মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১৫ টি
হাদীস নং: ৮১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮১. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করছি, যার খেলাফ কখনও করবেন না। অবশ্যই আমি একজন মানুষ, সুতরাং ্যদি আমি কোন মুমিনকে কষ্ট দেই, অথবা গালি দেই, অথবা বেত্রাঘাত করি, অথবা অভিশাপ দেই, তুমি তা তার জন্য রহমত, পবিত্রতা ও নৈকট্য হিসাবে গণ্য করো, যার দ্বারা সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن أبي هريرة (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اللهم اني اتخذ عندك عهدا لن تخلفنيه إنما انا بشر فإي المؤمنين آذيته أو شتمته أو جلدته أو لعنته (2) فاجعلها له صلاة وزكاة وقربة تقربه بها يوم القيامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮২. 'আমর ইব্ন আবূ কুররা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযায়ফা ইব্ন ইয়ামান মাদায়েনে ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিভিন্ন কথা উল্লেখ করতেন; পরে হুযায়ফা সালমানের নিকট আসলে সালমান তাকে বলেন, হে হুযায়ফা! রাসূল (ﷺ) রাগের সময় বলতেন এবং আনন্দের সময়ও বলতেন। তিনি বলেন, তুমি কি জান, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার উম্মতের কোন ব্যক্তিকে আমি রাগের সময় গালি দিয়েছি, অথবা অভিশাপ দিয়েছি; আমি যেহেতু আদমেরই সন্তান, তারা যেভাবে রাগান্বিত হয়, আমিও সেভাবে রাগান্বিত হই; বস্তুত আমাকে 'রাহমাতুল্লিল আলামীন' রূপে পাঠানো হয়েছে। সুতরাং এসব বদদু'আকে তাদের জন্য কিয়ামতের দিন তার জন্য যেন রহমত হিসাবে গণ্য করবেন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن عمرو بن أبي قرة (3) قال كان حذيفة (يعني ابن اليمان رضي الله عنه) بالمدائن فكان يذكر أشياء قالها رسول الله صلى الله عليه وسلم (4) فجاء حذيفة الى سلمان فيقول سلمان يا حذيفة إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يغضب فيقول ويرضى ويقول (1) لقد علمت ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب فقال أيما رجل من أمتي سببته سبة في غضبي أو لعنته لعنة فإنما أنا من ولد آدم أغضب كما يغضبون واما بعثني رحمة للعالمين فاجعلها صلاة عليه يوم القيامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮৩. আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) 'উমর (রা)-এর মেয়ে হাফসা (রা)- এর নিকট একজন বন্দীকে প্রেরণ করে বলেন, 'তাকে ধরে রাখবে।' বর্ণনাকারী বলেন, হাফসার উদাসীনতার দরুণ সে চলে যায়। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রবেশ করে বলেন, হে হাফসা! বন্দীকে কি করেছ? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার উদাসীনতার সুযোগে সে বের হয়ে গিয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করুক। তখন হাফসা (রা) এভাবে তাঁর হাত উঠালেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রবেশ করে বলেন, হে হাফসা! তোমার কি অবস্থা? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো আমার ব্যাপার পূর্বে এভাবে এভাবে বলেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার হাত সোজা করে রাখ। আমি আল্লাহ্ তা'আলার নিকট আবেদন করছি যে, আমার উম্মতের যে কোন মানুষকে আমি বদদু'আ করলে আল্লাহ যেন তা তার জন্য ক্ষমার কারণ বানিয়ে দেন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن أنس بن مالك (2) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم دفع الى حفصة ابنة عمر رجلا (3) فقال احتفظي به قال فغفلت حفصه ومضى الرجل فدخل رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال يا حفصة ما فعل الرجل؟ قالت غفلت عنه يا رسول الله فخرج فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم قطع الله يدك فرفعت يديها هكذا فدخل رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ما شأنك يا حفصة؟ فقالت يا رسول الله قلت قبل لي كذا وكذا فقال لها صفي يديك فإني سألت الله عز وجل أي انسان من امتي دعوت الله عز وجل عليه ان يجعلها له مغفرة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮৪. 'আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট একজন বন্দীকে নিয়ে প্রবেশ করলেন, আমার অসতর্কতার দরুণ সে পালিয়ে যায়। তারপর রাসূল (ﷺ) এসে জিজ্ঞেস করেন, বন্দীটি কোথায়? আমি বলি: আমি মেয়েদের সাথে ছিলাম, তখন আমার অসতর্কাবশত সে পালিয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তোমার কি হলো- আল্লাহ তোমার এক হাত বা দু'হাত কর্তণ করুন। তারপর তিনি বের হয়ে গিয়ে মানুষকে জানালেন, লোকটি পালিয়ে গেছে। তখন লোকেরা বন্দীকে খোঁজ করে ধরে নিয়ে আসলো। এরপর তিনি আমার কাছে প্রবেশ করে দেখলেন, আমি আমার দুহাত উলট পালট করে দেখছি। তিনি বললেন, তোমার কি হলো, পাগল হলে নাকি? আমি বললাম, আপনি আমার উপর বদদু'আ করেছেন, তাই আমি হাত উলট-পালট করে দেখছিলাম কোন হাতটি কাটা পড়ে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর হাত উপরের দিকে উঠিয়ে বললেন, হে আল্লাহ্! আমি একজন মানুষ, মানুষ যেভাবে রাগ করে, আমিও তেমনি রাগ করি, সুতরাং কোন মুমিন মুমিনকে যদি আমি বদদু'আ করি, তাহলে সেটা তার জন্য পবিত্রতা ও ক্ষমার কারণ করে দিন।
তার দ্বিতীয় বর্ণনায় এসেছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় আমার নিকট প্রবেশ করে কিবলামুখী হয়ে বলেন, হে আল্লাহ্! আমিতো একজন মানুষ, আমি যদি তোমার কোন বান্দাহকে প্রহার করি অথবা কষ্ট দেই, তাহলে সে জন্য আমাকে শাস্তি দিবেন না।
তার দ্বিতীয় বর্ণনায় এসেছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় আমার নিকট প্রবেশ করে কিবলামুখী হয়ে বলেন, হে আল্লাহ্! আমিতো একজন মানুষ, আমি যদি তোমার কোন বান্দাহকে প্রহার করি অথবা কষ্ট দেই, তাহলে সে জন্য আমাকে শাস্তি দিবেন না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن ذكوان مولى عائشة (4) عن عائشة رضي الله عنها قالت دخل علي النبي صلى الله عليه وسلم بأسير فلهوت فنه فذهب بجاء النبي صلى الله عليه وسلم فقال ما فعل الأسير؟ قالت لهوت عنه مع النسوة فخرج فقال مالك قطع الله يدك أو يديك فخرج فآذن به الناس (5) فطلبوه فجاءوا به فدخل علي وأنا أقلب يدي فقال مالك أجننت؟ قلت دعوت علي فأنا أقلب يدي أنظر ايتهما يقطعان فحمد الله وأثني عليه ورفع يديه مدا وقال اللهم اني بشر اغضب كما يغضب البشر فأيما مؤمن أو مؤمنه دعوت عليه فاجعله له زكاة وطهرا (وعنها من طريق ثان) (6) قالت دخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم في ازار ورداء فاستقبل القبلة وبسط يديه فقال اللهم انما انا بشر فأي عبد من عبادك ضربت أو آذيت فلا تعاقبني به قال بهز فيه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮৫. আয়েশা (রা) বলেন, যুদ্ধে আরবদের পক্ষ থেকে রাসূল (ﷺ) কে সহযোগিতাকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। তারা তাদের প্রাপ্য অংশে বেশী লাভের আশায় রাসূল (ﷺ) কে ঘিরে ধরলো। তখন মুহাজিরগণ রাসূল (ﷺ) কে তাদের ঘেরাও থেকে বের করার চেষ্টা করছিল। শেষ পর্যন্ত আয়েশা (রা) ঘরের চৌকাঠে দাঁড়ালেন, তাতেও তারা তাকে ছাড়ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর চাদরটি তাদের হাতে দিয়ে তাড়াতাড়ি ঘরে প্রবেশ করে বললেন, আল্লাহ্ তাদের উপর লা'নত করুন। তখন 'আয়শা (রা) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! এ জাতি তো ধ্বংস হয়ে গেল। রাসূল (ﷺ) বললেন, কখনই নয়, আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, হে আবু বকরের কন্যা! আমি আমার মহান রবের কাছে এমন একটি শর্ত দিয়েছিলাম, তিনি যার বিপরীত কাজ করবেন না। তাহলো, আমি বলেছি : আমিতো একজন মানুষ মাত্র। মানুষ যেটাতে কষ্ট অনুভব করে, আমিও তাতে কষ্ট অনুভব করি। সুতরাং কোন মু'মিন মু'মেনার প্রতি যদি আমার কোন রাগ আসে, তবে সেটাকে আপনি তার জন্য কাফফারা হিসাবে গ্রহণ করে নেন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن عروة بن الزبير (1) أن عائشة قالت ان امداد (2) العرب كثروا على رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى غموه (3) وقام المهاجرون يفرجون عنه حتى قام على عتبة عائشه فرهقوه (4) فأسلم رداءه في أيديهم ووثب (5) على العتبة فدخل وقال اللهم اللعنهم (6) فقالت عائشة يا رسول الله هلك القوم فقال كلا والله يا بنت أبي بكر لقد اشترطت على ربي عز وجل شرطا لا حلف له (7) فقلت انما انا بشر أضيق كما يضيق به البشر فأي المؤمنين بدرت اليه مني بادرة فاجعلها له كفارة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮৬. 'আয়েশা (রা) থেকে আরো বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে দু'জন লোক প্রবেশ করলে তিনি তাদেরকে কঠোর কথা বলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! অনেকে আপনার নিকট থেকে কল্যাণের দু'আ পেয়েছে, এ দু'জন কি আপনার কাছ থেকে কল্যাণের দু'আ পায়নি? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তুমি জান না, আমার রব আমার সাথে কী অংগীকার করেছেন। আমি বলেছি: হে আল্লাহ্! যদি আমি কোন মুমিনকে কঠোর কথা বলি, প্রহার করি ও অভিশাপ নেই; তাহলে সেটা তার জন্য ক্ষমা, নিরাপত্তা বা এ জাতীয় অন্য কিছু করে দিন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
وعنها ايضا (8) قالت دخل على النبي صلى الله عليه وسلم رجلان فأغلظ لهما وسبهما قالت فقلت يا رسول الله لمن أصاب منك خيرا ما أصاب هذان منك خيرا (9) قالت فقال أو ما علمت ما عهدت عليه ربي عز وجل قال قلت اللهم ايما مؤمن سببته أو جلدته أو لعنته فاجعلها له مغفرة وعافية وكذا وكذا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮৭. হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাবুকের যুদ্ধে বের হলে তাকে জানানো হলো যে, প্রয়োজনীয় পানির স্বল্পতা রয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একজন আহ্বানকারীকে ঘোষণা দিতে বললেন যে, আমার পূর্বে কেউ যেন পানির নিকট না যায়। তখন রাসূল (ﷺ) পানির নিকট এসে দেখলেন যে, একদল তাঁর পূর্বেই পানির নিকট এসে পৌঁছেছে। তখন রাসূল (ﷺ) তাদের অভিশাপ দেন (তারা ছিল মুনাফিক)।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن حذيف (10) قال خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم غزوة تبوك قال فبلغه أن في الماء قلة الذي يرده (11) فأمر مناديا فنادى في الناس أن لا يسبقني الى الماء احد فأتى الماء وقد سبقه قوم فلعنهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮৮. আবু সাওয়ার (র) তার মামা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি দেখলাম কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিছনে পিছনে হাঁটছে। আমিও তাদের পিছু নিলাম হঠাৎ দেখলাম। তারা তাড়াতাড়ি উধাও হয়ে গেল, অথচ আমি বাকী থাকলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট এসে লাঠি, ছড়ি, মিসওয়াক ইত্যাদি তাঁর কাছে যা ছিল, তা দিয়ে আমাকে প্রহার করলেন। আল্লাহ্ শপথ করে বলছি, ব্যথাটা বেশী ছিল না, কিন্তু আমি একটি রাত চিন্তিতভাবে কাটালাম এবং আমি মনে করেছিলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এজন্যই প্রহার করেছেন যে, আল্লাহ নিশ্চয় আমার ব্যাপারে তাকে কিছু জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ভোর হলেই আমি রাসূল (ﷺ)-এর কাছে যাবো। তিনি বলেন, তখন জিব্রাইল (আ) রাসূল (ﷺ)-এর নিকট অবতরণ করে বলেন, আপনি একজন রাখাল। আপনি যাদের রাখাল, তাদের শিং ভেঙ্গে দেবেন না, অর্থাৎ তাদের সাথে কঠোর আচরণ করবেন না। বর্ণনাকারী বলেন, যখন আমরা ফযরের নামায আদায় করলাম অথবা বলেছেন, ভোরে উপনিত হলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আল্লাহ! কিছু লোক আমার পিছনে পিছনে চলতে থাকে, আমি সেটা পছন্দ করিনি। হে আল্লাহ! তাদের কাউকে যদি আমি প্রহার অথবা কঠোর ভাষায় তিরস্কার করে থাকি, তবে সেটা যেন তার জন্য কাফফারা ও ছাওয়াবে পরিণত হয় অথবা ক্ষমা ও রহমতে পরিণত হয়। অথবা অনুরূপ কথা বলেছেন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن أبي السوار (2) عن خاله قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وأناس يتبعونه فاتبعته معهم (3) قال ففجئني القوم يسعون (4) قال وأبقى القوم (5) قال فأتى على رسول الله فضربني ضربة إما بعسيب (6) أو قضيب أو سواك أو شيء كان معه قال فوالله ما أوجعني قال فبت بليلة (7) قال وقلت ما ضربني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلا لشيء علمه الله في قال وحدثتني نفسي ان آتي رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اصبحت قال فنزل جبريل عليه السلام على النبي صلى الله عليه وسلم فقال انك راح لا تكسرن قرن رعيتك (8) قال فلما صلينا الغداة أو قال صبحنا قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اللهم ان اناسا بيتبعوني واني لا يعجبني ان يتبعوني اللهم فمن ضربت أو سببت فاجعلها له كفارة وأجرا أو قال مغفرة ورحمة أو كما قال
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যাকে নবী করিম (ﷺ) অভিশাপ অথবা গালি দেন, অথবা তার জন্য বদদু'আ করেন, সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না হওয়া সম্পর্কে
৮৯. 'আবদুল্লাহ ইব্ন উছমান ইব্ন খুছায়ম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাহাবী আবূ তুফায়ল (রা)-এর কাছে প্রবেশ করে দেখলাম, তিনি খোশ মেজাজে আছেন, আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, তার এ সুযোগটা আমি গ্রহণ করব। তাই আমি তাকে বললাম, হে আবূ তুফায়ল! আমাকে তাদের সম্পর্কে বলুন, যাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অভিশাপ দিয়েছেন। তিনি আমাকে তাদের নাম বলতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তার স্ত্রী সাওদা (রা) বাধা দিয়ে বললেন, হে আবূ তুফায়ল তুমি চুপ কর। তুমি কি জান না, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হে আল্লাহ্! আমিতো একজন মানুষ, তোমার মু'মিন বান্দাদের কারো উপর যদি আমি বদদু'আ করি, তবে তা তার জন্য পবিত্রতা ও রহমত হিসাবে গণ্য করুন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء فيمن لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهل لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
عن عبد الله ابن عثمان بن خثيم (9) قال دخلت على أبي الطفيل فوجدته طيب النفس فقلت لاغتنمن ذلك منه فقلت يا أبا الطفيل النفر الذين لعنهم رسول الله صلى الله عليه وسلم من؟ بينهم (10) من هم فهم أن يخبرني بهم فقالت له امرأته سودة مه (11) يا أبا الطفيل أما بلغك أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اللهم إنما أنا بشر فايما عبد من المؤمنين (12) دعوت عليه دعوة فاجعلها له زكاة ورحمة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: উট ও মোরগের উপর অভিসম্পাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯০. আবু বারযা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আরোহণের উষ্ট্রী অথবা উটের উপরে কোন সম্প্রদায়ের মালপত্র ছিল এবং তার উপরে একজন দাসী বসা ছিল। তারা দুটি পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করছিল। আর তাদের জন্য পথটি ছিল খুবই সংকীর্ণ। সে হঠাৎ রাসূল (ﷺ) কে দেখে উটকে ধমক দিয়ে বললো, হে আল্লাহ্। উটের উপর লা'নত বর্ষণ কর। তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, এ দাসীর মালিক কে? তিনি বলেন, যে উষ্ট্রী অথবা উটের উপর আল্লাহর লা'নত বর্ষণ করা হয়, তা যেন আমাদের সঙ্গে না যায়।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في لعن الابل والديكة
عن أبي برزة (1) قال كانت راحلة أو ناقة أو بعير عليها بعض متاع القوم وعليها جارية فأخذوا بين جبلين (2) فتضايق بهم الطريق فأبصرت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت حل حل (3) اللهم العنها فقال النبي صلى الله عليه وسلم من صاحب هذه الجارية؟ لاتصحبنا راحلة أو ناقة أو بعير عليها من لعنه الله تبارك وتعالى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: উট ও মোরগের উপর অভিসম্পাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯১. 'ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক সফরে ছিলেন, তখন আনসারদের একজন মহিলা উটের উপর ছিল এবং তাকে দ্রুত গতিতে হাকাচ্ছিল, সে ক্রুদ্ধ হয়ে উটকে অভিশাপ দিচ্ছিল, সে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার কথা শুনে বললেন, উটের উপর যা আছে তা নিয়ে তাকে ছেড়ে দাও, কারণ সে অভিশপ্ত। 'ইমরান (রা) বলেন, আমি এখনও যেন উটটিকে দেখতে পাচ্ছি, তা লোকজনের মাঝে চরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কেউ উটের প্রতি দৃষ্টিপাত করছে না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في لعن الابل والديكة
عن عمران بن حصين (5) قال بينما رسول الله صلى الله عليه وسلم في بعض اسفاره وامرأة من الانصار على ناقة فضجرت فلعنتها فسمع ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال خذوا ما عليها (6) ودعوها فإنها ملعونة قال عمران فكأني انظر اليها الآن تمشي في الناس ما يعرض لها أحد يعني الناقة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: উট ও মোরগের উপর অভিসম্পাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯২. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) কোন এক সফরে থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তি উষ্ট্রীকে অভিশাপ দিল। তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, উষ্ট্রীর মালিক কোথায়? সে ব্যক্তি বললো, এই যে, আমি নবী করিম (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তা'আলা তার দু'আ কবুল করেছেন, যে কারণে উটটি অভিশপ্ত।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في لعن الابل والديكة
عن أبي هريرة (7) قال كان النبي صلى الله عليه وسلم في سفر يسير فلعن رجل ناقة فقال اين صاحب الناقة؟ فقال الرجل أنا قال اخرها فقد أجبت فيها (8)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: উট ও মোরগের উপর অভিসম্পাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৩. আবু জাওযা (রা) 'আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। 'আয়েশা (রা) রাসূল (ﷺ)-এর সাথে কোন এক সফরে ছিলেন। তিনি তাঁর উষ্ট্রীকে অভিসম্পাত দিলে নবী করিম (ﷺ) তা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, অভিশপ্ত কোন জিনিসকে বাহন বানাবে না। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেছেন, তার উপর আরোহণ করবে না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في لعن الابل والديكة
عن أبي الجوزاء (1) عن عائشة رضي الله عنها انها كانت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فلعنت بعيرا لها فأمر به النبي صلى الله عليه وسلم أن يرد وقال لا يصحبني شيء ملعون (وفي رواية) فقال النبي صلى الله عليه وسلم لا تركبيه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: উট ও মোরগের উপর অভিসম্পাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৪. যায়েদ ইব্ন খালিদ আল জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূল (ﷺ)-এর পাশে একটি মোরগ ডাক দিলে এক ব্যক্তি তাকে অভিশাপ দেয়। তখন নবী করিম (ﷺ) বলেন, তাকে অভিশাপ দিওনা। কারণ, সে মানুষকে নামাযের দিকে আহ্বান করে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في لعن الابل والديكة
عن زيد بن خالد الجهني (2) لعن رجل ديكا صاح عند النبي صلى الله عليه وسلمفقال النبي صلى الله عليه وسلم لا تلعنه فإنه يدعو إلى الصلاة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কোন মুসলমানকে গালি দেয়া, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং যে গালি দিয়েছে সে অপরাধী, আর নির্যাতিত ব্যক্তি যেন সীমা অতিক্রম না করে
৯৫. 'আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কেন মুসলমানকে গালমন্দ করা ফাসেকী আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কুফরী। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবূ ওয়াসেলকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি আবদুল্লাহ থেকে শুনেছ? সে বললো: হ্যাঁ।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في الترهيب من سب المسلم وقتاله وان إثم ذلك على البادئ مالم يعتد المظلوم
حدثنا يحيى عن شعبة (3) حدثني زبيد عن أبي وائل عن عبد الله (يعني ابن مسعود) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال سباب المسلم فسوق (4) وقتاله كفر قال قلت لأبي وائل انت سمعت من عبد الله قال نعم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কোন মুসলমানকে গালি দেয়া, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং যে গালি দিয়েছে সে অপরাধী, আর নির্যাতিত ব্যক্তি যেন সীমা অতিক্রম না করে
৯৬. তাঁর থেকে পুনরায় বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন মুসলমানকে গালমন্দ করা ফাসেকী, আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কুফরী এবং অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করা যেমনি হারাম, তেমনি তার মাল ছিনিয়ে নেয়াও হারাম।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في الترهيب من سب المسلم وقتاله وان إثم ذلك على البادئ مالم يعتد المظلوم
وعنه أيضا (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم سباب المسلم أخاه فسوق وقتله كفر وحرمة ماله كحرمة دمه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কোন মুসলমানকে গালি দেয়া, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং যে গালি দিয়েছে সে অপরাধী, আর নির্যাতিত ব্যক্তি যেন সীমা অতিক্রম না করে
৯৭. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, পরস্পরকে গালি প্রদানকারীর মধ্যে যে আগে গালি দেয়, সে ব্যক্তি দোষী, যদি নির্যাতিত ব্যক্তি (অর্থাৎ প্রথমে যাকে গালি দেয়া হয়) সীমা অতিক্রম না করে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في الترهيب من سب المسلم وقتاله وان إثم ذلك على البادئ مالم يعتد المظلوم
عن أبي هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم المستبان (8) ما قالا فعلى البادئ مالم يعتد المظلوم (9)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কোন মুসলমানকে গালি দেয়া, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং যে গালি দিয়েছে সে অপরাধী, আর নির্যাতিত ব্যক্তি যেন সীমা অতিক্রম না করে
৯৮. পুনরায় তিনি বর্ণনা করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন নিজের মুসলমান ভাইয়ের প্রতি অস্ত্র দ্বারা ইশারা না করে। কেননা বলা যায় না, শয়তান তাকেই হাতিয়ার বানাতে পারে, (আর এভাবে মানুষ মারার কারণে) সে দোযখের গর্তে পতিত হবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في الترهيب من سب المسلم وقتاله وان إثم ذلك على البادئ مالم يعتد المظلوم
وعنه أيضا (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يمشين (2) أحدكم الى اخيه بالسلاح فإنه لا يدري أحدكم لعل الشيطان ينزع (3) في يده فيقع في حفرة من نار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কোন মুসলমানকে গালি দেয়া, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং যে গালি দিয়েছে সে অপরাধী, আর নির্যাতিত ব্যক্তি যেন সীমা অতিক্রম না করে
৯৯. ইয়াদ ইব্ন হিমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি আমাকে গালি দেয়। সে আমার থেকে কম মর্যাদাবান। আমি যদি তাকে পুন: গালি দিয়ে তার উপর প্রাধান্য বিস্তার করি, সেটা কি আমার জন্য দোষের কাজ হবে। রাসূল (ﷺ) বললেন, গালি গালাজকারী উভয়েই শয়তান। এরা বাজে কথা বলে এবং মিথ্যাচার করে। অন্য শব্দে এসেছে: তারা মিথ্যাচার করে এবং বাজে কথা বলে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في الترهيب من سب المسلم وقتاله وان إثم ذلك على البادئ مالم يعتد المظلوم
عن عياض بن حمار (4) رضي الله عنه قال قلت يا رسول الله رجل من قومي يشتمني وهو دوني على بأمور أن انتصر منه؟ قال المستبان شيطانان (5) يتهاذيان ويتكاذبان (وفي لفظ) يتكاذبان ويتهاتران
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কোন মুসলমানকে গালি দেয়া, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং যে গালি দিয়েছে সে অপরাধী, আর নির্যাতিত ব্যক্তি যেন সীমা অতিক্রম না করে
১০০. তাঁর থেকে আরো বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেন, পরস্পর গালী প্রদানকারীর মধ্যে যে আগে গালি দেয়, সে অপরাধী, যদি নির্যাতিত ব্যক্তি সীমা অতিক্রম না করে অথবা যদি মাজলুম ব্যক্তি বাড়াবাড়ি না করে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في الترهيب من سب المسلم وقتاله وان إثم ذلك على البادئ مالم يعتد المظلوم
وعنه أيضا (7) أن النبي صلى الله عليه وسلم قال اثم المستبين ما قالا على البادي (8) حتى يعتدي المظلوم أو الا ان يعتدي المظلوم
তাহকীক: