আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯৬ টি
হাদীস নং: ৩৩৯৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৯৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আল্লাহর কোন বান্দাকে কবরে একশ' বেত্রাঘাত দেওয়ার হুকুম দেয়া হয়েছিল। এরপর তার ফরীয়াদ ও প্রার্থনায় একশটি বেতাঘাত একটিতে পরিণত হল। পরে তার কবর আগুনে ভরে যায়। যখন আগুন চলে গেল এবং সে চেতনা ফিরে পেল, সে বলল: কি অপরাধে তোমরা আমাকে বেত্রাঘাত করছ? জবাবে (ফিরিশতা) বলল: তুমি বিনা উযুতে সালাত আদায় করতে এবং (দ্বিতীয়) তুমি কোন মাযলুমের নিকট দিয়ে পথ চলার সময় তোমার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তাকে সাহায্য করতে না।
(আবু শায়খ ইবনে হিব্বান তাঁর কিতাবুত তাওবীখে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আবু শায়খ ইবনে হিব্বান তাঁর কিতাবুত তাওবীখে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3396- وَرُوِيَ عَن عبد الله يَعْنِي ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَمر بِعَبْد من عباد الله يضْرب فِي قَبره مائَة جلدَة فَلم يزل يسْأَل وَيَدْعُو حَتَّى صَارَت جلدَة وَاحِدَة فَامْتَلَأَ قَبره عَلَيْهِ نَارا فَلَمَّا ارْتَفع عَنهُ وأفاق قَالَ علام جلدتموني قَالَ إِنَّك صليت صَلَاة بِغَيْر طهُور ومررت على مظلوم فَلم تنصره
رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب التوبيخ
رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب التوبيخ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৯৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৯৭. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহ্ইয়া ইবনে হামযা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমীরুল মু'মিনীন মাহদী এই মর্মে আমার নিকট পত্র লেখেন যে, আমি যেন প্রশাসনিক ব্যাপারে কঠোর হই। তিনি তার পত্রে (এভাবে হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে) বলেন: আমার নিকট আমার পিতা, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন: আমার সম্মান ও প্রতিপত্তির শপথ! অবশ্যই আমি ইহকাল ও পরকালে যালিমকে কঠিন শাস্তি দেব। (অনুরূপ) আমি ঐ ব্যক্তিকেও কঠিন শাস্তি দেব, যে ব্যক্তি মাযলূমের সাহায্য করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সাহায্য করেনি।
(আবু শায়খ (র) আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তার পিতা হতে বর্ণিত। এ পর্যায়ে হাদীসটির সনদসূত্র সমালোচিত। মাহদীর দাদা বলেন, মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস। সুতরাং মুহাম্মাদ থেকে ইবনে আব্বাসের বর্ণনাটি মুরসাল। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
(আবু শায়খ (র) আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তার পিতা হতে বর্ণিত। এ পর্যায়ে হাদীসটির সনদসূত্র সমালোচিত। মাহদীর দাদা বলেন, মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস। সুতরাং মুহাম্মাদ থেকে ইবনে আব্বাসের বর্ণনাটি মুরসাল। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3397- وَعَن مُحَمَّد بن يحيى بن حَمْزَة قَالَ كتب إِلَيّ الْمهْدي أَمِير الْمُؤمنِينَ وَأَمرَنِي أَن أَصْلَب فِي الحكم وَقَالَ فِي كِتَابه حَدثنِي أبي عَن أَبِيه عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الله تبَارك وَتَعَالَى وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لأنتقمن من الظَّالِم فِي عاجله وآجله ولأنتقمن مِمَّن رأى مَظْلُوما فَقدر أَن ينصره فَلم يفعل
رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ أَيْضا فِيهِ من رِوَايَة أَحْمد بن مُحَمَّد بن يحيى وَفِيه نظر
عَن أَبِيه وجد الْمهْدي هُوَ مُحَمَّد بن عَليّ بن عبد الله بن عَبَّاس وَرِوَايَته عَن ابْن عَبَّاس مُرْسلَة وَالله أعلم
رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ أَيْضا فِيهِ من رِوَايَة أَحْمد بن مُحَمَّد بن يحيى وَفِيه نظر
عَن أَبِيه وجد الْمهْدي هُوَ مُحَمَّد بن عَليّ بن عبد الله بن عَبَّاس وَرِوَايَته عَن ابْن عَبَّاس مُرْسلَة وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৯৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৯৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমার ভাই, যালিম হোক কি মাযলুম, তাকে সাহায্য করবে। এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! মাযলুম কে তো সাহায্য করব, আপনি কি মনে করেন, যদি সে যালিম হয়, তবে তাকে কিভাবে সাহায্য করব। তিনি বলেন: তুমি তাকে যুলুম থেকে বিরত রাখবে। এটাই হচ্ছে তাকে সাহায্য করা।
(বুখারী বর্ণিত। মুসলিম (র) জাবির সূত্রে নবী (ﷺ) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, লোকদের উচিত তার ভাইকে সাহায্য করা, চাই সে যালিম হোক কি মাযলুম। যদি সে যালিম হয়, তবে তাকে তা থেকে বিরত রাখবে, কারণ এটাই হচ্ছে তাকে সাহায্য করা। আর যদি সে মাযলুম হয়, তবে তাকে সাহায্য করবে যেন সে যালিমের অনিষ্ট হতে নিজকে রক্ষা করতে পারে।)
(বুখারী বর্ণিত। মুসলিম (র) জাবির সূত্রে নবী (ﷺ) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, লোকদের উচিত তার ভাইকে সাহায্য করা, চাই সে যালিম হোক কি মাযলুম। যদি সে যালিম হয়, তবে তাকে তা থেকে বিরত রাখবে, কারণ এটাই হচ্ছে তাকে সাহায্য করা। আর যদি সে মাযলুম হয়, তবে তাকে সাহায্য করবে যেন সে যালিমের অনিষ্ট হতে নিজকে রক্ষা করতে পারে।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3398- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم انصر أَخَاك ظَالِما أَو مَظْلُوما فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله أنصره إِذا كَانَ مَظْلُوما أَفَرَأَيْت إِن كَانَ ظَالِما كَيفَ أنصره قَالَ تحجزه أَو تَمنعهُ عَن الظُّلم فَإِن ذَلِك نَصره
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَرَوَاهُ مُسلم فِي حَدِيث عَن جَابر عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ولينصر الرجل أَخَاهُ ظَالِما أَو مَظْلُوما إِن كَانَ ظَالِما فلينهه فَإِنَّهُ لَهُ نصْرَة وَإِن كَانَ مَظْلُوما فلينصره
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَرَوَاهُ مُسلم فِي حَدِيث عَن جَابر عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ولينصر الرجل أَخَاهُ ظَالِما أَو مَظْلُوما إِن كَانَ ظَالِما فلينهه فَإِنَّهُ لَهُ نصْرَة وَإِن كَانَ مَظْلُوما فلينصره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৯৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৯৯. হযরত সাহল ইবনে মু'আয ইবনে আনাস জুহানী (র) হতে তাঁর পিতার সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কোন ব্যক্তি যদি কোন মু'মিনকে মুনাফিক হতে রক্ষা করে, আমার মনে হয়, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কাছে এমন একজন ফিরিশতা পাঠাবেন, যে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। (আল-হাদীস)
(আবু দাউদ বর্ণিত। ইন্শাআল্লাহ্ অবশিষ্ট অংশ গীবত অনুচ্ছেদে বর্ণিত হবে।)
(আবু দাউদ বর্ণিত। ইন্শাআল্লাহ্ অবশিষ্ট অংশ গীবত অনুচ্ছেদে বর্ণিত হবে।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3399- وَعَن سهل بن معَاذ بن أنس الْجُهَنِيّ عَن أَبِيه رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من حمى مُؤمنا من مُنَافِق أرَاهُ قَالَ بعث الله ملكا يحمي لَحْمه يَوْم الْقِيَامَة من نَار جَهَنَّم الحَدِيث
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الْغَيْبَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الْغَيْبَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যালিমের ভীতির ক্ষেত্রে পঠিতব্য দু'আর প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৪০০. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন যালিম শাসকের ব্যাপারে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে তখন সে যেন এরূপ দু'আ পাঠ করে।
«اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، كُنْ لِي جَارًا مِنْ فُلَانٍ وَأَحْزَابِهِ وَأَشْيَاعِهِ، أَنْ يَفْرُطُوا عَلَيَّ، وَأَنْ يَطْغَوْا، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ»
"হে সাত আসমানের প্রতিপালক আল্লাহ, মহান আরশের প্রতিপালক! তুমি অমুক অমুক অর্থাৎ যার উদ্দেশ্যে দু'আ পাঠিত তার অনিষ্ট হতে আমার আশ্রয়দাতা হও। জিন, ইনসান ও তাদের অনুসারীদের অনিষ্ট হতে রক্ষা কর, যেন তাদের কেউ আমার প্রতি যুলম করতে না পারে। তোমার আশ্রয় বিজয়ী, তোমার প্রশংসা মহান এবং তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।
(তাবারানী বর্ণিত জিনাদ ইবনে সালাম ব্যতীত অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরশীল। ইস্পাহানী ও অপরাপর মুহাদ্দিসগণ হাদীসটি মারফু' না বলে আবদুল্লাহ (রা) হতে মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেন।)
«اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، كُنْ لِي جَارًا مِنْ فُلَانٍ وَأَحْزَابِهِ وَأَشْيَاعِهِ، أَنْ يَفْرُطُوا عَلَيَّ، وَأَنْ يَطْغَوْا، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ»
"হে সাত আসমানের প্রতিপালক আল্লাহ, মহান আরশের প্রতিপালক! তুমি অমুক অমুক অর্থাৎ যার উদ্দেশ্যে দু'আ পাঠিত তার অনিষ্ট হতে আমার আশ্রয়দাতা হও। জিন, ইনসান ও তাদের অনুসারীদের অনিষ্ট হতে রক্ষা কর, যেন তাদের কেউ আমার প্রতি যুলম করতে না পারে। তোমার আশ্রয় বিজয়ী, তোমার প্রশংসা মহান এবং তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।
(তাবারানী বর্ণিত জিনাদ ইবনে সালাম ব্যতীত অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরশীল। ইস্পাহানী ও অপরাপর মুহাদ্দিসগণ হাদীসটি মারফু' না বলে আবদুল্লাহ (রা) হতে মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من خَافَ ظَالِما
3400- عَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا تخوف أحدكُم السُّلْطَان فَلْيقل اللَّهُمَّ رب السَّمَوَات السَّبع وَرب الْعَرْش الْعَظِيم كن لي جارا من شَرّ فلَان بن فلَان يَعْنِي الَّذِي يُريدهُ وَشر الْجِنّ وَالْإِنْس وأتباعهم أَن يفرط عَليّ أحد مِنْهُم عز جَارك وَجل ثناؤك وَلَا إِلَه غَيْرك
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرِجَاله رجال الصَّحِيح إِلَّا جناد بن سلم وَقد وثق وَرَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ وَغَيره مَوْقُوفا على عبد الله لم يرفعوه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرِجَاله رجال الصَّحِيح إِلَّا جناد بن سلم وَقد وثق وَرَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ وَغَيره مَوْقُوفا على عبد الله لم يرفعوه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যালিমের ভীতির ক্ষেত্রে পঠিতব্য দু'আর প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৪০১. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তুমি এমন কোন শাসকের নিকট যাও, যাকে দেখলে ভীতির সঞ্চার হয় তখন তুমি তার পক্ষ থেকে আক্রান্ত হওয়ার ভয় করলে নিম্নোক্ত দু'আ তিনবার পাঠ করবে:
«اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعًا، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلَانٍ وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ»
"আল্লাহ মহান, আল্লাহ যাবতীয় সৃষ্টির উপর ক্ষমতাবান, আমি যার ব্যাপারে ভীত-সন্ত্রস্ত, তিনি তার প্রতিও ক্ষমতা রাখেন। আমি এমন মহান সত্তার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যিনি তার হুকুম ব্যতীত আসমান যমীনের উপর পতিত হওয়া থেকে বারণ রেখেছেন, (আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি) তোমার অমুক বান্দা, তার সেনাবাহিনী, অনুসারী, তার দল হতে চাই সে জিন হোক কি ইনসান। (হে আল্লাহ্! তুমি তাদের যাবতীয় অনিষ্ট হতে আমার আশ্রয়দাতা হও। তোমার প্রশংসা মহান, তোমার আশ্রয় সুরক্ষিত, তোমার নাম কল্যাণময়, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই"।
(ইবনে আবু শায়বা উক্ত হাদীসটি মাওকুফ সূত্রে বর্ণনা করেন। শব্দের দিক থেকে হাদীসটি পূর্ণাঙ্গ। তাবারানী বর্ণিত। তবে তাবারানীর বর্ণনায় ثلاث مرات (তিনবার) শব্দটির উল্লেখ নেই। তথাপিও তার বর্ণনা সূত্র দলীলরূপে বিশুদ্ধ।)
«اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعًا، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلَانٍ وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ»
"আল্লাহ মহান, আল্লাহ যাবতীয় সৃষ্টির উপর ক্ষমতাবান, আমি যার ব্যাপারে ভীত-সন্ত্রস্ত, তিনি তার প্রতিও ক্ষমতা রাখেন। আমি এমন মহান সত্তার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যিনি তার হুকুম ব্যতীত আসমান যমীনের উপর পতিত হওয়া থেকে বারণ রেখেছেন, (আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি) তোমার অমুক বান্দা, তার সেনাবাহিনী, অনুসারী, তার দল হতে চাই সে জিন হোক কি ইনসান। (হে আল্লাহ্! তুমি তাদের যাবতীয় অনিষ্ট হতে আমার আশ্রয়দাতা হও। তোমার প্রশংসা মহান, তোমার আশ্রয় সুরক্ষিত, তোমার নাম কল্যাণময়, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই"।
(ইবনে আবু শায়বা উক্ত হাদীসটি মাওকুফ সূত্রে বর্ণনা করেন। শব্দের দিক থেকে হাদীসটি পূর্ণাঙ্গ। তাবারানী বর্ণিত। তবে তাবারানীর বর্ণনায় ثلاث مرات (তিনবার) শব্দটির উল্লেখ নেই। তথাপিও তার বর্ণনা সূত্র দলীলরূপে বিশুদ্ধ।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من خَافَ ظَالِما
3401- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ إِذا أتيت سُلْطَانا مهيبا تخَاف أَن يَسْطُو بك فَقل الله أكبر
الله أعز من خلقه جَمِيعًا
الله أعز مِمَّا أَخَاف وَأحذر
أعوذ بِاللَّه الَّذِي لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الممسك السَّمَوَات أَن يقعن على الأَرْض إِلَّا بِإِذْنِهِ من شَرّ عَبدك فلَان وَجُنُوده وَأَتْبَاعه وأشياعه من الْجِنّ وَالْإِنْس
اللَّهُمَّ كن لي جارا من شرهم جلّ ثناؤك وَعز جَارك وتبارك اسْمك وَلَا إِلَه غَيْرك ثَلَاث مَرَّات
رَوَاهُ ابْن أبي شيبَة مَوْقُوفا وَهَذَا لَفظه وَهُوَ أتم وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَلَيْسَ عِنْده ثَلَاث مَرَّات وَرِجَاله مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
الله أعز من خلقه جَمِيعًا
الله أعز مِمَّا أَخَاف وَأحذر
أعوذ بِاللَّه الَّذِي لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الممسك السَّمَوَات أَن يقعن على الأَرْض إِلَّا بِإِذْنِهِ من شَرّ عَبدك فلَان وَجُنُوده وَأَتْبَاعه وأشياعه من الْجِنّ وَالْإِنْس
اللَّهُمَّ كن لي جارا من شرهم جلّ ثناؤك وَعز جَارك وتبارك اسْمك وَلَا إِلَه غَيْرك ثَلَاث مَرَّات
رَوَاهُ ابْن أبي شيبَة مَوْقُوفا وَهَذَا لَفظه وَهُوَ أتم وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَلَيْسَ عِنْده ثَلَاث مَرَّات وَرِجَاله مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যালিমের ভীতির ক্ষেত্রে পঠিতব্য দু'আর প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৪০২. হযরত আবু মিজলায লাহিক ইবনে হুমায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যালিম শাসককে ভয় করলে নিম্নোক্ত দু'আ পাঠ করবে।
«رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، وَبِالْقُرْآنِ حَكَمًا وَإِمَامًا، أَنْجَاهُ اللَّهُ مِنْهُ»
"আমি আল্লাহকে আমার রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে, মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবী হিসেবে, কুরআনকে বিধান ও ইমাম হিসেবে মেনে নিতে সন্তুষ্ট।" এতে আল্লাহ তাকে তার ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন।
(ইবনে আবু শায়বা মাওকুফ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি (আবু মিজলায) একজন বিশ্বস্ত রাবী।)
«رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، وَبِالْقُرْآنِ حَكَمًا وَإِمَامًا، أَنْجَاهُ اللَّهُ مِنْهُ»
"আমি আল্লাহকে আমার রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে, মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবী হিসেবে, কুরআনকে বিধান ও ইমাম হিসেবে মেনে নিতে সন্তুষ্ট।" এতে আল্লাহ তাকে তার ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন।
(ইবনে আবু শায়বা মাওকুফ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি (আবু মিজলায) একজন বিশ্বস্ত রাবী।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من خَافَ ظَالِما
3402- وَعَن أبي مجلز واسْمه لَاحق بن حميد رَضِي الله عَنهُ قَالَ من خَافَ من أَمِير ظلما فَقَالَ رضيت بِاللَّه رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دينا وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبيا وَبِالْقُرْآنِ حكما وإماما نجاه الله مِنْهُ
رَوَاهُ ابْن أبي شيبَة مَوْقُوفا عَلَيْهِ وَهُوَ تَابِعِيّ ثِقَة
رَوَاهُ ابْن أبي شيبَة مَوْقُوفا عَلَيْهِ وَهُوَ تَابِعِيّ ثِقَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪০৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে মরুচারণ করে, সে রুক্ষ হয়, আর যে অধিক শিকার করে, সে গাফিল হয়; আর যে ব্যক্তি বাদশাহর নিকট গমনাগমন করে, সে পরীক্ষা নিঃপতিত হয়। কোন ব্যক্তি বাদশাহের নিকট যতবেশী নিকটবর্তী হবে, সে আল্লাহর রহমত হতে ততবেশী দূরে সরে পড়বে।
(আহমাদ দু'টি সনদসূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তার একটি সনদ সহীহ্।)
(আহমাদ দু'টি সনদসূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তার একটি সনদ সহীহ্।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3403- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من بدا جَفا وَمن تبع الصَّيْد غفل وَمن أَتَى أَبْوَاب السُّلْطَان افْتتن وَمَا ازْدَادَ عبد من السُّلْطَان قربا إِلَّا ازْدَادَ من الله بعدا
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَادَيْنِ رُوَاة أَحدهمَا رُوَاة الصَّحِيح
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَادَيْنِ رُوَاة أَحدهمَا رُوَاة الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪০৪. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: বেদুঈনরা রুক্ষ। শিকারে অভ্যস্থ ব্যক্তি গাফিল এবং শাসকের নিকট গমনাগমনকারী পরীক্ষায় নিঃপতিত হয়।
(আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3404- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من بدا جَفا وَمن اتبع الصَّيْد غفل وَمن أَتَى السُّلْطَان افْتتن
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪০৫. হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। একদা নবী (ﷺ) কা'ব ইবনে উজরা (রা)-কে বলেন, আল্লাহ্ তোমাকে নির্বোধ শাসকবর্গ থেকে পানাহ দিন। তিনি বলেন, নির্বোধের শাসন কিরূপ হবে? তিনি বলেনঃ আমার পরে এমন কিছু সংখ্যক শাসক হবে, যারা আমার আদর্শচ্যুত হবে এবং আমার সুন্নাত কায়েম করবে না। যারা তাদের মিথ্যাকে সত্য মনে করবে, তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে, তারা আমার দলভূক্ত নয় এবং আমিও তাদের নই। তারা আমার হাউযে কাওসারের নিকট আসতে পারবে না। আর যারা তাদের মিথ্যাকে অবিশ্বাস করবে, তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে না, তারা আমার দলভূক্ত এবং আমিও তাদের দলভূক্ত এবং অচিরেই তারা আমার হাউযে কাওসারের নিকট উপস্থিত হবে। হে কা'ব ইবনে উজরা! দৈনিক সকালে প্রত্যেকে নিজকে বিক্রি করে। এরপর কেউ নিজকে জাহান্নামে থেকে মুক্ত করে এবং কেউ ধ্বংস করে।
(আহমাদ নিজ শব্দে এবং বাযযার বর্ণনা করেন। উভয়ের বর্ণনাসূত্র দলীল রূপে বিশুদ্ধ।
ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে রয়েছে। "অচিরেই এমন কিছু সংখ্যক যালিম শাসক হবে, যাদের নিকট একদল লোক গমনাগমন করবে, তারা তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে এবং তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে, তারা আমার দলভূক্ত নয়, তারা (কিয়ামতের দিন) আমার হাউযের নিকট আসতে পারবে না। আর যারা তাদের নিকট যাতায়াত করবে না, তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে না, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না, তারা আমার দলভূক্ত এবং অচিরেই তারা আমার হাউযের নিকট আসবে।"
আল-হাদীস। তিরমিযী বর্ণিত।
নাসাঈ (র) হযরত কা'ব ইবনে উজরা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: "হে কা'ব ইবনে উজরা! আমি আল্লাহর নিকট তোমার জন্য আমার পরবর্তী (যালিম) শাসকদের কবল থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। যারা তাদের নিকট সর্বদা গমনাগমন করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে, তাদের যুলমকে সহযোগিতা করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়, আমিও তাদের দলভূক্ত নই এবং তারা আমার কাছে হাউযে কাওসারের নিকট উপস্থিত হতে পারবে না। আর যারা তাদের নিকট যাতায়াত করুক বা না করুক, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না, তারা আমার দলভূক্ত, আমিও তাদের দলভূক্ত এবং অচিরেই তারা আমার কাছে হাউযে কাওসারের নিকট উপস্থিত হবে।"
আল-হাদীস এবং তিরমিযী নিজ শব্দে বর্ণনা করেন।)
(আহমাদ নিজ শব্দে এবং বাযযার বর্ণনা করেন। উভয়ের বর্ণনাসূত্র দলীল রূপে বিশুদ্ধ।
ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে রয়েছে। "অচিরেই এমন কিছু সংখ্যক যালিম শাসক হবে, যাদের নিকট একদল লোক গমনাগমন করবে, তারা তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে এবং তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে, তারা আমার দলভূক্ত নয়, তারা (কিয়ামতের দিন) আমার হাউযের নিকট আসতে পারবে না। আর যারা তাদের নিকট যাতায়াত করবে না, তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে না, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না, তারা আমার দলভূক্ত এবং অচিরেই তারা আমার হাউযের নিকট আসবে।"
আল-হাদীস। তিরমিযী বর্ণিত।
নাসাঈ (র) হযরত কা'ব ইবনে উজরা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: "হে কা'ব ইবনে উজরা! আমি আল্লাহর নিকট তোমার জন্য আমার পরবর্তী (যালিম) শাসকদের কবল থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। যারা তাদের নিকট সর্বদা গমনাগমন করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে, তাদের যুলমকে সহযোগিতা করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়, আমিও তাদের দলভূক্ত নই এবং তারা আমার কাছে হাউযে কাওসারের নিকট উপস্থিত হতে পারবে না। আর যারা তাদের নিকট যাতায়াত করুক বা না করুক, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না, তারা আমার দলভূক্ত, আমিও তাদের দলভূক্ত এবং অচিরেই তারা আমার কাছে হাউযে কাওসারের নিকট উপস্থিত হবে।"
আল-হাদীস এবং তিরমিযী নিজ শব্দে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3405- وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لكعب بن عجْرَة أَعَاذَك الله من إِمَارَة السُّفَهَاء قَالَ وَمَا إِمَارَة السُّفَهَاء قَالَ أُمَرَاء يكونُونَ بعدِي لَا يَهْتَدُونَ بهديي وَلَا يستنون بِسنتي فَمن صدقهم بكذبهم وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم فَأُولَئِك لَيْسُوا مني وَلست مِنْهُم وَلَا يردون على حَوْضِي وَمن لم يُصدقهُمْ بكذبهم وَلم يُعِنْهُمْ على ظلمهم فَأُولَئِك مني وَأَنا مِنْهُم وسيردون على حَوْضِي
يَا كَعْب بن عجْرَة الصّيام جنَّة وَالصَّدَََقَة تطفىء الْخَطِيئَة وَالصَّلَاة قرْبَان أَو قَالَ برهَان
يَا كَعْب بن عجْرَة النَّاس غاديان فمبتاع نَفسه فمعتقها وبائع نَفسه فموبقها
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَزَّار ورواتهما مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ
سَتَكُون أُمَرَاء من دخل عَلَيْهِم فأعانهم على ظلمهم وَصدقهمْ بكذبهم فَلَيْسَ مني وَلست مِنْهُ وَلنْ يرد على الْحَوْض وَمن لم يدْخل عَلَيْهِم وَلم يُعِنْهُمْ على ظلمهم وَلم يُصدقهُمْ بكذبهم فَهُوَ مني وَأَنا مِنْهُ وَسَيَرِدُ على الْحَوْض الحَدِيث
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ من حَدِيث كَعْب بن عجْرَة قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أُعِيذك بِاللَّه يَا كَعْب بن عجْرَة من أُمَرَاء يكونُونَ من بعدِي فَمن غشي أَبْوَابهم فَصَدَّقَهُمْ فِي كذبهمْ وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم فَلَيْسَ مني وَلست مِنْهُ وَلَا يرد عَليّ الْحَوْض وَمن غشي أَبْوَابهم أَو لم يغش فَلم يُصدقهُمْ فِي كذبهمْ وَلم يُعِنْهُمْ على ظلمهم فَهُوَ مني وَأَنا مِنْهُ وَسَيَرِدُ عَليّ الْحَوْض الحَدِيث
وَاللَّفْظ لِلتِّرْمِذِي
يَا كَعْب بن عجْرَة الصّيام جنَّة وَالصَّدَََقَة تطفىء الْخَطِيئَة وَالصَّلَاة قرْبَان أَو قَالَ برهَان
يَا كَعْب بن عجْرَة النَّاس غاديان فمبتاع نَفسه فمعتقها وبائع نَفسه فموبقها
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَزَّار ورواتهما مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ
سَتَكُون أُمَرَاء من دخل عَلَيْهِم فأعانهم على ظلمهم وَصدقهمْ بكذبهم فَلَيْسَ مني وَلست مِنْهُ وَلنْ يرد على الْحَوْض وَمن لم يدْخل عَلَيْهِم وَلم يُعِنْهُمْ على ظلمهم وَلم يُصدقهُمْ بكذبهم فَهُوَ مني وَأَنا مِنْهُ وَسَيَرِدُ على الْحَوْض الحَدِيث
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ من حَدِيث كَعْب بن عجْرَة قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أُعِيذك بِاللَّه يَا كَعْب بن عجْرَة من أُمَرَاء يكونُونَ من بعدِي فَمن غشي أَبْوَابهم فَصَدَّقَهُمْ فِي كذبهمْ وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم فَلَيْسَ مني وَلست مِنْهُ وَلَا يرد عَليّ الْحَوْض وَمن غشي أَبْوَابهم أَو لم يغش فَلم يُصدقهُمْ فِي كذبهمْ وَلم يُعِنْهُمْ على ظلمهم فَهُوَ مني وَأَنا مِنْهُ وَسَيَرِدُ عَليّ الْحَوْض الحَدِيث
وَاللَّفْظ لِلتِّرْمِذِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪০৬. তিরমিযীর অন্য বর্ণনায় আছে, হযরত কা'ব ইবনে উজরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের নিকট আসেন। আরবদের গণনা অনুযায়ী আমরা নয়জন ছিলাম এবং আজমীদের গণনা অনুযায়ী পাঁচ এবং চারজন ছিলাম। এরপর তিনি বলেন: তোমরা গভীর মনোযোগ সহকারে শোন। তোমরা কি গভীর মনোযোগ সহকারে শুনবে? অবস্থা হচ্ছে এইঃ আমার পরে অচিরেই কিছু সংখ্যক যালিম শাসকের আবির্ভাব হবে। তখন একদল লোক তাদের কাছে গমনাগমন করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমে সাহায্য করবে, তারা আমার দলভূক্ত নয় এবং আমিও তাদের দলভূক্ত নই এবং তারা আমার হাউযে কাওসারের নিকট আসতে পারবে না। আর যারা তাদের নিকট যাতায়াত করবে না, তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে না, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না, তারা আমার দলভূক্ত, আমিও তাদের দলভূক্ত এবং তারা আমার হাউযে কাওসারের নিকট আসতে পারবে।
ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি গরীব-সহীহ।
ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি গরীব-সহীহ।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3406- وَفِي رِوَايَة لَهُ أَيْضا عَن كَعْب بن عجْرَة قَالَ خرج إِلَيْنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَنحن تِسْعَة خَمْسَة وَأَرْبَعَة أحد العددين من الْعَرَب وَالْآخر من الْعَجم فَقَالَ اسمعوا هَل سَمِعْتُمْ إِنَّه سَيكون بعدِي أُمَرَاء فَمن دخل عَلَيْهِم فَصَدَّقَهُمْ بكذبهم وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم فَلَيْسَ مني وَلست مِنْهُ وَلَيْسَ بوارد على الْحَوْض وَمن لم يدْخل عَلَيْهِم وَلم يُعِنْهُمْ على ظلمهم وَلم يُصدقهُمْ بكذبهم فَهُوَ مني وَأَنا مِنْهُ وَهُوَ وَارِد على الْحَوْض
قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب صَحِيح
قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪০৭. হযরত নু'মান ইবনে বাশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার সালাতের পর আমাদের নিকট আসেন, তখন আমরা মসজিদে ছিলাম। তখন তিনি আসমানের দিকে তাকানোর পরে দৃষ্টি নিম্নগামী করেন, এমন কি আমরা মনে করলাম, আসমানে কিছু ঘটেছে। এরপর তিনি বলেন, সাবধান! অচিরেই আমার পরে কিছু সংখ্যক যালিম ও মিথ্যাবাদী শাসক হবে। যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে, সে আমার দলভূক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে না, সে আমার দলভূক্ত এবং আমি তার দলভূক্ত।
(আহমাদ হাদীসটি বর্ণনা করেন, তবে তাঁর সনদসূত্রে একজন বর্ণনাকারীর নাম অজ্ঞাত এবং অন্যান্য রাবীদের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণ করা বিশুদ্ধ।)
(আহমাদ হাদীসটি বর্ণনা করেন, তবে তাঁর সনদসূত্রে একজন বর্ণনাকারীর নাম অজ্ঞাত এবং অন্যান্য রাবীদের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণ করা বিশুদ্ধ।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3407- وَعَن النُّعْمَان بن بشير رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَنحن فِي الْمَسْجِد بعد صَلَاة الْعشَاء فَرفع بَصَره إِلَى السَّمَاء ثمَّ خفض حَتَّى ظننا أَنه حدث فِي السَّمَاء أَمر فَقَالَ أَلا إِنَّهَا سَتَكُون بعدِي أُمَرَاء يظْلمُونَ ويكذبون فَمن صدقهم بكذبهم ومالاهم على ظلمهم فَلَيْسَ مني وَلَا أَنا مِنْهُ وَمن لم يُصدقهُمْ بكذبهم وَلم يمالئهم على ظلمهم فَهُوَ مني وَأَنا مِنْهُ
حَدِيث رَوَاهُ أَحْمد وَفِي إِسْنَاده راو لم يسم وبقيته ثِقَات مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
حَدِيث رَوَاهُ أَحْمد وَفِي إِسْنَاده راو لم يسم وبقيته ثِقَات مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪০৮. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে খাব্বাব (র) থেকে তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: একদা আমরা নবী (ﷺ)-এর দরজায় বসা ছিলাম। ইতোমধ্যে তিনি আমাদের নিকট বেরিয়ে আসেন এবং বলেনঃ তোমরা মনোযোগ সহকারে শোন। আমরা বললামঃ আমরা শুনতে প্রস্তুত আছি। তিনি (পুনরায়) বলেন। তোমরা মনোযোগ সহকারে শোন। আমরা বললামঃ আমরা শুনছি। তিনি বলেন, অবস্থা হল এরূপ যে, আমার পরে অচিরেই একদল শাসকের আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা তাদের মিথ্যাকে প্রত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে না, কেননা, যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের সহযোগিতা করবে, তারা হাউযে কাওসারের নিকট প্রবেশ করতে পারবে না।
(তাবারানী এবং ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে নিজ শব্দে বর্ণিত।)
(তাবারানী এবং ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে নিজ শব্দে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3408- وَعَن عبد الله بن خباب عَن أَبِيه رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كُنَّا قعُودا على بَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَخرج علينا فَقَالَ اسمعوا قُلْنَا قد سمعنَا قَالَ اسمعوا قُلْنَا قد
سمعنَا قَالَ إِنَّه سَيكون بعدِي أُمَرَاء فَلَا تُصَدِّقُوهُمْ بكذبهم وَلَا تعينوهم على ظلمهم فَإِن من صدقهم بكذبهم وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم لم يرد على الْحَوْض
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
سمعنَا قَالَ إِنَّه سَيكون بعدِي أُمَرَاء فَلَا تُصَدِّقُوهُمْ بكذبهم وَلَا تعينوهم على ظلمهم فَإِن من صدقهم بكذبهم وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم لم يرد على الْحَوْض
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪০৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: একদল যালিম শাসকের আবির্ভাব হবে। একদল দুষ্ট প্রকৃতির লোক তাদের কাছে যাতায়াত করবে। শাসকবর্গ মিথ্যাবাদী ও যালিম হবে। যে ব্যক্তি তাদের নিকট যাতায়াত করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে, সে আমার দলভূক্ত নয় এবং আমিও তার দলভূক্ত নই।
(আহমাদ নিজ শব্দে এবং আবু ই'আলা, ইবনে হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তবে তাদের উভয়ের বর্ণনায় আছে, তারা বলেন, (তিনি বলেছেন:) "যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে, আমি তাদের যিম্মা মুক্ত।")
(আহমাদ নিজ শব্দে এবং আবু ই'আলা, ইবনে হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তবে তাদের উভয়ের বর্ণনায় আছে, তারা বলেন, (তিনি বলেছেন:) "যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমে সহযোগিতা করবে, আমি তাদের যিম্মা মুক্ত।")
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3409- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يكون أُمَرَاء تغشاهم غواش أَو حواش من النَّاس يكذبُون ويظلمون فَمن دخل عَلَيْهِم فَصَدَّقَهُمْ بكذبهم وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم فَلَيْسَ مني وَلست مِنْهُ وَمن لم يدْخل عَلَيْهِم وَلم يُصدقهُمْ بكذبهم وَلم يُعِنْهُمْ على ظلمهم فَهُوَ مني وَأَنا مِنْهُ
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو يعلى وَمن طَرِيق ابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا فَمن صدقهم بكذبهم وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم فَأَنا مِنْهُ بَرِيء
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو يعلى وَمن طَرِيق ابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا فَمن صدقهم بكذبهم وَأَعَانَهُمْ على ظلمهم فَأَنا مِنْهُ بَرِيء
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪১০. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমার উম্মাতের মধ্যে এমন একদল লোক হবে, যারা ইলমে দ্বীনের গভীর জ্ঞান রাখবে, কুরআন তিলাওয়াত করবে, তারা বলবে, চলো আমরা শাসকের কাছে যাই এবং দুনিয়ার কিছু অংশ গ্রহণ করি এবং দ্বীনের ব্যাপারে তাদের বর্জন করে চলি অথচ তা কখনও সম্ভব নয়। যেরূপ কাঁটাদার বৃক্ষ থেকে কেবল কাঁটার আঘাতই পাওয়া যায়। অনুরূপ তাদের নৈকট্য লাভে গুনাহ ছাড়া আর কিছু অর্জিত হয় না।
(ইবনে সাব্বাহ এর বর্ণনায় كذالك এর স্থলে كانه রয়েছে।
ইবনে মাজা বর্ণিত তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
(ইবনে সাব্বাহ এর বর্ণনায় كذالك এর স্থলে كانه রয়েছে।
ইবনে মাজা বর্ণিত তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3410- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن نَاسا من أمتِي سيتفقهون فِي الدّين ويقرؤون الْقُرْآن يَقُولُونَ نأتي الْأُمَرَاء فنصيب من دنياهم ونعتزلهم بديننا وَلَا يكون ذَلِك كَمَا لَا يجتنى من القتاد إِلَّا الشوك كَذَلِك لَا يجتنى من قربهم إِلَّا
قَالَ ابْن الصَّباح كَأَنَّهُ يَعْنِي الْخَطَايَا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَرُوَاته ثِقَات
قَالَ ابْن الصَّباح كَأَنَّهُ يَعْنِي الْخَطَايَا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَرُوَاته ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪১১. রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মুক্তদাস হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পরিবারবর্গের আলী, ফাতিমা ও অন্যান্যদের ডেকে পাঠান। তখন আমি বললাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমিও আপনার পরিবারের একজন। তিনি বলেন: হাঁ, যতক্ষণে তুমি অপরের কাছে কিছু যাচ্ঞা হতে বিরত থাকবে অথবা বলেছেন: তুমি শাসকের নিকট কিছু কামনা করবে না।
(তাবারানী আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।
السدة দ্বারা এখানে শাসকের দরজায় ধর্ণা দেওয়া বুঝায়।
باب الفقر অনুচ্ছেদ এ জাতীয় হাদীস আসবে।)
(তাবারানী আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।
السدة দ্বারা এখানে শাসকের দরজায় ধর্ণা দেওয়া বুঝায়।
باب الفقر অনুচ্ছেদ এ জাতীয় হাদীস আসবে।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3411- وَعَن ثَوْبَان مولى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعَا لأَهله فَذكر عليا وَفَاطِمَة وَغَيرهمَا فَقلت يَا رَسُول الله أَنا من أهل الْبَيْت قَالَ نعم مَا لم تقم على بَاب سدة أَو تَأتي أَمِيرا تسأله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات وَالْمرَاد بالسدة هُنَا بَاب السُّلْطَان وَنَحْوه وَيَأْتِي فِي بَاب الْفقر مَا يدل لَهُ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات وَالْمرَاد بالسدة هُنَا بَاب السُّلْطَان وَنَحْوه وَيَأْتِي فِي بَاب الْفقر مَا يدل لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলুম থেকে বারণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং সেখানে গমন করা, তাদের সত্যায়িত ও তাদের সহযোগিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪১২. হযরত আলকামা ইবনে আবু ওয়াক্কাস লায়সী (রা) থেকে বর্ণিত। একবার তিনি মদীনাবাসী এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির নিকট গেলেন। সে সময় তিনি মদীনার একটি বাজারে বসা ছিলেন। আলকামা (র) (তাকে) বলেন, হে অমুক! তুমি অত্যন্ত মর্যাদাবান ব্যক্তি এবং সম্মানিত ব্যক্তি। আমি তোমাকে (কখনও কখনও) ঐ সব শাসকবর্গের নিকট গমনাগমন করতে দেখেছি, তাদের সাথে বাক্যালাপ করতে অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবী বিলাল ইবনে হারিস (রা)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমাদের কেউ কেউ এমন কথা বলে যা দ্বারা আশা করা যায়, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে, এরপর আল্লাহ্ তার প্রতি কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর সন্তুষ্টি (নিজের জন্য) অপরিহার্য করে নেন। আর তোমাদের মধ্যে এমনও লোক আছে, সে এমন বাক্যালাপ করে, যা দ্বারা আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট হন এবং পরিণতি যা হওয়ার তাই হয়। এরপর আল্লাহ্ তার প্রতি কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর অসন্তুষ্টি (নিজের জন্য) অপরিহার্য করে নেন। আলকামা (র) বলেন: হে হতভাগা! তুমি যা বল, তা ভেবে চিন্তে বল, যা উক্তি কর চিন্তা করে করো। অনেক সময় আমরা অনেক কথা যা বলার ইচ্ছা করি, কিন্তু বিলাল ইবনে হারিসের উক্ত হাদীসটি আমাকে তা থেকে বিরত রাখে।
(ইবনে মাজা, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তিরমিযী ও হাকিম মারফু' সূত্রে ইস্পাহানী (র)ও উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তার বর্ণনায় রয়েছে: বিলাল ইবনে হারিস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পুত্রকে বলেন: "তোমরা যখন কোন শাসকের নিকট যাবে, তখন উত্তমরূপে (রাসূলের আদর্শমত) উপস্থিত হবে। কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ এই বলে তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন"।)
(ইবনে মাজা, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তিরমিযী ও হাকিম মারফু' সূত্রে ইস্পাহানী (র)ও উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তার বর্ণনায় রয়েছে: বিলাল ইবনে হারিস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পুত্রকে বলেন: "তোমরা যখন কোন শাসকের নিকট যাবে, তখন উত্তমরূপে (রাসূলের আদর্শমত) উপস্থিত হবে। কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ এই বলে তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন"।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الِامْتِنَاع عَن الدُّخُول على الظلمَة والترهيب من الدُّخُول عَلَيْهِم وتصديقهم وإعانتهم
3412- وَعَن عَلْقَمَة بن أبي وَقاص اللَّيْثِيّ رَضِي الله عَنهُ أَنه مر بِرَجُل من أهل الْمَدِينَة لَهُ شرف وَهُوَ جَالس بسوق الْمَدِينَة فَقَالَ عَلْقَمَة يَا فلَان إِن لَك حُرْمَة وَإِن لَك حَقًا وَإِنِّي رَأَيْتُك تدخل على هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاء فتتكلم عِنْدهم وَإِنِّي سَمِعت بِلَال بن الْحَارِث رَضِي الله عَنهُ صَاحب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أحدكُم ليَتَكَلَّم بِالْكَلِمَةِ من رضوَان الله مَا يظنّ أَن تبلغ مَا بلغت فَيكْتب الله لَهُ بهَا رضوانه إِلَى يَوْم يلقاه وَإِن أحدكُم ليَتَكَلَّم بِالْكَلِمَةِ من سخط الله مَا يظنّ أَن تبلغ مَا بلغت فَيكْتب الله لَهُ بهَا سخطه إِلَى يَوْم
الْقِيَامَة
قَالَ عَلْقَمَة انْظُر وَيحك مَاذَا تَقول وَمَا تكلم بِهِ فَرب كَلَام قد منعنيه مَا سَمِعت من بِلَال بن الْحَارِث
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وروى التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم الْمَرْفُوع مِنْهُ وصححاه
وَرَوَاهُ الْأَصْفَهَانِي إِلَّا أَنه قَالَ عَن بِلَال بن الْحَارِث أَنه قَالَ لِبَنِيهِ إِذا حضرتم عِنْد ذِي سُلْطَان فَأحْسنُوا الْمحْضر فَإِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول فَذكره
الْقِيَامَة
قَالَ عَلْقَمَة انْظُر وَيحك مَاذَا تَقول وَمَا تكلم بِهِ فَرب كَلَام قد منعنيه مَا سَمِعت من بِلَال بن الْحَارِث
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وروى التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم الْمَرْفُوع مِنْهُ وصححاه
وَرَوَاهُ الْأَصْفَهَانِي إِلَّا أَنه قَالَ عَن بِلَال بن الْحَارِث أَنه قَالَ لِبَنِيهِ إِذا حضرتم عِنْد ذِي سُلْطَان فَأحْسنُوا الْمحْضر فَإِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول فَذكره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বিধান সম্বলিত কাজ ইত্যাদিতে কোন অন্যায়কারীর সহযোগিতা ও সহানুভূতি এবং নিষিদ্ধ কাজ সুপারিশ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪১৩. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তির সুপারিশ আল্লাহর কোন বিধান কায়েমে অন্তরায় সৃষ্টি করে, সে আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ করল। আর জেনেশুনে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজের পক্ষ নেয়, সে তা থেকে বিরত না হওয়া পর্যন্ত সে আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে অবস্থান করে। যে ব্যক্তি কোন মু'মিনের ব্যাপারে এমন উক্তি করে যা তার মধ্যে নেই, আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামের 'রাদগাতুল খাবাল' নামক কূপে অবস্থান করাবেন, তবে তাওবা করলে তা স্বতন্ত্র।
(আবূ দাউদ (র) নিজ শব্দে, তাবারানী অনুরূপ উত্তম সনদে বর্ণনা করেন। তবে তাঁর বর্ণনায় রয়েছে "সে জাহান্নাম থেকে কোন দিন বের হতে পারবে না"। হাকিম (র) দীর্ঘ ও সংক্ষিপ্ত উভয়ভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন: হাদীসের উভয় বর্ণনাসূত্র বিশুদ্ধ। তার সংক্ষিপ্ত শব্দমালা হল এই; তিনি বলেন: "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়বে, সে তা থেকে বিরত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে অবস্থান করবে।"
আবু দাউদের অন্য বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের সাহায্যার্থে বিবাদে জড়িয়ে পড়বে। সে আল্লাহর বিরাগভাজন হবে।
الردغة الخبال জাহান্নামীদের পুঁজ অথবা শরীরের ঘাম, যেমন সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।)
(আবূ দাউদ (র) নিজ শব্দে, তাবারানী অনুরূপ উত্তম সনদে বর্ণনা করেন। তবে তাঁর বর্ণনায় রয়েছে "সে জাহান্নাম থেকে কোন দিন বের হতে পারবে না"। হাকিম (র) দীর্ঘ ও সংক্ষিপ্ত উভয়ভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন: হাদীসের উভয় বর্ণনাসূত্র বিশুদ্ধ। তার সংক্ষিপ্ত শব্দমালা হল এই; তিনি বলেন: "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়বে, সে তা থেকে বিরত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে অবস্থান করবে।"
আবু দাউদের অন্য বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের সাহায্যার্থে বিবাদে জড়িয়ে পড়বে। সে আল্লাহর বিরাগভাজন হবে।
الردغة الخبال জাহান্নামীদের পুঁজ অথবা শরীরের ঘাম, যেমন সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من إِعَانَة الْمُبْطل ومساعدته والشفاعة الْمَانِعَة من حد من حُدُود الله وَغير ذَلِك
3413- عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من حَالَتْ شَفَاعَته دون حد من حُدُود الله عز وَجل فقد ضاد الله عز وَجل وَمن خَاصم فِي بَاطِل وَهُوَ يعلم لم يزل فِي سخط الله حَتَّى ينْزع وَمن قَالَ فِي مُؤمن مَا لَيْسَ فِيهِ أسْكنهُ الله ردغة الخبال حَتَّى يخرج مِمَّا قَالَ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد نَحوه وَزَاد فِي آخِره وَلَيْسَ بِخَارِج وَرَوَاهُ الْحَاكِم مطولا ومختصرا وَقَالَ فِي كل مِنْهَا صَحِيح الْإِسْنَاد
وَلَفظ الْمُخْتَصر قَالَ من أعَان على خُصُومَة بِغَيْر حق كَانَ فِي سخط الله حَتَّى ينْزع
وَفِي رِوَايَة لأبي دَاوُد وَمن أعَان على خُصُومَة بظُلْم فقد بَاء بغضب من الله
الردغة بِفَتْح الرَّاء وَسُكُون الدَّال الْمُهْملَة وتحريكها أَيْضا وبالغين الْمُعْجَمَة هِيَ الوحل وردغة الخبال بِفَتْح الْخَاء الْمُعْجَمَة وَالْبَاء الْمُوَحدَة هِيَ عصارة أهل النَّار أَو عرقهم كَمَا جَاءَ مُفَسرًا فِي صَحِيح مُسلم وَغَيره
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد نَحوه وَزَاد فِي آخِره وَلَيْسَ بِخَارِج وَرَوَاهُ الْحَاكِم مطولا ومختصرا وَقَالَ فِي كل مِنْهَا صَحِيح الْإِسْنَاد
وَلَفظ الْمُخْتَصر قَالَ من أعَان على خُصُومَة بِغَيْر حق كَانَ فِي سخط الله حَتَّى ينْزع
وَفِي رِوَايَة لأبي دَاوُد وَمن أعَان على خُصُومَة بظُلْم فقد بَاء بغضب من الله
الردغة بِفَتْح الرَّاء وَسُكُون الدَّال الْمُهْملَة وتحريكها أَيْضا وبالغين الْمُعْجَمَة هِيَ الوحل وردغة الخبال بِفَتْح الْخَاء الْمُعْجَمَة وَالْبَاء الْمُوَحدَة هِيَ عصارة أهل النَّار أَو عرقهم كَمَا جَاءَ مُفَسرًا فِي صَحِيح مُسلم وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বিধান সম্বলিত কাজ ইত্যাদিতে কোন অন্যায়কারীর সহযোগিতা ও সহানুভূতি এবং নিষিদ্ধ কাজ সুপারিশ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪১৪. হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) তাঁর পিতার সূত্রে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের অন্যায় কাজে সহযোগিতা করে, তার উদাহরণ ঐ উটের ন্যায়, যে কূপে পড়ে লেজ নেড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে।
(আবু দাউদ, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তবে আবদুর রহমান তাঁর পিতা থেকে হাদীসটি শুনেন নি।
[হাফিয আবদুল আযীয মুনযিরী (র) বলেন: উক্ত হাদীসের মর্ম হল এই যে ব্যক্তি একবার গুনাহে জড়িয়ে পড়ে এবং ধ্বংস হয়, সে ঐ উটের ন্যায়, যে কূপে পড়ে লেজ নেড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে অথচ সে তা থেকে কোন ক্রমেই রক্ষা পায় না।)
(আবু দাউদ, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তবে আবদুর রহমান তাঁর পিতা থেকে হাদীসটি শুনেন নি।
[হাফিয আবদুল আযীয মুনযিরী (র) বলেন: উক্ত হাদীসের মর্ম হল এই যে ব্যক্তি একবার গুনাহে জড়িয়ে পড়ে এবং ধ্বংস হয়, সে ঐ উটের ন্যায়, যে কূপে পড়ে লেজ নেড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে অথচ সে তা থেকে কোন ক্রমেই রক্ষা পায় না।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من إِعَانَة الْمُبْطل ومساعدته والشفاعة الْمَانِعَة من حد من حُدُود الله وَغير ذَلِك
3414- وَعَن عبد الرَّحْمَن بن عبد الله بن مَسْعُود عَن أَبِيه رَضِي الله عَنْهُمَا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مثل الَّذِي يعين قومه على غير الْحق كَمثل بعير تردى فِي بِئْر فَهُوَ ينْزع مِنْهَا بِذَنبِهِ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَعبد الرَّحْمَن لم يسمع من أَبِيه
قَالَ الْحَافِظ وَمعنى الحَدِيث أَنه قد وَقع فِي الْإِثْم وَهلك كالبعير إِذا تردى فِي بِئْر فَصَارَ ينْزع بِذَنبِهِ وَلَا يقدر على الْخَلَاص
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَعبد الرَّحْمَن لم يسمع من أَبِيه
قَالَ الْحَافِظ وَمعنى الحَدِيث أَنه قد وَقع فِي الْإِثْم وَهلك كالبعير إِذا تردى فِي بِئْر فَصَارَ ينْزع بِذَنبِهِ وَلَا يقدر على الْخَلَاص
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বিধান সম্বলিত কাজ ইত্যাদিতে কোন অন্যায়কারীর সহযোগিতা ও সহানুভূতি এবং নিষিদ্ধ কাজ সুপারিশ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৪১৫. হযরত আবু দারদা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তির সুপারিশ আল্লাহর বিধান কায়েমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তা হতে বিরত না হওয়া পর্যন্ত সে আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে অবস্থান করে। আর যে ব্যক্তি না জেনে অন্যায়ভাবে কোন মুসলমানের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, সে যেন আল্লাহর দাবির মুকাবিলায় বিদ্রোহ করল এবং সে আল্লাহর অসন্তুষ্টির প্রতি লালায়িত হল। কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তার উপর লা'নত বর্ষিত হয়। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের ব্যাপারে এমন কথা ছড়ায়, মূলত সে তা থেকে মুক্ত এবং সে দুনিয়াতেই তিরস্কৃত হয়, তাকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনে দগ্ধিভূত করানো আল্লাহ্ নিজের উপর অপরিহার্য করে নেন, তবে সে উক্ত বাক্যালাপ থেকে বিরত থাকলে, তা স্বতন্ত্র।
(তাবারানী বর্ণিত। তিনি বলেন, উক্ত হাদীসের বর্ণনা সূত্র আমার মনে নেই। হাদীসটির কিয়দংশ উত্তম সনদে এরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, "কোন ব্যক্তি যখন কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে তিরস্কার করার জন্য তার বিষয়ে আলোচনা করে, আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামে বন্দী করে রাখবেন, তবে তাওবা করলে তা স্বতন্ত্র"।)
(তাবারানী বর্ণিত। তিনি বলেন, উক্ত হাদীসের বর্ণনা সূত্র আমার মনে নেই। হাদীসটির কিয়দংশ উত্তম সনদে এরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, "কোন ব্যক্তি যখন কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে তিরস্কার করার জন্য তার বিষয়ে আলোচনা করে, আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামে বন্দী করে রাখবেন, তবে তাওবা করলে তা স্বতন্ত্র"।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من إِعَانَة الْمُبْطل ومساعدته والشفاعة الْمَانِعَة من حد من حُدُود الله وَغير ذَلِك
3415- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَيّمَا رجل حَالَتْ شَفَاعَته دون حد من حُدُود الله لم يزل فِي غضب الله حَتَّى ينْزع وَأَيّمَا رجل شدّ غَضبا على مُسلم فِي خُصُومَة لَا علم لَهُ بهَا فقد عاند الله حَقه وحرص على سخطه وَعَلِيهِ لعنة الله تتَابع إِلَى يَوْم الْقِيَامَة وَأَيّمَا رجل أشاع على رجل مُسلم بِكَلِمَة وَهُوَ مِنْهَا بَرِيء سبه بهَا فِي الدُّنْيَا كَانَ حَقًا على الله أَن يذيبه يَوْم الْقِيَامَة فِي النَّار حَتَّى يَأْتِي بنفاذ مَا قَالَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَلَا يحضرني الْآن حَال إِسْنَاده
وروى بعضه بِإِسْنَاد جيد قَالَ من ذكر امْرأ بِشَيْء لَيْسَ فِيهِ ليعيبه حَبسه الله فِي نَار جَهَنَّم حَتَّى يَأْتِي بنفاذ مَا قَالَ فِيهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَلَا يحضرني الْآن حَال إِسْنَاده
وروى بعضه بِإِسْنَاد جيد قَالَ من ذكر امْرأ بِشَيْء لَيْسَ فِيهِ ليعيبه حَبسه الله فِي نَار جَهَنَّم حَتَّى يَأْتِي بنفاذ مَا قَالَ فِيهِ
তাহকীক: