সহীফায়ে হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ

صحيفة همام بن منبه

কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৩৮ টি

হাদীস নং: ৪১
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর ফযীলত
৪১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মরিয়ম পুত্র ঈসা (আলাইহিস সালাম) এক ব্যক্তিকে চুরি করতে দেখলেন। তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি চুরি করেছ? সে বললো, কখনো না। যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তাঁর শপথ (আমি চুরি করি নি)। তখন ঈসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম আর আমি নিজেকে মিথ্যা সাব্যস্ত করলাম।
أبواب الكتاب
باب فَضَائِلِ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ
41 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَى عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَجُلًا يَسْرِقُ، فَقَالَ لَهُ عِيسَى: سَرَقْتَ؟ فَقَالَ: كَلَّا وَالَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، فَقَالَ عِيسَى: آمَنْتُ بِاللَّهِ وَكَذَّبْتُ عَيْنَيَّ»
হাদীস নং: ৪২
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ রাষ্ট্রনায়কের উপর নাগরিকদের অধিকার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব।
৪২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি আমার তরফ হতে তোমাদেরকে না কিছু দেই এবং না কিছু আটকিয়ে রাখি। বরং আমি তো বণ্টনকারী মাত্র। যেখানে হুকুম হয়, আমি সেখানেই খরচ করি।
أبواب الكتاب
باب فِيمَا يَلْزَمُ الإِمَامَ مِنْ أَمْرِ الرَّعِيَّةِ وَالْحَجَبَةِ عَنْهُ
42 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أُوتِيكُمْ مِنْ شَيْءٍ وَلَا أَمْنَعُكُمُوهُ، إِنْ أَنَا إِلَّا خَازِنٌ أَضَعُ حَيْثُ أُمِرْتُ»
হাদীস নং: ৪৩
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মুক্তাদী কর্তৃক ইমামের অনুসরণ
৪৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অনুসরণের জন্য ইমাম মনোনীত হন। তোমরা তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করবে না। তিনি তাকবীর বললে তোমরাও তাকবীর বলবে। তিনি রুকু করলে তোমরাও রুকু করবে। তিনি سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বললে তোমরা اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে।। তিনি সিজদা করলে তোমরাও সিজদা করবে। আর তিনি বসে নামায আদায় করলে তোমরাও সকলে বসে নামায আদায় করবে।
أبواب الكتاب
باب ائْتِمَامِ الْمَأْمُومِ بِالإِمَامِ
43 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَلَا تَخْتَلِفُوا عَلَيْهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ، فَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا، وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعِينَ»
হাদীস নং: ৪৪
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ কাতার সোজা করা ও মিশে দাঁড়ানো, ক্রমানুসারে প্রথম কাতারের ফযীলত, প্রথম কাতারে দাঁড়াবার জন্য প্রতিযোগিতা করা এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের পক্ষে ইমামের নিকট ও সামনের কাতারে দাঁড়াবার বিধান
৪৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা নামাযের মধ্যে কাতার সোজা রাখবে। কেননা, কাতার সোজা করা নামাযের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
أبواب الكتاب
باب تَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ وَإِقَامَتِهَا وَفَضْلِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ مِنْهَا وَالاِزْدِحَامِ عَلَى الصَّفِّ الأَوَّلِ وَالْمُسَابَقَةِ إِلَيْهَا وَتَقْدِيمِ أُولِي الْفَضْلِ وَتَقْرِيبِهِمْ مِنَ الإِمَامِ
44 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقِيمُوا الصَّفَّ فِي الصَّلَاةِ؛ فَإِنَّ إِقَامَةَ الصَّفِّ مِنْ حُسْنِ الصَّلَاةِ»
হাদীস নং: ৪৫
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
৪৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আদম ও মুসা (আলাইহিস সালাম)–এর মধ্যে তর্ক হয়েছিল। মুসা (আলাইহিস সালাম) তাকে বলেছিলেন, আপনি ঐ আদম যিনি বহু লোককে পথভ্রষ্ট করেছেন। আর তাদেরকে বেহেশত থেকে জমিনে বাহির করিয়াছেন। আদম (আলাইহিস সালাম) তাকে বলিলেন, তুমি ঐ মুসাই তো, তোমাকে আল্লাহ্ সর্বপ্রকার ইলম দান করেছিলেন, তোমাকে নবী বানিয়ে ছিলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর আদম (আলাইহিস সালাম) বললেন, তা সত্ত্বেও তুমি আমাকে এমন কাজের ব্যাপারে দোষারোপ করিতেছ যাহা আমার সৃষ্টির পূর্বেই আমার তকদীরে লেখা ছিল যে, আমি এমন করব।
এভাবে আদম (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম) কে লাজাওয়াব করে দিলেন।
أبواب الكتاب
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ
45 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَحَاجَّ آدَمُ وَمُوسَى، فَقَالَ لَهُ مُوسَى: أَنْتَ آدَمُ الَّذِي أَغْوَيْتَ النَّاسَ فَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلَى الْأَرْضِ، فَقَالَ لَهُ آدَمُ: أَنْتَ مُوسَى الَّذِي أَعْطَاهُ اللَّهُ عِلْمَ كُلِّ شَيْءٍ وَاصْطَفَاهُ عَلَى النَّاسِ بِرِسَالَتِهِ، قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدْ كُتِبَ عَلَيَّ أَنْ أَفْعَلَ مِنْ قَبْلِ أَنْ أُخْلَقَ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» - صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى نَبِيِّنَا وَعَلَيْهِمَا وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৪৬
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ গোসল করার সময় আড়াল করা
৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একদা আইয়্যুব (আলাইহিস সালাম) নগ্ন দেহে গোসল করছিলেন। এমন সময় তাঁর উপর স্বর্ণের এক ঝাঁক পঙ্গপাল পতিত হল। আইয়্যুব (আলাইহিস সালাম) সেগুলো দু’হাতে ধরে কাপড়ে রাখতে লাগলেন। তিনি বলেন, তখন তাঁর রব তাঁকে ডেকে বললেন, হে আইয়্যুব! তুমি যা দেখতে পাচ্ছ, তা থেকে কি আমি তোমাকে মুখাপেক্ষীহীন করে দেই নি? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, হে রব! কিন্তু আমি আপনার বরকতের অমুখাপেক্ষী নই।
أبواب الكتاب
باب الاستتار عند الاغتسال
46 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَمَا أَيُّوبُ يَغْتَسِلُ عُرْيَانًا خَرَّ عَلَيْهِ رِجْلُ جَرَادٍ مِنْ ذَهَبٍ، فَجَعَلَ أَيُّوبُ يَحْثِي فِي ثَوْبِهِ، قَالَ: فَنَادَاهُ رَبُّهُ: يَا أَيُّوبُ أَلَمْ أَكُنْ أَغْنَيْتُكَ عَمَّا تَرَى؟ قَالَ: بَلَى يَا رَبِّ، وَلَكِنْ لَا غِنَى لِي عَنْ بَرَكَتِكَ»
হাদীস নং: ৪৭
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ وَآتَيْنَا دَاوُدَ زَبُورًا আর আমি দাউদকে যাবুর দান করেছি”।
৪৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দাউদ (আলাইহিস সালাম)– এর পক্ষে কুরআন (যাবুর) তিলাওয়াত সহজ করে দেয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর যানবাহনের পশুর উপর গদি বাঁধার আদেশ করতেন। তারপর তাঁর যানবাহনের পশুটির উপর গদি বাঁধার পূর্বেই তিনি যাবুর তিলাওয়াত করে শেষ করে ফেলতেন। এবং তিনি নিজ হাতে উপার্জন করেই খেতেন।
أبواب الكتاب
بَابُ قَوْلِهِ: {وَآتَيْنَا دَاوُدَ زَبُورًا}
47 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُفِّفَ عَلَى دَاوُدَ الْقُرْآنُ، فَكَانَ يَأْمُرُ بِدَوَابِّهِ تُسْرَجُ، فَكَانَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تُسْرَجَ دَابَّتُهُ، وَكَانَ لَا يَأْكُلُ إِلَّا مِنْ عَمَلِ يَدِهِ»
হাদীস নং: ৪৮
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মুসলিম ব্যক্তি যে ভাল স্বপ্ন দেখে অথবা তাকে যা দেখান হয়
৪৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নেককার ব্যক্তির স্বপ্ন নবুওয়াতের ছেচল্লিশ অংশের একটি অংশ।
أبواب الكتاب
بَاب الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ يَرَاهَا الْمُسْلِمُ أَوْ تُرَى لَهُ
48 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا الرَّجُلِ الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ»
হাদীস নং: ৪৯
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ অল্পসংখ্যক লোক অধিকসংখ্যক লোকদের সালাম করবে।
৫৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ছোট বড়কে, পথচারী উপবিষ্ট লোককে এবং অল্পসংখ্যক লোক বেশীসংখ্যক লোকদের সালাম দিবে।
أبواب الكتاب
باب تَسْلِيمِ الْقَلِيلِ عَلَى الْكَثِيرِ
49 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ، وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ، وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ»
হাদীস নং: ৫০
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ যতক্ষণ না তারা স্বীকার করে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসুল
৫০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই— এ কথার সাক্ষ্য না দেওয়া পর্যন্ত আমি লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই— এ কথার সাক্ষ্য দিলে তারা তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা লাভ করবে, তবে শরীআতসম্মত কারণ ছাড়া। আর তাদের হিসাব–নিকাশ আল্লাহর কাছে।
أبواب الكتاب
باب الأَمْرِ بِقِتَالِ النَّاسِ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ
50 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا أَزَالُ أُقَاتِلُ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَقَدْ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ وَأَنْفُسَهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ»
হাদীস নং: ৫১
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ দুর্দান্ত প্রতাপশালীরা জাহান্নামে এবং দুর্বলেরা জান্নাতে যাবে
৫১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পর তর্কযুদ্ধ করেছে। জাহান্নাম বলল, প্রতিপত্তিশালী ও দম্ভকারীদের দ্বারা আমাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। জান্নাত বলল, আমার কি হল, আমাতে কেবল দূর্বল ও নগণ্য সাদাসিধা লোকেরাই প্রবেশ করবে।
এ কথা শুনে আল্লাহ তাআলা জান্নাতকে বললেন, তুমি আমার রহমত। তোমার দ্বারা আমার বান্দাদের যাকে চাই তার প্রতি আমি রহমত নাযিল করব। এবং তিনি জাহান্নামকে বললেন, তুমি আমার আযাব। তোমার দ্বারা আমি আমার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা আযাব দিব। বস্তুতঃ তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই থাকবে ভরপুর হিস্যা। কিন্তু জাহান্নাম কিছুতেই পূর্ণ হবে না। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তার পা জাহান্নামে রাখবেন। তখন জাহান্নাম বলবে ব্যস, ব্যস। তখনি জাহান্নাম পুর্ণ হবে এবং এর এক অংশ অন্য অংশের সাথে চেপে সংকুচিত হয়ে আসবে। আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টির কারো উপর যুলুম করবেন না। আর জান্নাত পূর্ণ করার জন্য আল্লাহ তাআলা মাখলুক সৃষ্টি করবেন।
أبواب الكتاب
باب النَّارُ يَدْخُلُهَا الْجَبَّارُونَ وَالْجَنَّةُ يَدْخُلُهَا الضُّعَفَاءُ
51 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَحَاجَّتِ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ، فَقَالَتِ النَّارُ: أُوثِرْتُ بِالْمُتَكَبِّرِينَ وَالْمُتَجَبِّرِينَ، وَقَالَتِ الْجَنَّةُ: فَمَا لِيَ لَا يُدْخِلُنِي إِلَّا ضُعَفَاءُ النَّاسِ وَسَقَطُهُمْ وَغِرَّتُهُمْ. فَقَالَ اللَّهُ لِلْجَنَّةِ: إِنَّمَا أَنْتِ رَحْمَتِي أَرْحَمُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ مِنْ عِبَادِي، وَقَالَ لِلنَّارِ: إِنَّمَا أَنْتِ عَذَابِي أُعَذِّبُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ مِنْ عِبَادِي، وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا مِلْؤُهَا، فَأَمَّا النَّارُ فَلَا تَمْتَلِئُ حَتَّى يَضَعَ اللَّهُ فِيهَا رِجْلَهُ، فَتَقُولُ: قَطْ قَطْ فَهُنَالِكَ تَمْتَلِئُ وَيُزْوَى بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ وَلَا يَظْلِمُ اللَّهُ مِنْ خَلْقِهِ أَحَدًا، وَأَمَّا الْجَنَّةُ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُنْشِئُ لَهَا خَلْقًا»
হাদীস নং: ৫২
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ (ইসতিনজার জন্য) বেজোড় সংখ্যক ঢিলা–কুলুখ ব্যবহার করা
৫২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যখন ঢিলা ব্যবহার করবে তখন বেজোড় সংখ্যক নিবে।
أبواب الكتاب
باب الاِسْتِجْمَارِ وِتْرًا
52 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اسْتَجْمَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُوتِرْ»
হাদীস নং: ৫৩
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ বান্দার সুচিন্তাগুলো লিখা হয় কিন্তু কুচিন্তাগুলো লিখা হয় না
৫৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ আমার বান্দা কোন নেক কাজ করবে বলে যদি মনে মনে ভাবে, তবে তা সস্পাদন করার পূর্বে আমি তার জন্য একটি সাওয়াব লিখে দেই। পরে যদি কার্যত তা সম্পাদন করে নেয় তবে তার দশগুণ সাওয়াব লিখি। পক্ষান্তরে যদি কোন অসৎ কাজ করবে বলে মনে মনে ভাবে তবে তা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত মাফ করে দেই। কিন্তু তা সম্পাদন করলে তদনূরূপ একটি গুনাহ লিখি।
أبواب الكتاب
باب إِذَا هَمَّ الْعَبْدُ بِحَسَنَةٍ كُتِبَتْ وَإِذَا هَمَّ بِسَيِّئَةٍ لَمْ تُكْتَبْ
53 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ اللَّهُ تَعَالَى:» إِذَا تَحَدَّثَ عَبْدِي بِأَنْ يَعْمَلَ حَسَنَةً فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ حَسَنَةً مَا لَمْ يَعْمَلْهَا، فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، وَإِذَا تَحَدَّثَ بِأَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَأَنَا أَغْفِرُهَا لَهُ مَا لَمْ يَعْمَلْهَا، فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ بِمِثْلِهَا "
হাদীস নং: ৫৪
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ জান্নাত ও জান্নাতের নিআমতসমূহ
৫৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহর শপথ, জান্নাতে তোমাদের একজনের চাবুকের হাতল পরিমাণ জায়গা তার জন্য আসমান ও যমিনের মাঝে যা কিছু রয়েছে তার চেয়েও উত্তম।
أبواب الكتاب
بَابُ الْجَنَّةِ وَصِفَتِهَا
54 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَاللَّهِ لَقِيدُ سَوْطِ أَحَدِكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ خَيْرٌ لَهُ مِمَّا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ»
হাদীস নং: ৫৫
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ের জান্নাতীকে বলা হবে যে, তুমি আকাঙ্ক্ষা কর। সে আকাঙ্ক্ষা করতে থাকবে। আল্লাহ তাকে বলবেন, তোমার যা আকাঙ্ক্ষা করার তা কি করেছ? সে বলবে, জ্বী! আল্লাহ বলবেন, যা আকাঙ্ক্ষা করেছ তা এবং এর অনুরূপ তোমাকে প্রদান করা হল।
أبواب الكتاب
باب الجنة وأهلها
55 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَدْنَى مَقْعَدِ أَحَدِكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ أَنْ هُيِّئَ لَهُ أَنْ يُقَالَ لَهُ: تَمَنَّ، فَيَتَمَنَّى وَيَتَمَنَّى فَيُقَالُ لَهُ: هَلْ تَمَنَّيْتَ؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ، فَيَقُولُ لَهُ: فَإِنَّ لَكَ مَا تَمَنَّيْتَ وَمِثْلَهُ مَعَهُ "
হাদীস নং: ৫৬
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ যদি হিজরত না হত তাবে আমি একজন আনসার–ই হতাম।
৫৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি হিজরতের ফযীলত না হত তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম। যদি মানুষ এক পথে বা এক উপত্যকায় চলতো আর আনসাররা অন্য পথে চলতো তবে আমি আনসারদের সাথে তাদের পথে চলতাম।
أبواب الكتاب
بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنْ الْأَنْصَارِ
56 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الْأَنْصَارِ، وَلَوْ يَنْدَفِعُ النَّاسُ فِي شُعْبَةٍ أَوْ فِي وَادٍ وَالْأَنْصَارُ فِي شُعْبَةٍ لَانْدَفَعْتُ مَعَ الْأَنْصَارِ فِي شِعْبِهِمْ»
হাদীস নং: ৫৭
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের সম্পর্কে ওসিয়ত
৫৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বনু ইসরাঈলী না হলে খাদ্য নষ্ট হত না এবং গোশত বিকৃত দুর্গন্ধ যুক্ত হত না এবং হাওয়া (আলাইহিস সালাম) না হলে যুগ যুগান্তরে কোন নারী তার স্বামীর বিশ্বাস ভঙ্গ করত না।
أبواب الكتاب
باب الْوَصِيَّةِ بِالنِّسَاءِ
57 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا بَنُو إِسْرَائِيلَ لَمْ يَخْبُثِ الطَّعَامُ، وَلَمْ يَخْنَزِ اللَّحْمُ، وَلَوْلَا حَوَّاءُ لَمْ تَخُنْ أُنْثَى زَوْجَهَا الدَّهْرَ»
হাদীস নং: ৫৮
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ সালামের সূচনা।
৫৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা আদম (আলাইহিস সালাম) কে তার নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তার দৈর্ঘ্য হল ষাট হাত। তাকে সৃষ্টি করার পর তিনি তাকে বললেন, যাও, এ দলটিকে সালাম কর। তারা হচ্ছে ফিরিশতাদের উপবিষ্ট একটি দল। সালামের জবাবে তারা কি বলে তা খুব মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর। কেননা তোমার এবং তোমার বংশধরদের অভিবাদন এ–ই। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি গেলেন ও বললেন, আসসালামু আলাইকুম’। উত্তরে তারা বললেন, ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’। তাঁরা ওয়া রামাতুল্লাহ বাড়িয়ে বলেছেন। এরপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে সে আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতিতে যাবে। তার দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত। নবী (ﷺ) বলেনঃ এরপর হতে সৃষ্টি (–র দেহের) পরিমাণ দিন দিন কমতে থেকেছে আজ পর্যন্ত।
أبواب الكتاب
بَابُ بَدْءِ السَّلامِ
58 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ , طُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا فَلَمَّا خَلَقَهُ قَالَ: اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ - وَهُمْ نَفَرٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ جُلُوسٌ - فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ فَإِنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ، قَالَ: فَذَهَبَ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، فَقَالُوا: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، فَزَادُوا: وَرَحْمَةُ اللَّهِ. قَالَ: فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلِ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ طُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ بَعْدُ حَتَّى الْآنَ»
হাদীস নং: ৫৯
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ মুসা (আলাইহিস সালাম) এর ফযীলত
৫৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মালাকুল মাউত মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে বললো, মুসা, আপনার পালনকর্তার ডাকে সাড়া দিন। রাবী বলেন, তখন মালাকুল মাউতের চোখের উপর মুসা (আলাইহিস সালাম) একটা থাপ্পড় মারলেন, এতে তাঁর চোখ নষ্ট করে ফেলেছিলেন। এরপর ফিরিশতা আল্লাহর কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, আপনি আমাকে আপনার এমন এক বান্দার কাছে পাঠিয়েছেন যে মরতে চায় না এবং সে আমার চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। আল্লাহ তাঁর চোখ ভালো করে দিলেন এবং বললেন, আমার বান্দার কাছে আবার যাও এবং বল, তুমি কি আরও হায়াত চাও? যদি তা চাও তবে তোমার হাত একটি বলদের পিঠের উপর রাখ। এতে তোমার হাত যতগুলো পশম ঢেকে ফেলবে, তত বছর তুমি বেঁচে থাকবে।
মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, এরপর কি? ফিরিশতা বললেন, এরপর মৃত্যু বরণ করবে। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তবে নিকটবর্তী সময়ে এখনই ভালো। (অতপর তিনি দোআ করলেন,) আয় রব! আমাকে পবিত্র ভূমির একটি পাথরের টিলার নিকটে নিয়ে মৃত্যু দান করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি যদি ওখানে হতাম তবে পথের কিনারে লাল বালিয়াড়ির পাশে তাঁর কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।
أبواب الكتاب
باب مِنْ فَضَائِلِ مُوسَى صلى الله عليه وسلم
59 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «جَاءَ مَلَكُ الْمَوْتِ إِلَى مُوسَى فَقَالَ لَهُ: أَجِبْ رَبَّكَ، قَالَ: فَلَطَمَ مُوسَى عَيْنَ مَلَكِ الْمَوْتِ فَفَقَأَهَا، قَالَ: فَرَجَعَ الْمَلَكُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ: إِنَّكَ أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَكَ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ وَقَدْ فَقَأَ عَيْنِي، قَالَ: فَرَدَّ اللَّهُ عَيْنَهُ، قَالَ: ارْجِعْ إِلَى عَبْدِي فَقُلْ لَهُ: الْحَيَاةَ تُرِيدُ؟ فَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْحَيَاةَ فَضَعْ يَدَكَ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ فَمَا وَارَتْ يَدُكَ مِنْ شَعْرَةٍ، فَإِنَّكَ تَعِيشُ بِهَا سَنَةً، قَالَ: ثُمَّ مَهْ؟ قَالَ: ثُمَّ تَمُوتُ: قَالَ: فَالْآنَ مِنْ قَرِيبٍ , قَالَ: رَبِّ أَدْنِنِي مِنَ الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ رَمْيَةً بِحَجَرٍ. وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:» لَوْ أَنِّي عِنْدَهُ لَأَرَيْتُكُمْ قَبْرَهُ إِلَى جَانِبِ الطَّرِيقِ عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ "
হাদীস নং: ৬০
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
পরিচ্ছেদঃ নির্জনে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা এবং পর্দা করে গোসল করা। পর্দা করে গোসল করাই উত্তম।
৬০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বনী ইসরাঈলরা উলঙ্গ হয়ে গোসল করত একে অপরের সতরের দিকে তাকাত। আর মুসা (আলাইহিস সালাম) গোসল করতেন একাকী। তাই তারা বলাবলি করত, আল্লাহর কসম! মুসা আমাদের সাথে গোসল করে না কারণ তার একশিরা রোগ রয়েছে।

একবার তিনি গোসল করতে গিয়ে একটি পাথরের ওপর তাঁর কাপড় রাখলেন। এরপর পাথরটি তার কাপড় নিয়ে দৌড়াতে লাগল। রাবী বলেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) তার পিছু পিছু ছুটলেন আর বলতে লাগলেন, পাথর! আমার কাপড়, পাথর! আমার কাপড়। এমনিভাবে বনী ইসরাঈলরা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সতর দেখে ফেলল এবং তারা বলল, আল্লাহর কসম! মুসার তো কোন খুত নেই। এরপর পাথর দাঁড়িয়ে গেল এবং তাঁকে দেখা হয়ে গেল।

রাবী বলেন, এরপর তিনি তাঁর কাপড় তুলে নিলেন এবং (রাগে) পাথরকে মারতে শুরু করে দিলেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! পাথরের ওপর মুসা (আলাইহিস সালাম) এর আঘাতের ছয়টি কি সাতটি চিহ্ন রয়েছে।
أبواب الكتاب
بَابُ مَنِ اغْتَسَلَ عُرْيَانًا وَحْدَهُ فِي الخَلْوَةِ، وَمَنْ تَسَتَّرَ فَالتَّسَتُّرُ أَفْضَلُ
60 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ يَغْتَسِلُونَ عُرَاةً يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى سَوْأَةِ بَعْضٍ، وَكَانَ مُوسَى يَغْتَسِلُ وَحْدَهُ فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا يَمْنَعُ مُوسَى أَنْ يَغْتَسِلَ مَعَنَا إِلَّا أَنَّهُ آدَرُ. قَالَ: فَذَهَبَ مَرَّةً يَغْتَسِلُ فَوَضَعَ ثَوْبَهُ عَلَى حَجَرٍ فَفَرَّ الْحَجَرُ بِثَوْبِهِ، قَالَ: فَجَمَحَ مُوسَى فِي أَثَرِهِ، يَقُولُ: ثَوْبِي حَجَرُ، ثَوْبِي حَجَرُ، حَتَّى نَظَرَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ إِلَى سَوْأَةِ مُوسَى، فَقَالُوا وَاللَّهِ مَا بِمُوسَى مِنْ بَأْسٍ قَالَ: فَقَامَ الْحَجَرُ بَعْدَ مَا نُظِرَ إِلَيْهِ فَأَخَذَ ثَوْبَهُ وَطَفِقَ بِالْحَجَرِ ضَرْبًا، فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ:» وَاللَّهِ إِنَّهُ نَدَبٌ بِالْحَجَرِ سِتَّةٌ أَوْ سَبْعَةٌ مِنْ ضَرْبِ مُوسَى بِالْحَجَرِ "