মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০৯ টি

হাদীস নং: ২১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সমুদ্র ও নদ-নদী প্রসঙ্গ
(২১) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, চারটি নদী জান্নাত থেকে প্রবাহিত হয়েছে- ফুরাত, নীল, সায়হান ও জায়হান।
(হাদীসটি গরীব)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى البحار والانهار
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فجرت أربعة أنهار من الجنة الفرات والنيل وسيحان وجيحان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সমুদ্র ও নদ-নদী প্রসঙ্গ
(২২) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, সায়হান, জায়হান, নীল, ফুরাত সবই জান্নাতের নদীসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
(মুসলিম)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى البحار والانهار
وعنه أيضا (3) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال سيحان وجيحان والنيل والفرات وكل من أنهار الجنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সমুদ্র ও নদ-নদী প্রসঙ্গ
(২৩) সব্বাহ থেকে বর্ণিত, তিনি আশরাস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ইব্‌ন আব্বাসকে (রা)-কে একদা জোয়ারভাটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি বলেন, সমুদ্রের মধ্যস্থলে একজন ফেরেশতাকে নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তিনি যখন তাতে (সমুদ্রে) তাঁর পা রাখেন, তখন পানি উথলে ওঠে; আবার যখন তিনি পা উঠিয়ে নেন, তখন পানি নেমে যায়।
(এই হাদীসটি আহমদ ভিন্ন অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। সাব্বাহ একজন অপরিচিত রাবী।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى البحار والانهار
عن صباح بن أشرس (4) قال سئل ابن عباس عن المد والجزر (1) فقال إن ملكا موكل بقاموس البحر (2) فاذا وضع رجله فاضث (3) وإذا رفعها غاضت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সমুদ্র ও নদ-নদী প্রসঙ্গ
(২৪) 'উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, প্রতি রাতে সমুদ্র তিন বার করে যমিনের উপর উত্থিত হয় এবং আল্লাহর কাছে (বিশেষ করে অতিরিক্ত গোনাহের কারণে মানুষকে) ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে, কিন্তু আল্লাহ্ তাকে বিরত রাখেন।
(হাদীসটি গরীব এবং এর একজন বর্ণনাকারী অজ্ঞাত পরিচয়।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى البحار والانهار
عن عمر بن الخطاب (5) رضى الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال ليس من ليلة الا والبحر يشرف فيها ثلاث مرات على الارض يستأذن الله فى أن ينفضح (6) عليهم فيكفه الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সমুদ্র ও নদ-নদী প্রসঙ্গ
(২৫) সাফওয়ান ইবন ইয়ালা তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেন, সমুদ্র হচ্ছে জাহান্নাম (অর্থাৎ সমুদ্রে ভ্রমণ যেমন বিপদসঙ্কুল, তা যেন জাহান্নাম)। ইয়া'লাকে লোকজন জিজ্ঞেস করলো, তা কীভাবে? তিনি বললেন, তোমরা কি দেখ না আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন-
نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا
"আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি আগুন।” (কাহফ : ২৯)।
ইয়া'লার আত্মা যার হাতে, সে সত্তার শপথ, আমি আল্লাহর সম্মুখে উত্থিত না হওয়া পর্যন্ত কখনই সেখানে প্রবেশ করবো না এবং সমুদ্রের একটি ফোটাও গ্রহণ করবো না যতক্ষণ না আল্লাহর ইচ্ছা হয়। (অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি সমুদ্রের ধারেকাছেও যাবো না।)
(মালিক ও বায়হাকী)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى البحار والانهار
عن صفوان بن يعلى (7) عن أبيه أن النبى صلى الله عليه وسلم قال البحر هو جهنم (8) قالوا ليعلى (9) فقال ألا ترون أن الله عز وجل يقول نارا أحاط بهم سرادقها قال لا والذى نفس يعلى بيده لا أدخلها أبدا حتى أعرض على الله عز وجل ولا يصيبنى منها قطرة حتى ألقى الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সমুদ্র ও নদ-নদী প্রসঙ্গ
(২৬) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) কে প্রশ্ন করে, আমরা সমুদ্রে যাত্রা করে থাকি এবং সাথে অল্প পরিমাণ পানি বহন করে থাকি। এমতাবস্থায় ঐ পানি দিয়ে যদি ওযু করি, তাহলে আমাদের তৃষ্ণার্ত থাকতে হবে। তাই আমরা সমুদ্রের পানি দ্বারা ওযু করতে পারি? রাসূল (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং এর মৃত হালাল।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى البحار والانهار
عن أبى هريرة (10) قال سأل رجل رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إنا نركب البحر ونحمل معنا القليل من الماء فان توضأنا به عطشنا أفنتوضأ من ماء البحر؟ فقال صلى الله عليه وسلم هو الطهور ماؤه الحل ميتته
হাদীস নং: ২৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(২৭) আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, সূর্যগ্রহণের সময় আল্লাহর নবীর (ﷺ) সালাতের বিবরণ প্রসংগে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, অতঃপর সূর্য আলোকিত হলে বের হয়ে তারপর লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন, তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান বর্ণনা শেষে বলেন, নিশ্চয় সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্ নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত। কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে তাতে গ্রহণ লাগে না। সুতরাং তোমরা যখন তা দেখবে, তখন আল্লাহ্ তাকবীর (বড়ত্ব বর্ণনা) পড়বে, আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করবে, সালাত আদায় করবে এবং সদকা করবে।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
عن عائشة (1) رضى الله عنها فى صفة صلاة النبى صلى الله عليه وسلم فى كسوف الشمس قالت فانصرف رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد تجلث الشمس فخطب الناس فحمد الله وأثنى عليه، ثم قال ان الشمس والقمر من آيات الله وإنهما لا يخسفان لموت أحد ولا لحياته، فإذا رأيتموها فكبروا وادعوا الله عز وجل وصلوا وتصدقوا الحديث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(২৮) আসমা বিনত আবী বকর (রা) থেকে পূর্বানুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং তাতে উল্লেখ আছে- রাসূল (ﷺ) বলেন, হে লোকসকল! নিশ্চয় সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্য থেকে দু'টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু অথবা জীবনের কারণে এতে গ্রহণ লাগে না। যখন তোমরা ঐরূপ (গ্রহণ) দেখবে, তখন দ্রুত (ভয়বিহ্বল চিত্তে) সালাত আদায়ে, দান-খয়রাতে এবং আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হবে।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
عن أسماء بنت أبى بكر (2) رضى الله عنهما بنحوه وفيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا أيها الناس ان الشمس والقمر آيتان من آيات الله لا يخسفان لموت أحد ولا لحياته فاذا رأيتم ذلك فافزعوا الى الصلاة والى الصدفة والى ذكر الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(২৯) আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর ইব্‌নল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদা অস্তমিত সূর্যকে দেখলেন এবং বললেন, আল্লাহর উত্তপ্ত অগ্নিতে অস্ত যাচ্ছে। যদি না আল্লাহর নির্দেশ একে বাধা দিতেন, তবে তা যমিনের উপর যা কিছু আছে সব ধ্বংস করে দিত।
(ইবন কাছীর।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
عن عبد الله بن عمرو بن العاص (3) قال رأى رسول الله صلى الله عليه وسلم الشمس حين غربت فقال فى نار الله الحامية (4) لولا ما يزعها (5) من أمر الله لأهلكت ما على الأرض
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(৩০) আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, সূর্য অস্ত যায় আরশের নীচে। পরে তাকে অনুমতি দেওয়া হয়। সে আবার ফিরে আসে। এরপর যখন সেই রাত আসবে, যে রাতের ভোরে পশ্চিম দিক থেকে তা অস্তাচল থেকে উদিত হবে, সে দিন আর তাকে অনুমতি দেওয়া হবে না। সেদিন ভোরে তাকে বলা হবে, তোমার নির্ধারিত স্থান থেকে উদয় হও। এরপর রাসূল (ﷺ) এই আয়াত পাঠ করেন:
هَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا أَنْ تَأْتِيَهُمُ الْمَلَائِكَةُ أَوْ يَأْتِي رَبُّكَ أَوْ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ.
তারা কি শুধু এরই প্রতীক্ষা করে যে, তাদের কাছে ফেরেশতা আসবে কিংবা তোমার প্রতিপালক আসবেন কিংবা তোমার প্রতিপালকের কোন নিদর্শন আসবে... (আনআম: ১৫৮)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
عن أبى ذر (6) أن النبى صلى الله عليه وسلم قال تغيب الشمس تحت العرض فيؤذن لها فترجع فإذا كانت الليلة التى تطلع صبيحتها من المغرب لم يؤذن لها فاذا أصبحت قيل لها اطلعى من مكانك ثم (قرأ هل ينظرون الا أن تأتيهم الملائكة أو يأتى ربك أو يأتى بعض آيات ربك)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(৩১) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যখনই প্রত্যুষে তারকা (সুরাইয়্যা) উদিত হয়, তখন যদি কোন সম্প্রদায়ে মড়ক (রোগ-পীড়া বা শস্যহানি) থেকে থাকে, তবে তা উঠিয়ে নেওয়া হয় বা হালকা হয়ে যায়।
আবু হুরাইরা (রা) থেকে অন্য বর্ণনায় রাসূল (ﷺ) বলেন, যখন প্রত্যুষে তারকা উদিত হয়, তখন মড়ক উঠিয়ে নেওয়া হয়।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
عن أبى هريرة (7) عن النبى صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم قال ما طلع النجم (8) صباحا قط وبقوم عاهة (9) الا رفعت أو خففت (10) (وعنه من طريق ثان) (1) قال قال رسول صلى الله عليه وسلم إذا طلع النجم ذا صباح رفعت العاهة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(৩২) ইয়াযীদ ইবন হারূন হিশাম থেকে, তিনি মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা একদা আবু কাতাদাহর সাথে আমাদের গৃহের সম্মুখে অবস্থান করছিলাম। তখন তিনি একটি তারকা দেখতে পান; তখন সবাই সে দিকে দৃষ্টিপাত করলেন। আবু কাতাদাহ (রা) বললেন, আমাদের দৃষ্টিকে এর অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
(আহমদ ছাড়া অন্য কেউ এটি বর্ণনা করেননি। তবে এ হাদীসের সনদ উত্তম।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
حدثنا يزيد بن هرون (2) ثنا هشام عن محمد قال كنا مع أبى قتادة على ظهر بيتنا فرأى كوكبا انقض فنظروا اليه فقال أبو قتادة رضى الله عنه إنا قد نهينا أن نتبعه أبصارنا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(৩৩) আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার হাত ধরে আমাকে চাঁদ দেখান যখন তা উদিত হয়; এবং আমাকে বলেন, এই অস্তগামী (চন্দ্র) যখন অস্ত যায়, তখন এর অমঙ্গল থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে।
(তিরমিযী ও নাসাঈ)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
عن عائشة (3) رضي الله عنها قالت أخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم بيدى فأرانى القمر حتى طلع فقال تعوذى بالله من من شر هذا الغاسق اذا وقب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : তারকারাজি চন্দ্র ও সূর্য প্রসংগ
(৩৪) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেন, তোমরা কি দেখ না, তোমাদের রব কি বলেছেন? তিনি বলেছেন, আমি যখনই আমার বান্দাদেরকে কোন নিয়ামত দান করি, তখনই তাদের মধ্য থেকে একটি দল তা অস্বীকার করে বলে ওঠে, নক্ষত্র এবং নক্ষত্রের দ্বারাই (এটা হয়েছে)।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى الشمس والقمر والكواكب
عن أبى هريرة (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ألم تروا الى ما قال ربكم عز وجل؟ قال ما أنعمت على عبادى من نعمة ألا أصبح فريق منهم بها كافرين يقولون الكوكب (5) وبالكوكب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বায়ু, বজ্র ও মেঘমালা প্রসংগ
(৩৫) ইয়াযীদ ইব্রাহীম ইবন সা'দ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি তাঁর পিতা থেকে; তিনি বলেন, আমি মসজিদে হুমাইদ ইব্‌ন আবদির রহমানের পার্শ্বে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় বনু গিফার গোত্রের একজন সুদর্শন ও কালা (কানে কম শোনেন) বৃদ্ধ সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হুমাইদ তাঁকে খবর পাঠালেন। তিনি কাছে আসলে হুমাইদ আমাকে বললেন, ভাতিজা এই বৃদ্ধের জন্য তোমার ও আমার মাঝখানে বসার জায়গা করে দাও: কারণ ইনি আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) সাহচর্য লাভ করেছেন। অতঃপর তিনি এসে আমাদের দুইজনের মাঝখানে বসলেন। তখন হুমাইদ তাঁকে বললেন আপনি আমাকে সেই হাদীসটি শোনান, যা আপনি রাসূল (ﷺ) থেকে আমাকে শুনিয়েছিলেন। তখন আগন্তুক শায়খ (বৃদ্ধ বা উস্তাদ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা মেঘমালা সৃষ্টি করেন, আর তা তার সর্বোত্তম কথা বলে (বজ্রের শব্দ) ওঠে এবং সর্বোত্তম হাসি হাসে (বিদ্যুৎ চমকায়)।
(হাদীসের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى السحاب والرعد والرياح
حدثنا يزيد (6) أنا ابراهيم بن سعد أخبرنى أبى قال كنت جالسا إلى جنب حميد بن عبد الرحمن فى المسجد فمر شيخ جميل من بنى غفار وفى اذنيه صمم أو قال وفر، أرسل اليه حميد فلما أقبل قال يا ابن أخى أوسع له فيما بينى وبينك فانه قد صحب رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء حتى جلس فيما بينى وبينه، فقال له حميد هذا الحديث الذى حدثنى عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال الشيخ سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الله عز وجل بشئ السحاب فينطق أحسن النطق (7) ويضحك أحسن الضحك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বায়ু, বজ্র ও মেঘমালা প্রসংগ
(৩৬) ইবন 'উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্ রাসূল (ﷺ) যখন বজ্রাঘাত ও বিদ্যুত চমকানোর আওয়াজ শুনতেন, তখন পাঠ করতেন:
اللَّهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلَا تُهْلِكُنَا بِعَذَا بِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ .
হে আল্লাহ্, তুমি তোমার রাগ দ্বারা আমাদেরকে ধ্বংস করো না এবং তোমার শাস্তি দ্বারা আমাদেরকে বিনাশ করো না; সেসবের পূর্বে আমাদেরকে ক্ষমা করো।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى السحاب والرعد والرياح
عن ابن عمر قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا سمع الرعد والصواعق قال اللهم لا تقتلنا بغضبك ولا تهلكنا بذعابك وعافنا قبل ذلك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বায়ু, বজ্র ও মেঘমালা প্রসংগ
(৩৭) ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কয়েকজন ইয়াহুদী রাসূলুল্লাহর (ﷺ) কাছে উপস্থিত হয়ে বললো, হে আবুল কাসিম, আমরা আপনার কাছে পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করবো...এরপর পুরো হাদীস বর্ণনা করেন। এই হাদীসে আছে- তারা বললো, আমাদের বলুন এই বজ্র কী? তিনি বলেন, আল্লাহর ফেরেশতাদের মধ্য থেকে একজন ফেরেশতাকে মেঘসংক্রান্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, তাঁর হাতে আগুনের তৈরী একটি করাত আছে, তিনি এই করাতের সাহায্যে মেঘ কর্তন করেন এবং আল্লাহ্ নির্দেশমতে মেঘ চালনা করেন। তারা বললো, তাহলে আমরা যে আওয়াজ শুনতে পাই তা কী? রাসূল (ﷺ) বললেন, সেই কর্তনের আওয়াজ। তারা বললো, আপনি সত্য বলেছেন।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى السحاب والرعد والرياح
عن ابن عباس (1) قال اقبلت يهود الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا يا أبا القاسم أنا نسألك عن خمسة أشياء فذكر الحديث وفيه قالوا أخبرنا ما هذا الرعد؟ قال ملك من ملائكة الله عز وجل موكل بالسحاب بيده أو فى يده مخراق من نار يزجر به السحاب يسوقه حيث أمر الله، قالوا فما هذا الصوت الذى نسمع قال صوته قالوا صدقت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বায়ু, বজ্র ও মেঘমালা প্রসংগ
(৩৮) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, তোমাদের মহামহীম প্রভু বলেন, যদি আমার বান্দারা আমার নির্দেশ মেনে চলতো, তবে রাত্রে আমি তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করাতাম, আর দিনের বেলায় সূর্যের কিরণ প্রদান করতাম এবং তাদেরকে বজ্রের আওয়াজও শুনাতাম না। রাসূল (ﷺ) আরো বলেন, আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখা আল্লাহর উত্তম ইবাদতেরই অংশ।
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى السحاب والرعد والرياح
عن أبى هريرة (2) أن النبى صلى الله عليه وسلم قال قال ربكم عز وجل لو أن عبادى أطاعونى لأسقيتهم المطر بالليل وأطلعت عليهم الشمس بالنهار ولما أسمعتهم صوت الرعد: وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان حسن الظن بالله من حسن عبادة الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বায়ু, বজ্র ও মেঘমালা প্রসংগ
(৩৯) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরো বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা বায়ুকে গালি দিও না, কেননা বায়ু রহমত (করুণা) ও শান্তি সাথে নিয়ে আসে। কিন্তু তোমরা আল্লাহ তা'আলার কাছে বায়ুর কল্যাণ প্রার্থনা কর এবং এর অকল্যাণ থেকে পরিত্রাণ চেয়ো।
(ইবন মাজাহ)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى السحاب والرعد والرياح
وعنه أيضا (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسبوا الريح فانها تجئ بالرحمة (4) والعذاب ولكن سلوا الله خيرها وتعوذوا به من شرها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বায়ু, বজ্র ও মেঘমালা প্রসংগ
(৪০) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরো বর্ণিত, মক্কার রাস্তায় লোকদেরকে বাতাস পেয়ে বসে; 'উমার (রা) ছিলেন ঐ সময় হজপালনকারী। বাতাসের গতিবেগ প্রচণ্ড আকার ধারণ করলে উমার (রা) তাঁর চারপাশের লোকদের বললেন, বাতাস সম্পর্কে আমাদেরকে হাদীস শুনাতে পারে কে? কিন্তু কেউ তাকে কোন উত্তর দিল না। উমারের (রা) প্রার্থিত বিষয়টি অবগত হলে পর আমি আমার বাহনের গতি বাড়িয়ে দিয়ে তাঁর কাছাকাছি পৌছে যাই এবং বলি, হে আমীরুল মু'মিনীন, আমি জানতে পারলাম যে, আপনি বাতাস সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন; আমি আল্লাহর রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছি, বাতাস হচ্ছে আল্লাহর দান। বাতাস আসে আল্লাহর রহমত ও শান্তি নিয়ে। সুতরাং যখন তোমরা বাতাস দেখবে, তাকে গালি দিবে না বরং আল্লাহর কাছে এর মধ্যে নিহিত কল্যাণ কামনা করবে এবং এর অকল্যাণ থেকে পরিত্রাণ প্রার্থনা করবে।
(আবু দাউদ, ইবন মাজাহ ও মালিক।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى السحاب والرعد والرياح
وعنه أيضا (5) قال أخذت الناس ريح بطريق مكة وعمر بن الخطاب حاج فاشتدت عليهم فقال عمر لمن حوله من يحدثنا عن الريح؟ فلم يرجعوا اليه شيئا، (6) فبلغنى الذى سأل عنه عمر من ذلك، فاستحثثت راحلتى حتى أدركته فقلت يا أمير المؤمنين أخبرت أنك سألت عن الريح، وانى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الريح من روح (7) الله تأتى بالرحمة وتأتى بالعذاب، فاذا رأيتموها فلا تسبوها وسلوا الله خيرها واستعيذوا به من شرها
tahqiq

তাহকীক: