أبي أَيُّوب بِنَحْوِهِ وَفِي بعض طرقه عِنْده قَالَ أَرْسلنِي وأعلمك آيَة من كتاب الله لَا تضعها على مَال وَلَا ولد فيقربك شَيْطَان أبدا
قلت وَمَا هِيَ قَالَ لَا أَسْتَطِيع أَن أَتكَلّم بهَا آيَة الْكُرْسِيّ
قَالَ الْحَافِظ رَحمَه الله وَفِي الْبَاب أَحَادِيث كَثِيرَة من فعل النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيست من شَرط كتَابنَا أضربنا عَن ذكرهَا
قَالَ أما إِنَّه قد كَذبك وَسَيَعُودُ فَعرفت أَنه سيعود لقَوْل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّه سيعود فرصدته فجَاء يحثو الطَّعَام وَذكر الحَدِيث إِلَى أَن قَالَ فَأَخَذته يَعْنِي فِي الثَّالِثَة فَقلت لأرفعنك إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهَذَا آخر ثَلَاث مَرَّات تزْعم أَنَّك لَا تعود ثمَّ تعود
قَالَ دَعْنِي أعلمك كَلِمَات ينفعك الله بهَا
قلت مَا هن قَالَ إِذا أويت إِلَى فراشك فاقرأ آيَة الْكُرْسِيّ {الله لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم} الْبَقَرَة 552 حَتَّى تختم الْآيَة فَإنَّك لن يزَال عَلَيْك من الله حَافظ وَلَا يقربك شَيْطَان حَتَّى تصبح فخليت سَبيله فَأَصْبَحت فَقَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا فعل أسيرك البارحة قلت
قَالَ مَا هِيَ قلت قَالَ لي إِذا أويت إِلَى فراشك فاقرأ آيَة الْكُرْسِيّ من أَولهَا حَتَّى تختم الْآيَة {الله لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم} وَقَالَ لن يزَال يَا رَسُول الله زعم أَنه
يعلمني كَلِمَات يَنْفَعنِي الله بهَا فخليت سَبيله عَلَيْك من الله حَافظ وَلَا يقربك شَيْطَان حَتَّى تصبح وَكَانُوا أحرص شَيْء على الْخَيْر فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما إِنَّه قد صدقك وَهُوَ كذوب تعلم من تخاطب مُنْذُ ثَلَاث لَيَال يَا أَبَا هُرَيْرَة قَالَ لَا قَالَ ذَاك الشَّيْطَان
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَغَيرهمَا وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَغَيره من حَدِيث أبي أَيُّوب بِنَحْوِهِ وَفِي بعض طرقه عِنْده قَالَ أَرْسلنِي وأعلمك آيَة من كتاب الله لَا تضعها على مَال وَلَا ولد فيقربك شَيْطَان أبدا
قلت وَمَا هِيَ قَالَ لَا أَسْتَطِيع أَن أَتكَلّم بهَا آيَة الْكُرْسِيّ
قَالَ الْحَافِظ رَحمَه الله وَفِي الْبَاب أَحَادِيث كَثِيرَة من فعل النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيست من شَرط كتَابنَا أضربنا عَن ذكرهَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ বিছানায় শুয়ে দু'আ পাঠের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর ব্যতীত ঘুমিয়ে পড়ে
৯০৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: যে ব্যাক্তি নিদ্রা যায় এবং আল্লাহর যিকর করে না, কিয়ামতের দিন সে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসে অথচ সে আল্লাহর যিকর করে না, কিয়ামতের দিন সে বিপদের সম্মুখীন হবে।
(আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আর নাসাঈ কেবল اصطجاع (ঘুমিয়ে পড়া) পর্যন্ত উল্লেখ করেন।)
(আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আর নাসাঈ কেবল اصطجاع (ঘুমিয়ে পড়া) পর্যন্ত উল্লেখ করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن حِين يأوي إِلَى فرَاشه وَمَا جَاءَ فِيمَن نَام وَلم يذكر الله تَعَالَى
904 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اضْطجع مضجعا لم يذكر الله فِيهِ كَانَ عَلَيْهِ ترة يَوْم الْقِيَامَة وَمن قعد مقْعدا لم يذكر الله فِيهِ كَانَ عَلَيْهِ ترة يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وروى النَّسَائِيّ مِنْهُ ذكر الِاضْطِجَاع فَقَط
الترة بِكَسْر التَّاء الْمُثَنَّاة فَوق مخففا هُوَ النَّقْص وَقيل التبعة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وروى النَّسَائِيّ مِنْهُ ذكر الِاضْطِجَاع فَقَط
الترة بِكَسْر التَّاء الْمُثَنَّاة فَوق مخففا هُوَ النَّقْص وَقيل التبعة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে ঘুম থেকে উঠে দু'আ পাঠ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৯০৫. হযরত উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে উঠে এই দু'আ পাঠ করবেঃ
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير الْحَمد لله وَسُبْحَان الله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
অর্থাৎ "আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই রাজত্ব। তাঁরই প্রশংসা।
তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান। আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কারো কোন শক্তি-সামর্থ্য নেই।" এরপর বলবেঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর অথবা কোন প্রার্থনা করে, আল্লাহ তার দু'আ কবুল করেন। যদি সে উযূ করে সালাত আদায় করে, তার সালাত কবুল করা হয়।
(বুখারী, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير الْحَمد لله وَسُبْحَان الله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
অর্থাৎ "আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই রাজত্ব। তাঁরই প্রশংসা।
তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান। আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কারো কোন শক্তি-সামর্থ্য নেই।" এরপর বলবেঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর অথবা কোন প্রার্থনা করে, আল্লাহ তার দু'আ কবুল করেন। যদি সে উযূ করে সালাত আদায় করে, তার সালাত কবুল করা হয়।
(বুখারী, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن إِذا اسْتَيْقَظَ من اللَّيْل
905 - عَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من تعار من اللَّيْل فَقَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير الْحَمد لله وَسُبْحَان الله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه ثمَّ قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر لي أَو دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِن تَوَضَّأ ثمَّ صلى قبلت صلَاته
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
تعار بتَشْديد الرَّاء أَي اسْتَيْقَظَ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
تعار بتَشْديد الرَّاء أَي اسْتَيْقَظَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে ঘুম থেকে উঠে দু'আ পাঠ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৯০৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেন: আল্লাহ তা'আলা যখন তার মুমিন বান্দার আত্মা রাতে ফিরিয়ে দেন। তারপর সে তাঁর তাসবীহ পাঠ করে, তাঁর প্রশংসা করে এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাঁর নিকট দু'আ করে, তখন তিনি তার দু'আ কবুল করেন।
(ইবন আবুদ-দুনিয়া হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন আবুদ-দুনিয়া হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن إِذا اسْتَيْقَظَ من اللَّيْل
906 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الله تَعَالَى إِذا رد إِلَى العَبْد الْمُؤمن نَفسه من اللَّيْل فسبحه ومجده وَاسْتَغْفرهُ فَدَعَاهُ تقبل مِنْهُ
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ রাতে ঘুম থেকে উঠে দু'আ পাঠ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৯০৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে বিছানা থেকে উঠে দশবার বিসমিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ এবং আমানতু বিল্লাহি ওয়া কাফারতু বিত্-তাগূত দশবার পাঠ করবে, সে পরকালে ভীতিজনক যাবতীয় গুনাহ থেকে রক্ষা পাবে এবং তার থেকে কোন গুনাহ প্রকাশ পাবে না।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে রাসূলুল্লাহ (সা) এর কার্যাবলী সম্পর্কিত অনেকগুলো হাদীস বর্ণিত রয়েছে কিন্তু তা অনুপ্রাণিত করার ব্যাপারে স্পষ্ট নয় বিধায় আমি তা উল্লেখ করি নি।)
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে রাসূলুল্লাহ (সা) এর কার্যাবলী সম্পর্কিত অনেকগুলো হাদীস বর্ণিত রয়েছে কিন্তু তা অনুপ্রাণিত করার ব্যাপারে স্পষ্ট নয় বিধায় আমি তা উল্লেখ করি নি।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن إِذا اسْتَيْقَظَ من اللَّيْل
907 - وَرُوِيَ عَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ حِين يَتَحَرَّك من اللَّيْل بِسم الله عشر مَرَّات وَسُبْحَان الله عشرا آمَنت بِاللَّه وكفرت بالطاغوت عشرا وقِي كل ذَنْب يتخوفه وَلم يَنْبغ لذنب أَن يُدْرِكهُ إِلَى مثلهَا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَفِي الْبَاب أَحَادِيث كَثِيرَة من فعله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيست صَرِيحَة فِي التَّرْغِيب لم أذكرها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَفِي الْبَاب أَحَادِيث كَثِيرَة من فعله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيست صَرِيحَة فِي التَّرْغِيب لم أذكرها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯০৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন ঘুমায়, তখন শয়তান তার মাথার পেছন দিকে তিনটি গিরা দেয় এবং প্রত্যেক গিরার উপর মোহরাংকিত করে বলে, এখনো অনেক রাত আছে, তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাও। যখন সে জাগ্রত হয়ে আল্লাহর যিকর করে, তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর যখন সে উযু করে, তখন আরেকটি গিরা খুলে যায়। এরপর যখন সে সালাত আদায় করে, তখন সমস্ত গিরা খুলে যায়। ফলে তার সকাল হয় অত্যন্ত আনন্দ উৎফুল্ল মন নিয়ে। অন্যথায় সে সকাল করে কলুষিত অন্তর ও অলস মন নিয়ে।
(মালিক, বুখারী ও মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ বলেছেন: সে সকাল করে পুত-পবিত্র অন্তর নিয়ে। ফলে সে প্রভৃত কল্যাণ লাভ করে। আর যদি সে তা না করে, তাহলে তার সকাল হয় অলসভাবে, নিকৃষ্ট নফ্স নিয়ে। ফলে সে প্রভৃত কল্যাণ লাভ করে না। ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিনি হাদীসের শেষাংশে বলেছেন: দুই রাকাআত সালাত আদায় করে হলেও শয়তানের গিরা খুলে ফেল।)
(মালিক, বুখারী ও মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ বলেছেন: সে সকাল করে পুত-পবিত্র অন্তর নিয়ে। ফলে সে প্রভৃত কল্যাণ লাভ করে। আর যদি সে তা না করে, তাহলে তার সকাল হয় অলসভাবে, নিকৃষ্ট নফ্স নিয়ে। ফলে সে প্রভৃত কল্যাণ লাভ করে না। ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিনি হাদীসের শেষাংশে বলেছেন: দুই রাকাআত সালাত আদায় করে হলেও শয়তানের গিরা খুলে ফেল।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
908 - عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يعْقد الشَّيْطَان على قافية رَأس أحدكُم إِذا هُوَ نَام ثَلَاث عقد يضْرب على كل عقدَة عَلَيْك ليل طَوِيل فارقد فَإِن اسْتَيْقَظَ فَذكر الله تَعَالَى انْحَلَّت عقدَة فَإِن تَوَضَّأ انْحَلَّت عقدَة فَإِن صلى انْحَلَّت عقده كلهَا فَأصْبح نشيطا طيب النَّفس وَإِلَّا أصبح خَبِيث النَّفس كسلان
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَقَالَ فَيُصْبِح نشيطا طيب النَّفس قد أصَاب خيرا وَإِن لم يفعل أصبح كسلا خَبِيث النَّفس لم يصب خيرا
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه نَحوه وَزَاد فِي آخِره فحلوا عقد الشَّيْطَان وَلَو بِرَكْعَتَيْنِ
قافية الرَّأْس مؤخره وَمِنْه سمي آخر بَيت الشّعْر قافية
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَقَالَ فَيُصْبِح نشيطا طيب النَّفس قد أصَاب خيرا وَإِن لم يفعل أصبح كسلا خَبِيث النَّفس لم يصب خيرا
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه نَحوه وَزَاد فِي آخِره فحلوا عقد الشَّيْطَان وَلَو بِرَكْعَتَيْنِ
قافية الرَّأْس مؤخره وَمِنْه سمي آخر بَيت الشّعْر قافية
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯০৯. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ কোন পুরুষ কিংবা মহিলা যখন রাতে ঘুমায়, তখন তার মাথায় গিরা দেওয়া হয়। যখন সে জাগে এবং আল্লাহর যিকর করে, তখন তার গিরা আল্লাহ খুলে দেন। আর যখন সে উযূ করে এবং সালাত আদায় করে, তখন গিরা খুলে যায় এবং সে প্রফুল্ল মনে সকাল করে এবং কল্যাণ লাভ করে।
(ইবন খুযায়মা 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানের শব্দমালা সামনে আসছে।)
(ইবন খুযায়মা 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানের শব্দমালা সামনে আসছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
909 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من ذكر وَلَا أُنْثَى إِلَّا على رَأسه جرير مَعْقُود حِين يرقد بِاللَّيْلِ فَإِن اسْتَيْقَظَ فَذكر الله انْحَلَّت عقدَة وَإِذا قَامَ تَوَضَّأ وَصلى انْحَلَّت العقد وَأصْبح خَفِيفا طيب النَّفس قد أصَاب خيرا
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي
صَحِيحه وَقَالَ الْجَرِير الْحَبل
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَيَأْتِي لَفظه
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي
صَحِيحه وَقَالَ الْجَرِير الْحَبل
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَيَأْتِي لَفظه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯১০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ রমযানের সিয়ামের পর সর্বশ্রেষ্ঠ সিয়াম হচ্ছে মুহাররমের সিয়াম এবং ফরয সালাতের পর সর্বশ্রেষ্ঠ সালাত হচ্ছে সালাতুল লায়ল।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
910 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أفضل الصّيام بعد رَمَضَان شهر الله الْمحرم وَأفضل الصَّلَاة بعد الْفَرِيضَة صَلَاة اللَّيْل
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯১১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১১. হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) যখন প্রথম মদীনায় আগমন করেন, তখন লোকেরা তাঁর কাছে একত্রিত হয়। যারা তাঁর কাছে এসেছিল, আমি ছিলাম তাদের একজন। আমি যখন গভীর মনোনিবেশ সহকারে তাঁর চেহারার দিকে তাকালাম, তখন বুঝতে পারলাম যে, তাঁর চেহারা কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়। তিনি বলেন: আমি তাঁর কাছে প্রথম যে বাক্য শুনেছি, তা হলঃ হে মানবগুলী! তোমরা সালামের প্রসার করবে, (দরিদ্রকে) অন্ন দিবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখবে এবং লোকেরা যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা সালাত আদায় করবে, তাহলে নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: এ হাদীসটি হাসান। সহীহ ইবন মাজাহ ও হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়ে বলেনঃ এ হাদীসটি শায়খায়নের শর্তানুযায়ী সহীহ।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: এ হাদীসটি হাসান। সহীহ ইবন মাজাহ ও হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়ে বলেনঃ এ হাদীসটি শায়খায়নের শর্তানুযায়ী সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
911 - وَعَن عبد الله بن سَلام رَضِي الله عَنهُ قَالَ أول مَا قدم رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْمَدِينَة انجفل النَّاس إِلَيْهِ فَكنت فِيمَن جَاءَهُ فَلَمَّا تَأَمَّلت وَجهه واستبنته عرفت أَن وَجهه لَيْسَ بِوَجْه كَذَّاب
قَالَ فَكَانَ أول مَا سَمِعت من كَلَامه أَن قَالَ أَيهَا النَّاس أفشوا السَّلَام وأطعموا الطَّعَام وصلوا الْأَرْحَام وصلوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام تدْخلُوا الْجنَّة بِسَلام
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالا صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
قَالَ فَكَانَ أول مَا سَمِعت من كَلَامه أَن قَالَ أَيهَا النَّاس أفشوا السَّلَام وأطعموا الطَّعَام وصلوا الْأَرْحَام وصلوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام تدْخلُوا الْجنَّة بِسَلام
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالا صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
হাদীস নং: ৯১২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: জান্নাতে এমন একটি কামরা রয়েছে, যার বাহির থেকে ভেতর এবং ভেতর থেকে বাহির দেখা যায়। আবু মালিক আশ'আরী (রা) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! কে হবে এর অধিবাসী? তিনি বললেনঃ যে মানুষের সাথে সদালাপ করে, ক্ষুধার্তকে খানা খাওয়ায় এবং লোকেরা যখন নিদ্রামগ্ন থাকে, তখন সে রাত জেগে সালাত আদায় করে।
(তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। হাকিম বলেন: এ হাদীসটি শায়খায়নের শর্তানুযায়ী সহীহ।)
(তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। হাকিম বলেন: এ হাদীসটি শায়খায়নের শর্তানুযায়ী সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
912 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ فِي الْجنَّة غرفَة يرى ظَاهرهَا من بَاطِنهَا وباطنها من ظَاهرهَا فَقَالَ أَبُو مَالك الْأَشْعَرِيّ لمن هِيَ يَا رَسُول الله قَالَ لمن أطاب الْكَلَام وَأطْعم الطَّعَام وَبَات قَائِما وَالنَّاس نيام
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
হাদীস নং: ৯১৩
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৩. হযরত আবূ মালিক আশ'আরী (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: জান্নাতে এমন একটি কামরা রয়েছে, যার বাহির থেকে ভেতরে এবং ভেতর থেকে বাহিরে দেখা যায়। যে ক্ষুধার্তকে খানা খাওয়ায়, সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটায় এবং মানুষ যখন নিদ্রিত থাকে, তখন সালাত আদায় করে, আল্লাহ তার জন্য তা তৈরি করে রেখেছেন।
(ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীস বর্ণনা করেন। 'জুমু'আর সালাত' অধ্যায়ে হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে এ হাদীস সামনে আসবে। তাতে বলা হয়েছে: এর জন্য রয়েছে দারাজাত (বিপুল মর্যাদা ও সম্মান) আর তা হলঃ সালামের ব্যাপক প্রসার, খানা খাওয়ানো এবং লোকেরা যখন নিদ্রায় বিভোর থাকে, তখন সালাত আদায় করা। তিরমিযী হাসান সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীস বর্ণনা করেন। 'জুমু'আর সালাত' অধ্যায়ে হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে এ হাদীস সামনে আসবে। তাতে বলা হয়েছে: এর জন্য রয়েছে দারাজাত (বিপুল মর্যাদা ও সম্মান) আর তা হলঃ সালামের ব্যাপক প্রসার, খানা খাওয়ানো এবং লোকেরা যখন নিদ্রায় বিভোর থাকে, তখন সালাত আদায় করা। তিরমিযী হাসান সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
913 - وَعَن أبي مَالك الْأَشْعَرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن فِي الْجنَّة غرفا يرى ظَاهرهَا من بَاطِنهَا وباطنها من ظَاهرهَا أعدهَا الله لمن أطْعم الطَّعَام وَأفْشى السَّلَام وَصلى بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَتقدم حَدِيث ابْن عَبَّاس فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَفِيه والدرجات إفشاء السَّلَام وإطعام الطَّعَام وَالصَّلَاة بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَتقدم حَدِيث ابْن عَبَّاس فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَفِيه والدرجات إفشاء السَّلَام وإطعام الطَّعَام وَالصَّلَاة بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه
হাদীস নং: ৯১৪
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যখন আপনাকে দেখি, তখন আমার অন্তর প্রফুল্ল হয়ে উঠে এবং চোখ জুড়িয়ে যায়। কাজেই আপনি আমাকে সর্ব বিষয়ে অবহিত করুন। তিনি বললেন: পানি থেকে সকল বস্তু সৃষ্টি করা হয়েছে। তারপর আমি বললামঃ আমাকে এমন আমল বলুন যা আমল করে জান্নাতী হতে পারি। তিনি বললেনঃ (ক্ষুধার্তকে) খানা খাওয়াও, সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও, আত্মীয়তার সম্পর্কে বহাল রাখ, মানুষ যখন নিদ্রায় বিভোর থাকে, তখন সালাত আদায় কর, তাহলে তুমি নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আহমদ ও ইবন আবুদ-দুনিয়া 'তাহাজ্জুদ' অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন এবং হাকিম ও হাদীসটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।
আহমদ ও ইবন আবুদ-দুনিয়া 'তাহাজ্জুদ' অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন এবং হাকিম ও হাদীসটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
914 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله إِنِّي إِذا رَأَيْتُك طابت نَفسِي وقرت عَيْني أنبئني عَن كل شَيْء قَالَ كل شَيْء خلق من المَاء فَقلت أَخْبرنِي بِشَيْء إِذا عملته دخلت الْجنَّة قَالَ أطْعم الطَّعَام وأفش السَّلَام وصل الْأَرْحَام وصل بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام تدخل الْجنَّة بِسَلام
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب التَّهَجُّد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَصَححهُ
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب التَّهَجُّد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَصَححهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯১৫
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৫. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: জান্নাতে এমন একটি গাছ আছে, যার উপরের অংশ থেকে বের হচ্ছে অলংকারসমূহ এবং নিচ অংশ থেকে বের হচ্ছে জিন লাগান স্বর্ণখচিত ঘোড়া, যাদের মুখে মুক্তা ও ইয়াকৃতের লাগাম পরিহিত থাকবে। যে ঘোড়াটি পায়খানা-পেশাব করবে না, তার হবে অসংখ্য পালক তা এত দ্রুতগামী হবে যে, লোকচক্ষুর শেষ সীমায় তার এক-একটি পদক্ষেপে পড়বে। এরপর একদল জান্নাতী তার উপর আরোহণ করবে এবং সে ঘোড়া তাদের নিয়ে আকাশে উড়বে। যারা কম মর্যাদার হবে, তারা বলবে: হে আমাদের রব। কোন আমলের বদৌলতে আপনার এ বান্দাগণ এত মর্যাদা লাভ করল? তিনি বলেন, উত্তরে তাদের বলা হবে: তোমরা যখন রাতে নিদ্রায় বিভোর থাকতে, তখন তারা সালাত আদায় করত। তোমরা যখন পানাহার করতে, তখন তারা রোযা রাখত। তোমরা যখন কৃপণতা করতে, তখন তারা দান করত। তোমরা যখন ভীত-সন্ত্রস্ত হতে, তখন তারা (শত্রুর মুকাবিলায়) যুদ্ধ করতো।
(ইবন আবিদ-দুনিয়া হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন আবিদ-দুনিয়া হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
915 - وَرُوِيَ عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن فِي الْجنَّة لشَجَرَة يخرج من أَعْلَاهَا حلل وَمن أَسْفَلهَا خيل من ذهب مسرجة ملجمة من در وَيَاقُوت لَا تروث وَلَا تبول لَهَا أَجْنِحَة خطوها مد الْبَصَر فَيركبهَا أهل الْجنَّة فتطير بهم حَيْثُ شاؤوا فَيَقُول الَّذين أَسْفَل مِنْهُم دَرَجَة يَا رب بِمَا بلغ عِبَادك هَذِه الْكَرَامَة كلهَا قَالَ فَيُقَال لَهُم كَانُوا يصلونَ بِاللَّيْلِ وكنتم تنامون وَكَانُوا يَصُومُونَ وكنتم تَأْكُلُونَ وَكَانُوا يُنْفقُونَ وكنتم تبخلون وَكَانُوا يُقَاتلُون وكنتم تجبنون
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯১৬
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৬. হযরত আসমা বিনত ইয়াযীদ (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন। মানুষকে একটি সমতল ভূখণ্ডে একত্র করা হবে। একজন আহ্বানকারী তখন ডেকে বলবেঃ ঐ সমস্ত লোক কোথায়, যারা তাদের শরীর বিছানা থেকে পৃথক রাখত। তারা সালাত আদায় করত, তবে তাদের সংখ্যা হবে খুবই নগণ্য। তারা বিনা-হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অতঃপর অন্য সব মানুষকে হিসাব-নিকাশের দিকে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
(বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
916 - وَرُوِيَ عَن أَسمَاء بنت يزِيد رَضِي الله عَنْهَا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يحْشر النَّاس فِي صَعِيد وَاحِد يَوْم الْقِيَامَة فينادي مُنَاد فَيَقُول أَيْن الَّذين كَانُوا تَتَجَافَى جنُوبهم عَن الْمضَاجِع فَيقومُونَ وهم قَلِيل فَيدْخلُونَ الْجنَّة بِغَيْر حِسَاب ثمَّ يُؤمر بِسَائِر النَّاس إِلَى الْحساب
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯১৭
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৭. হযরত মুগীরা ইবন শু'বা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন, এমনকি তাঁর পদযুগল ফুলে উঠত। তাঁকে বলা হয়ঃ আল্লাহ তো আপনার পূর্বাপর গুনাহ ক্ষমা করেছেন। তিনি বললেন: আমি কি শোর গুযার বান্দা হব না?
(বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী শরীফের অপর বর্ণনায় আছে: নবী দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন অথবা তিনি বলেছেন: সালাত আদায় করতেন, এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তিনি বলেছেন: তাঁর পায়ের গোছা ফুলে উঠত। তাঁকে বলা হলঃ আপনার তো পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ আমি কি শোর গুযার বান্দা হব না?)
(বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী শরীফের অপর বর্ণনায় আছে: নবী দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন অথবা তিনি বলেছেন: সালাত আদায় করতেন, এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তিনি বলেছেন: তাঁর পায়ের গোছা ফুলে উঠত। তাঁকে বলা হলঃ আপনার তো পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ আমি কি শোর গুযার বান্দা হব না?)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
917 - وَعَن الْمُغيرَة بن شُعْبَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَامَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَتَّى تورمت قدماه فَقيل لَهُ قد غفر الله لَك مَا تقدم من ذَنْبك وَمَا تَأَخّر
قَالَ أَفلا أكون عبدا شكُورًا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ
وَفِي رِوَايَة لَهما وللترمذي قَالَ إِن كَانَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ليقوم أَو ليُصَلِّي حَتَّى ترم قدماه أَو ساقاه فَيُقَال لَهُ فَيَقُول أَفلا أكون عبدا شكُورًا
قَالَ أَفلا أكون عبدا شكُورًا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ
وَفِي رِوَايَة لَهما وللترمذي قَالَ إِن كَانَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ليقوم أَو ليُصَلِّي حَتَّى ترم قدماه أَو ساقاه فَيُقَال لَهُ فَيَقُول أَفلا أكون عبدا شكُورًا
হাদীস নং: ৯১৮
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) সালাতে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন, এমনকি তাঁর পদ যুগল ফুলে উঠত। তাঁকে বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এরূপ (কষ্ট) করছেন, অথচ আল্লাহ তা'আলা আপনার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ আমি কি শোকর গুযার বান্দা হব না?
(ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
918 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يقوم حَتَّى ترم قدماه
فَقيل لَهُ أَي رَسُول الله أتصنع هَذَا وَقد جَاءَك من الله أَن قد غفر لَك مَا تقدم من ذَنْبك وَمَا تَأَخّر
قَالَ أَفلا أكون عبدا شكُورًا
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
فَقيل لَهُ أَي رَسُول الله أتصنع هَذَا وَقد جَاءَك من الله أَن قد غفر لَك مَا تقدم من ذَنْبك وَمَا تَأَخّر
قَالَ أَفلا أكون عبدا شكُورًا
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
হাদীস নং: ৯১৯
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) রাতে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন, এমনকি তাঁর পদযুগল ফেটে যেত। আমি তাঁকে বললাম। আপনি কেন এরূপ (কষ্ট) করছেন? অথচ আপনার পূর্বাপর গুনাহ ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি বললেন: আমি কি শোর গুযার বান্দা হব না?
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছে।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছে।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
919 - وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يقوم من اللَّيْل حَتَّى تتفطر قدماه فَقلت لَهُ لم تصنع هَذَا وَقد غفر لَك مَا تقدم من ذَنْبك وَمَا تَأَخّر قَالَ أَفلا أحب أَن أكون عبدا شكُورًا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৯২০
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯২০. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: হযরত দাউদ
(আ)-এর সালাত আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় সালাত এবং দাউদ (আ)-এর সিয়াম আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়। তিনি (প্রথম) অর্ধেক রাত ঘুমাতেন। এরপর এক-তৃতীয়াংশ দীর্ঘ কিয়াম করতেন (পুনরায়) এক-ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। আর একদিন সিয়াম পালন করতেন এবং একদিন সিয়াম ভঙ্গ করতেন।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী কেবল 'সাওম'-এর কথা উল্লেখ করেছেন।)
(আ)-এর সালাত আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় সালাত এবং দাউদ (আ)-এর সিয়াম আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়। তিনি (প্রথম) অর্ধেক রাত ঘুমাতেন। এরপর এক-তৃতীয়াংশ দীর্ঘ কিয়াম করতেন (পুনরায়) এক-ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। আর একদিন সিয়াম পালন করতেন এবং একদিন সিয়াম ভঙ্গ করতেন।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী কেবল 'সাওম'-এর কথা উল্লেখ করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
920 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أحب الصَّلَاة إِلَى الله صَلَاة دَاوُد وَأحب الصّيام إِلَى الله صِيَام دَاوُد كَانَ ينَام نصف اللَّيْل وَيقوم ثلثه وينام سدسه ويصوم يَوْمًا وَيفْطر يَوْمًا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَذكر التِّرْمِذِيّ مِنْهُ الصَّوْم فَقَط
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَذكر التِّرْمِذِيّ مِنْهُ الصَّوْم فَقَط
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯২১
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯২১. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: রাতে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যদি কোন মুসলিম তা লাভ করে এবং আল্লাহর নিকট ইহ-পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করেন। আর দু'আ কবুলের এ মুহূর্তটি নিহিত রয়েছে প্রত্যেক রাতে।
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
921 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن فِي اللَّيْل لساعة لَا يُوَافِقهَا رجل مُسلم يسْأَل الله خيرا من أَمر الدُّنْيَا وَالْآخِرَة إِلَّا أعطَاهُ إِيَّاه وَذَلِكَ كل لَيْلَة
رَوَاهُ مُسلم
رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯২২
অধ্যায়ঃ নফল
পরিচ্ছেদঃ কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯২২. হযরত আবূ উমামা বাহিলী (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কিয়ামুল-লায়ল তোমাদের উপর জরুরী। কেননা এ হচ্ছে তোমাদের পূর্বেকার সৎলোকদের নিয়ম, তোমাদের রবের নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম, গুনাহসমূহের বিমোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বাধাদানকারী।
(হাদীসটি ইমাম তিরমিযী তাঁর 'জামে' গ্রন্থে দু'আ অধ্যায়ে, ইবন আবিদ-দুনিয়া 'তাহাজ্জুদ' অধ্যায়ে এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ ইমাম বুখারীর শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ।)
(হাদীসটি ইমাম তিরমিযী তাঁর 'জামে' গ্রন্থে দু'আ অধ্যায়ে, ইবন আবিদ-দুনিয়া 'তাহাজ্জুদ' অধ্যায়ে এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ ইমাম বুখারীর শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
922 - وَعَن أبي أُمَامَة الْبَاهِلِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ عَلَيْكُم بِقِيَام
اللَّيْل فَإِنَّهُ دأب الصَّالِحين قبلكُمْ وقربة إِلَى ربكُم ومكفرة للسيئات ومنهاة عَن الْإِثْم
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي كتاب الدُّعَاء من جَامعه وَابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب التَّهَجُّد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم كلهم من رِوَايَة عبد الله بن صَالح كَاتب اللَّيْث رَحمَه الله
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ
اللَّيْل فَإِنَّهُ دأب الصَّالِحين قبلكُمْ وقربة إِلَى ربكُم ومكفرة للسيئات ومنهاة عَن الْإِثْم
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي كتاب الدُّعَاء من جَامعه وَابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب التَّهَجُّد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم كلهم من رِوَايَة عبد الله بن صَالح كَاتب اللَّيْث رَحمَه الله
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: