সহীফায়ে হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ
صحيفة همام بن منبه
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩৮ টি
হাদীস নং: ১০১
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যাকে হত্যা করেন তার উপর আল্লাহর প্রচণ্ড ক্রোধ
১০১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহর রোষ তার উপর প্রচন্ড হয়, যাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর পথে (জিহাদের ময়দানে) হত্যা করেন।
أبواب الكتاب
باب اشْتِدَادِ غَضَبِ اللَّهِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
101 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى رَجُلٍ يَقْتُلُهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০২
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ পরনারীর দিকে তাকান হারাম, কেননা তা যিনার প্রথম স্তর।
১০২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আদম সন্তানের জন্য যিনার থেকে তার অংশ লিখিত রয়েছে, যা সে অবধারিতরূপে পাবে। চোখের যিনা তাকানো, দ্বিতীয়বার না তাকালে ঘুচে যায়। মুখের যিনা (যিনার করার) কথা বলা, অন্তরের যিনা আকাঙ্খা করা, আর লজ্জা স্থান গুনাহটিকে সত্য কিংবা মিথ্যা প্রমাণিত করে।
أبواب الكتاب
باب تحريم النظر إلى المرأة الأجنبية لأنه من مقدمات الزنا
102 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَى ابْنِ آدَمَ نَصِيبٌ مِنَ الزِّنَا أَدْرَكَ ذَلِكَ لَا مَحَالَةَ. قَالَ: فَالْعَيْنُ زِنْيَتُهَا النَّظَرُ وَتَصْدِيقُهَا الْإِعْرَاضُ، وَاللِّسَانُ زِنْيَتُهُ الْمَنْطِقُ، وَالْقَلْبُ زِنْيَتُهُ التَّمَنِّي، وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ بِمَا ثَمَّ أَوْ يُكَذِّبُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৩
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ উত্তমরূপে ইসলাম গ্রহণ
১০৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে তার ইসলামে নিষ্ঠাবান হয় তার কৃত প্রত্যেকটি নেক কাজের বিনিময়ে দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত সাওয়াব লেখা হয়। পক্ষান্তরে তার কৃত প্রত্যেকটি বদ কাজ তার সমান লেখা হয়। (মৃত্যুর মাধ্যমে) আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকবে।
أبواب الكتاب
باب حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ
103 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَحْسَنَ أَحَدُكُمْ إِسْلَامَهُ فَكُلُّ حَسَنَةٍ يَعْمَلُهَا تُكْتَبُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ، وَكُلُّ سَيِّئَةٍ يَعْمَلُهَا تُكْتَبُ لَهُ بِمِثْلِهَا حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৪
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ইমামের প্রতি নামাযের পূর্ণতা বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ
১০৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ লোকদের নিয়ে নামায আদায় করবে তখন সংক্ষিপ্তভাবে নামায আদায় করবে। কেননা, তাদের মধ্যে বৃদ্ধ ও দুর্বল এবং রুগ্ন (লোক) থাকে। আর যখন একাকী নামায আদায় করবে তখন যত ইচ্ছা তা আদায় করবে।
أبواب الكتاب
باب أَمْرِ الأَئِمَّةِ بِتَخْفِيفِ الصَّلاَةِ فِي تَمَامٍ
104 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَمَّ أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفِ الصَّلَاةَ؛ فَإِنَّ فِيهِمُ الْكَبِيرَ وَفِيهِمُ الضَّعِيفَ وَفِيهِمُ السَّقِيمَ، وَإِنْ قَامَ وَحْدَهُ فَلْيُطِلْ صَلَاتَهُ مَا شَاءَ»
হাদীস নং: ১০৫
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ বান্দার সুচিন্তাগুলো লিখা হয় কিন্তু কুচিন্তাগুলো লিখা হয় না
১০৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ফিরিশতাগণ আবেদন জানায়ঃ হে প্রতিপালক! এ তোমার বান্দা, পাপ কর্মের ইচ্ছা করছে। আল্লাহ তাআলা তো তার ব্যাপারে বেশী জানলে ওয়ালা। আল্লাহ তাআলা উত্তর করেন অপেক্ষা করো, যদি সম্পাদন করে ফেলে, তবে সে অনুপাতে লিখবে, আর যদি তা পরিত্যাগ করে তবে সে স্থলে একটি সাওয়াব লিখে দিবে। কারণ আমার জন্যই সে তা পরিত্যাগ করেছে।
أبواب الكتاب
باب إِذَا هَمَّ الْعَبْدُ بِحَسَنَةٍ كُتِبَتْ وَإِذَا هَمَّ بِسَيِّئَةٍ لَمْ تُكْتَبْ
105 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: يَا رَبُّ، ذَاكَ عَبْدٌ يُرِيدُ أَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً، وَهُوَ أَبْصَرُ بِهِ، فَقَالَ: ارْقُبُوهُ فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ بِمِثْلِهَا، وَإِنْ تَرَكَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً، إِنَّمَا تَرَكَهَا مِنْ جَرَّايَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৬
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ الله الصمد "আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন" (১১২ঃ ২)
১০৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেন, আদম সন্তান আমার প্রতি মিথ্যারোপ করেছেন; অথচ এরূপ করা তার জন্য উচিত হয়নি। সে আমাকে গালি দিয়েছে; অথচ এমন করা তার পক্ষে সমীচীন হয়নি। আমার প্রতি তার মিথ্যারোপ করার মানে হচ্ছে এই যে, সে বলে, আমি পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নই যেমনিভাবে আমি তাকে প্রথমে সৃষ্টি করেছি। আমাকে তার গালি দেয়া হচ্ছে এই যে, সে বলে, আল্লাহ্ তাআলা সন্তান গ্রহণ করেছেন; অথচ আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি এমন এক সত্তা যে, আমি কাউকে জন্ম দেইনি, আমাকেও কেউ জন্ম দেয়নি এবং আমার সমতুম্য কেউ নেই।
أبواب الكتاب
بَابُ قَوْلِهِ: {اللَّهُ الصَّمَدُ} [الإخلاص: 2]
106 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: «كَذَّبَنِي عَبْدِي وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لَهُ، وَشَتَمَنِي عَبْدِي وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لَهُ، أَمَّا تَكْذِيبُهُ إِيَّايَ أَنْ يَقُولَ: لَنْ يُعِيدَنَا كَمَا بَدَأَنَا، وَأَمَّا شَتْمُهُ إِيَّايَ أَنْ يَقُولَ: اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا، وَأَنَا الصَّمَدُ لَمْ أَلِدْ وَلَمْ أُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لِي كُفُؤًا أَحَدٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৭
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ তীব্র গ্রীষ্মের সময় তাপ কমে আসলে যোহর আদায় করা মুস্তাহাব
১০৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, গ্রীষ্মের সময় নামায বেলা একটু ঠাণ্ডা করে পড়বে। কেননা, গ্রীষ্মের প্রখরতা জাহান্নামের ষ্ফীত শিখা থেকে উদ্ভূত।
أبواب الكتاب
باب اسْتِحْبَابِ الإِبْرَادِ بِالظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ
107 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَبْرِدُوا عَنِ الْحَرِّ فِي الصَّلَاةِ؛ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৮
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ উযুর বর্ণনা।
১০৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তির হাদস হয় তাঁর নামায কবুল হবে না, যতক্ষণ না সে উযু করে।
أبواب الكتاب
باب ما جاء في الوضوء
108 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُقْبَلُ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৯
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ নামাযে ধীরে সুস্থে আসা উত্তম এবং দৌড়ে আসা নিষেধ
১০৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন নামাযের আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা তার দিকে ধীরস্থীরভাবে হেটে আস। তারপর যা পাবে পড়বে, আর যা ছুটে যায় তা পূর্ণ করে নিবে।
أبواب الكتاب
باب اسْتِحْبَابِ إِتْيَانِ الصَّلاَةِ بِوَقَارٍ وَسَكِينَةٍ وَالنَّهْىِ عَنْ إِتْيَانِهَا سَعْيًا
109 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا نُودِيَ بِالصَّلَاةِ فَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَمْشُونَ وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ، فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا، وَمَا سُبِقْتُمْ فَأَتِمُّوا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১০
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ হত্যাকারী ও নিহত দু’ব্যক্তি (এক সাথে) জান্নাতে প্রবেশ
১১০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআ’লা এমন দু’ব্যক্তির জন্য হাসবেন যাদের একজন অপরজনকে হত্যা করবে অথচ তাদের উভয়েই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবীগণ বললেন, তা কেমন করে হবে ইয়া রাসুলাল্লাহ? তিনি বললেনঃ এক জন নিহত (শহীদ) হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে, তারপর আল্লাহ অপরজনের প্রতিও সদয় হবেন এবং তাকেও ইসলামের হেদায়েত দান করবেন। তারপর সেও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে এবং শহীদ হয়ে যাবে।
أبواب الكتاب
باب بَيَانِ الرَّجُلَيْنِ يَقْتُلُ أَحَدُهُمَا الآخَرَ يَدْخُلاَنِ الْجَنَّةَ
110 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَضْحَكُ اللَّهُ لِرَجُلَيْنِ يَقْتُلُ أَحَدُهُمَا الْآخَرَ، كِلَاهُمَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ» ، قَالُوا: وَكَيْفَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «يُقْتَلُ هَذَا فَيَلِجُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَى الْآخَرِ فَيَهْدِيهِ إِلَى الْإِسْلَامِ، ثُمَّ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُسْتَشْهَدُ»
হাদীস নং: ১১১
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়–বিক্রয়ের উপর ক্রয়–বিক্রয় না করে, দর–দাম করার উপর দর–দাম না করে যতক্ষণ সে তাকে অনুমতি না দেয় বা ত্যাগ না করে।
১১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিক্রির উপর বিক্রি না করে এবং তার বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়।
أبواب الكتاب
باب لاَ يَبِيعُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلاَ يَسُومُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ، حَتَّى يَأْذَنَ لَهُ أَوْ يَتْرُكَ
111 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبِيعُ أَحَدُكُمْ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ، وَلَا يَخْطِبُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১২
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মু’মিন ব্যক্তি এক পেটে খায়
১১২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কাফির ব্যক্তি সাত আঁতে খায় আর মুমিন খায় এক আঁতে।
أبواب الكتاب
باب الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ
112 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ، وَالْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৩
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ খাযির (আলাইহিস সালাম) ও মুসা (আলাইহিস সালাম)– এর সম্পর্কিত ঘটনা
১১৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, খাযির (আলাইহিস সালাম)– কে খাযির নামে অভিহিত করার কারণ হল এই যে, একদা তিনি ঘাস–পাতা বিহীন শুষ্ক সাদা জায়গায় বসেছিলেন। সেখান থেকে তাঁর উঠে যাওয়ার পরই হঠাৎ ঐ স্থানটি সবুজ হয়ে গেল। (এ ঘটনা থেকেই তাঁর নাম খাযির হয়ে যায়।)
أبواب الكتاب
باب حَدِيثِ الْخَضِرِ مَعَ مُوسَى عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ
113 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا سُمِّيَ خَضِرٌ؛ لِأَنَّهُ جَلَسَ عَلَى فَرْوَةٍ بَيْضَاءَ، فَإِذَا هِيَ تَهْتَزُّ تَحْتَهُ خَضْرَاءَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৪
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ইযার বা লুঙ্গি টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরা
১১৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ কিয়ামতের দিন ওই লোকের দিকে তাকাবেন না, যে (টাখনুর নিচে) ইযার ঝুলিয়ে চলে।
أبواب الكتاب
إِسْبَالُ الْإِزَارِ
114 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى الْمُسْبِلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، يَعْنِي إِزَارَهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৫
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “স্মরন করুন, যখন আমি বললাম, এই জনপদে প্রবেশ কর, যেথা ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দে আহার কর, নতশিরে প্রবেশ কর দ্বার দিয়ে এবং বল حِطَّةٌ ’ক্ষমা চাই’। আমি তোমাদের ভূল–ত্রুটি ক্ষমা করব এবং সৎকর্মশীলদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করব”
১১৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বনী ইসরাঈলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তোমরা দ্বার দিয়ে অবনত মস্তকে প্রবেশ কর আর মুখে বল, ‘হিত্তাতুন’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দাও।) কিন্তু তারা এ শব্দটি পরিবর্তন করে ফেলল এবং প্রবেশ দ্বার দিয়ে যেন জানু নত না করতে হয় সে জন্য তারা নিজ নিজ নিতম্বের উপর ভর দিয়ে শহরে প্রবেশ করল আর মুখে বলল, “হাব্বাতুন ফী শা‘আরাতিন” (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদেরকে যবের দানা দাও।)
أبواب الكتاب
باب وإذ قلنا ادخلوا هذه القرية فكلوا منها حيث شئتم رغدا وادخلوا الباب سجدا وقولوا حطة نغفر لكم خطاياكم وسنزيد المحسنين
115 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قِيلَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا حِطَّةٌ يَغْفِرْ لَكُمْ خَطَايَاكُمْ. فَبَدَّلُوا، فَدَخَلُوا الْبَابَ يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ، وَقَالُوا: حَبَّةٌ فِي شَعَرَةٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৬
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ নামাযে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে কিংবা কুরআন তিলাওয়াত ও যিক্রে জিহ্বা জড়িয়ে যেতে লাগলে ঘুমিয়ে পড়া কিংবা বিশ্রাম নেয়ার আদেশ, যাতে তার তন্দ্রাভাব কেটে যায়
১৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন রাতে জেগে উঠে এবং কুরআন তার জিহ্বায় জড়িয়ে যেতে থাকে এবং কি বলছে তা বুঝতে পারে না, তখন সে যেন শুয়ে পড়ে।
أبواب الكتاب
باب أَمْرِ مَنْ نَعَسَ فِي صَلاَتِهِ أَوِ اسْتَعْجَمَ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ أَوِ الذِّكْرُ بِأَنْ يَرْقُدَ أَوْ يَقْعُدَ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ ذَلِكَ
116 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَاسْتَعْجَمَ الْقُرْآنُ عَلَى لِسَانِهِ فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ فَلْيَضْطَجِعْ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৭
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ সময় ও কালকে গালি দেওয়া নিষিদ্ধ
১১৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন: আদমের পুত্র যেন না বলে হায় সর্বনাশা কাল। কেননা কাল তাে আমি স্বয়ং, আমিই রাত ও দিন প্রেরণ করি। যখন চাহিব তখন উহা আর প্রেরণ করিব না।
أبواب الكتاب
باب النَّهْىِ عَنْ سَبِّ الدَّهْرِ،
117 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: «لَا يَقُلِ ابْنُ آدَمَ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ فَإِنِّي أَنَا الدَّهْرُ أُرْسِلُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ فَإِذَا شِئْتُ قَبَضْتُهُمَا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৮
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ আন্তরিকতার সাথে মনিবের সেবা ও উত্তমরূপে আল্লাহর ইবাদতকারী দাস–দাসীর সাওয়াব
১১৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ঐ গোলামের জন্য কতইনা উত্তম (পুরস্কার রয়েছে) যে উত্তমরূপে আল্লাহর ইবাদত করে এবং আপন মনিবের উত্তম সেবা করে মৃত্যুবরণ করেছে, তার জন্য কতইনা উত্তম প্রতিদান রয়েছে, তার জন্য কতইনা উত্তম প্রতিদান রয়েছে।
أبواب الكتاب
باب ثَوَابِ الْعَبْدِ وَأَجْرِهِ إِذَا نَصَحَ لِسَيِّدِهِ وَأَحْسَنَ عِبَادَةَ اللَّهِ
118 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نِعِمَّا لِلْمَمْلُوكِ أَنْ يَتَوَفَّاهُ اللَّهُ بِحُسْنِ طَاعَةِ رَبِّهِ وَطَاعَةِ سَيِّدِهِ، نِعِمَّا لَهُ نِعِمَّا لَهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৯
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদে কফ পুঁতে ফেলা
১১৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ালে সে তার সামনের দিকে থুথু ফেলবে না। সে যতক্ষণ তার মুসল্লায় থাকে, ততক্ষণ মহান আল্লাহর সঙ্গে চুপে চুপে কথা বলে। আর ডান দিকেও ফেলবে না। কেননা তার ডান দিকে থাকেন ফিরিশতা। সে যেন তার বাঁ দিকে অথবা পায়ের নীচে থুথু ফেলে এবং পরে তা পুঁতে ফেলে।
أبواب الكتاب
باب دَفْنِ النُّخَامَةِ فِي الْمَسْجِدِ
119 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَلَا يَبْصُقْ أَمَامَهُ؛ فَإِنَّهُ يُنَاجِي اللَّهَ مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ، وَلَا عَنْ يَمِينِهِ؛ فَإِنَّ عَنْ يَمِينِهِ مَلَكًا، وَلَكِنْ لِيَبْصُقْ عَنْ شِمَالِهِ أَوْ تَحْتَ رِجْلِهِ، فَيَدْفِنْهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২০
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ইমামের খুতবার সময় কথা বলা নিষিদ্ধ
১২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তুমি যদি (ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায়) কথাবার্তায় লিপ্ত লোকদেরকে বল, তোমরা চুপ কর, তাহলে তুমি তোমার নফসকে দিয়ে একটি অনর্থক কাজ করালে। অর্থাৎ জুমু'আর দিন।
أبواب الكتاب
باب المنع من الكلام والإمام يخطب
120 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قُلْتَ لِلنَّاسِ أَنْصِتُوا وَهُمْ يَتَكَلَّمُونَ فَقَدْ لَغَوْتَ عَلَى نَفْسِكَ، يَعْنِي يَوْمَ الْجُمُعَةِ»
তাহকীক: