মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১৫ টি

হাদীস নং: ২১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নারীদেরকে নিযুক্ত করা অকল্যাণকর
২১. আবূ বাকরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় একজন সংবাদ নিয়ে আসলো যে, শত্রুদের উপর তাঁর সৈন্য বাহিনী বিজয়ী হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মাথা 'আয়েশা (রা)-এর কোলে ছিল। তিনি দাঁড়ালেন এবং সিজদা করলেন, তারপর সংবাদদাতাকে প্রশ্ন করলে সে সংবাদ দিল যে, তারা একজন মহিলাকে তাদের আমীর নিযুক্ত করেছে। তখন নবী করিম (ﷺ) বলেন, এখন যখন মহিলাদের আনুগত্য করা হবে, তখন পুরুষরা ধ্বংস হবে। একথা তিনি তিন বার বললেন।
كتاب المدح والذم
فصل منه أيضا في عدم صلاحية النساء لولاية الأمور
عن أبي بكرة (6) أنه شهد النبي صلى الله عليه وسلم أتاه بشير يبشر بظفر جند له على عدوهم ورأسه في حجر عائشه رضي الله عنها فقام فخر ساجدا ثم أنشأ يسائل البشير فأخبره فيما أخبره انه ولى امرهم امرأة فقال النبي صلى الله عليه وسلم الآن هلكت الرجال اذا أطاعت النساء هلكت الرجال اذا أطاعت النساء (1) ثلاثا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নারীদেরকে নিযুক্ত করা অকল্যাণকর
২২. তাঁর থেকে আরো বর্ণিত। পারস্য থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর নবী! আমার রব আল্লাহ্ তা'আলা তাকে ধ্বংস করেছেন (অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা পারস্য সম্রাটকে রাসূলের দু'আয় ধ্বংস করেছেন।) বর্ণনাকারী বলেন, নবী করিম (ﷺ) কে বলা হলো, সে তার কন্যাকে শাসক বানিয়েছে। পুনরায় নবী করিম (ﷺ) বলেন, যে জাতি নারীকে নিজেদের শাসক বানায়, সে জাতির কখনও কল্যাণ হতে পারে না।
كتاب المدح والذم
فصل منه أيضا في عدم صلاحية النساء لولاية الأمور
وعنه أيضا (2) أن رجلا من أهل فارس أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال (أي النبي صلى الله عليه وسلم) إن ربي تبارك وتعالى قد قتل ربك (3) قال وقيل له يعني النبي صلى الله عليه وسلم انه قد استخلف ابنته قال فقال لا يفلح قوم تملكهم امرأة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
২৩. মুতাররিফ ইব্‌ন আবদুল্লাহ (রা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট প্রবেশ করে দেখি, তিনি সূরা 'তাকাসুর' পড়ছেন, সম্পদের প্রাচুর্যের মোহ তোমাদেরকে আল্লাহ্ থেকে উদাসীন করে ফেলেছে, এমনকি তোমরা কবর পর্যন্ত পৌঁছেছ।" তিনি বলেন, আদম সন্তান বলে, আমার মাল, আমার সম্পদ। হে আদম সন্তান! তুমি খেয়ে যা শেষ করেছ, পরিধান করে যা পুরানো করেছ, দান খয়রাত করে যা (আল্লাহর খাতায়) জমা রেখেছ, এগুলো ছাড়া তোমার সম্পদ বলতে কিছুই নেই, কাতাদা (রা) বলেন, যে সদকা গ্রহণ করা হয় না সেটা ধর্তব্য নয়।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
حدثنا عفان (5) قال ثنا همام انا قتادة عن مطرف بن عبد الله عن أبيه (6) قال دخلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يقرأ الهاكم التكاثر حتى زرتم المقابر قال فقال يقول ابن آدم مالي مالي (7) وهل لك يا ابن آدم من مالك إلا ما أكلت فأفنيت؟ أو لبست فأبليت (8) أو تصدقت فأمضيت (9) وكان قتادة يقول كل صدقة لم تقبض فليس بشيء
হাদীস নং: ২৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
২৪. কা'ব ইব্‌ন ইয়ায (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোন না কোন ফিতনা রয়েছে, আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن كعب بن عياض (11) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان لكل أمة فتنة (12) وأن فتنة أمتي المال (13)
হাদীস নং: ২৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
২৫. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, বান্দা বলে, আমার মাল, আমার মাল। কিন্তু তার মাল হলো তিনটি, যেটা সে খেয়ে শেষ করেছে অথবা যেটা পরিধান করে পুরানো করেছে, অথবা যেটা দান করেছে, সেটা আল্লাহর কাছে সম্পদ হিসাবে রয়েছে, এছাড়া সবই সে ছেড়ে চলে যাবে এবং মানুষের জন্য রেখে যাবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن أبي هريرة (1) أن النبي صلى الله عليه وسلم قال يقول العبد مالي مالي وانما له من ماله ثلاث ما أكل فأقنى أو لبس فأبلى أو أعطى فأقنى ما سوى ذلك فهو ذاهب وتاركه للناس
হাদীস নং: ২৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
২৬. ছাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন اَلَّذِينَ يكِنِزوْنَ অর্থাৎ "যারা স্বর্ণ-রৌপ্য জমা করে রাখে এবং আল্লাহর পথে খরচ করে না", এ আয়াত অবতীর্ণ হয়; তখন আমরা রাসূল (ﷺ)-এর সাথে কোন এক সফরে ছিলাম আমাদের একজন সাথী বললেন, স্বর্ণ-রৌপ্য সম্পর্কে যা নাযিল হয়েছে, আমরা যদি জানতাম কোন সম্পদটি উত্তম, তাহলে আমরা তা গ্রহণ করতাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, উত্তম সম্পদ হলো জিকিরকারী যবান, শোকরকারী অন্তর এবং মুমিন স্ত্রী, যে ঈমানের ক্ষেত্রে সাহায্যকারী।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن ثوبان (2) مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لما أنزلت (الذين يكنزون الذهب والفضة ولا ينفقونها في سبيل الله) قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في بعض أسفاره فقال بعض أصحابه قد نزل في الذهب والفضة ما نزل فلو أنا علمنا أي المال خير اتخذناه فقال أفضله (3) لسانا ذاكرا وقلبا شاكرا وزوجة مؤمنة تعينه على ايمانه
হাদীস নং: ২৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
২৭. 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন আবূ হুযায়ল (রা) থেকে বর্ণিত। আমার একজন সাথী আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিকদের জন্য ধ্বংস। তিনি বলেন, আমার সাথী আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি 'উমর (রা)-এর সাথে গেলেন 'উমর (রা) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার কথা স্বর্ণ-রৌপ্যের (মালিকদের) জন্য ধ্বংস, তাহলে আমরা কী সংরক্ষণ করব? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, জিকিরকারী যবান, শোকরকারী অন্তর ও নেককার নারী, যে আখিরাতের ইবাদতে তোমাকে সাহায্য করবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن عبد الله بن ابي الهذيل (4) قال حدثني صاحب لي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال تبا (5) للذهب والفضة قال فحدثني صاحبي انه انطلق مع عمر بن الخطاب فقال يا رسول الله قولك تبا للذهب والفضة ماذا ندخر؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لسانا (6) ذاكرا وقلبا شاكرا وزوجة تعين على الآخرة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
২৮. মুতাররিফ ইবন 'আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথীদের একজন সাহাবীকে হাদীস বলতে শুনেছেন। তিনি বলেন কুফায় এক আমীর ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি একদিন খুতবা দিলেন এবং বললেন, সম্পদ দান করা এবং তা ধরে রাখার মধ্যেও ফিত্না রয়েছে। (অর্থাৎ সন্তুষ্ট চিত্তে দান না করা, বরং অধিক পাওয়ার উদ্দেশ্য থাকা, আর মাল ধরে রাখলে কার্পণ্য সৃষ্টি হবে এবং ন্যায়ভাবে বণ্টন হবে না) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও দাঁড়িয়ে তাঁর খুতবার মধ্যে এ কথাই বলেছিলেন, তারপর তিনি তাঁর খুত্বা শেষ করেন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن مطرف بن عبد الله بن الشخير (8) يحدث عن رجل من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قال كان بالكوفة أمير قال فخطب يوما فقال في اعطاء هذا المال فتنة وفي امساكه فتنة (9) وبذلك قام به رسول الله صلى الله عليه وسلم في خطبته (10) حتى فرغ ثم نزل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
২৯. 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন হারিছ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও উবাই ইব্‌ন কা'ব একটি মনোরম দুর্গের ছায়ার নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন উবাই আমাকে বললো, তুমি কি বিভিন্ন প্রকার দুনিয়া লোভী লোকদের দেখ না? আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলত শুনেছি, অচিরেই ফুরাত নদী থেকে সোনার একটি পর্বতের আবির্ভাব হবে, মানুষ যখন এ খবর শুনবে, তখন সেদিকে দৌড়াতে থাকবে। তারা বলবে, তা কার নিকট রয়েছে? আল্লাহর শপথ! যদি আমরা মানুষের জন্য সেটা ছেড়ে দেই, তাহলে মানুষ এর দখল নিয়ে এমন যুদ্ধে লিপ্ত হবে যে যুদ্ধে প্রতি একশো জনের মধ্যে নিরানব্বই জন নিহত হবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن عبد الله بن الحارث (11) قال وقفت انا وابي بن كعب (رضي الله عنه) في ظل أجم (12) حسان فقال لي أبي ألا ترى الناس مختلفة أعناقهم (1) في طلب الدنيا؟ قال قلت بلى قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول يوشك (2) الفرات ان يحسر عن جبل من ذهب (3) فإذا سمع به الناس ساروا اليه فيقول من عنده والله لئن تركنا الناس يأخذون منه ليذهبن (4) فيقتتل الناس حتى يقتل من كل مائة تسعة وتسعون (5) وهذا لفظ حديث أبي عن عفان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩০. 'আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলে সুফফার একজন সাহাবী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দুটি দীনার, অথবা দুটি দিরহাম রেখে যান (যা গনিমতের মাল থেকে খেয়ানত করে নেওয়া হয়েছিল)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এগুলো জাহান্নামের দুটি অঙ্গার। তোমাদের সাথীর উপর তোমরাই জানাযার নামায পড়।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن علي رضي الله عنه (7) قال مات رجل من أهل الصفة وترك دينارين أو درهمين فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم كيتان صلوا على صاحبكم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩১. আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। আহলে সুফফার একজন সাহাবী এক দীনার রেখে মারা যান। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তার জন্য জাহান্নামের একটি অঙ্গার। তোমরা তার জানাজা নামায পড়। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর দ্বিতীয় একজন সাহাবী মারা যান, তিনি দুটি দীনার রেখে মারা যান, অন্য বর্ণনায়: তার মালের মধ্যে দুটি দীনার পাওয়া যায়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তার জন্য জাহান্নামের দুটি অঙ্গার। তোমরা তোমাদের সাথীর জানাজা নামায পড়।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن أبي أمامة (8) أن رجلا من أهل الصفحة توفي وترك دينارا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم له كية قال ثم توفي آخر فترك دينارين (وفي رواية فوجد في مئزره ديناران) فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم كيتان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩২. উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পরিবর্তিত চেহারা নিয়ে আমার নিকট প্রবেশ করেন। তিনি বলেন, আমি ধারণা করলাম, হয়তো ব্যথা বা যন্ত্রণায় তিনি আক্রান্ত। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী (ﷺ)! আপনার চেহারার এ পরিবর্তন কেন? তিনি বললেন, আমার হাতে গতকাল সাতটি দীনার এসেছে, বিকাল হয়ে গেল অথচ সেগুলো সদকা করতে আমি ভুলে গিয়েছি (সে দুঃখে আমার চেহারায় এ পরিবর্তন)।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن أم سلمة رضي الله عنها (9) قالت دخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو ساهم الوجه (10) قالت فحسبت أن ذلك من وجع فقلت يا نبي الله مالك ساهم الوجه؟ قال قال من أجل الدنانير السبعة التي اتتنا أمس أمسينا وهي في خصم الفراش
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩৩. আবু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। 'আয়েশা (রা) বলেন, রাসূল (ﷺ) যে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান সেই অসুস্থতার সময় তিনি বলেছিলেন, হে আয়েশা, স্বর্ণের দীনারগুলো কি করেছ? তখন 'আয়েশা (রা) পাঁচ থেকে সাত অথবা আট অথবা নয়টি দীনার নিয়ে আসলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হাত দিয়ে ওলট-পালট করে বলেন, এই দিনারগুলো নিয়ে আল্লাহর সাথে কিভাবে সাক্ষাৎ করবেন মোহাম্মদ (ﷺ)? এগুলো খরচ করে ফেল।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن أبي سلمة (12) قالت عائشة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في مرضه الذي مات فيه يا عائشه ما فعلت الذهب؟ فجاءت (1) ما بين الخمسة إلى السبعة أو الثمانية أو التسعة (2) فجعل يقلبها بيده ويقول ماظن محمد بالله عز وجل لو لقيه وهذه عنده أنفقها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩৪. শাকীক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা 'আবদুর রহমান উম্মে সালমার নিকট প্রবেশ করে বললেন, হে উম্মুল মুমিনিন! আমি ভয় পাচ্ছি যে আমি ধ্বংস হয়ে যাব। কারণ কুরায়শদের মাঝে আমি সবচেয়ে অধিক সম্পদের মালিক। আমার এক খণ্ড জমি আমি চার হাজার দীনার মূল্যে বিক্রি করেছি। তিনি বললেন, হে বৎস! আল্লাহর পথে ব্যয় কর। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার একজন সাহাবী আমার মৃত্যুর পর আমাকে দেখতে পাবে না। তখন আমি 'উমর (রা)-এর নিকট আসলাম এবং তাকে এ সংবাদ দিলাম। এরপর আমরা উভয়েই উম্মুল মুমেনিনের নিকট আসলাম। তখন ওমর বললেন, আল্লাহর শপথ! আমিই কি সেই ব্যক্তি? উম্মুল মুমেনিন বললেন, না। আর তোমার পরে আর কাউকে দায়মুক্ত ঘোষণা করব না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن شقيق (3) قال دخل عبد الرحمن بن عوف على أم سلمة (رضي الله عنها) فقال يا أم المؤمنين اني اخشى ان اكون قد هلكت اني من اكثر قريش مالا بعث أرضا لي بأربعين الف دينار فقالت انفق يابني فإني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان من اصحابي من لا يراني بعد أن أفارقه فأتيت عمر فأخبرته فأتاها فقال بالله أنا منهم؟ قالت اللهم لا ولن ابرئ احدا بعدك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩৫. 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন বুরাইদা (রা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুনিয়াদারদের নিকট সম্মানের মাপকাঠি হচ্ছে এই সম্পদ। সম্পদশালী ব্যক্তির কাছেই তারা ছুটে যায়।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن عبد الله بن بريدة (4) عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان احساب (5) أهل الدنيا الذين يذهبون اليه هذا المال
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩৬. যায়দ ইবন আসলাম বনি সালেমের এক ব্যক্তি থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট এক খণ্ড রূপা নিয়ে আসেন তারপর বলেন, এটা আমাদের এক খনি থেকে পেয়েছি। তখন নবী করিম (ﷺ) বলেন, অচিরেই হিরা বা জহরতের অনেক খনি পাওয়া যাবে। নিকৃষ্ট লোকেরা সেসব স্থানে হাজির হবে (অর্থাৎ তা বের করার জন্য ফিত্না থেকে হত্যা শুরু হবে। সুতরাং তোমরা এর নিকটবর্তী হবে না)।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن زيد بن أسلم (7) عن رجل من بني سليم عن جده انه اتى النبي صلى الله عليه وسلم بفضة فقال هذه من معدن لنا فقال النبي صلى الله عليه وسلم ستكون معادن (8) يحضرها شرار الناس
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩৭. হামযা ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিবের স্ত্রী খাওলা বিনতে কায়েস (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হামযার নিকট প্রবেশ করে দুনিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এ দুনিয়া হলো সবুজ-শ্যামল মনোরম মধুময়। যে ব্যক্তি বৈধ উপায়ে দুনিয়ায় সম্পদ ভোগ করে ও প্রয়োজন মাফিক গ্রহণ করে তার জন্য তাতে বরকত দেয়া হয়। এমন অনেক ব্যক্তি আছে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দেয়া সম্পদ কল্যাণ ও জনস্বার্থে ব্যয় না করে স্বেচ্ছাচারী পন্থায় ভোগ-ব্যবহার করে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদেরকে দোযখে নিক্ষেপ করবেন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن خولة بنت قيس (10) امرأة حمزة بن عبد المطلب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل على حمزة فتذاكرا الدنيا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الدنيا خضرة حلوة (1) فمن أخذها بحقها (2) بورك له فيها ورب متخوض (3) في مال الله ومال رسول له النار يوم يلقى الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মাল-সম্পদের প্রতি নিন্দা সম্পর্কে
৩৮. খাওলা বিনতে ছামির আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, এ পার্থিব দুনিয়া হলো সবুজ শ্যামল মনোরম ও মধুময়। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা আল্লাহর এ সম্পদ (কল্যাণে ব্যবহার না করে) স্বেচ্ছাচারী পন্থায় ভোগ ব্যবহার করে। কিয়ামতের দিন তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم المال
عن خولة بنت ثامر الانصارية (4) انها سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الدنيا حلوة خضرة وان رجال يتخوضون في مال الله عز وجل بغير حق لهم النار يوم القيامة
হাদীস নং: ৩৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৩৯. আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, আল্লাহ যমীনের উদ্ভিদ ও দুনিয়ার সৌন্দর্যের যে জিনিস বের করে দিয়েছেন, আমি তোমাদের জন্য সে সব জিনিষের ভয় করি। তখন এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) মন্দের বিনিময়ে কোন কল্যাণ আসবে কি? এ সময় নবী করিম (ﷺ) চুপ হয়ে গেলেন, এমন কি আমরা দেখলাম যে তখন তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর শরীরের ঘাম বের হয়ে শ্বাসকষ্টে তিনি মুর্ছা যাওয়ায় উপক্রম হন। তখন তিনি বলেন, প্রশ্নকারী কোথায়? সে বললো, এই যে আমি এখানে। আমিতো কল্যাণ ছাড়া কিছুই চাইনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কল্যাণ নেকীর বদলাতেই আসবে, কল্যাণ নেকীর বদলাতেই আসবে, কল্যাণ নেকীর বদলাতেই আসবে। কিন্তু পৃথিবী (ধন-দৌলত) সবুজ-শ্যামল, সুমিষ্ট মধুময় এবং বসন্ত মৌসুমের সবজীর ন্যায়, যে তৃণভোজী (প্রাণী) তা অতিরিক্ত খায়, তাকে তা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। অথবা মৃত্যুর নিকটবর্তী করে দেয়। কিন্তু যে প্রাণী সবুজ ঘাস খায় এবং তার পেট ভরে গেলে সূর্যের দিকে মুখ করে জাবর কাটে এবং মলমূত্র ত্যাগ করে, তারপর পুনরায় খায় (তার কোন ক্ষতি হয় না); এ পৃথিবীর সম্পদ যে সৎভাবে উপার্জন করে এবং সৎপথে ব্যয় করে, তার জন্য তাতে বরকত দান করা হয়। আর যে ব্যক্তি অবৈধ পথে তা উপার্জন করে, তার সম্পদে বরকত দেওয়া হয় না, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে খায় কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن أبي سعيد الخدري (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو على المنبر ان اخوف ما اخاف عليكم ما يخرج الله من نبات الأرض وزهرة الدنيا فقال رجل أي رسول الله أو يأتي (6) الخير بالشر؟ فسكت حتى رأينا أنه ينزل عليه قال وغشيه بهر (7) وعرق فقال أين السائل؟ فقال ها أنا ولم ارد إلا خيرا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الخير لا يأتي إلا بالخير ان الخير لا يأتي إلا بالخير إن الخير لا يأتي إلا بالخير ولكن الدنيا خضرة حلوة وكان ما ينبت الربيع يقتل حبطا (8) أو يلم إلا آكله (9) الخضر فإنها أكلت حتى امتدت خاصرتاها (10) واستقبلت الشمس فثلطت (11) وبالت ثم عادت فأكلت (12) فمن أخذها بحقها بورك له فيه ومن اخذها بغير حقها لم يبارك له وكان كالذي يأكل ولا يشبع قال عبد الله (يعني ابن الامام احمد بن حنبل رحمهما الله) قال أبي قال سفيان وكان الأعمش يسألني عن هذا الحديث
হাদীস নং: ৪০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪০. 'উকবা ইব্‌ন আমির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আট বছর পর ওহুদে শাহাদাত বরণকারীদের জন্য দোয়া করলেন যেমন করে মৃত ও জীবিতদের জন্য বিদায়ী শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। পরে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেন, আমি অবশ্যই তোমাদের আগে যাব এবং তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেব, আর তোমাদের জন্য প্রতিশ্রুত জায়গা হচ্ছে হাউয, আমি হাউজে কাউসার দেখতে পাচ্ছি। আমি তোমাদের ব্যাপারে ভয় করি না যে তোমরা শিরক অথবা কুফরী করবে, কিন্তু আমি ভয় করি তোমরা দুনিয়াতে সম্পদ লাভের জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতা করবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن عقبة بن عامر (2) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى على قتلى أحد بعد ثمان سنين كالمودع للأحياء والأموات ثم طلع المنبر فقال إني فرطكم وأنا عليكم شهيد وان موعدكم الحوض واني لأنظر اليه ولست اخشى عليكم ان تشركوا أو قال تكفروا ولكن الدنيا ان تنافسوا فيها
tahqiq

তাহকীক: