মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২৮৭ টি
হাদীস নং: ১০১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০১। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন মহিলাকে তার ফুফু স্ত্রী থাকাকালীন বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন। আর ফুফুকে তার ভাতিজী স্ত্রী থাকাকালীন বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন। আর খালাকে তার ভাগনী স্ত্রী থাকাকালীন বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন। খালা বা ফুফুকে তার ভাগনী বা ভাতিজী স্ত্রী থাকাকালীন, এবং ভাগনী বা ভাতিজীকে তার খালা বা ফুফু স্ত্রী থাকালীন বিবাহ করা যাবে না।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, বায়হাকী)
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
عن أبى هريرة (2) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى أن تنكح المرأة على عمتها والعمة على بنت أخيها والمرأة على خالتها والخالة على بنت أختها لا تنكح الكبرى (3) على الصغرى ولا الصغرى على الكبرى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০২। আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন মহিলাকে তার ফুফু স্ত্রী থাকাকালীন, এবং কোন মহিলাকে তার খালা স্ত্রী থাকাকালীন বিবাহ করা যাবে না।
(আবূ ইয়ালা, বাযযার। হায়ছামী এবং আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
(আবূ ইয়ালা, বাযযার। হায়ছামী এবং আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
عن علي رضي الله عنه (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تنكح المرأة على عمتها ولا على خالتها
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০৩। আমর (র) তাঁর পিতা শুআইব (র) থেকে, তিনি তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে, আর তিনি নবী (ﷺ) থেকে উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেন।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কেউর নিকট হাদীসটি পাইনি। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদ হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কেউর নিকট হাদীসটি পাইনি। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদ হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
وعن عمرو بن شعيب (6) عن ابيه عن جده عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০৪। আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখপূর্বক তা করতে নিষেধ করতে শুনেছি। তার মধ্যে একটি হল স্ত্রীকে এবং তার খালাকে, আর স্ত্রীকে এবং তার ফুফুকে একত্রে বিবাহ করা।
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ। যা ভীতি প্রদর্শনের অধ্যায়ে, সপ্তম পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হবে।)
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ। যা ভীতি প্রদর্শনের অধ্যায়ে, সপ্তম পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হবে।)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
عن ابي سعيد الخدري (7) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم ينهى فذكر خصالا نهى النبي صلى الله عليه وسلم عنها منها وأن يجمع بين المرأة وخالتها وبين المرأة وعمتها
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০৫। জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেউ কোন মহিলাকে তার ফুফু বা খালা স্ত্রী থাকাকালীন এবং কোন মহিলাকে তার ভাতিজী বা ভাগনী স্ত্রী থাকাকালীন বিবাহ করবে না।
(বুখারী, নাসাঈ, বায়হাকী)
(বুখারী, নাসাঈ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
عن جابر بن عبد الله (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تنكح المرأة على عمتها ولا على خالتها ولا المرأة على ابنة أخيها ولا ابنة أختها
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০৬। ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, যে স্ত্রী ও তার পিতার খালাকে এবং স্ত্রী ও তার মায়ের খালাকে এবং স্ত্রী ও তার পিতার ফুফুকে ও তার মায়ের ফুফুকে একত্রে বিবাহ করেছে। তিনি বললেন, কাবিসা ইবন যুআইব বলেছেন, আমি আবূ হুরায়রা (রা) কে বলতে শুনেছি : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্ত্রীকে এবং খালাকে আর স্ত্রীকে এবং তার ফুফুকে একত্রে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন। আর আমরা বিশ্বাস করি যে, স্ত্রীর মার খালাকেও সেরূপ বিবাহ করা হারাম। আর যদি স্ত্রী দুধ সম্পর্কীয় এরূপ আত্মীয়া হয় তাকেও এরূপ বিবাহ করা হারাম।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
عن ابن شهاب (9) أنه سئل عن الرجل يجمع بين المرأة وبين خالة أبيها والمرأة وخالة أمها وبين المرأة وعمة أبيها والمرأة وعمة أمها، فقال قال قبيصة بن ذؤيب سمعت أبا هريرة يقول نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يجمع بين المرأة وخالتها وبين المرأة وعمتها فنرى (1) خالة أمها بتلك المنزلة (2) وان كان من الرضاع يكون من ذلك بتلك المنزلة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
পরিচ্ছেদ: কোন ব্যক্তির জন্য স্ত্রীর ফুফু বা এ রকম আত্মীয়কে বিয়ে করা হারাম।
১০৭। উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উম্মু হাবীবা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনার কি আমার বোনের প্রতি আগ্রহ আছে? তিনি বললেন, আমি তার প্রতি আগ্রহ করে কি করব? তিনি বললেন, আপনি তাকে বিয়ে করবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি তা পছন্দ কর? তিনি বললেন, হাঁ, আমি একা আপনার স্ত্রী নই। আমার সাথে আপনার স্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জনে আমার বোন অন্য মহিলাদের চেয়ে অধিকতর হকদার। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, সে আমার জন্য হালাল নয়। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি অবগত হয়েছি আপনি উম্মু সালামা (রা) ও আবূ সালামা (রা)-এর মেয়ে দুররা (রা) কে বিয়ের পয়গাম দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি তার মা আমার স্ত্রী না হত তবু আমি তাকে বিয়ে করতাম না। বনী হাশিমের আযাদকৃত কৃতদাসী সুয়াইবা আমাকে ও তার পিতাকে দুধ পান করিয়েছে। অতএব তোমরা আমাকে তোমাদের বোনদেরকে ও মেয়েদেরকে বিয়ে করার পয়গাম দিবে না।
(বুখারী, মুসলিম, শাফিয়ী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। তাঁরা সকলে যায়নব (রা) কর্তৃক উম্মু হাবীবা (রা) থেকে বর্ণনা করা হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী, মুসলিম, শাফিয়ী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। তাঁরা সকলে যায়নব (রা) কর্তৃক উম্মু হাবীবা (রা) থেকে বর্ণনা করা হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
أبواب موانع النكاح
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
باب النهي عن الجمع بين المرأة وعمتها ونحوها من المحارم
عن زينب بنت أبي سلمة (4) عن ام سلمة قالت جاءت ام حبيبة (5) فقالت يا رسول الله هل لك في أختي؟ (6) قال فأصنع بها ماذا؟ قالت تزوجها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم وتحبين ذلك؟ (7) فقالت نعم لست لك بمخلية (8) وأحق من شر كنى في خير أختي، فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم إنها لا تحل لي (9) قالت فو الله لقد بلغني أنك تخطب درة ابنة أم سلمة بنت أبي سلمة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو كانت تحل لي لما تزوجتها (1) قد أرضعتني وأباها (2) ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن (3) على أخواتكن ولا بناتكن
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : সৎ মাকে বিয়েকারী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।
১০৮। বারা' ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার মামার সাথে সাক্ষাৎ করলাম। তাঁর হাতে তখন পতাকা ছিল। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম: আপনি কোথায় যেতে চাচ্ছেন?
তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে জনৈক ব্যক্তিকে হত্যা করার এবং তার মালকে জব্দ করার জন্য পাঠিয়েছেন, কেননা সে তার সৎমাকে বিয়ে করেছে তার সাথে তার বিয়ে হারাম হওয়া জানা সত্ত্বেও।
(হাকিম, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। ইবন মাজাহ এবং তিরমিযী মাল নেয়ার কথা উল্লেখ করেননি। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)
তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে জনৈক ব্যক্তিকে হত্যা করার এবং তার মালকে জব্দ করার জন্য পাঠিয়েছেন, কেননা সে তার সৎমাকে বিয়ে করেছে তার সাথে তার বিয়ে হারাম হওয়া জানা সত্ত্বেও।
(হাকিম, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। ইবন মাজাহ এবং তিরমিযী মাল নেয়ার কথা উল্লেখ করেননি। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)
كتاب النكاح
باب ما جاء فيمن تزوج امرأة أبيه
عن البراء بن عازب (4) قال لقيت خالي (5) ومعه الراية فقلت أين تريد؟ قال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى رجل (6) تزوج امرأة أبيه من بعده أن أضرب عنقه أو قتله وآخذ ماله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : সৎ মাকে বিয়েকারী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।
১০৯। বারা' ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার মামার সাথে সাক্ষাৎ করলাম। আর তিনি উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
(তিরমিযী বারা' (রা)-এর ১০৮ নম্বরের হাদীসকে বর্ণনা করে 'হাসান' বলে মন্তব্য করার পর হাদীসটির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন আদী ইবন সাবিত থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ থেকে, তিনি বারা' (রা) থেকে। আহমদ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটি দূর্বল। তবে এ অধ্যায়ের হাদীস সমূহ হাদীসটিকে শক্তিশালী করে।)
(তিরমিযী বারা' (রা)-এর ১০৮ নম্বরের হাদীসকে বর্ণনা করে 'হাসান' বলে মন্তব্য করার পর হাদীসটির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন আদী ইবন সাবিত থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ থেকে, তিনি বারা' (রা) থেকে। আহমদ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটি দূর্বল। তবে এ অধ্যায়ের হাদীস সমূহ হাদীসটিকে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فيمن تزوج امرأة أبيه
وعن يزيد بن البراء (7) عن أبيه قال لقيت خالي فذكر الحديث المتقدم وفي آخره قال أبو عبد الرحمن (8) ما حدث أبي عن أبي مريم عبد الغفار الا هذا الحديث لعلته
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : সৎ মাকে বিয়েকারী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।
১১০। বারা' ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় আমি বেদুঈন পাড়ায় আমার হারিয়ে যাওয়া উট তালাশ করা কালীন দেখলাম একদল উষ্ট্রারোহী ও ঘোড় সওয়ার এসে আমি যে বাড়ীর উঠানে উট তালাশ করছিলাম সে বাড়ীটি ঘিরে ফেলল। তারপর তার থেকে জনৈক ব্যক্তিকে বের করল। এবং তার কাছে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করে এবং তার সাথে কোন কথা না বলেই তাকে হত্যা করল। যখন তারা চলে গেল তখন আমি সেখানকার বেদুঈনদেরকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তারা বলল, সে তার সৎ মায়ের সাথে সহবাস করেছে।
মুতাররিফ (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কতিপয় সাহাবী (রা) একটি গম্বুজাকৃতি বাড়ীতে এসে তার থেকে জনৈক ব্যক্তিকে বের করে হত্যা করলেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, এ ব্যক্তি কি অপরাধ করেছে? সেখানকার লোকেরা বলল, এ ব্যক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে হত্যা করার জন্য সাহাবীগণ (রা)-কে পাঠিয়েছেন। আর তাঁরা তাকে হত্যা করেছে।
(হাকিম, দারিমী, বায়হাকী, আবু দাউদ, তিরমিযী ইবন মাজাহ। যাহাবী হাদীসটির সনদকে চমৎকার বলেছেন।)
মুতাররিফ (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কতিপয় সাহাবী (রা) একটি গম্বুজাকৃতি বাড়ীতে এসে তার থেকে জনৈক ব্যক্তিকে বের করে হত্যা করলেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, এ ব্যক্তি কি অপরাধ করেছে? সেখানকার লোকেরা বলল, এ ব্যক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে হত্যা করার জন্য সাহাবীগণ (রা)-কে পাঠিয়েছেন। আর তাঁরা তাকে হত্যা করেছে।
(হাকিম, দারিমী, বায়হাকী, আবু দাউদ, তিরমিযী ইবন মাজাহ। যাহাবী হাদীসটির সনদকে চমৎকার বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فيمن تزوج امرأة أبيه
حدثنا أسباط قال ثنا مطرف عن أبي الجهم عن البراء بن عازب (1) قال إني لأطوف على ابل ضلت لى في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فانا أجول (2) في أبيات فإذا أنا بركب وفوارس اذ جاءوا فطافوا بفنائي (3) فاستخرجوا رجلا فما سألوه ولا كلموه حتى ضربوا عنقه، فلما ذهبوا سألت عنه فقالوا عرس (4) بامرأة أبيه حدثنا اسود بن عامر ثنا أبو بكر عن مطرف قال أتوا قبة (5) فاستخرجوا منها رجلا فقتلوه، قال قلت ما هذا؟ هذا رجل دخل بأم امرأته (6) فبعث إليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقتلوه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : সৎ মাকে বিয়েকারী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।
১১১। বারা' ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদল লোক আমাদের পাশ থেকে যাচ্ছিল। আমরা বললাম, আপনারা কোথায় যাচ্ছেন? তাঁরা বললেন, জনৈক ব্যক্তি তার সৎমায়ের সাথে সহবাস করে। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে তাকে হত্যা করার জন্য পাঠিয়েছেন।
(হাকিম, আবূ দাউদ এবং অন্যরা। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
(হাকিম, আবূ দাউদ এবং অন্যরা। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فيمن تزوج امرأة أبيه
عن البراء بن عازب (7) قال مر بنا ناس منطلقون فقلنا أين تذهبون فقالوا بعثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى رجل يأتي امرأة أبيه أن نقتله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ হারাম হওয়া প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
১১২। আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি আপনাকে কুরায়শ বংশের অধিকতর সুন্দরী যুবতীর সন্ধান দিব না? তিনি বললেন, সে কে? আমি বললাম, হামযা (রা)-এর মেয়ে। তিনি বললেন, তুমি কি জান না সে আমার দুধ ভাইয়ের মেয়ে। আল্লাহ দুধ পান করার কারণে তাদেরকে হারাম করেছেন যাদেরকে বংশীয় কারণে হারাম করেছেন।
(মুসলিম, শাফিয়ী, তিরমিযী, নাসাঈ)
(মুসলিম, শাফিয়ী, তিরমিযী, নাসাঈ)
كتاب النكاح
أبواب تحريم النكاح بالرضاع
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
عن علي رضي الله عنه (8) قال قلت يا رسول الله ألا أدلك على أجمل فتاة في قريش؟ قال ومن هي؟ قلت ابنة حمزة (1) قال أما علمت إنها ابنة أخي من الرضاع (2) أن الله حرم من الرضاعة ما يدل حرم من النسب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ হারাম হওয়া প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
১১৩। এ হাদীসটিও আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কুরায়শ বংশের অন্যান্য গোত্রের মেয়েদেরকে বেছে বেছে বিবাহ করেন, আর আমাদের হাশিম গোত্রের মেয়েদেরকে বিবাহ করেন না। তিনি বললেন, তোমাদের কাছে কি আমার বিবাহের উপযুক্ত কোন মেয়ে আছে? তিনি বলেন, আমি বললাম, হাঁ, হামযা (রা)-এর মেয়ে। তিনি বললেন, সে আমার জন্য হালাল নয় সে আমার দুধ ভাইয়ের মেয়ে।
(মুসলিম, মুহাম্মদ ইবন মানছুর "আমালীতে")
(মুসলিম, মুহাম্মদ ইবন মানছুর "আমালীতে")
كتاب النكاح
أبواب تحريم النكاح بالرضاع
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
وعنه أيضا (4) قال قلت يا رسول الله ما لم تتوق (5) في قريش وتدعنا (6) قال وهل عندكم شيء؟ قال قلت نعم ابنة حمزة (7) قال إنها لا تحل لي، هي ابنة أخي من الرضاعة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ হারাম হওয়া প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
১১৪। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ)কে হামযা (রা)-এর মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হল। তিনি বললেন, সে আমার দুধ ভাইয়ের মেয়ে। দুধ পান করার কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম। তাই সে আমার জন্য হালাল নয়।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
أبواب تحريم النكاح بالرضاع
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
عن ابن عباس (8) إن النبي صلى الله عليه وسلم أريد على (9) ابنة حمزة. فقال إنها ابنة أخي من الرضاعة ويحرم من الرضاعة ما يحرم من الرحم (10) وإنها لا تحل لي
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ হারাম হওয়া প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
পরিচ্ছেদ : দুধ পানের কারণে তারা হারাম হয়ে যায়, যারা বংশীয় কারণে হারাম।
১১৫। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুধ পান করার কারণে তারা হারাম হয়ে যায় যারা বংশীয় কারণে বিবাহ করা হারাম: যেমন, মামা, চাচা, ভাতিজা।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, বায়হাকী, আবূ দাউদ, নাসাঈ। তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, বায়হাকী, আবূ দাউদ, নাসাঈ। তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
أبواب تحريم النكاح بالرضاع
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
باب يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب
عن عائشة رضي الله عنها (11) قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب (وفي لفظ من الولادة) من خال أو عم أو ابن أخ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুধ মায়ের মত কি তার স্বামী এবং স্বামীর নিকটাত্মীয়দের জন্য দুধ পানের বিধান প্রযোজ্য হবে?
১১৬। উরওয়া ইবন যুবাইর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে: আবুল কু'আইস (রা)-এর ভাই আফলাহ (রা) আয়েশা (রা)-এর নিকট প্রবেশ করার অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলেন। নবী (ﷺ) যখন আসলেন তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আবুল কু'আইস (রা)-এর ভাই আফলাহ (রা) আমার নিকট প্রবেশ করার অনুমতি চেয়েছেন। আমি তাঁকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছি। তিনি বললেন, তুমি তাকে অনুমতি দিবে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি মহিলার দুধ পান করেছি পুরুষের দুধ পান করিনি। তিনি বললেন, তুমি তাকে অনুমতি দিবে। কেননা সে তোমার দুধ চাচা। তোমার ডান হাত ধূলিময় হোক।
তিনি আয়েশা (রা) থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, পর্দা ফরয হওয়ার পর আমার দুধ চাচা আমার নিকট এসে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলেন। অতঃপর তিনি উপরোক্ত বর্ণনার মত বর্ণনা করেন।
তিনি আয়েশা (রা) থেকে তৃতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আফলাহ ইবন আবূল কু'আইস (রা) আমার নিকট এসে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলেন। আয়েশা (রা)-কে তার ভাইয়ের স্ত্রীর দুধ পান করান হয়েছে। আমি তাঁকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট প্রবেশ করে বললেন: তুমি তাকে অনুমতি দাও। আল-হাদীস।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
তিনি আয়েশা (রা) থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, পর্দা ফরয হওয়ার পর আমার দুধ চাচা আমার নিকট এসে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলেন। অতঃপর তিনি উপরোক্ত বর্ণনার মত বর্ণনা করেন।
তিনি আয়েশা (রা) থেকে তৃতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আফলাহ ইবন আবূল কু'আইস (রা) আমার নিকট এসে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলেন। আয়েশা (রা)-কে তার ভাইয়ের স্ত্রীর দুধ পান করান হয়েছে। আমি তাঁকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট প্রবেশ করে বললেন: তুমি তাকে অনুমতি দাও। আল-হাদীস।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
باب هل يثبت حكم الرضاع في حق زوج المرضعة وأقاربه كالمرضعة أم لا
عن عروة بن الزبير (12) عن عائشة رضي الله عنها أن أفلح أخا أبي قعيس (13) استأذن على عائشة فأبت أن تأذن له (14) فلما أن جاء النبي صلى الله عليه وسلم قالت يا رسول الله إن أفلح أخا أبي قعيس أستأذن علي فأبيت أن آذن له، فقال ائذني له، قالت يا رسول الله إنما أرضعتني المرأة ولم يرضعني الرجل (15) قال ائذني له فانه عمك تربت يمينك (16) وعنه من طريق ثان) (1) عن عائشة قالت جاءني عمى (2) من الرضاعة يستأذن على بعد ما ضرب الحجاب فذكر نحوه (3) (وعنه من طريق ثالث) (4) عن عائشة قالت جاءني أفلح بن أبي القعيس (5) يستأذن على والذي أرضعت عائشة من لبنه هو أخوه فجاء يستأذن على فأبيت أن آذن له فدخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إذني له الحديث
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুধ মায়ের মত কি তার স্বামী এবং স্বামীর নিকটাত্মীয়দের জন্য দুধ পানের বিধান প্রযোজ্য হবে?
১১৭। আব্বাদ ইবন মানসুর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কাসিম ইবন মুহাম্মদ (র)-কে বললাম, আমার মা আমার ভাইয়ের সাথে সাধারণ মানুষের একটি মেয়েকে দুধ পান করিয়েছেন। আপনি আমার জন্য তাকে বিয়ে করা বৈধ মনে করেন কি? তিনি বললেন, না। তোমার জন্মদাতা পিতা তার দুধ পিতা। তিনি বলেন, অতঃপর তিনি আবুল কু'আইসের হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবুল কু'আইস আয়েশা (রা)-এর নিকট প্রবেশ করার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দিলেন না। যখন নবী (ﷺ) আসলেন, তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আবুল কু'আইস এসে আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি চেয়েছেন। আমি তাঁকে অনুমতি দেইনি। তিনি বললেন, সে তোমার দুধ চাচা। সে তোমার নিকট প্রবেশ করতে পারবে। তিনি বললেন, আমি মহিলার দুধ পান করেছি পুরুষের দুধ পান করিনি। তিনি বললেন, সে তোমার দুধ চাচা। সে তোমার নিকট প্রবেশ করতে পারবে।
(মুসলিম, সাঈদ ইবন মানছুর সুনানে, তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে)
(মুসলিম, সাঈদ ইবন মানছুর সুনানে, তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে)
كتاب النكاح
باب هل يثبت حكم الرضاع في حق زوج المرضعة وأقاربه كالمرضعة أم لا
عن عباد بن منصور(6) قال قلت للقاسم بن محمد امرأة أبى ارضعت جارية من عرض (7) الناس بلبن أخوي أفترى أنى اتزوجها؟ فقال لا، أبوك أبوها (8) قال ثم حدث حديث ابى القعيس فقال ان أبا القعيس (9) أتى عائشة يستأذن عليها فلم تأذن له، فلما جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت يا رسول الله إن أبا قعيس جاء يستأذن على فلم آذن له، فقال هو عمك فليدخل عليك، فقلت إنما أرضعتني المرأة ولم يرضعني الرجل (10) فقال هو عمك فليدخل عليك
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দুধ মায়ের মত কি তার স্বামী এবং স্বামীর নিকটাত্মীয়দের জন্য দুধ পানের বিধান প্রযোজ্য হবে?
১১৮। আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান (র) থেকে বর্ণিত, আয়েশা (রা) তাঁকে অবহিত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নিকট ছিলেন, আর তিনি জনৈক ব্যক্তির আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, সে হাফসা (রা)-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। আয়েশা (রা) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। এ ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি ধারণা করি যে, সে হাফসা (রা)-এর অমুক দুধ চাচা। আয়েশা (রা) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি অমুক (আমার দুধ চাচা) বেঁচে থাকত তাহলে কি তিনি আমার নিকট প্রবেশ করতে পারতেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হাঁ। রক্তের সম্পর্কে যাদেরকে হারাম করে দুধ পানও তাদেরকে হারাম করে।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب هل يثبت حكم الرضاع في حق زوج المرضعة وأقاربه كالمرضعة أم لا
عن عمرة بنت عبد الرحمن (11) ان عائشة أخبرتها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان عندها (1) وأنها سمعت صوت رجل يستأذن في بيت حفصة، قالت عائشة فقلت يا رسول الله هذا الرجل يستأذن في بيتك، قال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم أراه (2) فلانا لعم لحفصة من الرضاعة فقالت عائشة يا رسول الله لو كان فلان حيا لعمها من الرضاعة دخل على؟ (3) فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم نعم (4) إن الرضاعة تحرم ما تحرم الولادة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কতবার দুধ পান করলে বিয়ে করা হারাম হবে। আর সাবালকের দুধ পান প্রসঙ্গ।
১১৯। উরওয়া ইবন যুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুযায়ফা (রা) জনৈকা আনসার মহিলার গোলাম সালিম (রা) কে পালক পুত্র বানালেন, যেরূপ নবী (ﷺ) যায়েদ (রা)-কে পালক পুত্র বানান। জাহিলিয়্যাতের যুগে যদি কেউ কাউকে পালক পুত্র বানাত তাহলে মানুষ তাকে তার পুত্র বলে ডাকত। আর সে তার উত্তরাধিকার হত অবশেষে যখন আল্লাহ তা'আলা আয়াত অবতীর্ণ করেন:
أَدْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللهِ، فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيْكُمْ .
তাদের পিতৃ পরিচয়ে ডাকো। এটাই আল্লাহর কাছে অধিকতর ন্যায় সংগত। যদি তোমরা না জান তাদের পিতৃ পরিচয়, তবে তারা তো তোমাদের ধর্মের ভাই এবং তোমাদের বন্ধু। (সূরা আহযাব : ৫)
তখন তারা তাদেরকে তাদের পিতাদের পরিচয়ে পরিচিত করল। কারো পিতা কে, তা জানা না থাকলে সে বন্ধু এবং ধর্মীয় ভাই হত। অতঃপর সাহলা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমরা সালিম (রা)-কে ছেলে মনে করতাম। সে আমার এবং আবূ হুযায়ফা (রা) এর সাথে অবস্থান করত। আর সে আমাকে আমার মাথা ও বুকের উপরিভাগ খোলা অবস্থায় দেখত। (অন্য এক বর্ণনায় আছে সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছে)। আর আল্লাহ তা'আলা তাদের সম্পর্কে যে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন আপনি তা অবগত আছেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে পাঁচবার দুধ পান করাও। (অন্য এক বর্ণনায় আছে: তুমি তাকে দুধ পান করাও তাহলে তুমি তার পক্ষে হারাম হয়ে যাবে।) অতএব সে তার দুধ পুত্র রূপে গণ্য হল।
অন্য এক বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, তিনি তাকে পাঁচবার দুধ পান করান। আর সে তাঁর দুধ পুত্র রূপে গণ্য হল। আয়েশা (রা) যদি তাঁর কাছে কারো প্রবেশ পছন্দ করতেন, তাকে তাঁর বোনদেরকে এবং ভাগনীদেরকে পাঁচবার দুধ পান করাতে আদেশ করতেন, যদিও সে দু' বছরের থেকে বড় হয়। অতঃপর সে তাঁর নিকট প্রবেশ করত। উম্মু সালামা (রা) এবং নবী (ﷺ) -এর অন্যান্য স্ত্রীগণ (রা) কারও শৈশবে দুধ পান না করে বড় হয়ে যাওয়ার পর দুধ পান করার দ্বারা তাঁদের নিকট প্রবেশ করার বিষয়ে আপত্তি তুললেন। তাঁরা আয়েশা (রা) কে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা জানিনা, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র শুধুমাত্র সালিম (রা) এর জন্য এরূপ অনুমতি দিয়েছিলেন।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, মালিক, শাফিয়ী)
أَدْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللهِ، فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيْكُمْ .
তাদের পিতৃ পরিচয়ে ডাকো। এটাই আল্লাহর কাছে অধিকতর ন্যায় সংগত। যদি তোমরা না জান তাদের পিতৃ পরিচয়, তবে তারা তো তোমাদের ধর্মের ভাই এবং তোমাদের বন্ধু। (সূরা আহযাব : ৫)
তখন তারা তাদেরকে তাদের পিতাদের পরিচয়ে পরিচিত করল। কারো পিতা কে, তা জানা না থাকলে সে বন্ধু এবং ধর্মীয় ভাই হত। অতঃপর সাহলা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমরা সালিম (রা)-কে ছেলে মনে করতাম। সে আমার এবং আবূ হুযায়ফা (রা) এর সাথে অবস্থান করত। আর সে আমাকে আমার মাথা ও বুকের উপরিভাগ খোলা অবস্থায় দেখত। (অন্য এক বর্ণনায় আছে সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছে)। আর আল্লাহ তা'আলা তাদের সম্পর্কে যে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন আপনি তা অবগত আছেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে পাঁচবার দুধ পান করাও। (অন্য এক বর্ণনায় আছে: তুমি তাকে দুধ পান করাও তাহলে তুমি তার পক্ষে হারাম হয়ে যাবে।) অতএব সে তার দুধ পুত্র রূপে গণ্য হল।
অন্য এক বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, তিনি তাকে পাঁচবার দুধ পান করান। আর সে তাঁর দুধ পুত্র রূপে গণ্য হল। আয়েশা (রা) যদি তাঁর কাছে কারো প্রবেশ পছন্দ করতেন, তাকে তাঁর বোনদেরকে এবং ভাগনীদেরকে পাঁচবার দুধ পান করাতে আদেশ করতেন, যদিও সে দু' বছরের থেকে বড় হয়। অতঃপর সে তাঁর নিকট প্রবেশ করত। উম্মু সালামা (রা) এবং নবী (ﷺ) -এর অন্যান্য স্ত্রীগণ (রা) কারও শৈশবে দুধ পান না করে বড় হয়ে যাওয়ার পর দুধ পান করার দ্বারা তাঁদের নিকট প্রবেশ করার বিষয়ে আপত্তি তুললেন। তাঁরা আয়েশা (রা) কে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা জানিনা, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র শুধুমাত্র সালিম (রা) এর জন্য এরূপ অনুমতি দিয়েছিলেন।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, মালিক, শাফিয়ী)
كتاب النكاح
باب عد الرضعات المحرمة - وما جاء في رضاعة الكبير
عن عروة بن الزبير (5) عن عائشة رضى الله عنهما أن أبا حذيفة (6) تبنىَّ سالما وهو مولى لامرأة من الأنصار (7) كما تبنى النبي صلى الله عليه وسلم زيدا، وكان من تنبى رجلا في الجاهلية دعاه الناس ابنه وورث من ميراثه حتى أنزل الله عز وجل {ادعوهم لآبائهم هو أقسط عند الله، فان لم تعلموا آباءهم فإخوانكم في الدين ومواليكم} فردّوا (8) إلى آبائهم فمن لم يعلم له أب فمولى وأخ في الدين، فجاءت سهلة (9) فقالت يا رسول الله كنا نرى سالما ولدا يأوى معي ومع أبي حذيفة ويراني فضلا (1) (وفى لفظ وقد بلغ ما يبلغ الرجال) وقد أنزل الله عز وجل فيهم ما قد علمت (11)، فقال ارضعيه خمس رضعات (وفي لفظ أرضعيه تحرمي عليه) (1) فكان بمنزلة ولدها من الرضاع (زاد في رواية) فأرضعته خمس رضعات فكان بمنزلة ولدها من الرضاعة فبذلك كانت عائشة تأمر أخواتها (2) وبنات أخواتها أن يرضعن من أحبت عائشة أن يراها ويدخل عليها وان كان كبيرا خمس رضعات ثم يدخل عليها، وأبت أم سلمة وسائر أزواج النبي صلى الله عليه وسلم أن يدخلن عليهن بتلك الرضاعة أحدا من الناس حتى يرضع في المهد (3) وقلن لعائشة والله ما ندري لعلها كانت رخصة من رسول الله صلى الله عليه وسلم لسالم من دون الناس
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কতবার দুধ পান করলে বিয়ে করা হারাম হবে। আর সাবালকের দুধ পান প্রসঙ্গ।
১২০। উরওয়া ইবন যুবায়র (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সাহলা বিনতে সুহাইল (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালিম (রা)-এর সাথে আমাদের কি সম্পর্ক ছিল আপনি অবগত আছেন। আমরা তাকে ছেলে বলে ডাকতাম। সে আমার নিকট ইচ্ছামত প্রবেশ করত। আর আমরা তার থেকে সঙ্কোচ বোধ করতাম না। তার এবং তার মতদের সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে সে আমার নিকট প্রবেশ করলে আমি আবূ হুযায়ফা (রা)-এর চেহারায় অপছন্দ ভাব লক্ষ্য করি। তিনি বললেন, তুমি তাকে দশবার দুধ পান করাও। অতঃপর সে তোমার নিকট যেরূপ ইচ্ছা প্রবেশ করবে। কেননা সে তোমার পুত্র হয়ে যাবে। আয়েশা (রা) মনে করতেন এটা, মুসলিম সাধারনের সকলের জন্য প্রযোজ্য। আর নবী (ﷺ)-এর অন্যান্য স্ত্রীগণ (রা) মনে করতেন এটা শুধুমাত্র আবূ হুযায়ফা (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম সালিম (রা) এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল, যার বিষয়ে সাহলা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অবহিত করেন।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, বায়হাকী, আব্দুর রাজ্জাক)
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, বায়হাকী, আব্দুর রাজ্জাক)
كتاب النكاح
باب عد الرضعات المحرمة - وما جاء في رضاعة الكبير
وعنه أيضا (4) عن عائشة رضى الله عنها قالت أتت سهلة بنت سهيل رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت له يا رسول الله ان سالما كان منا حيث قد علمت أنا كنا نعده ولدا فكان يدخل علىّ كيف شاء ولا نحتشم منه، فلما أنزل فيه وفى اشباهه ما أنزل (5) أنكرت وجه ابى حذيفة اذا رآه يدخل علىّ (6) قال فأرضعيه عشر رضعات (7) ثم ليدخل علي كيف شاء فإنما هو ابنك، فكانت عائشة تراه عاما للمسلمين، وكان من سواها من أزواج النبي صلى الله عليه وسلم يرى انها كانت خاصة لسالم مولى ابي حذيفة الذي ذكرت سهلة من شأنه رخصة له
তাহকীক: