দ্বীনি বিষয়ে অবাধ্য স্ত্রীকে কিভাবে নসিহা করা যায়?
প্রশ্নঃ ২১৪৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হযরত আমার একটা প্রশ্ন ছিলো প্রশ্ন টা হলো আমার স্ত্রী আমার কোন কথা শুনে না এবং হালাল হারাম কোনো বিষয় বললে সে মানে না জাহান্নামের ভয় দেখালেও বলে আপনার কোনো কথা আমার পছন্দ হয় না আপনার কথা শুনলে আমার রাগ উঠে এবং আমার কথার চেয়ে সে তার মা বাবার কথায় বেশী গুরুত্ব দেয় তার মা বাবা যেমন বলে সে তেমন চলে জায়েজ না জায়েজ হালাল হারাম কোনো কিছুই সে মানে না আমি কোনো অধিকার খাটাতে গেলে সে বলে আমার উপরে কোনো অধিকার খাটাতে আসবেন না এবং তার মা বাবা আমার কাছে তাকে আসতে নিষেধ করেছে এখন সে আমার কাছে আসবে না এক কথায় সে আমার অবাধ্য এখন আমার কি করার আছে একটু বিস্তারিত জানাবেন
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মনিত প্রশ্নকারী!
আপনি নিচের ধারাবাহিক পরামর্শগুলো গ্রহন করুন। তবে সেক্ষেত্রে কিছুতেই বাড়াবাড়ী কিংবা সীমাতিরিক্ত করাবেন না।
#পরামর্শ
নারীদের মধ্যে কোনো ক্ষেত্রে বক্রতা বা অবাধ্যতা থাকলেই যে তাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে বা মন চায় মতো তাকে শাস্তি দিতে হবে, এমন নয়; বরং তার মধ্যে অনেক ভাল গুণও আছে। কোন বিষয় হয়তো আপনি অপছন্দ করছেন কিন্তু তাতেই রয়েছে আপনার জন্য প্রভূত কল্যাণ যা আপনি জানেনই না। আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন,
وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ فَإِن كَرِهۡتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكۡرَهُواْ شَيۡٔٗا وَيَجۡعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيۡرٗا كَثِيرٗا [النساء: ١٩]
আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রাখবেন। [সূরা আন-নিসা: ১৯]
স্ত্রীর নিকট থেকে কোনো বিরোধিতা বা অপছন্দনীয় বিষয় প্রকাশ পেলে দ্রুত তাকে উপদেশ দিবে নসীহত করবে। আল্লাহর কথা স্মরণ করাবে, তাঁর শাস্তির ভয় দেখাবে। তার আবধ্যতা ও গোঁড়ামীর পরিণতি যে ভয়াবহ সে সম্পর্কে সতর্ক করবে। কিন্তু এরপরও যদি স্ত্রীর মধ্যে অবাধ্যতা, হঠকারিতা ও অসৎ চরিত্র লক্ষ্য করা যায়, তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও সীমারেখা রয়েছে যা লঙ্ঘন করা থেকে সাবধান থাকতে হবে। কুরআনুল কারীম এবং সুন্নাতে নববীতে এর একটি সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্ বলেন,
ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا ٣٤ [النساء: ٣٤]
পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাজতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাজত করেছেন। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান। [সূরা আন-নিসা: ৩৪]
এই আয়াতে অবাধ্য স্ত্রীকে সংশোধন করার জন্য যে নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে তা নিম্নরূপ: প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে উপদেশ দেওয়া : এ সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, তাকে ভদ্র ও নম্রভাবে বুঝাতে হবে, বিরোধীতা ও হঠকারিতার পরিণাম সম্পর্কে জ্ঞান দান করতে হবে। স্বামী যে সত্য সত্যই স্ত্রীর কল্যাণকামী এ বিষয়টি যেন তার কাছে প্রকাশ পায় এমন ভাষা ব্যবহার করতে হবে। রাগতঃ ভাষায় কর্কষ কন্ঠের কথা কখনো উপদেশ হতে পারে না। স্ত্রীকে সংশোধন করার জন্য কখনই কঠিন ও শক্ত ভাষা ব্যবহার করে উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা অন্যায়কে অন্যায় দিয়ে প্রতিহত করা যায় না।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ- বিছানায় পরিত্যাগ করা ।
একই বিছানায় তার থেকে আলাদাভাবে শয়ন করা। এমন কথা নয় যে, তাকে ঘরের বাইরে রাখা বা অন্য ঘরে রাখা বা পিতা-মাতার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতে নির্দেশিত বিছানায় পরিত্যাগ করারব্যাখ্যায় বলেছেন,
عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ؟، قَالَ: «أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ، أَوِ اكْتَسَبْتَ، وَلَا تَضْرِبِ الْوَجْهَ، وَلَا تُقَبِّحْ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ»
হাকীম ইবন মুআবিয়া রহ. তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! স্বামীদের উপর স্ত্রীদের কী হক? তিনি বলেন, “যা সে খাবে তাকেও (স্ত্রী) খাওয়াবে, আর সে যা পরিধান করবে তাকেও তা পরিধান করাবে। আর তার (স্ত্রীর) চেহারার উপর মারবে না এবং তাকে গালাগাল করবে না। আর তাকে ঘর হতে বের করে দিবে না। [আবু দাউদ: হাদীস নং ২১৪২।]
বিছানায় আলাদা করে রাখার অর্থ সম্পর্কে আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার সাথে তার বিছানাতেই শুইবে কিন্তু তারসাথে সহবাস করবে না। তার দিকে পিঠ ঘুরিয়ে শয়ন করবে। অন্য বর্ণনা মতে ইবনু আব্বাস বলেন, তার সাথে স্বাভাবিক কথা ছাড়া আর কিছু বলবে না। [তাফসীর ইবন কাসীর, সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের তাফসীর।]
ইমাম কুরতুবী এই পদক্ষেপের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন, স্বামীর প্রতি যদি স্ত্রীর ভালোবাসা থাকে তাহলে এ অবস্থা তার কাছে খুবই অসহনীয়ও কষ্টকর হবে, ফলে সে সংশোধন হবে। কিন্তু ভালোবাসায় ত্রুটি থাকলে বা মনে ঘৃণা থাকলে নিজ অবাধ্যতার উপর সে অটল থাকবে-সংশোধনের পথে অগ্রসর হবে না। [তাফসীরে কুরতুবী, সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের তাফসীর।]
সংশোধনের এই দ্বিতীয় নীতি ফলপ্রসু না হলে তৃতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আর তা হচ্ছে-
তৃতীয় পদক্ষেপ - মৃদু প্রহার করা ।এটি হচ্ছে নিজের পক্ষ থেকে শাসনের সর্বশেষ পর্যায়। আল্লাহ্ বলেন ,وَاضْرِبُوهُنَّ এবং তাদেরকে প্রহার করবে। এর তাফসীরে হাফেয ইবন কাসীর [রহ.] বলেন, যদি উপদেশ প্রদান ও আলাদা রাখার পরও কোনো কাজ না হয়, স্ত্রীগণ সংশোধনের পথে ফিরে না আসে, তবে হালকা করে তাদেরকে প্রহার করবে। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ»
তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা আল্লাহর আমানতে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ। আল্লাহর বাণী সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের সাথে সহবাস করা বৈধ করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে, তারা তোমাদের গৃহে এমন লোককে প্রবেশ করতে দিবে না যাকে তোমরা পছন্দ কর না। কিন্তু তারা যদি নির্দেশ লঙ্ঘন করে এরূপ করে ফেলে তবে, তাদেরকে প্রহার কর। কিন্তু প্রহার যেন কঠিন ও কষ্টদায়ক না হয়। তোমাদের উপর তাদের অধিকার হচ্ছে, তোমরা সঠিকভাবে নিয়ম মাফিক তাদের খানা-পিনা ও কাপড়ের ব্যবস্থা করবে। [মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]
হাসান বাসরী [রহ.] এই প্রহারের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রহার যেন এমন না হয় যার কারণে শরীরে কোন চিহ্ন দেখা যায় বা শরীর ফুলে-ফুটে যায়। আত্বা [রহ.] বলেন, ইবন আব্বাসকে প্রশ্ন করা হল, উক্ত প্রহার কিরূপ হবে? তিনি বললেন, মেসওয়াক বা অনুরূপ বস্তু দ্বারা প্রহার হতে হবে। (তাফসীরে কুরতুবী)। অন্য হাদীসে প্রহারের ক্ষেত্রে হালকাভাবে হলেও মুখমন্ডলে প্রহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
’মুজামে তাবরানিতে এসেছে- ‘এমনভাবে হালকা প্রহার করবে, যাতে শরীরে কোনো যখম বা আঘাত না হয় এবং মুখে ও লজ্জাস্থানে কখনো প্রহার করবে না।’এখানে প্রহার বলতে হালকা প্রহারের কথা বলা হয়েছে। যাতে শরীরে কোনো ধরনের জখম বা আঘাতের চিহ্ন না পড়ে। আবার মুখ এবং লজ্জাস্থানে কোনোভাবেই প্রহার করা যাবে না।
চতুর্থ পদক্ষেপ- উভয় পক্ষের সালিশ বসানো।
উল্লিখিত দুটি উপায়ে গ্রহণ করার পরও যদি কোনো কাজ না হয় তবে ইসলামের নির্দেশনা হলো- উভয় পক্ষ থেকে এক বা একাধিক সালিসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ে মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৩৫)
সুতরাং উত্তেজিত বা আক্রোশবশত কোনোভাবেই স্ত্রীর প্রতি অমানবিক আচরণ বা অবিচার করা যাবে না। কুরআনুল কারিমের নির্দেশনা মোতাবেক আচরণেই স্ত্রীরা অবাধ্যতা থেকে ফিরে আসতে বাধ্য। আর তাতে দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠবে সুখ ও শান্তিময়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অবাধ্য স্ত্রীদের সঙ্গে সুন্দর-সুসম্পর্ক বজায় রেখে উত্তম জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন। কুরআনের দিকনির্দেশনা মোতাবেক স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীদের উত্তম আচরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
পরিবারের দ্বীনদারী শুরুর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো, বাড়াবাড়ি বা জোরাজুরি নয়
প্রশ্নঃ ৪২৪১৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একজন নারী,আমার বিয়ে হয়েছে দেড় বছর হয়েছে,কিছুটা নিজের পছন্দে বিয়ে হয়েছে,কিন্ত বিয়ের আগে তাকে মোটামুটি চিনলেও বিয়ের পর সে দেখেছি সে ৪/৩ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে,বেশিরভাগ সময়,ফজর আর এশা মিস দেয়,কোরআন শিখেছিলো কিন্ত পড়া ভুলে গেছে,তাকে নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি,বাট সে সেভাবে দ্বীনের পথে আসছে না,সে ব্যাংকে চাকরি করে,সে অন্য জবের জন্যও চেষ্টা করতেছিলো,বাট ভাইবা,চয়েজ সবকিছু দেওয়ার পরেও জব হয়নি,তাই ব্যাংকেই রয়ে গেছে,তার সর্বশেষ রেজাল্ট দিয়েছিলো গতমাসে,আমি তাকে বহুভাবে ব্যাংকের জব ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছি,বাট সে ছাড়েনি,আমি আলহামদুলিল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি,তাহাজ্জুদ পড়ি,মাঝে মাঝে ঘুমের কারণে ফজর মিস হয়,পর্দায় থাকার চেষ্টাকরি সবসময়,আবার হেফজ কোরআন পড়া শুরু করেছি,এখন তার এরকম দ্বীনবিমুখিতা,নামাজ না পড়া,ইসলাম সম্পর্কে কম জ্ঞান রাখা,ইসলামকে জানার চেষ্টা না করা,এগুলো আমি মেনে নিতে পারছিনা,এগুলো আমাকে ভীষণভাবে ভাবাচ্ছে, এখন এ মুহুর্তে তার সাথে আমার বিচ্ছেদ শ্রেয়,নাকি ধৈর্য ধরে সামনে আগাবো,আসলে ধৈর্য ধরতে গেলেও মাঝে মাঝে ধৈর্য ধরা কষ্টকর হয়ে যায়,তখন বেশ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি,একজন শায়েখের কথা দেখলাম,তিনি বলেছেন,বেনামাজি স্বামীর সাথে সহবাস ও সংসার করা জায়েজ নয়,তাহলে এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি,প্লিজ ইসলামিক ব্যাখ্যা দিয়ে সাহায্য করবেন,আমি যথেষ্ট সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যেসমস্ত শায়েখরা এরকম ফতোয়া দেন তাদের ফতোয়া তাদের কাছেই থাকুক। জনসম্মুখে এমন কথা বলা উচিত নয় যার ভিন্ন ব্যাখ্যা আছে এবং যা মানুষ হজম করতে পারবে না। আপানার স্বামীর ব্যাপারে আমাদের মনে হচ্ছে খুউব তাড়াহুড়ো করছেন। আপনাদের বিয়ের বয়স মাত্র দেড় বছর! আর আপনি এতো তাড়াতাড়ি করছেন!!
নিচের লেখাটা মনযোগের সাথে পড়ুন। বারবার পড়ুন এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন। বিশেষত “দুই. পরিবারের দ্বীনদারী শুরুর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো, বাড়াবাড়ি বা জোরাজুরি নয়” এই শিরোনামটা। মনে রাখবেন কোনো জিনিষ ভাঙ্গা খুব সহজ। কিন্তু জোড়া দেওয়া অতো সহজ নয়। পরিবার ভাঙ্গা সহজ কিন্তু পরিবার গড়া এতো সহজ নয়।
কীভাবে দ্বীনের পথে অগ্রসর হব
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
الحمدُ للهِ وسلامٌ على عبادِهِ الذينَ اصْطفى، أما بعد...
আজ আমি শুধু দু-একটা কথা আরয করতে চাই। এমনিতে জেনারেল শিক্ষিত ভাইদের সাথে যখনই আমার খুসূসী মজলিসের সুযোগ হয়, যেমন আজ হল, তখন দু-একটা কথা বলে থাকি।
আজও দুটি কথা বলতে চাই।
এক. নিজের ইলমের বিষয়ে করণীয়।
দুই. নিজের ঘর ও পরিবারের বিষয়ে করণীয়।
ইলমের বিষয়ে কথা হল, আমাদের যে ইলম অর্জন করা প্রয়োজন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাশাআল্লাহ, জেনারেল শিক্ষিতদের অনেকের মধ্যেই দ্বীনী বইপত্র পড়ার একটা আগ্রহ থাকে। কিন্তু অনেকের মধ্যে দেখা যায়, পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণারও একটা মানসিকতা ও প্রবণতা তৈরি হয়। এটা আসলে কোনো হিসাবেই আসে না। কেন যে মানুষ এমন চিন্তা করে, বুঝে আসে না। গবেষণা তো এমন জিনিস, যার জন্য অনেক শর্ত-শারায়েত রয়েছে। আজ থেকে অনেক বছর আগে ২০০৫ সালে মাসিক আলকাউসারে ‘গবেষণা : অধিকার ও নীতিমালা’ শিরোনামে একটা প্রবন্ধ ছেপেছে। ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সংখ্যা ছিল মাসিক আলকাউসারের প্রথম সংখ্যা। সেই সংখ্যাতেই ছাপা হয়েছিল এই লেখা।
ভাই! গবেষণার একটা নিয়ম-নীতি আছে। আছে তার জন্য শর্ত-শারায়েতও। আমাদের পাশে উপবিষ্ট আমাদের এই ভাই যেই বিষয়ে পিএইচডি করেছেন, আমি যদি কোনো রকম ইংরেজি শিখেই তাঁর বিষয়ে গবেষণা শুরু করি, তাঁর বিষয়ে তাঁর অংশীদার হয়ে যাই- ব্যাপারটা কেমন হবে?!
মানুষ মনে করে, দ্বীনী বিষয়ে গবেষণার অধিকারটা ব্যাপক। কেবল অন্যান্য জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যার যে সাবজেক্ট তিনি সেই সাবজেক্টে গবেষণা করবেন; কিন্তু দ্বীনের বিষয়ে যোগ্যতা থাকুক আর না থাকুক, শর্ত-শারায়েত পূর্ণ করুক আর না করুক, নীতিমালার আওতায় আসুক না আসুক- গবেষণা এখানে সবাই করতে পারবে।
আসলে দ্বীনী বিষয়ে জানা, মানা এবং আমল করার বিষয়টা সবার জন্য। কিন্তু যেই অংশটা গবেষণার, সেটা সবার জন্য নয়। অন্যান্য সাবজেক্টে যেমন গবেষণা বিশেষ গুণাবলি এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য, এখানেও তেমন; বরং আরও বেশি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য।
মনে রাখবেন, এখানের গবেষণা জাগতিক অন্যান্য গবেষণার তুলনায় কোনোভাবেই সহজ নয়। এই বিষয়ে আজ আর কথা লম্বা করছি না। মাসিক আলকাউসারের ওই লেখাটা পড়ে নিলে আশা করি ভালো হবে।
দ্বিতীয় কথা হল, দ্বীনদারী নিজের মধ্যে আনা এবং পরিবারের মধ্যে আনা। দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে কারও হয়তো কোনো আল্লাহওয়ালার সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে। কারও হজে¦র মাধ্যমে শুরু হয়েছে। কারও চিল্লার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। কারও ছেলেকে মাদরাসায় দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। যার দ্বীনদারী যেভাবেই শুরু হয়েছে, সেজন্য আল্লাহর শোকর আদায় করা চাই। দ্বীনদারী শুরু হওয়ার পর কিছু বিষয়ের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনোযোগ দিতে হয়।
এক. পেছনের যিন্দেগীর কাফফারা
অনেকে দ্বীনদারী শুরু হওয়ার পর কেবল সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, পেছনের দিকে তাকায় না। নিয়ম হল, পেছনে যা যা আমি সমস্যা করেছি, তার মধ্যে কোন্ কোন্ বিষয়ের ক্ষতিপূরণ আছে- খুঁজে বের করা। যেগুলোর ক্ষতিপূরণ নেই, সেগুলোর জন্য শুধু তাওবা ও ইস্তিগফার করা। কিন্তু যেগুলোর ক্ষতিপূরণ আছে, অর্থাৎ তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব, সেগুলোর ক্ষতিপূরণের চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে। কাফফারা থাকলে কাফফারা। কাযা থাকলে কাযা। ক্ষমা চাওয়ার হলে ক্ষমা চাওয়া। কারও হক নষ্ট করে থাকলে সেটা আদায় করে দেওয়া। গোনাহ্ তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে ক্ষমা হবে, কিন্তু অন্যের হক যে নষ্ট করা হয়েছে, সেটা কীভাবে ক্ষমা হবে? ‘হক’ তো গোনাহ নয়; ‘হক’ নষ্ট করাই না গোনাহ। কাজেই হক নষ্ট করার জন্য আলাদা তাওবা-ইস্তিগফার করব। কিন্তু যার হক নষ্ট করেছি বা নষ্ট করা হয়েছে, সেটা তো তাকে আদায় করে দিতে হবে।
আবারো বলছি, হক নষ্ট করা গোনাহ। এই ‘নষ্ট করা’র কারণে যে গোনাহ হয়েছে সেটা তাওবা-ইস্তিগফারের কারণে ক্ষমা হবে; কিন্তু ‘হক’মাফ হবে কীভাবে? সেটা তো যার হক তাকে পৌঁছে দিতে হবে। পাওনা থাকলে আদায় করে দিতে হবে। জুলুম করে থাকলে মাজলুমের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে; দ্বীনদারী শুরু হওয়ার পর এভাবে পেছনের দিকে তাকানো আমার প্রথম দায়িত্ব।
দুই. পরিবারের দ্বীনদারী শুরুর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো, বাড়াবাড়ি বা জোরাজুরি নয়
দ্বিতীয় দায়িত্ব হল, নিজের মধ্যে দ্বীনদারী শুরু হওয়ার পর প্রথমে সবার মধ্যেই একটা জযবা, স্পৃহা ও আগ্রহ আসে। তখন সে চায়, ঘরের সকল সদস্য এখনই তার মতো হয়ে যাক। সবাই তার সঙ্গে জুড়তে থাকুক। নিজে যেমন জুড়েছি, সবাই আমার সঙ্গে জুড়ুক, এই আশা করা ভালো; কিন্তু এ জন্য জবরদস্তি করা ভালো নয়। এটা খুব জরুরি।
মাঝেমধ্যেই কয়েকজন মুরব্বী প্রফেসরের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা হয়। তাদেরকে যে কীভাবে বুঝাই! তার পরও ইকরাম ও মহব্বতের সাথে যদ্দুর পারি বলি, ‘চাচা, আপনি কবে শুরু করেছেন? আপনি তো এই ক’দিন আগেই শুরু করলেন। এত বছর তো আপনারও খেয়াল ছিল না। আল্লাহ আপনাকে তাওফীক দিয়েছেন, আপনি এখন শুরু করেছেন, কিন্তু এটা কেন চান যে, পরিবারের সবাই এখনই শুরু করুক, এখনই হয়ে যাক এবং সেটা আমার মাত্রায় হোক? কেন, সবর করতে পারেন না? আপনি আপনার পেছনের কাফফারা তাদের মাধ্যমে ওঠাতে চাচ্ছেন নাকি? আপনি বরং নিজেকে দিয়ে ওঠান! আপনি যত ভালো থেকে ভালো হওয়া সম্ভব, হতে থাকুন। অন্যদের বলতে থাকুন, বুঝাতে থাকুন এবং সুযোগ দিন। নিজের মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে।’
এটা তো আপনার হাতে না যে, আপনি হুকুম দেবেন আর হয়ে যাবে। বরং এর জন্য সবার চেষ্টা যেমন থাকতে হবে, আল্লাহর রহমতও থাকতে হবে। কাজেই এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি এবং তাড়াহুড়ো করা কখনোই কাম্য নয়। আমি আমার সন্তানের ঈমান-আমল এবং দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে তারাক্কি চাইব, কিন্তু তাড়াহুড়ো, বাড়াবাড়ি ও জোরাজুরি করব না।
তারাক্কির দুটি দিক। করণীয়গুলো করা আর বর্জনীয়গুলো বর্জন করা। ভালো কাজগুলো করতে হবে, মন্দকাজ এবং বদঅভ্যাসগুলো ছাড়তে হবে। করণীয়গুলো করা এবং বর্জনীয়গুলো বর্জন করা, উভয়টার জন্যই সবরের প্রয়োজন। সবর যদি আমি না করি তাহলে আমার দ্বারা পরিবারের মধ্যে কেবল ভেজালই বাঁধবে। দ্বীন-ঈমানের মধ্যে তারাক্কির কথা শরীয়ত বলে, কিন্তু পরিবারে ভেজাল লাগানোর কথা শরীয়ত বলে না। আমার আচরণের কারণে যদি পরিবারে মনোমালিন্য ও দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে, বোঝা গেল আমি ঈমানী তারাক্কির জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করছি, আমার এই প্রক্রিয়া সহীহ নয়। এর জন্য প্রয়োজনে আলেমদের শরণাপন্ন হই। তাঁদের কাছে যাই। বোঝার চেষ্টা করি। জানা ও মানার চেষ্টা করি। অবশ্যই আমার প্রক্রিয়ায় কোথাও ভুল আছে। কারণ আমাকে যেমন দ্বীন-ঈমানী তারাক্কির জন্য নির্দেশ করা হয়, উৎসাহ দেওয়া হয়, সাথে একথাও বলা হয় যে, ইকরাম ও মহব্বতের চর্চা করা। মনগুলো যাতে মিলে থাকে, সবার বোঝাপড়াটা যাতে সুন্দর হয়, সেই চেষ্টাটাও করা। কিন্তু আমার দ্বারা তো সেটা হচ্ছে না। আমি ঈমানী তারাক্কির জন্য কেন সবার মন খারাপ করে দিচ্ছি? বোঝা গেল আমার প্রক্রিয়াতে কোনো ত্রুটি আছে।
এই ধরনের মজলিস পেলে আমি এ কথাটা বলি যে, আমাকে সবর করতে হবে। সময় দিতে হবে। সহনশীল হতে হবে। আমার যে জযবা এসেছে, সেটা তার মধ্যে এলে সেও এমন হয়ে যাবে- ইনশাআল্লাহ।
অনেক ঘরে উল্টোও তো হয়। স্ত্রী এবং বাচ্চা-কাচ্চাদের মধ্যে ঈমানী জযবা এসে গিয়েছে, কিন্তু স্বামীর মধ্যে এখনো আসেনি। স্ত্রী যদি আমার মতো লড়াই শুরু করে, অবস্থা কোন্ দিকে যাবে? করেও অনেকে। স্ত্রী স্বামীর সাথে লড়াই করতে থাকে। তখন লাগে ঝগড়া। আমাদের কাছে মাসআলা আসে তো।
এজন্য বিষয়টার প্রতি আমরা লক্ষ করি। আমি দুআর মাধ্যমে চেষ্টা করব। ইকরামের মাধ্যমে চেষ্টা করব এবং সবর করব। দৈনিকই যদি বারবার বলতে থাকি, আল্লাহ না করুন, তাহলে হিতে বিপরীতও হয়ে যেতে পারে।
তিন. জাসূসী ও গোয়েন্দাগিরি নয়
আরেক বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রীর সাথে জাসূসী ও গোয়েন্দাগিরি করতে নেই কখনো। ‘আমি যখন অফিসে চলে যাই, সে তো ঘরে তখন একা থাকে, তখন সে কী করে? কথার কথা তার কাছে মোবাইল আছে, (যদিও সব ধরনের মোবাইল সবার বাসায় থাকা উচিত নয়; কিন্তু স্বাভাবিক কথা বলার জন্য ঘরে একটা মোবাইল থাকা ভালো। যেটাতে নেট সংযোগ দেওয়া যায় না বা স্মার্টফোন নয়। হালকা একটা মোবাইল ঘরে থাকা ভালো।) এখন আপনার সন্দেহ হচ্ছে, আমি যখন অফিসে চলে যাই সে মোবাইলে কী করে! লুকিয়ে লুকিয়ে আপনি তার মোবাইলটা দেখলেন, কার সাথে আজ কথা বলেছে? কতক্ষণ বলেছে, যাচাই করলেন- এসব উচিত নয়। এগুলো খুবই ঘৃণিত কাজ। সে আপনার মোবাইল চেক করা, আপনি তার মোবাইল চেক করা যে, আমার অগোচরে কী করে, কার সাথে কথা বলে- এমন জাসূসী করা একেবারে নিষিদ্ধ।
কেন এত বুযুর্গি দেখান আপনি? এই বুযুর্গির কথা শরীয়ত বলে না। হাঁ, সবাই তাকওয়া অবলম্বন করি এবং একে অপরের প্রতি সুধারণা রাখি। কিন্তু খামোখা বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া সন্দেহ করবেন কেন? এই এখান থেকেও অনেক পরিবারে ঝামেলা শুরু হয়। কাজেই এগুলোর প্রয়োজন নেই। বরং সবাই তাকওয়া অবলম্বন করব এবং একে অপরের প্রতি সুধারণা পোষণ করব।
চার. সব বিষয়ে জোর-জবরদস্তি করতে নেই
এরকম খুঁটিনাটি অনেক বিষয়াদি থাকে। যেমন কোনো একটা নফল বা মুস্তাহাব আমলের জন্য খুব বাড়াবাড়ি করা হয়। কেন আপনি বাড়াবাড়ি করছেন? আপনি তাহাজ্জুদ পড়া শুরু করেছেন, এখন তাকেও তাহাজ্জুদের জন্য জোর করে ওঠাবেন? কেন এমন করছেন? বরং সে শুয়ে থাকুক। হাঁ, তাকে ফজরের জন্য ওঠান। আর তাহাজ্জুদের জন্য তাকে শুধু বলতে পারেন। সে যদি নিজে থেকে বলে, আমাকেও তাহাজ্জুদের সময় উঠিয়ে দিয়ো, তাহলে আপনি ওঠাবেন। কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে উঠিয়ে দেবেন- এটা হয় না।
তদ্রূপ কোনো একটা খারাপ অভ্যাস ছাড়তে হবে, যেটা হয়তো হারাম পর্যায়ের কিছু নয়। হারাম পর্যায়ের কোনো অভ্যাস তার থেকে দূর করতে হলেও তো আপনাকে সবর করতে হবে। কিন্তু যেটা হারাম পর্যায়ের নয়, বরং এমনিতে আপনার কাছে এটা পছন্দ নয় বা আপনার শায়েখ এটা পছন্দ করেন না। এখন এই ‘অপছন্দ’-এর জন্য আপনি তার ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন- তা হয় না।
মোটকথা, আমাদের ভারসাম্য শিখতে হবে। আর সেজন্যই আমাদের আলেমদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, তাদের সঙ্গে মশওয়ারা ও মুযাকারা করা অত্যন্ত জরুরি। যেসব কিতাব অধ্যয়নে এসব সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়ের বুঝ সৃষ্টি হয়, যেখানে এই ধরনের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় থাকে, যেমন মুফতী তাকী উসমানী দা. বা.-এর কিতাবগুলো- সেগুলোও বার বার পড়া।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন- আমীন।
وآخرُ دعْوانا أنِ الْحَمْدُ للهِ ربِّ العالَمِيْن.
পত্রস্থকরণ : মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ মাসুম
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
উস্তাজুল ইফতা ওয়াল হাদিস
জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন