মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০৯ টি
হাদীস নং: ৬১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ফেরেশতা সৃষ্টি প্রসংগ
(৬১) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, রাত ও দিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ ফজর ও আসরের সালাতের সময় মিলিত হন। ফজরের সালাতের সময় তাঁরা একত্রিত হন। এই সময় রাতের দায়িত্বশীলগণ উপরে চলে যান, আর দিনের দায়িত্ব পালনকারীগণ থেকে যান। আবার তাঁরা আসরের সময় একত্রিত হন এবং দিনের ফেরেশতাগণ ঊর্ধ্বে গমন করেন এবং রাতের ফেরেশতাগণ থেকে যান। তাঁদের রব (প্রভু) তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের তোমরা কি অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? তাঁরা উত্তর দেন, আমরা তাঁদেরকে সালাত আদায়রত অবস্থায় পেয়েছি এবং সালাত আদায়রত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি।
সুলায়মান আল-আ'মাশ নামক জনৈক রাবী বলেন, আমার যতদূর মনে হয়-আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এখানে এও বলেছেন যে, ফেরেশতাগণ তখন আরয করেন, “সুতরাং কিয়ামতের দিন আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন।"
(এই হাদীসের ব্যাখ্যা ও উদ্ধৃতি দ্বিতীয় খণ্ডে কিতাবুস সালাতে বর্ণিত হয়েছে।)
সুলায়মান আল-আ'মাশ নামক জনৈক রাবী বলেন, আমার যতদূর মনে হয়-আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এখানে এও বলেছেন যে, ফেরেশতাগণ তখন আরয করেন, “সুতরাং কিয়ামতের দিন আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন।"
(এই হাদীসের ব্যাখ্যা ও উদ্ধৃতি দ্বিতীয় খণ্ডে কিতাবুস সালাতে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الملائكة
عن أبى هريرة (8) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال تجتمع ملائكة الليل والنهار فى صلاة الفجر وصلاة العصر، قال فيجتمعون فى صلاة الفجر قال فتصعد ملائكة الليل وتثبت ملائكة النهار، قال ويجتمعون فى صلاة العصر قال فيصعد ملائكة النهار وتثبت ملائكة الليل، قال فيسألهم ربهم كيف تركتم عبادى؟ قال فيقولون أتيناهم وهم يصلون وتركناهم وهم يصلون، قال سليمان (يعنى الأعمش أحد الرواة) ولا اعلمه إلا قد قال فيه فاغفر لهم يوم الدين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ফেরেশতা সৃষ্টি প্রসংগ
(৬২) আবদুল্লাহ ইবন মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য দুইজন করে সঙ্গী নিযুক্ত করা আছে। একজন জ্বিন সঙ্গী এবং আরেকজন ফেরেশতা সঙ্গী। লোকজন জিজ্ঞেস করলো, আপনারও কি এইরূপ আছে ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমারও আছে। তবে আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে বিশেষভাবে সেই সঙ্গীর উপর সাহায্য করেছেন, ফলে সে আমাকে সত্য ছাড়া অন্য কিছুর আদেশ করেনা।
(মুসলিম ও অন্যান্য)
(মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الملائكة
عن عبد الله (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما منكم من أحد إلا وقد وكل به قرينه من الجن وقربته من الملائكة، قالوا واياك يا رسول الله؟ قال واياى ولكن الله أعاننى عليه فلا يأمرنى إلا بحق
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ফেরেশতা সৃষ্টি প্রসংগ
(৬৩) 'আবদুল্লাহ ইবন 'উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছেন, আদমকে (আ) আল্লাহ তা'আলা যখন যমিনে প্রেরণ করলেন, তখন ফেরেশতারা বললেন হে প্রভু, আপনি যমিনে এদের পাঠাচ্ছেন, যারা বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত করবে। অথচ আমরা তো আপনার তাসবীহ-প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করে যাচ্ছি! আল্লাহ্ বললেন, আমি সেই বিষয়ে সর্বাধিক অবগত যা তোমরা জান না। তাঁরা বললেন, আমরা বনী আদমের তুলনায় আপনার অধিক আনুগত্যশীল। আল্লাহ্ তখন ফেরেশতাদের বললেন, ঠিক আছে, তোমরা দুইজন ফেরেশতা নিয়ে আস, তাদেরকে যমিনে প্রেরণ করে দেখা যাক কী ধরনের আমল তারা করে। তারা বললেন, হে আমাদের প্রভু, এই (নিন) হারূত ও মারূত। অতঃপর তাঁদেরকে যমিনে প্রেরণ করা হয় এবং যুহরা (নক্ষত্রবিশেষ) কে অত্যন্ত সুন্দরী স্ত্রীলোকের অবয়ব ও রূপ-লাবণ্য দিয়ে তাদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হয়। যুহরা তাদের কাছে এলে তারা তাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। যুহরা বলে, না আল্লাহর শপথ, তোমরা আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত পাবে না যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর সাথে শিরকের কালেমা উচ্চারণ কর। তারা বললো, আল্লাহর শপথ, আমরা কখনো আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করবো না। যুহরা চলে গেল। কিন্তু পরে আবার ফিরে এল তার কোলে একটি শিশুকে নিয়ে। হারূত-মারূত আবার তাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলো। সে বললো, আল্লাহর শপথ, যতক্ষণ না তোমরা এই শিশুটিকে হত্যা করবে ততক্ষণ আমাকে পাবে না। তারা বললো, না, আল্লাহর শপথ, আমরা তাকে কখনও হত্যা করবো না। যুহরা ফিরে গেল। কিন্তু পুনরায় সে একটি শরাবের পাত্র নিয়ে ফিরে এল। এবারও তারা তাকে পাওয়ার বাসনা প্রকাশ করলো। সে বললো, না আল্লাহর শপথ, যতক্ষণ না তোমরা এই শরাব পান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে পাবে না। তখন তারা শরাব পান করলো এবং অপ্রকৃতস্থ হয়ে যুহরার উপর চড়াও হলো এবং শিশুটিকে হত্যা করলো। যখন তারা প্রকৃতস্থ হয়, তখন স্ত্রীলোকটি বলে, আল্লাহর শপথ, তোমরা সবকিছুই করলে মদের নেশায় অপ্রকৃতস্থ হয়ে, যা তোমরা পূর্বে করতে অস্বীকার করেছিলে! এরপর তাদেরকে দুনিয়ার শাস্তি অথবা আখিরাতের শাস্তির মধ্যে যে কোন একটি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। অতঃপর তারা দুনিয়ার শাস্তিকেই বেছে নেয়।
(এই হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
(এই হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الملائكة
عن عبد الله بن عمر (2) أنه سمع نبى الله صلى الله عليه وسلم يقول أن آدم صلى الله عليه وسلم لما اهبطه الله تعالى الى الارض قالت الملائكة أى رب اتجعل فيها من يفسد فيها ويسفك الدماء ونحن نسبح بحمدك ونقدس لك، قال انى اعلم ما لا تعلمون، قالوا ربنا نحن اطوع لك (3) من بنى آدم، قال الله تعالى للملائكة هلموا ملكين من الملائكة حتى يهبط بهما الى الأرض (4) فننظر كيف يعملون، قالوا ربنا هاروت وماروت فأهبطا الى الأرض ومثلت لهما الزهرة بامرأة من أحسن البشر فجاءتهما فسألاها نفسها، فقالت لا والله حتى تكلما بهذه الكلمة من الإشراك، فقالا والله لا نشرك بالله أبدا فذهبت عنهما ثم رجعت بصبى تحمله فسألاها نفسها، قالت لا والله حتى تقتلا هذا الصبى، فقالا والله لا تقتله أبدا، فذهبت ثم رجعت بقدح خمر تحمله فسألاها نفسها، قالت لا والله حتى تشربا هذا الخمر فشربا فسكرا فوقعا عليها وقتلا الصبى، فلما أفاقا قالت المرأة والله ما تركتما شيئا مما ابيتماه علي إلا قد فعلتما حين سكرتما فخيرا بين عذاب الدنيا والآخرة فاختارا عذاب الدنيا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ফেরেশতা সৃষ্টি প্রসংগ
(৬৪) আবু হুরাইরা (রা) ও আবূ সা'ঈদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মানুষের আমলনামা-লেখক ফেরেশতাগণ ছাড়াও আল্লাহর অনেক ফেরেশতা রয়েছেন, যাঁরা যমিনে বিচরণ করতে থাকেন। যখন তাঁরা কোন গোত্র বা দলকে আল্লাহর স্মরণে লিপ্ত দেখতে পান, তখন তাঁরা অন্য সাথীদেরকে ডেকে বলেন, এদিকে এস তোমাদের উদ্দিষ্ট পাওয়া গিয়েছে। তখন তাঁরা সেখানে আসেন এবং দুনিয়ার আকাশ পর্যন্ত উচ্চতায় তাদেরকে ঘিরে রাখেন। তখন আল্লাহ্ তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদেরকে কী কাজে রত অবস্থায় ছেড়ে আসলে? তাঁরা উত্তর দেন, আমরা তাদেরকে ছেড়ে এসেছি এ অবস্থায় যে, তারা তোমার প্রশংসা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা এবং তোমার যিকর (বা স্মরণ) করছে। আল্লাহ্ বলেন, তারা কি আমাকে দেখেছে? তাঁরা বলেন, না। আল্লাহ্ বলেন, যদি তারা আমাকে দেখতো, তাহলে কেমন করতো? তাঁরা বলেন, যদি তারা আপনাকে দেখতে পেত, তাহলে তাদের প্রশংসা, শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা ও যিকির আরও অনেক বেশী হতো। তখন আল্লাহ্ বলেন, তাঁরা কী চায়? তাঁরা উত্তর দেন, জান্নাত। আল্লাহ্ বলেন, তাঁরা কি জান্নাত দেখেছে? তাঁরা বলেন, না। আল্লাহ্ বলেন, যদি তারা তা দেখতো, তাহলে কী অবস্থা হতো? তাঁরা বলেন, যদি তারা তা দেখতে পেত, তাহলে জান্নাতের প্রতি তাদের বাসনা ও আবেদন আরো অনেক বেশী শক্তিশালী হতো। আল্লাহ্ বলেন, তারা কোন জিনিস থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করে? তাঁরা বলেন, জাহান্নাম থেকে। আল্লাহ্ বলেন, তারা কি তা দেখেছে? তাঁরা বলেন, না। আল্লাহ্ বলেন, যদি তারা তা দেখতো, তাহলে কী অবস্থা হতো? তাঁরা বলেন, যদি তারা তা দেখতে পেত, তাহলে তারা আরো বেশী ভীত ও পলায়নপর হতো। আল্লাহ্ তখন ঘোষণা দেন, আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয় আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তখন ফেরেশতারা বলেন, এই দলে তো অমুক ব্যক্তি গোনাহগার রয়েছে, যে গোনাহ থেকে ফিরে আসেনি (তওবা করেনি), সে সেখানে গিয়েছিল অন্য কোন প্রয়োজনে! কিন্তু আল্লাহ্ বলেন, এরা এমন এক দল, যাদের সাথে যোগদানকারী বঞ্চিত হতে পারে না।
(এই হাদীসের ব্যাখ্যা ও উদ্ধৃতি ১৪শ খণ্ডে কিতাবুল আযকারে বর্ণিত হয়েছে।)
(এই হাদীসের ব্যাখ্যা ও উদ্ধৃতি ১৪শ খণ্ডে কিতাবুল আযকারে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الملائكة
عن أبى هريرة أو أبى سعيد (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن لله وملائكته سياحين فى الأرض فضلا عن كتاب الناس، فاذا وجدوا قوما يذكرون الله تنادوا هلموا إلى بغيتكم، فيجيئون فيحون بهم الى السماء الدنيا، فيقول الله أى شئ تركتم عبادى يصنعون؟ فيقولون تركناهم يحمدونك ويمجدونك ويذكرونك، فيقول هل رأونى؟ فيقولون لا، فيقول فكيف لو رأونى؟ فيقولون لو رأوك لكانوا أشد تحميدا وتمجيدا وذكرا، فيقول فأى شئ يطلبون؟ فيقولون يطلبون الجنة، فيقول وهل رأوها؟ فيقولن لا، فيقول فكيف لو رأوها؟ كانوا أشد عليها حرصا وأشد لها طلبا، قال فيقول ومن أى شئ يتعوذون؟ فيقولون من النار، فيقول وهل رأوها؟ فيقولان لا، قال فيقول فكيف لو رأوها؟ فيقولون لو رأوها كانوا أشد منها هربا وأشد منها خوفا، قال فيقول انى قد غفرت لهم، قال فيقولون فان فيهم فلانا الخطاء لم يردهم، إنما جاء لحاجة، فيقول هو القوم لا يشفى جليسهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৬৫) আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ফেরেশতা সৃষ্টি করা হয়েছে নূর থেকে, জ্বিন সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ থেকে এবং আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই উপাদান থেকে যা তোমাদের কাছে বর্ণনা করা হয়েছে।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদের প্রথমেই বর্ণনা করা হয়েছে।)
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদের প্রথমেই বর্ণনা করা হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن عائشة (2) رضى الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خلقت الملائكة من نور، وخلقت الجان من مارج من نار، وخلق آدم عليه السلام مما وصف لكم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৬৬) জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ইবলিস তার সিংহাসন স্থাপিত করে পানির উপর (অন্য বর্ণনায় সমুদ্রের মধ্যে)। এরপর বিভিন্ন দিকে সে তার সঙ্গীদের প্রেরণ করে (আদম সন্তানকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে)। সুতরাং যে যত বড় ফিৎনা (বিপর্যয়) ঘটাতে পারবে, সে তার কাছে তত বেশী সম্মানিত। তাদের একেক জন উপস্থিত হয়ে বলতে থাকে, আমি এই এই করেছি। সে বলে, তুই কিছুই করিসনি। এবং আর একজন এসে বলে, আমি অমুক ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এসেছি। ইবলিস তাকে কাছে টেনে নেয় এবং কিংবা তিনি বলেছেন, সে তাকে জড়িয়ে ধরে; অথবা বলে, তুই হচ্ছিস আসল কাজের লোক। (আবূ মু'আবিয়া বলেন) সে তাকে তার নৈকট্য দান করে।
(মুসলিম ও অন্যান্য।)
(মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن جابر (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن أبليس يضع عرشه (4) على الماء (وفى رواية فى البحر) ثم يبعث سراياه (5) فأدناهم منه منزلة (6) أعظهم فتنة يجئ أحدهم فيقول فعلت كذا وكذا (7) فيقول ما صنعت شيئا (8) قال ويجئ أحدهم فيقول ما تركته حتى فرقت بينه وبين أهله قال فيدينه منه (9) أو قال فيلتزمه أو يقول نعم أنت قال أبو معاوية مرة فيدينه منه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৬৭) আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইব্ন সইয়াদকে বলেন, তুমি কী দেখতে পাচ্ছ? তিনি বলেন, সমুদ্রের উপর একটি আরশ দেখতে পাচ্ছি যার চারিদিকে সর্পকূল বেষ্টিত। রাসূল (ﷺ) বলেন, এটি ইবলিসের সিংহাসন।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ও ব্যাখ্যা 'কিতাবুল ফিতান'-এ আসছে।)
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ও ব্যাখ্যা 'কিতাবুল ফিতান'-এ আসছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن أبى سعيد الخدرى (2) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لابن صائد ما ترى؟ قال أرى عرشا على البحر حوله الحيات، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يرى عرش ابليس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৬৮) সাবরা ইবন আবী ফাকিহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছি, শয়তান আদম-সন্তানের পথে পথে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। সে ইসলামের রাস্তায় বসে থেকে আদম সন্তানকে বলে, তুমি ইসলাম গ্রহণ করবে? তোমার ধর্ম, তোমার বাবার ধর্ম, তোমার দাদা-পরদাদার ধর্ম পরিত্যাগ করবে? কিন্তু আদম সন্তান তার কথা অমান্য করে ইসলাম গ্রহণ করে। এরপর সে হিজরতের রাস্তায় বসে তাকে বলে, তুমি হিজরত করবে? তোমার দেশ, তোমার আকাশ পরিত্যাগ করবে? আরে মুহাজির তো রশিতে বাঁধা ঘোড়ার মত। আদম সন্তান তার কথা অমান্য করে হিজরত করে। এরপর ইবলিস জিহাদের রাস্তায় বসে তাকে বলে, জিহাদ হচ্ছে জান ও মালের অপচয়, তুমি যুদ্ধ করবে, তোমাকে হত্যা করা হবে, তোমার স্ত্রীকে বিবাহ দেওয়া হবে, তোমার সম্পদ বণ্টিত হবে। আদম সন্তান তার কথা অমান্য করে জিহাদে অংশ নেয়। রাসূল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি এইরূপ করে মৃত্যুবরণ করবে, আল্লাহ্ তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; অথবা যদি নিহত হয়, তাহলে আল্লাহ্ তাকে অবশ্যই জান্নাতে স্থান দিবেন, সে যদি পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে তাহলেও আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে স্থান দিবেন, অথবা তার বাহন যদি তাকে হত্যা করে, তবু আল্লাহ্ তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
(নাসাঈ)
(নাসাঈ)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن سيرة بن أبى فاكه (3) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الشيطان قعد لابن آدم بأطرقه (4) فقعد له بطريق الاسلام فقال له أتسلم (5) وتذر دينك ودين أبائك وآباء أبيك؟ قال فعصاه فأسلم، ثم قعد له بطريق الهجرة فقال أتهاجر وتذر أرضك وسماءك؟ وإنما مثل المهاجر كمثل الفرس فى الطول (6) قال فعصاه فهاجر، قال ثم قعد له بطريق الجهاد فقال له هو جهد (7) النفس والمال فتقاتل فتقتل فتنكح المرأة ويقسم المال، قال فعصاه فجاهد، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فمن فعل ذلك منهم فمات كان حقا على الله ان يدخله الجنة، أو قتل كان حقا على الله عز وجل أن يدخله الجنة، وان غرق كان حقا على الله أن يدخله الجنة أو قصته (8) دابته كان حقا على الله أن يدخله الجنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৬৯) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের এই যমিনে কেউ শয়তানের ইবাদত করবে-এ ব্যাপারে সে নিরাশ হয়েছে। তবে তোমরা যেসন গুনাহ ছোট মনে করে তুচ্ছ জ্ঞান কর, সে ব্যাপারে সে সন্তুষ্ট আছে।
(আহমদ। রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(আহমদ। রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن أبى هريرة (9) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ان الشيطان قد أيس ان يعبد بأرضكم هذه ولكنه قد رضى منكم بما تحقرون
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭০) জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, বর্ণনাকারী ইবন নুমাইর বলেছেন, (তার শব্দ ছিল) আমি রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছি, নিশ্চয় শয়তান এই বিষয়ে নিরাশ হয়েছে যে, মুসল্লীগণ তার ইবাদত করবেন; তবে তাঁদের মধ্যে মতভেদ, বিবাদ-বিসংবাদ ইত্যাদির ব্যাপারে সে নিরাশ নয়।
(মুসলিম ও মালিক)
(মুসলিম ও মালিক)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن جابر (2) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال ابن نمير (3) فى حديثه سمعت النبى صلى الله عليه وسلم قال ان الشيطان قد أيس أن يعبده المصلون ولكن فى التحريش بينهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭১) জাবির (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার প্রাক্কালে তোমরা তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুসমূহ ও শিশুদেরকে ছেড়ে দিও না, যতক্ষণ না সান্ধ্যকালীন অন্ধকার বিদূরিত হয়। কেননা এই সময়ের মধ্যে শয়তানরা বিচরণ করতে থাকে।
(মালিক)
(মালিক)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
وعنه ايضا (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا ترسلوا فواشيكم (6) وصبيانكم اذا غابت الشمس حتى تذهب فحمة العشاء (7) فان الشياطين تعبث اذا غابت الشمس حتى تذهب فحمة العشاء
