আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯৬ টি

হাদীস নং: ৩৩৩৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩৬. হযরত ইবনে আবু আওফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: বিচারক যতদিন অন্যায় বিচার না করে, ততদিন আল্লাহ তার সাথে থাকেন। আর যখন সে যুলুম করে, তখন আল্লাহ্ তাকে ছেড়ে দেন এবং শয়তান তার সঙ্গ অনিবার্য করে নেয়।
(তিরমিযী ইবনে মাজা, ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থ ও হাকিম বর্ণিত। আর হাকিমের শব্দমালা এরূপঃ "পরে যখন সে যুলম করে, তখন আল্লাহ তার কাছ থেকে সরে যান।" উপরোক্ত হাদীসটি সকলেই ইমরান আল-কাত্তান থেকে বর্ণনা করেন। হাকিম (র) বলেন। এর সনদ সূত্র বিশুদ্ধ।
হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: ইমরান কাতানের বর্ণনা সামনে আসবে।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3336- وَعَن ابْن أبي أوفى رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله مَعَ القَاضِي مَا لم يجر فَإِذا جَار تخلى عَنهُ وَلَزِمَه الشَّيْطَان

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ فَإِذا جَار تَبرأ الله مِنْهُ رَوَوْهُ كلهم من حَدِيث عمرَان الْقطَّان وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ وَعمْرَان يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ إِن شَاءَ الله تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৩৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩৭. হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিত। একদা এক মুসলমান ও অপর এক ইয়াহুদী উভয়ে একটি ফায়সালা নিয়ে হযরত উমার (রা)-এর নিকট উপস্থিত হয়। তিনি দেখেন ইয়াহুদীর দাবি সত্য। তখন হযরত উমার (রা) ইয়াহুদীর পক্ষে রায় দেন। ইয়াহুদী তাকে বলল: আল্লাহর শপথ! আপনি ন্যায়বিচার করেছেন। এতদশ্রবণে হযরত উমার (রা) তাকে ছড়ি দ্বারা আঘাত দিয়ে বলেন: কিসে তুমি একথা বুঝলে? ইয়াহুদী বলল, আমি তাওরাতে পেয়েছি: যে বিচারক ন্যায়বিচার করে, একজন ফিরিশতা তার ডানদিকে এবং অপর জন তার বামদিক থেকে তাকে সাহায্য করবে, যাতে সে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং যতদিন সে তার প্রতি অটল থাকবে এরপর যখন সে সত্য বর্জন করবে, তখন ফিরিশতাগণ তাকে ছেড়ে উপরের দিকে চলে যাবে।
(মালিক বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3337- وَعَن سعيد بن الْمسيب رَضِي الله عَنهُ أَن مُسلما ويهوديا اخْتَصمَا إِلَى عمر رَضِي الله عَنهُ فَرَأى الْحق لِلْيَهُودِيِّ فَقضى لَهُ عمر بِهِ فَقَالَ لَهُ الْيَهُودِيّ وَالله لقد قضيت بِالْحَقِّ فَضَربهُ عمر بِالدرةِ وَقَالَ وَمَا يدْريك فَقَالَ الْيَهُودِيّ وَالله إِنَّا نجد فِي التَّوْرَاة لَيْسَ قَاض يقْضِي بِالْحَقِّ إِلَّا كَانَ عَن يَمِينه ملك وَعَن شِمَاله ملك يسددانه ويوفقانه للحق مَا دَامَ مَعَ الْحق فَإِذا ترك الْحق عرجا وتركاه

رَوَاهُ مَالك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৩৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: বিচারকগণকে কিয়ামতের দিন উপস্থিত করা হবে। এরপর তাদের জাহান্নামের তীরে থামিয়ে দেয়া হবে। পরে যখন তাদের জাহান্নামে ফেলার নির্দেশ দেয়া হবে, তখন সে সত্তর বছরের দূরত্বের নিম্নদেশে জাহান্নামে পড়ে যাবে।
(ইবনে মাজা, বাযযার নিজ শব্দে বর্ণনা করেছেন। তারা উভয়ে মুজালিদ হতে। তিনি আমির হতে তিনি মাসরূক হতে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদীসের শব্দমালা ইবনে মাজা বর্ণনায় পেছনে অতিবাহিত হয়েছে।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3338- وَعَن عبد الله يَعْنِي ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ يرفعهُ قَالَ يُؤْتى بِالْقَاضِي يَوْم الْقِيَامَة فَيُوقف على شَفير جَهَنَّم فَإِن أَمر بِهِ دفع فهوى فِيهَا سبعين خَرِيفًا

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ كِلَاهُمَا من رِوَايَة مجَالد عَن عَامر عَن مَسْرُوق عَنهُ وَتقدم لفظ ابْن مَاجَه فِي الْبَاب قبله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৩৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। বিশর ইবনে আসিম জুশানী (রা) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন: যে ব্যক্তি শাসনকার্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত হবে, তাকে আল্লাহ জান্নাতের পুলের কাছে থামিয়ে দেবেন। তখন পুলটি ভীষণভাবে প্রকম্পিত হবে। তাদের একদল মুক্তি পাবে এবং অন্য দল মুক্তি পাবে না। (যারা মুক্তি পাবে না) তাদের অবস্থা এরূপ যে, তাদের হাড় গোশত থেকে পৃথক হবে। যদি সে মুক্তি পায়, তবে তাকে জাহান্নামের মধ্যে কবরের ন্যায় একটি গর্ত হবে, যার গভীরতা সত্তর বছরের দূরত্বের সমান, তাতে নিক্ষেপ করা হবে। উমার (রা) সালমান ও আবু যার (রা)-কে জিজ্ঞেস করেন: হাদীসটি আপনারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছেন কি? তারা উভয়ে বলেন। হাঁ।
(ইবনে আবুদ দুনিয়া ও অন্যানগণ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3339- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن بشر بن عَاصِم الْجُشَمِي رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَا يَلِي أحد من أَمر النَّاس شَيْئا إِلَّا وَقفه الله على جسر جَهَنَّم فزلزل بِهِ الجسر زَلْزَلَة فناج أَو غير نَاجٍ فَلَا يبْقى مِنْهُ عظم إِلَّا فَارق صَاحبه فَإِن هُوَ لم ينج ذهب بِهِ فِي جب مظلم كالقبر فِي جَهَنَّم لَا يبلغ قَعْره سبعين خَرِيفًا وَإِن عمر رَضِي الله عَنهُ سَأَلَ سلمَان وَأَبا ذَر هَل سمعتما ذَلِك من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَا نعم

رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَغَيره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪০. হযরত মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ছোট হোক কি বড় কোন দায়িত্বে সমাসীন হবে এবং সে ন্যায়বিচার করবে না, আল্লাহ তাকে অধোমুখী করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
(তাবারানী (র) আওসাত গ্রন্থে আবদুল আযীয ইবনে হুসায়ন হতে বর্ণনা করেন। তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তি এবং হাকিম। তিনি বলেন, এর সনদ সূত্র বিশুদ্ধ। তবে তার শব্দমালা এই "তোমাদের এই উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তিকে শাসনভার দেওয়া হবে এবং সে তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে না, আল্লাহ তাকে অধোমুখী করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমে অন্য শব্দযোগে বর্ণিত হয়েছে। ইন্‌শাআল্লাহ্ সামনে তার শব্দমালা আসবে।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3340- وَعَن معقل بن يسَار رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ولي أمة من أمتِي قلت أَو كثرت فَلم يعدل فيهم كَبه الله على وَجهه فِي النَّار

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة عبد الْعَزِيز بن الْحصين وَهُوَ واه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
وَلَفظه قَالَ مَا من أحد يكون على شَيْء من أُمُور هَذِه الْأمة فَلم يعدل فيهم إِلَّا كَبه الله فِي النَّار
وَهُوَ فِي الصَّحِيحَيْنِ بِغَيْر هَذَا اللَّفْظ وَسَيَأْتِي لَفظه إِن شَاءَ الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪১. হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: জাহান্নামে একটি উপত্যকা আছে এবং তথায় হাবহাব নামে একটি কূপ আছে। আল্লাহ্ সেখানে প্রত্যেক স্বৈরাচারী ও ঔদ্ধত্যের জন্য বাসস্থান বানানো নিজের উপর অপরিহার্য করে নিয়েছেন।
(তাবারানী উত্তম সনদে, আবূ ই'আলা ও হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3341- وَعَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن فِي جَهَنَّم وَاديا وَفِي الْوَادي بِئْر يُقَال لَهُ هبهب حق على الله أَن يسكنهُ كل جَبَّار عنيد

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن وَأَبُو يعلى وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কাওমের শাসককে হাতে কড়া পরানো অবস্থায় কিয়ামতের দিন উপস্থিত করা হবে এবং তা খোলা হবে না, কেবলমাত্র ন্যায়পরায়ণ শাসক ব্যতীত।
(আহমাদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেন এবং তার বর্ণনাকারীদের বর্ণনা সহীহ্।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3342- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أَمِير عشرَة إِلَّا يُؤْتى بِهِ يَوْم الْقِيَامَة مغلولا لَا يفكه إِلَّا الْعدْل

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد رِجَاله رجال الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪৩. জনৈক ব্যক্তি হযরত সা'দ ইবনে উবাদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, দুই একবার নয়, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বহুবার বলতে শুনেছিঃ কাওমের শাসককে হাতে কড়া পরানো অবস্থায় কিয়ামতের দিন উপস্থিত করা হবে, এবং তার কড়া খোলা হবে না, একমাত্র ন্যায়পরায়ণ শাসক ব্যতীত।
(আহমাদ ও বাযযার বর্ণিত। আহমাদের বর্ণনাসূত্রে একজন বর্ণনাকারী ব্যতীত সবার বর্ণনা বিশুদ্ধ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3343- وَعَن رجل عَن سعد بن عبَادَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سمعته غير مرّة وَلَا مرَّتَيْنِ يَقُول قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من أَمِير عشرَة إِلَّا يُؤْتى بِهِ يَوْم الْقِيَامَة مغلولا لَا يفكه من ذَلِك الغل إِلَّا الْعدْل

رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَرِجَال أَحْمد رجال الصَّحِيح إِلَّا الرجل الْمُبْهم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কাওমের শাসককে কিয়ামতের দিন হাতে কড়া পরানো অবস্থায় উপস্থিত করা হবে এবং তার কড়া খোলা হবে না। কেবলমাত্র ন্যায়পরায়ণ শাসক ব্যতীত। অথবা তিনি বলেছেন, তার যুলম তাকে ধ্বংস করে ছাড়বে।
(বাযযার বর্ণিত তাবারানীর আওসাত গ্রন্থ এবং বাযযারের বর্ণনাকারীদের বর্ণনা বিশুদ্ধ।
বাযযারের অন্য বর্ণনায় আছেঃ "যদি সে আরো পাপ করে থাকে তবে তার কড়ার সাথে আরো কড়া বাড়িয়ে দেওয়া হবে"। তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে উপরোক্ত অতিরিক্ত শব্দযোগে বুরায়দা সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3344- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أَمِير عشرَة إِلَّا يُؤْتى بِهِ مغلولا يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يفكه الْعدْل أَو يوبقه الْجور

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرِجَال الْبَزَّار رجال الصَّحِيح
وَزَاد فِي رِوَايَة وَإِن كَانَ مسيئا زيد غلا إِلَى غله
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِهَذِهِ الزِّيَادَة أَيْضا من حَدِيث بُرَيْدَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪৫. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে মারফু' সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কাওমের শাসককে কিয়ামতের দিন হাতে কড়া পরানো অবস্থায় উপস্থিত করা হবে, এমন কি তার এবং তাদের (প্রজার) মধ্যে মীমাংসা অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে।
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত এবং তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3345- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا يرفعهُ قَالَ مَا من رجل ولي عشرَة إِلَّا أُتِي بِهِ يَوْم الْقِيَامَة مغلولة يَده إِلَى عُنُقه حَتَّى يقْضى بَينه وَبينهمْ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَرِجَاله ثِقَات
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪৬. হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। যে বক্তি কমপক্ষে তিন ব্যক্তিরও আমীর নিযুক্ত হয়, ডান হাতে কড়া পরহিত অবস্থায় সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, কেবলমাত্র তার ন্যায়পরায়ণতাই হবে মুক্তির উপায় এবং সে পাপ করলে তার হাতে আরো কড়া পরানো হবে।
(ইবরাহীম ইবনে হিশাম গাসসানীর সূত্রে ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3346- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من وَالِي ثَلَاثَة إِلَّا لَقِي الله مغلولة يَمِينه فكه عدله أَو غله جوره

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من رِوَايَة إِبْرَاهِيم بن هِشَام الغساني
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তিন প্রকারের জাহান্নামীকে প্রথমে আমার কাছে উপস্থিত করা হবে। তারা হলঃ ১. যালিম শাসক ২. ধনী ব্যক্তি, যে তার সম্পদে আল্লাহর হক আদায় করে না এবং ৩. অহংকারী ভিক্ষুক।
(ইবনে খুযায়মা ও ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3347- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عرض عَليّ أول ثَلَاثَة يدْخلُونَ النَّار أَمِير مسلط وَذُو ثروة من مَال لَا يُؤَدِّي حق الله فِيهِ وفقير فخور

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪৮. হযরত আওফ ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি আমার উম্মাতের উপর তিনটি কাজের ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করছি। সাহাবায়ে কিরাম বলেন: ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে তিনটি কাজ কি কি? তিনি বলেন: ১. আলিমের পদস্খলন , ২. যালিম শাসকের শাসন এবং ৩. প্রবৃত্তির দাসত্বকরণ।
(বাযযার তাবারানী (র) কাসীর ইবনে আবদুল্লাহ্ মাযানী সূত্রে বর্ণনা করেছেন তিনি অপরিচিত। এতদসত্ত্বেও ইমাম তিরমিযী (র) তাঁর হাদীস দলীলরূপে গ্রহণ করেছেন। ইবনে খুযায়মার সহীহ্ গ্রন্থ এবং অবশিষ্ট সনদ সহীহ্।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3348- وَعَن عَوْف بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِنِّي أَخَاف على أمتِي من أَعمال ثَلَاثَة
قَالُوا وَمَا هِيَ يَا رَسُول الله فَقَالَ زلَّة عَالم وَحكم جَائِر وَهوى مُتبع

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ من طَرِيق كثير بن عبد الله الْمُزنِيّ وَهُوَ واه وَقد احْتج بِهِ التِّرْمِذِيّ وَأخرج لَهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَبَقِيَّة إِسْنَاده ثِقَات
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৪৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৪৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার এই ঘরে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ হে আল্লাহ্! আমার উম্মাতের যে ব্যক্তি কোন ব্যাপারে শাসনভার গ্রহণ করে, এরপর সে প্রজাদের প্রতি কঠোর হয়, তুমিও তার প্রতি কঠোর হও। আর যে ব্যক্তি আমার উম্মাতের কোন ব্যাপারে শাসনভার গ্রহণ করে, পরে সে প্রজাদের প্রতি স্নেহশীল হয়, তুমিও তার প্রতি স্নেহশীল হও।
(মুসলিম ও নাসাঈ এবং আবু আওনার সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তবে তার বর্ণনায় রয়েছে: “যে ব্যক্তি কোন কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে প্রজাদের প্রতি কঠোর হয়, তার প্রতি আল্লাহ্ বাহালাত। সাহাবায়ে কিরাম বলেন। ইয়া রাসূলাল্লাহ্! 'বাহালাতুল্লাহ্' কি? তিনি বলেন, আল্লাহর লা'নত।
হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: باب الشفقة এ এই পর্যায়ে হাদীস আসবে।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3349- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول فِي بَيْتِي هَذَا اللَّهُمَّ من ولي من أَمر أمتِي شَيْئا فشق عَلَيْهِم فاشقق عَلَيْهِ وَمن ولي من أَمر أمتِي شَيْئا فرفق بهم فارفق بِهِ

رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ
وَرَوَاهُ أَبُو عوَانَة فِي صَحِيحه وَقَالَ فِيهِ من ولي مِنْهُم شَيْئا فشق عَلَيْهِم فَعَلَيهِ بهلة الله
قَالُوا يَا رَسُول الله وَمَا بهلة الله قَالَ لعنة الله
قَالَ الْحَافِظ وَيَأْتِي فِي بَاب الشَّفَقَة إِن شَاءَ الله
হাদীস নং: ৩৩৫০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫০. হযরত আবু উসমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন আযারবায়যানে অবস্থান করছিলাম। তখন হযরত উমার (রা) এই মর্মে পত্র লেখেন যে, হে উতবা ইবনে ফারকাদ! এ হচ্ছে (রাষ্ট্রীয় সম্পদ)। তোমার পিতার কিংবা তোমার মাতার কারও নয়। তোমার উটগুলো যেখানে চরাবে, সেখানে মুসলমানদের উটগুলোও চরাতে দেবে এবং বিলাসিতা, মুশরিকদের সভ্যতা ও রেশমীবস্ত্র পরিধান করা থেকে বিরত থাকবে।
(মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3350- وَعَن أبي عُثْمَان قَالَ كتب إِلَيْنَا عمر رَضِي الله عَنهُ وَنحن بِأَذربِيجَان
يَا عتبَة بن فرقد إِنَّه لَيْسَ من كدك وَلَا كد أَبِيك وَلَا كد أمك فأشبع الْمُسلمين فِي رحالهم مِمَّا تشبع مِنْهُ فِي رحلك وَإِيَّاكُم والتنعم وزي أهل الشّرك ولبوس الْحَرِير

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৫১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫১. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমার উম্মাতের কোন ব্যক্তি যদি লোকদের কোন বিষয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয় এবং নিজের ন্যায় প্রজাদের হিফাযতে দায়িত্ব পালন না করে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।
(তাবারানীর সাগীর ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3351- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أمتِي أحد ولي من أَمر النَّاس شَيْئا لم يحفظهم بِمَا يحفظ بِهِ نَفسه إِلَّا لم يجد رَائِحَة الْجنَّة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৫২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫২. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কোন কাজের দায়িত্বশীল নিযুক্ত হয়, সে প্রজাদের প্রয়োজন মেটানোর প্রতি যতক্ষণে যত্নবান না হবে, ততক্ষণে আল্লাহ তার প্রতি তাকাবেন না।
(তাবারানীর বর্ণিত বাহনাশ নামে খ্যাত হুসায়ন ইবনে কায়স ব্যতীত বর্ণনা সূত্রের অপরাপর বর্ণনাকারীগণের বর্ণনা বিশুদ্ধ। তবে ইবনে নু'মায়র (রা) তাকে বিশ্বস্ত ও উত্তম বলেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) কিছু সংখ্যক হাদীস ব্যতীত অপরাপর বর্ণনাতে তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন এবং হাকিমের নিকট তাঁর বর্ণনা বিশুদ্ধ। মুতাবা'আত সূত্রে হাদীসটি গ্রহণে ক্ষতিকর কিছু নেই।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3352- وَعَن ابْن عَبَّاس أَيْضا رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين لم ينظر الله فِي حَاجته حَتَّى ينظر فِي حوائجهم

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرِجَاله رجال الصَّحِيح إِلَّا حُسَيْن بن قيس الْمَعْرُوف بحنش وَقد وَثَّقَهُ ابْن نمير وَحسن لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ غير مَا حَدِيث وَصحح لَهُ الْحَاكِم وَلَا يضر فِي المتابعات
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৫৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫৩. হযরত মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ যখন তার বান্দাদের কাউকে প্রজাদের শাসনভার অর্পণ করেন অথচ সে প্রজাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, এ ব্যক্তিকে তার মৃত্যুর পর, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।
তার অন্য বর্ণনায় আছে। যেহেতু সে প্রজা সাধারণের কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য করেনি, কাজেই সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3353- وَعَن معقل بن يسَار رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من عبد يسترعيه الله عز وَجل رعية يَمُوت يَوْم يَمُوت وَهُوَ غاش رَعيته إِلَّا حرم الله تَعَالَى عَلَيْهِ الْجنَّة

وَفِي رِوَايَة فَلم يحطهَا بنصحه لم يرح رَائِحَة الْجنَّة

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৩৩৫৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫৪. হযরত মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি মুসলমানদের আমীর নিযুক্ত হবে, এরপর সে প্রজাদের ব্যাপারে তৎপর না হবে এবং তাদের কল্যাণ কামনা না করবে, তবে সে তাদের সাথে জান্নাতে যেতে পারবে না।
(মুসলিম বর্ণিত।
তাবারানী আরও বাড়িয়ে বলেনঃ "সে কেবল নিজের কল্যাণ ও তৎপরতায় ব্যাপৃত থাকে"।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3354- وَعنهُ أَيْضا رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أَمِير يَلِي أُمُور الْمُسلمين ثمَّ لَا يجْهد لَهُم وَينْصَح لَهُم إِلَّا لم يدْخل مَعَهم الْجنَّة

رَوَاهُ مُسلم وَالطَّبَرَانِيّ وَزَاد كنصحه وجهده لنَفسِهِ
হাদীস নং: ৩৩৫৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫৫. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি মুসলমানের শাসক নিযুক্ত হওয়ার পর বিশ্বাসঘাতকতা করে, সে জাহান্নামী।
(তাবারানীর আওসাত ও সাগীর গ্রন্থে বর্ণিত। তবে আবু লায়লা আবদুল্লাহ্ ইবনে মায়সারা ব্যতীত তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3355- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ولي من أَمر الْمُسلمين شَيْئا فغشهم فَهُوَ فِي النَّار

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا عبد الله بن ميسرَة أَبَا ليلى