আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯৬ টি
হাদীস নং: ৩৪৭৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি কাউকে অন্যায়ভাবে একটি বেত্রাঘাতও করবে, কিয়ামতের দিন তারও প্রতিশোধ নেয়া হবে।
(বাযযার ও তাবারানী উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(বাযযার ও তাবারানী উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3476- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ضرب سَوْطًا ظلما اقْتصّ مِنْهُ يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭৭. হযরত উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার ঘরে ছিলেন। তাঁর হাতে একটি মিসওয়াক ছিল। তখন তিনি তাঁর ও উম্মু সালামার খাদেমকে ডেকে পাঠান। (দেরীতে আসায়) তাঁর চেহারায় ক্রোধের চিহ্ন ফুটে উঠল এবং তার খোঁজে উম্মু সালামা (রা) বিভিন্ন হুজরা ঘুরেন। তিনি তাকে (খাদেম) একটি ভেড়ার বাচ্চার সাথে খেলাধূলারত অবস্থায় পেয়ে বললেন: তোমাকে ভেড়ার বাচ্চার সাথে খেলাধুলা করতে দেখছি অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাকে ডাকছেন। খাদেম বলল, (হে আল্লাহর রাসূল!) আল্লাহর শপথ, আমি আপনার আহ্বান শুনিনি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি প্রতিশোধের ভয় না হত, তবে অবশ্যই আমি এই মিসওয়াক দ্বারা তোমাকে প্রহার করতাম।
(আহমাদ বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করেন, তবে এর একটি সূত্র উত্তম। উল্লিখিত হাদীসটি তার শব্দে বর্ণিত। ইমাম তাবারানী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
(আহমাদ বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করেন, তবে এর একটি সূত্র উত্তম। উল্লিখিত হাদীসটি তার শব্দে বর্ণিত। ইমাম তাবারানী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3477- وَعَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي بَيْتِي وَكَانَ بِيَدِهِ سواك فَدَعَا وصيفة لَهُ أَو لَهَا حَتَّى استبان الْغَضَب فِي وَجهه وَخرجت أم سَلمَة إِلَى الحجرات فَوجدت الوصيفة وَهِي تلعب ببهمة فَقَالَت أَلا أَرَاك تلعبين بِهَذِهِ البهمة وَرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَدْعُوك فَقَالَت لَا وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ مَا سَمِعتك فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَوْلَا خشيَة الْقود لأوجعتك بِهَذَا السِّوَاك
رَوَاهُ أَحْمد بأسانيد أَحدهَا جيد وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِنَحْوِهِ
رَوَاهُ أَحْمد بأسانيد أَحدهَا جيد وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِنَحْوِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭৮. হযরত হিশাম ইবনে হাকিম ইবনে হিযাম (র) থেকে বর্ণিত। একবার তিনি সিরিয়ার একদল কৃষকের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। তিনি দেখলেন, কিছু লোককে প্রখর রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের মাথায় যায়তুনের তেল ঢালা হচ্ছে। তিনি এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন বলা হল: তাদেরকে কর আনাদায়ের কারণে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
অন্য বর্ণনায় আছে, জিযিয়া অনাদায়ের কারণে এদের বন্দী করা হয়েছে। হিশাম (র) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যারা দুনিয়াতে মানুষকে শাস্তি দেয়, (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ্ তাদের শাস্তি দেবেন। এরপর তিনি আমীরের নিকট যেয়ে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আমীর হাদীস শুনে তাদের সকলকে মুক্তিদানের নির্দেশ দেন।
(মুসলিম আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণিত।
انباط অনারব কৃষক। তারা বাতায়িহ ও ইরাকের মধ্যবর্তীস্থানে বসবাস করত।)
অন্য বর্ণনায় আছে, জিযিয়া অনাদায়ের কারণে এদের বন্দী করা হয়েছে। হিশাম (র) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যারা দুনিয়াতে মানুষকে শাস্তি দেয়, (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ্ তাদের শাস্তি দেবেন। এরপর তিনি আমীরের নিকট যেয়ে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আমীর হাদীস শুনে তাদের সকলকে মুক্তিদানের নির্দেশ দেন।
(মুসলিম আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণিত।
انباط অনারব কৃষক। তারা বাতায়িহ ও ইরাকের মধ্যবর্তীস্থানে বসবাস করত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3478- وَعَن هِشَام بن حَكِيم بن حزَام رَضِي الله عَنهُ أَنه مر بِالشَّام على أنَاس من الأنباط وَقد أقِيمُوا فِي الشَّمْس وصب على رؤوسهم الزَّيْت فَقَالَ مَا هَذَا قيل يُعَذبُونَ فِي الْخراج
وَفِي رِوَايَة حبسوا فِي الْجِزْيَة فَقَالَ هِشَام أشهد لسمعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الله يعذب الَّذين يُعَذبُونَ النَّاس فِي الدُّنْيَا فَدخل على الْأَمِير فحدثه فَأمر بهم فَخلوا
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
الأنباط فلاحون من الْعَجم ينزلون بالبطائح بَين العراقين
وَفِي رِوَايَة حبسوا فِي الْجِزْيَة فَقَالَ هِشَام أشهد لسمعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الله يعذب الَّذين يُعَذبُونَ النَّاس فِي الدُّنْيَا فَدخل على الْأَمِير فحدثه فَأمر بهم فَخلوا
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
الأنباط فلاحون من الْعَجم ينزلون بالبطائح بَين العراقين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৭৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৭৯. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তিনটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, আল্লাহর অনুগ্রহ তাকে পরিবেষ্টন করে রাখবে এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তা হল : ১. দুর্বলের প্রতি সদয়, ২. পিতামাতার প্রতি সহনশীল হওয়া এবং ৩. গোলামের প্রতি দয়া করা।
(তিরমিযী বর্ণিত, ইমাম তিরমিযী (র) বলেন হাদীসটি গরীব।)
(তিরমিযী বর্ণিত, ইমাম তিরমিযী (র) বলেন হাদীসটি গরীব।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3479- وَرُوِيَ عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاث من كن فِيهِ نشر الله عَلَيْهِ كنفه وَأدْخلهُ جنته رفق بالضعيف وشفقة على الْوَالِدين وإحسان إِلَى الْمَمْلُوك
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
فصل
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
فصل
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩৪৮০. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) একবার মুখে দাগ বসানো একটি গাধার কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করেন। তখন তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার মুখে দাগ বসিয়েছে, তার প্রতি আল্লাহর লা'নত।
(মুসলিম বর্ণিত। তার অন্য বর্ণনায় আছে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) চেহারায় প্রহার করতে এবং চতুষ্পদ জন্তুর মুখে দাগ দিতে নিষেধ করেছেন। উক্ত হাদীসটি তাবারানী সংক্ষেপে উত্তম বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি চতুষ্পদ জন্তুর চেহারায় দাগ দেয়, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার প্রতি লা'নত করেছেন।)
(মুসলিম বর্ণিত। তার অন্য বর্ণনায় আছে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) চেহারায় প্রহার করতে এবং চতুষ্পদ জন্তুর মুখে দাগ দিতে নিষেধ করেছেন। উক্ত হাদীসটি তাবারানী সংক্ষেপে উত্তম বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি চতুষ্পদ জন্তুর চেহারায় দাগ দেয়, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার প্রতি লা'নত করেছেন।)
كتاب القضاء
فصل
3480- عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر على حمَار قد وسم فِي وَجهه فَقَالَ لعن الله الَّذِي وسمه
رَوَاهُ مُسلم
وَفِي رِوَايَة لَهُ نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن الضَّرْب فِي الْوَجْه وَعَن الوسم فِي الْوَجْه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد مُخْتَصرا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لعن من يسم فِي الْوَجْه
رَوَاهُ مُسلم
وَفِي رِوَايَة لَهُ نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن الضَّرْب فِي الْوَجْه وَعَن الوسم فِي الْوَجْه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد مُخْتَصرا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لعن من يسم فِي الْوَجْه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩৪৮১. বনী গায়লান ইবনে জুনাদা গোত্রীয় জুনাদা ইবনে জাবাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নাকে দাগ বিশিষ্ট একটি উট নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এলাম। তা দেখে তিনি আমাকে বললেনঃ হে জুনাদা! দাগ দেয়ার জন্য তুমি তার চেহারা ব্যতীত অন্য অঙ্গ পেলে না? সাবধান! সামনে তোমার প্রতিশোধ আছে। (জুনাদা বলেন) ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি উটটি আপনাকে দান করলাম।
(তাবারানী সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
فصل
3481- وَعَن جُنَادَة بن جَرَادَة أحد بني غيلَان بن جُنَادَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ أتيت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِإِبِل قد وسمتها فِي أنفها فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا جُنَادَة فَمَا وجدت عضوا تسمه إِلَّا فِي الْوَجْه
أما إِن أمامك الْقصاص
فَقَالَ أمرهَا إِلَيْك يَا رَسُول الله الحَدِيث
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
أما إِن أمامك الْقصاص
فَقَالَ أمرهَا إِلَيْك يَا رَسُول الله الحَدِيث
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩৪৮২. হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি গাধা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করছিল, যার মুখ রক্তে রঞ্চিত ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি এ কাজ করেছে, তার প্রতি আল্লাহর লা'নত। এরপর তিনি চতুষ্পদ জন্তুর চেহারা ছিদ্র করা, হাতে ও মুখে প্রহার করতে নিষেধ করেন।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে এবং ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি সহীহ্। চেহারায় দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ এ পর্যায়ে অনেক হাদীস রয়েছে।)
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে এবং ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি সহীহ্। চেহারায় দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ এ পর্যায়ে অনেক হাদীস রয়েছে।)
كتاب القضاء
فصل
3482- وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ مر حمَار برَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قد كوي فِي وَجهه يفور منخراه من دم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لعن الله من فعل هَذَا ثمَّ نهى عَن الكي فِي الْوَجْه وَالضَّرْب فِي الْوَجْه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ مُخْتَصرا وَصَححهُ وَالْأَحَادِيث فِي النَّهْي عَن الكي فِي الْوَجْه كَثِيرَة
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ مُخْتَصرا وَصَححهُ وَالْأَحَادِيث فِي النَّهْي عَن الكي فِي الْوَجْه كَثِيرَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ রাষ্ট্রীয় কাজে সৎলোককে মন্ত্রী ও ভালো লোককে অন্তরঙ্গ বন্ধু নিয়োগ করার ব্যাপারে নেতা ও অন্যান্যদের প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৪৮৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ যখন কোন নেতার কল্যাণ কামনা করেন, তখন তার জন্য সৎলোককে মন্ত্রী নিয়োগ করেন। আমীর যখন কিছু ভুলে যায়, তখন সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, আর যখন সে স্মরণ করিয়ে দেয়, তখন সে তাকে সাহায্য করে। যখন আল্লাহ তার বিপরীত ইচ্ছা করেন, তখন তার জন্য অসৎ মন্ত্রী নিয়োগ করেন। যদি সে ভুলে যায়, তবে সে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং সে যদি ভুলে যায়, তবে সে তাকে সাহায্য করে না।
(আবু দাউদ, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ ও নাসাঈ বর্ণিত। নাসাঈর শব্দমালা হল এই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ যখন কাউকে কোন কাজের দায়িত্ব দেন, তখন আল্লাহ্ তার কল্যাণ কামনা করেন এবং তার জন্য সৎলোককে মন্ত্রী নিয়োগ করে দেন। যদি সে ভুলে যায়, তবে সে স্মরণ করিয়ে দেয়, আর যদি তার স্মরণ না হয়, তবে সে তাকে সাহায্য করে।)
(আবু দাউদ, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ ও নাসাঈ বর্ণিত। নাসাঈর শব্দমালা হল এই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ যখন কাউকে কোন কাজের দায়িত্ব দেন, তখন আল্লাহ্ তার কল্যাণ কামনা করেন এবং তার জন্য সৎলোককে মন্ত্রী নিয়োগ করে দেন। যদি সে ভুলে যায়, তবে সে স্মরণ করিয়ে দেয়, আর যদি তার স্মরণ না হয়, তবে সে তাকে সাহায্য করে।)
كتاب القضاء
ترغيب الإِمَام وَغَيره من وُلَاة الْأُمُور فِي اتِّخَاذ وَزِير صَالح وبطانة حَسَنَة
3483- عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا أَرَادَ الله بالأمير خيرا جعل لَهُ وَزِير صدق إِن نسي ذكره وَإِن ذكر أَعَانَهُ وَإِذا أَرَادَ الله بِهِ غير ذَلِك جعل لَهُ وَزِير سوء إِن نسي لم يذكرهُ وَإِن ذكر لم يعنه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ولي مِنْكُم عملا فَأَرَادَ الله بِهِ خيرا جعل لَهُ وزيرا صَالحا إِن نسي ذكره وَإِن ذكر أَعَانَهُ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ولي مِنْكُم عملا فَأَرَادَ الله بِهِ خيرا جعل لَهُ وزيرا صَالحا إِن نسي ذكره وَإِن ذكر أَعَانَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ রাষ্ট্রীয় কাজে সৎলোককে মন্ত্রী ও ভালো লোককে অন্তরঙ্গ বন্ধু নিয়োগ করার ব্যাপারে নেতা ও অন্যান্যদের প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৪৮৪. হযরত আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহর চিরন্তন বিধান হল এইঃ আল্লাহ যখন কোন নবী প্রেরণ করেন অথবা কাউকে খলীফা নিযুক্ত করেন, তখন তার জন্য দুই প্রকারের অন্তরঙ্গ বন্ধু নির্ধারণ করেন। একদল বন্ধু তাকে সৎকাজের আদেশ দেয় এবং তাকে উৎসাহ দেয় আর অপর দল অন্যায় কজের নির্দেশ করে এবং সে কাজের প্রতি তাকে অনুপ্রাণিত করে। আল্লাহ্ যাকে রক্ষা করেন, সেই কেবল রক্ষা পায়।
(বুখারী (র) নিজ শব্দে বর্ণনা করেছেন।
নাসাঈ (র) উক্ত হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে একক সূত্রে নিম্নোক্ত শব্দযোগে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: "প্রত্যেক শাসকেরই দু'জন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকে। তাদের একজন সৎকাজের আদেশ দেয় এবং অসৎকাজ থেকে বিরত রাখে। এবং অপর বন্ধু তার ধ্বংস কামনায়, কার্পণ্য করে না। যে ব্যক্তি তার অনিষ্ট হতে রক্ষা পায়, সেই নিরাপদ থাকে। উপরোক্ত দুই জনের একজন শাসকের উপর জয় লাভে সচেষ্ট হয়।")
(বুখারী (র) নিজ শব্দে বর্ণনা করেছেন।
নাসাঈ (র) উক্ত হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে একক সূত্রে নিম্নোক্ত শব্দযোগে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: "প্রত্যেক শাসকেরই দু'জন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকে। তাদের একজন সৎকাজের আদেশ দেয় এবং অসৎকাজ থেকে বিরত রাখে। এবং অপর বন্ধু তার ধ্বংস কামনায়, কার্পণ্য করে না। যে ব্যক্তি তার অনিষ্ট হতে রক্ষা পায়, সেই নিরাপদ থাকে। উপরোক্ত দুই জনের একজন শাসকের উপর জয় লাভে সচেষ্ট হয়।")
كتاب القضاء
ترغيب الإِمَام وَغَيره من وُلَاة الْأُمُور فِي اتِّخَاذ وَزِير صَالح وبطانة حَسَنَة
3484- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ وَأبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا بعث الله من نَبِي وَلَا اسْتخْلف من خَليفَة إِلَّا كَانَت لَهُ بطانتان بطانة تَأمره بِالْمَعْرُوفِ
وتحضه عَلَيْهِ وبطانة تَأمره بِالشَّرِّ وتحضه عَلَيْهِ والمعصوم من عصم الله
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن أبي هُرَيْرَة وَحده وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من وَال إِلَّا وَله بطانتان بطانة تَأمره بِالْمَعْرُوفِ وتنهاه عَن الْمُنكر وبطانة لَا تألوه خبالا فَمن وقِي شَرها فقد وقِي وَهُوَ إِلَى من يغلب عَلَيْهِ مِنْهُمَا
وتحضه عَلَيْهِ وبطانة تَأمره بِالشَّرِّ وتحضه عَلَيْهِ والمعصوم من عصم الله
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ عَن أبي هُرَيْرَة وَحده وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من وَال إِلَّا وَله بطانتان بطانة تَأمره بِالْمَعْرُوفِ وتنهاه عَن الْمُنكر وبطانة لَا تألوه خبالا فَمن وقِي شَرها فقد وقِي وَهُوَ إِلَى من يغلب عَلَيْهِ مِنْهُمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ রাষ্ট্রীয় কাজে সৎলোককে মন্ত্রী ও ভালো লোককে অন্তরঙ্গ বন্ধু নিয়োগ করার ব্যাপারে নেতা ও অন্যান্যদের প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৪৮৫. হযরত আবু আইউব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। আল্লাহর বিধান হচ্ছে এইঃ আল্লাহ যখনই কোন নবী প্রেরণ করেন অথবা তাঁর পরে কোন খলীফা প্রেরণ করেন, তখন তার জন্য দুই জন অন্তরঙ্গ বন্ধু নির্বাচন করেন। এক বন্ধু তাকে ভাল কাজের আদেশ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে এবং অপর বন্ধু তাকে বিপদে ফেলতে কার্পণ্য করে না। যাকে তার অনিষ্ট হতে রক্ষা করা হয়েছে, সেই প্রকৃতপক্ষে রক্ষা পেয়েছে।
(বুখারী বর্ণিত।)
(বুখারী বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب الإِمَام وَغَيره من وُلَاة الْأُمُور فِي اتِّخَاذ وَزِير صَالح وبطانة حَسَنَة
3485- وَعَن أبي أَيُّوب رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا بعث الله من نَبِي وَلَا كَانَ بعده من خَليفَة إِلَّا لَهُ بطانتان بطانة تَأمره بِالْمَعْرُوفِ وتنهاه عَن الْمُنكر وبطانة لَا تألوه خبالا فَمن وقِي شَرها فقد وقِي
رَوَاهُ البُخَارِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদানের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪৮৬. হযরত আবূ বাকরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে মহাপাপের সম্পর্কে অবহিত করবো না? এই কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তা হল: ১. আল্লাহর সাথে শরীক করা, ২. পিতামাতার অবাধ্য হওয়া। ৩. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাবধান! মিথ্যা সাক্ষ্য এবং মিথ্যা কথা বলা। তিনি হেলাল দেখা অবস্থায় ছিলেন। এরপর তিনি উঠে বসেন। এবং শেষোক্ত বাক্যটি বারবার বলেন। আমরা (মনে মনে বলছিলাম) আহ! তিনি যদি চুপ করতেন।
(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণিত।)
(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من شَهَادَة الزُّور
3486- عَن أبي بكرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا عِنْد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ أَلا إنبئكم بأكبر الْكَبَائِر ثَلَاثًا الْإِشْرَاك بِاللَّه وعقوق الْوَالِدين وَشَهَادَة الزُّور أَلا وَشَهَادَة الزُّور وَقَول الزُّور وَكَانَ مُتكئا فَجَلَسَ فَمَا زَالَ يكررها حَتَّى قُلْنَا ليته سكت
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদানের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪৮৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাবীরা গুনাহ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বলেন, আল্লাহর সাথে শরীক করা, পিতামাতার নাফরমানী করা, কাউকে হত্যা করা। তিনি আরও বলেন: সাবধান! আমি কি তোমাদেরকে মহাপাপ সম্পর্কে অবহিত করব না? তা হলঃ মিথ্যা বলা অথবা তিনি বলেছেন: মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।
(বুখারী, মুসলিম বর্ণিত।)
(বুখারী, মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من شَهَادَة الزُّور
3487- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ ذكر رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْكَبَائِر فَقَالَ الشّرك بِاللَّه وعقوق الْوَالِدين وَقتل النَّفس
وَقَالَ أَلا أنبئكم بأكبر الْكَبَائِر قَول الزُّور أَو قَالَ شَهَادَة الزُّور
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
وَقَالَ أَلا أنبئكم بأكبر الْكَبَائِر قَول الزُّور أَو قَالَ شَهَادَة الزُّور
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদানের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪৮৮. হযরত খুরায়ম ইবনে ফাতিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাতুল ফজর আদায় করেন। সালাত শেষে তিনি দাঁড়িয়ে বলেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আল্লাহর সাথে শরীক করা সমান পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই কথাটি তিনি (রাসূলুল্লাহ- ﷺ) তিনবার বলেন। তিনি নিম্নোক্ত আয়াতটি পাঠ করেন।
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِحُنَفَاءَ لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بِهِ
"সুতরাং তোমরা বর্জন কর মূর্তিপূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাক মিথ্যা কথা থেকে, আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে এবং তাঁর কোন শরীক না করে।" (সূরা হাজ্জঃ ৩০-৩১)
(আবু দাউদ নিজ শব্দে তিরমিযী, ইবনে মাজা, তাবারানীর কাবীর গ্রন্থে আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ সূত্রে মাওকুফ সনদে উত্তম সূত্রে বর্ণনা করেন।)
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِحُنَفَاءَ لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بِهِ
"সুতরাং তোমরা বর্জন কর মূর্তিপূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাক মিথ্যা কথা থেকে, আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে এবং তাঁর কোন শরীক না করে।" (সূরা হাজ্জঃ ৩০-৩১)
(আবু দাউদ নিজ শব্দে তিরমিযী, ইবনে মাজা, তাবারানীর কাবীর গ্রন্থে আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ সূত্রে মাওকুফ সনদে উত্তম সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من شَهَادَة الزُّور
3488- وَعَن خريم بن فاتك رَضِي الله عَنهُ قَالَ صلى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَلَاة الصُّبْح فَلَمَّا انْصَرف قَامَ قَائِما فَقَالَ عدت شَهَادَة الزُّور والإشراك بِاللَّه ثَلَاث مَرَّات ثمَّ قَرَأَ
فَاجْتَنبُوا الرجس من الْأَوْثَان واجتنب قَول الزُّور حنفَاء لله غير مُشْرِكين بِهِ الْحَج 0313
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا على ابْن مَسْعُود بِإِسْنَاد حسن
فَاجْتَنبُوا الرجس من الْأَوْثَان واجتنب قَول الزُّور حنفَاء لله غير مُشْرِكين بِهِ الْحَج 0313
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا على ابْن مَسْعُود بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৮৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদানের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪৮৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সাক্ষ্যদানে অযোগ্য, এমন ব্যক্তি যদি কোন মুসলমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।
(আহমাদ বর্ণিত তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত; তবে তিনি একমাত্র দ্বিতীয় রাবীর নাম বর্ণনা করেন নি।)
(আহমাদ বর্ণিত তাঁর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত; তবে তিনি একমাত্র দ্বিতীয় রাবীর নাম বর্ণনা করেন নি।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من شَهَادَة الزُّور
3489 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من شهد على مُسلم شَهَادَة لَيْسَ لَهَا بِأَهْل فَليَتَبَوَّأ مَقْعَده من النَّار
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن ثَانِيه لم يسم
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن ثَانِيه لم يسم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৯০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদানের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪৯০. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা কিয়ামতের দিন তার পা তুলতে পারবে না, যতক্ষণে আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারণ না করে দেন।
(ইবনে মাজা ও হাকিম বর্ণিত বলেন, সনদসূত্রে হাদীসটি বিশুদ্ধ, এবং তাবারানী তার আওসাত গ্রন্থে বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তার শব্দমালা এই যে, পাখি কিয়ামতের ভয়ে ঠোট দ্বারা মাটি খুঁড়তে থাকে এবং কান দোলাতে থাকে এবং মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার পরিণামের ব্যাপারে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে। মিথ্যা সাক্ষ্য দাতার পা যমীনে আটকে থাকবে, যতক্ষণে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ না করা হবে।)
(ইবনে মাজা ও হাকিম বর্ণিত বলেন, সনদসূত্রে হাদীসটি বিশুদ্ধ, এবং তাবারানী তার আওসাত গ্রন্থে বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তার শব্দমালা এই যে, পাখি কিয়ামতের ভয়ে ঠোট দ্বারা মাটি খুঁড়তে থাকে এবং কান দোলাতে থাকে এবং মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার পরিণামের ব্যাপারে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে। মিথ্যা সাক্ষ্য দাতার পা যমীনে আটকে থাকবে, যতক্ষণে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ না করা হবে।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من شَهَادَة الزُّور
3490- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لن تَزُول قدم شَاهد الزُّور حَتَّى يُوجب الله لَهُ النَّار
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَلَفظه عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الطير لتضرب بمناقيرها وتحرك أذنابها من هول يَوْم الْقِيَامَة وَمَا يتَكَلَّم بِهِ شَاهد الزُّور وَلَا تفارق قدماه على الأَرْض حَتَّى يقذف بِهِ فِي النَّار
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَلَفظه عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الطير لتضرب بمناقيرها وتحرك أذنابها من هول يَوْم الْقِيَامَة وَمَا يتَكَلَّم بِهِ شَاهد الزُّور وَلَا تفارق قدماه على الأَرْض حَتَّى يقذف بِهِ فِي النَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪৯১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদানের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪৯১. হযরত আবু মুসা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দানের জন্য আহূত হয়েও সাক্ষ্য গোপন করে, সে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার সমতুল্য।
(হাদীসটি গরীব। তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে লায়সের সচিব আবদুল্লাহ্ ইবনে সালিহ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী (র) তাঁর হাদীস দলীলরূপে গ্রহণ করেছেন।)
(হাদীসটি গরীব। তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে লায়সের সচিব আবদুল্লাহ্ ইবনে সালিহ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী (র) তাঁর হাদীস দলীলরূপে গ্রহণ করেছেন।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من شَهَادَة الزُّور
3491- وَعَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من كتم شَهَادَة إِذا دعِي إِلَيْهَا كَانَ كمن شهد بالزور
حَدِيث غَرِيب رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط من رِوَايَة عبد الله بن صَالح كَاتب اللَّيْث وَقد احْتج بِهِ البُخَارِيّ
حَدِيث غَرِيب رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط من رِوَايَة عبد الله بن صَالح كَاتب اللَّيْث وَقد احْتج بِهِ البُخَارِيّ
তাহকীক: