৩৫৮২। হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যেই জাতির মধ্যে ব্যভিচার ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করিবে, সেই জাতি দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনে পতিত হইবে। আর যেই জাতির মধ্যে ঘুষের (উৎকোচ) প্রচলন হইবে সেই জাতিকে ভীরুতা ও কাপুরুষতায় গ্রাস করিবে। — আহমদ

৩৫৮৩। হযরত ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যেই ব্যক্তি লূত (আঃ)-এর কওমের ন্যায় কুকর্মে লিপ্ত হইল, তাহার উপর আল্লাহর লা'নত। —রাযীন

৩৫৮৪। উক্ত রাযীনের আরেক রেওয়ায়ত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, হযরত আলী (রাঃ) এই কুকর্মে লিপ্ত উভয়কেই আগুনে পোড়াইয়া দিয়াছেন এবং হযরত আবু বকর (রাঃ) তাহাদের উভয়কে দেওয়াল চাপা দিয়া হত্যার নির্দেশ দিয়াছে।

৩৫৮৫। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ্ (কিয়ামতের দিন) এমন ব্যক্তির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি করিবেন না, যে লোক কোন পুরুষের কিংবা নারীর গুহ্যদ্বারে সঙ্গম করিল। —তিরমিযী এবং তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান ও গরীব।

৩৫৮৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি কোন জানোয়ারের সাথে বলাৎকার করিল, তাহার উপর (শরীঅত নির্ধারিত) কোন 'হদ' নাই। —তিরমিযী ও আবু দাউদ এবং তিরমিযী সুফিয়ান সওরী হইতে বর্ণনা করিয়া বলিয়াছেন, তিনি বলেন, এই হাদীসটি পূর্বে বর্ণিত হাদীস (অর্থাৎ, 'যে ব্যক্তি বলাৎকার করিবে, তাহাকে কতল করিয়া দাও') হইতে অধিক সহীহ্। এই হাদীসের উপরই ওলামাগণের আমল রহিয়াছে।

৩৫৮৭। হযরত ওবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নিকটতম আত্মীয় এবং দূরবর্তী আত্মীয় সকলের উপর আল্লাহর 'হদ’ কায়েম কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করণে তোমরা কোন নিন্দাকারীর নিন্দা ও তিরস্কারকে পরোয়া করিও না। —ইবনে মাজাহ্

৩৫৮৮। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহর হদসমূহ হইতে কোন একটি 'হদ্' কায়েম করা আল্লাহর সমস্ত শহর-নগরে চল্লিশ দিন যাবৎ অবিরাম বৃষ্টি বর্ষণ হইতেও অনেক উত্তম। — ইবনে মাজাহ্ ।

৩৫৮৯। আর নাসায়ী এই হাদীসটি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।

৩৫৯০। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ দীনারের (স্বর্ণ মুদ্রার) এক চতুর্থাংশ কিংবা ততোধিক (মূল্য) পরিমাণ চুরির দায় ব্যতীত চোরের হাত কাটা যাইবে না। -মোত্তাঃ