আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩০
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩০. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বললেনঃ আমাকে যখন সফর করানো হয় তখন মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর সঙ্গেও আমার সাক্ষাত হয়। এরপর তিনি তাঁর আকৃতির বিবরণ দিয়ে বললেনঃ তিনি ছিলেন হালকা পাতলা। যার মাথার চুল কুঁকড়ানো ও সোজার মাঝামাঝি। তিনি যেন শানূআ গোত্রের পুরুষের মত। ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর সঙ্গেও সাক্ষাত হয়। এরপর তিনি তাঁর গঠন প্রকৃতির বিবরণ দিয়ে বললেনঃ তিনি ছিলেন মধ্যমাকৃতির লাল বর্ণের। তিনি যেন গোসলখানা থেকে বের হলেন। ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কে দেখেছি। তাঁর বংশধরদের মাঝে আমিই তাঁর অধিক সদৃশ।
আমার কাছে দু’টো পাত্র আনা হয় একটিতে দুধ আরেকটিতে ছিল মদ। আমাকে বলা হল, দু’টো থেকে যে কোনটি আপনার ইচ্ছা গ্রহণ করুন। আমি দুধ গ্রহণ করলাম এবং তা পান করলাম। আমাকে বলা হল আপনাকে ফিতরাতের দিকে হিদায়াত করা হয়েছে, কিংবা বলেছেন, আপনি ফিতরাতে পৌঁছেছেন। যদি আপনি মদ গ্রহণ করতেন তবে আপনার উম্মত গুমরাহ হয়ে যেত।
আমার কাছে দু’টো পাত্র আনা হয় একটিতে দুধ আরেকটিতে ছিল মদ। আমাকে বলা হল, দু’টো থেকে যে কোনটি আপনার ইচ্ছা গ্রহণ করুন। আমি দুধ গ্রহণ করলাম এবং তা পান করলাম। আমাকে বলা হল আপনাকে ফিতরাতের দিকে হিদায়াত করা হয়েছে, কিংবা বলেছেন, আপনি ফিতরাতে পৌঁছেছেন। যদি আপনি মদ গ্রহণ করতেন তবে আপনার উম্মত গুমরাহ হয়ে যেত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " حِينَ أُسْرِيَ بِي لَقِيتُ مُوسَى . قَالَ فَنَعَتُّهُ فَإِذَا رَجُلٌ حَسِبْتُهُ قَالَ مُضْطَرِبٌ رَجِلُ الرَّأْسِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شُنُوءَةَ قَالَ وَلَقِيتُ عِيسَى . قَالَ فَنَعَتُّهُ قَالَ رَبْعَةٌ أَحْمَرُ كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ يَعْنِي الْحَمَّامَ وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ . قَالَ وَأَنَا أَشْبَهُ وَلَدِهِ بِهِ قَالَ وَأُتِيتُ بِإِنَاءَيْنِ أَحَدُهُمَا لَبَنٌ وَالآخَرُ خَمْرٌ فَقِيلَ لِي خُذْ أَيَّهُمَا شِئْتَ . فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَشَرِبْتُهُ فَقِيلَ لِيَ هُدِيتَ الْفِطْرَةَ أَوْ أَصَبْتَ الْفِطْرَةَ أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩১
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩১. ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। মি’রাজের রাতে নবী (ﷺ) এর কাছে জিন পরিয়ে লাগাম লাগিয়ে বুরাক আনা হল কিন্তু সে হঠকারিতা করল। তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ) এর ব্যাপারেও তুমি এরূপ করছ? আল্লাহর কাছে তাঁর চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কেউ তোমার উপর কখনও আরোহণ করেনি। লজ্জায় বুরাকটি ঘর্মাক্ত হয় উঠল।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِالْبُرَاقِ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مُلْجَمًا مُسْرَجًا فَاسْتَصْعَبَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ أَبِمُحَمَّدٍ تَفْعَلُ هَذَا فَمَا رَكِبَكَ أَحَدٌ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْهُ قَالَ " فَارْفَضَّ عَرَقًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩২
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩২. ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম দাওরাকী (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা যখন বায়তুল মুকাদ্দাস পৌঁছলাম জিবরাঈল তাঁর আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে একটি পাথর ছিদ্র করলেন এবং তাতে বুরাকটি বাঁধলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ جُنَادَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ جِبْرِيلُ بِإِصْبَعِهِ فَخَرَقَ بِهِ الْحَجَرَ وَشَدَّ بِهِ الْبُرَاقَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩১৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৩
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৩. কুতায়বা (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কুরাইশরা যখন (মি’রাজের বিষয়ে) আমাকে মিথ্যাবাদী বলল তখন আমি হাতীমের মধ্যে দাঁড়ালাম তখন আল্লাহ্ তাআলা আমার জন্য বায়তুল মুকাদ্দাস উদ্ভাসিত করে দিলেন। আমি এর প্রতি তাকিয়ে তাকিয়ে তাদেরকে এর আলামতগুলো সম্পর্কে বিবরণ দিতে লাগলাম।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَمَّا كَذَّبَتْنِي قُرَيْشٌ قُمْتُ فِي الْحِجْرِ فَجَلاَ اللَّهُ لِي بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَطَفِقْتُ أُخْبِرُهُمْ عَنْ آيَاتِهِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَيْهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৪
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৪. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (ومَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ) - আমি যে দৃশ্য তোমাকে দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লিখিত অভিশপ্ত বৃক্ষটিও, কেবল মানুষের পরীক্ষার জন্য (১৭ঃ ৬০)। আয়াতটি সম্পর্কে বলেছেন যে, এ হল চাক্ষুষ দর্শন, যা নবী (ﷺ)-কে যে রাতে বায়তুল মুকাদ্দাস সফর করানো হয় সে রাতে দেখানো হয়েছিল। কুরআনে উল্লিখিত অভিশপ্ত বৃক্ষ সম্পর্কে তিনি বলেছেনঃ এটি হল (জাহান্নামের) যাক্কূম বৃক্ষ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ: ( ومَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ ) قَالَ هِيَ رُؤْيَا عَيْنٍ أُرِيَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ . قَالَ : (وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ فِي الْقُرْآنِ ) هِيَ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৫
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৫. উবাইদ ইবনে আসবাত ইবনে মুহাম্মাদ কুরাশী কূফী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا) - এবং কায়েম করবে ফজরের নামায, ফজরের নামায পরিলক্ষিত হয় বিশেষভাবে (১৭ঃ ৭৮)। প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) বলেছেনঃ রাতের ফিরিশতা এবং দিনের ফিরিশতা এ সময়ে উপস্থিত হন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ، - قُرَشِيٌّ كُوفِيٌّ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : ( وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا ) قَالَ " تَشْهَدُهُ مَلاَئِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةُ النَّهَارِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৬
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৬. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ) - স্মরণ কর, সে দিনকে যখন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের নেতা সহ আহবান করব (১৭ঃ ৭১) প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) বলেছেনঃ এদের একজনকে ডাকা হবে এবং তার আমলনামা তার ডান হাতে দেওয়া হবে। তার দেহ ষাট হাত প্রশস্ত করা হবে। উজ্জ্বল করা হবে চেহারা আর তার মাথায় মোতির তাজ পরানো হবে। জ্বলজ্বল করতে থাকবে এর মোতিগুলো। অনন্তর সে তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে চলবে। দূর হতে তারা তাকে দেখতে পাবে। তারা বলবে, ইয়া আল্লাহ্! আমাদেরও তা দান করুন এবং আমাদের জন্য তা বরকতময় করুন। শেষে ঐ লোকটি তাদের কাছে আসবে এবং তাদেরকে বলবেঃ তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুরূপ পুরষ্কার রয়েছে।
পক্ষান্তরে কাফিরের চেহারা কালো করে দেওয়া হবে। আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সূরাতে তার শরীর ষাট হাত দীর্ঘ করে দেওয়া হবে। তাকে (অবমাননার) তাজ পরানো হবে। তার সঙ্গীরা তাকে দেখে বলবেঃ এর অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছেই আমরা পানাহ চাই। ইয়া আল্লাহ্! একে আমাদের কাছে আসতে দিবেন না।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, ঐ লোকটি তাদের কাছে আসবে। তখন তারা বলবে, ইয়া আল্লাহ্! তুমি একে সরিয়ে দাও। সে বলবেঃ আল্লাহ্ তোমাদের দূরে রাখুন। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুরূপ বস্ত রয়েছে।
পক্ষান্তরে কাফিরের চেহারা কালো করে দেওয়া হবে। আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সূরাতে তার শরীর ষাট হাত দীর্ঘ করে দেওয়া হবে। তাকে (অবমাননার) তাজ পরানো হবে। তার সঙ্গীরা তাকে দেখে বলবেঃ এর অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছেই আমরা পানাহ চাই। ইয়া আল্লাহ্! একে আমাদের কাছে আসতে দিবেন না।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, ঐ লোকটি তাদের কাছে আসবে। তখন তারা বলবে, ইয়া আল্লাহ্! তুমি একে সরিয়ে দাও। সে বলবেঃ আল্লাহ্ তোমাদের দূরে রাখুন। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুরূপ বস্ত রয়েছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِ اللَّهِ : ( يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ ) قَالَ " يُدْعَى أَحَدُهُمْ فَيُعْطَى كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ وَيُمَدُّ لَهُ فِي جِسْمِهِ سِتُّونَ ذِرَاعًا وَيُبَيَّضُ وَجْهُهُ وَيُجْعَلُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجٌ مِنْ لُؤْلُؤٍ يَتَلأْلأُ فَيَنْطَلِقُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَيَرَوْنَهُ مِنْ بَعِيدٍ فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ ائْتِنَا بِهَذَا وَبَارِكْ لَنَا فِي هَذَا حَتَّى يَأْتِيَهُمْ فَيَقُولُ أَبْشِرُوا لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ مِثْلُ هَذَا . قَالَ وَأَمَّا الْكَافِرُ فَيُسَوَّدُ وَجْهُهُ وَيُمَدُّ لَهُ فِي جِسْمِهِ سِتُّونَ ذِرَاعًا عَلَى صُورَةِ آدَمَ فَيُلْبَسُ تَاجًا فَيَرَاهُ أَصْحَابُهُ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هَذَا اللَّهُمَّ لاَ تَأْتِنَا بِهَذَا . قَالَ فَيَأْتِيهِمْ فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ اخْزِهِ . فَيَقُولُ أَبْعَدَكُمُ اللَّهُ فَإِنَّ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ مِثْلَ هَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَالسُّدِّيُّ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৭
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৭. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আল্লাহর বাণীঃ (عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا) - ‘আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে ......... (১৭ঃ ৭৯) এর ব্যাখ্যায় অথবা এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এ হল শাফাআত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الزَّعَافِرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : ( عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا ) سُئِلَ عَنْهَا قَالَ " هِيَ الشَّفَاعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَدَاوُدُ الزَّعَافِرِيُّ هُوَ دَاوُدُ الأَوْدِيُّ ابْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ عَمُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৮
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৮. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) .... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের সময় মক্কায় প্রবেশ করেন। তখন কাবা শরীফের আশেপাশে তিনশত ষাটটি মূর্তি ছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে এক একটিকে খোঁচা দিতে লাগলেন আর বলতে থাকলেনঃ
(جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا)
(جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ)
সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই (১৭ঃ ৮১)। সত্য এসেছে এবং অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃজন করতে, না পারে পুনরাবৃত্তি করতে (৩৪ঃ ৪৯)।
(جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا)
(جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ)
সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই (১৭ঃ ৮১)। সত্য এসেছে এবং অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃজন করতে, না পারে পুনরাবৃত্তি করতে (৩৪ঃ ৪৯)।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْكَعْبَةِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ نُصُبًا فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَطْعَنُهَا بِمِخْصَرَةٍ فِي يَدِهِ وَرُبَّمَا قَالَ بِعُودٍ وَيَقُولُ : (جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا) : (جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ) . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَفِيهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৯
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৩৯. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ছিলেন মক্কায় তারপর তাঁকে হিজরতের হুকুম দেওয়া হয় তাঁর উপর তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ
قُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
আর বল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্তকরাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি (১৭ : ৮০)।
قُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
আর বল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্তকরাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি (১৭ : ৮০)।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ ثُمَّ أُمِرَ بِالْهِجْرَةِ فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ : ( قُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪০
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪০. কুতায়বা (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরাইশরা ইয়াহুদীদের বলল, আমাদের কিছু দাও যাতে আমরা এ ব্যক্তিটিকে প্রশ্ন করতে পারি।। ইয়াহুদীটি বললঃ তোমরা তাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর। তারপর তারা তাঁকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তখন আল্লাহ্ তাআলা অবর্তীর্ণ করেনঃ
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً
তোমাকে এরা রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত। আর তোমাদের দেওয়া হয়েছে সামান্য জ্ঞানই (১৭ঃ ৮৫)। ইয়াহুদীরা বললঃ আমাদের বিপুল ইলম দান করা হয়েছে। আমাদের দেওয়া হয়েছে তাওরাত। আর যাকে তওরাত দান করা হয়েছে তাকে প্রচুর কল্যাণ দান করা হয়েছে। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ
قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ
বল, আমার প্রতিপালকের কথা লিপিবদ্ধ করার জন্য সাগর যদি কালি হয়, তবে সাগর নি:শেষ হয়ে যাবে (১৮ঃ ১০৯)।
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً
তোমাকে এরা রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত। আর তোমাদের দেওয়া হয়েছে সামান্য জ্ঞানই (১৭ঃ ৮৫)। ইয়াহুদীরা বললঃ আমাদের বিপুল ইলম দান করা হয়েছে। আমাদের দেওয়া হয়েছে তাওরাত। আর যাকে তওরাত দান করা হয়েছে তাকে প্রচুর কল্যাণ দান করা হয়েছে। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ
قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ
বল, আমার প্রতিপালকের কথা লিপিবদ্ধ করার জন্য সাগর যদি কালি হয়, তবে সাগর নি:শেষ হয়ে যাবে (১৮ঃ ১০৯)।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ قُرَيْشٌ لِيَهُودَ اعْطُونَا شَيْئًا نَسْأَلُ عَنْهُ هَذَا الرَّجُلَ فَقَالَ سَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ قَالَ فَسَأَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( يَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً ) قَالُوا أُوتِينَا عِلْمًا كَثِيرًا التَّوْرَاةُ وَمَنْ أُوتِيَ التَّوْرَاةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا فَأُنْزِلَتْْ: ( قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪১
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪১. আলী ইবনে খাশরাম (রাহঃ) ....... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে মদীনার শস্যভূমি দিয়ে হ্যাঁটছিলাম। তিনি একটি খেজুর ডালে ভর দিয়ে চলছিলেন। এমন সময় ইয়াহুদীদের একটি দলের পাশ দিয়ে তিনি পথ অতিক্রম করছিলেন। এদের একজন (তার সঙ্গীদের) বললঃ একে যদি তোমরা একটি প্রশ্ন করতে, অন্য একজন বললঃ তাকে কোন প্রশ্ন করতে যেয়ো না। তা হলে তিনি তোমাদের এমন কথা শুনিয়ে দিতে পারেন যা তোমাদের পছন্দের নয়।
যা হোক, তারা বললঃ হে আবুল কাসিম, রূহ সম্পর্কে আমাদের কিছু বিবরণ দিন। নবী (ﷺ) কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন এবং তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুললেন। আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। ওহী গ্রহণ শেষ হলে তিনি বললেনঃ
الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً
রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত, আর তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দেওয়া হয়েছে।
যা হোক, তারা বললঃ হে আবুল কাসিম, রূহ সম্পর্কে আমাদের কিছু বিবরণ দিন। নবী (ﷺ) কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন এবং তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুললেন। আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। ওহী গ্রহণ শেষ হলে তিনি বললেনঃ
الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً
রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত, আর তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দেওয়া হয়েছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَرْثٍ بِالْمَدِينَةِ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَسِيبٍ فَمَرَّ بِنَفَرٍ مِنَ الْيَهُودِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ سَأَلْتُمُوهُ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَسْأَلُوهُ فَإِنَّهُ يُسْمِعُكُمْ مَا تَكْرَهُونَ . فَقَالُوا لَهُ يَا أَبَا الْقَاسِمِ حَدِّثْنَا عَنِ الرُّوحِ . فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاعَةً وَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْهِ حَتَّى صَعِدَ الْوَحْىُ ثُمَّ قَالَ : (الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪২
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪২. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন লোকদের তিন ভাগে হাশর করা হবে। একদল পায়ে হেঁটে, আরেক দল আরোহী হয়ে, আরেক দল তাদের চেহারার উপর উল্টো হয়ে হাশরে উঠবে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! চেহারার উপর তারা হ্যাঁটবে কি করে? তিনি বললেনঃ যিনি তোমাদের পায়ের উপর হাটাতে পারেন তিনি চেহারার উপর তাদের হ্যাঁটাতে ক্ষমতা রাখেন। শোন এরা (কাফিররা) তাদের চেহারা দিয়েই উঁচু ঢিলা ও কাঁটাবন থেকে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করবে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَةَ أَصْنَافٍ صِنْفًا مُشَاةً وَصِنْفًا رُكْبَانًا وَصِنْفًا عَلَى وُجُوهِهِمْ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَمْشُونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ قَالَ " إِنَّ الَّذِي أَمْشَاهُمْ عَلَى أَقْدَامِهِمْ قَادِرٌ عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُمْ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَمَا إِنَّهُمْ يَتَّقُونَ بِوُجُوهِهِمْ كُلَّ حَدَبٍ وَشَوْكٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى وُهَيْبٌ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৩
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৩. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) .... বাহয ইবনে হাকীম তার পিতা তার পিতামহ থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের হাশর করা হবে পদাতিক ও আরোহী রূপে এবং তোমাদের চেহারার উপর টেনে-হেঁচড়ে নেয়া হবে (কতককে)।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ رِجَالاً وَرُكْبَانًا وَيُجَرُّونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩১৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৪
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৪. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... সাফওয়ান ইবনে আসসাল মূরাদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার দুই ইয়াহুদীর একজন আরেকজনকে বললঃ এই নবীর কাছে আমাদের নিয়ে চল আমরা তাঁকে কিছু প্রশ্ন করি। অপরজন বললঃ তাকে নবী বলবে না। কারণ, যদি শুনতে পায় যে তাকে তুমি নবী বলছ তাহলে আনন্দে আটখানা হয়ে যাবে। এরা উভয়েই নবী (ﷺ) এর কাছে আসল এবং তারা আল্লাহর বাণীঃ (وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ) - আমি মুসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম (১৭ঃ ১০১) সম্পর্কে প্রশ্ন করল।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে কিছুর শরীক করবে না, যিনা করবে না, আল্লাহ্ যে প্রাণ বধ হারাম করেছেন শরীয়ত সম্মত অধিকার ছাড়া তাকে হত্যা করবে না, চুরি করবে না, যাদু-টোনা করবে না, কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, সাধ্বী মহিলাকে অপবাদ দিবে না, যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবে না। বিশেষ করে হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য কথা হল তোমরা শনিবারের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। তারপর এরা উভয়েই তাঁর হাতে ও পায়ে চুমু খেয়ে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নবী। তারা বললঃ দাউদ (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন যে, তাঁর বংশেই যেন সব সময় নবীর আগমন হয় আমাদের আশঙ্কা হয় আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি তবে ইয়াহুদীরা আমাদের মেরে ফেলবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে কিছুর শরীক করবে না, যিনা করবে না, আল্লাহ্ যে প্রাণ বধ হারাম করেছেন শরীয়ত সম্মত অধিকার ছাড়া তাকে হত্যা করবে না, চুরি করবে না, যাদু-টোনা করবে না, কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, সাধ্বী মহিলাকে অপবাদ দিবে না, যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবে না। বিশেষ করে হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য কথা হল তোমরা শনিবারের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। তারপর এরা উভয়েই তাঁর হাতে ও পায়ে চুমু খেয়ে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নবী। তারা বললঃ দাউদ (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন যে, তাঁর বংশেই যেন সব সময় নবীর আগমন হয় আমাদের আশঙ্কা হয় আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি তবে ইয়াহুদীরা আমাদের মেরে ফেলবে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَأَبُو الْوَلِيدِ، وَاللَّفْظُ، لَفْظُ يَزِيدَ وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ، أَنَّ يَهُودِيَّيْنِ، قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ نَسْأَلُهُ فَقَالَ لاَ تَقُلْ لَهُ نَبِيٌّ فَإِنَّهُ إِنْ سَمِعَنَا نَقُولُ نَبِيٌّ كَانَتْ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ فَأَتَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ : ( وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ) فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى سُلْطَانٍ فَيَقْتُلَهُ وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تَفِرُّوا مِنَ الزَّحْفِ شَكَّ شُعْبَةُ وَعَلَيْكُمُ الْيَهُودَ خَاصَّةً أَنْ لاَ تَعْدُوا فِي السَّبْتِ " . فَقَبَّلاَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ وَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ . قَالَ " فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تُسْلِمَا " . قَالاَ إِنَّ دَاوُدَ دَعَا اللَّهَ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ أَسْلَمْنَا أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:৩১৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৫
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৫. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। অন্য সনদে আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ) - নামাযে স্বর উচ্চ করবে না এবং অতিশয় ক্ষীণও করবে না (১৭ঃ ১১০)। তিনি আয়াতটি প্রসঙ্গে বলেন, এটি মক্কায় নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যদি উচ্চঃস্বরে তিলাওয়াত করতেন তবে মুশরিকরা স্বয়ং কুরআন এবং কুরআন যিনি নাযিল করেছেন আর যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি-গালাজ করত।
তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ ‘নামাযে স্বর উচ্চ করবে না।’ তা করলে এরা কুরআন এবং তা যিনি নাযিল করেছেন এবং যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি দিবে। এদিকে ’আপনার সঙ্গীদের থেকে আওয়াজ অতিশয় ক্ষীণও করবেন না।’ বরং তাদেরকে আপনি শুনাবেন যেন তারা আপনার নিকট থেকে কুরআন গ্রহণ করতে পারে।
তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ ‘নামাযে স্বর উচ্চ করবে না।’ তা করলে এরা কুরআন এবং তা যিনি নাযিল করেছেন এবং যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি দিবে। এদিকে ’আপনার সঙ্গীদের থেকে আওয়াজ অতিশয় ক্ষীণও করবেন না।’ বরং তাদেরকে আপনি শুনাবেন যেন তারা আপনার নিকট থেকে কুরআন গ্রহণ করতে পারে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهُشَيْمٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) قَالَ نَزَلَتْ بِمَكَّةَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ سَبَّهُ الْمُشْرِكُونَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ : (وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ) عَنْ أَصْحَابِكَ بِأَنْ تُسْمِعَهُمْ حَتَّى يَأْخُذُوا عَنْكَ الْقُرْآنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:৩১৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৬
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৬. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যেঃ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً) - নামাযে স্বর উচ্চ করবে না এবং অতিশয় ক্ষীণও করবে না বরং এ দুয়ের মধ্যপথে অবলম্বন করবে (১৭ঃ ১১০)। আয়াতটি প্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ এ আয়াতটি যখন নাযিল হয় সে সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কায় লুক্কায়িত ছিলেনঃ তিনি সাহাবীদের নিয়ে যখন নামায আদায় করতেন তখন উচ্চঃস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। মুশরিকরা তা শুনতে পেলে কুরআন এবং যিনি তা নাযিল করেছেন ও যিনি তা নিয়ে এসেছেন সকলকে গালমন্দ করত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর নবীকে বললেনঃ আপনার নামায অর্থাৎ কিরাআত উচ্চ স্বরে করবে না। তা করলে মুশরিকরা শুনতে পাবে এবং কুরআনকে গাল-মন্দ করবে। আর তা আপনার সঙ্গীদের থেকে অতিশয় ক্ষীণও করবেন না এবং দুয়ের মধ্যপথ অবলম্বন করবেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ) قَالَ نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُخْتَفٍ بِمَكَّةَ وَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ فَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوهُ شَتَمُوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللَّهُ لِنَبِيِّهِ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) أَىْ بِقِرَاءَتِكَ فَيَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ : (وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ) عَنْ أَصْحَابِكَ : ( وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ) . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:৩১৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৭
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৭. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... যির ইবনে হুরায়শ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি বায়তুল মুকাদ্দাসে নামায আদায় করেছেন?
তিনি বললেনঃ না।
আমি বললামঃ অবশ্যই তা আদায় করেছেন।
তিনি বললেনঃ হে টেকো, তুমি এ কথা বলছ? এবং তুমি কেন তা বলছ?
আমি বললামঃ কুরআন থেকে বলছি। আমার ও আপনার মাঝে কুরআন ফায়সালা করবে।
হুযাইফা (রাযিঃ) বললেনঃ কুরআন থেকে যে ব্যক্তি দলীল পেশ করে সে সফলকাম।
সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, তিনি বলেছেন, সে সঠিক দলীল পেশ করেছে। আর অনেক সময় তিনি বলেছেন, সে সফলকাম হয়েছে।
যিরর ইবনে হুবায়শ (রাহঃ) বললেনঃ (سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى) - পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় (১৭ঃ ১)।
হুযাইফা (রাযিঃ) বললেনঃ তোমার কি মনে হয়, যে তিনি সেখানে নামায আদায় করেছেন?
আমি বললামঃ না।
তিনি বললেনঃ যদি সেখানে তিনি নামায আদায় করতেন তবে তোমাদের জন্য সেখানে নামায আদায় করা জরুরী হয়ে যেত যেমন মসজিদুল হারাম কাবায় নামায আদায় করা জরুরী।
হুযাইফা (রাযিঃ) আরো বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এরূপ (হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালেন) সুপ্রশস্ত দীর্ঘ পিঠ বিশিষ্ট একটা জন্তু আনা হল। চোখের দৃষ্টি দূরত্ব পরিমাণ ছিল তার এক একটি পদক্ষেপ। তারা বুরাকের পিঠে আরোহণ করে জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতে ওয়াদাকৃত সবকিছু পরিদর্শণ করলেন, পরে তারা উভয়েই ফিরে আসলেন। যাত্রা শুরু মাত্রই ছিল তাদের এই প্রত্যাবর্তন। (অর্থাৎ বেশী সময় এতে লাগেনি যেন শুরু হতেই তা শেষ হয়ে গিয়েছিল)।
তিনি আরো বলেন, লোকেরা বর্ণনা করে যে, তিনি এটি বেঁধে রেখেছিলেন। কেন বাঁধবেন! পালিয়ে যাবে বলে কি? গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছু সম্পর্কে যিনি জানেন সেই মহাসত্যই এটিকে তাঁর জন্য বাধ্যগত করে দিয়েছিলেন।
তিনি বললেনঃ না।
আমি বললামঃ অবশ্যই তা আদায় করেছেন।
তিনি বললেনঃ হে টেকো, তুমি এ কথা বলছ? এবং তুমি কেন তা বলছ?
আমি বললামঃ কুরআন থেকে বলছি। আমার ও আপনার মাঝে কুরআন ফায়সালা করবে।
হুযাইফা (রাযিঃ) বললেনঃ কুরআন থেকে যে ব্যক্তি দলীল পেশ করে সে সফলকাম।
সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, তিনি বলেছেন, সে সঠিক দলীল পেশ করেছে। আর অনেক সময় তিনি বলেছেন, সে সফলকাম হয়েছে।
যিরর ইবনে হুবায়শ (রাহঃ) বললেনঃ (سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى) - পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় (১৭ঃ ১)।
হুযাইফা (রাযিঃ) বললেনঃ তোমার কি মনে হয়, যে তিনি সেখানে নামায আদায় করেছেন?
আমি বললামঃ না।
তিনি বললেনঃ যদি সেখানে তিনি নামায আদায় করতেন তবে তোমাদের জন্য সেখানে নামায আদায় করা জরুরী হয়ে যেত যেমন মসজিদুল হারাম কাবায় নামায আদায় করা জরুরী।
হুযাইফা (রাযিঃ) আরো বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এরূপ (হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালেন) সুপ্রশস্ত দীর্ঘ পিঠ বিশিষ্ট একটা জন্তু আনা হল। চোখের দৃষ্টি দূরত্ব পরিমাণ ছিল তার এক একটি পদক্ষেপ। তারা বুরাকের পিঠে আরোহণ করে জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতে ওয়াদাকৃত সবকিছু পরিদর্শণ করলেন, পরে তারা উভয়েই ফিরে আসলেন। যাত্রা শুরু মাত্রই ছিল তাদের এই প্রত্যাবর্তন। (অর্থাৎ বেশী সময় এতে লাগেনি যেন শুরু হতেই তা শেষ হয়ে গিয়েছিল)।
তিনি আরো বলেন, লোকেরা বর্ণনা করে যে, তিনি এটি বেঁধে রেখেছিলেন। কেন বাঁধবেন! পালিয়ে যাবে বলে কি? গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছু সম্পর্কে যিনি জানেন সেই মহাসত্যই এটিকে তাঁর জন্য বাধ্যগত করে দিয়েছিলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ قُلْتُ لِحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ لاَ . قُلْتُ بَلَى . قَالَ أَنْتَ تَقُولُ ذَاكَ يَا أَصْلَعُ بِمَا تَقُولُ ذَلِكَ قُلْتُ بِالْقُرْآنِ بَيْنِي وَبَيْنَكَ الْقُرْآنُ . فَقَالَ حُذَيْفَةُ مَنِ احْتَجَّ بِالْقُرْآنِ فَقَدْ أَفْلَحَ قَالَ سُفْيَانُ يَقُولُ فَقَدِ احْتَجَّ . وَرُبَّمَا قَالَ قَدْ فَلَجَ فَقَالَ : (سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى ) قَالَ أَفَتَرَاهُ صَلَّى فِيهِ قُلْتُ لاَ . قَالَ لَوْ صَلَّى فِيهِ لَكُتِبَ عَلَيْكُمْ فِيهِ الصَّلاَةُ كَمَا كُتِبَتِ الصَّلاَةُ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ قَالَ حُذَيْفَةُ قَدْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِدَابَّةٍ طَوِيلَةِ الظَّهْرِ مَمْدُودَةٍ هَكَذَا خَطْوُهُ مَدُّ بَصَرِهِ فَمَا زَايَلاَ ظَهْرَ الْبُرَاقِ حَتَّى رَأَيَا الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَوَعْدَ الآخِرَةِ أَجْمَعَ ثُمَّ رَجَعَا عَوْدَهُمَا عَلَى بَدْئِهِمَا قَالَ وَيَتَحَدَّثُونَ أَنَّهُ رَبَطَهُ لِمَ أَيَفِرُّ مِنْهُ وَإِنَّمَا سَخَّرَهُ لَهُ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩১৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৮
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৮. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আমিই হব বনী আদমের সরদার। এতে কোন অহংকার নেই; আমার হাতেই থাকবে হামদের পতাকা, এতে কোন অহংকার নেই; আদম এবং অন্যান্য সকল নবীই ঐ দিন আমার পতাকার নীচে থাকবেন। আমিই প্রথম ব্যক্তি যিনি মাটি বিদীর্ণ করে উঠবে, এতে কোন অহংকার নেই।
ঐ দিন মানুষ তিনবার ভীষণ ভীতিকর অবস্থায় পড়বে। তারা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে আর বলবেঃ আপনি আমাদের আদি পিতা আদম, আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। তিনি বলবেনঃ আমি তো একটা ভূল করেছিলাম, যদ্দরুন আমাকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বরং তোমরা নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি তো পৃথিবীতে একটি দুআ করেছিলাম। এতে তারা ধ্বংস হয়েছে। তোমরা বরং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি তো তিনটি অসত্য কথা বলেছিলাম।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, মূলত এর একটিও মিথ্যা ছিল না। আসলে আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই তিনি তা করেছিলেন।
যা হোক, তিনি বলবেনঃ তোমরা বরং মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে।
তিনি বলবেনঃ আমি তো একজনকে হত্যা করে ফেলেছিলাম। তোমরা বরং ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে তিনি বলবেনঃ আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে উপসনা করা হয়েছে। তোমরা বরং মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। এরপর তারা আমার কাছে আসবে। আমি তাদের সঙ্গে চলব।
ইবনে জুদআন (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমি যেন এখনও নবী (ﷺ)-কে দেখছি। তিনি বলেন, এরপর আমি জান্নাতের দরওয়াজার আংটা ধরে তা খটখটাব। বলা হবে কে?
উত্তরে বলা হবেঃ মুহাম্মাদ।
আমার জন্য জান্নাতের দ্বার তারা (ফিরিশতারা) খুলে দিবেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে বলবেনঃ মারহাবা, এরপর আমি (রাব্বুল আলামীনের হুযুরে) সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আল্লাহ্ তাআলাই আমাকে হামদ ও ছানার ইলহাম করবেন। আমাকে বলা হবেঃ আপনার মাথা তুলুন। যাঞ্ছা করুন আপনাকে তা দেওয়া হবে। সুপারিশ করুন আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। আপনি বলুন আপনার কথা শোনা হবে।
এই হল মাকামে মাহমুদ যার কথা আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, (عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا) আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (১৭ঃ ৭৯)।
সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) থেকে ই কেবল এই বাক্যটি ’আমি জান্নাতের দরজার আংটা ধরে তা খটখটাব’’ বর্ণিত আছে।
ঐ দিন মানুষ তিনবার ভীষণ ভীতিকর অবস্থায় পড়বে। তারা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে আর বলবেঃ আপনি আমাদের আদি পিতা আদম, আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। তিনি বলবেনঃ আমি তো একটা ভূল করেছিলাম, যদ্দরুন আমাকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বরং তোমরা নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি তো পৃথিবীতে একটি দুআ করেছিলাম। এতে তারা ধ্বংস হয়েছে। তোমরা বরং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি তো তিনটি অসত্য কথা বলেছিলাম।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, মূলত এর একটিও মিথ্যা ছিল না। আসলে আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই তিনি তা করেছিলেন।
যা হোক, তিনি বলবেনঃ তোমরা বরং মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে।
তিনি বলবেনঃ আমি তো একজনকে হত্যা করে ফেলেছিলাম। তোমরা বরং ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে আসবে তিনি বলবেনঃ আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে উপসনা করা হয়েছে। তোমরা বরং মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। এরপর তারা আমার কাছে আসবে। আমি তাদের সঙ্গে চলব।
ইবনে জুদআন (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমি যেন এখনও নবী (ﷺ)-কে দেখছি। তিনি বলেন, এরপর আমি জান্নাতের দরওয়াজার আংটা ধরে তা খটখটাব। বলা হবে কে?
উত্তরে বলা হবেঃ মুহাম্মাদ।
আমার জন্য জান্নাতের দ্বার তারা (ফিরিশতারা) খুলে দিবেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে বলবেনঃ মারহাবা, এরপর আমি (রাব্বুল আলামীনের হুযুরে) সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আল্লাহ্ তাআলাই আমাকে হামদ ও ছানার ইলহাম করবেন। আমাকে বলা হবেঃ আপনার মাথা তুলুন। যাঞ্ছা করুন আপনাকে তা দেওয়া হবে। সুপারিশ করুন আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। আপনি বলুন আপনার কথা শোনা হবে।
এই হল মাকামে মাহমুদ যার কথা আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, (عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا) আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (১৭ঃ ৭৯)।
সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) থেকে ই কেবল এই বাক্যটি ’আমি জান্নাতের দরজার আংটা ধরে তা খটখটাব’’ বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَبِيَدِي لِوَاءُ الْحَمْدِ وَلاَ فَخْرَ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ يَوْمَئِذٍ آدَمُ فَمَنْ سِوَاهُ إِلاَّ تَحْتَ لِوَائِي وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ وَلاَ فَخْرَ قَالَ فَيَفْزَعُ النَّاسُ ثَلاَثَ فَزَعَاتٍ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ أَبُونَا آدَمُ فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ . فَيَقُولُ إِنِّي أَذْنَبْتُ ذَنْبًا أُهْبِطْتُ مِنْهُ إِلَى الأَرْضِ وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا . فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُ إِنِّي دَعَوْتُ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ دَعْوَةً فَأُهْلِكُوا وَلَكِنِ اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ . فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ إِنِّي كَذَبْتُ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْهَا كَذْبَةٌ إِلاَّ مَاحَلَ بِهَا عَنْ دِينِ اللَّهِ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى . فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُ إِنِّي قَدْ قَتَلْتُ نَفْسًا وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى . فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُ إِنِّي عُبِدْتُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا قَالَ فَيَأْتُونَنِي فَأَنْطَلِقُ مَعَهُمْ " . قَالَ ابْنُ جُدْعَانَ قَالَ أَنَسٌ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَآخُذُ بِحَلْقَةِ بَابِ الْجَنَّةِ فَأُقَعْقِعُهَا فَيُقَالُ مَنْ هَذَا فَيُقَالُ مُحَمَّدٌ . فَيَفْتَحُونَ لِي وَيُرَحِّبُونَ فَيَقُولُونَ مَرْحَبًا فَأَخِرُّ سَاجِدًا فَيُلْهِمُنِي اللَّهُ مِنَ الثَّنَاءِ وَالْحَمْدِ فَيُقَالُ لِي ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ وَقُلْ يُسْمَعْ لِقَوْلِكَ وَهُوَ الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ الَّذِي قَالَ اللَّهُ : ( عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا ) " . قَالَ سُفْيَانُ لَيْسَ عَنْ أَنَسٍ إِلاَّ هَذِهِ الْكَلِمَةُ " فَآخُذُ بِحَلْقَةِ بَابِ الْجَنَّةِ فَأُقَعْقِعُهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: