দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করি
প্রশ্নঃ ৫৮০৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১)আচ্ছালামুয়ালাইকুম হুজুর আমার দুই টি মাসায়েল জানার ছিল। নামাযের পূর্বে কি দাড়িয়ে কাতার সোজা করি গায়ে গায়ে মিলে দাড়ায় বলা এটি কতটুকু শরিয়াত শম্মত।(২)আমার জানি নাবালেগের উপর যাকাত ওয়াজিব নয় কিন্তু সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব কেনো। ২টি মাসায়েলের উত্তর জানাবেন মেহেরবানি করে আল্লাহ আপনাদেরকে উওম বদলা দান করুন আমিন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. বেশ লম্বা সময় ধরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের কাতার সোজা করা ও মিলে মিলে দাঁড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ওয়াক্তে ঘোষণা দিতেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَوِّي صُفُوفَنَا فَخَرَجَ يَوْمًا فَرَأَى رَجُلاً خَارِجًا صَدْرُهُ عَنِ الْقَوْمِ فَقَالَ " لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَالْبَرَاءِ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مِنْ تَمَامِ الصَّلاَةِ إِقَامَةُ الصَّفِّ " . وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُوَكِّلُ رِجَالاً بِإِقَامَةِ الصُّفُوفِ فَلاَ يُكَبِّرُ حَتَّى يُخْبَرَ أَنَّ الصُّفُوفَ قَدِ اسْتَوَتْ . وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ أَنَّهُمَا كَانَا يَتَعَاهَدَانِ ذَلِكَ وَيَقُولاَنِ اسْتَوُوا . وَكَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ تَقَدَّمْ يَا فُلاَنُ تَأَخَّرْ يَا فُلاَنُ .
নু’মান ইবনু বাশীর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাতারসমূহ সমান করে দিতেন। একদিন তিনি (ঘর হতে) বের হয়ে এসে দেখলেন, এক ব্যক্তির বুক কাতারের বাইরে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সারিগুলো সোজা করে দাঁড়াবে, অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের মুখমণ্ডলে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।
টীকা :
এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু সামুরা, বারাআ, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ, আনাস, আবূ হুরায়রা ও’ আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ নু’মান ইবনু বাশীরের হাদীসটি হাসান সহীহ।
নাবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ কাতার ঠিক করা নামায পরিপূর্ণ করার অন্তর্ভুক্ত।
‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি কাতার ঠিক করার জন্য একজন লোক নিযুক্ত করতেন। যে পর্যন্ত না তাঁকে জানানো না হত যে, কাতার সোজা হয়েছে সে পর্যন্ত তিনি তাকবির (তাহরীমা) বলতেন না। উসমান এবং আলী (রাঃ) এদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতেন এবং তারা বলতেন, তোমরা সোজা হও। আলী (রাঃ) তো নাম ধরেই বলতেন, অমুক একটু আগাও, অমুক একটু পিছাও।’’
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২২৭
২. নাবালিগ বাচ্চাদের উপর যেভাবে যাকাত ফরয নয়। সেভাবে সাদাকাতুল ফিতর-ও ওয়াজিব নয়।কোনটিই তার উপর ওয়াজিব নয়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির নাবালেগ ছেলে মেয়ে আছে। তার উপর যখন সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হল, তখন তার ছোট ছোট বাচ্চাদের পক্ষ থেকেও তিনি আদায় করতে হবে। এটি বাচ্চাদের উপর ওয়াজিব নয়। ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব। যেহেতু ওদের খরচ তিনি বহন করেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন