আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৩১৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৭
সূরা বনী ইসরাঈল
৩১৪৭. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... যির ইবনে হুরায়শ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি বায়তুল মুকাদ্দাসে নামায আদায় করেছেন?

তিনি বললেনঃ না।

আমি বললামঃ অবশ্যই তা আদায় করেছেন।

তিনি বললেনঃ হে টেকো, তুমি এ কথা বলছ? এবং তুমি কেন তা বলছ?

আমি বললামঃ কুরআন থেকে বলছি। আমার ও আপনার মাঝে কুরআন ফায়সালা করবে।

হুযাইফা (রাযিঃ) বললেনঃ কুরআন থেকে যে ব্যক্তি দলীল পেশ করে সে সফলকাম।

সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, তিনি বলেছেন, সে সঠিক দলীল পেশ করেছে। আর অনেক সময় তিনি বলেছেন, সে সফলকাম হয়েছে।

যিরর ইবনে হুবায়শ (রাহঃ) বললেনঃ (سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى) - পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় (১৭ঃ ১)।

হুযাইফা (রাযিঃ) বললেনঃ তোমার কি মনে হয়, যে তিনি সেখানে নামায আদায় করেছেন?

আমি বললামঃ না।

তিনি বললেনঃ যদি সেখানে তিনি নামায আদায় করতেন তবে তোমাদের জন্য সেখানে নামায আদায় করা জরুরী হয়ে যেত যেমন মসজিদুল হারাম কাবায় নামায আদায় করা জরুরী।

হুযাইফা (রাযিঃ) আরো বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এরূপ (হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালেন) সুপ্রশস্ত দীর্ঘ পিঠ বিশিষ্ট একটা জন্তু আনা হল। চোখের দৃষ্টি দূরত্ব পরিমাণ ছিল তার এক একটি পদক্ষেপ। তারা বুরাকের পিঠে আরোহণ করে জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতে ওয়াদাকৃত সবকিছু পরিদর্শণ করলেন, পরে তারা উভয়েই ফিরে আসলেন। যাত্রা শুরু মাত্রই ছিল তাদের এই প্রত্যাবর্তন। (অর্থাৎ বেশী সময় এতে লাগেনি যেন শুরু হতেই তা শেষ হয়ে গিয়েছিল)।

তিনি আরো বলেন, লোকেরা বর্ণনা করে যে, তিনি এটি বেঁধে রেখেছিলেন। কেন বাঁধবেন! পালিয়ে যাবে বলে কি? গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছু সম্পর্কে যিনি জানেন সেই মহাসত্যই এটিকে তাঁর জন্য বাধ্যগত করে দিয়েছিলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ قُلْتُ لِحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ لاَ . قُلْتُ بَلَى . قَالَ أَنْتَ تَقُولُ ذَاكَ يَا أَصْلَعُ بِمَا تَقُولُ ذَلِكَ قُلْتُ بِالْقُرْآنِ بَيْنِي وَبَيْنَكَ الْقُرْآنُ . فَقَالَ حُذَيْفَةُ مَنِ احْتَجَّ بِالْقُرْآنِ فَقَدْ أَفْلَحَ قَالَ سُفْيَانُ يَقُولُ فَقَدِ احْتَجَّ . وَرُبَّمَا قَالَ قَدْ فَلَجَ فَقَالَ : (سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى ) قَالَ أَفَتَرَاهُ صَلَّى فِيهِ قُلْتُ لاَ . قَالَ لَوْ صَلَّى فِيهِ لَكُتِبَ عَلَيْكُمْ فِيهِ الصَّلاَةُ كَمَا كُتِبَتِ الصَّلاَةُ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ قَالَ حُذَيْفَةُ قَدْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِدَابَّةٍ طَوِيلَةِ الظَّهْرِ مَمْدُودَةٍ هَكَذَا خَطْوُهُ مَدُّ بَصَرِهِ فَمَا زَايَلاَ ظَهْرَ الْبُرَاقِ حَتَّى رَأَيَا الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَوَعْدَ الآخِرَةِ أَجْمَعَ ثُمَّ رَجَعَا عَوْدَهُمَا عَلَى بَدْئِهِمَا قَالَ وَيَتَحَدَّثُونَ أَنَّهُ رَبَطَهُ لِمَ أَيَفِرُّ مِنْهُ وَإِنَّمَا سَخَّرَهُ لَهُ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ৩১৪৭ | মুসলিম বাংলা