মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২৮৭ টি

হাদীস নং: ৬১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মেয়েদের বিয়েতে তাদের মায়ের অনুমতি গ্রহণ
৬১। ইবরাহীম ইবন সালিহ (র) থেকে বর্ণিত, সালিহ (রা) নুয়াঈম ইবন নাহহাম নামে পরিচিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নাম সালিহ রাখেন। তিনি তাঁর ছেলে ইবরাহীম (র)-কে অবহিত করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) উমর ইবন খাত্তাব (রা)-কে বললেন, আপনি আমার জন্য সালিহ (রা)- এর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিন। তিনি বললেন, তাঁর কয়েকজন এতীম আছে, তিনি তাদের উপর আমাদেরকে অগ্রাধিকার দিবেন না। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ (রা) তাঁর চাচা যাঈদ ইবন খাত্তাব (রা)-এর কাছে গেলেন, যেন তিনি তাঁর জন্য সালিহ (রা)-এর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেন। যাঈদ (রা) সালিহ (রা)-এর কাছে গিয়ে বললেন, আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) আমাকে আপনার কাছে আপনার মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি বললেন, আমার কয়েকজন এতীম আছে। আমি আমার নিকটতাত্মীয় এতীমদেরকে অপমানিত করে আপনাদেরকে সম্মানিত করতে পারি না। আমি আপনাদেরকে সাক্ষ্য বানাচ্ছি যে, আমি তাকে (আমার মেয়েকে) আমার অমুক এতীমের সাথে বিয়ে দিয়েছি। অন্যদিকে তার মায়ের আগ্রহ ছিল আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর দিকে। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর নবী (ﷺ), আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। আর তার পিতা তার অনুমতি ছাড়াই তার ক্রোড়ে প্রতিপালিত এতীমের কাছে বিয়ে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালিহ (রা)-এর কাছে লোক পাঠালেন। তিনি তাঁর কাছে উপস্থিত হলে তাঁকে বললেন, তুমি তোমার মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিয়েছ? তিনি বললেন, হাঁ। তিনি বললেন, তোমরা মহিলাদের বিয়ের ব্যাপারে তাদের সাথে পরামর্শ করবে। তাঁর মেয়ে কুমারী ছিল। সালিহ (রা) বললেন, আমি তাকে আমার ক্রোড়ে পালিত একজন এতীমের সাথে বিয়ে দিয়েছি ইবন উমর (রা)-এর প্রস্তাবিত মহরানার বিনিময়েই। কেননা আমার মালে এতীমটির প্রাপ্যও সেই পরিমাণ।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি এভাবে পাইনি। হাদীসটির সনদ দূর্বল।)
كتاب النكاح
باب استئمار النساء فى بناتهن
حدّثنا يونس بن محمد ثنا ليث عن يزيد بن أبى حبيب (عن ابراهيم بن صالح) (4) واسمه الذى يعرف به نعيم بن النحام وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم سماه صالحا (5) أخبره ان عبد الله بن عمر قال لعمر ابن الخطاب اخطب على ابنة صالح، فقال ان له يتامى ولم يكن ليؤثرنا عليهم، قال فانطلق عبد الله إلى عمه زيد بن الخطاب ليخطب فانطلق زيد إلى صالح فقال ان عبد الله بن عمر أرسلنى إليك يخطب ابنتك فقال لى يتامى ولم أكن لأترب (6) لحمى وأرفع لحمكم أشهدكم أنى قد أنكحتها فلانا (7) وكان هوى أمها الى عبد الله بن عمر فأتت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يا نبي الله خطب عبد الله بن عمر ابنتى فأنكحها أبوها يتيما فى حجره ولم يؤامرها فأرسل رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى صالح فقال أنكحت ابنتك ولم تؤامرها؟ فقال نعم، فقال اشيروا (1) على النساء فى أنفسهن وهى بكر فقال صالح فانما فعلت هذا لما يصدقها ابن عمر (2) فان له فى مالى مثل ما أعطاها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মেয়েদের বিয়েতে তাদের মায়ের অনুমতি গ্রহণ
৬২। ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর নিকটাত্মীয়ের কাছে তার মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, মেয়ের মায়ের আগ্রহ ইবন উমর (রা)-এর দিকে ছিল। আর তাঁর পিতার আগ্রহ ছিল তার প্রতিপালনাধীন একজন এতীমের দিকে। তিনি বলেন, তার পিতা তার ঐ এতীমের কাছে তাকে বিয়ে দিল। মেয়েটির মা এসে নবী (ﷺ)-কে তা অবহিত করলেন। নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে তাদের মেয়েদের বিয়ের বিষয়ে পরামর্শ করবে।
(আবু দাউদ হাদীসটি থেকে শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথার অংশ বর্ণনা করেছেন। মুনযিরী বলেছেন, হাদীসটির সনদে একজন অজ্ঞাত বর্ণনাকারী আছেন, অর্থাৎ ইসমাইল ইবন উমাইয়্যা যার থেকে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب استئمار النساء فى بناتهن
عن ابن عمر (3) أنه خطب الى نسيب له (4) ابنته قال فكان هوى أم المرأة فى ابن عمر، وكان هوى أبيها فى يتيم له قال فزوجها الأب يتيمه ذلك فجاءت (5) الى النبى صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فقال النبى صلى الله عليه وسلم آمروا (6) النساء فى بناتهن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : পিতা কর্তৃক তার অকুমারী বা কুমারী বালেগা মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া বিয়ে দেয়া।
৬৩। আবু লুবাবা ইবন আব্দুল মুনযির আনসারী (রা)-এর পৌত্র হাজ্জাজ ইব্‌ন সাইব থেকে বর্ণিত তাঁর দাদী উম্মু সায়িব খুনাস বিনতে খিযাম ইবন খালিদ হযরত (রা) আবু লুবাবা (রা)-এর পূর্বে জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে তিনি বিধবা হন। তাঁর পিতা তাঁকে খাযরাজ বংশের শাখা আমর ইবন আউফ গোত্রীয় খিযাম ইবন খালিদ (রা) নামের জনৈক ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন এবং তিনি আবূ লুবাবা (রা)-কে বিয়ে করতে আগ্রহী ছিলেন। তাঁর পিতা তার মত অগ্রাহ্য করলেন এবং আউফ গোত্রীয়কে গ্রহণ করে নেওয়ার জন্য তাকে বাধ্য করলেন। শেষে বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে পেশ করা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে তার বিয়ের বিষয় অধিকতর হকদার। তাই তুমি তার ইচ্ছানুযায়ী তাঁকে বিয়ে দাও। সুতরাং 'আওফীর সংগে তার বিবাহ বাতিল করা হল। অতঃপর আবু লুবাবা (রা)-কে বিয়ে করলেন, যার ঔরসে তিনি সায়িব ইবন আবু লুবাবা (রা)-এর জন্ম দিলেন।
(বায়হাকী আহমদের মতে ইবন ইসহাকের বর্ণনাসূত্রে হাদীসটি মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ উত্তম। বুখারী, আহমদ এবং অন্যরা হাদীসটিকে একাধিক বর্ণনা সূত্রে মুসনাদ হাদীসরূপে বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী হাদীসটি তার একটি।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى تزويح الاب بنته الثيب أو البكر البالغ بغير رضاها
عن حجاج بن السائب (7) ابن أبى لبابة بن عبد المنذر الانصارى أن جدته أم السائب خناس (8) بنت خذام بن خالد كانت عند رجل قبل أبى لبابة تأيّمت منه فزوّجها أبوها خذام بن خالد رجلا من بنى عمرو بن عوف بن الخزرج فأبت الا أن تحط الى أبى لبابة (9) وأبى أبوها الا أن يلزمها العوفى حتى ارتفع أمرها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم، هى أولى بأمرها فألحقها بهواها، قال فانتزعت من العوفى (10) وتزوجت أبا لبابة فولدت له أبا السائب بن أبي لبابة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : পিতা কর্তৃক তার অকুমারী বা কুমারী বালেগা মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া বিয়ে দেয়া।
৬৪। খুনাসা ইবন খিযাম (রা) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁকে তাঁর অপছন্দে বিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন অকুমারী। নবী (ﷺ) তাঁর পিতার বিয়েকে বাতিল করেন।
(বুখারী, মালিক, শাফিয়ী, বায়হাকী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى تزويح الاب بنته الثيب أو البكر البالغ بغير رضاها
عن عبد الرحمن ومجمع (1) ابني يزيد بن جارية عن خنساء بنت خذام أن أباها زوجها وهي كارهة وكانت ثيباً فرد النبي صلى الله عليه وسلم نكاحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : পিতা কর্তৃক তার অকুমারী বা কুমারী বালেগা মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া বিয়ে দেয়া।
৬৫। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, খিযাম আবূ ওয়াদীয়া (রা) তাঁর মেয়েকে জনৈক ব্যক্তির কাছে বিয়ে দেন। মেয়েটি নবী (ﷺ) -এর কাছে এসে অভিযোগ করল যে তাকে তার অপছন্দে বিয়ে দেয়া হয়েছে। নবী (ﷺ) তাকে তার স্বামী থেকে জোর পূর্বক নিয়ে নিলেন, আর বললেন, তোমরা মেয়েদেরকে বিয়েতে বাধ্য করবে না। তিনি বলেন, সে তারপর আবু লুবাবা আনসারী (রা) কে বিয়ে করল। আর তিনি বিপত্মীক ছিলেন।
(তাবারানী আল-মুজামুলকাবীর; আব্দুর রাজ্জাক। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদ উত্তম। আর হাদীসটি মুরসাল কেননা দারা কুতনী বলেছেন, এর বর্ণনাকারী আতা খুরাসানী হযরত আব্বাস (রা)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেননি। তবে এর পূর্ববর্তী হাদীস একে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى تزويح الاب بنته الثيب أو البكر البالغ بغير رضاها
عن ابن عباس (2) أن خذاما أب وديعة (3) أنكح ابنته رجلاً فأتت النبي صلى الله عليه وسلم فاشتكت إليه أنها أنكحت وهي كارهة، فانتزعها النبي صلى الله عليه وسلم من زوجها وقال لا تكرهوهن، قال فنكحت بعد ذلك أبا لبابة الأنصاري وكان ثيباً
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : পিতা কর্তৃক তার অকুমারী বা কুমারী বালেগা মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া বিয়ে দেয়া।
৬৬। ইবন 'আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত, জনৈক কুমারী মেয়ে নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে জানাল যে, তার পিতা তাকে তার অমতে বিয়ে দিয়েছে, তিনি তাকে বিয়ে বজায় রাখার এবং তা বাতিল করার ইচ্ছাধিকার দিলেন।
(আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, দারা কুতনী। হাফিয ইবন হাজার বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। নাসাঈ জাবির (রা) এবং আয়েশা (রা) থেকে এর সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী পরিচ্ছেদে হযরত আয়েশা (রা)-এর হাদীস উল্লেখ করা হবে।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى تزويح الاب بنته الثيب أو البكر البالغ بغير رضاها
وعنه أيضاً (4) أن جارية بكراً أتت النبي صلى الله عليه وسلم فذكرت أن أباها زوجها وهي كارهة فخيرها النبي صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ছেলে কর্তৃক মাকে বিয়ে দেয়া।
৬৭। উমর ইবন আবূ সালামা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমার কোন অভিভাবক মদীনায় উপস্থিত নেই। তিনি বললেন, তোমার কোন উপস্থিত এবং অনুপস্থিত অভিভাবক এটা অপছন্দ করবে না। তিনি (পুত্র উমরকে) বললেন, হে উমর, তুমি নবী (ﷺ)-এর সংগে আমার বিবাহ সম্পন্ন কর। এভাবে নবী (ﷺ) তাঁকে বিয়ে করলেন।
(নাসাঈ, বায়হাকী। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, এ হাদীসের সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في انكاح الابن أمه
عن ابن عمر بن أبي سلمة (5) عن أبيه عن أم سلمة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب أم سلمة فقالت يا رسول الله أنه ليس من أوليائي تعني شاهداً (6) فقال أنه ليس أحد من أوليائك شاهد ولا غائب يكره ذلك، فقال يا عمر زوج النبي صلى الله عليه وسلم فتزوجها النبي صلى الله عليه وسلم الحديث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর কুফু (সমকক্ষতা) প্রসঙ্গ
৬৮। আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হে আলী, তুমি তিনটি বস্তু বিলম্বিত করবে না। নামায, যখন তার সময় হয়; জানাযা, যখন তা উপস্থিত হয় এবং বালেগা মেয়ে (এর বিবাহ) যখন তার সমকক্ষ পাও।
(হাদীসটি জানাযার পর্বে 'মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফন দ্রুত সম্পন্ন করন' শীর্ষক পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হয়েছে।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الكفاءة في النكاح
عن علي رضي الله عنه (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثة يا علي لا تؤخرهن، الصلاة إذا آذنت، والجنازة إذا حضرت، والأيم إذا وجدت كفؤا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর কুফু (সমকক্ষতা) প্রসঙ্গ
৬৯। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈকা যুবতী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার পিতা তাঁর ভাতিজার কাছে আমাকে বিয়ে দিয়েছেন যা দ্বারা তিনি তার নীচতা দূরিভূত করতে চেয়েছেন। তিনি তাকে তার বিয়ে বজায় রাখা এবং বাতিল করার ইচ্ছাধিকার দিলেন। সে বলল, আমি আমার পিতার কাজকে অনুমোদন করছি, তবে আমি চেয়েছি: মহিলারা অবগত হউক যে তাদের বিয়ের বিষয়ে তাদের পিতাদের কোন অধিকার নেই।
(নাসাঈ, বায়হাকী, দারা কুতনী। দারা কুতনী বলেছেন, হাদিসটি মুরসাল। ইবন বুরায়দা আয়েশা (রা) থেকে হাদীসটি শুনেননি। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটি সুনানে ইবন মাজায় আব্দুল্লাহ ইবন বুরায়দার সূত্রে উদ্ধৃত হয়েছে যা তিনি তাঁর পিতা বুরায়দাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তার সনদ সহীহ। বুছিরী যাওয়াইদে ইবন মাজায় এর সনদকে সহীহ বলেছেন। আর ৬৩-৬৬ নম্বরের হাদীস একে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الكفاءة في النكاح
عن عائشة رضي الله عنه (2) قالت جاءت فتاة إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله أن أبي زوجني أبن أخيه يرفع بي خسيسته (3) فجعل الأمر إليها (4)، فقالت فأني قد أجرت ما صنع أبي ولكن أردت أن تعلم النساء أن ليس للأباء من الأمر شيء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর কুফু (সমকক্ষতা) প্রসঙ্গ
৭০। বুরায়দা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুনিয়াদারদের কাছে মর্যাদার চাবিকাঠি হল এই মাল।
(নাসাঈ, ইবন হিব্বান, বায়হাকী, হাকিম। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন। ইবন হিব্বানও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الكفاءة في النكاح
عن عبد الله بن بريدة (5) عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن أحساب (1) أهل الدنيا الذين (2) يذهبون إليه هذا المال
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর কুফু (সমকক্ষতা) প্রসঙ্গ
৭১। সামুরা ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ধন-সম্পদের কারণে ব্যক্তি মানুষের কাছে মর্যাদাবান হয়। আর সে তাকওয়ার কারণে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান হয়।
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী, দারা কুতনী, তিরমিযী এবং হাকিম। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আর যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الكفاءة في النكاح
عن سمرة بن جندب (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحسب المال (4)، والكرم التقوى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর কুফু (সমকক্ষতা) প্রসঙ্গ
৭২। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বারীরা (রা) জনৈক ক্রীতদাসের স্ত্রী ছিল। তাকে আযাদ করা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে তার বিয়ে বজায় রাখার এবং তা বাতিল করার ইচ্ছাধিকার দিলেন। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে: যখন সে আযাদ হল তখন তাকে তার বিয়ে বজায় রাখার এবং তা বাতিল করার ইচ্ছাধিকার দেয়া হল।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, দারা কুতনী, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الكفاءة في النكاح
عن عائشة رضي الله عنها (5) قالت كانت بريرة عند عبد فعتقت فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرها بيدها (6) (وفي لفظ) فلما أعتقت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে খুতবা পড়া মুস্তাহাব।
৭৩। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে প্রয়োজন এর খুতবা শিক্ষা দিয়েছেন:
الْحَمْدُ لِلَّهِ ، نَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ، فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ .
"সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি। আমরা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা আমাদের আত্মার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত করেন তাকে কেউ গোমরাহ করতে পারে না। আর তিনি যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ হেদায়েত করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা এবং রাসূল।
অত:পর প্রয়োজন প্রার্থনাকারী তিনটি আয়াত পড়বে :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ .
হে মু'মিনগণ! তোমরা ভয় কর আল্লাহকে যথার্থরূপে। আর তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান: ১০২)
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا.
"হে মানুষ ভয় কর তোমাদের রাবকে, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে এবং সে ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে আর ছড়িয়ে দিয়েছেন তাদের দু'জন থেকে বহু নর-নারী। ভয় করবে আল্লাহকে, যাঁর নামে তোমরা পরস্পরে যাচনা কর এবং সতর্ক থাকবে রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। (সূরা নিসা: ১)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا .
"হে মুমিনগণ। তোমরা ভয় কর আল্লাহকে এবং বল সঠিক কথা। তাহলে তিনি সংশোধন করে দেবেন তোমাদের জন্য তোমাদের কার্যাবলী এবং মার্জনা করবেন তোমাদের গুনাহগুলি। যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে অবশ্যই তারা লাভ করবে মহা সাফল্য। (সূরা আহযাব: ৭০)
অতঃপর তুমি তোমার প্রয়োজন উল্লেখ করবে।
(আর দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে দু'টি খুতবা শিক্ষা দিলেন: প্রয়োজনীয় বিষয় প্রার্থনার খুতবা এবং নামাযের খুতবা। الْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُةُ "সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি। অতঃপর উপরোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, হাকিম, বায়হাকী। হাফিয ইবন হাজার "ফাতহুল বারীতে" বলেছেন, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। আর আবূ আউয়ানা ও ইবন হিব্বান হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب استحباب الخطبة للنكاح
عن عبد الله (1) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال علمنا خطبة الحاجة، الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبي بعده وبعد نستعينه ونستغفره (2) ونعوذ بالله من شرور أنفسنا، من يهده الله فلا مضل له، ومن يضلل فلا هادي له، أشهد أن لا إله إلا الله، وأشهد أن محمد عبده ورسوله (3) ثم يقرأ ثلاث آيات يا أيها الذين آمنوا اتقوا الله حق تقاته ولا تموتن إلا وانتم مسلمون، يا أيها الناس اتقوا ربكم الذي خلقكم من نفس واحدة وخلق منها زوجها وبث منهما رجلاً كثيراً ونساء، واتقوا الذي الذي تساءلون به والأرحام إن الله كان عليكم رقيباً، يا أيها الذين آمنوا اتقوا الله وقولوا قولاً سديداً يصلح لكم أعمالكم ويغفر لكم ذنوبكم ومن يطع الله ورسوله فقد فاز فوزاً عظيما، ثم تذكر حاجتك (4) (ومن طريق ثان) (8) قال علمنا رسول الله صلى الله عليه وسلم خطبتين خطبة الحاجة وخطبة الصلاة (6) الحمد لله أو إن الحمد لله نستيعنه فذكر معناه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে খুতবা পড়া মুস্তাহাব।
৭৪। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) জনৈক ব্যক্তির সাথে কোন বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বললেন,
الْحَمْدُ لِلَّهِ، نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا، مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ، فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
"সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা তাঁর প্রশংসা করি। আর আমরা তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না। আর তিনি যাকে গোমরাহ করেন কেউ তাকে হেদায়েত করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।"
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি পাইনি। এর সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب استحباب الخطبة للنكاح
وعن ابن عباس (8) أن النبي صلى الله عليه وسلم كلم رجلاً في شيء فقال الحمد لله نحمده ونستعينه من يهده الله فلا مضل له. ومن يضلل فلا هادي له وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمد عبده ورسوله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে খুতবা পড়া মুস্তাহাব।
৭৫। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে সকল খুতবায় (আল্লাহর একত্ববাদের এবং মুহাম্মদ তাঁর রাসূল হওয়ার) সাক্ষ্য নেই তা কাটা হাতের মত।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী। তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান গরীব।)
كتاب النكاح
باب استحباب الخطبة للنكاح
عن أبي هريرة (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الخطبة التي (وفي لفظ كل خطبة) ليس فيها شهادة (2) كاليد الجذماء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে খুতবা পড়া মুস্তাহাব।
৭৬। আর এ হাদীসটিও তাঁর থেকে বর্ণিত, কোন সাহাবী (রা) বিবাহ করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জন্য দু'আ করতেন :
بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করুন, তিনি তোমার জন্য কল্যাণকে অব্যাহত রাখুন, আর তোমাদেরকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ রাখুন।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, হাকিম। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।)
كتاب النكاح
باب استحباب الخطبة للنكاح
وعنه أيضاً (4) أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا رفأ (5) الإنسان إذا تزوج قال بارك الله وبارك عليك وجمع بينكما في خير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়েতে খুতবা পড়া মুস্তাহাব।
৭৭। আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন আকীল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আকীল ইবন আবূ তালিব (রা) বিয়ে করলেন। এরপর তিনি আমাদের কাছে বের হলেন। আমরা বললাম, আপনি সুখে থাকুন এবং বহু পুত্রের অধিকারী হোন। তিনি বললেন, তোমরা থাম, তোমরা এরূপ বলবে না, কেননা নবী (ﷺ) আমাদেরকে এটা বলতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি বলেছেন, তোমরা বলবে:
بَارَكَ اللهُ فِيكَ ، وَبَارَكَ لَكَ فِيهَا .
"আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করুন, এবং তোমার জন্য তার ভেতর কল্যাণ নিহিত রাখুন"।
(আর দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে হাসান (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আকীল ইবন আবু তালিব (রা) জুশাম বংশের জনৈকা মহিলাকে বিয়ে করেন। লোকজন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে বলল, আপনি সুখে থাকুন এবং বহু পুত্রের অধিকারী হোন। তিনি বললেন, তোমরা এরূপ বলবে না। তারা বলল, তাহলে আমরা কি বলব হে আবূ ইয়াযীদ? তিনি বললেন, তোমরা বলবে:
بَارَكَ اللهُ لَكُمْ وَبَارَكَ عَلَيْكُمْ
"আল্লাহ তোমাদেরকে কল্যাণ দান করুন এবং তোমাদের জন্য কল্যাণকে অব্যাহত রাখুন।"
আমরা এরূপ বলার আদেশ প্রাপ্ত হতাম।
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী, দারিমী, আবূ ইয়ালা, তাবারানী আল মু'জামুল কাবীরে। হাফিয ইবন হাযার বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, তবে বলা হয় যে, হাসান (র) আকীল (রা) থেকে হাদীস শুনেননি।)
كتاب النكاح
باب استحباب الخطبة للنكاح
عن عبد الله بن محمد بن عقيل (6) قال تزوج عقيل ابن أبي طالب فخرج علينا فقلنا بالرفاء والبنين (7) فقال مه (8) لا تقولوا ذلك، فإن النبي صلى الله عليه وسلم قد نهانا عن ذلك، وقال قولوا بارك الله فيك وبارك لك فيها (ومن طريق ثان) (9) عن الحسن أن عقيل بن أبي طالب تزوج امرأة من بني جشم فدخل عليه القوم فقالوا بالرفاء والبنين، فقال لا تفعلوا ذلك، قالوا فما نقول يا أبا يزيد؟ (10) قال قالوا بارك الله لكم وبارك عليكم إنا كذلك كنا نؤمر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়ের শর্ত সমূহ এবং তাতে যে শর্ত করা হারাম।
৭৮। উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, পূরণ করার অধিকতর হকদার শর্ত বিয়ের শর্ত (অর্থাৎ মোহরানা, ভরণ-পোষণ)।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب الشروط في النكاح وما نهى عنه منها
عن عقبة بن عامر (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أن أحق الشروط أن يوفى به ما استحللتم به الفروج
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়ের শর্ত সমূহ এবং তাতে যে শর্ত করা হারাম।
৭৯। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন মহিলা তার বিয়েতে তার বোনকে তালাক দেয়ার শর্ত করবে না।
আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন মহিলাকে অন্যজনকে তালাক দেয়ার শর্তে বিয়ে করা হারাম।
(ক) হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ, যা ক্রয়-বিক্রয় এবং উপার্জনের পর্বে 'শহরের বাহিরে ব্যবসায়ীদের কাফেলার সাথে সাক্ষাৎ করা' শীর্ষক পরিচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে।
(খ) আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি পাইনি। আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) এর হাদীসটি হাসান। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত পূর্ববর্তী হাদীসটি এ হাদীসটিকে শক্তিশালী করে। হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ, যা ভীতি প্রদর্শনের পরিচ্ছেদসমূহের অষ্টম পরিচ্ছেদে বর্ণিত হবে।
كتاب النكاح
باب الشروط في النكاح وما نهى عنه منها
عن أبي هريرة (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تشترط امرأة طلاق أختها
عن عبد الله بن عمرو (4) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يحل (5) أن تنكح المرأة بطلاق أخرى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: বিয়ের শর্ত সমূহ এবং তাতে যে শর্ত করা হারাম।
৮০। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে সকল শর্ত আল্লাহর কুরআনে নেই তা রহিত, যদিও তারা একশত বার শর্ত করে।
(বুখারী, মুসলিম এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب الشروط في النكاح وما نهى عنه منها
عن عائشة رضي الله عنها (6) قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل شرط ليس في كتاب الله عز وجل (7) فهو مردود (8) وإن اشترطوا مائة مرة
tahqiq

তাহকীক: