মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২৮৭ টি
হাদীস নং: ৮১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮১। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন নবী (ﷺ) আমাদের মাঝে ছিলেন তখন আমাদের মোহর ছিল দশ আউন্স তারপর তিনি তাঁর দু'হাতের আঙ্গুল সমূহ পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বুঝালেন যে দশ আউন্সে চারশত দিরহাম হয়।
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن أبي هريرة (1) قال كان صداقنا (2) إذ كان فينا رسول الله صلى الله عليه وسلم عشرة أواق (3) وطبق بيديه وذلك أربع مائة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮২। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, আব্দুর রহমান ইবন আউফ (রা) পাঁচ দিরহামের মূল্য পরিমাণ স্বর্ণ মোহরানা দিয়ে বিয়ে করেন।
হাদীসটির এক বর্ণনাকারী শু'বা (র) বলেন, হাকাম তা গ্রহন করত।
তাঁর থেকে দ্বিতীয় সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আউফ এর শরীরের হলুদ রঙ দেখলেন তাই তিনি বললেন, এটা কি? তিনি বললেন, আমি পাঁচ দিরহাম মূল্য পরিমাণ স্বর্ণ মোহরানা দিয়ে বিয়ে করেছি, তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করুন। তুমি ওলীমা করবে, যদিও একটি বকরী জবেহ করে হয়।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী, মালিক, শাফিয়ী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
হাদীসটির এক বর্ণনাকারী শু'বা (র) বলেন, হাকাম তা গ্রহন করত।
তাঁর থেকে দ্বিতীয় সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আউফ এর শরীরের হলুদ রঙ দেখলেন তাই তিনি বললেন, এটা কি? তিনি বললেন, আমি পাঁচ দিরহাম মূল্য পরিমাণ স্বর্ণ মোহরানা দিয়ে বিয়ে করেছি, তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করুন। তুমি ওলীমা করবে, যদিও একটি বকরী জবেহ করে হয়।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী, মালিক, শাফিয়ী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن قتادة عن أنس بن مالك (4) أن عبد الرحمن بن عوف تزوج على وزن نواة (5) من ذهب قال فكان الحكم يأخذ به (عن ثابت عن أنس بن مالك) (6) أن النبي صلى الله عليه وسلم رأى على عبد الرحمن بن عوف أثر صفرة (7) فقال ما هذا؟ قال إني تزوجت امرأة على وزن نواة من ذهب فقال بارك الله لم أو لم (8) ولو بشاه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮৩। আবু হাদরাদ আসলামী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে তাঁর স্ত্রীর মোহরানা চাইলেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে কত মোহরানা দিয়ে বিয়ে করেছ? তিনি বললেন, দু'শত দিরহাম। তিনি বললেন, যদি তোমরা মদীনার বুতহান উপত্যকা থেকে আঁজলা ভরে রূপা আনার সুযোগ পাও তবুও তোমার মোহরানা বৃদ্ধি করবে না।
(হাইছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ মুসনাদে এবং তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। আহমদের বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, বায়হাকী ও হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন।)
(হাইছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ মুসনাদে এবং তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। আহমদের বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, বায়হাকী ও হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن أبي حدرد الأسلمي (9) أنه أتى النبي صلى الله عليه وسلم يتسفتيه في مهر امرأة،/ فقال كم أمهرتها؟ قال مائتي درهم، فقال لو كنتم تغرفون من بطحان (10) ما زدتم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮৪। আবুল আজফা সুলামী (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রা) কে বলতে শুনেছি : তোমরা মহিলাদের মোহরানা বৃদ্ধি করবে না, কেননা তা যদি দুনিয়ায় উৎকৃষ্ট কাজ হত বা আখিরাতে তাকওয়া হত তাহলে নবী (ﷺ)-ই অধিকতর উপযুক্ত হতেন। তিনি তাঁর কোন মেয়ের এবং স্ত্রীর বিয়েতে চারশত আশি দিরহামের বেশি মোহরানা নির্ধারণ করেননি।
আরেকবার তিনি বললেন:নিশ্চয়ই পুরুষ তার স্ত্রীর মোহরানা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে এমনকি একসময় স্ত্রীর প্রতি শত্রুতা তৈরি হয় এবং সে বলে বসে তোমার জন্য আমাকে “আলাকল কিরবাহ” টানতে হচ্ছে।
আবুল আজফা সুলামী (র) বলেন, আমি ছিলাম জন্মসূত্রে অনারব তাই আমি বুঝলাম না “আলাকল কিরবাহ” মানে কি।
উমর (রা) আরো বলেন, তোমাদের অন্য একটি স্বভাব হল : তোমরা যুদ্ধে বল, অমুক শহীদ হয়েছে। অমুক শহীদ হয়েছে। অথচ হতে পারে, সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে তার ভারবাহী পশুর পশ্চাদভাগে বা তার বাহনের পৃষ্ঠদেশে স্বর্ণ এবং রূপার ভারী বোঝা চাপিয়েছে। তাই তোমরা এরূপ বলবে না, বরং তোমরা বলবে যেরূপ মুহাম্মদ (ﷺ) বলেছেন, যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হলো অথবা মৃত্যুবরণ করল, সে জান্নাতবাসী হবে।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং বায়হাকী মোহরানার সাথে সম্পর্কিত অংশটুকু, নাসাঈ হাদীসটিকে এ অধ্যায়ের হাদীসের শব্দে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি উমর (রা)-এর খেলাফতের পর্বে 'উমর (রা)-এর ভাষণ' শীর্ষক পরিচ্ছেদে একাধিক বর্ণনাসূত্রে বর্ণিত হবে।)
আরেকবার তিনি বললেন:নিশ্চয়ই পুরুষ তার স্ত্রীর মোহরানা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে এমনকি একসময় স্ত্রীর প্রতি শত্রুতা তৈরি হয় এবং সে বলে বসে তোমার জন্য আমাকে “আলাকল কিরবাহ” টানতে হচ্ছে।
আবুল আজফা সুলামী (র) বলেন, আমি ছিলাম জন্মসূত্রে অনারব তাই আমি বুঝলাম না “আলাকল কিরবাহ” মানে কি।
উমর (রা) আরো বলেন, তোমাদের অন্য একটি স্বভাব হল : তোমরা যুদ্ধে বল, অমুক শহীদ হয়েছে। অমুক শহীদ হয়েছে। অথচ হতে পারে, সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে তার ভারবাহী পশুর পশ্চাদভাগে বা তার বাহনের পৃষ্ঠদেশে স্বর্ণ এবং রূপার ভারী বোঝা চাপিয়েছে। তাই তোমরা এরূপ বলবে না, বরং তোমরা বলবে যেরূপ মুহাম্মদ (ﷺ) বলেছেন, যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হলো অথবা মৃত্যুবরণ করল, সে জান্নাতবাসী হবে।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং বায়হাকী মোহরানার সাথে সম্পর্কিত অংশটুকু, নাসাঈ হাদীসটিকে এ অধ্যায়ের হাদীসের শব্দে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি উমর (রা)-এর খেলাফতের পর্বে 'উমর (রা)-এর ভাষণ' শীর্ষক পরিচ্ছেদে একাধিক বর্ণনাসূত্রে বর্ণিত হবে।)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن أبي العجفاء (1) السلمى قال سمعت عمر يقول ألا لا تغلوا صدق (2) النساء فإنها لوكانت مركمة في الدنيا أو توى في الآخرة (3) لكان أولاكم بها النبي صلى الله عليه وسلم (4)، ما أنكح شيئاً من بناته ولا نسائه فوق اثنتي عشرة أوقية (5)، وأخرى تقولونها في مغازيكم (6) قتل فلان شهيداً مات فلان شهيداً، ولعله أن يكون قد أوقر (7) عجزته دابته أودف راحلته ذهبًا وفضة يبتغي التجارة فلا تقولوا ذاكم، ولكن قولوا كما قال محمد صلى الله عليه وسلم من قتل في سبيل الله فهو في الجنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮৫। আমির ইবন রবীয়া (রা) থেকে বর্ণিত, ফাযারা গোত্রের জনৈক ব্যক্তি জনৈকা মহিলাকে মোহরানা হিসেবে দু'টো জুতো দিয়ে বিয়ে করল। নবী (ﷺ) তার বিয়ে অনুমোদন করলেন।
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। হাদীসটির সনদে আসিম ইবন উবাইদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। হাদীসটির সনদে আসিম ইবন উবাইদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن عبد الله ابن عامر بن ربيعة (8) عن أبيه أن رجلاً من بني فرازة تزوج امرأة على نعلين فأجاز النبي صلى الله عليه وسلم نكاحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮৬। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এটা একজন নারীর বরকতের আলামত যে, তার বিয়ের প্রস্তাব, মোহরানা, গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসব সহজ হওয়া।
('যে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া মুস্তাহাব' শীর্ষক পরিচ্ছেদে হাদীসটির উল্লেখ হয়েছে।)
('যে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া মুস্তাহাব' শীর্ষক পরিচ্ছেদে হাদীসটির উল্লেখ হয়েছে।)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن عائشة رضي الله عنها (9) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من يمكن المرأة وتيسير خطتها وتيسير صداقها وتيسير رحمها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮৭। জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন পুরুষ কোন মহিলাকে মোহরানা হিসেবে এক আ'জলা খাবার দেয় তাহলে সে তার জন্য হালাল হবে।
(আবূ দাউদ, বায়হাকী। হাদীসটির সনদে সালিহ ইবন মুসলিম আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
(আবূ দাউদ, বায়হাকী। হাদীসটির সনদে সালিহ ইবন মুসলিম আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن جابر بن عبد الله (1) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لو أن رجلاً أعطى امرأة صداقاً ملء يديه طعاماً كانت له حلالا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮৮। আবূ সালামা ইবন আব্দুর রহমান (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রা) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মোহরানা কত ছিল? তিনি বললেন, তাঁর স্ত্রীদের জন্য তাঁর মোহরানা বারো আউন্স এবং এক নশ ছিল। তিনি বললেন, তুমি কি জান নশ কি? আমি বললাম, না, তিনি বললেন, এক আউন্সের অর্ধেক। সর্বমোট পাঁচশত দিরহাম। এ হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মোহরানা।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, শাফিয়ী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, শাফিয়ী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن (2) قال سألت عائشة كم كان صداق رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قالت كان صداقة لأزواجه اثنتي عشرة أوقية ونشا (3) قالت أتدري ما الش؟ قلت لا، قالت نصف أوقية قتلك خمسمائة درهم فهذا أصداق رسول الله صلى الله عليه وسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মোহরানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদসমূহ
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
পরিচ্ছেদ: অল্প বা বেশি মোহরানায় বিয়ে করা জায়েয, তবে তাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন মুস্তাহাব।
৮৯। উরওয়া ইবন জুবাইর (র) উম্মু হাবীবা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি উবাইদুল্লাহ ইবন জাহাশের স্ত্রী ছিলেন। তিনি হিজরত করে নাজ্জাশীর কাছে আসেন। অতঃপর মারা যান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উম্মু হাবীবা (রা)-কে তাঁর হাবশায় অবস্থানকালীন বিয়ে করেন। নাজ্জাশী (র) তাঁকে তাঁর কাছে বিয়ে দেন। আর তাঁকে চার হাজার দিরহাম মোহরানা দেন। অতঃপর তাঁর পক্ষ থেকে তাঁকে যৌতুক দেন। আর তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে শুরাহবীল ইবন হাসানা (রা)-এর সাথে পাঠান। তাঁর সকল 'সামান পত্র নাজ্জাশী (রা)-এর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জন্য কোন কিছু পাঠাননি, নবী (ﷺ)-এর অপর স্ত্রীগণের মোহরানা ছিল চারশত দিরহাম।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, বায়হাকী, দারা কুতনী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(আবু দাউদ, নাসাঈ, বায়হাকী, দারা কুতনী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
أبواب الصداق
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
باب جواز التزويج على القليل والكثير واستحباب القصد فيه
عن عروة بن الزبير (4) عن أم حبيبة أنها كانت تحت عبيد الله بن جحش وكان أتى التجاشي (5) فمات وأن رسول الله صلى الله عليه وسلم تزوج أم حبيبة وإنها بأرض الحبشة زوجها إياه النجاشي وأمهرها أربعة آلاف (6) ثم جهزها من عنده وبعث بها إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم مع شر حبيل ابن حسنة وجهازها كله من عند النجاشي ولم يرسل إليها رسول الله صلى الله عليه وسلم بشيء وكان مهور أزواج النبي صلى الله عليه وسلم أربعمائة درهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে ব্যক্তি আযাদ করাকে এবং কুরআনের কিছু অংশ শিক্ষা দেয়াকে মোহরানা নির্ধারণ করে।
৯০। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রা)-কে আযাদ করেন, আর তাঁর আযাদীকে তার মোহরানা নির্ধারণ করেন।
(নাসাঈ, তিরমিযী। তিনি বলেছেন, আনাস (রা)-এর হাদীস হাসান সহীহ।)
(নাসাঈ, তিরমিযী। তিনি বলেছেন, আনাস (রা)-এর হাদীস হাসান সহীহ।)
كتاب النكاح
باب من جعل العتق صداقاً وكذلك تعليم بعض القرآن
عن أنس بن مالك (7) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أعتق صفية (8) بنت يحيي وجعل عتقها صداقها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে ব্যক্তি আযাদ করাকে এবং কুরআনের কিছু অংশ শিক্ষা দেয়াকে মোহরানা নির্ধারণ করে।
৯১। সাহল ইবন সা'দ সায়িদী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) -এর কাছে জনৈকা মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমি নিজেকে আপনার জন্য হিবা করলাম। সে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকল। জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি আমার কাছে তাকে বিয়ে দিন, যদি আপনি তাকে বিয়ে করতে না চান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাকে মোহরানা দেয়ার জন্য তোমার কাছে কিছু আছে? সে বলল, আমার কাছে আমার লুঙ্গি ছাড়া অন্য কিছু নেই। নবী (ﷺ) বললেন, যদি তুমি তাকে তোমার লুঙ্গিটি দাও তাহলে তোমাকে লুঙ্গি ছাড়াই বসে থাকতে হবে। তাই তুমি অন্য কিছু তালাশ কর। সে বলল, আমি কিছু পাচ্ছি না। তিনি বললেন, তুমি তালাশ কর যদিও লোহার আংটি হয়। সে তালাশ করে কিছু পেল না। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার কি কুরআনের কোন সূরা মুখস্থ আছে? সে কিছু সূরার নাম উল্লেখ করে বলল, হাঁ, আমার অমুক অমুক সূরা মুখস্থ আছে। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, আমি তোমাদেরকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করছি- তুমি কুরআনের যে সূরা সমূহ মুখস্থ করেছ তার বিনিময়ে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি দেখলাম সে চলে যাচ্ছে। আর মহিলাটি তার অনুগমন করছে।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তায়ালিসী, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, নাসাই, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
বর্ণনাকারী বলেন, আমি দেখলাম সে চলে যাচ্ছে। আর মহিলাটি তার অনুগমন করছে।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তায়ালিসী, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, নাসাই, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب من جعل العتق صداقاً وكذلك تعليم بعض القرآن
عن سهل بن سعد الساعدي (1) أن النبي صلى الله عليه وسلم جاءته امرأة (2) فقال يا رسول إني قد وهبت نفسي لك (3) فقامت قياماً طويلاً فقام رجل (4) فقال يا رسول الله زوجنيها أن لم يكن لك بها حاجة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هل عندك من شيء تصدقها إياه؟ فقال ما عندي إلا إزاري هذا، فقال النبي صلى الله عليه وسلم إن أعطيتها إزارك جلست لا إزار لك فالتمس شيئاً، فقال ما أجد شيئاً، فقال التمس ولوخاتماً (5) من حديد فالتمس فلم يجد شيئاً، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم هل معك (6) من القرآن شيء؟ قال نعم سورة كذا وسورة كذا لسور يسميها (7) فقال له النبي صلى الله عليه وسلم قد زوجتكما بما معك (8) من القرآن (وفي لفظ) قال فقد أملكتها (1) بما معك من القرآن قال فرأيته بمضى وهي تتبعه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে ব্যক্তি আযাদ করাকে এবং কুরআনের কিছু অংশ শিক্ষা দেয়াকে মোহরানা নির্ধারণ করে।
৯২। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জনৈক সাহাবী (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলেন: হে অমুক, তুমি কি বিয়ে করেছ? তিনি বললেন, না, আমার কাছে এমন কোন বস্তু নেই যা দিয়ে আমি বিয়ে করতে পারি। তিনি বললেন, তোমার কি কুলহু আল্লাহু আহাদ মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, নিশ্চয়, তিনি বললেন, এটা কুরআনের চতুর্থাংশ। তিনি বললেন, তোমার কি কুল ইয়া আইউহাল কাফিরুন মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, নিশ্চয়, তিনি বললেন, কুরআনের চতুর্থাংশ। তিনি বললেন, তোমার কি ইযা যুলফিলাতিল আরদু মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, তোমার কি আয়াতুল কুরসী- “আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া” মুখস্থ নেই? তিনি বললেন, নিশ্চয়, তিনি বললেন, কুরআনের চতুর্থাংশ। তিনি তিনবার বললেন, তুমি বিয়ে কর, তুমি বিয়ে কর, তুমি বিয়ে কর।
(তিরমিযী আয়াতুল কুরসী ছাড়া অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবন আবি শায়বা পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদে সালামা ইবন ওয়ারদান আছেন। ইমাম আহমদ এবং অন্যরা তাঁকে দূর্বল বর্ণনাকারী বলেছেন। হাদীসটির অন্য বর্ণনা সূত্র সমূহ হাদীসটিকে শক্তিশালী করে।)
(তিরমিযী আয়াতুল কুরসী ছাড়া অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবন আবি শায়বা পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদে সালামা ইবন ওয়ারদান আছেন। ইমাম আহমদ এবং অন্যরা তাঁকে দূর্বল বর্ণনাকারী বলেছেন। হাদীসটির অন্য বর্ণনা সূত্র সমূহ হাদীসটিকে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب من جعل العتق صداقاً وكذلك تعليم بعض القرآن
عن أنس بن مالك (2) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سأل رجلاً من صحابته فقال أي فلان هل تزوجت؟ قال لا، وليس عندي ما أتزوج به، قال أليس معك قال هو الله أحد؟ قال بلى؛ قال ربع القرآن (3) قال أليس معك قل يا أيها الكافرون؟ قال بلى، قال ربع القرآن (4) قال أليس معك إذا زلزلت الأرض؟ قال بلى، قال ربع القرآن (5) قال أليس معك إذا جاء نصر الله؟ قال بلى قال ربع القرآن (6)، قال أليس معك آية الكرسي الله لا إله إلا هو؟ قال بلى قال ربع القرآن (7) قال تزوج تزوج تزوج ثلاث مرات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন ব্যক্তি মোহরানা নির্ধারণ ছাড়া কোন মহিলাকে বিয়ে করে অতঃপর তার সাথে সহবাস করার পূর্বে মারা যায় তার বিষয়ে শরয়ী বিধান।
৯৩। আব্দুল্লাহ ইবন উতবা (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবন মাসউদ (রা)-এর কাছে জনৈক ব্যক্তির সংবাদ পৌঁছল যে, সে জনৈকা মহিলাকে বিয়ে করেছে, অতঃপর মারা গিয়েছে, সে তার জন্য মোহরানা নির্দিষ্ট করেনি, আর তার সাথে সহবাসও করেনি। তাঁকে ঐ মহিলার বিষয়ে এক মাস জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি তার বিষয় কিছু বললেন না। অতঃপর তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমি তার বিষয়ে আমার নিজ মত অনুযায়ী ফয়সালা দেব। যদি ভুল হয় তা আমার এবং শয়তানের পক্ষ হতে। আর যদি সঠিক হয় তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে। সে তার গোত্রের একজন মহিলার সমপরিমাণ মোহরানা পাবে সে মীরাছও পাবে। আর সে ইদ্দত পালন করবে। আশজা গোত্রের জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, বিরওয়া বিনতে ওয়াশিক (রা)-এর বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেমন ফয়সালা দিয়েছিলেন, আপনি এর বিষয়ে সে রকমই ফয়সালা দিয়েছেন। তিনি বললেন, তুমি দু'জন সাক্ষী উপস্থিত কর। আশজা' গোত্রের দু' ব্যক্তি জাররাহ (রা) এবং আবূ সিনান (রা) তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন।
দ্বিতীয় বর্ণনা সূত্রে আলকামা (র) এবং আসওয়াদ (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা বলেন, একদল লোক আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এর কাছে এসে বলল, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার রায় কি যে একজন মহিলাকে বিয়ে করেছে। অতঃপর তাঁরা উপরোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, আশজাগোত্রের জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে- হাদীসটির এক বর্ণনাকারী মানসুর বলেন, আমি ধারণা করি :
তার নাম সালমা ইবন ইয়াযীদ বলল, একই রকম ঘটনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন ফয়সালা দিয়েছেন। আমাদের গোত্রের এক ব্যক্তি রুয়াস গোত্রের বিরওয়া' বিনতে ওয়াশিক (রা) কে বিয়ে করল। সে ঘর থেকে বের হয়ে কূপে প্রবেশ করে অজ্ঞান হল, অতঃপর মারা গেল। সে তার জন্য মোহরানা নির্দিষ্ট করেনি। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আসল। তিনি বললেন, তার মোহরানা তার গোত্রের মহিলাদের মত। তা থেকে কম-বেশি নয়। সে মীরাছ পাবে এবং তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে।
(তৃতীয় বর্ণনা সূত্রে) আলকামা (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে: জনৈক ব্যক্তি জনৈকা মহিলাকে বিয়ে করল। সে তার সাথে সহবাস করার পূর্বে মারা গেল। সে তার জন্য মোহরানা নির্দিষ্ট করেনি। তার বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, সে তার গোত্রের একজন মহিলার মোহরানার মত মোহরানা পাবে। তার থেকে কম-বেশি করা যাবেনা। তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে। তখন আবু সিনান আশজায়ী (রা) আশজা' গোত্রের এক দল লোকের সাথে দাঁড়িয়ে বললেন, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি তার বিষয়ে তেমনই ফয়সালা দিয়েছেন, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিরওয়া বিনতে ওয়াশিক (রা)-এর বিষয়ে ফয়সালা দিয়েছিলেন।
(চতুর্থ বর্ণনা সূত্রে) মাসরুক আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি উপরোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে, মা'কিল ইবন সিনান (রা) বললেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বিরওয়া বিনতে ওয়াশিক (রা)-এর বিষয়ে আপনার ফয়সালার মত ফয়সালা করতে দেখেছি।
(হাকিম, বায়হাকী, ইবন হিব্বান, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। তিরমিযী এবং আব্দুর রহমান ইবন মাহদী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন। আবূ দাউদ এবং হাকিম উকবা ইবন আমির (রা) থেকে হাদীসটির 'শাহেদ হাদীস' বর্ণনা করেছেন। হাকিম সেটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
দ্বিতীয় বর্ণনা সূত্রে আলকামা (র) এবং আসওয়াদ (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা বলেন, একদল লোক আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এর কাছে এসে বলল, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার রায় কি যে একজন মহিলাকে বিয়ে করেছে। অতঃপর তাঁরা উপরোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, আশজাগোত্রের জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে- হাদীসটির এক বর্ণনাকারী মানসুর বলেন, আমি ধারণা করি :
তার নাম সালমা ইবন ইয়াযীদ বলল, একই রকম ঘটনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন ফয়সালা দিয়েছেন। আমাদের গোত্রের এক ব্যক্তি রুয়াস গোত্রের বিরওয়া' বিনতে ওয়াশিক (রা) কে বিয়ে করল। সে ঘর থেকে বের হয়ে কূপে প্রবেশ করে অজ্ঞান হল, অতঃপর মারা গেল। সে তার জন্য মোহরানা নির্দিষ্ট করেনি। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আসল। তিনি বললেন, তার মোহরানা তার গোত্রের মহিলাদের মত। তা থেকে কম-বেশি নয়। সে মীরাছ পাবে এবং তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে।
(তৃতীয় বর্ণনা সূত্রে) আলকামা (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে: জনৈক ব্যক্তি জনৈকা মহিলাকে বিয়ে করল। সে তার সাথে সহবাস করার পূর্বে মারা গেল। সে তার জন্য মোহরানা নির্দিষ্ট করেনি। তার বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, সে তার গোত্রের একজন মহিলার মোহরানার মত মোহরানা পাবে। তার থেকে কম-বেশি করা যাবেনা। তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে। তখন আবু সিনান আশজায়ী (রা) আশজা' গোত্রের এক দল লোকের সাথে দাঁড়িয়ে বললেন, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি তার বিষয়ে তেমনই ফয়সালা দিয়েছেন, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিরওয়া বিনতে ওয়াশিক (রা)-এর বিষয়ে ফয়সালা দিয়েছিলেন।
(চতুর্থ বর্ণনা সূত্রে) মাসরুক আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি উপরোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে, মা'কিল ইবন সিনান (রা) বললেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বিরওয়া বিনতে ওয়াশিক (রা)-এর বিষয়ে আপনার ফয়সালার মত ফয়সালা করতে দেখেছি।
(হাকিম, বায়হাকী, ইবন হিব্বান, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। তিরমিযী এবং আব্দুর রহমান ইবন মাহদী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন। আবূ দাউদ এবং হাকিম উকবা ইবন আমির (রা) থেকে হাদীসটির 'শাহেদ হাদীস' বর্ণনা করেছেন। হাকিম সেটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب من تزوج ولم يسم صداقاً ثم مات قبل الدخول
عن عبد الله بن عتبة) (9) قال أتى ابن مسعود في رجل تزوج امرأة فمات عنها ولم يفرض (10) لها ولم يدخل بها فسئل عنها شهراً فلم يقل فيها شيئاً، ثم سألوه فقال أقول فيها برأيي فإن يك خطأ فمي ومن الشيطان، وأن يك صواباً فمن الله ولها صداق أحدى نسائها (1) ولها الميراث وعليها العدة فقام رجل من أشجع (2) فقال أشهد لقضيت فيها بقضاء رسول الله صلى الله عليه وسلم في بروع (3) ابنة وأشق، قال فقال هلم شاهداك (4) فشهد له الجراح وأبو سنان رجلان من أشجع
(ومن طريق ثان) (5) عن علقمة والأسود قال أتى قوم عبد الله يعني ابن مسعود فقالوا ما ترى في رجل تزوج امرأة فذكر الحديث (6) قال فقام رجل من أشجع قال منصور (7) أراه سلمة بن يزيد فقال في مثل هذا قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم تزوج رجل منا امرأة من بني رؤاس يقال لها بروع بنت واشق فخرج مخرجاً فدخل في بئر فأمن (8) فمات ولم يفرض لها صداقاً فأتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال كمهر نسائها ولا وكس (9) ولا شطط ولها الميراث وعليها العدة
(ومن طريق ثالث) (10) عن علقمة، أن رجلاً تزوج امرأة فتوفى عنها قبل أن يدخل بها ولم يسم صداقاً فسئل عنها عبد الله (يعني ابن مسعود) فقال لها صداق أحدى نسائها ولا وكس ولا شطط وعليها العدة، فقام أبو سنان الأشجعي (11) في رهط من أشجع فقالوا نشهد لقد قضيت فيها بقضاء رسول الله صلى الله عليه وسلم في بروع بنت واشق
(ومن طريق رابع) (1) عن مسروق عن عبد الله فذكر نحوه وفيه فقال معقل بن سنان شهدت النبي صلى الله عليه وسلم قضى به في بروع بنت واشق
(ومن طريق ثان) (5) عن علقمة والأسود قال أتى قوم عبد الله يعني ابن مسعود فقالوا ما ترى في رجل تزوج امرأة فذكر الحديث (6) قال فقام رجل من أشجع قال منصور (7) أراه سلمة بن يزيد فقال في مثل هذا قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم تزوج رجل منا امرأة من بني رؤاس يقال لها بروع بنت واشق فخرج مخرجاً فدخل في بئر فأمن (8) فمات ولم يفرض لها صداقاً فأتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال كمهر نسائها ولا وكس (9) ولا شطط ولها الميراث وعليها العدة
(ومن طريق ثالث) (10) عن علقمة، أن رجلاً تزوج امرأة فتوفى عنها قبل أن يدخل بها ولم يسم صداقاً فسئل عنها عبد الله (يعني ابن مسعود) فقال لها صداق أحدى نسائها ولا وكس ولا شطط وعليها العدة، فقام أبو سنان الأشجعي (11) في رهط من أشجع فقالوا نشهد لقد قضيت فيها بقضاء رسول الله صلى الله عليه وسلم في بروع بنت واشق
(ومن طريق رابع) (1) عن مسروق عن عبد الله فذكر نحوه وفيه فقال معقل بن سنان شهدت النبي صلى الله عليه وسلم قضى به في بروع بنت واشق
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : সহবাস করার পূর্বে স্ত্রীকে কিছু মোহরানা দেয়া, আর তাকে তা না দেয়ার অবকাশ। বিয়ের সময় মোহরানা নির্দিষ্ট করা, কিন্তু তা পরিশোধ করার ইচ্ছা না রাখার প্রতি হুঁশিয়ারী বাণী।
৯৪। আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিতে চাইলাম। আর মনে মনে বললাম, আমার কাছে তো কিছুই নেই। কাজেই প্রস্তাব দেই কী করে? অতঃপর আমি তাঁর আত্মীয়তা রক্ষা, তাঁর অন্যান্য মহৎ গুনের কথা স্মরণ করলাম। অতঃপর আমি তাঁর কাছে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলাম। তিনি বললেন, তোমার কাছে কিছু আছে? আমি বললাম, না, তিনি বললেন, তোমার হুতামী লৌহ বর্মটি কোথায় যা আমি তোমাকে অমুক দিন দিয়েছিলাম? তিনি বললেন, তা আমার নিকট আছে। তিনি বললেন, তুমি তাকে সেটাই দিও।
(আবূ দাউদ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, ইমাম আহমদের সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
(আবূ দাউদ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, ইমাম আহমদের সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ সহীহর বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في تقديم شيء من المهر قبل الدخول والرخصة في تركه ووعيد من سمى صداقاً ولم يرد أداءه
عن علي رضي الله عنه (2) قال أردت أن أخطب إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ابنته (3) فقلت مالي من شيء فكيف (4)؟ ثم ذكرت صلته وعائدته (5) فخطبتها اليه، فقال هل لك من شيء (6)؟ قال لا، قال فأين ردعك الحطمية (7) التي أعطيتك يوم كذا وكذا؟ قال هي عندي قال فأعطها إياه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : সহবাস করার পূর্বে স্ত্রীকে কিছু মোহরানা দেয়া, আর তাকে তা না দেয়ার অবকাশ। বিয়ের সময় মোহরানা নির্দিষ্ট করা, কিন্তু তা পরিশোধ করার ইচ্ছা না রাখার প্রতি হুঁশিয়ারী বাণী।
৯৫। সুহায়ব ইবন সিনান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মহিলার জন্য মোহরানা নির্ধারন করে। আর আল্লাহ জানেন, তার তাকে তা দেয়ার ইচ্ছা নেই, সে আল্লাহর নামে তাকে ধোঁকা দেয়, আর তার লজ্জা স্থানকে মিথ্যা দিয়ে বৈধ করে। তাই সে কিয়ামতের দিন যিনাকারীরূপে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে।
(হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং তবারানী আল মু'জামুল কাবীরে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। আহমদের সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তাবারানীর সনদে আমার অপরিচিত একজন বর্ণনাকারী আছেন।)
(হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং তবারানী আল মু'জামুল কাবীরে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। আহমদের সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তাবারানীর সনদে আমার অপরিচিত একজন বর্ণনাকারী আছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في تقديم شيء من المهر قبل الدخول والرخصة في تركه ووعيد من سمى صداقاً ولم يرد أداءه
عن صهيب بن سنان قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ايما رجل أصدق امرأة صداقًا والله يعلم أنه لا يريد أداءه إليها فغرها بالله (2) واستحل فرجها بالباطل لقي الله يوم يلقاه وهو زان
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এবং তার অভিভাবকদেরকে হাদিয়া দেয়া।
৯৬। আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, আকদের আগে মোহরানার হাদিয়া দেয়ার শর্তে যদি কোন মহিলার বিবাহ সম্পন্ন হয়, তবে তা স্ত্রীর আর যা আকদের পরে দেওয়া হবে, তা যাকে দেওয়া হবে তারই প্রাপ্য। আর কোন পুরুষ তার মেয়ে বা বোনের কারণেই অধিকতর মর্যাদা লাভের উপযুক্ত হয়।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী এবং অন্যরা। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী এবং অন্যরা। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب حكم التحكيم هدايا الزوج للمرأة وأوليائها
عن عبد الله بن عمرو (4) أن النبي صلى الله عليه وسلم قال إيما امرأة نكحت على صداق أوحباء (5) أو عدة قبل عصمة النكاح فهو لها (6) وما كان بعد عصمة النكاح فهو لمن أعطيه (7) وأحق ما يكرم عليه الرجل (8) ابنته وأخته
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এবং তার অভিভাবকদেরকে হাদিয়া দেয়া।
৯৭। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি মোহরানা নির্ধারণ বা কোন বস্তু দেয়ার ওয়াদা সাপেক্ষে কোন মহিলার লজ্জাস্থানকে হালাল করে নেয়া হয়, তাহলে তা তার প্রাপ্য। আর বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর যা দিয়ে স্ত্রীর পিতা বা তার ভাই বা অভিভাবককে সম্মানিত করা হয় তা (যাকে দেওয়া হয়) তারই প্রাপ্য। আর কোন ব্যক্তি তার মেয়ে । হাদীসটির সনদ দুর্বল। এর পূর্ববর্তী হাদীস একে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب حكم التحكيم هدايا الزوج للمرأة وأوليائها
عن عائشة رضي الله عنها (9) قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما استحل به فرج المرأة من مهر أو عدة فهو لها، وما أكرم به أبوها أو أخوها أو وليها بعد عقد النكاح فهو له، وأحق ما أكرم به الرجل ابنته وأخته
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যৌতুক প্রসঙ্গ।
৯৮। আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফাতেমা (রা)-কে তাঁর বিয়ের সময় দিয়েছিলেন একাট ঝালর বিশিষ্ট চাদর, একটি মশক এবং একটি চামড়ার বালিশ, যার পুর ছিল ইযখির ঘাসের।
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
তাঁর থেকে তৃতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ফাতেমা (রা)-কে বিয়ে দেন তখন তাঁর সাথে একটি ঝালর যুক্ত কাপড়, একটি চামড়ার বালিশ যার ভরাট ছিল খেজুর গাছের আঁশ, দু'টি জাঁতা, একটি মশক এবং দু'টি কলস পাঠান।
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
তাঁর থেকে তৃতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ফাতেমা (রা)-কে বিয়ে দেন তখন তাঁর সাথে একটি ঝালর যুক্ত কাপড়, একটি চামড়ার বালিশ যার ভরাট ছিল খেজুর গাছের আঁশ, দু'টি জাঁতা, একটি মশক এবং দু'টি কলস পাঠান।
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الجهاز
عن علي رضي الله عنه (1) قال جهز رسول الله صلى الله عليه وسلم فاطمة في خميل (2) وقربة ووسادة أدن وحشوها ليف الإذخر (عنه من طريق ثان) (3) مثله وفيه ووسادة آدم وحشوها أذخر قال أبو سعيد (4) ليف (وعنه من طريق ثالث) (5) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم لما زوجه فاطمة بعث معها بخميلة ووسادة من أدم وحشوها ليف ورحيين (6) وجرتين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যৌতুক প্রসঙ্গ।
৯৯। উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র যখন তাঁকে বিয়ে করেন তখন তাঁকে বললেন, আমি তোমাকে তোমার বোনদেরকে (সতীনদেরকে) যা দিয়েছি তা থেকে থেকে কোন কিছু কম দিবনা। তিনি তাঁকে দু'টি জাতা, একটি কলস এবং একটি বালিশ দেন, যার ভরাট ছিল খেজুর গাছের বাকল।
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ। যা নবী (ﷺ)-এর জীবন চরিত্রের পর্বে 'চতুর্থ হিজরীতে' 'উম্মে সালামা (রা)-কে বিবাহ' শীর্ষক পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হবে।)
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ। যা নবী (ﷺ)-এর জীবন চরিত্রের পর্বে 'চতুর্থ হিজরীতে' 'উম্মে সালামা (রা)-কে বিবাহ' শীর্ষক পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হবে।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الجهاز
عن أم سلمة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لها حينما تزوجها أما أتى لا أنقصك مما أعطيت أخواتك (2) رحيين وجرة ومرفقة (3) من أدم حشوها ليف
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০০। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্ত্রীর সাথে তার একজন ফুফু ও একজন খালাকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী (ﷺ) (আ) কোন মহিলাকে তার ফুফু বা খালা স্ত্রী থাকা কালীন বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।
(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন হিব্বান। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।)
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী (ﷺ) (আ) কোন মহিলাকে তার ফুফু বা খালা স্ত্রী থাকা কালীন বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।
(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন হিব্বান। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
عن ابن عباس (4) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى أن يجمع بين العمة والخالة (5) وبين العمتين والخالتين (وعنه من طريق ثان) (6) أن نبي الله صلى الله عليه وسلم نهى أن تنكح المرأة على عمتها أو خالتها
তাহকীক: