আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯৬ টি

হাদীস নং: ৩৪৩৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৩৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। এক বেদুইন রাসূলুল্লাহ-এর কাছে এলো। এরপর সে বলল: আপনারা আপনাদের সন্তানদের চুমু দিয়ে থাকেন, কিন্তু আমি তাদের চুমু দেই না। রাসূলুল্লাহ বলেন: আল্লাহ্ তোমার অন্তর থেকে দয়া ছিনিয়ে নিলে আমরা কী করতে পারি?
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3436- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت جَاءَ أَعْرَابِي إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِنَّكُم تقبلون الصّبيان وَمَا نقبلهم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو أملك لَك أَن نزع الله الرَّحْمَة من قَلْبك

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৩৪৩৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৩৭. হযরত মু'আবিয়া ইবনে কুররা (রা) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। একদা এক ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসুলাল্লাহ! বকরী যবাই করতে আমি দয়া দেখাই না। এরপর তিনি বলেন, যদি তুমি তার প্রতি দয়া কর, আল্লাহ্ও তোমার প্রতি দয়া করবেন।
(হাকিম বর্ণিত, তিনি বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।
ইস্পাহানী তার শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, সে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি বকরী ধরি এবং যবাই করতে ইচ্ছা করি এবং তার প্রতি দয়া করি। তিনি বলেন, বকরীর প্রতিও যদি তুমি দয়া কর, আল্লাহ তোমার প্রতি
দয়া করবেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3437- وَعَن مُعَاوِيَة بن قُرَّة عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا قَالَ يَا رَسُول الله إِنِّي لأرحم الشَّاة أَن أذبحها فَقَالَ إِن رحمتها رَحِمك الله

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد والأصبهاني
وَلَفظه قَالَ يَا رَسُول الله إِنِّي آخذ شَاة وَأُرِيد أَن أذبحها فأرحمها قَالَ وَالشَّاة إِن رحمتها رَحِمك الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৩৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৩৮. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি বকরী শুইয়ে রেখে ছুরি ধার দিচ্ছিল তখন নবী (ﷺ) (তাকে) বলেন: তুমি কি একে একত্রে দু'টি মৃত্যু দিতে চাও? তুমি কেন শোওয়াবার পূর্বে ছুরি ধার দিয়ে নেওনি?
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থ এবং হাকিম নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীসটি বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3438- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رجلا أضجع شَاة وَهُوَ يحد شفرته فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَتُرِيدُ أَن تميتها موتتين هلا أحددت شفرتك قبل أَن تضجعها

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৩৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৩৯. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রা) সূত্রে নবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একটি চড়ুই পাখি বা তার চেয়েও ক্ষুদ্র কোন প্রাণী, তার হক আদায় না করে যবাই করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করবেন। বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তার হক কি? তিনি বললেন, তার হক এই যে, তাকে যবাই করবে, পরে তা আহার করবে এবং তার মাথা কেটে ফেলে দেবে না।
(নাসাঈ, হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3439- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من إِنْسَان يقتل عصفورا فَمَا فَوْقهَا بِغَيْر حَقّهَا إِلَّا يسْأَل الله عَنْهَا يَوْم الْقِيَامَة
قيل يَا رَسُول الله وَمَا حَقّهَا قَالَ حَقّهَا أَن تذبحها فتأكلها وَلَا تقطع رَأسهَا فترمي بِهِ

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪০. হযরত শিররীদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি- অনর্থক একটি চড়ুইও হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন ঐ চড়ুই চিৎকার দিয়ে আল্লাহর নিকট এই বলে অভিযোগ করবে। হে আমার প্রতিপালক! অমুক আমাকে হত্যা করেছে, কোন উপকারার্থে আমাকে হত্যা করেনি।
(নাসাঈ, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3440- وَعَن الشريد رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قتل عصفورا عَبَثا عج إِلَى الله يَوْم الْقِيَامَة يَقُول يَا رب إِن فلَانا قتلني عَبَثا وَلم يقتلني مَنْفَعَة

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪১. হযরত ওয়াদীন ইবনে আতা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক কসাই একটি বকরী যবাই করার জন্য দরজা খুলল। বকরী তার হাতছাড়া হয়ে পালিয়ে গেল, এমন কি নবী (ﷺ)-এর নিকট দৌড়ে এলো। তখন লোকটি তার পিছু ধাওয়া করলো। সে বকরীটির পা ধরে হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে এলো। নবী (ﷺ) বকরীটিকে বলেনঃ তুমি আল্লাহর হুকুম মানার ব্যাপারে ধৈর্যধারণ কর; আর হে কসাই। তুমি তাকে দয়ার্দ্র চিত্তে সহজভাবে নিয়ে যাও।
(আবদুর রাযযাক (র) মুহাম্মাদ ইবনে রাশিদ হতে বর্ণনা করেন। সনদসূত্রে হাদীসটি মুদাল।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3441- وَعَن الْوَضِين بن عَطاء قَالَ إِن جزارا فتح بَابا على شَاة ليذبحها فانفلتت مِنْهُ حَتَّى جَاءَت إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فأتبعها فَأخذ يسحبها برجلها فَقَالَ لَهَا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اصْبِرِي لأمر الله وَأَنت يَا جزار فسقها سوقا رَفِيقًا

رَوَاهُ عبد الرَّزَّاق فِي كِتَابه عَن مُحَمَّد بن رَاشد عَنهُ وَهُوَ معضل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪২. হযরত ইবনে সীরীন (র) থেকে বর্ণিত। উমার (রা) এক ব্যক্তিকে একটি বকরীর পা ধরে যবাই করতে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যেতে দেখলেন। তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি ধ্বংস হও। তুমি তাকে মৃত্যুর দিকে উত্তমরূণে নিয়ে যাও।
(আবদুর রাযযাক মাওকুফ সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3442- وَعَن ابْن سِيرِين أَن عمر رَضِي الله عَنهُ رأى رجلا يسحب شَاة برجلها ليذبحها فَقَالَ لَهُ وَيلك قدها إِلَى الْمَوْت قودا جميلا

رَوَاهُ عبد الرَّزَّاق أَيْضا مَوْقُوفا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪৩. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি একদল কুরায়শ যুবকদের নিকট দিয়ে পথ চলছিলেন। সে সময় তারা একটি পাখি অথবা একটি মুরগী বেঁধে তার প্রতি পালাক্রমে (হাত সই করার জন্য) তীর নিক্ষেপ করছিল। পাখিটির প্রতি যার তীর লক্ষ্য ভ্রষ্ট হবে, তার প্রতি বারের জন্য একটি বিষয় নির্ধারণ করে নিল। এরপর তারা ইবনে উমার (রা)-কে দেখে পালিয়ে গেল। তিনি তাদের বললেন: এহেন কাজ কে করল? যে ব্যক্তি এ কাজ করেছে, তার প্রতি আল্লাহর লা'নত। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি জীবন্ত প্রাণীকে লক্ষ্য নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে তীর নিক্ষেপ করে, তার প্রতি আল্লাহর লা'নত।
(বুখারী, ও মুসলিম বর্ণিত।
الغرض কোন প্রাণী বেঁধে তার প্রতি তীর নিক্ষেপকারীগণ কর্তৃক প্রাণীর শরীরে কাগজ বা কিছু দ্বারা চিহ্নিত স্থানে হাত সই করার জন্য তীর নিক্ষেপ করা।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3443- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه مر بفتيان من قُرَيْش قد نصبوا طيرا أَو دجَاجَة يترامونها وَقد جعلُوا لصَاحب الطير كل خاطئة من نبلهم فَلَمَّا رَأَوْا ابْن عمر تفَرقُوا فَقَالَ ابْن عمر من فعل هَذَا لعن الله من فعل هَذَا إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لعن من اتخد شَيْئا فِيهِ الرّوح غَرضا

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
الْغَرَض بِفَتْح الْغَيْن الْمُعْجَمَة وَالرَّاء هُوَ مَا ينصبه الرُّمَاة يقصدون إِصَابَته من قرطاس وَغَيره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪৪. হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সংগে কোন এক সফরে ছিলাম। তিনি তাঁর কোন প্রয়োজনে বেরিয়ে যান। আমরা একটি লাল পাখির সাথে দু'টি পাখির ছানা দেখলাম। আমরা ছানা দু'টিকে কুড়িয়ে নিলাম। তখন পাখিটি পাখা ছড়াতে শুরু করল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসলেন। এবং বললেনঃ এই পাখিটিকে তার দু'টি ছানার ব্যাপারে কে কষ্ট দিচ্ছে। তোমরা এর কাছে ছানা দু'টি ফিরিয়ে দাও। তিনি আরও দেখলেন যে, আমরা পিপীলিকার একটি গর্ত জ্বালিয়ে দিয়েছি। তিনি বললেন: কে এগুলোকে জ্বালিয়ে দিল? জবাবে আমরা বললাম: আমরা। তিনি বললেন : আগুন দ্বারা কোন প্রাণীকে শাস্তি দেওয়া আগুনের মালিক ব্যতীত কারো উচিত নয়।
(আবু দাউদ বর্ণিত।
قرية النمل পিপীলিকার গর্ত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3444- وَعَن أبي مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي سفر فَانْطَلق لِحَاجَتِهِ فَرَأَيْنَا حمرَة مَعهَا فرخان فأخذنا فرخيها فَجَاءَت الْحمرَة فَجعلت تعرش فجَاء النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ من فجع هَذِه بولديها ردوا ولديها إِلَيْهَا وَرَأى قَرْيَة نمل قد حرقناها فَقَالَ من حرق هَذِه قُلْنَا نَحن قَالَ إِنَّه لَا يَنْبَغِي أَن يعذب بالنَّار إِلَّا رب النَّار

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
قَرْيَة النَّمْل هِيَ مَوضِع النَّمْل مَعَ النَّمْل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জা'ফর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে তাঁর বাহনের পেছনে বসালেন। এরপর তিনি আমাকে একটি গোপন বিষয়ে অবহিত করেন, যেন আমি তা কারো কাছে বর্ণনা না করি। পেশাব-পায়খানা করাকালীন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পর্দা অথবা খেজুর গাছের আড়ালে হাজত পুরা করতে ভালবাসতেন। একদা তিনি এক আনসারের বাগানে প্রবেশ করেন। তিনি সেখানে একটা উট দেখতে পান। উটটি তাঁকে দেখে কেঁদে উঠে এবং তার দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার নিকট যান এবং তার চোখে হাত বুলালে সেটি শান্ত হল। তখন তিনি বললেন: এই উটটির মালিক কে? এক আনসার যুবক এসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটি আমার। তিনি বললেন: এই প্রাণীটি, যা আল্লাহ্ তোমার অধীনস্থ করে দিয়েছে (তার প্রতিপালনের ব্যাপারে) তুমি কি আল্লাহকে ভয় করো না? সে আমার কাছে অভিযোগ করেছে, তুমি তাকে খাদ্যে কষ্ট দাও এবং অতিরিক্ত পরিশ্রম করাও।
(আহমাদ ও আবু দাউদ বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3445 - وَعَن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : أَرْدَفَنِي رَسُولُ اللَّهِ ﷺ خَلْفَهُ ذَاتَ يَوْمٍ .فَأَسَرَّ إِلَى حَدِيثا لَا أُحَدِّثُ بِهِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ ، وَكَانَ أَحَبُّ مَا اسْتَتَرَ بِهِ النَّبِيُّ ﷺ لِحَاجَتِهِ هدفا أو حَايِشَ نَخْلِ ، فَدَخَلَ حَائِطًا لَرَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فَإِذَا فِيْهِ جَمَلٌ فَلَمَّا رَأَى النَّبِيُّ ﷺ حَنَّ وَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ ، فَأَتَانَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ ، فَمَسَحَ ذِفْرَاهُ فَسَكَتَ ، فَقَالَ : مَنْ رَبُّ هَذَا الْجَمَلِ ؟ لِمَنْ هذَا الْجَمَلُ ؟ فَجَاءَ فَتى مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَقَالَ : أَفَلا تَتَّقِى اللهَ فِي هَذِهِ الْبَهِيمَةِ الَّتِي مَلَكَكَ اللَّهُ إِيَّاهَا ، فَإِنَّهُ شَكَا إِلَى أَيُّكَ تُجِيعُهُ وَتُدْنِبُهُ
رواه أحمد وأبو داؤد -
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪৬. আহমাদ (র) একটি দীর্ঘ হাদীস ইয়াহইয়া ইবনে মুররা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর সংগে একদিন বসা ছিলাম। এমন সময় একটি উট দৌড়ে এলো এবং তাঁর নিকট গর্দান লম্বা করে দিল এবং অঝোরে কাঁদতে লাগল। তখন তিনি বললেন: আল্লাহ্ তোমার প্রতি দয়া করুন। তোমরা দেখ তো কে এই উটটির মালিক? তার কিছু ব্যাপার আছে। তিনি (রাবী) বলেন: আমি উটের মালিকের খোঁজে বের হলাম এবং আমি জনৈক আনসারকে এর মালিকরূপে পেলাম। আমি তাঁকে তাঁর নিকট ডেকে নিয়ে এলাম। তিনি বললেনঃ তোমার এই উটটির কি অবস্থা? আল্লাহর শপথ, আমি তার অবস্থা সম্পর্কে জানি না। আমরা তার দ্বারা পানি বহন করাই, এমন কি যখন সেটি পানি বহনে অপারগ হয়ে পড়ে, সে মতে আমরা গতরাতে তাকে যবাই করে গোশত ভাগ করে নেয়ার পরামর্শ করেছি। তিনি বললেনঃ এমনটি করো না, হয় এটি আমাকে দান কর, নতুবা আমার নিকট বিক্রি কর। সে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটি আপনার জন্য। এর পর তিনি সেটিকে সাদাকার দাগ দেওয়া বস্তু দ্বারা চিহ্নিত করেন। পরে তিনি তা পাঠিয়ে দেন।
আহমাদ (রা)-এর সনদসূত্র উত্তম।
আহমাদের আর একটি বর্ণনা অনুরূপ কিন্তু তিনি উক্ত বর্ণনায় বলেন, তিনি উটের মালিককে বললেন: তোমার উটের কি হল যে, সেটি তোমার সম্পর্কে আমার কাছে অভিযোগ করছে। সেটি বলেছে: তুমি তার দ্বারা পানি বহন করিয়েছ, এমন কি সেটি বৃদ্ধ হয়ে গেছে। তুমি তাকে যবাই করতে চাও। সে বলল: আপনি সত্যই বলেছেন। যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন তাঁর শপথ, আমি তা করব না। তার জন্য বর্ণনায় আছে, ই'আলা ইবনে মুররা (রা) বলেন: আমরা একদা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। তিনি পানি বহনকারী একটি উটের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। উটটি তাঁকে দেখে তাঁর দিকে গর্দান লম্বা করে দিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেটির নিকট দাঁড়ালেন এবং বললেন: এই উটটির মালিক কোথায়? মালিক এলে তিনি তাকে বললেন: তুমি এটিকে আমার নিকট বিক্রি করে দাও। লোকটি বলল: আমি এটি আপনাকে দান করলাম। উল্লেখ্য উটের মালিকের এটি ছাড়া জীবিকা নির্বাহের আর কিছু ছিল না। তখন তিনি বললেন, এটির ব্যাপারে তুমি যা বলেছ, সেটি তো অধিক কর্ম এবং অল্প খাদ্যের অভিযোগ করেছে। তোমরা তার প্রতি সদয় হও। হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3446- وروى أَحْمد أَيْضا فِي حَدِيث طَوِيل عَن يحيى بن مرّة قَالَ فِيهِ وَكنت مَعَه يَعْنِي مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَالِسا ذَات يَوْم إِذْ جَاءَ جمل يخب حَتَّى ضرب بجرانه بَين يَدَيْهِ ثمَّ ذرفت عَيناهُ فَقَالَ وَيحك انْظُر لمن هَذَا الْجمل إِن لَهُ لشأنا قَالَ فَخرجت ألتمس صَاحبه فَوَجَدته لرجل من الْأَنْصَار فدعوته إِلَيْهِ فَقَالَ مَا شَأْن جملك هَذَا فَقَالَ وَمَا شَأْنه لَا أَدْرِي وَالله مَا شَأْنه عَملنَا عَلَيْهِ ونضحنا عَلَيْهِ حَتَّى عجز عَن السِّقَايَة فائتمرنا البارحة أَن ننحره ونقسم لَحْمه
قَالَ فَلَا تفعل هبه لي أَو بعنيه قَالَ بل هُوَ لَك يَا رَسُول الله
قَالَ فَوَسمه بميسم الصَّدَقَة ثمَّ بعث بِهِ وَإِسْنَاده جيد
وَفِي رِوَايَة لَهُ نَحوه إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ إِنَّه قَالَ لصَاحب الْبَعِير مَا لبعيرك يشكوك زعم أَنَّك سنأته حَتَّى كبر تُرِيدُ أَن تنحره قَالَ صدقت وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لَا أفعل
وَفِي أُخْرَى لَهُ أَيْضا قَالَ يعلى بن مرّة بَينا نَحن نسير مَعَه يَعْنِي مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذْ مَرَرْنَا بِبَعِير يسنى عَلَيْهِ فَلَمَّا رَآهُ الْبَعِير جرجر وَوضع جرانه فَوقف عَلَيْهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ أَيْن صَاحب هَذَا الْبَعِير فجَاء فَقَالَ بعنيه
قَالَ لَا بل أهبه لَك وَإنَّهُ لأهل بَيت مَا لَهُم معيشة غَيره فَقَالَ أما إِذْ ذكرت هَذَا من أمره فَإِنَّهُ شكا كَثْرَة الْعَمَل وَقلة الْعلف فَأحْسنُوا إِلَيْهِ الحَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪৭. ইবনে মাজাহ (র) হযরত তামীমুদ্দারী (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -এর সঙ্গে বসা ছিলাম। এমন সময় একটি উট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে দৌঁড়ে এসে তাঁর মুবারক মাথা ঘেঁষে দাঁড়াল। নবী (ﷺ) বললেনঃ হে উট! থামো, তুমি সত্যবাদী হলে তোমার সততা তোমাকে রক্ষা করবে, আর তুমি মিথ্যাবাদী হলে তোমার উপর মিথ্যার পরিণতি বর্তাবে। তবে আল্লাহ্ তা'আলা আশ্রয় প্রার্থনাকারীকে নিরাপত্তা দান করেন এবং আশ্রয়গ্রহণকারী কখনও ধ্বংস হয় না। আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই উটটি কি বলছে? তিনি বললেনঃ এই উটটির মালিক তাকে যবাই করার ও গোশত খাওয়ার সংকল্প করেছে। সেজন্য তাদের থেকে উটটি পালিয়ে এসেছে এবং তোমাদের নবীর (ﷺ) কাছে ফরীয়াদ করেছে। আমরা এ অবস্থায় (আলাপরত) ছিলাম, এমন সময় উটের মালিকগণ দৌঁড়ে এলো। তারা যখন উটটির দিকে তাকাল, তখন সেটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আরও কাছে এসে দাঁড়াল এবং আশ্রয় নিল। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটি আমাদের উট, আজ তিনদিন পলাতক। (বহু খোঁজা খুঁজির পর) আমরা এখন তা আপনার নিকট পেলাম। তখন রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, সে আমার নিকট অভিযোগ করেছে এবং অভিযোগটি খুবই আপত্তিকর। তখন তারা বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে কি অভিযোগ করেছে? তিনি বললেন, সে তোমাদের তত্ত্বাবধানে বহু বছর প্রতিপালিত হয়েছে, তোমরা গ্রীষ্মকালে তাকে দিয়ে ঘাসের চারণ ক্ষেত্রে বোঝা বহন করতে এবং শীতকালে তপ্তস্থানে (যাওয়ার জন্য) তার উপর আরোহণ করতে। এরপর যখন সেটি বড় হল, তখন তার দ্বারা তোমরা অনেক (উট পাল দিয়ে) লাভ করেছে। আল্লাহ্ তা'আলা তার মাধ্যমে তোমাদের অনেক উট দিয়েছেন। এখন যখন সেটির শরীর পরিপূর্ণতায় (বৃদ্ধ বয়সে) পৌঁছল, তোমরা তাকে যবাই করে গোশত আহার করার সংকল্প করেছ। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর শপথ! এ কথা সত্য। নবী (ﷺ) বললেন: একজন ভালো গোলামের প্রতি তার মনিবের পক্ষ থেকে এ কেমন পুরস্কার? তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তা বিক্রিও করব না এবং যবাইও করব না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মিথ্যা বলছ, সেটি তোমাদের নিকট ফরীয়াদ করেছিল, কিন্তু তোমরা তাকে আশ্রয় দেওনি। তোমাদের চেয়ে আমি অধিক দয়ালু। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুনাফিকদের অন্তর থেকে দয়া ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং তা মু'মিনদের অন্তরে স্থাপিত করেছেন। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেটি একশ দিরহাম মূল্যে ক্রয় করলেন এবং বললেনঃ হে উট! চলে যাও, তুমি আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত। তখন উটটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মাথার কাছে এসে আওয়াজ দিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন; আমীন। আবারও উটটি দু'আ করল এবং তিনি বললেন: আমীন। আবারও উটটি দু'আ করল এবং তিনি বললেন: আমীন। পরে উটটি চতুর্থবারে দু'আ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কেঁদে উঠেন। আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই উটিটি কি বলল? তিনি বললেন: সেটি বলেছে, হে নবী! আল্লাহ আপনাকে ইসলাম ও কুরআনের (খিদমতের) বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান দিন। আমি বললামঃ আমীন। পুনরায় সেটি বলল: আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন আপনার উম্মাতের ভয়-ভীতি দূর করে দিন, যেরূপ আপনি আমার ভয়-ভীতি দূর করে দিলেন। আমি বললামঃ আমীন। পুনরায় সেটি বলল: আল্লাহ্ আপনার উম্মাতের জীবন তাদের দুশমন থেকে নিরাপদ রাখুন, যেরূপ আপনি আমার জীবনের নিরাপত্তা দিয়েছেন। আমি বললামঃ আমীন। পুনরায় সেটি বলল: আল্লাহ্ আপনার উম্মাতের পারস্পরিক সংঘাত ও বৈরিতা সৃষ্টি না করুন। আমি কেঁদে উঠলাম। এ সকল বিষয়ে আমি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করেছি। তিনি আমাকে তা দান করেন। কিন্তু সর্বশেষটি নিষেধ করে জিবরাঈল (আ) আমাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে এই মর্মে অবহিত করেছেন যে, পারস্পরিক যুদ্ধ-বিগ্রহের দ্বারা আমার উম্মাত ধ্বংস হবে। কলমের বিধান, যা হওয়ার তা কার্যকর হবে।
الحائش যমীনের উপর উচু বাড়ী ঘর।
الهدف খেজুরের ঘন বাগান। এটির একবচন হয় না।
والحائط বাগান, উদ্যান
ذفر البعير উটের কানের সন্নিকটস্থ গর্ত।
تدئبه সে অধিক কাজ করে।
وجران البعير ইবনে ফারিস বলেন, ঘাড়ের অগ্রভাগ।
يسنى عليه তাকে দ্বারা পানি বহন করানো হয়।
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3447- وروى ابْن مَاجَه عَن تَمِيم الدَّارِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذْ أقبل بعير يعدو حَتَّى وقف على هَامة رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيهَا
الْبَعِير اسكن فَإِن تَكُ صَادِقا فلك صدقك وَإِن تَكُ كَاذِبًا فَعَلَيْك كَذبك مَعَ أَن الله تَعَالَى قد أَمن عائذنا وَلَيْسَ بخائب لائذنا فَقُلْنَا يَا رَسُول الله مَا يَقُول هَذَا الْبَعِير فَقَالَ هَذَا بعير قد هم أَهله بنحره وَأكل لَحْمه فهرب مِنْهُم واستغاث بنبيكم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَبينا نَحن كَذَلِك إِذْ أقبل أَصْحَابه يتعادون فَلَمَّا نظر إِلَيْهِم الْبَعِير عَاد إِلَى هَامة رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فلاذ بهَا فَقَالُوا يَا رَسُول الله هَذَا بعيرنا هرب مُنْذُ ثَلَاثَة أَيَّام فَلم نلقه إِلَّا بَين يَديك فَقَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما إِنَّه يشكو إِلَيّ فبئست الشكاية فَقَالُوا يَا رَسُول الله مَا يَقُول قَالَ يَقُول إِنَّه رَبِّي فِي أمنكم أحوالا وكنتم تحملون عَلَيْهِ فِي الصَّيف إِلَى مَوضِع الكلإ فَإِذا كَانَ الشتَاء رحلتم إِلَى مَوضِع الدفاء فَلَمَّا كبر استفحلتموه فرزقكم الله مِنْهُ إبِلا سَائِمَة فَلَمَّا أَدْرَكته هَذِه السّنة الخصبة هممتم بنحره وَأكل لَحْمه فَقَالُوا قد وَالله كَانَ ذَلِك يَا رَسُول الله فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام مَا هَذَا جَزَاء الْمَمْلُوك الصَّالح من موَالِيه فَقَالُوا يَا رَسُول الله فَإنَّا لَا نبيعه وَلَا ننحره فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام كَذبْتُمْ قد اسْتَغَاثَ بكم فَلم تغيثوه وَأَنا أولى بِالرَّحْمَةِ مِنْكُم فَإِن الله نزع الرَّحْمَة من قُلُوب الْمُنَافِقين وأسكنها فِي قُلُوب الْمُؤمنِينَ فَاشْتَرَاهُ عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام مِنْهُم بِمِائَة دِرْهَم وَقَالَ يَا أَيهَا الْبَعِير انْطلق فَأَنت حر لوجه الله تَعَالَى فرغى على هَامة رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام آمين ثمَّ دَعَا فَقَالَ آمين ثمَّ دَعَا فَقَالَ آمين ثمَّ دَعَا الرَّابِعَة فَبكى عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام فَقُلْنَا يَا رَسُول الله مَا يَقُول هَذَا الْبَعِير قَالَ قَالَ جَزَاك الله أَيهَا النَّبِي عَن الْإِسْلَام وَالْقُرْآن خيرا فَقلت آمين ثمَّ قَالَ سكن الله رعب أمتك يَوْم الْقِيَامَة كَمَا سكنت رعبي فَقلت آمين ثمَّ قَالَ حقن الله دِمَاء أمتك من أعدائها كَمَا حقنت دمي فَقلت آمين ثمَّ قَالَ لَا جعل الله بأسها بَينهَا فَبَكَيْت فَإِن هَذِه الْخِصَال سَأَلت رَبِّي فَأَعْطَانِيهَا وَمَنَعَنِي هَذِه وَأَخْبرنِي جِبْرِيل عَن الله تَعَالَى أَن فنَاء أمتِي بِالسَّيْفِ جرى الْقَلَم بِمَا هُوَ كَائِن
الهدف بِفَتْح الْهَاء وَالدَّال الْمُهْملَة بعدهمَا فَاء هُوَ مَا ارْتَفع على وَجه الأَرْض من بِنَاء وَنَحْوه
والحائش بِالْحَاء الْمُهْملَة وبالشين الْمُعْجَمَة ممدودا هُوَ جمَاعَة النّخل وَلَا وَاحِد لَهُ من لَفظه
والحائط هُوَ الْبُسْتَان
وذفرا الْبَعِير بِكَسْر الذَّال الْمُعْجَمَة مَقْصُور هِيَ الْموضع الَّذِي يعرق فِي قفا الْبَعِير عِنْد أُذُنه وهما ذفريان
وَقَوله تدئبه بِضَم التَّاء ودال مُهْملَة سَاكِنة بعْدهَا همزَة مَكْسُورَة وباء مُوَحدَة أَي تتعبه بِكَثْرَة الْعَمَل
وجران الْبَعِير بِكَسْر الْجِيم مقدم عُنُقه من مذبحه إِلَى نَحره قَالَه ابْن فَارس
يسنى عَلَيْهِ بِالسِّين الْمُهْملَة وَالنُّون أَي يسقى عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪৮. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: জনৈকা মহিলা একটি বিড়াল বেঁধে রাখার কারণে এবং সেটিকে আহার না করানোর কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করেছে। সে তাকে যমীনের কীট পতঙ্গ খাবার জন্যও ছাড়েনি। অন্য বর্ণনায় আছে, একটি বিড়ালকে আবদ্ধ রাখায় তা মারা যাওয়ার কারণে জনৈকা মহিলাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে সেটিকে আহারও করায়নি এবং পানিও দেয়নি বরং সে সেটিকে বেঁধে রেখেছে।
(বুখারী ও অন্যান্য গ্রন্থে বর্ণিত। আহমাদ (র) জাবির (রা) সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি তার বর্ণনায় শেষ দিকে বাড়িয়ে বলেছেন: "এ কারণে তার উপর জাহান্নাম অবধারিত হয়েছে।"
خشاش الأرض যমীনের কীট-পতঙ্গ, চতুই পাখি ইত্যাদি।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3448- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دخلت امْرَأَة النَّار فِي هرة ربطتها فَلم تطعمها وَلم تدعها تَأْكُل من خشَاش الأَرْض

وَفِي رِوَايَة عذبت امْرَأَة فِي هرة سجنتها حَتَّى مَاتَت لَا هِيَ أطعمتها وسقتها إِذْ هِيَ حبستها وَلَا هِيَ تركتهَا تَأْكُل من خشَاش الأَرْض

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَغَيره وَرَوَاهُ أَحْمد من حَدِيث جَابر فَزَاد فِي آخِره فَوَجَبت لَهَا النَّار بذلك
خشَاش الأَرْض مُثَلّثَة الْخَاء الْمُعْجَمَة وبشينين معجمتين هُوَ حشرات الأَرْض والعصافير وَنَحْوهَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৪৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৪৯. হযরত সাহল ইবনে হানযালিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (একদা) একটি উটের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। (তিনি দেখলেন ক্ষুধায়) উটটির পেট পিঠের সাথে লেগে গেছে। তিনি বলেন, তোমরা এই বোবা পশুর প্রতিপালনের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা তাকে আরাম দিয়ে ভ্রমণ কর এবং তাকে (কষ্ট না দিয়ে) ভালভাবে খাওয়াও-দাওয়াও।
(আবু দাউদ, ইবন খুযায়মার সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তবে তিনি قد لصق ظهره-এর স্থলে قد لحق ظهره বলেন।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3449- وَعَن سهل بن الحنظلية رَضِي الله عَنهُ قَالَ مر رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِبَعِير قد لصق ظَهره ببطنه فَقَالَ اتَّقوا الله فِي هَذِه الْبَهَائِم الْمُعْجَمَة فاركبوها صَالِحَة وكلوها صَالِحَة

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ قد لحق ظَهره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫০. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম এবং তাতে বেশী সংখ্যক দরিদ্র লোক দেখলাম এবং আমি জাহান্নাম দেখলাম এবং তাতে আমি নারীদের সংখ্যা বেশী দেখলাম। আমি জাহান্নামে তিনজন মহিলাকে শাস্তি দিতে দেখলাম। তারা হলঃ ১. হিময়ার মোত্রীয় দীর্ঘাকার এক মহিলা। (তার অপরাধ ছিল) সে একটি বিড়ালকে পানাহার না নিয়ে বেঁধে রাখে এবং তাকে ছেড়ে দেয়নি, যাতে সেটি যমীনের কীট পতঙ্গ থেতে পারে। সেটি (ক্ষুধার তীব্রতায়) তার নিতম্বের অগ্রভাগ ও পশ্চাদভাগ দাঁতে কাটত, ২. আমি জাহান্নামে বনী দা' দা গোত্রীয় এক ব্যক্তিকে দেখলাম, সে লাঠির অগ্রভাগ দ্বারা হাজীদের মাল চুরি করত। ধরা পড়লে বলত, এ তো আমার লাঠির মাথায় আটকে গেছে এবং ৩. যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দু'টি (কুরবানীর) উট চুরি করেছিল।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তার অন্য বর্ণনায় কুসূফ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: আমার কাছে জাহান্নাম উপস্থিত করা হয়। আমি যদি জাহান্নান না তাড়িয়ে দিতাম, তাহলে জাহান্নাম তোমাদেরকে ঢেকে নিত। আমি সেখানে তিন ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে দেখেছি। তারা হলঃ ১. হিময়ার গোত্রীয় কৃষ্ণকায় দীর্ঘদেহী এক মহিলাকে তার একটি বিড়াল বেঁধে রাখার কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল, সে সেটিকে ছেড়ে দেয়নি, যাতে সে যমীনের কীট-পতঙ্গ খেতে পারে এবং সেটিকে আহারও করতে দেয়নি, ফলে সেটি মারা যায়। ক্ষুধার জ্বালায় যখন সেটি সামনে আসত তখন দাঁত কাটত এবং পশ্চাদপদ হলেও দাঁত কাটত। হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
المحجن লাঠির অগ্রভাগের বাকা অংশ।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3450- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ دخلت الْجنَّة فَرَأَيْت أَكثر أَهلهَا الْفُقَرَاء واطلعت فِي النَّار فَرَأَيْت أَكثر أَهلهَا النِّسَاء وَرَأَيْت فِيهَا ثَلَاثَة يُعَذبُونَ امْرَأَة من حمير طوالة ربطت هرة لَهَا لم تطعمها وَلم تسقها وَلم تدعها تَأْكُل من خشَاش الأَرْض فَهِيَ تنهش قبلهَا ودبرها وَرَأَيْت فِيهَا أَخا بني دعدع الَّذِي كَانَ يسرق الْحَاج بِمِحْجَنِهِ فَإِذا فطن لَهُ قَالَ إِنَّمَا تعلق بمحجني وَالَّذِي سرق بدنتي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه

وَفِي رِوَايَة لَهُ ذكر فِيهَا الْكُسُوف قَالَ وَعرضت عَليّ النَّار فلولا أَنِّي دفعتها عَنْكُم لغشيتكم وَرَأَيْت فِيهَا ثَلَاثَة يُعَذبُونَ امْرَأَة حميرية سَوْدَاء طَوِيلَة تعذب فِي هرة لَهَا أوثقتها فَلم تدعها تَأْكُل من خشَاش الأَرْض وَلم تطعمها حَتَّى مَاتَت فَهِيَ إِذا أَقبلت تنهشها وَإِذا أَدْبَرت تنهشها الحَدِيث
المحجن بِكَسْر الْمِيم وَسُكُون الْحَاء الْمُهْملَة بعدهمَا جِيم مَفْتُوحَة هِيَ عَصا محنية الرَّأْس
হাদীস নং: ৩৪৫১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫১. হযরত আসমা বিন্‌ত আবু বকর (রা) থেকে বর্ণিত। একদা নবী (ﷺ) সূর্যগ্রহণের সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে তিনি বলেন: সালাতরত আবস্থায় জাহান্নাম আমার নিকট এলো, তখন আমি বললাম, হে আমার প্রতিপালক! আমি তাদের (জাহান্নামীদের) দেখতে চাই। আমি জনৈকা মহিলাকে প্রত্যক্ষ করলাম। আমার ধারণা, তিনি বলেছেন: একটি বিড়াল তাকে কামড়াচ্ছে। তিনি বললেনঃ এর কারণ কি? তারা (ফিরিশতাগণ) বলল, মহিলাটি বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল, ফলে সেটি ক্ষুধার জ্বালায় মারা যায়।
(বুখারী শরীফ বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3451- وَعَن أَسمَاء بنت أبي بكر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صلى صَلَاة الْكُسُوف فَقَالَ دنت مني النَّار حَتَّى قلت أَي رب وَأَنا مَعَهم فَإِذا امْرَأَة حسبت أَنه قَالَ تخدشها هرة قَالَ مَا شَأْن هَذِه قَالُوا حبستها حَتَّى مَاتَت جوعا

رَوَاهُ البُخَارِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: এক ব্যক্তি একটি কূপের নিকট এসে তাতে অবতরণ করল এবং কূপ থেকে পানি পান করল। কূপের তীরে পিপাসার্ত একটি কুকুর জিহবা বের করে দ্রুত শ্বাস ছিড়ে দিল। (এ দৃশ্য দেখে) তার দয়া হলো। তখন সে পায়ের একটি মোজা খুলে তাকে পানি পান করালো। কুকুরটি তার জন্য দু'আ করল। আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাতে দাখিল করেছেন।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। মালিক, বুখারী ও মুসলিম আবু দাউদ দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন এবং খানা খাওয়ানো এ পর্যায়ে হাদীস অতিবাহিত হয়েছে।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3452- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ دنا رجل إِلَى بِئْر فَنزل فَشرب مِنْهَا وعَلى الْبِئْر كلب يَلْهَث فرحمه فَنزع أحد خفيه فَسَقَاهُ فَشكر الله لَهُ فَأدْخلهُ الْجنَّة

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد أطول من هَذَا
وَتقدم فِي إطْعَام الطَّعَام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫৩. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ দু'টি চতুস্পদ প্রণীর মধ্যে লড়াই বাঁধতে (কঠোরভাবে) নিষেধ করেছেন।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী মুত্তাসিল ও মুরসাল সনদসূত্রে মুজাহিদ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেছেন: মুরসাল হওয়াই অধিক বিশুদ্ধ।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3453- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن التحريش بَين الْبَهَائِم

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ مُتَّصِلا ومرسلا عَن مُجَاهِد وَقَالَ فِي الْمُرْسل هُوَ أصح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫৪. হযরত আবু মাসউদ বাদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি আমার একটি গোলামকে প্রহার করছিলাম। এমন সময় আমার পেছন থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম এই মর্মে যে, হে আবু মাসউদ! জেনে রাখ। তীব্র ক্রোধের কারণে আমি আওয়াজটি কার বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু যখন তিনি আমার কাছে এলেন, তখন দেখলাম তিনি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তখন তিনি বলেনঃ হে আবু মাসউদ! জেনে রাখ। অবশ্যই আল্লাহ্ এই গোলামের উপর তোমার চেয়ে অধিক ক্ষমতাবান। আমি বললামঃ এরপর কখনো আমি কোন গোলামকে প্রহর করব না।
অন্য বর্ণনায় আছে, আমি তখন বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই গোলাম আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত। এরপর তিনি বললেন: সাবধান! যদি তুমি তা না করতে, আগুন তোমাকে জ্বালিয়ে ভষ্মিভূত করে দিত অথবা তিনি বলেছেন: আগুন তোমাকে স্পর্শ করত।
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3454- وَعَن أبي مَسْعُود البدري رَضِي الله عَنهُ قَالَ كنت أضْرب غُلَاما لي بِالسَّوْطِ فَسمِعت صَوتا من خَلْفي اعْلَم أَبَا مَسْعُود فَلم أفهم الصَّوْت من الْغَضَب فَلَمَّا دنا مني إِذا هُوَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَإِذا هُوَ يَقُول اعْلَم أَبَا مَسْعُود أَن الله عز وَجل أقدر عَلَيْك مِنْك على هَذَا الْغُلَام فَقلت لَا أضْرب مَمْلُوكا بعده أبدا

وَفِي رِوَايَة فَقلت يَا رَسُول الله هُوَ حر لوجه الله تَعَالَى فَقَالَ أما لَو لم تفعل لَلَفَحَتْك النَّار أَو لمستك النَّار

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সৃষ্টি তথা প্রজা, সন্তান-সন্ততি, দাস-দাসী ইত্যাদির প্রতি স্নেহশীল হওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং তার বিপরীত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন, শরয়ী কারণ ব্যতীত দাস-দাসী, চতুষ্পদ প্রাণী ও অন্যান্যের প্রতি শান্তি প্রয়োগ এবং চতুষ্পদ প্রাণীর মুখে দাগ দেওয়া নিষিদ্ধ
৩৪৫৫. কুফীর মুক্ত গোলাম যাযান কিন্দী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে উমার (রা)-এর নিকট এলাম, সে সময় তিনি তার একটি গোলাম মুক্ত করেছিলেন। এ সময় তিনি যমীন হতে কাঠের টুকরা অথবা কোন একটি বস্তু হাতে নিয়ে বললেন, এই কাজের মধ্যে যে পুণ্য রয়েছে, তা কাঠের টুকরার সমানও নয়। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। যে ব্যক্তি নিজের গোলামকে চাপেটাঘাত করে অথবা প্রহার করে তাকে মুক্ত করাই হল তার কাফ্ফারা।
(আবু দাউদ, তাঁর নিজ শব্দে এবং মুসলিম বর্ণিত। তার শব্দমালা হলঃ "যে ব্যক্তি তার গোলামকে এভাবে প্রহার করে যে, তা হদ্দ পর্যন্ত পৌঁছেনি অথবা চপেটাঘাত করে, তাকে মুক্ত করাই তার কাফ্ফারা।)
كتاب القضاء
التَّرْغِيب فِي الشَّفَقَة على خلق الله تَعَالَى من الرّعية وَالْأَوْلَاد وَالْعَبِيد وَغَيرهم ورحمتهم والرفق بهم والترهيب من ضد ذَلِك وَمن تَعْذِيب العَبْد وَالدَّابَّة وَغَيرهمَا بِغَيْر سَبَب شَرْعِي وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن وسم الدَّوَابّ فِي وجوهها
3455- وَعَن زَاذَان وَهُوَ الْكِنْدِيّ مَوْلَاهُم الْكُوفِي قَالَ أتيت ابْن عمر وَقد أعتق مَمْلُوكا لَهُ فَأخذ من الأَرْض عودا أَو شَيْئا فَقَالَ مَا لي فِيهِ من الْأجر مَا يُسَاوِي هَذَا سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من لطم مَمْلُوكا لَهُ أَو ضربه فكفارته أَن يعتقهُ

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ مُسلم وَلَفظه قَالَ من ضرب غُلَاما لَهُ حدا لم يَأْته أَو لطمه فَإِن كَفَّارَته أَن يعتقهُ
tahqiq

তাহকীক: