আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯৬ টি
হাদীস নং: ৩৩৫৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল মুযানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি, অবশ্যই আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে কোন শাসক বা নেতা রাতের আঁধারে প্রাজাদের সম্পদ আত্মসাৎ করে, তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন।
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।
অন্য বর্ণনায় আছে: "যে কোন শাসক প্রজাদের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, আল্লাহ্ তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দেবেন। অথচ সত্তর বছরের দূরত্ব থেকেও জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যাবে"।)
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।
অন্য বর্ণনায় আছে: "যে কোন শাসক প্রজাদের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, আল্লাহ্ তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দেবেন। অথচ সত্তর বছরের দূরত্ব থেকেও জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যাবে"।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3356- وَعَن عبد الله بن مُغفل الْمُزنِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ أشهد لسمعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من إِمَام وَلَا وَال بَات لَيْلَة سَوْدَاء غاشا لرعيته إِلَّا حرم الله عَلَيْهِ الْجنَّة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
وَفِي رِوَايَة لَهُ مَا من إِمَام يبيت غاشا لرعيته إِلَّا حرم الله عَلَيْهِ الْجنَّة وَعرفهَا يُوجد يَوْم الْقِيَامَة مسيرَة سبعين عَاما
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
وَفِي رِوَايَة لَهُ مَا من إِمَام يبيت غاشا لرعيته إِلَّا حرم الله عَلَيْهِ الْجنَّة وَعرفهَا يُوجد يَوْم الْقِيَامَة مسيرَة سبعين عَاما
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫৭. ইবনে মারইয়াম (র) হযরত আমর ইবনে মুররা জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত মু'আবিয়া (রা)-এর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: আল্লাহ যাকে মুসলমানদের শাসক নিযুক্ত করেন, সে মুসলমানদের প্রয়োজন পূরণে ও অভাব দূরীকরণের ক্ষেত্রে দূরে অবস্থান করে, আল্লাহ তার প্রয়োজনে ও তার অভাব পূরণে দূরে থাকবেন। এতদশ্রবণে হযরত মু'আবিয়া (রা) এক ব্যক্তিকে মুসলমানদের প্রয়োজন পূরণ করার লক্ষ্যে নিযুক্ত করেন।
(আবূ দাউদ নিজ শব্দে ও তিরমিযী বর্ণিত। তবে ইমাম তিরমিযীর অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে শাসক প্রাজাদের প্রয়োজন মেটাতে ও তাদের অভাব দূরীকরণ থেকে দরজা বন্ধ রাখে, আল্লাহ্ তার কাজ সমাধানে প্রয়োজনে এবং অভাব দূরীকরণে আসমানের দরজা বন্ধ করে দেন।
ইমাম হাকিম (র) আবু দাউদের শব্দমালার অনুরূপ বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন, বর্ণনাসূত্র সহীহ।)
(আবূ দাউদ নিজ শব্দে ও তিরমিযী বর্ণিত। তবে ইমাম তিরমিযীর অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে শাসক প্রাজাদের প্রয়োজন মেটাতে ও তাদের অভাব দূরীকরণ থেকে দরজা বন্ধ রাখে, আল্লাহ্ তার কাজ সমাধানে প্রয়োজনে এবং অভাব দূরীকরণে আসমানের দরজা বন্ধ করে দেন।
ইমাম হাকিম (র) আবু দাউদের শব্দমালার অনুরূপ বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন, বর্ণনাসূত্র সহীহ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3357- سنّ وَعَن ابْن مَرْيَم عَمْرو بن مرّة الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ أَنه قَالَ لمعاوية سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من ولاه الله شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فاحتجب دون حَاجتهم وخلتهم وفقرهم احتجب الله دون حَاجته وَخلته وَفَقره يَوْم الْقِيَامَة فَجعل مُعَاوِيَة رجلا على حوائج الْمُسلمين
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ
وَلَفظه قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من إِمَام يغلق بَابه دون ذَوي الْحَاجة والخلة والمسكنة إِلَّا أغلق الله أَبْوَاب السَّمَاء دون خلته وَحَاجته ومسكنته
وَرَوَاهُ الْحَاكِم بِنَحْوِ لفظ أبي دَاوُد وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ
وَلَفظه قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من إِمَام يغلق بَابه دون ذَوي الْحَاجة والخلة والمسكنة إِلَّا أغلق الله أَبْوَاب السَّمَاء دون خلته وَحَاجته ومسكنته
وَرَوَاهُ الْحَاكِم بِنَحْوِ لفظ أبي دَاوُد وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫৮. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি মানুষের শাসক নিযুক্ত হয়, এরপর সে দুর্বল ও দুঃস্থদের প্রয়োজন মেটানো থেকে দূরে থাকে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তার সাথে সাক্ষাৎ করা থেকে বিরত থাকবেন।
(আহমাদ উত্তম সনদে। তাবারানী ও অন্যান্যগণ বর্ণনা করেন।)
(আহমাদ উত্তম সনদে। তাবারানী ও অন্যান্যগণ বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3358- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ولي من أَمر النَّاس شَيْئا فاحتجب عَن أولي الضعْف وَالْحَاجة احتجب الله عَنهُ يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالطَّبَرَانِيّ وَغَيره
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالطَّبَرَانِيّ وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৫৯. হযরত আবু সামাহ্ আযদী যিনি নবী (ﷺ)- এর সাহাবী ও তাঁর চাচাত ভাই হতে বর্ণনা করেন। তিনি একবার হযরত মু'আবিয়া (রা)-এর নিকট আসেন এবং তা সাথে সাক্ষাৎ করেন। তখন তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মুসলমানদের শাসক নিযুক্ত হয়, এরপর সে দুঃস্থ, মাযলুম এবং অভাব গ্রস্তদের প্রয়োজন পূরণ থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তার প্রতি দয়ার দরজা বন্ধ করে তাদের চেয়েও তাকে অধিক দরিদ্রে পরিণত করবেন।
(আহমাদ, আবু ই'আলা বর্ণিত। আহমাদের সনদ সূত্র উত্তম।)
(আহমাদ, আবু ই'আলা বর্ণিত। আহমাদের সনদ সূত্র উত্তম।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3359- وَعَن أبي السماح الْأَزْدِيّ عَن ابْن عَم لَهُ من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه أَتَى مُعَاوِيَة فَدخل عَلَيْهِ فَقَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من ولي من أَمر الْمُسلمين ثمَّ أغلق بَابه دون الْمِسْكِين والمظلوم وَذَوي الْحَاجة أغلق الله تبَارك وَتَعَالَى أَبْوَاب رَحمته دون حَاجته وَفَقره أفقر مَا يكون إِلَيْهَا
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَإسْنَاد أَحْمد حسن
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَإسْنَاد أَحْمد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬০. হযরত আবূ জুহায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। মু'আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা) একবার একদল লোককে বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান। এরপর আবু দাহদাহ নামে এক ব্যক্তি ফিরে আসে। মু'আবিয়া (রা) তাকে বলেন: তুমি কি বের হওনি? সে বলল: হাঁ, তবে আমি আপনাকে একটি হাদীস শোনাতে চাই, যেন আপনি আমার কাছে (কিয়ামতের দিন প্রতিপক্ষ হিসেবে) উপস্থিত না হন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: হে সাহাবাগণ! তোমাদের মধ্যকার কেউ যদি শাসক নিযুক্ত হয়, এরপর সে মুসলমাদের প্রয়োজন মেটানো হতে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশে বাধা দিবেন। যার চিন্তাধারা কেবল দুনিয়াকে ঘিরে অবর্তিত, আল্লাহ তার প্রতি আমার নৈকট্য লাভ হারাম করে দিয়েছেন। কেননা, আমি দুনিয়া বিমুখরূপে প্রেরিত হয়েছি এবং আমি দুনিয়া সাজানোর জন্য আসিনি।
(তাবারানী জাবরূন ইবনে ঈসা ব্যতীত বাকী বর্ণনাসূত্র বিশ্বস্ত রাবীদের সূত্রে বর্ণিত। কেননা, উক্ত বর্ণনাকারীর ভালমন্দ কোন বিষয় আমার জানা নেই। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
(তাবারানী জাবরূন ইবনে ঈসা ব্যতীত বাকী বর্ণনাসূত্র বিশ্বস্ত রাবীদের সূত্রে বর্ণিত। কেননা, উক্ত বর্ণনাকারীর ভালমন্দ কোন বিষয় আমার জানা নেই। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3360- وَعَن أبي جُحَيْفَة أَن مُعَاوِيَة بن أبي سُفْيَان رَضِي الله عَنهُ ضرب على النَّاس بعثا فَخَرجُوا
فَرجع أَبُو الدحداح فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَة ألم تكن خرجت قَالَ بلَى وَلَكِن سَمِعت من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَدِيثا أَحْبَبْت أَن أَضَعهُ عنْدك مَخَافَة أَن لَا تَلقانِي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول يَا أَيهَا النَّاس من ولي عَلَيْكُم عملا فحجب بَابه عَن ذِي حَاجَة الْمُسلمين حجبه الله أَن يلج بَاب الْجنَّة وَمن كَانَت همته الدُّنْيَا حرم الله عَلَيْهِ جواري فَإِنِّي بعثت بخراب الدُّنْيَا وَلم أبْعث بعمارتها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا شَيْخه جبرون بن عِيسَى فَإِنِّي لم أَقف فِيهِ على جرح وَلَا تَعْدِيل وَالله أعلم بِهِ
فَرجع أَبُو الدحداح فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَة ألم تكن خرجت قَالَ بلَى وَلَكِن سَمِعت من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَدِيثا أَحْبَبْت أَن أَضَعهُ عنْدك مَخَافَة أَن لَا تَلقانِي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول يَا أَيهَا النَّاس من ولي عَلَيْكُم عملا فحجب بَابه عَن ذِي حَاجَة الْمُسلمين حجبه الله أَن يلج بَاب الْجنَّة وَمن كَانَت همته الدُّنْيَا حرم الله عَلَيْهِ جواري فَإِنِّي بعثت بخراب الدُّنْيَا وَلم أبْعث بعمارتها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا شَيْخه جبرون بن عِيسَى فَإِنِّي لم أَقف فِيهِ على جرح وَلَا تَعْدِيل وَالله أعلم بِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ প্রজাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও অন্য ব্যক্তির মুসলমানের শাসক নিযুক্ত হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬১. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কোন কাওমের মধ্যে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি স্বীয় আত্মীয়কে শাসক নিযুক্ত করে, সে আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ও মুসলমানদের আমানতের খিয়ানত করে।
(হাকিম (র) হুসায়ন ইবনে কায়স থেকে। তিনি ইকরিমা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (হাকিম) বলেনঃ হাদীসটির সনদসূত্র বিশুদ্ধ।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন, হুসাইনের প্রকৃত নাম হানাশ। তিনি একজন অপরিচিত লোক। পেছনের অনুচ্ছেদে তার বিবরণ অতিবাহিত হয়েছে।)
(হাকিম (র) হুসায়ন ইবনে কায়স থেকে। তিনি ইকরিমা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (হাকিম) বলেনঃ হাদীসটির সনদসূত্র বিশুদ্ধ।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন, হুসাইনের প্রকৃত নাম হানাশ। তিনি একজন অপরিচিত লোক। পেছনের অনুচ্ছেদে তার বিবরণ অতিবাহিত হয়েছে।)
كتاب القضاء
ترهيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين أَن يولي عَلَيْهِم رجلا وَفِي رَعيته خير فِيهِ
3361- عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اسْتعْمل رجلا من عِصَابَة وَفِيهِمْ من هُوَ أرْضى لله مِنْهُ فقد خَان الله وَرَسُوله وَالْمُؤمنِينَ
رَوَاهُ الْحَاكِم من طَرِيق حُسَيْن بن قيس عَن عِكْرِمَة عَنهُ وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ حُسَيْن هَذَا هُوَ حَنش واه وَتقدم فِي الْبَاب قبله
رَوَاهُ الْحَاكِم من طَرِيق حُسَيْن بن قيس عَن عِكْرِمَة عَنهُ وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ حُسَيْن هَذَا هُوَ حَنش واه وَتقدم فِي الْبَاب قبله
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ প্রজাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও অন্য ব্যক্তির মুসলমানের শাসক নিযুক্ত হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬২. হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবু সুফিয়ান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বকর সিদ্দীক (রা) যখন আমাকে সিরিয়ার গভর্নর করে পাঠান, তখন তিনি আমাকে এই মর্মে উপদেশ দেন যে, হে ইয়াযীদ! তোমার কিছু সংখ্যক নিকটাত্মীয় আছে, সম্ভবত তুমি তাদেরকে প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেবে। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বর্ণিত হাদীসের ব্যাপারে তোমার সম্পর্কে আমি এ ভয় করি যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুসলমানদের শাসক নিযুক্ত হয়। এরপর সে তাদের জন্য অযোগ্য লোককে আমীর নিযুক্ত করে, তার প্রতি আল্লাহর লা'নত। আল্লাহ্ তার নফল ফরয কোন ইবাদত কবুল করবেন না। এমন কি তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।
(হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ্।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ বাকর ইবনে খুনায়স সম্পর্কে সামনে বর্ণনা আসবে। আহমাদ (র)-এর বর্ণনা সূত্রে একজন অজ্ঞাত নামা রাবী রয়েছেন, যার নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
(হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ্।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ বাকর ইবনে খুনায়স সম্পর্কে সামনে বর্ণনা আসবে। আহমাদ (র)-এর বর্ণনা সূত্রে একজন অজ্ঞাত নামা রাবী রয়েছেন, যার নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
كتاب القضاء
ترهيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين أَن يولي عَلَيْهِم رجلا وَفِي رَعيته خير فِيهِ
3362- وَعَن يزِيد بن أبي سُفْيَان قَالَ قَالَ لي أَبُو بكر الصّديق رَضِي الله عَنهُ حِين بَعَثَنِي إِلَى الشَّام يَا يزِيد إِن لَك قرَابَة عَسَيْت أَن تؤثرهم بالإمارة وَذَلِكَ أَكثر مَا أَخَاف عَلَيْك بَعْدَمَا قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ولي من أَمر الْمُسلمين شَيْئا فَأمر عَلَيْهِم أحدا مُحَابَاة فَعَلَيهِ لعنة الله لَا يقبل الله مِنْهُ صرفا وَلَا عدلا حَتَّى يدْخلهُ جَهَنَّم
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ فِيهِ بكر بن خُنَيْس يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ وَرَوَاهُ أَحْمد بِاخْتِصَار وَفِي إِسْنَاده رجل لم يسم
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ فِيهِ بكر بن خُنَيْس يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ وَرَوَاهُ أَحْمد بِاخْتِصَار وَفِي إِسْنَاده رجل لم يسم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুষ খোর ও ঘুষদাতার
প্রতি লা'নত করেছেন।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ এবং ইবনে মাজাহ বর্ণিত। তবে তার (ইবনে মাজা)। বর্ণনা এরূপঃ ঘুষখোর ও মুযদাতার প্রতি আল্লাহর লা'নত"। ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ ও হাকিম বর্ণিত। তিনি (হাকিম) বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ।)
প্রতি লা'নত করেছেন।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ এবং ইবনে মাজাহ বর্ণিত। তবে তার (ইবনে মাজা)। বর্ণনা এরূপঃ ঘুষখোর ও মুযদাতার প্রতি আল্লাহর লা'নত"। ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ ও হাকিম বর্ণিত। তিনি (হাকিম) বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3363- عَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ لعن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الراشي والمرتشي
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لعنة الله على الراشي والمرتشي
وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لعنة الله على الراشي والمرتشي
وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬৪. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: ঘুষখোর ও ঘুষদাতা উভয়ই জাহান্নামী।
(তাবারানী, তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও পরিচিত এবং বাযযার (র) আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা) সূত্রে নিজ শব্দে বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী, তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও পরিচিত এবং বাযযার (র) আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা) সূত্রে নিজ শব্দে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3364- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الراشي والمرتشي فِي النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات معروفون
وَرَوَاهُ الْبَزَّار بِلَفْظِهِ من حَدِيث عبد الرَّحْمَن بن عَوْف
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات معروفون
وَرَوَاهُ الْبَزَّار بِلَفْظِهِ من حَدِيث عبد الرَّحْمَن بن عَوْف
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬৫. হযরত আমর ইবনে আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে জাতির মধ্যে সুদ ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করবে, তাদের উপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হবে। যে জাতির মধ্যে ঘুষ ব্যাপাক প্রসার লাভ করবে, তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করে দেওয়া হবে।
(আহমাদ (র) সমালোচিত সনদসূত্রে বর্ণনা করে না।)
(আহমাদ (র) সমালোচিত সনদসূত্রে বর্ণনা করে না।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3365- وَعَن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من قوم يظْهر فيهم الرِّبَا إِلَّا أخذُوا بِالسنةِ وَمَا من قوم يظْهر فيهم الرشا إِلَّا أخذُوا بِالرُّعْبِ
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد فِيهِ نظر
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد فِيهِ نظر
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুষখোর ও ঘুষদাতা উভয়কে একই বিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
(তিরমিযী বর্ণিত। তার মতে সনদ সূত্র হাসান, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ ও হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) তার বর্ণনায় الرائش বাড়িয়ে বলেছেন অর্থাৎ সে যে দু'জনের মধ্যকার সমন্বয়কারী।)
(তিরমিযী বর্ণিত। তার মতে সনদ সূত্র হাসান, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ ও হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) তার বর্ণনায় الرائش বাড়িয়ে বলেছেন অর্থাৎ সে যে দু'জনের মধ্যকার সমন্বয়কারী।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3366- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ لعن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الراشي والمرتشي فِي الحكم
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَزَادُوا والرائش يَعْنِي الَّذِي يسْعَى بَينهمَا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَزَادُوا والرائش يَعْنِي الَّذِي يسْعَى بَينهمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬৭. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঘুষখোর ও ঘুষদাতা এবং সমন্বয়কারী সকলের প্রতি রাসূলুল্লাহ লা'নত করেছেন।
(আহমাদ, বাযযার ও তাবারানী বর্ণিত তবে তাবারানীর বর্ণনাসূত্র আবুল খাত্তাব নামে একজন বর্ণনাকারী আছেন, যিনি অপরিচিত।
الرائش ঘুষখোর ও ঘুষদাতার মধ্যকার সমন্বয়কারী।)
(আহমাদ, বাযযার ও তাবারানী বর্ণিত তবে তাবারানীর বর্ণনাসূত্র আবুল খাত্তাব নামে একজন বর্ণনাকারী আছেন, যিনি অপরিচিত।
الرائش ঘুষখোর ও ঘুষদাতার মধ্যকার সমন্বয়কারী।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3367- وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ لعن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الراشي والمرتشي والرائش يَعْنِي الَّذِي يمشي بَينهمَا
رَوَاهُ الإِمَام أَحْمد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَفِيه أَبُو الْخطاب لَا يعرف
الرائش بالشين الْمُعْجَمَة هُوَ السفير بَين الرائش والمرتشي
رَوَاهُ الإِمَام أَحْمد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَفِيه أَبُو الْخطاب لَا يعرف
الرائش بالشين الْمُعْجَمَة هُوَ السفير بَين الرائش والمرتشي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬৮. হযরত উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘুষ খোর ও ঘুষদাতাকে লা'নতের ব্যাপারে একই বিধানের অন্তুর্ভুক্ত করেছেন।
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3368- وَعَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لعن الله الراشي والمرتشي فِي الحكم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৬৯. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে মারফু' সনদে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন কাওমের শাসক নিযুক্ত হয়, এরপর সে তাদের উপর পসন্দ অথবা অপসন্দভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করে, তাকে হাতে বেড়ি পরানো অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। যদি সে ন্যায়পরায়ণ সাব্যস্ত হয়। ঘুষদাতা না হয়, অন্যায় বিধান কার্যকর না করে, আল্লাহ তাকে বন্ধনমুক্ত করে দেবেন। আর যদি সে আল্লাহর আইন পরিপন্থী বিধান প্রবর্তন করে, ঘুষের লেনদেন করে এবং আল্লাহদ্রোহী কাজ করে, তবে তার বাম হাত ডান হাতের সাথে বেঁধে দেয়া হবে। পরে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। পাঁচশ বছর অতিক্রান্ত হলেও সে জাহান্নামের (গভীরতার দরুন) নিম্নদেশে পৌঁছতে পারবে না।
(হাকিম (র) সাদান ইবনে ওয়ালিদ হতে। তিনি আতা সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হাসান ইবনে বিশর বাজালী তাঁর থেকে শুনেছেন। সাদান ইবনে ওয়ালীদ বাজালী কুফার অধিবাসী এবং অল্প সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী। ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেন নি।)
(হাকিম (র) সাদান ইবনে ওয়ালিদ হতে। তিনি আতা সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হাসান ইবনে বিশর বাজালী তাঁর থেকে শুনেছেন। সাদান ইবনে ওয়ালীদ বাজালী কুফার অধিবাসী এবং অল্প সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী। ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেন নি।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3369- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا مَرْفُوعا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ولي عشرَة فَحكم بَينهم بِمَا أَحبُّوا أَو بِمَا كَرهُوا جِيءَ بِهِ مغلولة يَده فَإِن عدل وَلم يرتش وَلم يحف فك الله عَنهُ وَإِن حكم بِغَيْر مَا أنزل الله وارتشى وحابى فِيهِ شدت يسَاره إِلَى يَمِينه ثمَّ رمي بِهِ فِي جَهَنَّم فَلم يبلغ قعرها خَمْسمِائَة عَام
رَوَاهُ الْحَاكِم عَن سَعْدَان بن الْوَلِيد عَن عَطاء عَنهُ وَقَالَ سَمعه الْحسن بن بشير البَجلِيّ مِنْهُ وسعدان بن الْوَلِيد البَجلِيّ الْكُوفِي قَلِيل الحَدِيث لم يخرجَا عَنهُ
رَوَاهُ الْحَاكِم عَن سَعْدَان بن الْوَلِيد عَن عَطاء عَنهُ وَقَالَ سَمعه الْحسن بن بشير البَجلِيّ مِنْهُ وسعدان بن الْوَلِيد البَجلِيّ الْكُوفِي قَلِيل الحَدِيث لم يخرجَا عَنهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ ঘুষখোর, ঘুষদাতা এবং তাদের মধ্যকার সময়ন্বকারীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৭০. হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: ঘুষ আল্লাহর বিধানে কুফরী। মানব সমাজে ঘুষ হারাম।
(তাবারানী (র) মাওকুফ সনদে উত্তম সূত্রে বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী (র) মাওকুফ সনদে উত্তম সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
ترهيب الراشي والمرتشي والساعي بَينهمَا
3370- وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ الرِّشْوَة فِي الحكم كفر وَهِي بَين النَّاس سحت
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৭১. হযরত আবূ যার (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আল্লাহর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: হে আমার বান্দাগণ! আমি আমার জন্য যুলম হারাম করেছি, তাই আমি তা তোমাদের জন্যও হারাম করে দিলাম। অতএব, তোমরা একে অপরের উপর যুলুম করো না।
(আল-হাদীস: মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজা বর্ণিত। হাদীসটি পূর্ণভাবে পূর্বে দু'আ ও অন্যান্য অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।)
(আল-হাদীস: মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজা বর্ণিত। হাদীসটি পূর্ণভাবে পূর্বে দু'আ ও অন্যান্য অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3371- عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِيمَا يروي عَن ربه عز وَجل أَنه قَالَ يَا عبَادي إِنِّي حرمت الظُّلم على نَفسِي وَجَعَلته بَيْنكُم محرما فَلَا تظالموا الحَدِيث
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الدُّعَاء وَغَيره
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الدُّعَاء وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৭২. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা যুলুম করা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, যুলম কিয়ামতের দিন ঘোর অন্ধকারে পরিণত হবে। তোমরা কৃপণতা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, কার্পণ্যতাই তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তা তাদের খুনাখুনি করতে এবং হারামকে হালাল মনে করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
(মুসলিম অপরাপর মুহাদ্দিসগণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম অপরাপর মুহাদ্দিসগণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3372- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اتَّقوا الظُّلم فَإِن الظُّلم ظلمات يَوْم الْقِيَامَة وَاتَّقوا الشُّح فَإِن الشُّح أهلك من كَانَ قبلكُمْ حملهمْ على أَن سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمهمْ
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৭৩. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যুলম কিয়ামতের দিন ঘোর অন্ধকারে পরিণত হবে।
(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণিত।)
(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3373 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الظُّلم ظلمات يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৭৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে মারফু' সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমরা যুলম করা থেকে বিরত থাক। কেননা, আল্লাহ্ অশ্লীল ভাষীকে ভালবাসেন না। তোমরা কার্পণ্যতা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, কার্পণ্যতা তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের পরস্পর খুনাখুনি ও হারামকে হালাল মনে করার প্রতি অহ্বান জানিয়েছে।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থ ও হাকিম বর্ণিত।)
(ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থ ও হাকিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3374- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ يبلغ بِهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إيَّاكُمْ وَالظُّلم فَإِن الظُّلم هُوَ ظلمات يَوْم الْقِيَامَة وَإِيَّاكُم وَالْفُحْش فَإِن الله لَا يحب الْفَاحِش والمتفحش وَإِيَّاكُم وَالشح فَإِن الشُّح دَعَا من كَانَ قبلكُمْ فسفكوا دِمَاءَهُمْ وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمهمْ
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৭৫. হযরত হিরমাস ইবনে যিয়াদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে উটে বসে ভাষণ দিতে শুনেছি। এরপর তিনি বলেন: তোমরা বিশ্বাসঘাতকতা করা থেকে সর্তক থাক। কেননা, অন্তরের কুমন্ত্রণার মধ্যে তা সর্ব নিকৃষ্ট। তোমরা যুলম করা থেকে সতর্ক থাক, কেননা, কিয়ামতের দিন তা অন্ধকারের কারণ হবে। তোমরা অন্তরের কার্পণ্যতা থেকে সতর্ক থাক, কেননা, কার্পণ্যতাই তোমাদের পূর্ব পুরুষদের ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন কি তারা পরস্পর রক্তপাত করেছে ও আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থ উক্ত হাদীসটির সমর্থনে আরও বহু হাদীস রয়েছে।)
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থ উক্ত হাদীসটির সমর্থনে আরও বহু হাদীস রয়েছে।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3375- وَرُوِيَ عَن الهرماس بن زِيَاد رَضِي الله عَنهُ قَالَ رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يخْطب على نَاقَته فَقَالَ إيَّاكُمْ والخيانة فَإِنَّهَا بئست البطانة وَإِيَّاكُم وَالظُّلم فَإِنَّهُ ظلمات يَوْم الْقِيَامَة وَإِيَّاكُم وَالشح فَإِنَّمَا أهلك من كَانَ قبلكُمْ الشُّح حَتَّى سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ وَقَطعُوا أرحامهم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَله شَوَاهِد كَثِيرَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَله شَوَاهِد كَثِيرَة
তাহকীক: