সহীফায়ে হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ

صحيفة همام بن منبه

কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৩৮ টি

হাদীস নং: ১২১
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে তা তার উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য
১২১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী অন্য সব লোক অপেক্ষা আমি মুমিনদের সবচেয়ে নিকটবর্তী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঋণ অথবা নিঃসম্বল পরিজন রেখে যায় আমাকে ডাকবে, আমি তার অভিভাবক। আর তোমাদের মধ্যে যে সস্পদ রেখে যায়, তার সস্পদের অধিকারী হবে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সে যেই হোক।
أبواب الكتاب
باب مَنْ تَرَكَ مَالاً فَلِوَرَثَتِهِ
121 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِالْمُؤْمِنِينَ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَأَيُّكُمْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيْعَةً فَادْعُونِي فَإِنِّي وَلِيُّهُ، وَأَيُّكُمْ مَا تَرَكَ مَالًا فَلْيُؤْثِرْ بِمَالِهِ عَصَبَتَهُ مَنْ كَانَ»
হাদীস নং: ১২২
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
১২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ এভাবে দু'আ করো না, হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দাও, যদি তুমি চাও। আমার প্রতি রহম কর, যদি তুমি চাও। আমাকে তুমি দাও, যদি তুমি চাও। বরঞ্চ দোয়াপ্রার্থী খুবই দৃঢ়তার সাথে প্রার্থনা করবে। কেননা তিনি যা চান তাই করেন। তাকে বাধ্য করার মত কেউ নেই।
أبواب الكتاب
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ
122 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَقُلْ أَحَدُكُمُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي إِنْ شِئْتَ، أَوِ ارْحَمْنِي إِنْ شِئْتَ، أَوِ ارْزُقْنِي إِنْ شِئْتَ، لِيَعْزِمِ الْمَسْأَلَةَ؛ إِنَّهُ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ لَا مُكْرِهَ لَهُ»
হাদীস নং: ১২৩
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ’বিশেষভাবে এই উম্মত’ এর জন্য গনিমত হালাল
১২৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘কোন একজন নবী জিহাদ করেছিলেন। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, এমন কোন ব্যক্তি আমার অনুসরণ করবে না, যে কোন মহিলাকে বিবাহ করেছে এবং তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা রাখে, কিন্তু সে এখনো মিলিত হয়নি। এমন ব্যক্তিও না যে ঘর তৈরী করেছে কিন্তু তার ছাদ তোলেনি। আর এমন ব্যক্তিও না যে গর্ভবতী ছাগল বা উটনী কিনেছে এবং সে তার প্রসবের অপেক্ষা করছে। তারপর তিনি জিহাদে গেলেন এবং আসরের নামাযের সময় কিংবা এর কাছাকাছি সময়ের একটি জনপথের নিকটবর্তী হলেন। তখন তিনি সূর্যকে বললেন, তুমিও আদিষ্ট আর আমিও আদিষ্ট। ইয়া আল্লাহ! সূর্যকে থামিয়ে দিন। তখন তাকে থামিয়ে দেওয়া হল। অবশেষে আল্লাহ তাঁকে বিজয় দান করেন।
এরপর তিনি গনীমত একত্রিত করলেন। তখন সেগুলি জ্বালিয়ে দিতে আগুন এল কিন্তু আগুন তা জ্বালালো না। নবী (ﷺ) তখন বললেন, তোমাদের মধ্যে (গনীমতের) আত্মসাতকারী রয়েছে। প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন যেন আমার কাছে বাইআত করে। সে সময় একজনের হাত নবীর হাতের সঙ্গে আটকে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যেেই আত্মসাৎ রয়েছে। কাজেই তোমার গোত্রের লোকেরা যেন আমার কাছে বাইআত করে। এ সময় দু’ব্যক্তির বা তিন ব্যক্তির হাত তাঁর হাতের সঙ্গে আটকে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যেই আত্মসাৎ রয়েছে। অবশেষে তারা একটি গাভীর মস্তক সমতুল্য স্বর্ণ উপস্থিত করল এবং তা রেখে দিল। তারপর আগুন এসে তা জ্বালিয়ে ফেলল। এরপর আল্লাহ আমাদের জন্য গনীমত হালাল করে দিলেন এবং আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা লক্ষ্য করে আমাদের জন্য তা হালাল করে দিলেন।
أبواب الكتاب
باب تَحْلِيلِ الْغَنَائِمِ لِهَذِهِ الأُمَّةِ خَاصَّةً
123 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «غَزَا نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ فَقَالَ لِلْقَوْمِ: لَا يَتْبَعْنِي رَجُلٌ قَدْ كَانَ مَلَكَ بُضْعَ امْرَأَةٍ يُرِيدُ أَنْ يَبْنِيَ بِهَا وَلَمَّا بَنَى، وَلَا آخَرُ بَنَى بِنَاءً لَهُ وَلَمَّا يَرْفَعْ سُقُفَهَا، وَلَا آخَرُ قَدِ اشْتَرَى غَنَمًا أَوْ خَلِفَاتٍ وَهُوَ يَنْتَظِرُ وِلَادَهَا، فَغَزَا فَدَنَا الْقَرْيَةَ حِينَ صُلِّيَ الْعَصْرُ، أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ لِلشَّمْسِ: أَنْتِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ، اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيَّ شَيْئًا، فَحُبِسَتْ عَلَيْهِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَجَمَعُوا مَا غَنِمُوا فَأَقْبَلَتِ النَّارُ لِتَأْكُلَهُ فَأَبَتْ أَنْ تَطْعَمَهُ، فَقَالَ: فِيكُمْ الْغُلُولُ، فَلْيُبَايِعْنِي مِنْ كُلِّ قَبِيلَةٍ رَجُلٌ، فَبَايَعُوهُ فَلَصِقَتْ يَدُ رَجُلٍ بِيَدِهِ فَقَالَ: فِيكُمُ الْغُلُولُ، فَلْتُبَايِعْنِي قَبِيلَتُهُ، فَبَايَعَتْهُ قَبِيلَتُهُ فَلَصِقَ يَدُ رَجُلَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ بِيَدِهِ، فَقَالَ: فِيكُمُ الْغُلُولُ، أَنْتُمْ غَلَلْتُمْ، قَالَ: فَأَخْرَجُوا لَهُ مِثْلَ رَأْسِ بَقَرَةٍ مِنْ ذَهَبٍ فَوَضَعُوهُ فِي الْمَالِ وَهُوَ بِالصَّعِيدِ فَأَقْبَلَتِ النَّارُ فَأَكَلَتْ. قَالَ: فَلَمْ تَحِلَّ الْغَنَائِمُ لِأَحَدٍ مِنْ قَبْلِنَا؛ ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ رَأَى ضَعْفَنَا وَعَجْزَنَا فَطَيَّبَهَا لَنَا»
হাদীস নং: ১২৪
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ উমর (রাযিঃ) এর ফযীলত
১২৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি একদা নিদ্রায় ছিলাম। দেখলাম, আমি একটি হাউযের কাছ থেকে লোকদেরকে পানি পান করাচ্ছি। তখন আমার কাছে আবু বকর আসল। আমাকে বিশ্রাম দেওয়ার নিমিত্তে আমার হাত থেকে সে বালতিটি নিয়ে গেল এবং দু’ বালতি পানি উঠাল। আর তার উত্তোলনে কিছুটা দুর্বলতা ছিল। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন। তিনি বলেন, এরপর ইবনুল খাত্তাব এসে তার কাছ থেকে তা নিয়ে নিল এবং পানি উত্তোলন করতে থাকল। অবশেষে লোকেরা (পরিতৃপ্ত হয়ে) ফিরে গেল, অথচ হাউযের পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
أبواب الكتاب
باب مِنْ فَضَائِلِ عُمَرَ رضى الله تعالى عنه
124 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ، رَأَيْتُ أَنِّي أَنْزِعُ عَلَى حَوْضٍ أَسْقِي النَّاسَ، فَأَتَانِي أَبُو بَكْرٍ فَأَخَذَ الدَّلْوَ مِنْ يَدِي لِيُرِيحَنِي فَنَزَعَ دَلْوَيْنِ وَفِي نَزْعِهِ ضَعْفٌ وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَهُ، قَالَ: فَأَتَانِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَخَذَهَا مِنْهُ، فَلَمْ يَنْزِعْ رَجُلٌ نَزْعَهُ حَتَّى وَلَّى النَّاسُ وَالْحَوْضُ يَنْفَجِرُ»
হাদীস নং: ১২৫
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ইসলাম আগমনের পর নবুওয়্যাতের নিদর্শনসমূহ
১২৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ না হবে খুয ও কিরমান নামক স্থানে (বসবাসরত) অনারব জাতিগুলোর সাথে, যাদের চেহারা লালবর্ণ, নাক চ্যাপটা, চক্ষু ক্ষুদ্রাকৃতি, চেহারা যেন পিটানো ঢাল।
أبواب الكتاب
باب عَلاَمَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلاَمِ
125 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا جُورَ كِرْمَانَ، قَوْمًا مِنَ الْأَعَاجِمِ حُمْرَ الْوُجُوهِ، فُطْسَ الْأُنُوفِ، صِغَارَ الْأَعْيُنِ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ»
হাদীস নং: ১২৬
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের ক্ষেত্রে মুমিনদের পারস্পারিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং এ বিষয়ে ইয়ামানবাসীদের প্রাধান্য
১২৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অহংকার ও দাম্ভিকতা রয়েছে ঘোড়া ও উট ওয়ালাদের মধ্যে। আর নম্রতা রয়েছে বকরি ওয়ালাদের মধ্যে।
أبواب الكتاب
باب تَفَاضُلِ أَهْلِ الإِيمَانِ فِيهِ وَرُجْحَانِ أَهْلِ الْيَمَنِ فِيهِ
126 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْخُيَلَاءُ وَالْفَخْرُ فِي أَهْلِ الْخَيْلِ وَالْإِبِلِ، وَالسَّكِينَةُ فِي أَهْلِ الْغَنَمِ»
হাদীস নং: ১২৭
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ পশমের জুতা পরিধানকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
১২৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না ততক্ষণ, যতক্ষণ না তোমাদের যুদ্ধ হবে এমন এক জাতির সঙ্গে যাদের পায়ের জুতা হবে পশমের।
أبواب الكتاب
باب قِتَالِ الَّذِينَ يَنْتَعِلُونَ الشَّعَرَ
127 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعَرُ»
হাদীস নং: ১২৮
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ জনগণ কুরাইশ এর অনুগামী এবং খিলাফত কুরাইশ এর জন্য
১২৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এই ব্যাপারে (অর্থাৎ ইমারত) লোকজন কোরাইশদের অনুসারী—তাদের মুসলমানেরা তাদের মুসলমানদেরই অনুসারী এবং তাদের কাফের তাদের কাফেরেরই অনুগত।
أبواب الكتاب
باب النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ وَالْخِلاَفَةُ فِي قُرَيْشٍ
128 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «النَّاسُ تَبَعٌ لِقُرَيْشٍ فِي هَذِهِ الشَّأْنِ - أُرَاهُ يَعْنِي الْإِمَارَةَ - مُسْلِمُهُمْ تَبَعٌ لِمُسْلِمِهِمْ، وَكَافِرُهُمْ تَبَعٌ لِكَافِرِهِمْ»
হাদীস নং: ১২৯
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ কোন্ প্রকৃতির মেয়ে শাদী করা উচিত এবং কোন্ ধরনের মেয়ে উত্তম এবং নিজের ঔরসের জন্য কোন্ ধরনের মেয়ে পছন্দ করা মুস্তাহাব।
১২৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, উষ্ট্রারোহী মহিলাদের মধ্যে কুরাইশ বংশীয় মহিলারা সর্বোত্তম। তারা শিশুদের প্রতি স্নেহশীলা এবং স্বামীর মর্যাদা রক্ষার্থে উত্তম হেফাজতকারিণী।
أبواب الكتاب
باب إِلَى مَنْ يَنْكِحُ وَأَىُّ النِّسَاءِ خَيْرٌ، وَمَا يُسْتَحَبُّ أَنْ يَتَخَيَّرَ لِنُطَفِهِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
129 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الْإِبِلَ نِسَاءُ قُرَيْشٍ، أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ، وَأَرْعَاهُ عَلَى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ»
হাদীস নং: ১৩০
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ বদ–নযর লাগা সত্য
১৩০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বদ–নযর লাগা সত্য। আর তিনি উল্কি আঁকতে (খোদাই করতে) নিষেধ করেছেন।
أبواب الكتاب
باب الْعَيْنُ حَقٌّ
130 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَيْنُ حَقٌّ، وَنَهَى عَنِ الْوَشْمِ»
হাদীস নং: ১৩১
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ যিনি নামাযের অপেক্ষায় মসজিদে বসে থাকেন, তাঁর এবং মসজিদের ফযিলত।
১৩১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে যতক্ষণ পর্যন্ত নামায আব্দ্ধ রাখে, নামায ছাড়া অন্য কিছুই তাকে তার পরিবারের দিকে যেতে বাধা দেয় না, ততক্ষণ সে নামাযের মধ্যে গণ্য।
أبواب الكتاب
باب مَنْ جَلَسَ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ، وَفَضْلِ الْمَسَاجِدِ
131 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا كَانَتْ تَحْبِسُهُ، وَلَا يَمْنَعُهُ أَنْ يَخْرُجَ إِلَّا انْتِظَارُهَا»
হাদীস নং: ১৩২
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকা ব্যতীত সাদ্‌কা না করা।
১৩২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, উপরের হাত (দাতার হাত) নীচের হাত (গ্রহীতার হাত) অপেক্ষা উত্তম। প্রথমে তাদেরকে দিবে, যাদের ভরণ–পোষণ তোমার দায়িত্বে।
أبواب الكتاب
بَابُ لاَ صَدَقَةَ إِلَّا عَنْ ظَهْرِ غِنًى
132 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ»
হাদীস নং: ১৩৩
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর ফযীলত
১৩৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ইহ ও পরজগতে আমি ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর সবচেয়ে নিকটবর্তী। লোকেরা বললো, কিরূপে হে আল্লাহর রাসুল! তখন তিনি বললেনঃ নবীগণ একই পিতার সন্তানের মত। তাদের মা বিভিন্ন। তাঁদের দ্বীন একটিই। আর তাঁর এবং আমার মধ্যে কোন নবীও নেই।
أبواب الكتاب
باب فَضَائِلِ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ
133 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ فِي الْأُولَى وَالْآخِرَةِ» ، قَالُوا: كَيْفَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ مِنْ عَلَّاتٍ وَأُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى، وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ، فَلَيْسَ بَيْنَنَا نَبِيٌّ»
হাদীস নং: ১৩৪
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ স্বপ্নে ফুঁ দেওয়া।
১৩৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একদা আমি ঘুমিয়েছিলাম। দেখলাম আমাকে ভূপৃষ্ঠের ভাণ্ডারসমূহ দেওয়া হয়েছে। আর আমার হাতে স্বর্ণের দু’টি চুড়ি রাখা হয়, যা আমার কাছে কষ্টকর মনে হল আর আমাকে চিন্তায় ফেলে দিল। তখন আমাকে নির্দেশ করা হল যেন আমি চুড়ি দুটিতে ফুঁ দেই। তাই আমি উভয়টিতে ফুঁ দিলাম, চুড়ি দু’টি উড়ে গেল। আমি চুড়ি দু’টির ব্যাখ্যা এভাবে দিলাম যে, (নবুয়তের) দু’জন মিথ্যা দাবিদার রয়েছে, যাদের মাঝখানে আমি আছি। সানআর বাসিন্দা ও ইয়ামামার বাসিন্দা।
أبواب الكتاب
باب النَّفْخِ فِي الْمَنَامِ
134 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ، إِذْ أُوتِيتُ مِنْ خَزَائِنِ الْأَرْضِ، فَوُضِعَ فِي يَدَيَّ سِوَارَانِ مِنْ ذَهَبٍ فَكَبُرَا عَلَيَّ وَأَهَمَّانِي، فَأُوحِيَ إِلَيَّ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَذَهَبَا، فَأَوَّلْتُهُمَا الْكَذَّابَيْنِ اللَّذَيْنِ أَنَا بَيْنَهُمَا؛ صَاحِبَ صَنْعَاءَ وَصَاحِبَ الْيَمَامَةِ»
হাদীস নং: ১৩৫
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ আমল কবুল না হওয়ার ভয়
১৩৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার আমল তাকে মুক্তি দিতে পারবে। তোমরা ইবাদতের বেলায় মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো এবং সঠিক পন্থা দৃঢ়তার সাথে আঁকড়ে ধরো। তারা (সাহাবায়ে কিরাম রা:) জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আর আপনি অর্থাৎ আপনার আমলও কি আপনাকে নাজাত দিবে না? তিনি বললেনঃ না, আমিও না। তবে মহান আল্লাহ তাঁর রহমত, করুণায় আমাকে ঢেকে রাখবেন।
أبواب الكتاب
بَاب التَّوَقِّي عَلَى الْعَمَلِ
135 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ أَحَدٌ مِنْكُمْ بِمُنْجِيهِ عَمَلُهُ، وَلَكِنْ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا» . قَالُوا: وَلَا أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «وَلَا أَنَا إِلَّا أَنْ يَتَغَمَّدَنِيَ اللَّهُ مِنْهُ بِرَحْمَةٍ وَفَضْلٍ»
হাদীস নং: ১৩৬
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মুলামাসা ও মুনাবাযা শ্রেণীর ক্রয়–বিক্রয় বাতিল
১৩৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’ভাবে কাপড় পরতে এবং দু’ভাবে ক্রয়বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
(যে দু’ভাবে কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন তা হলো) এক কাপড়ে পুরুষের এমনভাবে পেঁচিয়ে থাকা যে, তার লজ্জাস্থানের উপর সে কাপড়ের কোন অংশই থাকে না। আর হলো, শুধু লুঙ্গি পরে নামাজ পড়বে না তবে কাঁধের উপর দিয়ে পেঁচিয়ে নিলে পড়তে পারে।
আর (যে দু’ভাবে ক্রয়বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন তা হলো) ‘মুলামাসা’ ও ‘মুনাবাযা’। আর তিনি (দাম বাড়ানোর উদ্দেশে) দালালী করতেও নিষেধ করেছেন।
(‘মুনাবাযা’র মানে হলো, বিক্রেতা বলল, তোমার দিকে যখন এ জিনিসটি ছুড়ে মারব, তখন তোমার ও আমার মাঝে বিক্রয় কার্য অনিবার্যভাবে সম্পাদন হলো বলে গণ্য হবে। একেই বলা হয় ‘মুনাবাযা’। আর মুলামাসা হলো, বিক্রেতা বলল, যখন জিনিসটি ছুয়ে ফেলবে তখনই বিক্রয় কার্য অনিবার্য হয়ে যাবে। অথচ থলে বা এই জাতীয় কোন কিছুর ভিতরে বিক্রিত বস্তুটি থাকায়। (বিক্রিত বস্তুর) কিছুই সে দেখে নাই, এগুলো ছিল জাহিলী যুগের ক্রয়–বিক্রয়। তাই এগুলো নবী (ﷺ) নিষেধ করেছেন।)
أبواب الكتاب
باب إِبْطَالِ بَيْعِ الْمُلاَمَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ
136 - وَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعَتَيْنِ وَلِبْسَتَيْنِ، أَنْ يَحْتَبِيَ أَحَدُكُمْ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ لَيْسَ عَلَى فَرْجِهِ مِنْهُ شَيْءٌ، وَأَنْ يَشْتَمِلَ فِي إِزَارِهِ إِذَا مَا صَلَّى، إِلَّا أَنْ يُخَالِفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقِهِ، وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمَسِّ وَالْإِلْقَاءِ وَالنَّجْشِ "
হাদীস নং: ১৩৭
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ খনি দণ্ডমুক্ত এবং কূপ দণ্ডমুক্ত।
১৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, পশুর আঘাত ক্ষতিপূরণ মুক্ত, কূপে (নিপতিত হয়ে হতাহত হওয়া) ক্ষতিপূরণ মুক্ত, খনিতে নিপতিত হয়ে হতাহত হওয়া ক্ষতিপূরণ (দায়) মুক্ত এবং আগুন লেগে হতাহত হওয়া ক্ষতিপূরণ (দায়) মুক্ত। (অর্থাৎ ঐসব কারণে যদি কেউ আহত বা নিহত হয়, তবে এতে কোন “দিয়্যাত” বা ক্ষতিপূরণ নেই) আর গুপ্তধন অথবা খনিজ পদার্থে এক পঞ্চমাংশ নির্ধারিত।
أبواب الكتاب
بَابٌ: المَعْدِنُ جُبَارٌ وَالبِئْرُ جُبَارٌ
137 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَجْمَاءُ جَرْحُهَا جُبَارٌ، وَالْبِئْرُ جُبَارٌ، وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ، وَالنَّارُ جُبَارٌ، وَفِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ»
হাদীস নং: ১৩৮
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ’ফায়’ এর হুকুম
১৩৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যে কোন জনপদে উপনিত হয়ে অবস্থান করবে, সেখান (প্রাপ্ত ফাই এর) এক অংশ পাবে। আর যে কোন জনপদের অধিবাসীরা আল্লাহ ও তার রাসুলের অবাধ্যতা করবে, (অর্থাৎ যুদ্ধ করবে) তবে তার (সম্পদের) এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। আর (অবশিষ্ট সম্পদ) তোমাদের জন্য।
أبواب الكتاب
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
138 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا قَرْيَةٍ أَتَيْتُمُوهَا وَأَقَمْتُمْ، فِيهَا مَسْهَمُكُمْ» - وَأَظُنُّهُ قَالَ فَهِيَ لَكُمْ أَوْ نَحْوَهُ مِنَ الْكَلَامِ - " وَأَيُّمَا قَرْيَةٍ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ خُمُسَهَا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ، ثُمَّ هِيَ لَكُمْ