মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১৫ টি

হাদীস নং: ৪১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪১. আবূ মূসা আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াকে অধিক ভালবাসবে, তার আখিরাত নষ্ট হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি আখিরাতকে অধিক ভালবাসবে, দুনিয়াতে তার কষ্ট হবে। সুতরাং তোমরা যে জিনিস শেষ হয়ে যাবে তার উপর স্থায়ী জিনিসকে অগ্রাধিকার দাও।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن أبي موسى الأشعري (3) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من أحب دنياه أضر بآخرته (4) ومن أحب آخرته اضر بدنياه (5) فأثروا ما يبقى على ما يفنى
হাদীস নং: ৪২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪২. যায়েদ ইব্‌ন ছাবিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আখিরাতের চিন্তা করে আল্লাহ তার দুনিয়ার কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করে দিবেন এবং তার অন্তরে সচ্ছলতা দান করবেন, আর দুনিয়া অবনত হয়ে তার সামনে এসে হাযির হবে। আর যে পার্থিব দুনিয়ার নিয়ত করবে, আল্লাহ্ তার সবকিছু নষ্ট করে দেবেন, দারিদ্রতাকে তার চোখের সামনে ঝুলিয়ে দিবেন আর সে পার্থিব দুনিয়া ততটুকুই লাভ করবে, যতটুকু তার তাকদীরে লিপিবদ্ধ আছে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن زيد بن ثابت (6) انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من كان همه الآخرة جمع الله شمله وجعل هناه في قلبه وأتته الدنيا وهي راغمة ومن كان نيته الدنيا فرق الله عليه ضيعته وجعل فقره بين عينيه ولم يأته من الدنيا إلا ما كتب له
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪৩. 'উবায়দ হাদরামী (রা) থেকে বর্ণিত। আবু মালিক আশয়ারী (রা) মৃত্যু মুখে পতিত হয়, তখন তিনি বললেন, হে আশয়ারীগণ, তোমাদের মধ্যে যারা উপস্থিত আছে, তারা অনুপস্থিতদের নিকট এটা পৌঁছে দেবে। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, দুনিয়ার আনন্দ আখিরাতের জন্য কষ্ট এবং আর দুনিয়ার কষ্ট-আখিরাতের জন্য আনন্দের বিষয় হবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن عبيد الحضرمي (7) ان أبا مالك الاشعري لما حضرته الوفاة قال يا سامع الاشعريين ليبلغ الشاهد منكم الغائب اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم يقول حلوة الدنيا مرة الآخرة ومرة الدنيا حلوة الآخرة (8)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪৪. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি ছাওবানকে বলেন, হে ছাওবান, তোমার অবস্থা কেমন হবে যখন অন্য জাতিরা তোমাদের উপর এমনভাবে হামলে পড়বে, যেভাবে তোমরা খাওয়ার প্লেটের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ো। ছাওবান (রা) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, সে সময় কি আমাদের সংখ্যা কম হবে? তিনি বললেন, না, তোমাদের সংখ্যা অধিক হবে। কিন্তু তোমাদের অন্তরে দুর্বলতা এসে পড়বে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! সেই দুর্বলতা কি? তিনি বললেন, দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা ও যুদ্ধ অপছন্দ করা।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن أبي هريرة (1) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لثوبان كيف أنت يا ثوبان اذا تداعت عليكم الأمم كتداعيكم على قصعة الطعام يصيبون منه؟ قال ثوبان بأبي وأمي يا رسول الله من قلة بنا؟ قال لا أنتم يومئذ كثير ولكن يلقى في قلوبكم الوهن قالوا وما الوهن يا رسول الله؟ قال حبكم الدنيا وكراهيتكم للقتال
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪৫. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাতস্বরূপ।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
وعنه أيضا (2) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الدنيا سجن المؤمن وجنة الكافر
হাদীস নং: ৪৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪৬. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেছেন, দুনিয়া মুমিনের জেলখানা ও দুর্ভিক্ষস্বরূপ। যখন সে দুনিয়া থেকে চলে যাবে, তখন সে জেলখানা ও দুর্ভিক্ষ থেকে বেঁচে যাবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن عبد الله بن عمرو (4) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الدنيا سجن المؤمن وسنته (5) فإذا فارق الدنيا فارق السجن والسنة
হাদীস নং: ৪৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪৭. 'আউফ ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদের মাঝে দাঁড়িয়ে বললেন, তোমরা কি দারিদ্র বা অভাবের ভয় করছ? অথবা দুনিয়া কি তোমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে? আল্লাহ তা'আলা পারস্য ও রোম দেশকে তোমাদের পদানত করে দেবেন। এবং তোমাদের উপর প্রচুর পরিমাণে দুনিয়াকে ঢেলে দিবেন। যদি আমার পরে কোন কিছু তোমাদেরকে সত্য পথ থেকে বিচ্যুত করে তাহলে এই দুনিয়াই করবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن عوف بن مالك (6) قال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قام في اصحابه فقال الفقر تخافون أو العوز أو تهمكم الدنيا فإن الله فاتح لكم أرض فارس والروم وتصب عليكم الدنيا صبا حتى لا يزبغكم (7) بعدي إن أزاغكم ألا هي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪৮. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন 'আদবা নামে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর একটি উষ্ট্রী ছিল, তাকে পেছনে ফেলা যেত না। (অর্থাৎ সে খুব দ্রুতগামিনী ছিল।) একবার এক বেদুঈন উটে চড়ে এলো এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র উষ্ট্রীকে পেছনে ফেলে দিল। এতে মুসলমানদের খুবই মনোকষ্ট হলো, তাদের চেহারায় তা ফুটে উঠলো। তারা বললো, 'আদবা হেরে গেল! যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের চেহারায় মনে কষ্টের প্রভাব লক্ষ্য করলেন তখন বললেন, আল্লাহর বিধান হচ্ছে, দুনিয়ার কোন কিছুকে মর্যাদা দিলে তাকে আবার অপদস্থ করেন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن أنس (1) قال كانت ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم تسمى العضبا وكانت لا تسبق فجاء أعرابي على قعود فسبقها فشق ذلك على المسلمين فلما رأى ما في وجوههم قالوا سبقت العضباء فقال ان حقا على الله ان لا يرفع شيئا من الدنيا إلا وضعه
হাদীস নং: ৪৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুনিয়ার নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪৯. 'আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যার ঘর নেই, দুনিয়া হলো তার ঘর। যার সম্পদ নেই দুনিয়া হল তার সম্পদ, আর দুনিয়ার জন্য সম্পদ পুঞ্জিভূত করে ওই ব্যক্তি যার বুদ্ধি নেই।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الدنيا
عن عائشه رضي الله عنها (2) قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الدنيا دار من لا دار له ولها يجمع من لا عقل له
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ : আল্লাহর নিকট দুনিয়া মূল্যহীন ও তুচ্ছ হওয়ার উদাহরণ
৫০. ইব্‌ন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি মৃত বকরীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। মৃত হওয়ার দরুণ তার মালিক এটা ফেলে দিয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ! এটা তার মনিবের নিকট যতটা মূল্যহীন, দুনিয়াটা আল্লাহর কাছে তার চাইতেও অধিক মূল্যহীন ও তুচ্ছ।
كتاب المدح والذم
فصل منه في مثل الدنيا عند الله وهوانها عليه
عن ابن عباس (4) قال مر رسول الله صلى الله عليه وسلم بشاة ميتة قد القاها اهلها فقال والذي نفسي بيده للدنيا أهون على الله من هذه على أهلها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ : আল্লাহর নিকট দুনিয়া মূল্যহীন ও তুচ্ছ হওয়ার উদাহরণ
৫১. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাঁচড়ায় আক্রান্ত মালিকের ফেলে রাখা একটি বকরীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বললেন, তোমরা কি জান এ বকরীর মালিকের নিকট এটি কত তুচ্ছ? তারা বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, দুনিয়াটা আল্লাহর নিকট তার চাইতেও অধিক মূল্যহীন ও তুচ্ছ।
كتاب المدح والذم
فصل منه في مثل الدنيا عند الله وهوانها عليه
عن أبي هريرة (5) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم مر بسخله جرباء قد اخرجها اهلها فقال أترون هذه هينة على أهلها؟ قالوا نعم قال للدنيا أهون على الله من هذه على أهلها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ : আল্লাহর নিকট দুনিয়া মূল্যহীন ও তুচ্ছ হওয়ার উদাহরণ
৫২. জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাজার অতিক্রম করে যখন একটি কানকাটা মরা ছাগল ছানার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাকে ধরে উপরে উঠিয়ে বলেন, তোমরা কত হলে এটি গ্রহণ করতে পছন্দ কর? তারা বললো, আমরা কোন কিছুর বিনিময়েই এটি গ্রহণ করতে রাযী নই। আর আমরা এটা দিয়ে করবইবা কি? তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি কোন বিনিময় ছাড়া এটা নিতে রাযী আছ? তারা বললো, আল্লাহর শপথ! এটা যদি জীবিতও থাকতো, তবুও তো এটা ত্রুটিপূর্ণ। কেননা এটার কোন কাটা, তো মৃতটাকে দিয়ে কি হবে? তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি! তোমাদের কাছে এ ছাগল ছানাটা যেরূপ নিকৃষ্ট, দুনিয়াটা আল্লাহর কাছে এর চাইতেও বেশী নিকৃষ্ট।
كتاب المدح والذم
فصل منه في مثل الدنيا عند الله وهوانها عليه
عن جابر (6) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم اتى العالية فمر بالسوق فمر بجدي أسك (7) ميت فتناوله فرفعه ثم قال بكم تحبون ان هذا لكم قالوا ما نحب انه لنا شيء وما نصنع به؟ قال بكم تحبون لنه لكم؟ قالوا والله لو كان حيا لكان عيبا فيه انه أسك فكيف وهو ميت قال فوالله للدينا أهون على الله من هذا عليكم
হাদীস নং: ৫৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ : আল্লাহর নিকট দুনিয়া মূল্যহীন ও তুচ্ছ হওয়ার উদাহরণ
৫৩. মুসতাওরিদ ইবন শাদ্দাদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, (অন্য শব্দে: যার হাতে আমার প্রাণ। তার শপথ করে বলছি) পরকালের তুলনায় ইহকালের দৃষ্টান্ত হলো এরূপ, যে কেউ তার কোন একটি আঙুল সমুদ্রে ডুবিয়ে রেখে যতটুকু পানি সাথে নিয়ে ফিরে। (অর্থাৎ আঙুলের অগ্রভাগে সমুদ্রের পানির যে অংশ লেগে থাকে, সমুদ্রের তুলনায় এটা যেরূপ কিছুই নয়, তেমনি আখিরাতের তুলনায় দুনিয়াটা কিছুই নয়।) (অন্য শব্দে, দেখ কতটুকু পানি ওঠে আসে, একথা বলে তিনি তর্জনী আঙুল দিয়ে ইশারা করেন।) (অন্য শব্দে অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলির অগ্রভাগে যা আছে।) মুস্তাওরিদ বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাফেলার সাথে ছিলাম, যখন তিনি একটি গোত্রের বাড়ীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ফেলে রাখা একটি মৃত বকরীর ছানা দেখতে পেয়ে তিনি বললেন, তোমরা কি জান, এ বকরীর মৃত বাচ্চাটি তার মালিকের নিকট কত তুচ্ছ, যার দরুণ সে এটাকে ফেলে দিয়েছে? তারা বললো, তাদের কাছে মূল্যহীন হওয়ার দরুণই তারা এটাকে ফেলে দিয়েছে, তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! এটা তার মালিকের নিকট যতোটা মূল্যহীন, দুনিয়াটা আল্লাহর কাছে তার চাইতেও অধিক মূল্যহীন ও তুচ্ছ।
كتاب المدح والذم
فصل منه في مثل الدنيا عند الله وهوانها عليه
عن قيس بن أبي حازم (8) عن المستورد بن شداد قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول والله (وفي لفظ والذي نفسي بيده) ما الدنيا في الآخرة إلا كرجل وضع اصبعه في اليم ثم رجعت اليه (وفي لفظ فلينظر بما يرجع وأشار بالسبابة) (وفي لفظ يعني التي تلي الابهام) قال وقال المستورد أشهد اني كنت مع الركب الذين كانوا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم حين مر بمنزل قوم قد ارتحلوا عنه فإذا سخلة (9) مطروحة فقال اترون هذه هانت على أهلها حين ألقوها؟ قالوا من هوانها عليهم القوها قال فوالله للدنيا اهون على الله عز وجل من هذه على أهلها
হাদীস নং: ৫৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ : আল্লাহর নিকট দুনিয়া মূল্যহীন ও তুচ্ছ হওয়ার উদাহরণ
৫৪. দহহাক ইব্‌ন সুফিয়ান আল-কিলাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, হে দহহাক! তুমি কি খাও? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি দুধ ও গোস্ত খাই। রাসূল (ﷺ) বললেন, খাওয়ার পর সেগুলো কিসে পরিণত হয়? তিনি বললেন, যেটা হয় সেটা আপনি জানেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, মহান আল্লাহ তা'আলা দুনিয়াকে বনি আদমের পেট থেকে যা বের হয়, তার সাথে তুলনা করেছেন।
كتاب المدح والذم
فصل منه في مثل الدنيا عند الله وهوانها عليه
عن الحسن (10) عن الضحاك ابن سفيان الكلابي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال له يا ضحاك ما طعامك؟ قال يا رسول الله اللبن واللحم قال ثم يصير إلى ماذا؟ قال إلى ما قد علمت؟ قال (أي النبي صلى الله عليه وسلم) فإن الله تبارك وتعالى ضرب ما يخرج من ابن آدم مثلا للدنيا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ : আল্লাহর নিকট দুনিয়া মূল্যহীন ও তুচ্ছ হওয়ার উদাহরণ
৫৫. উবাই ইব্‌ন কা'ব (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আদম সন্তানের খাবারের সাথে দুনিয়ার তুলনা করা যায়। যদিও সে তাতে মসলা ও লবণ ব্যবহার করে, কিন্তু দেখ সেটা সবশেষে কিসে রূপান্তরিত হয়ে যায়?
كتاب المدح والذم
فصل منه في مثل الدنيا عند الله وهوانها عليه
عن أبي بن كعب (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان مطعم ابن آدم جعل مثلا للدنيا وان قزحة (2) وملحه فانظروا الى ما يصير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: অট্টালিকা নির্মাণ করার নিন্দা সম্পর্কে
৫৬. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি মদীনার কোন এক পথ দিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে অতিক্রম করছিলাম। তিনি ইটের তৈরী একটি গোলাকার ঘর দেখে বললেন, এ ঘরটি কার? আমি বললাম, অমুকের ঘর। তখন তিনি বললেন, এ ধরনের প্রত্যেক ঘরই তার মালিকের জন্য কিয়ামতের দিন ধ্বংসের কারণ হবে, তবে মসজিদ অথবা ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যতিত, অর্থাৎ মসজিদ তৈরী করা বা অনুরূপ ভালো কাজে। পরবর্তীতে তিনি সে পথে ফেরার সময় ঘরটি দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ঘরটি কি করা হয়েছে? আমি বললাম, ঘরের মালিকের নিকট আপনার কথা পৌঁছলে সে ঘরটি ভেঙ্গে ফেলেছে। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তার প্রতি দয়া করুন।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم البنيان
عن أنس (3) قال مررت مع النبي صلى الله عليه وسلم في طريق المدينة فرأى قبة من لبن فقال لمن هذه؟ فقلت لفلان فقال أما ان كل بناء (4) هد على صاحبه يوم القيامة إلا ما كان في مسجد أو في بناء مسجد شك أسود أو أو أو (5) ثم مر فلم يلقها فقال ما فعلت القبة؟ قلت بلغ صاحبها ما قلت فهدمها قال فقال رحمه الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: অট্টালিকা নির্মাণ করার নিন্দা সম্পর্কে
৫৭. কায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা অসুস্থ খাব্বাব ইব্‌ন আরাত্তের নিকট প্রবেশ করলাম। তখন তিনি তার দেয়াল তৈরী করছিলেন। তিনি বললেন, এ মাটিতে যা কিছু নির্মাণ করে, তা ছাড়া সকল বিষয়ে মুসলমানকে প্রতিদান দেয়া হয়। তখন তিনি তার পেটে (গরম কিছু দিয়ে) সেঁক দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ না করতেন, তাহলে আমি অবশ্যই মৃত্যু কামনা করতাম। (অন্য বর্ণনায় অতিরিক্ত এসেছে:) আমাদের যেসব সাথীরা বিদায় নিয়েছেন, দুনিয়া তাদেরকে আকৃষ্ট করেনি এবং তাদের অবস্থারও কোন পরিবর্তন হয়নি। তাদের মৃত্যুর পর আমরা দুনিয়া উপার্জন করেছি যার শেষ পরিণতি হবে মাটি।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم البنيان
عن قيس (6) قال دخلنا على خباب (بن الأرت) نعوده وهو يبني حائطا له فقال المسلم يؤجر في كل شيء خلا ما يجعل في هذا التراب (7) وقد اكتوى سبعا في بطنه وقال لولا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهانا ان ندعو بالموت لدعوت به (8) (زاد في رواية) ثم قال أن أصحابنا الذين مضوا لم تنقصهم (1) الدنيا شيئا وانا أصبنا بعدهم ما لا نجد له موضعا إلا التراب
হাদীস নং: ৫৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: অট্টালিকা নির্মাণ করার নিন্দা সম্পর্কে
৫৮. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবনুল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আমরা আমাদের একটি কুঁড়েঘর মেরামত করছিলাম। তিনি বললেন, এটা কি? আমরা বললাম, আমাদের কুঁড়েঘর, সেটি আমরা মেরামত করছি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তো মনে করি মৃত্যু তার চেয়েও দ্রুত এসে যাচ্ছে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم البنيان
عن عبد الله بن عمرو (3) بن العاص قال مر بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن نصلح خصالنا (4) فقال ما هذا؟ قلنا خصالنا وهي (5) فنحن نصلحه قال فقال اما ان الأمر (6) اعجل من ذلك
হাদীস নং: ৫৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: অট্টালিকা নির্মাণ করার নিন্দা সম্পর্কে
৫৯. উম্মে মুসলিম আশজায়ীয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী করিম (ﷺ) তার কাছে আসলেন; তিনি একটি গোলাকার ঘরে ছিলেন। নবী করিম (ﷺ) বললেন, কি সুন্দর ঘর! যদি এ ঘরে মৃত্যু না আসতো, তিনি বলেন, সে থেকে আমি মৃত্যুর তালাশে আছি।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم البنيان
عن أم مسلم الأشجعية (7) ان النبي صلى الله عليه وسلم أتاها وهي في قبة فقال ما أحسنها ان لم يكن فيها منية (8) قالت فجعلت أتتبعها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বাজার ও অন্যান্য স্থানের নিন্দা সম্পর্কে
৬০. মুহাম্মদ ইব্‌ন জুবায়র (রা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! শহরের কোন অংশ নিকৃষ্ট? বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, জানিনা। এরপর জিব্রাইল (আ) যখন তাঁর নিকট আগমন করেন, তখন তিনি জিব্রাইল (আ) জিজ্ঞেস করেন, হে জিব্রাইল! শহরের কোন অংশ নিকৃষ্ট? জিব্রাইল (আ) বললেন, আল্লাহর নিকট জিজ্ঞেস করা ছাড়া বলতে পারব না। এরপর জিব্রাইল বিদায় নেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পুনরায় এসে বলেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ)! তুমি আমার নিকট জানতে চেয়েছিলে, শহরের কোন অংশ নিকৃষ্ট? তখন আমি বলেছিলাম, জানি না। পরে আমি আল্লাহ্ তা'আলাকে জিজ্ঞেস করি, শহরের কোন অংশ নিকৃষ্ট? তিনি বলেন, বাজারসমূহ।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم الأسواق وأماكن أخرى
عن محمد بن جبير (10) بن مطعم عن أبيه أن رجلا أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله أي البلدان شر؟ قال فقال لا أدري فلما أتاه جبريل عليه السلام قال يا جبريل أي البلدان شر؟ قال لا أدري حتى اسأل ربي عز وجل فانطلق جبريل عليه السلام ثم مكث ما شاء الله ان يمكث ثم جاء فقال يا محمد انك سألتني أي البلدان شر فقلت لا ادري اني سألت ربي عز وجل أي البلدان شر فقال أسواقها
tahqiq

তাহকীক: