মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৮৫
জানাযার বর্ণনা
১৮৫। শাম দেশের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ হাশরের দিন তুমি দেখতে পাবে যে, পেটের উপর গড়াগড়ি দিয়ে কোন কোন শিশু যেন কাউকে খুঁজছে। তাকে বলা হবে, তুমি বেহেশতে চলে যাও। তখন সে বলবে, না, যাব না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার পিতামাতা বেহেশতে প্রবেশ না করবে।
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّكَ لَتَرَى السِّقْطَ مُحْبَنْطَئًا، يُقَالُ لَهُ: ادْخُلِ الْجَنَّةَ، فَيَقُولُ: لَا، حَتَّى يَدْخُلَ أَبَوَايَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরোক্ত বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে। এগুলোর বাক্যের মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক রয়েছে। তিবরানী কবীরে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। এর শেষে বর্ণিত আছে, فيقال ادخل الجنة انت وابوك "অতঃপর তাকে বলা হবে, তুমি এবং তোমার পিতামা বেহেশতে প্রবেশ কর"। এটাই হলো বান্দার প্রতি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানী যে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু সন্তানকে তার জন্য মুক্তির উপায় করে দিয়েছেন এবং তিনটি মৃত্যুর কারণে বেহেশতী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এরপর তিন থেকে হ্রাস করে দুটি সন্তানের মৃত্যুতেও একই পুরস্কার অব্যাহত রেখেছেন। এমন কি অনেক রিওয়ায়েতে একটি সন্তানে ব্যাপারেও একই কথা বলা হয়েছে। যেমন হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে মরফূ, হাদীসে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তির জীবিতকালে তার তিনটি শিশু সন্তান মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তার জন্য পরকালে আগুন থেকে মুক্তির উপায় এবং প্রাচীরের মত হয়ে যাবে। হযরত আবু যার (রা) নিজের উদাহরণ সামনে রেখে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার দু'টি সন্তান মৃত্যুবরণ করেছে। হুযুর (সা) বললেন : হ্যা দু'টি হলেও। অন্যদিকে হযরত উবাই (রা) সামনে রেখে বললেন, আমি একজন পাঠিয়েছি। অর্থাৎ আমার একটি সন্তান মৃত্যু করেছে। তখনও নবী করীম (সা) ইরশাদ করেন। একটি হলেও। এভাবে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ প্রসারিত করেছেন এবং গর্ভজাত শিশু সন্তানকে বেহেশ পাওয়ার উপায় করেছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ১৮৫ | মুসলিম বাংলা