আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৫
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৫. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। অন্য সনদে আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ) - নামাযে স্বর উচ্চ করবে না এবং অতিশয় ক্ষীণও করবে না (১৭ঃ ১১০)। তিনি আয়াতটি প্রসঙ্গে বলেন, এটি মক্কায় নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যদি উচ্চঃস্বরে তিলাওয়াত করতেন তবে মুশরিকরা স্বয়ং কুরআন এবং কুরআন যিনি নাযিল করেছেন আর যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি-গালাজ করত।
তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ ‘নামাযে স্বর উচ্চ করবে না।’ তা করলে এরা কুরআন এবং তা যিনি নাযিল করেছেন এবং যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি দিবে। এদিকে ’আপনার সঙ্গীদের থেকে আওয়াজ অতিশয় ক্ষীণও করবেন না।’ বরং তাদেরকে আপনি শুনাবেন যেন তারা আপনার নিকট থেকে কুরআন গ্রহণ করতে পারে।
তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ ‘নামাযে স্বর উচ্চ করবে না।’ তা করলে এরা কুরআন এবং তা যিনি নাযিল করেছেন এবং যিনি নিয়ে এসেছেন সকলকে গালি দিবে। এদিকে ’আপনার সঙ্গীদের থেকে আওয়াজ অতিশয় ক্ষীণও করবেন না।’ বরং তাদেরকে আপনি শুনাবেন যেন তারা আপনার নিকট থেকে কুরআন গ্রহণ করতে পারে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهُشَيْمٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) قَالَ نَزَلَتْ بِمَكَّةَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ سَبَّهُ الْمُشْرِكُونَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ : (وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ) عَنْ أَصْحَابِكَ بِأَنْ تُسْمِعَهُمْ حَتَّى يَأْخُذُوا عَنْكَ الْقُرْآنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ আয়াত এবং হযরত ইবনে আব্বাস রা.-এর তাফসীর থেকে প্রমাণিত হয় যে, সশব্দে কুরআন পাঠের মূল উদ্দেশ্য মুক্তাদীদেরকে কুরআন শুনানো। অতএব, যার পেছনে কোন মুক্তাদী নেই এমন একাকি ব্যক্তির জন্য জিহরী (সশব্দে) নামাযে সশব্দে কুরআন পড়া জরুরী নয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫৩৩)