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭২) 'উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর (রা) মা আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল এক রাত্রে তাঁর কাছ থেকে বের হয়ে আসেন। আয়েশা (রা) বলেন, এতে তাঁর প্রতি আমার অভিমান হয। (একটু পর) তিনি আমি কী করি দেখার জন্য ফিরে আসেন। তিনি বললেন, হে আয়েশা, তোমার কি হলো? তুমি অভিমান করেছ? আমি বললাম, আপনার মত কারও প্রতি আমার মত কেউ অভিমান করবে না, তা কী করে হয়? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমাকে কি তোমার শয়তানে পেয়েছে? আয়েশা (রা) বললেন, আমার সাথে কি শয়তান আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, প্রত্যেক মানুষের সাথেই আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, আপনার সাথেও আছে কি ইয়া রাসূলাল্লাহ্? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আমার মহাপ্রভু তার কুমন্ত্রণা থেকে আমাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছেন, ফলে আমি নিরাপদ আছি।
(হুবহু একই সনদে ও একই শব্দে মুসলিম)
(হুবহু একই সনদে ও একই শব্দে মুসলিম)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن عروة بن الزبير (8) ان عائشة زوج النبى صلى الله عليه وسلم حدثت أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج من عندها ليلا قالت فغرت، عليه قالت فجاء فرأى ما أصنع فقال مالك يا عائشة أغرت؟ قالت فقلت ومالى أن لا يغار مثلى على مثلك، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أفأخذك شيطانك؟ قالت يا رسول الله أو معى شيطان؟ قال نعم، قلت ومع كل انسان؟ قال نعم، قلت ومعك يا رسول الله؟ قال نعم ولكن، ربى عز وجل أعاننى عليه حتى أسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭৩) ইব্ন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি করে শয়তান সঙ্গী নিযুক্ত করা আছে। লোকজন বলল, আপনার জন্যও কি ইয়া রাসূলাল্লাহ্? তিনি বলেন, হ্যাঁ; তবে আল্লাহ্ আমাকে সেই শয়তানের উপর বিশেষভাবে মদদ করেছেন; পরে থেকে আমি নিরাপদ।
(হাইছামী, তাবারানী ও বাযযার।)
(হাইছামী, তাবারানী ও বাযযার।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس منكم من أحد ألا وقد كل به قرينه من الشياطين، قالوا وأنت يا رسول الله؟ قال نعم ولكن الله أعانني عليه فأسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭৪) ইবন মাসউদ (রা) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে সেখানে এসেছে- আল্লাহ্ তা'আলা সেই শয়তানের উপর আমাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছেন, ফলে সে আমাকে সত্যের প্রতিই নির্দেশনা দেয়।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن ابن مسعود (1) عن النبى صلى الله عليه وسلم مثله وفيه ولكن الله أعاننى عليه فلا يأمرنى الا بحق (خط)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭৫) জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা স্বামী অনুপস্থিত এমন মহিলাদের কাছে যেও না। কেননা শয়তান তোমাদের রক্তপ্রবাহী ধমনীর মধ্যেও প্রবেশ করতে পারে। আমরা বললাম, আপনারও কি, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমার ক্ষেত্রেও তাই। তবে আল্লাহ্ আমাকে সাহায্য করেছেন, তাই আমি নিরাপদে আছি।
(এই হাদীসের তাখরীজ পঞ্চম খণ্ডে সালাতুস সফরে ১১৯৪ নং হাদীসের অধীনে উল্লেখ করা হয়েছে।)
(এই হাদীসের তাখরীজ পঞ্চম খণ্ডে সালাতুস সফরে ১১৯৪ নং হাদীসের অধীনে উল্লেখ করা হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن جابر بن عبد الله (2) قال قال لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تلجوا على المغيبات فان الشيطان يجرى من أحدكم مجرى الدم قلنا ومنك يا رسول الله؟ ومنى ولكن الله أعاننى عليه فأسم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭৬) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, শয়তান আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, আমি তাকে ধরে ফেলি এবং তার গলা টিপে ধরি এমনকি তার জিহ্বার শীতলতা আমার হাতে অনুভূত হচ্ছিল। তখন সে বললো, আপনি আমাকে ব্যাথা দিয়েছেন। আপনি আমাকে ব্যাথা দিয়েছেন।
(আহমদ)
(আহমদ)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن عبد الله (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مره على الشيطان فأخذته فخنقته حتى لأجد برد لسانه فى يدى، فقال أوجعتنى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭৭) আবু হুরাইরা (রা) ইস্রা সংক্রান্ত হাদীসে রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন; রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আমি যখন দুনিয়ার আকাশে আরোহণ করি, তখন আমার নীচের দিকে তাকিয়ে দেখি ধূলাবালি, ধোঁয়া ও চিৎকার। তখন আমি জিব্রাইলকে (আ) বললাম, এটা কী? তিনি বললেন, এগুলো হচ্ছে শয়তান। এরা আদম সন্তানের চোখের দৃষ্টির সম্মুখে আবরণ সৃষ্টি করছে যেন তারা অধঃলোক ও উর্ধ্বলোকের রাজত্ব সম্পর্কে চিন্তা না করে। এটি (এই আবরণ) না থাকলে তারা আশ্চর্য বিষয়াবলী দেখতে পেত।
(হাদীসটি গরীব)
(হাদীসটি গরীব)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
عن أبى هريرة (4) فى حديث الاسراء عن النبى صلى الله عليه وسلم قال فلما نزلت الى السماء الدنيا نظرت أسفل منى فاذا أنا برهج ودخان وأصوات، فقلت ما هذا يا جبريل؟ قال هذه الشياطين يحومون على أعين بنى آدم ان لا يتفكروا فى ملكوت السموات والأرض ولولا ذلك لرأوا العجائب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : জ্বিন সৃষ্টি ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াবলী
(৭৮) আবূ হুরাইরা থেকে আরো বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, জিন গোত্রীয় একটি শয়তান (ইফরীত) গতরাতে আমার সালাতে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য এসেছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে সে সফল হয়নি বরং আমি তাকে তাড়া করেছি। আমি (একবার) চেয়েছিলাম যে ওটিকে মসজিদের কোন খুঁটির সাথে বেঁধে রাখি, যেন সকাল হলে তোমরা সবাই তাকে দেখতে পাও। কিন্তু হঠাৎ আমার ভাই সুলায়মানের (আ) দোয়ার কথা স্মরণ হয়ে গেল:
رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي
অর্থাৎ “হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে এমন সাম্রাজ্য প্রদান করুন, যা আমার পরে আর কেউ না পায়।”
তাই তিনি (ﷺ) তাকে অপমান করে ছেড়ে দিয়েছেন।
(বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ)
رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي
অর্থাৎ “হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে এমন সাম্রাজ্য প্রদান করুন, যা আমার পরে আর কেউ না পায়।”
তাই তিনি (ﷺ) তাকে অপমান করে ছেড়ে দিয়েছেন।
(বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجن وأمور تتعلق بهم
وعنه أيضا (5) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ان عفريتا (6) من الجن تفلت على البارحة ليقطع على الصلاة فامكننى الله منه فدعته (7) وأردت أن أربطه إلى جنب سارية من سواري المسجد حتى تصبحوا فتنظروا إليه كلكم أجمعون، قال فذكرت دعوة أخى سليمان (رب هب لى ملكا لا ينبغى لأحد من بعدى) (1) قال فرده خاسئا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৭৯) আলকামা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবন মাসউদকে (রা) জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের মধ্যে কেউ কি জ্বিনের রাত্রিতে রাসূলের (ﷺ) সঙ্গী হয়েছিলেন? তিনি বলেন, না আমাদের কেউ সঙ্গী হয়নি। তবে আমরা এক রাত্রিতে রাসূলকে (ﷺ) হারিয়ে ফেলি এবং আমরা বলাবলি করি যে, তাঁকে কি হত্যা করা হয়েছে? তাকে অপহরণ করা হয়েছে? তার কী হয়েছে? সেই রাতটি আমরা কাটাই দারুণ উৎকণ্ঠার সাথে সবচেয়ে খারাপ রাত হিসেবে। কিন্তু রাত যখন ভোর হওয়ার পথে অথবা শেষরাতে আমরা রাসূলকে (ﷺ) দেখতে পাই; তিনি হেরার দিক থেকে আসছেন। তখন আমরা বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্, এরপর লোকজন তাদের উৎকণ্ঠার কথা বললো। তিনি বললেন, আমার কাছে জ্বিনের একজন দা'ঈ (দাওয়াত দানকারী) এসেছিল; তখন আমি তাদের কাছে যাই এবং তাদের উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠ করি। তখন রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে (হেরার দিকে) অগ্রসর হলেন এবং আমাকে জ্বিনদের চিহ্নসমূহ ও তাঁদের অগ্নির নিদর্শনসমূহ দেখালেন। (শা'বী নামক জনৈক রাবী বলেন) তারা তাদের খাবার সম্পর্কে প্রশ্ন করে। (ইবন আবী যায়িদাহ বলেন, আমির বলেছেন) তারা তাদের সেই রাতের খাবারের ব্যাপারে প্রশ্ন করে। তিনি বলেন, তারা ছিল আল-জাযীরার জ্বিন। রাসূল (ﷺ) বলেন, তাদের খাবার হল আল্লাহর নামে জবাইকৃত জন্তুর হাড় যা তোমাদের হাতে আসে অথবা যেখানে অনেক মাংস থাকে। আর তোমার চতুষ্পদ জন্তুর বিষ্ঠা বা গোবর দিয়ে ইস্তিঞ্জা (প্রস্রাব বা পায়খানার পর ব্যবহার্য) হিসাবে ব্যবহার করবে না। কারণ তা তোমাদের ভাই জিনদের পাথেয়।
(প্রথম খণ্ডের কিতাবুত ত্বাহারাতে এই হাদীসের ব্যাখ্যা ও উদ্ধৃতি বর্ণিত হয়েছে।।)
(প্রথম খণ্ডের কিতাবুত ত্বাহারাতে এই হাদীসের ব্যাখ্যা ও উদ্ধৃতি বর্ণিত হয়েছে।।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
حدثنا اسماعيل (3) أنا داود وابن أبى زائدة المعنى قالا ثنا داود عن الشعبى عن علقمة قال قلت لابن مسعود هل صحب رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة الجن منكم أحد؟ فقال ما صحبه منا أحد، ولكن قد فقدناه ذات ليلة فقلنا اغتيل استطير ما فعل؟ قال فبتنا بشر ليلة بات بها قوم، فلما كان فى وجه الصبح أو قال فى السحر إذ نحن به يجئ من قبل حراء، فقلنا يا رسول الله فذكروا الذى كانوا فيه، فقال انه أنانى داعى الجن فأتيتهم فقرأت عليهم، قال فانطلق بنا فأرانى آثارهم وأثار نيرانهم، قال وقال الشعبى سألوه الزاد قال ابن أبى زائدة قال عامر فسألوه ليلتئذ الزاد وكانوا من جن الجزيرة، فقال كل عظم ذكر اسم الله عليه يقع فى أيديكم أو فر ما كان عليه لحما، وكان بعرة أوروثة علف لدوابكم: فلا تستنجوا بهما فانهما زاد أخوانكم من الجن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮০) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জ্বিনের প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাতের রাতে রাসূলের (ﷺ) সাথে ছিলাম। রাসূল (ﷺ) সেখান থেকে ফিরে এসে (জোরে) নিঃশ্বাস নিলেন। আমি বললাম, আপনার অবস্থা কী? তিনি বললেন, হে ইবন মাসউদ, আমি ক্লান্ত-শ্রান্ত বোধ করছি।
(হাদীসটি গরীব)
(হাদীসটি গরীব)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
عن عبد الله بن مسعود (4) قال كنت مع النبى صلى الله عليه وسلم ليلة وفد الجن فلما انصرف تنفس، فقلت ما شأنك؟ فقال نعيت الى نفسى يابن مسعود
তাহকীক: