আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯৬ টি
হাদীস নং: ৩৪৫৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫৬. হযরত মু'আবিয়া ইবনে সুয়ায়দ ইবনে মুকারিন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা আমি আমার একটি গোলামকে চপেটাঘাত করলাম। তখন আমার পিতা আমাদের দু'জনকে ডেকে পাঠান। তিনি বলেন: হে গোলাম! তুমি মু'আবিয়া হতে প্রতিশোধ নাও। নিশ্চয়ই আমরা বনী মুকাররিনের বংশধর। নবী (ﷺ)-এর যুগে আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাতজন ছিল। ঐ সময় আমাদের কেবলমাত্র একটি গোলাম ছিল। আমাদের এক ব্যক্তি তাকে চপেটাঘাত করে। (এ সংবাদ অবগত হয়ে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: তোমরা তাকে মুক্ত করে দাও। তারা বলে, এই গোলাম ব্যতীত আমাদের অন্য কোন গোলাম নেই।
তখন তিনি বলেন: তবে গোলানটি তোমাদের খিদমত করে যাক যতক্ষণে তোমরা তার মুখাপেক্ষী না হও। তোমরা অভাব মুক্ত হলে তোমাদের উচিত হবে তাকে মুক্ত করে দেওয়া।
(মুসলিন, আবু দাউদ নিজ শব্দে, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণিত।)
তখন তিনি বলেন: তবে গোলানটি তোমাদের খিদমত করে যাক যতক্ষণে তোমরা তার মুখাপেক্ষী না হও। তোমরা অভাব মুক্ত হলে তোমাদের উচিত হবে তাকে মুক্ত করে দেওয়া।
(মুসলিন, আবু দাউদ নিজ শব্দে, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3456- وَعَن مُعَاوِيَة بن سُوَيْد بن مقرن قَالَ لطمت مولى لنا فَدَعَاهُ أبي وَدَعَانِي فَقَالَ اقْتصّ مِنْهُ فَإنَّا معشر بني مقرن كُنَّا سَبْعَة على عهد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَيْسَ لنا إِلَّا خَادِم فلطمها رجل منا فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أعتقوها
قَالُوا إِنَّه لَيْسَ لنا خَادِم غَيرهَا قَالَ فلتخدمهم حَتَّى يستغنوا فَإِذا استغنوا فليعتقوها
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
قَالُوا إِنَّه لَيْسَ لنا خَادِم غَيرهَا قَالَ فلتخدمهم حَتَّى يستغنوا فَإِذا استغنوا فليعتقوها
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৫৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫৭. হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছেন, যে ব্যক্তি তার গোলামকে অন্যায়ভাবে প্রহার করবে, কিয়ামতের দিন তার থেকে প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
(তাবারানীর বর্ণিত। এবং তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
(তাবারানীর বর্ণিত। এবং তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3457- وَعَن عمار بن يَاسر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ضرب مَمْلُوكه ظلما أقيد مِنْهُ يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৫৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসিম নবীয়ুত তাওবা বলেছেন: যে ব্যক্তি তার নির্দোষ গোলামের প্রতি ব্যভিচারের অপরাদ দেবে, কিয়ামতের দিন তার উপর মিথ্যা অপবাদের শাস্তি দেওয়া হবে। তবে হাঁ, যদি সে অপরাধী হয় (তাহলে ভিন্ন কথা)।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্।)
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3458- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي التَّوْبَة من قذف مَمْلُوكه بَرِيئًا مِمَّا قَالَ أقيم عَلَيْهِ الْحَد يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا أَن يكون كَمَا قَالَ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حسن صَحِيح
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حسن صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৫৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫৯. হুদায়বিয়ার শপথে অংশ গ্রহণকারী রাফি' ইবনে মুকায়স (রা) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সচ্চরিত্রবান মনিব ভাগ্যবান এবং অসচ্চরিত্রবান মনিব হতভাগ্য।
(আহমান ও আবু দাউদ (র) রাফি' ইবনে মুকায়স (রা) গোত্রের কোন এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন। তবে তিনি নবী (ﷺ) থেকে হাদীসটি শুনেননি। আবু দাউদ (র) হারিস ইবনে রাফি' ইবনে মুকায়স (রা) হতে। তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে মুরসাল সনদসূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(আহমান ও আবু দাউদ (র) রাফি' ইবনে মুকায়স (রা) গোত্রের কোন এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন। তবে তিনি নবী (ﷺ) থেকে হাদীসটি শুনেননি। আবু দাউদ (র) হারিস ইবনে রাফি' ইবনে মুকায়স (রা) হতে। তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে মুরসাল সনদসূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3459- وَعَن رَافع بن مكيث وَكَانَ مِمَّن شهد الْحُدَيْبِيَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حسن الملكة نَمَاء وَسُوء الْخلق شُؤْم
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد عَن بعض بني رَافع بن مكيث وَلم يسمعهُ عَنهُ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا عَن الْحَارِث بن رَافع بن مكيث عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مُرْسلا
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد عَن بعض بني رَافع بن مكيث وَلم يسمعهُ عَنهُ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا عَن الْحَارِث بن رَافع بن مكيث عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مُرْسلا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬০. হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অসদাচরণকারী মনিব জান্নাতে যাবে না। সাহাবায়ে কিরাম বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি আমাদের অবহিত করেননি যে, এই উম্মাতের অধিকাংশ লোক গোলাম ও ইয়াতীম। তিনি বললেনঃ হাঁ। তোমরা তাদের সাথে সদাচরণ করবে। যেরূপ তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাথে করে থাক এবং তোমরা নিজেরা যা আহার করবে, তাদের তা খেতে দেবে। তারা বলল, এতে দুনিয়াতে আমাদের কী উপকার হবে? তিনি বললেনঃ তোমরা ঘোড়ার মালিক হবে এবং তা প্রতিপালন করে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। একটি গোলামই তোমার জন্য যথেষ্ট, যদি সে সালাত কায়েম করে, তবে তোমার কাছে অধিক সদাচরণের দাবি রাখে।
(আহমাদ ও ইবনে মাজা এবং তিরমিযী বর্ণিত। তবে ইমাম তিরমিযী সংক্ষেপে বর্ণনা করেন যে, গোলামের প্রতি দুর্ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না। তিনি বলেনঃ হাদীসটি হাসান-গরীব। উল্লিখিত বর্ণনায় ফারকাদ সানজীর হিফয সম্পর্কে আইউব সুখতিয়ানী সমালোচনা করেছেন। আবু ই'আলা ও ইস্পাহানী সংক্ষেপে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ভাষাবিদগণ سيئ المملكة বলতে ঐ মনিবকে বুঝান, যে মনিব গোলামের সাথে দুর্ব্যবহার করে।)
(আহমাদ ও ইবনে মাজা এবং তিরমিযী বর্ণিত। তবে ইমাম তিরমিযী সংক্ষেপে বর্ণনা করেন যে, গোলামের প্রতি দুর্ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না। তিনি বলেনঃ হাদীসটি হাসান-গরীব। উল্লিখিত বর্ণনায় ফারকাদ সানজীর হিফয সম্পর্কে আইউব সুখতিয়ানী সমালোচনা করেছেন। আবু ই'আলা ও ইস্পাহানী সংক্ষেপে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ভাষাবিদগণ سيئ المملكة বলতে ঐ মনিবকে বুঝান, যে মনিব গোলামের সাথে দুর্ব্যবহার করে।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3460- وَعَن أبي بكر الصّديق رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يدْخل الْجنَّة
سيىء الملكة
قَالُوا يَا رَسُول الله أَلَيْسَ أخبرتنا أَن هَذِه الْأمة أَكثر الْأُمَم مملوكين ويتامى
قَالَ نعم فأكرموهم ككرامة أَوْلَادكُم وَأَطْعِمُوهُمْ مِمَّا تَأْكُلُونَ
قَالُوا فَمَا ينفعنا من الدُّنْيَا قَالَ فرس تربطه تقَاتل عَلَيْهِ فِي سَبِيل الله مملوكك يَكْفِيك فَإِذا صلى فَهُوَ أَحَق
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ مُقْتَصرا على قَوْله لَا يدْخل الْجنَّة سيىء الملكة
وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَقد تكلم أَيُّوب السّخْتِيَانِيّ فِي فرقد السبخي من قبل حفظه وَرَوَاهُ أَبُو يعلى والأصبهاني أَيْضا مُخْتَصرا وَقَالَ قَالَ أهل اللُّغَة سيىء الملكة إِذا كَانَ سيىء الصنيعة إِلَى مماليكه
سيىء الملكة
قَالُوا يَا رَسُول الله أَلَيْسَ أخبرتنا أَن هَذِه الْأمة أَكثر الْأُمَم مملوكين ويتامى
قَالَ نعم فأكرموهم ككرامة أَوْلَادكُم وَأَطْعِمُوهُمْ مِمَّا تَأْكُلُونَ
قَالُوا فَمَا ينفعنا من الدُّنْيَا قَالَ فرس تربطه تقَاتل عَلَيْهِ فِي سَبِيل الله مملوكك يَكْفِيك فَإِذا صلى فَهُوَ أَحَق
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ مُقْتَصرا على قَوْله لَا يدْخل الْجنَّة سيىء الملكة
وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَقد تكلم أَيُّوب السّخْتِيَانِيّ فِي فرقد السبخي من قبل حفظه وَرَوَاهُ أَبُو يعلى والأصبهاني أَيْضا مُخْتَصرا وَقَالَ قَالَ أهل اللُّغَة سيىء الملكة إِذا كَانَ سيىء الصنيعة إِلَى مماليكه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬১. হযরত মা'রূর ইবনে সুওয়ায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাবাযা নামক স্থানে আবু যার (রা)-কে মোটা চাদর পরহিত অবস্থায় দেখেছি এবং তার গোলামের শরীরেও অনুরূপ চাদর ছিল। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল: হে আবু যার! আপনি যদি আপনার গোলামের চাদর নিয়ে নিতেন, তাহলে একটি উত্তম চাদর হতো এবং আপনার গোলামকে এতদ্ভিন্ন অন্য একটি চাদর দিতেন, তাহলে (কতই না ভালো হতো)। তিনি রাবী বলেন, তখন আবূ যার (রা) বললেনঃ আমি একবার গোলামকে গালি দিয়েছিলাম এবং তার মা ছিল একজন অনারব। আমি তাকে তার মায়ের দিক থেকে লজ্জা দিয়েছিলাম। তখন সে আমার বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে অভিযোগ করে। তিনি বলেন, হে আবু যার! তুমি এমন ব্যক্তি যে, তোমার মধ্যে (এখনো) জাহিলী যুগের আচরণ রয়েছে। তিনি (আরও) বলেন: এরা তোমাদের (দীনী) ভাই। আল্লাহ্ এদের উপর তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। যদি তোমাদের কারো সাথে তাদের সুসম্পর্ক না হয়, তাহলে তাদের বিক্রি করে দাও এবং আল্লাহর মাখলুককে শাস্তি দিও না।।
(আবু দাউদ (র) নিজ শব্দে, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী তদনুরূপ মর্মার্থে বর্ণনা করেন। তবে তাদের বর্ণনায় আছে: তারা তোমাদের (দীনী) ভাই। আল্লাহ্ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। আল্লাহ্ যদি কাউকে তার ভাইয়ের অধীনস্থ করেন, সে যা আহার করে, যেন তা-ই তাকে আহার করায়, সে নিজে যা পরিধান করে, তাকে যেন তাই পরিধান করায়। যে কাজে সে অপরাগ, তাকে সে কাজের আদেশ না দেয়। যদি সে তাকে এমন কোন কাজের আদেশ করে যা সম্পাদনে সে সামর্থ নয়। তবে সে যেন তাকে উক্ত কাজে সাহায্য করে।)
(আবু দাউদ (র) নিজ শব্দে, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী তদনুরূপ মর্মার্থে বর্ণনা করেন। তবে তাদের বর্ণনায় আছে: তারা তোমাদের (দীনী) ভাই। আল্লাহ্ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। আল্লাহ্ যদি কাউকে তার ভাইয়ের অধীনস্থ করেন, সে যা আহার করে, যেন তা-ই তাকে আহার করায়, সে নিজে যা পরিধান করে, তাকে যেন তাই পরিধান করায়। যে কাজে সে অপরাগ, তাকে সে কাজের আদেশ না দেয়। যদি সে তাকে এমন কোন কাজের আদেশ করে যা সম্পাদনে সে সামর্থ নয়। তবে সে যেন তাকে উক্ত কাজে সাহায্য করে।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3461- وَعَن الْمَعْرُور بن سُوَيْد رَضِي الله عَنهُ قَالَ رَأَيْت أَبَا ذَر بالربذة وَعَلِيهِ برد غليظ وعَلى غُلَامه مثله
قَالَ فَقَالَ الْقَوْم يَا أَبَا ذَر لَو كنت أخذت الَّذِي على غلامك فَجَعَلته مَعَ هَذَا فَكَانَت حلَّة وكسوت غلامك ثوبا غَيره قَالَ فَقَالَ أَبُو ذَر إِنِّي كنت ساببت رجلا وَكَانَت أمه أَعْجَمِيَّة فَعَيَّرْته بِأُمِّهِ فَشَكَانِي إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا أَبَا ذَر إِنَّك امْرُؤ فِيك جَاهِلِيَّة فَقَالَ إِنَّهُم إخْوَانكُمْ فَضلكُمْ الله عَلَيْهِم فَمن لم يلائمكم فبيعوه وَلَا تعذبوا خلق الله
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَهُوَ فِي البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ بِمَعْنَاهُ إِلَّا أَنهم قَالُوا فِيهِ هم إخْوَانكُمْ جعلهم الله تَحت أَيْدِيكُم فَمن جعل الله أَخَاهُ تَحت يَده فليطعمه مِمَّا يَأْكُل وليلبسه مِمَّا يلبس وَلَا يكلفه من الْعَمَل مَا يغلبه فَإِن كلفه مَا يغلبه فليعنه عَلَيْهِ
وَاللَّفْظ للْبُخَارِيّ
قَالَ فَقَالَ الْقَوْم يَا أَبَا ذَر لَو كنت أخذت الَّذِي على غلامك فَجَعَلته مَعَ هَذَا فَكَانَت حلَّة وكسوت غلامك ثوبا غَيره قَالَ فَقَالَ أَبُو ذَر إِنِّي كنت ساببت رجلا وَكَانَت أمه أَعْجَمِيَّة فَعَيَّرْته بِأُمِّهِ فَشَكَانِي إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا أَبَا ذَر إِنَّك امْرُؤ فِيك جَاهِلِيَّة فَقَالَ إِنَّهُم إخْوَانكُمْ فَضلكُمْ الله عَلَيْهِم فَمن لم يلائمكم فبيعوه وَلَا تعذبوا خلق الله
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَهُوَ فِي البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ بِمَعْنَاهُ إِلَّا أَنهم قَالُوا فِيهِ هم إخْوَانكُمْ جعلهم الله تَحت أَيْدِيكُم فَمن جعل الله أَخَاهُ تَحت يَده فليطعمه مِمَّا يَأْكُل وليلبسه مِمَّا يلبس وَلَا يكلفه من الْعَمَل مَا يغلبه فَإِن كلفه مَا يغلبه فليعنه عَلَيْهِ
وَاللَّفْظ للْبُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬২. ইমাম তিরমিযী (র)-এর অন্য বর্ণনায় আছে, তারা তোমাদের (দীনী) ভাই। আল্লাহ্ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। কারো অধীনে যদি তার ভাই থাকে, তবে সে যা আহার করে; তাকে যেন তা-ই আহার করায়। সে যা নিজে পরিধান করে, তাকে তা-ই পরিধান করায়, যে কাজে সে অক্ষম, তাকে সে কাজ করতে দিয়ে কষ্ট দেবে না। যদি সে তাকে এমন কোন কাজের আদেশ করে, যা সম্পাদনে সে সামর্থ নয়, তবে সে যেন তাকে সাহায্য করে।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3462 - وَفِي رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي قَالَ إخْوَانكُمْ جعلهم الله فتية تَحت أَيْدِيكُم فَمن كَانَ أَخُوهُ تَحت يَده فليطعمه من طَعَامه وليلبسه من لِبَاسه وَلَا يكلفه مَا يغلبه فَإِن كلفه مَا يغلبه فليعنه عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬৩. আবু দাউদ (র)-এর অন্য বর্ণনায় আছে। তিনি (মারূর) বলেন, আমরা রাবাযা নামক স্থানে আবু যার (রা)-এর নিকট গেলাম এবং তাঁর গোলামও অনুরূপ একটি চাদর পরিহিত অবস্থায় রয়েছে। দেখলাম, তিনি একটি চাদর পরিহিত অবস্থায় রয়েছেন। তখন আমারা বললাম, হে আবু যার! যদি আপনার চাদরের সাথে গোলামের চাদরটি একত্রে করে নিতেন এবং গোলামকে অন্য একটি চাঁদর পরাতেন, তা হলে তা আরামদায়ক চাদর হতো। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। তারা (গোলাম) তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে নিয়েছেন। যার অধীনে তার ভাই থাকবে, সে যা আহার করবে, তাকে তা আহার করাবে, সে যা পরিধান করবে, তাকে তা পরিধান করাবে এবং সে (গোলাম) যে কাজে অপরাগ, তাকে এমন কাজের আদেশ দেবে না, আর যদি তাকে এরূপ কোন কাজে আদেশ কর, তাহলে সে যেন তাকে সাহায্য করে।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3463- وَفِي رِوَايَة لأبي دَاوُد عَنهُ قَالَ دَخَلنَا على أبي ذَر بالربذة فَإِذا عَلَيْهِ برد وعَلى غُلَامه مثله فَقُلْنَا يَا أَبَا ذَر لَو أخذت برد غلامك إِلَى بردك فَكَانَت حلَّة وَكسوته ثوبا غَيره قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إخْوَانكُمْ جعلهم الله تَحت أَيْدِيكُم فَمن كَانَ أَخُوهُ تَحت يَده فليطعمه مِمَّا يَأْكُل وليكسه مِمَّا يكتسي وَلَا يكلفه مَا يغلبه فَإِن كلفه مَا يغلبه فليعنه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬৪. আবু দাউদ (র)-এর অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যার গোলামের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে, সে তাকে তা-ই আহার করায় যা সে আহার করে এবং সে নিজে যা পরিধান করে, তাকে যেন তাই পরিধান করায়। আর যার সাথে তার গোলামের সুসম্পর্ক নেই, সে যেন তাকে বিক্রি করে দেয়। (সাবধান।) আল্লাহর সৃষ্টি জীবকে শাস্তি দিও না।
হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: আবূ যার (রা) যাকে লজ্জা দিয়েছিলেন, তিনি হলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মু'আযযিন বিলাল ইবনে রাবাহ্ (রা)।
হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: আবূ যার (রা) যাকে লজ্জা দিয়েছিলেন, তিনি হলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মু'আযযিন বিলাল ইবনে রাবাহ্ (রা)।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3464- وَفِي أُخْرَى لَهُ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لاءمكم من مملوكيكم فَأَطْعِمُوهُمْ مِمَّا تَأْكُلُونَ وَاكْسُوهُمْ مِمَّا تلبسُونَ وَمن لم يلائمكم مِنْهُم فبيعوه وَلَا تعذبوا خلق الله
قَالَ الْحَافِظ الرجل الَّذِي عيره أَبُو ذَر هُوَ بِلَال بن رَبَاح مُؤذن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
قَالَ الْحَافِظ الرجل الَّذِي عيره أَبُو ذَر هُوَ بِلَال بن رَبَاح مُؤذن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬৫. হযরত যায়িদ ইবনে হারিসা (রা) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: সাবধান! সাবধান! তোমাদের গোলাম তোমাদের গোলাম, তোমরা যা আহার করবে, তাদের তা আহার করাবে, তোমরা যা পরিধান করবে, তাদের তা পরিধান করাবে এবং তারা যদি এমন অপরাধ করে, যা তোমাদের নিকট অমার্জনীয়, তাহলে তাদের বিক্রি করে দেবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ! তাদের শাস্তি দেবে না।
(আহমাদ ও তাবারানী (র) আসিম ইবনে উবায়দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন। কোন কোন রাবী অন্য দিকে সম্পর্কিত করেন। তিরমিযী ও হাকিম বিশ্বস্ত সনদ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুতাবা'আত বর্ণিত হওয়ায় কোন অসুবিধা নেই।)
(আহমাদ ও তাবারানী (র) আসিম ইবনে উবায়দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন। কোন কোন রাবী অন্য দিকে সম্পর্কিত করেন। তিরমিযী ও হাকিম বিশ্বস্ত সনদ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুতাবা'আত বর্ণিত হওয়ায় কোন অসুবিধা নেই।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3465- وَعَن زيد بن حَارِثَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ فِي حجَّة الْوَدَاع أَرِقَّاءَكُم أَرِقَّاءَكُم أطعموهم مِمَّا تَأْكُلُونَ وَاكْسُوهُمْ مِمَّا تلبسُونَ فَإِن جاؤوا بذنب لَا تُرِيدُونَ أَن تغفروه فبيعوا عباد الله وَلَا تعذبوهم
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة عَاصِم بن عبيد الله وَقد مَشاهُ بَعضهم وَصحح لَهُ التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَلَا يضر فِي المتابعات
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة عَاصِم بن عبيد الله وَقد مَشاهُ بَعضهم وَصحح لَهُ التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَلَا يضر فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬৬. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) গোলামের ব্যাপারে বলেছেন: গোলাম যদি তোমাদের সাথে সদাচরণ করে, তবে তাদের গ্রহণ কর, আর যদি আসদাচরণ করে তবে ক্ষমা করে দাও। যদি অন্যায়ে সীমা অতিক্রিম করে, তবে তাদের বিক্রি করে দাও।
(বাযযার ও আসিম হতে বর্ণিত।)
(বাযযার ও আসিম হতে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3466- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي العبيد إِن أَحْسنُوا فاقبلوا وَإِن أساؤوا فاعفوا وَإِن غلبوكم فبيعوا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَفِيه عَاصِم أَيْضا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَفِيه عَاصِم أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬৭. হযরত হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: বকরী তার মালিকের জন্য কল্যাণ, উট তার মালিকের জন্য সম্মান, ঘোড়ার ললাটে মঙ্গল অবধারিত। গোলাম, সে তো তোমার ভাই। তার সাথে সদাচরণ কর। কোন কাজে তাকে অপরাগ মনে করলে তাকে সাহায্য করবে।
(ইস্পাহানী বর্ণিত।)
(ইস্পাহানী বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3467- وَرُوِيَ عَن حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْغنم بركَة على أَهلهَا وَالْإِبِل عز لأَهْلهَا وَالْخَيْل مَعْقُود فِي نَوَاصِيهَا الْخَيْر وَالْعَبْد أَخُوك فَأحْسن إِلَيْهِ وَإِن رَأَيْته مَغْلُوبًا فأعنه
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। (মনিবের পক্ষ থেকে) দাস-দাসীর জন্য খাদ্য, পানীয় ও বস্ত্র সংস্থান করা অপরিহার্য। তাদের সাধ্যের বাইরে কাজের আদেশ করা উচিত নয়। যদি সাধ্যাতীত কাজের আদেশ কর, তবে তাদের সহযোগিতা করবে। আল্লাহর বান্দাগণ, তোমরা তাদের শাস্তি দিও না, যেহেতু তারা তোমাদেরই মত।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণত। মুসলিম (র) সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।)
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণত। মুসলিম (র) সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3468- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ للمملوك طَعَامه وَشَرَابه وَكسوته وَلَا يُكَلف إِلَّا مَا يُطيق فَإِن كلفْتُمُوهُمْ فَأَعِينُوهُمْ وَلَا تعذبوا عباد الله خلقا أمثالكم
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَهُوَ فِي مُسلم بِاخْتِصَار
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَهُوَ فِي مُسلم بِاخْتِصَار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৬৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৬৯. হযরত উমার ইবনে হুরায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: তুমি তোমার দাস-দাসীর উপর কাজের চাপ যতটুকু হালকা করবে (কিয়ামতের দিন) মীযানের পাল্লায় তোমার সাওয়াব ততটুকু ভারী করা হবে।
(আবু ই'আলা, ইবনে হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ ইবনে মুঈন (র) বলেছেন: হযরত উমার ইবনে হুরায়স (রা) রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাক্ষাত পাননি। তবে জমহুরের অভিমত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। কারো কারো মতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের সময় আমর ইবনে হুরায়স বারো বছরের বালক ছিলেন। তিনি হযরত আবু বকর, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) ও অন্যান্য সাহাবীদের থেকে হাদীস বর্ণনা করেন।)
(আবু ই'আলা, ইবনে হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ ইবনে মুঈন (র) বলেছেন: হযরত উমার ইবনে হুরায়স (রা) রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাক্ষাত পাননি। তবে জমহুরের অভিমত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। কারো কারো মতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের সময় আমর ইবনে হুরায়স বারো বছরের বালক ছিলেন। তিনি হযরত আবু বকর, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) ও অন্যান্য সাহাবীদের থেকে হাদীস বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3469- وَعَن عَمْرو بن حُرَيْث رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا خففت على خادمك من عمله كَانَ لَك أجرا فِي موازينك
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ الْحَافِظ وَعَمْرو بن حُرَيْث قَالَ ابْن معِين لم ير النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُور أَن لَهُ صُحْبَة وَقيل قبض النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ ابْن اثْنَتَيْ عشرَة سنة
وروى عَن أبي بكر وَابْن مَسْعُود وَغَيرهم من الصَّحَابَة
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ الْحَافِظ وَعَمْرو بن حُرَيْث قَالَ ابْن معِين لم ير النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُور أَن لَهُ صُحْبَة وَقيل قبض النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ ابْن اثْنَتَيْ عشرَة سنة
وروى عَن أبي بكر وَابْن مَسْعُود وَغَيرهم من الصَّحَابَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭০. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সর্বশেষ বাণী ছিল, আস্ সালাত, আস-সালাত এবং তোমরা তোমাদের অধীনস্থ (দাস-দাসী)-দের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে।
(আবু দাউদ ও ইবনে মাজা বর্ণিত। তবে ইবনে মাজা শরীফে الصلاة وما ملكت أيمانكم (সালাত এবং তোমাদের অধীনস্থগণ) রয়েছে।)
(আবু দাউদ ও ইবনে মাজা বর্ণিত। তবে ইবনে মাজা শরীফে الصلاة وما ملكت أيمانكم (সালাত এবং তোমাদের অধীনস্থগণ) রয়েছে।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3470- وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ آخر كَلَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الصَّلَاة الصَّلَاة اتَّقوا الله فِيمَا ملكت أَيْمَانكُم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه إِلَّا أَنه قَالَ الصَّلَاة وَمَا ملكت أَيْمَانكُم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه إِلَّا أَنه قَالَ الصَّلَاة وَمَا ملكت أَيْمَانكُم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭১. ইবনে মাজা ও অন্যান্যগণ হযরত উম্মু সালমা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) অন্তিম শয্যায় বলেছিলেন। সালাত এবং তোমাদের অধীনস্থ দাস-দাসী। এ কথা বলতে বলতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3471- وروى ابْن مَاجَه وَغَيره عَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَقُول فِي مَرضه الَّذِي توفّي فِيهِ الصَّلَاة وَمَا ملكت أَيْمَانكُم فَمَا زَالَ يَقُولهَا حَتَّى مَا يفِيض لِسَانه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭২. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। একদা তার কাছে তার প্রতিনিধি এলো। তিনি তাকে বললেন, তুমি কি গোলামদের খাবার দিয়েছ? সে বলল না। তিনি বললেন, তুমি চলে যাও এবং তাদের আহার করাও। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির গোলামের খাদ্য বন্ধ রাখা গুনাহর জন্য যথেষ্ট।
(মুসলিম বর্ণিত।)
(মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3472- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا وجاءه قهرمان لَهُ فَقَالَ لَهُ أَعْطَيْت الرَّقِيق قوتهم قَالَ لَا قَالَ فَانْطَلق فأعطهم قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كفى إِثْمًا أَن تحبس عَمَّن تملك قوتهم
رَوَاهُ مُسلم
رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭৩. হযরত কা'ব ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের নবীর (ﷺ) সংগে তার ইন্তিকালের পাঁচ দিন পূর্বে নীতির উপর আমার অঙ্গীকার ছিল। এ সময় আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক নবীরই তাঁর উম্মাত থেকে একজন বিশেষ বন্ধু ছিল, আর (আমার উম্মাতের মধ্যে) আবূ বাকর ইবনে আবু কুহাফা (রা) আমার বিশেষ বন্ধু। আল্লাহ্ তোমাদের নবীকে বন্ধু হিসেবে বরণ করেছেন। সাবধান! তোমাদের পূর্বের উম্মাত (নবীদের ইন্তিকালের পরে) তাঁদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছিল। আমি তোমাদেরকে তা করতে নিষেধ করছি। হে আল্লাহ্! আমি কি দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছি? এই বাক্যটি তিনি তিনবার বলেন, এরপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থাক এই বাক্যটি তিনি তিনবার বলেন, এরপর কিছুক্ষণ তিনি বেঁহুশ অবস্থায় ছিলেন। পরে তিনি বলেনঃ তোমাদের অধীনস্থদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা তাদের উদর পুরে আহার করাবে এবং তাদের পরিধেয়ের ব্যবস্থা করবে ও তাদের সাথে সুমিষ্ট কথা বলবে।
(তাবারানী (র) আবদুল্লাহ্ ইবনে যাহর হতে, তিনি আলী ইবনে ইয়াযীদ (র) সূত্রে বর্ণনা করেন। তাবারানী উভয়কে বিশ্বস্ত মনে করেন এবং তাদের মুতাবা'আত ত্রুটি মুক্ত।)
(তাবারানী (র) আবদুল্লাহ্ ইবনে যাহর হতে, তিনি আলী ইবনে ইয়াযীদ (র) সূত্রে বর্ণনা করেন। তাবারানী উভয়কে বিশ্বস্ত মনে করেন এবং তাদের মুতাবা'আত ত্রুটি মুক্ত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3473- وَعَن كَعْب بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ عهدي بنبيكم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قبل وَفَاته بِخمْس لَيَال فَسَمعته يَقُول لم يكن نَبِي إِلَّا وَله خَلِيل من أمته وَإِن خليلي أَبُو بكر بن أبي قُحَافَة وَإِن الله اتخذ صَاحبكُم خَلِيلًا أَلا وَإِن الْأُمَم من قبلكُمْ كَانُوا يتخذون قُبُور أَنْبِيَائهمْ مَسَاجِد وَإِنِّي أنهاكم عَن ذَلِك اللَّهُمَّ هَل بلغت ثَلَاث مَرَّات ثمَّ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ثَلَاث مَرَّات وأغمي عَلَيْهِ هنيهة ثمَّ قَالَ الله الله فِيمَا ملكت أَيْمَانكُم أشبعوا بطونهم واكسوا ظُهُورهمْ وألينوا القَوْل لَهُم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من طَرِيق عبد الله بن زحر عَن عَليّ بن يزِيد وَقد وثقا وَلَا بَأْس بهما فِي المتابعات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من طَرِيق عبد الله بن زحر عَن عَليّ بن يزِيد وَقد وثقا وَلَا بَأْس بهما فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭৪. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, আমি খাদেমকে কতবার ক্ষমা করব? তিনি বললেন: দৈনিক সত্তরবার।
আবূ দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান গরীব। তিরমিযী (র) কোন কোন নোসখায় বর্ণিত আছে: হাসান-সহীহ এবং আবু ই'আলা ইবনে উমার (রা) থেকে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।
(ইমাম তিরমিযী (র)-এর অনুরূপ একটি বর্ণনা আছে: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, আমার খাদেম আমাকে গালাগাল করে, যুলুম করে এমতাবস্থায় আমি কি তাকে প্রহার করব? তিনি বললেন: তুমি তাকে দৈনিক সত্তরবার ক্ষমা করবে।
(হাফিয মুনযিরী (র) বলেন): অনুরূপ আবদুল্লাহ ইবনে আমর সূত্রে এই হাদীসটি আমার জানা আছে। আবু দাউদ (র)-এর কোন কোন নোসখায় হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। ইমাম বুখারী (র) অনুরূপ তাঁর তারীখ গ্রন্থে আব্বাস ইবনে জালীদ সূত্রে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ'স (রা) থেকে বর্ণনা করেন। বুখারীর অপর একটি বর্ণনা আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রা) থেকেও রয়েছে। আমীর আবু নাসর উল্লেখ করেন যে, আব্বাস ইবনে কালীদ উভয় থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন, যে রূপ ইমাম বুখারী (র) উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ইবনে ইউনুস তারীখে মিসর গ্রন্থে এবং ইবনে আবু হাকিম (র) তাঁর বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনে আমরের কথা উল্লেখ করেন নি। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
আবূ দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান গরীব। তিরমিযী (র) কোন কোন নোসখায় বর্ণিত আছে: হাসান-সহীহ এবং আবু ই'আলা ইবনে উমার (রা) থেকে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।
(ইমাম তিরমিযী (র)-এর অনুরূপ একটি বর্ণনা আছে: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, আমার খাদেম আমাকে গালাগাল করে, যুলুম করে এমতাবস্থায় আমি কি তাকে প্রহার করব? তিনি বললেন: তুমি তাকে দৈনিক সত্তরবার ক্ষমা করবে।
(হাফিয মুনযিরী (র) বলেন): অনুরূপ আবদুল্লাহ ইবনে আমর সূত্রে এই হাদীসটি আমার জানা আছে। আবু দাউদ (র)-এর কোন কোন নোসখায় হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। ইমাম বুখারী (র) অনুরূপ তাঁর তারীখ গ্রন্থে আব্বাস ইবনে জালীদ সূত্রে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ'স (রা) থেকে বর্ণনা করেন। বুখারীর অপর একটি বর্ণনা আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রা) থেকেও রয়েছে। আমীর আবু নাসর উল্লেখ করেন যে, আব্বাস ইবনে কালীদ উভয় থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন, যে রূপ ইমাম বুখারী (র) উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ইবনে ইউনুস তারীখে মিসর গ্রন্থে এবং ইবনে আবু হাকিম (র) তাঁর বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনে আমরের কথা উল্লেখ করেন নি। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3474- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله كم أعفو عَن الْخَادِم قَالَ كل يَوْم سبعين مرّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَفِي بعض النّسخ حسن صَحِيح وروى أَبُو يعلى بِإِسْنَاد جيد عَنهُ وَهُوَ رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي أَن رجلا أَتَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِن خادمي يسيء وَيظْلم أَفَأَضْرِبهُ قَالَ تَعْفُو عَنهُ كل يَوْم سبعين مرّة
قَالَ الْحَافِظ كَذَا وَقع فِي سَمَاعنَا عبد الله بن عمر وَفِي بعض نسخ أبي دَاوُد عبد الله بن عَمْرو وَقد أخرجه البُخَارِيّ فِي تَارِيخه من حَدِيث عَبَّاس بن جليد عَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ وَمن حَدِيثه أَيْضا عَن عبد الله بن عمر وَقَالَ التِّرْمِذِيّ روى بَعضهم هَذَا الحَدِيث بِهَذَا الْإِسْنَاد وَقَالَ عَن عبد الله بن عَمْرو وَذكر الْأَمِير أَبُو نصر أَن عَبَّاس بن جليد يروي عَنْهُمَا كَمَا ذكره البُخَارِيّ وَلم يذكر ابْن يُونُس فِي تَارِيخ مصر وَلَا ابْن أبي حَاتِم رِوَايَته عَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ وَالله أعلم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَفِي بعض النّسخ حسن صَحِيح وروى أَبُو يعلى بِإِسْنَاد جيد عَنهُ وَهُوَ رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي أَن رجلا أَتَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِن خادمي يسيء وَيظْلم أَفَأَضْرِبهُ قَالَ تَعْفُو عَنهُ كل يَوْم سبعين مرّة
قَالَ الْحَافِظ كَذَا وَقع فِي سَمَاعنَا عبد الله بن عمر وَفِي بعض نسخ أبي دَاوُد عبد الله بن عَمْرو وَقد أخرجه البُخَارِيّ فِي تَارِيخه من حَدِيث عَبَّاس بن جليد عَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ وَمن حَدِيثه أَيْضا عَن عبد الله بن عمر وَقَالَ التِّرْمِذِيّ روى بَعضهم هَذَا الحَدِيث بِهَذَا الْإِسْنَاد وَقَالَ عَن عبد الله بن عَمْرو وَذكر الْأَمِير أَبُو نصر أَن عَبَّاس بن جليد يروي عَنْهُمَا كَمَا ذكره البُخَارِيّ وَلم يذكر ابْن يُونُس فِي تَارِيخ مصر وَلَا ابْن أبي حَاتِم رِوَايَته عَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এসে তাঁর সামনে বসে বলল, আমার দু'টি গোলাম আমাকে মিথ্যুক বলে, আমার সম্পদ আত্মসাৎ করে, আমার অবাধ্য, আমি তাদের গালি দেই এবং প্রহার করি (শরী'আতে আমার বিধান কিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জবাবে বললেন: কিয়ামতের দিন গোলামরা যে পরিমাণ আত্মসাৎ করেছে, অবাধ্য হয়েছে তোমাকে মিথ্যবাদী বলেছে তার হিসাব নেওয়া হবে এবং তাদের উপকারও হবে না এবং ক্ষতিও হবে না। আর যদি তোমার শাস্তি তাদের প্রতি অপরাধের তুলনায় বেশী হয়, তাহলে তোমার থেকে অতিরিক্ত শাস্তির প্রতিশোধ নেয়া হবে। লোকটি সরে দাঁড়াল এবং কান্না রত অবস্থায় পরিতাপ করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি আল্লাহর বাণী (কুরআন মজীদ) পাঠ করনি যে,
وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَى بِنَا حَاسِبِينَ
"কিয়ামতের দিন আমি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি অবিচার করা হবে না এবং কাজ যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয়, তবুও তা আমি উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আমিই যথেষ্ট।" (সূরা আম্বিয়া: ৪৭) লোকটি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তাদের বিচ্ছিন্ন করার মধ্যে আমার ও তাদের কল্যাণ দেখি না। আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি, তারা সকলেই মুক্ত।
আহমাদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি গরীব। যেহেতু আবদুর রহমান ইবনে গাযওয়ানের সূত্র ব্যতীত আমি হাদীসটি জানি না। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র) আবদুর রহমান ইবনে গাযওয়ান থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
(হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ আবদুর রহমান বিশ্বস্ত, ইমাম বুখারী (র) দলীলরূপে তাঁর হাদীস গ্রহণ করেছেন। বর্ণনা সূত্রে সকল রাবী বুখারী ও মুসলিমের নিকট প্রশংসা। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।
وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَى بِنَا حَاسِبِينَ
"কিয়ামতের দিন আমি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি অবিচার করা হবে না এবং কাজ যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয়, তবুও তা আমি উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আমিই যথেষ্ট।" (সূরা আম্বিয়া: ৪৭) লোকটি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তাদের বিচ্ছিন্ন করার মধ্যে আমার ও তাদের কল্যাণ দেখি না। আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি, তারা সকলেই মুক্ত।
আহমাদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি গরীব। যেহেতু আবদুর রহমান ইবনে গাযওয়ানের সূত্র ব্যতীত আমি হাদীসটি জানি না। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র) আবদুর রহমান ইবনে গাযওয়ান থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
(হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ আবদুর রহমান বিশ্বস্ত, ইমাম বুখারী (র) দলীলরূপে তাঁর হাদীস গ্রহণ করেছেন। বর্ণনা সূত্রে সকল রাবী বুখারী ও মুসলিমের নিকট প্রশংসা। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3475- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت جَاءَ رجل فَقعدَ بَين يَدي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِن لي مملوكين يكذبونني ويخونونني ويعصونني وأشتمهم وأضربهم فَكيف أَنا مِنْهُم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يحْسب مَا خانوك وعصوك وكذبوك وعقابك إيَّاهُم بِقدر ذنوبهم كَانَ كفافا لَا لَك وَلَا عَلَيْك وَإِن كَانَ عقابك إيَّاهُم فَوق ذنوبهم اقْتصّ لَهُم مِنْك الْفضل فَتنحّى الرجل وَجعل يَهْتِف ويبكي فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما تقْرَأ قَول الله وَنَضَع الموازين الْقسْط ليَوْم الْقِيَامَة فَلَا تظلم نفس شَيْئا وَإِن كَانَ مِثْقَال حَبَّة من خَرْدَل أَتَيْنَا بهَا وَكفى بِنَا حاسبين الْأَنْبِيَاء 74
فَقَالَ الرجل يَا رَسُول الله مَا أجد لي ولهؤلاء خيرا من مفارقتهم أشهدك أَنهم كلهم أَحْرَار
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان وَقد روى أَحْمد بن حَنْبَل عَن عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان هَذَا الحَدِيث
قَالَ الْحَافِظ عبد الرَّحْمَن هَذَا ثِقَة احْتج بِهِ البُخَارِيّ وَبَقِيَّة رجال أَحْمد وثقهم البُخَارِيّ وَمُسلم وَالله أعلم
فَقَالَ الرجل يَا رَسُول الله مَا أجد لي ولهؤلاء خيرا من مفارقتهم أشهدك أَنهم كلهم أَحْرَار
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان وَقد روى أَحْمد بن حَنْبَل عَن عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان هَذَا الحَدِيث
قَالَ الْحَافِظ عبد الرَّحْمَن هَذَا ثِقَة احْتج بِهِ البُخَارِيّ وَبَقِيَّة رجال أَحْمد وثقهم البُخَارِيّ وَمُسلم وَالله أعلم
তাহকীক: