মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৪৫৬৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৬৭। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক রাত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামায পড়িতেছিলেন, এই অবস্থায় তিনি যমীনে তাহার হাত রাখিতেই একটি বিচ্ছু তাঁহাকে দংশন করিল। তৎক্ষণাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জুতা দ্বারা বিচ্ছুটিকে মারিয়া ফেলিলেন। অতঃপর নামায শেষ করিয়া বলিলেন, বিচ্ছুটির উপর আল্লাহর লা'নত হউক। সে নামাযী অনামাযী অথবা বলিয়াছেন, নবী কিংবা অন্য কাহাকেও ছাড়ে না। (বরং যেখানে যাহাকে সুযোগে পায় দংশন করিয়া বসে।) অতঃপর তিনি কিছু লবণ ও পানি চাহিয়া লইলেন এবং উহাকে একটি পাত্রে মিশাইলেন, অতঃপর অঙ্গুলীর দংশিত স্থানে পানি ঢালিতে এবং উক্ত স্থান মুছিতে লাগিলেন এবং মুয়াব্বাযাতাইন সূরা দুইটির দ্বারা ঝাড়িতে লাগিলেন। —বায়হাকী হাদীস দুইটি শোআবুল ঈমানে বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৬৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৬৮। ওসমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাওয়াহব (রঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পরিবারের লোকেরা পানির একটি পেয়ালা দিয়া আমাকে হযরত উম্মে সালামা (রাঃ)-এর কাছে পাঠাইলেন। তখন নিয়ম ছিল, যদি কাহারো উপর বদ নজর লাগিত কিংবা অন্য কোন অসুখ হইত, তখন হযরত উম্মে সালামার কাছে একটি টব পাঠাইয়া দিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কিছু পশম মোবারক বাহির করিতেন, যাহা তিনি একটি রৌপ্য কৌটার মধ্যে রাখিতেন। অতঃপর তিনি উক্ত পশম মোবারক পানির মধ্যে ডুবাইয়া দিতেন এবং সেই পানিগুলি রোগীকে পান করান হইত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রূপার সেই নলটির মধ্যে তাকাইয়া দেখিলাম, উহাতে (হুযূর [ﷺ]-এর) কয়েকটি লাল বর্ণের পশম রহিয়াছে। —বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৬৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৬৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিলেন, কামআত (ব্যাঙের ছাতা) হইল যমীনের বসন্ত। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (তাহাদের ধারণা পাল্টাইয়া) বলিলেনঃ ব্যাঙের ছাতা তো মান্ন সদৃশ। ইহার পানি চক্ষু রোগের ঔষধবিশেষ। আর আজওয়া (নামীয় খেজুর) বেহেশতী ফল। উহা বিষনাশক। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি তিনটি অথবা পাঁচটি অথবা সাতটি ব্যাঙের ছাতা লইয়া উহার রস নিংড়াইয়া একটি শিশির মধ্যে রাখিলাম। অতঃপর আমার এক রাতকানা দাসীর চোখের মধ্যে সেই পানি সুরমার সাথে ব্যবহার করিলাম। ইহাতে সে আরোগ্য লাভ করিল। – তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৭০
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৭০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন ভোরে কিছু মধু চাটিয়া খাইবে, সে কোন বড় ধরনের বিপদে বা রোগে আক্রান্ত হইবে না।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৭১
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৭১। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নিরাময়কারী দুইটি জিনিসকে তোমরা আঁকড়াইয়া ধর। তাহা হইল মধু এবং কোরআন। —ইবনে মাজাহ্ আর বায়হাকী উপরোক্ত হাদীস দুইটি শোআবুল ঈমানে বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন, এই শেষোক্ত হাদীসটি নবী (ﷺ)-এর বাণী নহে; বরং ইহা ইবনে মাসউদ পর্যন্ত মউকুফ (অর্থাৎ, তাহার কথা হওয়াই সঠিক)।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৭২
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৭২। হযরত আবু কাবশা আনমারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিষমিশ্রিত বকরীর গোশত খাওয়ার কারণে তিনি নিজের মাথার তালুতে শিংগা লাগান। (অত্র হাদীসের বর্ণনাকারী) মা'মার (রাঃ) বলেন, বিষের কোন প্রতিক্রিয়া না থাকা সত্ত্বেও আমি আমার মাথার তালুতে শিংগা লাগাইলাম। ফলে আমার স্মরণশক্তি লোপ পায়। এমন কি, নামাযের মধ্যে আমাকে সূরা ফাতেহা বলিয়া দিতে হইত। —রাযীন

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৭৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৭৩। নাফে' (রঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) আমাকে বলিলেন, হে নাফে'। আমার শরীরে রক্ত টগবগ করিতেছে, সুতরাং একজন যুবক শিংগাওয়ালা ডাকিয়া আন। বালক কিংবা বৃদ্ধ ব্যক্তিকে আনিও না। নাফে' বলেন, অতঃপর হযরত ইবনে ওমর বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলেনঃ খালি পেটে শিংগা লাগানো শরীরের জন্য খুবই ফলপ্রসূ ! উহাতে জ্ঞান ও স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। সুতরাং যে কেহ শিংগা লাগাইতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে ভরসা করিয়া বৃহস্পতিবারে শিংগা লাগায়। শুক্র, শনি ও রবিবারে যেন শিংগা না লাগায়। আবার সোম ও মঙ্গলবারে শিংগা লাগাইবে, কিন্তু বুধ বারে শিংগা লাগাইবে না। কেননা, হযরত আইউব (আঃ) বুধবারেই রোগে আক্রান্ত হইয়াছিলেন। আর কুষ্ঠ ও শ্বেত রোগ বুধবার দিনে অথবা রাত্রেই জন্ম লাভ করে। —ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৭৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৭৪। হযরত মা'কেল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন চান্দ্রমাসের সতের তারিখ মঙ্গলবারে শিংগা লাগানো গোটা বৎসরের রোগের জন্য চিকিৎসা। — ইমাম আহমদ (রঃ)-এর শাগরেদ হরব ইবনে ইসমাঈল কিরমানী বলেন, তবে এই হাদীসটির সনদ নির্ভরযোগ্য নহে। মুনতাকা কিতাবেও অনুরূপভাবে উল্লেখ রহিয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৭৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৭৫। আর অবশ্য রযীন অনুরূপ হাদীস আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫৭৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৭৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাকে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলেনঃ কোন কিছুকে অশুভ গণ্য করিও না। অবশ্য কিছু দ্বারা শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা উত্তম। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, শুভ লক্ষণ কি? তিনি বলিলেন, তোমাদের কাহারও (তাহার অবস্থা ও পরিস্থিতি মোতাবেক তাহার) পক্ষে কোন ভাল কথা, যাহা সে শুনিতে পায়। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান