মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২৮৭ টি
হাদীস নং: ৪১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে নারীকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হয়েছে তাকে দেখা মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ।
৪১। সহল ইবন আবূ হাসমা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা)-কে দেখলাম যে তিনি জনৈকা মহিলাকে পশ্চাদ্ধাবন করছেন। অতঃপর তার দিকে তাকিয়ে তাকে দেখছেন। আমি বললাম, আপনি তার দিক তাকিয়ে তাকে দেখেছেন, অথচ আপনি মুহাম্মদ -এর সাহাবী? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যদি আল্লাহ তা'আলা কোন পুরুষের অন্তরে কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার আকাঙ্খা সৃষ্টি করেন, তাহলে তাকে দেখতে কোন আপত্তি নেই।
(তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে) তিনি বলেন, আমি দেখলাম, মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা) আবূ জুবাইরাহ আদ্দাহহাক (র)-এর বোন বুসাইনা বিনতে আদ্দাহ্হাক (র)-কে পশ্চাদ্ধাবন করছেন, অতঃপর তার দিকে তাকিয়ে দেখছেন- যখন সে তার বংশের লোকদের দেয়াল বিহীন ছাদে ছিল। অতঃপর তিনি উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন।
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদে হাজ্জাজ ইবনে আরতাহ আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী। তবে ইবন হিব্বান "সহীহে” হাদীসটিকে অন্য সনদে বর্ণনা করেছেন এবং এটিতে সহীহ বলেছেন।)
(তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে) তিনি বলেন, আমি দেখলাম, মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা) আবূ জুবাইরাহ আদ্দাহহাক (র)-এর বোন বুসাইনা বিনতে আদ্দাহ্হাক (র)-কে পশ্চাদ্ধাবন করছেন, অতঃপর তার দিকে তাকিয়ে দেখছেন- যখন সে তার বংশের লোকদের দেয়াল বিহীন ছাদে ছিল। অতঃপর তিনি উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন।
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদে হাজ্জাজ ইবনে আরতাহ আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী। তবে ইবন হিব্বান "সহীহে” হাদীসটিকে অন্য সনদে বর্ণনা করেছেন এবং এটিতে সহীহ বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى استحباب النظر الى المخطوبة
عن سهل بن ابى حثمة (6) قال رأيت محمد بن مسلمة يطارد (7) امرأة ببصره (زاد فى رواية يريد ان ينظر اليها) فقلت تنظر اليها وانت من اصحاب محمد صلى الله عليه وسلم؟ فقال انى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول اذا ألقى الله عز وجل فى قلب امرئ خطبة لامرأة فلا بأس ان ينظر اليها (وعنه من طريق ثان) (8) قال رأيت محمد بن مسلمة يطارد بثينة ابنة الضحاك اخت ابى جبيرة الضحاك وهى على إجّار لهم (9) فذكر الحديث
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে নারীকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হয়েছে তাকে দেখা মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ।
৪২। মুগীরা ইবন শু'বা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে আসলাম এবং তাঁকে আমার জনৈকা মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার ইচ্ছার কথা অবহিত করলাম। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাকে দেখ, কেননা তা তোমার এবং তার মাঝে ভালবাসা স্থায়ী হওয়ার পক্ষে অধিক সহায়ক। তিনি বলেন, আমি জনৈকা আনসারী মহিলার বাড়ীতে এসে তার পিতা মাতাকে তাকে বিয়ে করার পয়গাম দিলাম। আর তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথা অবহিত করলাম, তারা যেন তা অপছন্দ করলেন। তিনি বলেন, ঐ মহিলা পর্দার আড়ালে থেকে তা শুনে বলল, যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে আপনাকে দেখতে আদেশ করে থাকেন তাহলে আপনি আমাকে দেখুন। নইলে আমি আল্লাহর শপথ করে আপনাকে অনুরোধ করছি যে আপনি আমাকে দেখবেন না। যেন সে তার তাকে দেখাকে বড় পাপের কাজ বলে মনে করেছে। তিনি বলেন, আমি তার দিকে তাকিয়ে তাকে দেখলাম। অতঃপর তিনি তাকে বিয়ে করেন। অতঃপর তার সাথে তাঁর সম্ভাবের কথা উল্লেখ করেন।
(নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী, ইবন হিব্বান, দারিমী, হাকিম। ইবন হিব্বান এবং হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আর যাহাবী হাকিমের কথা সমর্থন করেছেন।)
(নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী, ইবন হিব্বান, দারিমী, হাকিম। ইবন হিব্বান এবং হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আর যাহাবী হাকিমের কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى استحباب النظر الى المخطوبة
عن بكر بن عبد الله المزنى (10) عن المغيرة بن شعبة قال اتيت النبى صلى الله عليه وسلم فذكرت له امرأة أخطبها، فقال اذهب فانظر اليها فانه أجدر أن يؤدم بينكما (11)، قال فأتيت امرأة من الأنصار فخطبتها الى أبويها واخبرتهما بقول رسول الله صلى الله عليه وسلم فكانهما كرها ذلك، قال فسمعت ذلك المرأة وهى فى خدرها (12) فقالت إن كان رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرك أن تنظر فانظر والا فانى أنشدك (1) كانها عظّمت ذلك عليه (2) قال فنظرت اليها فتزوجها فذكر من موافقتها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে নারীকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হয়েছে তাকে দেখা মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ।
৪৩। আবু হুমায়দ আস সায়িদী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি তোমাদের কেউ কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয় তাহলে তার তাকে দেখাতে কোন পাপ নেই। যদি সে তাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার উদ্দেশ্যে দেখে- যদিও সে তা জানে না।
(হায়সামী হাদীসটিকে মাজমাউয যাওয়াইদে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন, তবে যুহায়র সন্দেহ করে বলেছেন, হুমায়দ থেকে বা আবূ হুমাইদাহ থেকে। আর বাযযার হাদাসটিকে সন্দেহ ছাড়া বর্ণনা করেছেন। আর তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে এবং আল মু'জামুল কাবীরে এটি উল্লেখ করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
(হায়সামী হাদীসটিকে মাজমাউয যাওয়াইদে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন, তবে যুহায়র সন্দেহ করে বলেছেন, হুমায়দ থেকে বা আবূ হুমাইদাহ থেকে। আর বাযযার হাদাসটিকে সন্দেহ ছাড়া বর্ণনা করেছেন। আর তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে এবং আল মু'জামুল কাবীরে এটি উল্লেখ করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى استحباب النظر الى المخطوبة
عن ابى حميد الساعدى (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا خطب أحدكم امرأة فلا جناح عليه ان ينظر اليها اذا كان انما ينظر اليها لخطبته وان كانت لا تعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে নারীকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হয়েছে তাকে দেখা মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ।
৪৪। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক পুরুষ সাহাবী জনৈক মহিলা সাহাবী (রা)-কে বিয়ের পয়গাম দিলেন। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি তাকে দেখে নিও, কেননা আনসারদের চোখে ত্রুটি আছে।
(মুসলিম, নাসাঈ, বায়হাকী)
আর আবূ হুরায়রা (রা) থেকে মুসলিমের বর্ণনা এরূপ-
قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصار شيئا»
তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম। এ সময় তাঁর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে তাঁকে জানাল যে, সে জনৈকা আনসারী মহিলাকে বিবাহের পয়গাম দিয়েছে। আর তাঁরা তাতে একমত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, তুমি কি তাকে দেখেছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাকে দেখ, কেননা আনসার মহিলাদের চক্ষুতে ত্রুটি আছে।
(মুসলিম, নাসাঈ, বায়হাকী)
আর আবূ হুরায়রা (রা) থেকে মুসলিমের বর্ণনা এরূপ-
قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصار شيئا»
তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম। এ সময় তাঁর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে তাঁকে জানাল যে, সে জনৈকা আনসারী মহিলাকে বিবাহের পয়গাম দিয়েছে। আর তাঁরা তাতে একমত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, তুমি কি তাকে দেখেছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাকে দেখ, কেননা আনসার মহিলাদের চক্ষুতে ত্রুটি আছে।
كتاب النكاح
باب ما جاء فى استحباب النظر الى المخطوبة
عن ابى هريرة (5) قال خطب رجل امرأة فقال يعنى النبى صلى الله عليه وسلم انظر اليها فإن فى أعين الأنصار شيئا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন নারীর বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়। আর মনিবের অনুমতি ছাড়া গোলামের বিয়ে প্রসঙ্গ।
৪৫। ইবন জুরায়জ (র) সুলায়মান ইব্ন মূসা থেকে তিনি যুহরী থেকে তিনি উরওয়া থেকে এবং তিনি আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন মহিলা তার অভিভাবকের আদেশ ছাড়া বিয়ে করে তাহলে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। যদি তার স্বামী তার সাথে সহবাস করে তাহলে তাকে উপভোগ করার কারণে সে মোহরানার হকদার হবে। যদি কোন মেয়ের ব্যাপারে কলহ-বিবাদ দেখা দেয় তাহলে যার কোন অভিভাবক নেই, শাসক তার অভিভাবক।
ইবন জুরায়জ বলেন, আমি যুহরীর সংগে সাক্ষাৎ করে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি এটা চিনতে পারলেন না। তিনি বলেন, সুলায়মান হল মূসার পুত্র এবং তিনি তার প্রশংসা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন আহমদ বলেন, আমার পিতা বলেছেন, এই হাদীসে বাদশাহ দ্বারা উদ্দেশ্য বিচারক, কেননা বিয়ের যাবতীয় বিষয় এবং বিচার তাঁর দায়িত্বে।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান, হাকিম। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
ইবন জুরায়জ বলেন, আমি যুহরীর সংগে সাক্ষাৎ করে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি এটা চিনতে পারলেন না। তিনি বলেন, সুলায়মান হল মূসার পুত্র এবং তিনি তার প্রশংসা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন আহমদ বলেন, আমার পিতা বলেছেন, এই হাদীসে বাদশাহ দ্বারা উদ্দেশ্য বিচারক, কেননা বিয়ের যাবতীয় বিষয় এবং বিচার তাঁর দায়িত্বে।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান, হাকিম। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب لا نكاح إلا بولى وما جاء فى زواج العبد بغير إذن سيده
حدّثنا اسماعيل ثنا ابن جريج قال أخبرنى سليمان بن موسى عن الزهرى عن عروة عن عائشة رضى الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا نكحت المرأة (7) بغير أمر مولاها فنكاحها باطل فنكاحها باطل فنكاحها باطل (8) فان أصابها فلها مهرها بما أصاب منها (9) فان اشتجروا فالسلطان ولى من لا ولى له (10) قال ابن جريج فلقيت الزهرى فسألته عن هذا الحديث فلم يعرفه قال وكان سليمان ابن موسى وكان فأثنى عليه، قال عبد الله (1) قال أبى السلطان القاضى لأن إليه أمر الفروج والأحكام
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন নারীর বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়। আর মনিবের অনুমতি ছাড়া গোলামের বিয়ে প্রসঙ্গ।
৪৬। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়। যার কোন অভিভাবক নেই শাসক তার অভিভাবক।
(ইবন হিব্বান, হাকিম। তাঁরা হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। হাকিম মুস্তাদরকে হাদীসটিকে একাধিক বর্ণনাসূত্রে উল্লেখ করেছেন এবং এর বর্ণনাকারী ত্রিশজন সাহাবী (রা)-এর তালিকা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এর সহীহ হওয়া সম্পর্কে ইমামগণের রায় উল্লেখ করেছেন।)
(ইবন হিব্বান, হাকিম। তাঁরা হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। হাকিম মুস্তাদরকে হাদীসটিকে একাধিক বর্ণনাসূত্রে উল্লেখ করেছেন এবং এর বর্ণনাকারী ত্রিশজন সাহাবী (রা)-এর তালিকা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এর সহীহ হওয়া সম্পর্কে ইমামগণের রায় উল্লেখ করেছেন।)
كتاب النكاح
باب لا نكاح إلا بولى وما جاء فى زواج العبد بغير إذن سيده
عن ابن عباس (2) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال لا نكاح إلا بولى (3) والسلطان ولى من لا ولى له
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন নারীর বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়। আর মনিবের অনুমতি ছাড়া গোলামের বিয়ে প্রসঙ্গ।
৪৭। আবূ মূসা আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) মাইমুনা বিনতে হারিস (রা)-কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি আব্বাস (রা) কে নবী (ﷺ) এর সংগে তার বিয়ে সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেন। সুতরাং তিনি নবী (ﷺ) -এর সংগে তার বিয়ে সম্পন্ন করেন।
(আবু ইয়ালা। হাদীসটির সনদে একজন রাবী হাজ্জাজ ইবন আরতাহ, যিনি মুদাল্লিস। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আবূ হুরায়রা (রা) এর মওকুফ হাদীসটি এর শাহেদ)
তাতে আছে,
ليس للنساء في عقدة النكاح شيء، جعلت ميمونة أمرها إلى أم الفضل، فجعلته أم الفضل إلى العباس، فأنكحها رسول الله صلى الله عليه وسلم
"বিবাহে মহিলাদের কোন কর্তৃত্ব নেই। মায়মুনা (রা) তাঁর বিবাহের দায়িত্ব উম্মে ফাযল্ (রা)-কে অর্পন করেন। উম্মে ফাযল (রা) তা আব্বাস (রা) কে অর্পণ করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সংগে তার বিবাহ সম্পন্ন করেন।
(তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর এবং আল মু'জামুল আউসাতে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হাসান।)
(আবু ইয়ালা। হাদীসটির সনদে একজন রাবী হাজ্জাজ ইবন আরতাহ, যিনি মুদাল্লিস। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আবূ হুরায়রা (রা) এর মওকুফ হাদীসটি এর শাহেদ)
তাতে আছে,
ليس للنساء في عقدة النكاح شيء، جعلت ميمونة أمرها إلى أم الفضل، فجعلته أم الفضل إلى العباس، فأنكحها رسول الله صلى الله عليه وسلم
"বিবাহে মহিলাদের কোন কর্তৃত্ব নেই। মায়মুনা (রা) তাঁর বিবাহের দায়িত্ব উম্মে ফাযল্ (রা)-কে অর্পন করেন। উম্মে ফাযল (রা) তা আব্বাস (রা) কে অর্পণ করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সংগে তার বিবাহ সম্পন্ন করেন।
(তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর এবং আল মু'জামুল আউসাতে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হাসান।)
كتاب النكاح
باب لا نكاح إلا بولى وما جاء فى زواج العبد بغير إذن سيده
عن أبى بردة (4) عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نكاح إلا بولى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন নারীর বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়। আর মনিবের অনুমতি ছাড়া গোলামের বিয়ে প্রসঙ্গ।
৪৮। উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, যদি দু'জন অভিভাবক একজন মহিলাকে দু'জন পুরুষের কাছে বিয়ে দেয়, তবে প্রথম যার সাথে বিয়ে হয়েছে সে তার স্ত্রী। আর যদি কোন বিক্রেতা দু'জন ক্রেতার কাছে কোন পণ্য বিক্রয় করে, তাহলে তাদের মধ্যে যে প্রথমে তা ক্রয় করেছে সে তা পাবে।
(বায়হাকী হাদীসটিকে উকবা (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেছেন, যাঁরা হাদীসটিকে সামুরা ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন তাঁদের বর্ণনা সহীহ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাকিম, বায়হাকী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী হাদীসটিকে হাসানের বর্ণনাসূত্রে সামুরাহ ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। হাকিম সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন। ইমাম আহমদও হাদীসটিকে সামুরাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। ক্রয়-বিক্রয় এবং উপার্জনের পর্বে “যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তির পক্ষে পণ্য ক্রয় করে” শীর্ষক পরিচ্ছেদে তা উদ্ধৃত হয়েছে।)
(বায়হাকী হাদীসটিকে উকবা (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেছেন, যাঁরা হাদীসটিকে সামুরা ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন তাঁদের বর্ণনা সহীহ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাকিম, বায়হাকী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী হাদীসটিকে হাসানের বর্ণনাসূত্রে সামুরাহ ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। হাকিম সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন। ইমাম আহমদও হাদীসটিকে সামুরাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। ক্রয়-বিক্রয় এবং উপার্জনের পর্বে “যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তির পক্ষে পণ্য ক্রয় করে” শীর্ষক পরিচ্ছেদে তা উদ্ধৃত হয়েছে।)
كتاب النكاح
باب لا نكاح إلا بولى وما جاء فى زواج العبد بغير إذن سيده
عن عقبة ابن عامر (6) أن نبى الله صلى الله عليه وسلم قال إذا أنكح الوليان (7) فهو للأول منهما، واذا باع من رجلين فهو للأول منهما قال أبى (8) وقال يونس وإذا باع الرجل بيعا من رجلين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোন নারীর বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়। আর মনিবের অনুমতি ছাড়া গোলামের বিয়ে প্রসঙ্গ।
৪৯। জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, যদি কোন ক্রীতদাস তার মনিবদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে তাহলে সে যিনাকারী।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন হিব্বান, বায়হাকী, হাকিম, তিরমিযী। ইবন হিব্বান এবং হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আর যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন হিব্বান, বায়হাকী, হাকিম, তিরমিযী। ইবন হিব্বান এবং হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আর যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب لا نكاح إلا بولى وما جاء فى زواج العبد بغير إذن سيده
عن جابر بن عبد الله (1) أيما عبد تزوج بغير إذن مواليه أو أهله (2) فهو عاهر
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫০। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অভিভাবকের জন্য অকুমারীকে বিয়েতে বাধ্য করার কোন অধিকার নেই। ইয়াতীম মেয়ের বিয়ে সম্পর্কে তার অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। আর তার চুপ থাকাই তার অনুমতি।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, বায়হাকী, দারাকুতনী, ইবন হিব্বান। ইবন হিব্বান এবং হাফিয সুয়ূতী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, বায়হাকী, দারাকুতনী, ইবন হিব্বান। ইবন হিব্বান এবং হাফিয সুয়ূতী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن ابن عباس (3) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس للولى مع الثيب أمر (1) واليتيمة تستأمر فصمتها إقرارها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫১। হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অকুমারী তার বিয়ের বিষয়ে তার অভিভাবকের চেয়ে অধিকতর হকদার। কুমারীর বিয়েতে তার অনুমতি নিতে হবে। আর তার অনমতি হল চুপ থাকা।
আর তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, অকুমারী তার বিয়ের বিষয়ে তার অভিভাবকের চেয়ে অধিকতর হকদার। কুমারীর পিতা তার বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ করবে। তার অনুমতি হল তার চুপ থাকা।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা।)
আর তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, অকুমারী তার বিয়ের বিষয়ে তার অভিভাবকের চেয়ে অধিকতর হকদার। কুমারীর পিতা তার বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ করবে। তার অনুমতি হল তার চুপ থাকা।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
وعنه أيضا (2) قال قال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم الأيّم (3) أحق بنفسها من وليها والبكر تستأمر فى نفسها وإذنها صماتها (4) (وعنه من طريق ثان) (5) يبلغ به النبى صلى الله عليه وسلم الثيب أحق بنفسها من وليها، والبكر يستأمرها أبوها (6) فى نفسها وأذنها صماتها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫২। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কুমারীর বিয়ের ব্যাপারে তার নির্দেশ চাইতে হবে। আর অকুমারীর বিয়ের ব্যাপার তার সাথে পরামর্শ করতে হবে। বলা হল: হে আল্লাহর রাসূল, কুমারী তো লজ্জা করে। তিনি বললেন, তার চুপ থাকাই তার সম্মতি।
(তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অকুমারীর সাথে তার বিয়ের ব্যাপারে পরামর্শ করতে হবে। আর কুমারীর কাছে তার বিয়ের অনুমতি চাইতে হবে। উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, কিরূপে তার অনুমতি বুঝা যাবে? তিনি বললেন, তার চুপ থাকাই তার অনুমতি।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাই, তিরমিযী। ইবন মাজাহ এবং অন্যরা হাদীসটিকে নিকটবর্তী শব্দে বর্ণনা করেছেন।)
(তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অকুমারীর সাথে তার বিয়ের ব্যাপারে পরামর্শ করতে হবে। আর কুমারীর কাছে তার বিয়ের অনুমতি চাইতে হবে। উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, কিরূপে তার অনুমতি বুঝা যাবে? তিনি বললেন, তার চুপ থাকাই তার অনুমতি।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাই, তিরমিযী। ইবন মাজাহ এবং অন্যরা হাদীসটিকে নিকটবর্তী শব্দে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن أبى هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم البكر تستأمر، والثيب تشاور (8) قيل يا رسول الله إن البكر تستحى، قال سكوتها رضاها (وعنه من طريق ثان) (9) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الثيب تستأمر (10) فى نفسها، والبكر تستأذن، قالوا يا رسول الله كيف إذنها قال أن تسكت
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫৩। আদী কিন্দী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা মহিলাদের সাথে তাদের বিয়ে সম্পর্কে পরামর্শ করবে। উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! কুমারী লজ্জাবোধ করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, অকুমারী তার নিজের ব্যাপারে জবানী মতামত জানাবে। আর কুমারীর সম্মতি হল তার চুপ থাকা।
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে বূসীরী 'যাওয়াইদে ইবন মাজা'তে বলেছেন, আদী এবং তাঁর পিতা আদী কিন্দী (রা)-এর মধ্যে উরস ইবন উমাইয়া আছেন যার থেকে আদী হাদীসটি শুনেছেন। অথচ তাঁর নাম সনদে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর সহীহ শাহেদ সমূহ রয়েছে।)
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে বূসীরী 'যাওয়াইদে ইবন মাজা'তে বলেছেন, আদী এবং তাঁর পিতা আদী কিন্দী (রা)-এর মধ্যে উরস ইবন উমাইয়া আছেন যার থেকে আদী হাদীসটি শুনেছেন। অথচ তাঁর নাম সনদে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর সহীহ শাহেদ সমূহ রয়েছে।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن عدي بن عدي الكندي (1) عن أبيه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أشيروا على النساء فى أنفسهن (2) فقالوا إن البكر تستحى يا رسول الله؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الثيب تعرب عن نفسها بلسانها (3) والبكر رضاها صمتها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫৪। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের মহিলাদের বিয়ের ব্যাপারে তাদের অনুমতি গ্রহণ করবে। বলা হল: কুমারী কথা বলতে লজ্জা করে। তিনি বললেন, তার চুপ থাকা তার অনুমতি।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن عائشة رضى الله عنها (4) قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم استأمروا النساء فى إبضاعهن (5) قيل إن البكر تستحى أن تكلم (6) قال سكوتها إذنها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫৫। হযরত আয়েশা (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তার কোন মেয়েকে বিয়ে দিতে চাইতেন তখন তার কক্ষের পর্দার সামনে এসে বসে তাঁর মেয়ের এবং যে পুরুষ তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে তার নাম উল্লেখ করে বলতেন: অমুক অমুককে স্মরণ করছে। সে নীরব থাকলে তিনি তাঁকে তাঁর সাথে বিয়ে দিতেন। আর যদি সে তাকে বিয়ে করতে অপছন্দ করত তাহলে পর্দায় টোকা মারত। সে তাতে টোকা মারলে তিনি তাকে তার সাথে বিয়ে দিতেন না।
(আবূ ইয়ালা। হাদীসটির সনদে আইউব ইবন উতবাহ আছেন। হাফিয ইবন হাজার "তাকরীবে" তাঁকে দূর্বল বর্ণনাকারী বলেছেন।)
(আবূ ইয়ালা। হাদীসটির সনদে আইউব ইবন উতবাহ আছেন। হাফিয ইবন হাজার "তাকরীবে" তাঁকে দূর্বল বর্ণনাকারী বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
وعنها أيضا (7) قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أراد أن يزوج شيئا من بناته جلس إلى خدرها (8) فقال ان فلانا يذكر فلانة يسميها ويسمى الرجل الذى يذكرها، فان هى سكتت زوّجها، وإن كرهت نقرت الستر (9) فاذا نقرته لم يزوجها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫৬। আয়েশা (রা)-এর আযাদ করা ক্রীতদাস যাকওয়ান (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রা) কে বলতে শুনেছি: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কুমারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যাকে তার পরিবার পরিজন বিয়ে দিতে চাচ্ছে, তার বিয়ে সম্পর্কে তার অনুমতি গ্রহণ করা হবে কিনা? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তার অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। আয়েশা (রা) বলেন, আমি তাকে বললাম, সে লজ্জাবোধ করে এবং নীরব থাকে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে চুপ থাকলে তা তার অনুমতি।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن ذكوان مولى عائشة (10) قال سمعت عائشة تقول سألث رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الجارية ينكحها أهلها أتستأمر أم لا؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم تستأمر، قالت عائشة فقلت له فانها تستحى فتسكت، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فذلك إذنها إذا هي سكتت
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কুমারীকে তার অনিচ্ছায় বিবাহ দান এবং অকুমারীর বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ।
৫৭। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খাদিজা (রা)-এর মৃত্যুর পর মক্কায় আমার ছয় বৎসর বয়সের সময় আমাকে বিয়ে করেন। (অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে সাত বৎসর) আর তিনি মদীনায় আমার নয় বৎসর বয়সের সময় আমার সাথে বাসর যাপন করেন।
(বুখারী, মুসলিম, শাফিয়ী এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম, শাফিয়ী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن عائشة رضى الله عنها (1) قالت تزوجنى رسول الله صلى الله عليه وسلم وأنا ابنة ست سنين (وفى لفظ سبع سنين) (2) بمكة ممتوفَّى خديجة (3) ودخل بى وأنا ابنة تسع سنين بالمدينة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : এতিম মেয়েকে বিয়েতে বাধ্য না করা এবং তাকে তার অনুমতি এবং সম্মতি ছাড়া বিয়ে না দেয়া।
৫৮। আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসমান ইবন মাযউন (রা) মারা গেলেন। আর তিনি তাঁর স্ত্রী খুয়ায়লা বিনতে হাকিম ইবন উমাইয়া ইবন হারিসা ইবন আওকাস (রা) এর গর্ভজাত এক মেয়ে রেখে যান। তিনি বলেন, তিনি তাঁর ভাই কুদামা ইবন মাযউন (রা)-কে তাঁর মেয়েকে দেখাশুনার অসিয়ত করেন। আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলেন, তাঁরা আমার মামা। আমি কুদাসা ইবন মাযউন (রা)-এর কাছে উসমান ইবন মাযউন (রা)-এর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। তিনি আমার সাথে তাকে বিয়ে দিলেন। মুগীরা ইবন শু'বা (রা) তার মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। আর তাঁকে অর্থ-সম্পদ এর প্রতি আকৃষ্ট করলেন ফলে তিনি তাঁর প্রতি ঝুঁকে পড়লেন আর মেয়েটিও তার মায়ের ইচ্ছার প্রতি ঝুঁকে গেল। এভাবে তারা আমাকে অস্বীকার করল। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে ফয়সালার জন্য পেশ করা হল। কুদামা ইবন মাযউন (রা) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, সে আমার ভাতিজি। আমার ভাই আমাকে তার দেখা শুনার অসিয়ত করেছেন। তাই আমি তাকে তার ফুফাত ভাই আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রা)-এর সাথে বিয়ে দিয়েছি। আর তার উপযুক্ততা এবং সমকক্ষতা রক্ষার ক্ষেত্রে আমি কোন অবহেলা করিনি। সে একজন স্ত্রীলোক এবং সে তার মায়ের ইচ্ছা পূরণে আগ্রহী হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে এতীম মেয়ে। তাকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ, আমি তাকে বিয়ে করার পর তাকে আমার থেকে ছিনিয়ে নেয়া হল। আর তারা তাকে মুগীরা ইবন শু'বা (রা)-এর সাথে বিয়ে দিল।
(বায়হাকী, দারাকুতনী, হাকিম। তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন। ইবন মাজাহ হাদীসটির এক অংশ বর্ণনা করেছেন।)
(বায়হাকী, দারাকুতনী, হাকিম। তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন। ইবন মাজাহ হাদীসটির এক অংশ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن عبد الله بن عمر (4) قال توفى عثمان بن مظعون وترك ابنة له من خويلة بنت حكيم بن أمية بن حارثة بن الاوقص قال وأوصى إلى أخيه قدامة بن مظعون قال عبد الله (5) وهما خالاى قال فخطبت إلى قدامة بن مظعون ابنة عثمان بن مظعون فزوجنيها، ودخل المغيرة بن شعبة يعنى إلى أمها فأرغبها فى المال فحطت (6) إليه وحطت الجارية إلى هوى أمها فأبيا حتى ارتفع أمرهما إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال له قدامة بن مظعون يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ابنة أخى أوصى بها الىّ فزوجتها ابن عمتها عبد الله بن عمر فلم اقصر بها فى الصلاح ولا فى الكفاءة ولكنها امرأة وانما حطت الى هوى أمها، قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هى يتيمة (7) ولا تنكح إلا بإذنها، قال فانتزعت والله منى بعد أن ملكتها فزوجوها المغيرة بن شعبة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : এতিম মেয়েকে বিয়েতে বাধ্য না করা এবং তাকে তার অনুমতি এবং সম্মতি ছাড়া বিয়ে না দেয়া।
৫৯। আবূ মূসা আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এতীম মেয়ের বিয়ের বিষয়ে তার অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। যদি সে চুপ থাকে তাহলে অনুমতি দিয়েছে। আর সে রাজী না হলে তাকে বাধ্য করা যাবে না।
(বায়হাকী, ইবন হিব্বান, দারাকুতনী, আবু ইয়ালা, বাযযার, হাকিম। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে বলেছেন, আহমদের বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
(বায়হাকী, ইবন হিব্বান, দারাকুতনী, আবু ইয়ালা, বাযযার, হাকিম। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে বলেছেন, আহমদের বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن أبي موسى الاشعرى (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تستأمر اليتيمة فى نفسها فان سكتت فقد أذنت، وإن أبت لم تكره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : এতিম মেয়েকে বিয়েতে বাধ্য না করা এবং তাকে তার অনুমতি এবং সম্মতি ছাড়া বিয়ে না দেয়া।
৬০। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, এতীম মেয়ে সম্মতি দিলে তা কার্যকর হবে। আর যদি সে অসম্মতি প্রকাশ করে তাহলে তাকে তাতে বাধ্য করা যাবে না।
(আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন হিব্বান, হাকিম, বায়হাকী। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন হিব্বান, হাকিম, বায়হাকী। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى إجبار البكر واستئمارالثيب
عن أبى هريرة (2) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ان رضيت فلها رضاها وان كرهت فلا جوار (3) عليها يعنى اليتيمة
তাহকীক: