আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৬
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৬. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যেঃ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً) - নামাযে স্বর উচ্চ করবে না এবং অতিশয় ক্ষীণও করবে না বরং এ দুয়ের মধ্যপথে অবলম্বন করবে (১৭ঃ ১১০)। আয়াতটি প্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ এ আয়াতটি যখন নাযিল হয় সে সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কায় লুক্কায়িত ছিলেনঃ তিনি সাহাবীদের নিয়ে যখন নামায আদায় করতেন তখন উচ্চঃস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। মুশরিকরা তা শুনতে পেলে কুরআন এবং যিনি তা নাযিল করেছেন ও যিনি তা নিয়ে এসেছেন সকলকে গালমন্দ করত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর নবীকে বললেনঃ আপনার নামায অর্থাৎ কিরাআত উচ্চ স্বরে করবে না। তা করলে মুশরিকরা শুনতে পাবে এবং কুরআনকে গাল-মন্দ করবে। আর তা আপনার সঙ্গীদের থেকে অতিশয় ক্ষীণও করবেন না এবং দুয়ের মধ্যপথ অবলম্বন করবেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ) قَالَ نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُخْتَفٍ بِمَكَّةَ وَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ فَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوهُ شَتَمُوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللَّهُ لِنَبِيِّهِ : (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ) أَىْ بِقِرَاءَتِكَ فَيَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ : (وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ) عَنْ أَصْحَابِكَ : ( وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ) . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ আয়াত এবং হযরত ইবনে আব্বাস রা.-এর তাফসীর থেকে প্রমাণিত হয় যে, সশব্দে কুরআন পাঠের মূল উদ্দেশ্য মুক্তাদীদেরকে কুরআন শুনানো। অতএব, যার পেছনে কোন মুক্তাদী নেই এমন একাকি ব্যক্তির জন্য জিহরী (সশব্দে) নামাযে সশব্দে কুরআন পড়া জরুরী নয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫৩৩)
