মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي

৪. নামায অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৮৪
জানাযার বর্ণনা
১৮৪। হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কারো তিনটি (প্রাপ্ত বয়স্ক) শিশু সন্তান ইনতিকাল করে, তবে তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে দাখিল করবেন। হযরত উমর (রাযিঃ) বলেন : যদি দু’জন হয় ? তখন হুযূর (ﷺ) বলেনঃ (হ্যা) দু'জন হলেও।
عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا مِنْ مَيِّتٍ يَمُوتُ لَهُ ثَلَاثٌ مِنَ الْوَلَدِ، إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ تَعَالَى الْجَنَّةَ، فَقَالَ عُمَرُ: أَوِ اثْنَانِ؟ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَوِ اثْنَانِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৮৫
জানাযার বর্ণনা
১৮৫। শাম দেশের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ হাশরের দিন তুমি দেখতে পাবে যে, পেটের উপর গড়াগড়ি দিয়ে কোন কোন শিশু যেন কাউকে খুঁজছে। তাকে বলা হবে, তুমি বেহেশতে চলে যাও। তখন সে বলবে, না, যাব না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার পিতামাতা বেহেশতে প্রবেশ না করবে।
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّكَ لَتَرَى السِّقْطَ مُحْبَنْطَئًا، يُقَالُ لَهُ: ادْخُلِ الْجَنَّةَ، فَيَقُولُ: لَا، حَتَّى يَدْخُلَ أَبَوَايَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৮৬
জানাযার বর্ণনা
১৮৬। হযরত আমের (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন কোন বান্দা মৃত্যুবরণ করে এবং আল্লাহ্ তার মন্দ আমল সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে থাকেন। কিন্তু লোকজন তাকে ভাল বলে আলোচনা করে থাকে, তখন আল্লাহ্ স্বীয় ফিরিশতাদেরকে বলে থাকেন যে, আমি এই বান্দার উপর আমার অন্যান্য বান্দাদের সাক্ষী গ্রহণ ও কবূল হয়েছি এবং তার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছি যা আমার জানা রয়েছে।
عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدّمَشْقِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيد، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا مَاتَ الْعَبْدُ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ مِنْهُ شَرًّا، وَيَقُولُ النَّاسُ فِي حَقِّهِ خَيْرًا، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِمَلَائِكَتِهِ: قَدْ قَبِلْتُ شَهَادَةَ عِبَادِي عَلَى عَبْدِي، وَغَفَرْتُ عِلْمِي
হাদীস নং:১৮৭
জানাযার বর্ণনা
১৮৭। হযরত উম্মে হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : যে ব্যক্তি এটা জানে অথবা মনে করে যে, আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দিবেন, তা হলে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।
عن إسماعيل عن أبي صالح عن أم هانىء قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "من علم أن الله يغفر له. فهو مغفور
হাদীস নং:১৮৮
জানাযার বর্ণনা
১৮৮। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ সুন্নত তরীকা (পদ্ধতি) হলো এই যে, জানাযার চার পায়া একবার উঠাবে, এরপর যা কিছু অতিরিক্ত করা হবে, তা হবে নফল।
عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: «مِنَ السُّنَّةِ أَنْ تَحْمِلَ بِجَوَانِبِ السَّرِيرِ، وَمَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ، فَهُوَ نَافِلَةٌ»
হাদীস নং:১৮৯
জানাযার বর্ণনা
১৮৯। হযরত আবী আতিয়্যা ইবনে ওয়াদদাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি জানাযার সঙ্গী ছিলেন, তিনি জানাযার পিছনে একজন মহিলাকে আগমণ করতে দেখলেন। এরপর তিনি ঐ মহিলাকে জানাযার দল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন, অতঃপর ঐ মহিলা দৃষ্টির আড়ালে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি (জানাযার) তাকবীর বলেন নি।
عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ الْوَادِعِيِّ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي جَنَازَةٍ، فَرَأَى امْرَأَةً فَأَمَرَ بِهَا فَطُرِدَتْ، فَلَمْ يُكَبِّرْ حَتَّى لَمْ يَرَهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৯০
জানাযার বর্ণনা
১৯০। অনেক বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিত আছে, হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর অনেক সাহাবা (রাযিঃ)-কে একত্র করলেন এবং জানাযার তাকবীর সম্পর্কে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করে বলেনঃ তোমরা নবী (ﷺ)-এর ঐ শেষ নামাযকে স্মরণ কর যাতে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ঐ নামাযে তিনি কয়টি তাকবীর বলেছিলেন? সুতরাং সাহাবায়ে কিরাম চিন্তা করে বললেন, তিনি ইনতিকালের পূর্ব পর্যন্ত চার তাকবীর বলেছেন। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) জানাযার নামাযে চার তাকবীর বলার জন্য নির্দেশ দান করেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَن غَيْرِ وَاحِدٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ جَمَعَ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُمْ عَنِ التَّكْبِيرِ، فَقَالَ لَهُمْ: انْظُرُوا آخِرَ جَنَازَةٍ كَبَّرَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدُوهُ قَدْ كَبَّرَ أَرْبَعًا حَتَّى قُبِضَ، قَالَ عُمَرُ: «فَكَبَّرُوا أَرْبَعًا»
হাদীস নং:১৯১
জানাযার বর্ণনা
১৯১। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) যখন জানাযার
নামায পড়তেন তখন বলতেন :
اللهم اغفر لحينا وميتنا وشاهدنا وغائبنا و صغيرنا وكبيرنا وذكرنا وانثانا
“হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের জীবিতদের, মৃতদের, উপস্থিত অনুপস্থিত, ছোট, বড়, পুরুষ ও মহিলাদেরকে মাফ করে দাও।”
عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ يَقُولُ إِذَا صَلَّى عَلَى الْمَيِّتِ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا»
হাদীস নং:১৯২
জানাযার বর্ণনা
১৯২। হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ নবী করীম (ﷺ)-এর জন্য লহদ (কবর) তৈরী করা হয়েছে এবং তাঁকে কিবলার দিকে করে নামানো হয়েছে এবং তাঁর কবরের উপর কাঁচা ইট স্থাপন করা হয়েছে।
عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «أُلْحِدَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأُخِذَ مِنْ قِبَلِ الْقِبْلَةِ، وَنُصِبَ عَلَيْهِ اللَّبِنُ نَصْبًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা