মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২৮৭ টি
হাদীস নং: ২১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া পছন্দনীয় তার বিবরণ।
২১। আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা অধিক সন্তান জন্ম দানকারী মহিলাকে বিয়ে করবে, কেননা আমি কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের সংখ্যাধিক্য নিয়ে পূর্ববর্তী উম্মাতদের সাথে গর্ব করব।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। এর সনদ উত্তম।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। এর সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
باب صفة المرأة التى تستحب خطبتها
عن عبد الله بن عمرو (1) بن العاص أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أنكحوا امهات الأولاد (2) فانى أباهى بهم يوم القيامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া পছন্দনীয় তার বিবরণ।
২২। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিয়ে করতে আদেশ করতেন, আর কঠোরতার সাথে বিয়ে বর্জন করতে নিষেধ করতেন। আর বলতেন: তোমরা প্রেমময়ী অধিক সন্তান জন্মদান কারিনী মহিলাদেরকে বিয়ে করবে, কেননা আমি কেয়ামতের দিন তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে নবী (ﷺ)গণ (আ)-এর সাথে গর্ব করব।
(তাবারানী, আল মু'জামুল আউসাত; ইবন হিব্বান আস-সহীহ। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সনদ হাসান।)
আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন নারী উত্তম? তিনি বললেন, যে স্বামীকে খুশি করে যখন সে তার দিকে তাকায়। আর তার আনুগত্য করে যখন সে তাকে আদেশ করে। আর যে তার নিজ সত্তায়ও স্বামীর মালে তার অপছন্দনীয় কোন কাজ করে না।
(নাসাঈ, হাকিম। তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
(তাবারানী, আল মু'জামুল আউসাত; ইবন হিব্বান আস-সহীহ। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, আহমদ এবং তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সনদ হাসান।)
আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন নারী উত্তম? তিনি বললেন, যে স্বামীকে খুশি করে যখন সে তার দিকে তাকায়। আর তার আনুগত্য করে যখন সে তাকে আদেশ করে। আর যে তার নিজ সত্তায়ও স্বামীর মালে তার অপছন্দনীয় কোন কাজ করে না।
(নাসাঈ, হাকিম। তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب صفة المرأة التى تستحب خطبتها
عن أنس بن مالك (4) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمر بالباءة (5) وينهى عن التبتل نهيا شديدا ويقول تزوجوا الودود (6) الولود فانى مكاثر بكم الانبياء يوم القيامة (عن أبى هريرة) (7) سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم أى النساء خير؟ قال التى تسره اذا نظر وتطيعه اذا أمر ولا تخالفه (8) فيما يكره فى نفسها وماله
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া পছন্দনীয় তার বিবরণ।
২৩। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন নারীর জন্য কল্যাণ ও বরকতের বিষয় হলো তার বিয়ের প্রস্তাব সহজ হওয়া, তার মহরানা কম হওয়া এবং তার গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসব সহজ হওয়া।
(হাকিম, বায়হাকী। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
(হাকিম, বায়হাকী। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب صفة المرأة التى تستحب خطبتها
عن عائشة رضى الله عنها (9) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من يمن (10) المرأة تيسير خطبتها (11) وتيسير صداقها (12) وتيسير رحمها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া পছন্দনীয় তার বিবরণ।
২৪। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) উম্মে সুলাইম (রা)-কে জনৈকা যুবতীকে দেখার জন্য পাঠালেন, আর বললেন, তুমি তার গোড়ালির উপরিভাগ দেখবে।
(তাবারানী আল মু'জামুল কাবীরে, হাকিম, বায়হাকী। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তার কথা সমর্থন করেছেন।)
(তাবারানী আল মু'জামুল কাবীরে, হাকিম, বায়হাকী। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তার কথা সমর্থন করেছেন।)
كتاب النكاح
باب صفة المرأة التى تستحب خطبتها
عن أنس ابن مالك (14) أن النبى صلى الله عليه وسلم أرسل أم سليم تنظر الى جارية فقال شمى عوارضها (15) وانظري إلى عرقوبها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : অবিবাহিত যুবককে কুমারী মেয়ে বিয়ে করতে উৎসাহ দান তবে বিশেষ কোন কারণে অকুমারীকে বিয়ে করলে ভিন্ন কথা।
২৫। জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে জাবির, তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, তুমি কি অকুমারীকে বিয়ে করেছ না কুমারীকে? আমি তাঁকে বললাম, আমি অকুমারীকে বিয়ে করেছি। তিনি বললেন, তুমি কেন কুমারীকে বিয়ে করনি? আমি তাঁকে বললাম, আমার পিতা আপনার সাথে যুদ্ধে গিয়ে উহুদের দিন শহীদ হয়েছেন। তিনি কিশোরী মেয়েদেরকে রেখে গিয়েছেন। আমি তাদের মত কিশোরীকে তাদের সাথে যুক্ত করতে অপছন্দ করেছি। তাই অকুমারীকে বিয়ে করেছি সে তাদের মাথার উকুন মারবে, আর তাদের কারোর জামা ছিড়ে গেলে তা সেলাই করবে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি উত্তম বিবেচনা করেছ।
(তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তুমি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, কুমারী নাকি অকুমারী? আমি বললাম, অকুমারী। তিনি বললেন, তুমি কেন কুমারী বিয়ে করনি, তুমি তাদের আদর সোহাগ করতে আর সে তোমাকে আদর সোহাগ করত? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমার পিতা উহুদের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন আর সাতটি মেয়ে রেখে গিয়েছেন। আমি তাদের মত অপটু মেয়েকে তাদের সাথে যুক্ত করতে অপছন্দ করেছি, তাই একজন বয়স্কা মহিলাকে বিয়ে করেছি, যে তাদের চুল আচড়াবে, আর তত্ত্বাবধান করবে। তিনি বললেন, তুমি সঠিক কাজ করেছ।
(তাঁর থেকে তৃতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আর তাতে আছে) তিনি বললেন, তোমাদের আনমাত (পশমের ন্যায় আঁশযুক্ত পাতলা কাপড়ের বিছানা) আছে? আমি বললাম, হে আল্লাহ রাসূল, আমি দরিদ্র, কিরূপে আমার তা থাকবে? তিনি বললেন, তুমি এখন দরিদ্র, অচিরেই আল্লাহ তোমাকে সম্পদশালী করবেন, আর তোমাদের আনমাত হবে। আজ আমি আমার স্ত্রীকে বলি: তুমি আমার থেকে তোমার আনমাত সরাও। আর সে বলে, হাঁ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেননি, অচিরেই তোমাদের আনমাত হবে। তাই আমি কিরূপে এর ব্যবহার ত্যাগ করব?
(বুখারী, মুসলিম, তাহাবী শরহে মা'আনীল আছারে।)
(বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
জাবির (রা)-এর উটের ঘটনায় বর্ণিত এ হাদীসের অনেক বর্ণনা সূত্র আছে যা সাহাবীগণ (রা)-এর কৃতিত্বের পর্বে “জাবির (রা)-এর কৃতিত্ব” শীর্ষক পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হবে।
(তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তুমি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, কুমারী নাকি অকুমারী? আমি বললাম, অকুমারী। তিনি বললেন, তুমি কেন কুমারী বিয়ে করনি, তুমি তাদের আদর সোহাগ করতে আর সে তোমাকে আদর সোহাগ করত? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমার পিতা উহুদের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন আর সাতটি মেয়ে রেখে গিয়েছেন। আমি তাদের মত অপটু মেয়েকে তাদের সাথে যুক্ত করতে অপছন্দ করেছি, তাই একজন বয়স্কা মহিলাকে বিয়ে করেছি, যে তাদের চুল আচড়াবে, আর তত্ত্বাবধান করবে। তিনি বললেন, তুমি সঠিক কাজ করেছ।
(তাঁর থেকে তৃতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আর তাতে আছে) তিনি বললেন, তোমাদের আনমাত (পশমের ন্যায় আঁশযুক্ত পাতলা কাপড়ের বিছানা) আছে? আমি বললাম, হে আল্লাহ রাসূল, আমি দরিদ্র, কিরূপে আমার তা থাকবে? তিনি বললেন, তুমি এখন দরিদ্র, অচিরেই আল্লাহ তোমাকে সম্পদশালী করবেন, আর তোমাদের আনমাত হবে। আজ আমি আমার স্ত্রীকে বলি: তুমি আমার থেকে তোমার আনমাত সরাও। আর সে বলে, হাঁ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেননি, অচিরেই তোমাদের আনমাত হবে। তাই আমি কিরূপে এর ব্যবহার ত্যাগ করব?
(বুখারী, মুসলিম, তাহাবী শরহে মা'আনীল আছারে।)
(বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
জাবির (রা)-এর উটের ঘটনায় বর্ণিত এ হাদীসের অনেক বর্ণনা সূত্র আছে যা সাহাবীগণ (রা)-এর কৃতিত্বের পর্বে “জাবির (রা)-এর কৃতিত্ব” শীর্ষক পরিচ্ছেদে উদ্ধৃত হবে।
كتاب النكاح
باب الترغيب فى التزوج بالابكار من النساء الا لمصلحة فى الثيب
عن جابر بن عبد الله (2) قال قال لى رسول الله يا جابر ألك امرأة؟ قال قلت نعم، قال أثيبا نكحت أم بكرا؟ قال قلت له تزوجتها وهى ثيب قال فقال لى فهلا (3) تزوجتها جويرية؟ قال قلت له قتل أبى معك يوم كذا وكذا (4) وترك جوارى فكرهت أن أضم اليهن جارية كاحداهن فتزوجت ثيبا تقصع (5) قملة احداهن، وتخيط درع احداهن (6) اذا تخرق، قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فانك نعم ما رأيت (وعنه من طريق ثان) (7) قال قال لى رسول الله صلى الله عليه وسلم هل نكحت؟ قلت نعم، قال أبكرا أم ثيبا؟ قلت ثيبا، قال فهلا بكرا تلاعبها وتلاعبك (8)؟ قلت يا رسول الله قتل أبي يوم أحد وترك سبع بنات وكرهت أن أجمع إليهن خرقاء (1) مثلهن ولكن امرأة تمشطهن (2) وتقيم عليهن، قال أصبت (3) (وعنه من طريق ثالث (4) بنحوه وفيه) قال لكم أنماط؟ (5) قلت يا رسول الله وأنى (6) فقال خف (7) أما إنها ستكون لكم أنماط، فأنا اليوم أقول لامرأتى نحى عن أنماطك (8) فتقول نعم ألم يقل رسول الله صلى الله عليه وسلم إنها ستكون لكم أنماط فأتركها؟
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ধার্মিক এবং সৎচরিত্রের কাছে কন্যা দানে উৎসাহিতকরণ যদিও দরিদ্র ও কুৎসিৎ হয়।
২৬। আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) জনৈকা আনসারী মহিলার পিতার কাছে তাকে জুলায়বীব (রা)-এর সাথে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিলেন। সে বলল, আমি তার মার সাথে পরামর্শ করে আপনার প্রস্তাবের জওয়াব দিব। নবী (ﷺ) বললেন, তা উত্তম। লোকটি তার স্ত্রীর কাছে গেল, আর তাকে তা জানাল। সে বলল, না আল্লাহর শপথ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার জন্য জুলায়বীব ছাড়া অন্য কাউকে পেলেন না। অথচ আমরা তাকে অমুক এবং অমুকের সাথে বিয়ে দিতে রাজী হইনি। তিনি বলল, মেয়েটি পর্দার আড়াল থেকে তাদের কথা শুনছিল। তিনি বলেন, আনসারী সাহাবী যখন তার স্ত্রীর এ বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ার কথা জানাবার জন্য নবী (ﷺ) এর কাছে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন তখন মেয়েটি বলল, আপনারা কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে চাচ্ছেন? যদি তিনি জুলায়বীবকে আপনাদের জন্য পছন্দ করেন তাহলে আপনারা তার সাথে আমাকে বিয়ে দিন। সে যেন তার পিতা মাতার কাছে যা অস্পষ্ট ছিল তা স্পষ্ট করে দিল। তারা বলল, তুমি সত্য বলেছ। তার পিতা নবী (ﷺ)-এর কাছে গিয়ে বললেন, যদি আপনি তাকে আমাদের জন্য পছন্দ করেন তাহলে আমরাও তাকে পছন্দ করলাম। তিনি বললেন, আমি তাকে পছন্দ করেছি। তিনি তাকে তার সাথে বিয়ে দিলেন। অতঃপর শত্রুরা মদীনাবাসীদেরকে ভীত করল। জুলায়বীব (রা) তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পশুতে আরোহন করলেন। সাহাবীগণ (রা) তাঁকে শহীদ রূপে পেলেন। তাঁর চারপাশে মুশরিকদের লাশ পড়ে আছে, যাদেরকে তিনি হত্যা করেছেন। আনাস (রা) বলেন, আমি মদীনার বিধবা মহিলাদের মধ্যে তাঁর বিধবা স্ত্রীকে অধিকতর বিয়ে প্রস্তাবপ্রাপ্তা দেখেছি।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী। আবু ইয়ালা হাদীসটিকে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করেছেন। মুসলিম এবং ইমাম আহমদ কর্তৃক আবু বারযাহ (রা) থেকে বর্ণনা করা পরবর্তী হাদীসটি এ হাদীসের সমর্থক।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী। আবু ইয়ালা হাদীসটিকে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করেছেন। মুসলিম এবং ইমাম আহমদ কর্তৃক আবু বারযাহ (রা) থেকে বর্ণনা করা পরবর্তী হাদীসটি এ হাদীসের সমর্থক।)
كتاب النكاح
باب الترغيب فى التزويج من ذى الدين والخلق المرضى وإن كان فقيرا أو دميم الخلقة
عن ثابت البنانى عن أنس (10) قال خطب النبى صلى الله عليه وسلم على جليبيب (11) امرأة من الأنصار إلى أبيها فقال حتى استأمر أمها، فقال النبى صلى الله عليه وسلم فنعم إذا، فانطلق الرجل إلى امرأته فذكر ذلك لها فقالت لا هاالله (12) إذا ما وجد رسول الله صلى الله عليه وسلم إلا جليبيا وقد منعناها من فلان وفلان قال والجارية فى سترها تستمع، قال فانطلق الرجل يريد أن يخبر النبى صلى الله عليه وسلم بذلك، فقالت الجارية أتريدون أن تردّوا على رسول الله صلى الله عليه وسلم أمره؟ إن كان قد رضيه لكم فأنكحوه، فكأنها جلت (1) عن أبويها وقالا صدقت، فذهب أبوها إلى النبى صلى الله عليه وسلم فقال إن كنت قد رضيته فقد رضينا، قال فإنى قد رضيته فزوجها، ثم فزع (2) أهل المدينة فركب جليبيب فوجدوه قد قتل وحوله ناس من المشركين قد قتلهم (3) قال انس فلقد رأيتها وإنها لمن انفق (4) بيت فى المدينة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ধার্মিক এবং সৎচরিত্রের কাছে কন্যা দানে উৎসাহিতকরণ যদিও দরিদ্র ও কুৎসিৎ হয়।
২৭। আবূ বারযা আসলামী (রা) নবী (ﷺ) থেকে উপরোক্ত হাদীসের মত দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার শেষে রয়েছে, সাবিত (রা) বলেন, আনসারদের মধ্যে তাঁর চেয়ে অধিকতর বিয়ের প্রস্তাব প্রাপ্তা কোন বিধবা মহিলা ছিল না। ইসহাক ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আবূ তালহা (রা) সাবিত (রা)- কে বললেন, আপনি কি জানেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জন্য কি দোয়া করেছেন? তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ আপনি তার উপর কল্যাণ ঢেলে দিন। আর তার জীবিকা কষ্টসাধ্য করবেন না। তিনি বলেন, আনসারদের মধ্যে তাঁর চেয়ে অধিকতর বিয়ের প্রস্তাব প্রাপ্তা কোন বিধবা মহিলা ছিল না।
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ, যা সাহাবাগণ (রা)-এর ফযীলতের পর্বে জুলায়বীব (রা)-এর ফযীলত শীর্ষক পরিচ্ছেদে বর্ণিত হবে। মুসলিম এবং নাসাঈ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ, যা সাহাবাগণ (রা)-এর ফযীলতের পর্বে জুলায়বীব (রা)-এর ফযীলত শীর্ষক পরিচ্ছেদে বর্ণিত হবে। মুসলিম এবং নাসাঈ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب النكاح
باب الترغيب فى التزويج من ذى الدين والخلق المرضى وإن كان فقيرا أو دميم الخلقة
وعن أبى برزة الاسلمى (5) عن النبى صلى الله عليه وسلم نحوه مطولا، وفى آخره قال ثابت فما كان فى الانصار ايّم (6) انفق منها: وحدّث اسحاق بن عبد الله بن أبى طلحة ثابتا قال هل تعلم ما دعا لها رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال اللهم صب عليها الخير صبا ولا تجعل عيشها كدّا كدا قال فما كان فى الأنصار ايم انفق منها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ধার্মিক এবং সৎচরিত্রের কাছে কন্যা দানে উৎসাহিতকরণ যদিও দরিদ্র ও কুৎসিৎ হয়।
২৮। উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত উমর (রা)-এর কন্যা হাফসা (রা) বিধবা হলেন। তার স্বামী খুনায়স ইবন হুযায়ফা (রা) বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী সাহাবী ছিলেন, যিনি মদীনায় ইন্তিকাল করেন। তিনি বলেন, আমি উসমান ইবন আফফান (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর কাছে হাফসা (রা)-এর বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। আমি বললাম, আপনি চাইলে আমি আপনার কাছে, হাফসা (রা)-কে বিয়ে দিব। তিনি বললেন, আমি সে বিষয় চিন্তা করব। আমি কিছু দিন অপেক্ষা করলাম। তিনি আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, আমি বর্তমানে বিয়ে করার ইচ্ছা রাখি না। উমর (রা) বলেন, তারপর আমি আবু বকর (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, আপনি চাইলে আমি আপনার কাছে হাফসা বিনতে উমর (রা)-কে বিয়ে দিব। তিনি আমার কথার কোন জওয়াব দিলেন না। উসমান (রা) আমার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতে যে কষ্ট পেলাম তার চেয়ে আবূ বকর (রা)-এর চুপ থাকাতে আমি অধিক কষ্ট পেলাম। আমি এভাবে কিছুদিন কাটালাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার কাছে তার বিয়ের পয়গাম দিলেন। আমি তাঁর সাথে হাফসাকে বিয়ে দিলাম। অতঃপর আবু বকর (রা) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, যখন আপনি আমার কাছে, হাফসা (রা)-এর বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর আমি আপনাকে কোন জওয়াব দেইনি তখন আপনি আমার আচরণে মনে কষ্ট পেয়েছেন। আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, আপনি আমাকে তার বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমি আপনাকে কোন জওয়াব দেয়া হতে বিরত থেকেছি কেবল একারণে যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তার উল্লেখ করতে শুনেছি। আর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর গোপনীয়তা প্রকাশকারী হতে চাইনি। যদি তিনি তাঁকে বিয়ে না করতেন তাহলে আমি তাকে বিয়ে করতাম।
(বুখারী, নাসাঈ)
আর আবু-ইয়ালা আহমদের হাদীসের সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন,
قال عمر: فشكوت عثمان إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تزوج حفصة خير من عثمان، وتزوج عثمان خيرا من حفصة فزوجه النبي صلى الله عليه وسلم ابنته
“উমর (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উসমান (রা)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হাফসাকে উসমান অপেক্ষা উত্তম ব্যক্তি বিবাহ করবে। আর উসমান হাফসা অপেক্ষা উত্তম (মহিলাকে) বিবাহ করবে। অতঃপর নবী (ﷺ) উসমান (রা)-এর নিকট তাঁর মেয়েকে বিয়ে দিলেন।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আবু ইয়ালার সনদে অলীদ ইবন মুহাম্মদ মুক্বরী আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
(বুখারী, নাসাঈ)
আর আবু-ইয়ালা আহমদের হাদীসের সমর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন,
قال عمر: فشكوت عثمان إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تزوج حفصة خير من عثمان، وتزوج عثمان خيرا من حفصة فزوجه النبي صلى الله عليه وسلم ابنته
“উমর (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উসমান (রা)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হাফসাকে উসমান অপেক্ষা উত্তম ব্যক্তি বিবাহ করবে। আর উসমান হাফসা অপেক্ষা উত্তম (মহিলাকে) বিবাহ করবে। অতঃপর নবী (ﷺ) উসমান (রা)-এর নিকট তাঁর মেয়েকে বিয়ে দিলেন।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আবু ইয়ালার সনদে অলীদ ইবন মুহাম্মদ মুক্বরী আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب الترغيب فى التزويج من ذى الدين والخلق المرضى وإن كان فقيرا أو دميم الخلقة
عن ابن عمر عن عمر (7) رضى الله عنهما قال تأيمت (8) حفصة بنت عمر من خنيس (9) بن حذافة أو حذيفة (10) شك عبد الرزاق وكان من أصحاب النبى صلى الله عليه وسلم ممن شهد بدرا فتوفى بالمدينة قال فلقيت عثمان بن عفان فعرضت عليه حفصة (11) فقلت ان شئت انكحتك حفصة، قال سأنظر فى ذلك (12) فلبثت ليالى فلقينى فقال ما اريد ان أتزوج يومى هذا، قال عمر فلقيت أبا بكر فقلت ان شئت أنكحتك حفصة ابنة عمر فلم يرجع الى (13) شيئا فكنت أوجد عليه مني على عثمان فلبثت ليالي فخطبها الىَّ رسول الله صلى الله عليه وسلم فانكحتها اياه فلقينى أبو بكر فقال لعلك وجدت علىّ حين عرضت علىّ حفصة فلم أجع اليك شيئا؟ قال قلت نعم، قال فانه لم يمنعنى أن أرجع اليك شيئا حين عرضتها علىّ الا أنى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يذكرها، ولم أكن لافشى سر رسول الله صلى الله عليه وسلم ولو تركها لنكحتها
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ধার্মিক এবং সৎচরিত্রের কাছে কন্যা দানে উৎসাহিতকরণ যদিও দরিদ্র ও কুৎসিৎ হয়।
২৯। সাবিত বুনানী (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রা)-এর সাথে বসা ছিলাম। তাঁর কাছে তাঁর মেয়ে ছিল। আনাস (রা) বললেন, জনৈকা মহিলা নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর নবী (ﷺ) আপনার কি আমাকে বিয়ে করার চাহিদা আছে? তাঁর মেয়ে বলল, তাঁর লজ্জা কতইনা কম ছিল? তিনি বললেন, সে তোমার চেয়ে উত্তম। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর স্ত্রী হতে আগ্রহী হয়েছিল আর নিজেকে তাঁর কাছে পেশ করেছিল।
(বুখারী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
(বুখারী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
باب الترغيب فى التزويج من ذى الدين والخلق المرضى وإن كان فقيرا أو دميم الخلقة
عن ثابت البنانى (2) قال كنت مع انس بن مالك جالسا وعنده ابنة له، فقال أنس جاءت امرأة الى النبى صلى الله عليه وسلم فقالت يا نبى الله هل لك فيَّ حاجة؟ (3) فقالت ابنته ما كان أقل حياءها (4) فقال هى خير منك رغبت فى رسول الله صلى الله عليه وسلم فعرضت عليه نفسها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে বিধবা মহিলা তার সন্তানদের লালন-পালনের জন্য বিয়ে করা থেকে বিরত থাকে, তার ও কুরায়শ মহিলাদের ফযীলত এবং অন্যান্য বিষয়।
৩০। আউফ ইবন মারিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তর্জন ও মধ্যমা আঙ্গুলি একত্র করে বললেন, আমি এবং গালে কাল দাগ পড়ে যাওয়া সেই বিধবা মহিলা এ দু'টি আঙ্গুলের মত নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান করব; যে অভিজাত সুন্দরী মহিলা বিধবা হওয়ার পর তার ইয়াতীম সন্তানদের লালন-পালন করার জন্য অন্য কাউকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকে, তাদের তার থেকে প্রয়োজন শেষ না হওয়া বা তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত।
(আবূ দাউদ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদে নাহাস ইবন কাহম আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
(আবূ দাউদ। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির সনদে নাহাস ইবন কাহম আছেন। তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب فضل من حبست نفسها على أبنائها ولم تتزوج وفضل نساء قريش وغير ذلك
عن عوف بن مالك (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أنا وامرأة سعفاء (6) الخدين كهاتين يوم القيامة (وفى لفظ انا وأمرأة سعفاء فى الجنة كهاتين) وجمع بين إصبعيه السبابة والوسطى (7) امرأة ذات منصب وجمال آمت (8) من زوجها حبست نفسها على أيتامها حتى باتوا (1) أو ماتوا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে বিধবা মহিলা তার সন্তানদের লালন-পালনের জন্য বিয়ে করা থেকে বিরত থাকে, তার ও কুরায়শ মহিলাদের ফযীলত এবং অন্যান্য বিষয়।
৩১। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) উম্মে হানী বিনতে আবু তালেব (রা)-কে বিয়ের পয়গাম দিলে তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি বৃদ্ধ হয়েছি এবং আমার পোষ্য পরিজন আছে। নবী (ﷺ) বললেন, যে সকল মহিলারা উটে আরোহণ করেছে কুরায়শদের মহিলারা তাদের মধ্যে উত্তম। তারা তাদের শিশু সন্তানের প্রতি অন্য মহিলাদের চেয়ে অধিকতর অনুগ্রহকারী এবং তাদের স্বামীদের মাল অন্যদের চেয়ে অধিকতর হেফাযতকারী। আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, মারিয়াম বিনতে ইমরান (আ) উটে আরোহন করেননি।
(বুখারী, মুসলিম এবং অন্যরা)
(বুখারী, মুসলিম এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب فضل من حبست نفسها على أبنائها ولم تتزوج وفضل نساء قريش وغير ذلك
عن ابن المسيب عن أبى هريرة (2) أن النبى صلى الله عليه وسلم خطب أم هانئ بنت أبى طالب فقالت يا رسول الله إنى قد كبرت ولى عيال، فقال النبى صلى الله عليه وسلم خير نساء ركبن (3) نساء قريش، احناه (4) على ولد فى صغره وارعاه (5) على زوج فى ذات يده (6) قال أبو هريرة ولم تركب مريم بنت عمران بعيرا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে বিধবা মহিলা তার সন্তানদের লালন-পালনের জন্য বিয়ে করা থেকে বিরত থাকে, তার ও কুরায়শ মহিলাদের ফযীলত এবং অন্যান্য বিষয়।
৩২। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর গোত্রের সাওদা (রা) নামের জনৈকা মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। তার মৃত স্বামীর থেকে তাঁর পাঁচটি বা ছয়টি শিশু ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমাকে আমার বিয়ের পয়গাম গ্রহণ করা থেকে কোন বস্তু বিরত রাখছে? সে বলল, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর নবী (ﷺ) আপনার প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণ এ নয় যে, আপনি সৃষ্টি জগতের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় নন। বস্তুত আমি আপনার মাথার কাছে সকাল বিকাল এ শিশুদের চিৎকার করার পথ খুলে না দিয়ে আপনাকে সম্মান প্রদর্শন করছি। তিনি বললেন, তা ছাড়া অন্য কোন বস্তু কি তোমাকে আমার বিয়ের পয়গম গ্রহণ করা থেকে বিরত রেখেছে? সে বলল, না, আল্লাহর শপথ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। যে সকল মহিলারা উটের পশ্চাদভাগে আরোহণ করেছেন কুরায়শদের সাধ্বী মহিলারা তাদের মধ্যে উত্তম। তারা তাদের শিশু সন্তানের প্রতি অধিকতর অনুগ্রহকারী এবং তাদের স্বামীদের মাল অধিকতর হেফাযতকারী।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। হাফিয ইবন হাজার হাদীসটিকে ইমাম আহমদের সাথে সম্পৃক্ত করার পর এর সনদকে হাসান বলেছেন। আর তিনি বলেছেন, কাসিম ইবন সাবিত দালায়িলে এ হাদীসটিকে হাকাম ইবন আবানের বর্ণণা সূত্রে তিনি ইকরামা থেকে আর তিনি ইবন আব্বাস (রা) থেকে।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। হাফিয ইবন হাজার হাদীসটিকে ইমাম আহমদের সাথে সম্পৃক্ত করার পর এর সনদকে হাসান বলেছেন। আর তিনি বলেছেন, কাসিম ইবন সাবিত দালায়িলে এ হাদীসটিকে হাকাম ইবন আবানের বর্ণণা সূত্রে তিনি ইকরামা থেকে আর তিনি ইবন আব্বাস (রা) থেকে।)
كتاب النكاح
باب فضل من حبست نفسها على أبنائها ولم تتزوج وفضل نساء قريش وغير ذلك
عن ابن عباس (8) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب امرأة من قومه يقال لها سودة (9) وكانت مصبية، كان لها خمسة صبية أو ستة من بعل لها مات، فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم ما يمنعك منى؟ قالت والله يا نبى الله ما يمنعنى منك الا أن لا تكون احب البرية الى، ولكنى اكرمك ان ان يضغو (10) هؤلاء الصبية عند رأسك بكرة وعشية، قال فهل منعك منى شئ غير ذلك؟ قالت لا والله، قال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم يرحمك الله، ان خير نساء ركبن اعجاز الإبل صالح نساء قريش احناه على ولد فى صغر وأرعاه على بعل بذات يد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে বিধবা মহিলা তার সন্তানদের লালন-পালনের জন্য বিয়ে করা থেকে বিরত থাকে, তার ও কুরায়শ মহিলাদের ফযীলত এবং অন্যান্য বিষয়।
৩৩। সালমা বিনতে জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর স্বামী শহীদ হলে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এর কাছে এসে বললেন, আমি একজন মহিলা, আমাকে অনেক পুরুষ বিয়ের পয়গাম দিয়েছে। আর আমি তার সাথে সাক্ষাৎ না করা পর্যন্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেছি। আপনি কি আশা করেন, যদি আমি এবং তিনি একত্রিত হই তাহলে আমি তাঁর স্ত্রী হব? তিনি বললেন, হাঁ। জনৈক ব্যক্তি তাঁকে বলল, আমরা যখন থেকে আপনার মজলিসে যাতায়াত শুরু করেছি, তখন থেকে এ পর্যন্ত আপনাকে এ হাদীসটি বর্ণনা করতে দেখিনি। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মাতের মধ্য থেকে আহমাসের (আহমাস কুরায়শ, কিনানা এবং জুদায়লার উপাধি) জনৈকা মহিলা জান্নাতে আমার সাথে দ্রুততর মিলিত হবে।
(আবু-ইয়ালা। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির বর্ননাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(আবু-ইয়ালা। আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, হাদীসটির বর্ননাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب فضل من حبست نفسها على أبنائها ولم تتزوج وفضل نساء قريش وغير ذلك
عن كريم بن أبى حازم (1) عن جدته سلمى (2) بنت جابر ان زوجها استشهد فاتت عبد الله بن مسعود فقالت انى امرأة قد خطبنى الرجال فأبيت ان أتزوج حتى القاه فترجو لى ان اجتمعت أنا وهو أن أكون من أزواجه؟ قال نعم، فقال له رجل ما رأيناك نقلت هذا مذ قاعدناك (3) قال انى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان أسرع أمتى بى لحوقا فى الجنة امرأة من أحمس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার পর অন্য পুরুষের জন্য তাকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হারাম। আর কোন মহিলাকে ইদ্দতে থাকা অবস্থায় বিয়ের পয়গামের ইঙ্গিত করা প্রসঙ্গ।
৩৪। ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গম দেয়ার পর অন্যকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে নিষেধ করেছেন যে পর্যন্ত না সে তা ত্যাগ করে বা তাকে ঐ মহিলার বিয়ের পয়গাম দেয়ার অনুমতি দেয়।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب النهى ان يخطب الرجل على خطبة اخيه وما جاء فى التعريض بالخطبة فى العدة
عن ابن عمر (5) قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يخطب الرجل على خطبة (6) أخيه حتى يدعها الذى خطبها أول مرة او يأذن له
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার পর অন্য পুরুষের জন্য তাকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হারাম। আর কোন মহিলাকে ইদ্দতে থাকা অবস্থায় বিয়ের পয়গামের ইঙ্গিত করা প্রসঙ্গ।
৩৫। উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি: কোন মুসলমান ব্যক্তির কোন মহিলাকে তার মুসলমান ভাইয়ের বিয়ের পয়গামের পর বিয়ের পয়গাম দেয়া হারাম যে পর্যন্ত না সে তা ত্যাগ করে। আর তার পণ্য অন্য বিক্রেতার পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী ক্রেতার কাছে বিক্রয় করার জন্য পেশ করবে না যে পর্যন্ত না সে তার মাল ক্রয় করা থেকে বিরত হয়।
(মুসলিম, বায়হাকী)
(মুসলিম, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب النهى ان يخطب الرجل على خطبة اخيه وما جاء فى التعريض بالخطبة فى العدة
عن عقبة بن عامر (7) سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا يحل لامرئ مسلم يخطب على خطبة أخيه حتى يترك: ولا يبع (8) على بيع أخيه حتى يترك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার পর অন্য পুরুষের জন্য তাকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হারাম। আর কোন মহিলাকে ইদ্দতে থাকা অবস্থায় বিয়ের পয়গামের ইঙ্গিত করা প্রসঙ্গ।
৩৬। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে তার মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের পয়গাম দেয়ার পর বিয়ের পয়গাম দিবে না। আর তার মুসলিম ভাই কর্তৃক পণ্যের দর করার পর নিজে ঐ পণ্যের দর করবে না। কোন মহিলাকে তার ফুফু বা খালা স্ত্রী থাকা অবস্থায় বিয়ে করা যাবে না। কোন মহিলা তার মুসলিম বোনকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য কোন পুরুষের কাছে দাবী করবে না, যাতে তার পাত্রেরটা সে ভোগ করতে পারে। বরং সে যেন (এরূপ দাবী করা ছাড়াই) বিয়ে করে, কেননা আল্লাহ যা তার জন্য নির্ধারিত করেছেন সে তা পাবে।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী, আবূ দাউদ, নাসাঈ। তিরমিযী এবং ইবন মাজাহ হাদীসটিকে দীর্ঘ এবং সংক্ষিপ্ত উভয় রকম বর্ণনা করেছেন। তাঁদের হাদীসের শব্দ ভিন্ন এবং অর্থ এক।)
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী, আবূ দাউদ, নাসাঈ। তিরমিযী এবং ইবন মাজাহ হাদীসটিকে দীর্ঘ এবং সংক্ষিপ্ত উভয় রকম বর্ণনা করেছেন। তাঁদের হাদীসের শব্দ ভিন্ন এবং অর্থ এক।)
كتاب النكاح
باب النهى ان يخطب الرجل على خطبة اخيه وما جاء فى التعريض بالخطبة فى العدة
عن أبي هريرة رضى الله عنه (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم لا يخطب (2) الرجل على خطبة أخيه، ولا يسوم (3) على سوم أخيه ولا تنكح المرأة على عمتها (4) ولا على خالتها ولا تسأل طلاق اختها (5) لتكفئ ما فى صحفتها ولتنكح فانما لها ما كتب الله لها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার পর অন্য পুরুষের জন্য তাকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হারাম। আর কোন মহিলাকে ইদ্দতে থাকা অবস্থায় বিয়ের পয়গামের ইঙ্গিত করা প্রসঙ্গ।
৩৭। সামুরা ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন পুরুষকে তার মুসলমান ভাই কর্তৃক বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে বা তার মুসলমান ভাই কর্তৃক কোন পণ্যের দরদাম করার পর তা ক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
(হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, বাযযার, তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে এবং আল মু'জামুস সগীরে হাদীসটি কে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে ইমরান কাত্তান আছেন। ইবন হিব্বান তাঁকে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বলেছেন, অথচ তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
(হায়ছামী মাজমাউয যাওয়াইদে হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেছেন, বাযযার, তাবারানী আল মু'জামুল আউসাতে এবং আল মু'জামুস সগীরে হাদীসটি কে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে ইমরান কাত্তান আছেন। ইবন হিব্বান তাঁকে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বলেছেন, অথচ তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
باب النهى ان يخطب الرجل على خطبة اخيه وما جاء فى التعريض بالخطبة فى العدة
عن سمرة بن جندب (6) ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى ان يخطب الرجل على خطبة أخيه او يبتاع على بيعه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার পর অন্য পুরুষের জন্য তাকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হারাম। আর কোন মহিলাকে ইদ্দতে থাকা অবস্থায় বিয়ের পয়গামের ইঙ্গিত করা প্রসঙ্গ।
৩৮। ফাতিমা বিনতে কাইস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে ইবন উম্মে মাকতুম (রা)-এর ঘরে ইদ্দত পালন করতে নির্দেশ দিলেন।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب النهى ان يخطب الرجل على خطبة اخيه وما جاء فى التعريض بالخطبة فى العدة
عن فاطمة بنت قيس (7) قالت طلقنى زوجى (8) ثلاثا فأمرنى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن أعتد فى بيت ابن ام مكتوم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কোন ব্যক্তির কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়ার পর অন্য পুরুষের জন্য তাকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হারাম। আর কোন মহিলাকে ইদ্দতে থাকা অবস্থায় বিয়ের পয়গামের ইঙ্গিত করা প্রসঙ্গ।
৩৯। আবূ বকর ইবন আবু জাহম (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ফাতিমা বিনতে কাইস (রা)-কে বলতে শুনলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তুমি আমাকে তোমার ইদ্দত শেষ হওয়ার কথা অবহিত করবে। আমি তাকে তা অবহিত করলাম। অতঃপর মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা), আবু জাহাম (রা) এবং উসামা ইবন যাইদ (রা) তাঁকে বিয়ের পয়গাম দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মুআবিয়া (রা) দরিদ্র, তাঁর কোন মাল নেই। আবূ জাহাম (রা) স্ত্রীদেরকে মারে। তবে তিনি উসামা (রা)-কে বিয়ে করতে পছন্দ করলেন, যা তাঁকে হাতের ইশারায় জানালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, "আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল -এর আনুগত্য তোমার জন্য কল্যাণকর।" আমি তাঁকে বিয়ে করলাম এবং সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অধিকারী হলাম।
(মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
(মুসলিম, মালিক, শাফিয়ী, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب النهى ان يخطب الرجل على خطبة اخيه وما جاء فى التعريض بالخطبة فى العدة
عن سفيان (9) سمعه من ابى بكر بن أبى الجهم سمعت فاطمة بنت قيس قالت قال لى رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا حللت فآذنينى (10) فآذنته فخطبها معاوية بن أبى سفيان وأبو الجهم وأسامة بن زيد فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أما معاوية (11) فرجل ترب لا مال له وأما ابو الجهم فرجل ضراب (1) للنساء ولكن اسامة (2)، قال فقالت بيدها هكذا اسامة تقول لم ترده، فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم طاعة الله وطاعة رسوله خير لك فتزوجتة فاغتبطته
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : যে নারীকে বিয়ের পয়গাম দেয়া হয়েছে তাকে দেখা মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গ।
৪০। জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি তোমাদের কেউ কোন মহিলাকে বিয়ের পয়গাম দেয়, তবে পারলে তার এমন কিছু দেখে নেবে বিয়ে করতে উৎসাহ দেয়। তিনি বলেন, আমি সালামা গোত্রের জনৈকা যুবতীকে বিয়ের পয়গাম দিলাম। আমি তাকে দেখার জন্য খেজুর শাখার মোটা ও চওড়া গোড়ার নীচে লুকিয়ে থেকে তার শরীরের কোন অঙ্গ দেখলাম যা আমাকে তাকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করল। আর আমি তাকে বিয়ে করলাম।
(আবূ দাউদ, বায়হাকী, বাযযার, আব্দুর রাজ্জাক, হাকিম। হাফিয ইবন হাজার বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(আবূ দাউদ, বায়হাকী, বাযযার, আব্দুর রাজ্জাক, হাকিম। হাফিয ইবন হাজার বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب ما جاء فى استحباب النظر الى المخطوبة
عن جابر بن عد الله (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا خطب احدكم المرأة فان استطاع ان ينظر منها ما يدعوه الى نكاحها فليفعل قال فخطبت جارية من بنى سلمة فكنت أختبئ لها تحت الكرب (5) حتى رأيت منها بعض ما دعانى الى نكاحها فتزوجتها
তাহকীক: