মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০৯ টি
হাদীস নং: ১০১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আদমের (আ) ভুলের কারণ, জান্নাত থেকে তাঁর নিষ্ক্রান্ত হওয়া এবং তাঁর নবুয়তের দলীল
(১০১) শাফায়াত সম্পর্কিত হাদীসে ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, কিয়ামতের দিবসটি মানুষের জন্য প্রলম্বিত হতে থাকবে, তখন মানুষ পরস্পর বলাবলি করবে, চল আমরা মানবপিতা আদম (আ) এর নিকট যাই। তিনি আমাদের জন্য মহাপ্রভুর দরবারে শাফায়াত করবেন, যেন তিনি আমাদের ফায়সালা করে দেন। অতঃপর তারা আদমের (আ) কাছে এসে বলবে, হে আদম, আপনাকে আল্লাহ্ পাক স্বয়ং তাঁর হাতে সৃজন করেছেন। আপনাকে জান্নাতে স্থান দিয়েছেন এবং তাঁর ফেরেশতাদের দ্বারা আপনাকে সিজদা করিয়েছেন, সুতরাং আপনি আমাদের জন্য শাফায়াত করুন যেন মহাপ্রভু আমাদের মাঝে বিচার ফায়সালা সম্পন্ন করে দেন। তখন আদম (আ) বলবেন, আমি তোমাদের জন্য সেই অবস্থানে নই। আমাকে আমার ত্রুটির কারণে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আজ আমি আমার নিজেকে নিয়েই চিন্তিত।
(এটি সুদীর্ঘ হাদীসের অংশবিশেষ। এর বিস্তারিত বর্ণনা সামনে বর্ণিত হবে ইনশাআল্লাহ্।)
(এটি সুদীর্ঘ হাদীসের অংশবিশেষ। এর বিস্তারিত বর্ণনা সামনে বর্ণিত হবে ইনশাআল্লাহ্।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى سبب خطيئة آدم وخروجه من الجنة والدليل على نبوته
عن ابن عباس (8) فى حديث الشفاعة قال ويطول يوم القيامة على الناس فيقول بعضهم لبعض انطلقوا بنا الى آدم أبى البشر فليشفع لنا الى رنا عز وجل فليقض بيننا، فيأتون آدم صلى الله عليه وسلم فيقولون يا آدم أنت الذي خلقك الله بيده وأسكنك جنته وأسجد لك وملائكته اشفع لنا الى ربنا فليقض بيننا، فيقول انى لست هناكم، انى قد أخرجت من الجنة يخطينى، وإنه لا يهمنى اليوم الا نفسى الحديث
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আদমের (আ) ভুলের কারণ, জান্নাত থেকে তাঁর নিষ্ক্রান্ত হওয়া এবং তাঁর নবুয়তের দলীল
(১০২) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে শাফায়াত সংক্রান্ত হাদীসে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, অতঃপর আদম (আ) বলবেন, নিশ্চয় আমার প্রভু আজ অত্যন্ত ক্রোধান্বিত; ইতিপূর্বে তিনি এমন ক্রোধান্বিত হননি এবং এর পরে আর কখনও এইরূপ ক্রোধান্বিত হবেন না। তিনি আমাকে একটি নির্দিষ্ট বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু আমি নাফরমানী করেছিলাম। সুতরাং নাফসী, নাফসী, নাফসী। আমি নিজের মুক্তি চাই! নিজের মুক্তি চাই! নিজের মুক্তি চাই!
(হাদিসটি গরীব।
(হাদিসটি গরীব।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى سبب خطيئة آدم وخروجه من الجنة والدليل على نبوته
ومما روى عن أبى هريرة (1) فى حديث الشفاعة أيضا قال فيقول آدم عليه السلام ان ربى عز وجل قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله، ولن يغضب بعده مثله، وإنه تهانى عن الشجرة فعصيته، نفسى نفسى نفسى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আদমের (আ) ভুলের কারণ, জান্নাত থেকে তাঁর নিষ্ক্রান্ত হওয়া এবং তাঁর নবুয়তের দলীল
(১০৩) আবু উমামা আল-বাহিলী (রা) থেকে বর্ণিত, আবু যর (রা) বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ), কোন নবী প্রথম? তিনি বলেন, আদম (আ)। আমি বললাম, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ, আদম (আ) কি নবী ছিলেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ, তিনি নবী মুকাল্লাম (যাঁর সাথে আল্লাহ্ কথা বলেছেন); আল্লাহ্ তাঁকে স্বহস্তে সৃষ্টি করেন; অতঃপর তাঁর মধ্যে তাঁর রূহ ফুকে দেন এবং তাঁকে সামনাসামনি বলেন, হে আদম!
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى سبب خطيئة آدم وخروجه من الجنة والدليل على نبوته
عن أبى أمامة الباهلى (2) أن أبا ذر رضى الله عنه قال قلت يا نبى الله فأى الأنبياء كان أول؟ قال آدم عليه السلام، قال يا نبى الله أو نبى كان آدم؟ قال نعن نبى مكلم، خلقه الله بيده، ثم نفخ فيه روحه ثم قال له يا آدم قبلا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আদমের (আ) ভুলের কারণ, জান্নাত থেকে তাঁর নিষ্ক্রান্ত হওয়া এবং তাঁর নবুয়তের দলীল
(১০৪) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, সূর্য উদয় হয়েছে, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন শুক্রবার দিন। এই দিনে আদমকে (আ) সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে। এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্য বর্ণনায় অতিরিক্ত এসেছে- এই দিনে আদমকে (আ) যমিনে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এই দিনেই আল্লাহ্ আদমকে (আ) ওফাত (মৃত্যু) দান করেছেন
(মালিক ও যাহাবী)
(মালিক ও যাহাবী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى سبب خطيئة آدم وخروجه من الجنة والدليل على نبوته
عن أبى هريرة (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير يوم طلعت فيه الشمس يوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه أدخل الجنة، وفيه أخرج منها، زاد فى أخرى وأهبط الله فيه آدم الى الارض وفيه توفى الله آدم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আদম ও মূসার (আ) বিতর্ক
(১০৫) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আদম ও মুসা (আ) বিতর্কে লিপ্ত হলেন। মূসা (আ) বললেন, হে আদম! আপনি আমাদের পিতা। আপনি আমাদের ক্ষতি সাধন করেছেন এবং আমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করেছেন। (অপর বর্ণনায়-আপনি সেই আদম, যাঁর ত্রুটি তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছিল।) তখন আদম (আ) তাঁকে বললেন, তুমি সেই মূসা, যাঁকে আল্লাহ্ তাঁর 'কালাম এর জন্য বাছাই করেছেন। (আবার বলেন), তাঁর রিসালত-এর জন্য নির্বাচিত করেছেন, এবং তাঁর স্বহস্তে তোমার জন্য (কিতাব) লিখেছেন। তুমি আমাকে ভর্ৎসনা করছো এমন একটি বিষয়ে, যে বিষয়টি আল্লাহ্ আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বে আমার জন্যে নির্ধারণ করে রেখেছিলেন? রাসূল (ﷺ) বলেন, আদম মুসার (আ) উপর বিজয়ী হলেন, আদম মুসার (আ) উপর বিজয়ী হলেন,আদম মুসার (আ) উপর বিজয়ী হলেন।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১ম খণ্ডে কিতাবুল কদর-এ বর্ণিত হয়েছে।)
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১ম খণ্ডে কিতাবুল কদর-এ বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى احتجاج آدم وموسى عليهما السلام
عن أبى هريرة (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احتج آدم وموسى عليهما السلام فقال موسى يا آدم أنت أبونا خيبتنا وأخرجتنا من الجنة (وفى رواية أنت آدم الذي أخرجتك خطيئتك من الجنة) فقال له آدم يا موسى أنت الذي اصطفاك الله بكلامه، وقال مرة برسالته وخط لك بيده أتلومنى على أمر قدره الله على قبل أن يخلقنى بأربعين سنة؟ قال حج آدم موسى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আদম (আ) এর সন্তান কাবীল, হাবীল ও অন্যান্য
(১০৬) বুসর ইবন সা'ঈদ থেকে বর্ণিত, সা'দ ইব্ন আবী ওয়াক্কাস (রা) উছমান ইব্ন আফফান (রা) এর সময়ে দেখা দেওয়া ফিতনা কালে বলেন, আমি এই মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) অবশ্যই বলেছেন, নিশ্চয় (ভবিষ্যতে) ফিতনা (সংঘটিত) হবে। সেই সময় উপবিষ্ট জন দণ্ডায়মান থেকে উত্তম, দণ্ডায়মান ব্যক্তি চলমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম এবং চলমান ব্যক্তি দ্রুত ধাবমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম (বলে বিবেচিত) হবে। সাহাবী বলেন, যদি আমার গৃহে প্রবেশ করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হস্ত প্রসারিত করে, তাহলে আমি কী করবো? তিনি বলেন, তুমি তখন আদম সন্তান (হাবীলে)র ন্যায় হয়ে যাও। (হাবীল তার হত্যাকারী ভাই কাবীলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হস্ত প্রসারিত করেনি)।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী)
(আবু দাউদ ও তিরমিযী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى ابنى آدم قابيل وهابيل وغيرهما
عن بسر بن سعيد (1) ان سعد ابن أبى وقاص رضى الله عنه قال عند فتنة عثمان بن عفان رضى الله عنه أشد أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إنها ستكون فتنة القاعد فيها خير من القائم، والقائم خير من الماشى، والماشى خير من الساعى، (2) قال افرأيتنى ان دخل على بيتى فبسط الى يده ليقتلنى قال كن كابن آدم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আদম (আ) এর সন্তান কাবীল, হাবীল ও অন্যান্য
(১০৭) আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যখনই কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হবে, তখনই সেই হত্যার একটি দায় আদমের (আ) প্রথম সন্তানের উপরে বর্তাবে। কারণ সে-ই সর্বপ্রথম হত্যার প্রচলন করে।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৩ম খণ্ডে উদ্ধৃত হয়েছে।)
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৩ম খণ্ডে উদ্ধৃত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى ابنى آدم قابيل وهابيل وغيرهما
عن عبد الله بن مسعود (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقتل نفس ظلما إلا كان على ابن آدم الأول كفل من دمها لأنه كان أول من سن القتل
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আদম (আ) এর সন্তান কাবীল, হাবীল ও অন্যান্য
(১০৮) সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, হাওয়া (আ) যখন গর্ভবতী হলেন, তখন শয়তান তাঁর পিছু নেয়। হাওয়া (আ)-এর সন্তান জীবিত থাকতো না। শয়তান তাঁকে বললো, তুমি এর নাম 'আবদুল হারিছ' রাখ, তাহলে এ বেঁচে যাবে। তখন তাঁরা এর নাম আবদুল হারিছ রাখেন। ছেলেটি বেঁচে যায়। এটি ছিল শয়তানের ওহী বা তার নির্দেশ।
(তিরমিযী ও মালিক)
(তিরমিযী ও মালিক)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى ابنى آدم قابيل وهابيل وغيرهما
عن سمرة (5) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال لما حملت حواء طاف بها ابليس (6) وكان لا يعيش لها ولد فقال سميه عبد الحارث (7) فإنه يعيش فسموه عبد الحرث فعاش وكان ذلك من وحى الشيطان وأمره
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আদম (আ)-এর ওফাত, গোসল, কাফন, জানাযা ও দাফন
(১০৯) 'উতাই (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মদীনায় একজন বৃদ্ধকে কথা বলতে দেখি এবং তাঁর পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। লোকজন বললো, ইনি হচ্ছেন উবাই ইব্ন কা'ব (রা)। তিনি বলেন, যখন আদমের (আ) মৃত্যুক্ষণ ঘনিয়ে আসল, তখন তিনি তার পুত্রগণকে বলেন, ছেলেরা, আমি জান্নাতের ফল খেতে চাই। তখন তাঁরা ফলের সন্ধানে বের হয়ে পড়েন। ঐ সময় ফেরেশতাদের সাথে তাঁদের সাক্ষাত হয়ে যায়। তাঁদের সাথে তাঁর কাফন, খুশবু, খাটিয়া ও সৎকারের অন্যান্য দ্রব্যাদি ছিল। তাঁরা (ফেরেশতাগণ) বললেন, হে আদম সন্তানেরা, তোমরা কী তালাশ করছো অথবা তোমরা কোথায় যাচ্ছ, কী চাও? তাঁরা বললেন, আমাদের পিতা অসুস্থ, তিনি জান্নাতের ফল খেতে চাচ্ছেন। ফেরেশতাগণ বললেন, তোমরা ফিরে যাও, তোমাদের পিতার মৃত্যু অতি সন্নিকটে। তখন তারা ফিরে আসলেন। হাওয়া (আ) যখন ফেরেশতাদের দেখতে পেলেন, তাঁদেরকে তিনি চিনে ফেলেন। তখন তিনি আদমের (আ) পাশে বসলেন। আদম (আ) তাঁকে বললেন, তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থাক, তুমিই আমার মৃত্যুর কারণ (অর্থাৎ শয়তানের প্ররোচনায় তুমি বিভ্রান্ত না হলে আমাকে জান্নাত থেকে বের হতে হতো না এবং আমার মৃত্যুও হতো না)। তুমি আমার মহাপ্রভুর ফেরেশতাদের ও আমার মধ্যখান থেকে সরে যাও। অতঃপর তাঁরা তাঁর জীবন হরণ করেন, তাঁকে গোসল দেন। কাফন পরিধান করান, খুশবু মাখেন, কবর খনন করেন, জানাযা আদায় করেন এবং সবশেষে তাঁর লাশ কবরে প্রবেশ করিয়ে সেখানে রেখে দেন। তাঁর উপর পাটাতন স্থাপন করেন এবং কবর থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর কবরের উপর মৃত্তিকা ছিটিয়ে দেন। এরপর তাঁরা বলেন, হে আদম সন্তান, এই হচ্ছে তোমাদের (সৎকারের) নিয়ম।
(হাইছামী)
(হাইছামী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء في وفاة آدم عليه السلام وغسله وتكفينه والصلاة عليه ودفنه
عن عتبى (1) قال رأيت شيخا بالمدينة يتكلم فسألت عنه فقالوا هذا أبى بن كعب رضى الله عنه فقال ان آدم عليه السلام لما حضره الموت قال لبنيه اى بنى إنى أشتهى من ثمار الجنة فذهبوا يطلبون له فاستقبلهم الملائكة ومعهم أكفانه وحنوطه (2) ومعهم الفؤس والمساحى والمكاتل فقالوا لهم يا بنى آدم ما تريدون وما تطلبون أو ما تريدون وأين تذهبون؟ قالوا أبونا مريض قالوا فاشتهى من ثمار الجنة، قالوا لهم ارجعوا فقد قضى قضاء أبيكم (3) فجاؤا فلما رأتهم حواء عرفتهم (4) فلاذت بآدم فقال اليك عنى فانى انما أوتيت من قلبك (5) خلى بينى وبين ملائكة ربى تبارك وتعالى، فقبضوه وغسلوه وكفنوه وحنطوه وحفروا له والحدوا له وصلوا عليه، ثم دخلوا قبره فوضعوه فى قبره ووضعوا عليه اللبن (6) ثم خرجوا من القبر ثم حثوا عليه التراب ثم قالوا يا بنى آدم هذه سنتكم
তাহকীক: