মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০৯ টি

হাদীস নং: ৮১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮১) ইবন মাসউদ (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) জ্বিনদের রাত্রে তার (ইবন মাসউদের) চারপাশে রেখা টানেন। তাদের এক একজন আসছিল খেজুর বৃক্ষের ন্যায়। তিনি আমাকে বললেন, তোমার স্থান থেকে বের হইও না। রাসূল (ﷺ) তাদের উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠ করে শোনান। অতঃপর তিনি যখন 'জুত্ব' (সুদানের এক গোষ্ঠী)-কে দেখতে পেলেন, তখন তিনি বললেন, জ্বিনরা যেন এদের মত। নবী (ﷺ) বললেন, তোমার সাথে পানি আছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তোমার সাথে 'নাবীয' আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি তা দিয়ে ওযু করেন।
(কুরতুবী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
وعنه ايضا (6) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة الجن خط حوله (أى حول ابن مسعود) فكان يجيئ أحدهم مثل سواد النخل وقال لى لا تبرح مكانك، فأقرأهم كتاب الله عز وجل، فلما رأى الرط (7) قال كأنهم هؤلاء، وقال النبى صلى الله عليه وسلم أمعك ماء؟ قلت لا، قال أمعك نبيذ؟ قلت نعم فتوضأ به
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮২) ইবন মাসউদ (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আমি জ্বিনের রাত অতিবাহিত করেছি তাদের উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠ করে, হাজুন পাহাড়ে। তারা এসেছিল পরস্পর বন্ধুভাবাপন্ন ও দলবদ্ধভাবে।
(আহমদ)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
وعنه أيضا (8) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بت الليلة أقرأ على الجن رفقاء (1) بالحجون
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৩) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, 'আমর বলেছেন, 'আবদুল্লাহ বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে সাথে নিলেন এবং আমরা অমুক অমুক স্থানে পৌছালাম। তখন রাসূল (ﷺ) আমাকে ঘিরে একটি রেখা টেনে দিলেন এবং আমাকে বললেন, তুমি আমার পেছনে এখানটায় অবস্থান করবে এখান থেকে বের হবে না; এখান থেকে বের হলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং আমি সেখানে অবস্থান করলাম। রাসূল (ﷺ) পাথর নিক্ষেপ করার মত অথবা এর চেয়ে একটু বেশী দূরত্বে গেলেন। (অথবা তিনি যেরূপ বলেছেন)। অতঃপর তাদের পুরুষরা (জ্বিন সম্প্রদায়ের) আসতে লাগলো ('আফ্ফান বলেছেন) যেন তারা যুত্ব (সুদানের এক গোষ্ঠী) সম্প্রদায়ের মতো ইনশাআল্লাহ। তাদের গায়ে কোন কাপড় ছিল না, কিন্তু আমি তাদের খারাপও (গুপ্তাঙ্গসমূহ) কিছু দেখিনি; তারা দীর্ঘাকৃতির (কম মাংসসম্পন্ন) ও ক্ষীণকায়। তারা এসে একে একে রাসূলের (ﷺ) কাছে জড়ো হতে থাকে। রাসূল (ﷺ) তাদের উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠ করতে থাকেন। তারা আমার কাছেও আসতে থাকে, ঘুরতে থাকে এবং আমার সামনে প্রকাশমান হতে থাকে। আবদুল্লাহ বলেন, তাদের দেখে খুব ভয় পেয়ে যাই। অতঃপর আমি বসলাম (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। যখন ভোরের আগমন ঘনিয়ে আসলো, তারা প্রস্থান করতে শুরু করলো (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অতঃপর রাসূল (ﷺ) খুব ভারাক্রান্ত ও ক্লান্ত শরীরে ফিরে এলেন। অথবা তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে ঘিরে ধরার কারণে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। যাহোক, তিনি (রাসূল সা.) বলেন, আমি ভারাক্রান্ত অনুভব করছি (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। তখন রাসূল (ﷺ) আমার কোলে তাঁর মাথা রাখলেন (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। এরপর আবারও অপরিচিত লোকজন আসলো (ফেরেশতা), তাদের পরণে সাদা কাপড়, দীর্ঘাকৃতিসম্পন্ন (অথবা তিনি যেমন বলেছেন), রাসূল (ﷺ) তখন ঘুমাচ্ছেন। আবদুল্লাহ্ বলেন, এবার আমি প্রথমবারের চেয়েও বেশী ভয় পেয়ে গেলাম। ('আরিম তাঁর হাদীসে বলেন) তখন তাঁরা পরস্পর (ফেরেশতারা) বলাবলি করছিল, এই বান্দাকে কল্যাণ প্রদান করা হয়েছে, (অথবা তাঁরা যেমন বলেছেন)। তাঁর চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যায় (অথবা তাঁর চোখ, অথবা তারা যেমন বলেছেন), কিন্তু তাঁর অন্তর জাগ্রত থাকে। (আলিম ও আফ্ফান বলেন) তাঁরা পরস্পর আরো বলছিলেন যে, আস, আমরা এই বান্দার একটি উদাহরণ ঠিক করি (অথবা তাঁরা যেমন বলেছিলেন)।
অতঃপর তারা একজন অপরজনকে বললেন, তাঁর উদাহরণ হচ্ছে একজন সর্দারের ন্যায় যিনি একটি মজবুত প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন; এরপর মানুষকে তার খাবারে অংশগ্রহণের জন্য ডেকে পাঠান (অথবা যেমন তিনি বলেছেন)। যে ব্যক্তি তাঁর খাবার খেতে আসবে না অথবা তার অনুসরণ করবে না; তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অন্যরা বললেন, সর্দার হচ্ছেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, প্রাসাদ হচ্ছে ইসলাম, খাবার হচ্ছে জান্নাত। আর তিনি রাসূল হচ্ছেন আহ্বায়ক (দা'ঈ)। যে তাঁর অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে থাকবে। (আরিম তাঁর হাদীসে বলেন, অথবা তাঁরা যেমন বলেছেন) এবং যে তাঁর অনুসরণ করবে না, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অতঃপর রাসূল (ﷺ) জাগ্রত হন এবং বলেন, তুমি কী দেখলে, হে ইব্‌ন উম্মে আবদ? আবদুল্লাহ বললেন, আমি এই এই দেখলাম। রাসূল (ﷺ) বললেন, তাঁরা যা বলেছেন, তাঁর কিছুই আমার অগোচরে নয়। এঁরা হচ্ছেন একদল ফেরেশতা (অথবা তিনি যেমন বলেছেন) তাঁরা ফেরেস্তা, অথবা যেমনটি আল্লাহ্ ইচ্ছা করেছেন।
(হায়ছামী, রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
حدثنا عارم وعفان (2) قالا حدثنا معتمر قال قال أبى حدثنى أبو تميمة عن عمرو لعله أن يكون قد قال البكالى يحدثه عمرو عن عبد الله بن مسعود قال عمرو أن عبد الله قال اسبعثنى (3) رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فانطلقنا حتى أتيت مكان كذا وكذا فخط لى خطة (4) فقال لى كن بين ظهرى هذه لا تخرج منها فانك ان خرجت هلكت، قال فكنت فيها قال فمضى رسول الله صلى الله عليه وسلم خذفه (5) أو أبعد شيئا أو كما قال ثم أنه ذكر هنينا (6) كأنهم الزط قال عفان أو كما قال عفان ان شاء الله ليس عليهم ثياب ولا أرى سؤاتهم طوالا قليل لمهم، قال فأتوا فجعلوا يركبون رسول الله صلى الله عليه وسلم قال وجعل نبى الله صلى الله عليه وسلم يقرأ عليهم، قال وجعلوا يأتونى فيخيلون حولى ويعترضون لى، قال عبد الله فأرعبت منهم رعبا شديدا، قال فجلست أو كما قال: قال فلما انشق عمود الصبح جعلوا يذهبون أو كما قال، قال ثم إن رسول الله صلى الله عليه وسلم جاء ثقيلا وجعا أو يكاد أن يكون وجعا مما ركبوه، قال انى لأجدنى ثقيلا أو كما قال، فوضع رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه فى حجرى أو كما قال، ثم ان هنينا (7) أتوا، عليهم ثياب بيض طوال أو كما قال وقد أغفى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال عبد الله فأرعبت أشد مما أرعبت المرة الأولى قال عارم فى حديثه فقال بعضهم لبعض لقد أعطى هذا العبد خيرا أو كما قالوا، ان عينه نائمتان أو قال عينه أو كما قالوا، وقلبه يقظان، ثم قال قال عارم وعفان قال بعضهم لبعض هلم فلنضرب مثلا أو كما قالوا، قال بعضهم لبعض اضربوا له مثلا وتؤول نحن أو نضرب نحن وتؤولون أنتم، لعلك بعضهم لبعض مثله كمثل سيد ابنتى بنيانا ثم أرسل الى الناس بطعام أو كما قال، فمن لم يأت طعامه أو قال لم يتبعه عذبه عذابا شديدا أو كما قالوا قال الآخرون أما السيد فهو رب العالمين، وما البنيان فهو الاسلام، والطعام الجنة، وهو الداعى فمن اتبعه كان فى الجنة، قال عارم في حديثه أو كما قالوا ومن لم يتبعه عذب أو كما قال، ثم إن رسول الله صلى الله عليه وسلم استيقظ فقال ما رأيت يا ابن أم عبد؟ فقال عبد الله رأيت كذا وكذا، فقال النبى صلى الله عليه وسلم وما خفى على مما قالوا شئ قال نبى الله صلى الله عليه وسلم هم نفر من الملائكة أو كما قال هم من الملائكة أو كما شاء الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৪) সাফওয়ান ইবন মু'আত্তাল থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হই; যখন আমরা 'আরজ' নামক স্থানে পৌছালাম, তখন দেখতে পেলাম একটি সাপ ধড়ফড় করছে এবং দেখি কিছুক্ষণ পরই মারা গেছে। তখন জনৈক ব্যক্তি তার পরিধেয় বস্ত্র থেকে একটি টুকরা বের করে সাপটি পেঁচালো। তারপর মাটিতে গর্ত করে তার ভেতর সেটিকে দাফন করে দিল। যখন আমরা মক্কায় আগমন করে মসজিদুল হারামের কাছে পৌঁছালাম, তখন জনৈক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হয়ে বললেন, তোমাদের মধ্যে 'আমর ইবন জাবির-এর সঙ্গী কে? আমরা বললাম, আমরা তাকে চিনি না। তখন তিনি বললেন, জ্বিনের সঙ্গী তোমাদের মধ্যে কে ছিল? লোকজন বললো, এই ইনি। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন। (মৃত সাপটির প্রতি ইঙ্গিত করে) তিনি মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে নবম, যাঁরা আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) কাছে এসেছিলেন এবং কুরআন শ্রবণ করেছিলেন।
(আহমদ ব্যতীত অন্য কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেননি; হাদীসটি গরীব)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
عن صفوان ابن العطل (1) قال خرجنا حجاجا فلما كنا بالعرب (2) اذا نحن بحية تضطرب فلم تلبث ان ماتت فأخرج لها رجل خرقة من عيبته (3) فلفها فيها ودفنها وخدلها فى الأرض فلما أتينا مكة فانا لبا لمسجد الحرام اذ وقف علينا شخص فقال ايكم صاحب عمرو بن جابر؟ قلنا ما نعرفه، قال ايكم صاحب الجان؟ قالوا هذا، قال أما إنه جزاك الله خيرا، أما إنه قد كان من آخر التسعة موتا الذين أتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم يستمعون القرآن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৫) 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টিকে সৃষ্টি করে তাদেরকে অন্ধকারে রাখেন। পরে তিনি তাঁর নূর থেকে কিছু অংশ নিয়ে তার সৃষ্টির উপর ঢেলে দেন। তখন তার সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে যাকে আল্লাহ্ ইচ্ছা করেছেন, সেই তার নূর প্রাপ্ত হয়েছে। আর যাকে তিনি চাননি, সে নূর পায়নি। সেই দিন যারা নূর প্রাপ্ত হয়েছিল, সেই হিদায়াত লাভ করেছে। আর সেইদিন যে নূর পায়নি, সে গোমরাহ হয়েছে। আর এই কারণেই আমি বলেছি যে, যা কিছু হবে, সে বিষয়ে কলম শুকিয়ে গিয়েছে।
(নাসাঈ, তিরমিযী, বায়হাকী ও তাবারানী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
عن عبد الله بن عمرو (4) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الله خلق خلقه ثم جعلهم فى ظلمة ثم أخذ من نوره ما شاء فالقاه عليهم فأصاب النور من شاء أن يصيبه وأخطأ من شاء، فمن أصابه النور يومئذ فقد اهتدىـ ومن أخطأ يومئذ ضل، فلذلك قلت جف القلم بما هو كائن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৬) আবূ মূসা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা আদমকে (আ) সৃষ্টি করেছেন এক মুষ্টি মাটি থেকে, যা তিনি সংগ্রহ করেছেন সমগ্র যমিন থেকে। সুতরাং আদম সন্তানেরা যমিনের বৈশিষ্ট্য অনুসারে এসেছে (জন্মগ্রহণ করেছে), তাদের মধ্যে সাদা, লাল, কালো, মধ্যম, অধম (খবীছ), উত্তম, বিনম্র, কঠোর ও মধ্যম প্রভৃতি নানা রং ও প্রকৃতিবিশিষ্ট হয়ে দুনিয়ায় এসেছে।
(আবু দাউদ, তিরমিযী, বায়হাকী। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
عن أبى موسى (5) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ان الله عز وجل خلق آدم من قبضة قبضها من جميع الأرض فجاء بنو آدم على قدر الأرض جاء منهم الأبيض والأحمر والأسود وبين ذلك والخبيث (6) والطيب والسهل والحزن وبين ذلك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৭) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, 'রূহ' বা আত্মাসমূহ হচ্ছে বহু দলবিশিষ্ট সৈনিক সদৃশ; তন্মধ্যে যাঁরা পরস্পর পরিচিত, তাদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। আর যা পরস্পরে অপরিচিত তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
(বুখারী ও মুসলিম)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
عن أبي هريرة (1) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال الأرواح جنود مجندة فما تعارف منها ائتلف وما تناكر منها اختلف
হাদীস নং: ৮৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৮) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা আদমকে (আ) সৃষ্টি করেছেন তাঁর আকৃতিতে। তাঁর দৈর্ঘ্য ষাট গজ। যখন আল্লাহ্ তাঁকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁকে বললেন, যাও ওই দলকে সালাম দাও; দলটি ছিল ফেরেশতাদের তারা উপবিষ্ট অবস্থায় ছিল (আল্লাহ্ তা'আলা বললেন) এবং শুনে রেখ তারা তোমাকে কী উত্তর দেয়। কারণ, এটি হচ্ছে তোমার ও তোমার বংশধরদের অভিবাদনের রীতি। তখন আদম (আ) এগিয়ে গেলেন এবং (তাদের উদ্দেশ্যে "আস্সালামু আলাইকুম” বললেন, উত্তরে তাঁরা বললেন, "আস্ সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ” তাঁরা 'রাহমাতুল্লাহ' শব্দটি অতিরিক্ত যোগ করে দিলেন। সুতরাং যে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে আদমের (আ) সুরতে (আকৃতি) প্রবেশ করবে, তাঁর দৈর্ঘ্য হবে ষাট গজ। এরপর থেকে অদ্যাবধি সৃষ্টি ছোট হতে থাকে।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
وعن أيهما (2) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خلق الله عز وجل آدم على صورته (3) طوله ستون ذراعا (4) فلما خلقه قال له اذهب فسلم على أولئك النفر: وهم نفر من الملائكة جلوس واستمع ما يحييونك فانها تحيتك وتحية ذريتك، قال فذهب فقال السلام عليكم: فقالوا السلام عليك ورحمة الله، فزادوا رحمة الله، قال فكل من يدخل الجنة على صورة آدم وطوله ستون ذراعا فلم يزل ينقص الخلق بعد حتى الآن
হাদীস নং: ৮৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৯ ) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আদম (আ)-এর দৈর্ঘ ছিল ষাট গজ আর প্রস্থে সাত গজ।
(এই শব্দে হাদীসটি আহমদ ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। এর সনদে আলী ইবন যায়েদ ইব্‌ন জুদআন নামক রাবীর নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
وعنه أيضا (5) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال كان طول آدم ستين ذراعا فى سبعة أذرع عرضا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৯০) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তানকে যমিন খেয়ে ফেলবে, তার মেরুদণ্ডের গোড়ার অংশ বাদে। কেননা, ওই অংশটি দিয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এর মধ্যেই তাকে পুনরায় জোড়া দেওয়া হবে।
(মুসলিম, আবূ দাউদ ও নাসাঈ)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
وعنه أيضا (6) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل ابن آدم تأكله الأضر (7) الا عجب الذنب (8) فانه منه خلق (9) ومنه يركب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৯১) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা যখন আদমকে (আ) সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী একটি সময় পর্যন্ত তাঁকে রেখে দিলেন। ইবলিস তাঁর চারদিকে ঘুরে ফিরে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। একপর্যয়ে সে যখন দেখতে পেল যে, এটি অন্তসারশূন্য, তখন সে বুঝতে পারলো যে, এটি এমন সৃষ্টি যে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে না।
(মুসলিম ও মালিক)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
عن أنس (10) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لما خلق الله عز وجل آدم (11) تركه ما شاء الله ان يدعه فجعل ابليس يطيف به (12) ينظر اليه فلما رآه أجوف (13) عرف أنه خلق لا يتمالك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৯২) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা আদমকে (আ) সৃষ্টি করেছেন শুক্রবার বাদ আসর। (এটি ছিল তাঁর) সর্বশেষ সৃষ্টি। জুমার দিনের শেষ প্রহরের সৃষ্টি। সময়টি ছিল আসর থেকে নিয়ে রাতের আগমন পর্যন্ত।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি বর্তমান খণ্ডের ১১ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
عن أبى هريرة (14) عن النبى صلى الله عليه وسلم أن الله عز وجل خلق آدم عليه السلام بعد العصر يوم الجمعة آخر الخلق فى آخر ساعة من ساعات الجمعة فيما بين العصر الى الليل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি প্রসংগ
(৯৩) সামুরাহ ইবনে জুন্দুব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছি, নিশ্চয় স্ত্রী লোককে সৃষ্টি করা হয়েছে বাঁকা পাঁজর থেকে; যদি তুমি সেই পাঁজর সোঁজা করতে চাও, তবে তা ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং তাদের মনোরঞ্জন করে চলো। তাহলে তাদের নিয়ে জীবন যাপন করতে পারবে।
(হাদীসটি গরীব)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق حواء
عن سمرة بن جندب (1) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان المرأة خلقت من ضلع وانك ترد اقامة الضلع لكسرها فدارها تعش بها
হাদীস নং: ৯৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বাণী সর্বপ্রথম যিনি নিজ কথা অস্বীকার করেন তিনি হচ্ছেন আদম
(৯৪) ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন কর্জ সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হয়, তখন আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, সর্বপ্রথম যিনি অস্বীকার করেন, তিনি হচ্ছেন আদম। আল্লাহ্ যখন আদমকে (আ) সৃষ্টি করেন, তখন তাঁর পিঠে হাত বুলান এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর যত সন্তানাদি আসবে তাদেরকে বের করে আনেন। (তখন) আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর সম্মুখে সন্তানদেরকে পেশ করতে থাকেন। আদম (আ) তন্মধ্যে একজন সুদর্শন পুরুষকে দেখে বললেন, হে প্রভু, ইনি কে? আল্লাহ্ বললেন, এ হচ্ছে তোমার সন্তান দাউদ। তিনি বললেন প্রভু, এর বয়স কত? আল্লাহ্ বললেন, ষাট বছর। আদম বললেন, তার বয়স বৃদ্ধি করে দিন। আল্লাহ্ বললেন, না। তবে আমি তোমার বয়স থেকে নিয়ে তাকে বাড়িয়ে দিতে পারি। আদমের (আ) বয়স ছিল এক হাজার বছর। সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা দাউদের বয়স চল্লিশ বছর বৃদ্ধি করে দিলেন এবং এ সম্পর্কে একটা লিপি লিখে রাখলেন। আর এই বিষয়ে ফেরেশতাগণকে সাক্ষী রাখলেন। যখন আদমের (আ) মৃত্যুর সময় হল এবং ফেরেশতারা তাঁর জীবন নিতে আসলো, তখন তিনি বললেন, আমার বয়স আরো চল্লিশ বছর বাকী রয়েছে। তখন তাঁকে বলা হলো, আপনি তো সেটা আপনার সন্তান দাউদকে দান করেছেন। তখন তিনি বললেন, আমি এরূপ করিনি। আল্লাহ্ তা'আলা তখন তাঁর সম্মুখে লিপিবদ্ধ কিতাব প্রদর্শন করলেন এবং ফেরেশতারা সাক্ষ্য প্রদান করলেন। (অন্য বর্ণনায়) তখন আল্লাহ তাআলা দাউদকে (আ) একশ বছর এবং আদমকে (আ) এক হাজার বছর পূর্ণ করতে দেন।
(বায়হাকী ও অন্যান্য)
كتاب خلق العالم
باب قوله صلى الله عليه وسلم أن اول من جحد آدم
عن ابن عامر (2) أنه قال لما نزلت آية الدين قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان أول من جحد آدم عليه السلام، أول من جحد آدم، ان الله عز وجل لما خلق آدم مسح ظهره فاخرج منه ما هو من ذراى الى يوم القيامة، فجعل يعرض ذريته عليه فرأى فيهم رجلا يزهر (3) فقال أى رب من هذا؟ قال هذا أنك داود، قال أى رب كم عمره؟ قال ستون عاما: قال رب زد فى عمره، قال لا إلا أن أزيده من عملاك، وكان عمر آدم الف عام فزاده أربعين عاما، فكتب الله عز وجل عليه بذلك كتابا وأشهد عليه الملائكة، فلما احتضر آدم وأتته الملائكة لتقبضه قال إنه قد بقى من عمرى أربعون عاما، فقيل انك قد وهبتها لابنك داود، قال ما فعلت: وابرز الله عز وجل عليه الكتاب وشهدت عليه الملائكة (زاد فى رواية) قائمتها لداود مائة سنة وأتمها لآدم عمره الف سنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর বাণী "স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
(৯৫) মুসলিম ইবন ইয়াসার আল-জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত, 'উমারকে (রা)
وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي أَدَمَ مِنْ ظُهُوْرِهِمْ ذُرِّيَّاتِهِمْ
"স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যখন তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা যখন আদমকে (আ) সৃষ্টি করেন, তখন ডান হাত দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর পিঠ মাসহ (বুলিয়ে দেওয়া) করেন এবং সেখান থেকে তাঁর নির্দিষ্ট সংখ্যক সন্তানদেরকে বের করে নিয়ে আসেন এবং বলেন এদেরকে সৃষ্টি করেছি জান্নাতের জন্য, জান্নাতবাসীদের আমলই (কর্ম) তারা করবে। এরপর (দ্বিতীয় দফা) আবার আদমের (আ) পিঠে মাসহ করলেন এবং নির্দিষ্টসংখ্যক সন্তানাদি বের করে আনলেন এবং বললেন, এদেরকে সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য, জাহান্নামবাসীদের আমলই (কর্ম) তারা করবে। তখন জনৈক ব্যক্তি বললো, তাহলে 'আমল' (কর্ম) কিসের জন্য? রাসূল (ﷺ) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা যখন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাকে জান্নাতবাসীদের আমলে অভ্যস্ত করে নেন ফলে সে জান্নাতবাসীদের আমল করতে থাকে, এইভাবে সে মৃত্যুবরণ করে তখন তিনি তাকে সেই আমলের সাহায্যে জান্নাতে প্রবেশ করান। (অপরদিকে) আল্লাহ্ যখন কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাকে জাহান্নামবাসীদের আমলে অভ্যস্ত করে নেন এবং সে জাহান্নামবাসীদের আমল করতে করতে মৃত্যুবরণ করে তখন তিনি তাকে এর মাধ্যমে জাহান্নামে প্রবেশ করান।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب قول الله عز وجل وإذا خذر ربك من بنى آدم من ظهورهم ذرياتهم
عن مسلم ابن يسار الجنى (4) ان عمر بن الخطاب رضى الله عنه سئل عن هذه الآية (وإذ أخذ ربك من بني آدم من ظهورهم ذرياتهم الآية) فقال عمر رضى الله عنه سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عنها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله خلق آدم ثم مسح ظهره بيمينه واستخرج منه ذرية فقال خلقت هؤلاء للجنة وبعمل أهل الجنة يعملون: ثم مسح ظهره فاستخرج منه ذرية فقال خلقت هؤلاء النار وبعمل أهل النار يعملون، فقال رجل يا رسول الله فقيم العمل؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله عز وجل اذا خلق العبد للجنة استعمله بعمل أهل الجنة حتى يموت على عمل من أعمال أهل الجنة فيدخله به الجنة، وإذا خلق العبد للنار استعمله بعمل أهل النار حتى يموت على عمل من أعمال أهل النار فيدخله به النار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর বাণী "স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
(৯৬) ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা 'না'মান' অর্থাৎ আরাফাতের মাঠে বনী আদম এর কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন। আদমের (আ) পৃষ্ঠদেশ থেকে তাঁর প্রত্যেক বংশধরকে বের করে আনেন এবং তাঁর সম্মুখে কণার ন্যায় ছড়িয়ে দেন। এরপর তাদেরকে মুখোমুখি করে আল্লাহ্ কথা বলেন,
اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ  قَالُوۡا بَلٰی ۚۛ  شَہِدۡنَا ۚۛ  اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ ہٰذَا غٰفِلِیۡنَ 
আমি কি তোমাদের রব্ব নই? সকলে উত্তর দিয়েছিল, কেন নয়? আমরা সকলে (এ বিষয়ে) সাক্ষ্য দিচ্ছি (এবং এ স্বীকারোক্তি আমি এজন্য নিয়েছিলাম) যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা বলতে না পার যে, ‘আমরা তো এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম। অথবা এরূপ বলতে না পার যে, আমাদের পূর্ব পুরুষরা শিরক করেছিল এবং তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি তাদের পরবর্তী বংশধর হিসেবে। আপনি কি বাতিলপন্থীদের কর্মের কারণে আমাদেরকে ধ্বংস করবেন?" —আল আ'রাফ - ১৭২
(প্রথম খণ্ডের প্রথম পরিচ্ছেদের প্রথম হাদীস হিসেবে এটি বর্ণিত হয়েছে। এর উদ্ধৃতি সেখানে দ্রষ্টব্য।)
كتاب خلق العالم
باب قول الله عز وجل وإذا خذر ربك من بنى آدم من ظهورهم ذرياتهم
عن ابن عباس (1) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال أخذ الله الميثاق من ظهر آدم بنعمان يعنى عرفة فأخرج من صلبه كل ذرية ذرأها فنثرهم بين يديه كالذر ثم كلمهم قبلا قال (الست بربكم؟ قالوا بلى شهدنا أن تقولوا يوم القيامة انا كنا عن هذا غافلين، أو تقولوا انما أشرك أباؤنا من قبل وكنا ذرية من بعدهم، افتهلكنا بما فعل المبطلون)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর বাণী "স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
(৯৭) রূফাই' আবুল 'আলিয়াহ থেকে বর্ণিত, তিনি উবাই ইব্‌ন কা'ব (রা) কর্তৃক আল্লাহর বাণী
وَاِذۡ اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُہُوۡرِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ وَاَشۡہَدَہُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ ۚ  اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ  قَالُوۡا بَلٰی ۚۛ  شَہِدۡنَا ۚۛ  اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ ہٰذَا غٰفِلِیۡنَ ۙ
(হে রাসূল! মানুষকে সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দাও) যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানদেরকে বের করেছিলেন এবং তাদেরকে তাদের নিজেদের সম্পর্কে সাক্ষী বানিয়েছিলেন (আর জিজ্ঞেস করেছিলেন যে,) আমি কি তোমাদের রব্ব নই? সকলে উত্তর দিয়েছিল, কেন নয়? আমরা সকলে (এ বিষয়ে) সাক্ষ্য দিচ্ছি (এবং এ স্বীকারোক্তি আমি এজন্য নিয়েছিলাম) যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা বলতে না পার যে, ‘আমরা তো এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম।—আল আ'রাফ - ১৭২
উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বনী আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানাদিকে বের করে একত্রিত করেন। তাদেরকে প্রথমে রূহ হিসেবে এবং পরে আকৃতি প্রদান করে কথা বলার শক্তি দান করেন। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার ও চুক্তিনামা নিয়ে নেন এবং তাদেরকে তাদের আত্মার সাক্ষী বানিয়ে নেন-এই মর্মে, "আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" তারা বললো, অবশ্যই...। আল্লাহ্ বললেন, আমি তোমাদের উপর সাত আসমান ও সাত যমিনকে সাক্ষী রাখছি; এবং তোমাদের পিতা আদমকে (আ) সাক্ষী রাখছি-যেন তোমরা কিয়ামতের দিনে বলতে না পার যে, আমরা এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। তোমরা জেনে রাখ, আমি ভিন্ন কোন ইলাহ নেই; আমি ভিন্ন কোন রব নেই; তোমরা আমার সাথে কোন কিছু শরীক করবে না। আমি তোমাদের নিকট আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করবো। তাঁরা তোমাদেরকে এই অঙ্গীকার ও চুক্তিনামার কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন এবং আমি তোমাদের উপর আমার কিতাবসমূহও নাযিল করবো। তারা বললো, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আমাদের রব্ব ও ইলাহ। আপনি ছাড়া আমাদের অন্য কোন রব্ব নেই। তারা সবাই একথা স্বীকার করে নিল। আদম (আ)-কে তাঁদের সম্মুখে হাযির করা হল। তিনি তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখলেন, তাদের মধ্যে ধনী, দরিদ্র, সুদর্শন চেহারা ও সুদর্শন নয়-এরকম বৈচিত্র রয়েছে। তিনি বললেন, প্রভু আপনার বান্দাদের মধ্যে আপনি সমতা বিধান করেননি কেন? আল্লাহ্ বলেন, কারণ, আমি চাই যে, আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হোক। (আদম (আ) সেখানে নবীগণকে দেখতে পান, প্রদীপ্ত আলোকবর্তিকার ন্যয়। তাঁদেরকে নবুয়ত ও রিসালাতের জন্য পৃথক আরেকটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ করা হয়। সেটি হচ্ছে আল্লাহর বাণীঃ
وَاِذۡ اَخَذۡنَا مِنَ النَّبِیّٖنَ مِیۡثَاقَہُمۡ وَمِنۡکَ وَمِنۡ نُّوۡحٍ وَّاِبۡرٰہِیۡمَ وَمُوۡسٰی وَعِیۡسَی ابۡنِ مَرۡیَمَ ۪ 
এবং (হে রাসূল!) সেই সময়কে স্মরণ রাখ, যখন আমি সমস্ত নবী থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম এবং তোমার থেকেও এবং নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও ঈসা ইবনে মারয়াম থেকেও। —আল আহ্‌যাব - ৭
ঈসাও (আ) সেই সময় রূহসমূহের মধ্যে ছিলেন পরবর্তীতে আল্লাহ্ তাঁকে মারইয়াম-এর কাছে প্রেরণ করেন। বর্ণনাকারী উবাই (রা) থেকে আরও বর্ণনা করেন যে ওই রুহ মারইয়াম আলাইহাস সালাম এর মুখ দিয়ে প্রবেশ করেছিল।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب قول الله عز وجل وإذا خذر ربك من بنى آدم من ظهورهم ذرياتهم
عن رفيع أبى العالية (2) عن أبى بن كعب رضى الله عنه فى قول الله عز وجل واذ أخذ ربك من بنى آدم من ظهورهم ذرياتهم وأشهدهم على أنفسهم الآية: قال جمعهم فجعلهم أرواحا ثم صورهم فاستنطقهم فتكلموا، ثم أخذ عليهم العهد والميثاق وأشهدهم على أنفسهم الست بربكم؟ قالوا بلى، الآية: قال فانى أشهد عليكم السموات السبع والأرضين السبع: وأشهد عليكم أباكم آدم عليه السلام أن تقولوا يوم القيامة لم نعلم بهذا: اعلموا انه لا اله غيرى، فلا تشركوا بى شيئا، انى سأرسل اليكم رسلى يذكرونكم عهدى وميثاقى وأنزل عليكم كتبى، قالوا شهدنا بأنك ربنا وإلا هنا لا رب لنا غيرك فأقروا بذلك، ورفع اليهم آدم ينظر اليهم فرأى الغنى والفقير وحسن الصورة ودون ذلك، فقال رب لولا سويت بين عبادى؟ قال انى أحببت أن أشكر، ورأى الأنبياء فيهم مثل السرج عليهم النور، خصوا بميثاق آخر فى الرسالة والنبوة، وهو قوله تعالى (وإذا أخذنا من النبيين ميثاقهم الى قوله عيسى بن مريم) كان فى تلك الأرواح فأرسله الى مريم فحدث عن أبى أنه دخل من فيها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : গর্ভে শিশুর সৃষ্টি ও গঠন
(৯৮) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী রাসূলের (ﷺ) পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। রাসূল (ﷺ) সেই সময় তাঁর সাহাবীগণের সাথে কথা বলছিলেন। তখন কুরাইশের কাফিররা বললো, হে ইয়াহুদী, এই লোক (মুহাম্মদ সা.) নিজেকে নবী বলে দাবী করেন। ইয়াহুদী বললো (ঠিক আছে), আমি তাঁকে অবশ্যই এমন বিষয়ে প্রশ্ন করবো, যার উপর নবী ছাড়া অন্য কেউ জানবে না। ইয়াহুদী নবীর (ﷺ) কাছে এসে বসলো এবং জিজ্ঞেস করলো, হে মুহাম্মদ, মানুষকে কী দিয়ে সৃষ্টি করা হয়? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, শোন ইয়াহুদী, সব কিছু দিয়ে সৃষ্টি করা হয় (অর্থাৎ) পুরুষের বীর্য ও নারীর বীর্য থেকে। পুরুষের বীর্য ঘন, তা থেকে হাড় ও স্নায়ু এবং নারীর বীর্য পাতলা, তা দিয়ে মানুষের মাংস ও রক্ত সৃষ্টি করা হয়। এতদশ্রবণে ইয়াহুদী উঠে দাঁড়াল এবং বললো, আপনার পূর্ববর্তীগণও এইরূপই বলেছেন।
(হাইছামী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجنين وتكوينه فى الرحم
عن عبد الله (3) قال مر يهودي برسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يحدث أصحابه فقالت قريش (1) يا يهودى أن هذا يزعم أنه بنى، فقال لأسألنه عن شئ لا يعلمه الا نبى، قال فجاء حتى جلس ثم قال يا محمد مم يخلق الانسان؟ قال يا يهودى من كل يخلق، من نطفة الرجل ومن نطفة المرأة، فأما نطفة الرجل فنطفة غليظة منها العظم والعصب وأما نطفة المرأة فنطفة رقيقة منها اللحم والدم، فقال اليهودي فقال هكذا كان يقول من قبلك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : গর্ভে শিশুর সৃষ্টি ও গঠন
(৯৯) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, বীর্য মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। চল্লিশ দিন পার হওয়ার পর রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়, এরপর এমনিভাবে গোশত পিণ্ডে (মুদ্গাতুন) পরিণত হয়। তারপর হাঁড় সৃষ্টি করা হয়। যখন আল্লাহ্ তা'আলা তার পূর্ণ আকৃতি সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন, তখন তার কাছে একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। তখন ফেরেশতারা জিজ্ঞেস করেন, প্রভু, পুরুষ না স্ত্রী? গোনাহগার না নেককার? খাটো না লম্বা? অসম্পূর্ণ অঙ্গবিশিষ্ট না অতিরিক্ত অঙ্গসম্পন্ন? তাঁর খাবার ও হায়াত? সুস্থ না পীড়িত? ফেরেশতা এসব কিছু আল্লাহর নির্দেশমত লিপিবদ্ধ করেন। উপস্থিত লোকজনের মধ্যে একজন জিজ্ঞেস করলো, এই সবকিছুই যদি লিপিবদ্ধ, তবে 'আমল' করা কেন? রাসূল (ﷺ) বললেন, আমল করে যাও। প্রত্যেকেই সেই কর্ম বা আমলই করবে, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
(হাইছামী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى خلق الجنين وتكوينه فى الرحم
وعنه أيضا (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان النطفة تكون فى الرحم أربعين يوما على حالها لا تغير، فاذا مضت الأربعون صارت علقة ثم مضغة كذلك ثم عظاما كذلك: فاذا أراد الله أن يسوى خلقه بعث اليها ملكا فيقول الملك الذى يليه (4) أى رب اذكر أم انثى؟ اشقى أم سعيد؟ اقصير أم طويل؟ أناقص أم زائد؟ قوته وأجله، أصحيح أم سقيم؟ قال فيكتب ذلك، كله: فقال رجل من القوم فقيم العمل اذا وقد فزغ من هذا كله؟ قال اعملوا فكل سيوجه لما خلق له
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আদমের (আ) ভুলের কারণ, জান্নাত থেকে তাঁর নিষ্ক্রান্ত হওয়া এবং তাঁর নবুয়তের দলীল
(১০০) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, বনী ইসরাঈল না হলে মাংসে পঁচন ধরতো না এবং খাদ্যদ্রব্য নষ্ট (ও অরুচিকর) হতো না। (অর্থাৎ তাদেরকে সালওয়ার মাংস মজুত করতে নিষেধ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার ফলেই তাতে পঁচন ধরেছিল)। আর হাওয়া (আ) না হলে কোন স্ত্রী তার স্বামীর খিয়ানত করতো না (অর্থাৎ হাওয়া (আ) শয়তানের ধোঁকায় পতিত হয়ে নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেয়ে খিয়ানতের সূচনা না করলে কোন মহিলাই স্বামীর খিয়ানত করতো না।)
(বুখারী, মুসলিম, মালিক ও অন্যান্য)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى سبب خطيئة آدم وخروجه من الجنة والدليل على نبوته
عن أبى هريرة (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لولا بنو اسرائيل لم يخنز اللحم (6) ولم يخبث الطعام: ولولا حواء لم تخن انثى زوجها
tahqiq

তাহকীক: