আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯৬ টি
হাদীস নং: ৩৩১৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কিয়ামতের দিন সাত প্রকার লোককে আল্লাহ্ ছায়া দেবেন, যে দিন তাঁর ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না। তাঁরা হলঃ ১ ন্যায়পরায়ণ শাসক, ২. ঐ যুবক, আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে যার সময় কেটেছে, ৩. ঐ ব্যক্তি, মসজিদের সাথে যার অন্তর সম্পৃক্ত থাকে, ৪. ঐ দুই ব্যক্তি, যারা একে অপরকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসে, উভয়ে মিলিত হয় তাঁর জন্য এবং পৃথক হয় তাঁর জন্য, ৫. ঐ ব্যক্তি, যাকে কোন সম্ভ্রান্ত অনিন্দ্য সুন্দরী নারী ডাকে, অথচ সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি ৬. ঐ ব্যক্তি, যে গোপনে দান-খয়রাত করে, এমন কি তার বাম হাত জানে না, তার ডান হাত কি দান করে এবং ৭. ঐ ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দুই চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে।
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3316- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ سَبْعَة يظلهم الله فِي ظله يَوْم لَا ظلّ إِلَّا ظله إِمَام عَادل وشاب نَشأ فِي عبَادَة الله وَرجل قلبه مُعَلّق بالمساجد ورجلان تحابا فِي الله اجْتمعَا عَلَيْهِ وتفرقا عَلَيْهِ وَرجل دَعَتْهُ امْرَأَة ذَات منصب وجمال فَقَالَ إِنِّي أَخَاف الله وَرجل تصدق بِصَدقَة فأخفاها حَتَّى لَا تعلم شِمَاله مَا تنْفق يَمِينه وَرجل ذكر الله خَالِيا فَفَاضَتْ عَيناهُ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩১৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না। তারা হলঃ ১. সিয়াম পালনকারী, যতক্ষণে সে ইতার না করে ২. নিষ্ঠাবান শাসক ও ৩. মযলুমের (বদ) দু'আ আল্লাহ্ আকাশের মেঘের উপর তুলে নেন, তার দু'আর জন্য আকাশের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং আল্লাহ বলেনঃ আমার সম্মান ও ইয্যতের শপথ, (এখন না হলেও) মৃত্যুর পরে আমি তোমাকে সাহায্য করব।
(আহমাদ এক বর্ণনায় এবং তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান। ইবনে মাজা এবং খুযায়মা ও ইবনে হিব্বাবের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত।)
(আহমাদ এক বর্ণনায় এবং তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান। ইবনে মাজা এবং খুযায়মা ও ইবনে হিব্বাবের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3317- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا ترد دعوتهم الصَّائِم حَتَّى يفْطر وَالْإِمَام الْعَادِل ودعوة الْمَظْلُوم يرفعها الله فَوق الْغَمَام وَيفتح لَهَا أَبْوَاب السَّمَاء وَيَقُول الرب وَعِزَّتِي لأنصرنك وَلَو بعد حِين
رَوَاهُ أَحْمد فِي حَدِيث وَالتِّرْمِذِيّ
وَحسنه ابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
رَوَاهُ أَحْمد فِي حَدِيث وَالتِّرْمِذِيّ
وَحسنه ابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩১৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১৮. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনে আ'স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: সুবিচারকগণ আল্লাহর (আরশের) ডান দিকে নূরের মিম্বরের পাশে অবস্থান করবে অথচ তাঁর উভয় দিকই হবে কল্যাণময়। আর তারা হলো: যারা রাষ্ট্রীয়, পরিবারিক, এবং সমস্ত দায়িত্বের ব্যাপারে সুবিচার কায়েম করে।
(মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণিত।)
(মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3318- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن المقسطين عِنْد الله على مَنَابِر من نور عَن يَمِين الرَّحْمَن وكلتا يَدَيْهِ يَمِين
الَّذين يعدلُونَ فِي حكمهم وأهليهم وَمَا ولوا
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ
الَّذين يعدلُونَ فِي حكمهم وأهليهم وَمَا ولوا
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩১৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১৯. হযরত ইয়ায ইবনে হিমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি। তিন প্রকার লোক জান্নাতী। তারা হলঃ ১. ন্যায়পরায়ণ সামর্থ্যবান শাসক, ২. নিকট আত্মীয়, যে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দয়ালু ও কোমল অন্তরের অধিকারী এবং ৩. ঐ ব্যক্তি, যার অধিক সন্তান-সন্ততি থাকা সত্ত্বেও পরমুখাপেক্ষীহীন।
(মুসলিম বর্ণিত।
المقسط- ন্যায়পরায়ণ।)
(মুসলিম বর্ণিত।
المقسط- ন্যায়পরায়ণ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3319- وَعَن عِيَاض بن حمَار رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول أهل الْجنَّة ثَلَاثَة ذُو سُلْطَان مقسط موفق وَرجل رَحِيم رَقِيق الْقلب لكل ذِي قربى مُسلم وعفيف متعفف ذُو عِيَال
رَوَاهُ مُسلم
المقسط الْعَادِل
رَوَاهُ مُسلم
المقسط الْعَادِل
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২০. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: ন্যায়পরায়ণ শাসকের একটি দিন আবিদের (ইবাদতকারী) যাট বছরের ইবাদত অপেক্ষাও উত্তম। আল্লাহর যমীনে তাঁর একটি আইন কায়েম করা, যমীনে চল্লিশ দিন বৃষ্টিপাত পর্যন্ত হওয়া অপেক্ষাও যমীনের জন্য অধিক পবিত্রতার বাহন।
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। আর মু'জামুল কাবীর গ্রন্থের সনদসূত্র উত্তম।)
(তাবারানীর কাবীর ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। আর মু'জামুল কাবীর গ্রন্থের সনদসূত্র উত্তম।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3320- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْم من إِمَام عَادل أفضل من عبَادَة سِتِّينَ سنة وحد يُقَام فِي الأَرْض بِحقِّهِ أزكى فِيهَا من مطر أَرْبَعِينَ صباحا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَإسْنَاد الْكَبِير حسن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَإسْنَاد الْكَبِير حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: হে আবু হুরায়রা! সুবিচার কায়েমের একটি মুহূর্ত ষাট বছরের ইবাদত আপেক্ষাও উত্তম, যে বছরগুলোর দিনে সিয়াম পালন করা হয় এবং রাতে কিয়ামুল লাইল করা হয়। হে আবু হুরায়রা! যাট বছর পাপ করার চেয়ে আল্লাহর নিকট শাসনকার্যে প্রজাদের উপর এক মুহূর্ত অত্যাচার করা গুরুতর অপরাধ।
অন্য বর্ণনায় আছে, ন্যায়পরায়ণতার সাথে একদিন শাসনকার্য পরিচালনা করা, যাট বছরের ইবাদত অপেক্ষাও উত্তম।
(ইস্পাহানি বর্ণনা করেছেন।)
অন্য বর্ণনায় আছে, ন্যায়পরায়ণতার সাথে একদিন শাসনকার্য পরিচালনা করা, যাট বছরের ইবাদত অপেক্ষাও উত্তম।
(ইস্পাহানি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3321- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا هُرَيْرَة عدل سَاعَة أفضل من عبَادَة سِتِّينَ سنة قيام لَيْلهَا وَصِيَام نَهَارهَا وَيَا أَبَا هُرَيْرَة جور سَاعَة فِي حكم أَشد وَأعظم عِنْد الله عز وَجل من معاصي سِتِّينَ سنة
وَفِي رِوَايَة عدل يَوْم وَاحِد أفضل من عبَادَة سِتِّينَ سنة
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
وَفِي رِوَايَة عدل يَوْم وَاحِد أفضل من عبَادَة سِتِّينَ سنة
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২২. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন ন্যায় বিচারক শাসক আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় ও মজলিসে সে নিকটতম ব্যক্তি হবে। আর সে দিন আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট এবং মজলিসে অতি দূরবর্তী ব্যক্তি হবে যালিম শাসক।
(তিরমিযী ও তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে সংক্ষেপে বর্ণিত। তবে তাবারানীর অন্য বর্ণনায় : وأبعدهم منه أشد الناس عذابًا يوم القيامة يجلسا إمام جائر কিয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে সর্বাধিক কঠিন শাস্তি ভোগ করবে যালিম শাসক।
তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
(তিরমিযী ও তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে সংক্ষেপে বর্ণিত। তবে তাবারানীর অন্য বর্ণনায় : وأبعدهم منه أشد الناس عذابًا يوم القيامة يجلسا إمام جائر কিয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে সর্বাধিক কঠিন শাস্তি ভোগ করবে যালিম শাসক।
তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3306 - وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أحب النَّاس إِلَى الله يَوْم الْقِيَامَة وأدناهم مِنْهُ مَجْلِسا إِمَام عَادل وَأبْغض النَّاس إِلَى الله تَعَالَى وأبعدهم مِنْهُ مَجْلِسا إِمَام جَائِر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط مُخْتَصرا إِلَّا أَنه قَالَ أَشد النَّاس عذَابا يَوْم الْقِيَامَة إِمَام جَائِر
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن غَرِيب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط مُخْتَصرا إِلَّا أَنه قَالَ أَشد النَّاس عذَابا يَوْم الْقِيَامَة إِمَام جَائِر
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৩. হযরত উমার ইবনে খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট লোকদের মধ্যে সর্বাধিক উত্তম হল ঐ ব্যক্তি, যে ন্যায়পরায়ণ ও সদাচারী শাসক। আল্লাহর নিকট আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হল ঐ ব্যক্তি, যে যালিম ও নিষ্ঠুর শাসক।
(তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে ইবনে লাহীয়া সূত্রে বর্ণিত। তাঁর হাদীসটি মুতাবা'আত সূত্রে হাসান।)
(তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে ইবনে লাহীয়া সূত্রে বর্ণিত। তাঁর হাদীসটি মুতাবা'আত সূত্রে হাসান।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3323- وَعَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أفضل النَّاس عِنْد الله منزلَة يَوْم الْقِيَامَة إِمَام عَادل رَفِيق وَشر عباد الله عِنْد الله منزلَة يَوْم الْقِيَامَة جَائِر خرق
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَحَدِيثه حسن فِي المتابعات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَحَدِيثه حسن فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন (আল্লাহর নিকট) যালিম শাসক ও প্রজাগণকে উপস্থিত করা হবে। তখন প্রজাবৃন্দ তার সাথে বাদানুবাদ করবে। এতে প্রজাগণ জয়লাভ করবে। এরপর তাকে (শাসক) বলা হবে, তুমি জাহান্নামের একটি খুঁটিতে পরিণত হও।
(বাযযার বর্ণিত এই হাদীসটির বর্ণনাকারী আগলাব ইবনে তামীম একজন অপরিচিত ব্যক্তি।
فيفلجوا عليه- প্রমাণ উপস্থাপনে প্রতিপক্ষের উপর জয়ী হওয়া।)
(বাযযার বর্ণিত এই হাদীসটির বর্ণনাকারী আগলাব ইবনে তামীম একজন অপরিচিত ব্যক্তি।
فيفلجوا عليه- প্রমাণ উপস্থাপনে প্রতিপক্ষের উপর জয়ী হওয়া।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3324- وَرُوِيَ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يجاء بِالْإِمَامِ الجائر يَوْم الْقِيَامَة فتخاصمه الرّعية فيفلجوا عَلَيْهِ فَيُقَال لَهُ سد ركنا من أَرْكَان جَهَنَّم
رَوَاهُ الْبَزَّار وَهَذَا الحَدِيث مِمَّا أنكر على أغلب بن تَمِيم
فيفلجوا عَلَيْهِ بِالْجِيم أَي يظهروا عَلَيْهِ بِالْحجَّةِ والبرهان ويقهروه حَال الْمُخَاصمَة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَهَذَا الحَدِيث مِمَّا أنكر على أغلب بن تَمِيم
فيفلجوا عَلَيْهِ بِالْجِيم أَي يظهروا عَلَيْهِ بِالْحجَّةِ والبرهان ويقهروه حَال الْمُخَاصمَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৫. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন সবচেয়ে অধিক শাস্তি ভোগ করবে ঐ ব্যক্তি, যে নবী (ﷺ)-কে হত্যা করেছে অথবা নবী (ﷺ) যাকে হত্যা করেছেন এবং যালিম শাসক।
(তাবারানী বর্ণিত লায়স ইবনে আবু সুলায়ম ব্যতীত তার বর্ণনার সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। সহীহ গ্রন্থে আংশিক বিবরণ রয়েছে এবং রাযযার উত্তম সনদে বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর বর্ণনায় امام ضلالة (বিপদগামী শাসক) বলেছেন।)
(তাবারানী বর্ণিত লায়স ইবনে আবু সুলায়ম ব্যতীত তার বর্ণনার সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। সহীহ গ্রন্থে আংশিক বিবরণ রয়েছে এবং রাযযার উত্তম সনদে বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর বর্ণনায় امام ضلالة (বিপদগামী শাসক) বলেছেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3325- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أَشد أهل النَّار عذَابا يَوْم الْقِيَامَة من قتل نَبيا أَو قَتله نَبِي وَإِمَام جَائِر
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات
إِلَّا لَيْث بن أبي سليم وَفِي الصَّحِيح بعضه
وَرَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد جيد إِلَّا أَنه قَالَ وَإِمَام ضَلَالَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات
إِلَّا لَيْث بن أبي سليم وَفِي الصَّحِيح بعضه
وَرَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد جيد إِلَّا أَنه قَالَ وَإِمَام ضَلَالَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: চার ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ্ ক্ষুদ্ধ। তারা হলঃ ১. ক্রয়-বিক্রয়ে অধিক শপথকারী, ২. অহংকারী যুবক, ৩. বৃদ্ধ ব্যভিচারী এবং ৪. যালিম শাসক।
(নাসাঈ ও ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত। মুসলিম শরীফে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে তার বর্ণনায়: মিথ্যাবাদী বাদশাহ এবং অহংকারী ভিক্ষুক।")
(নাসাঈ ও ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত। মুসলিম শরীফে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে তার বর্ণনায়: মিথ্যাবাদী বাদশাহ এবং অহংকারী ভিক্ষুক।")
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3326- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَرْبَعَة يبغضهم الله البياع الحلاف والفتى المختال وَالشَّيْخ الزَّانِي وَالْإِمَام الجائر
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَهُوَ فِي مُسلم بِنَحْوِهِ إِلَّا أَنه قَالَ وَملك كَذَّاب وعائل مستكبر
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَهُوَ فِي مُسلم بِنَحْوِهِ إِلَّا أَنه قَالَ وَملك كَذَّاب وعائل مستكبر
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৭. হযরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন: সাবধান, হে মানব মণ্ডলী! যালিম শাসকের কোন সালাতই আল্লাহ্ কবুল করেন না।
(হাকিম (র) আবদুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ আদাবী থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (হাকিম) বলেন: হাদীসটির বর্ণনাসূত্র বিশুদ্ধ।
হাফিয মুনযিরী (র) বলেন, আবদুল্লাহ্ একজন অভিযুক্ত ও অপরিচিত ব্যক্তি। মুহাদ্দিসগণ তার হাদীস মুনকার বলেছেন।)
(হাকিম (র) আবদুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ আদাবী থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (হাকিম) বলেন: হাদীসটির বর্ণনাসূত্র বিশুদ্ধ।
হাফিয মুনযিরী (র) বলেন, আবদুল্লাহ্ একজন অভিযুক্ত ও অপরিচিত ব্যক্তি। মুহাদ্দিসগণ তার হাদীস মুনকার বলেছেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3327- وَعَن طَلْحَة بن عبيد الله رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول أَلا أَيهَا النَّاس لَا يقبل الله صَلَاة إِمَام جَائِر
رَوَاهُ الْحَاكِم من رِوَايَة عبد الله بن مُحَمَّد الْعَدوي وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ وَعبد الله هَذَا واه مُتَّهم وَهَذَا الحَدِيث مِمَّا أنكر عَلَيْهِ
رَوَاهُ الْحَاكِم من رِوَايَة عبد الله بن مُحَمَّد الْعَدوي وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ وَعبد الله هَذَا واه مُتَّهم وَهَذَا الحَدِيث مِمَّا أنكر عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহর নিকট তিন ব্যক্তির এই সাক্ষ্য: আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। (ঈমান) গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর তিনি একজনের কথা উল্লেখ করেন। আর সে হল যালিম শাসক।
(তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত।)
(তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3328- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا يقبل الله لَهُم شَهَادَة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله فَذكر مِنْهُم الإِمَام الجائر
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩২৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৯. হযরত ইবনে উমার (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: পৃথিবীতে ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর রহমতের একটি ছায়া। মাযলুম বান্দাগণ তার নিকট আশ্রয় চায়। যদি সে সুবিচার করে, তবে সে পুরস্কৃত হবে, আর প্রজাদের উচিত তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আর যদি সে যালিম হয় অথবা ধ্বংসকারী হয় অথবা নিষ্ঠুর হয় তবে তার জন্য রয়েছে পাপের বোঝা। এমতাবস্থায় প্রজাদের উচিত ধৈর্যধারণ করা। শাসক যখন যালিম হয়, তখন অনাবৃষ্টির ফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং যখন যাকাত আদায় করা হয় না, তখন চতুষ্পদ জন্তু ধ্বংস হয়ে যায়। ব্যভিচার যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন দুর্ভিক্ষ ও লাঞ্ছনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শাসনকার্যে যখন বিশ্বাসঘাতকতা দেখা দেয়, তখন বিজাতির হাতে ক্ষমতা চলে যায় অথবা তিনি অনুরূপ বলেছেন।
(ইবনে মাজা বর্ণিত। তবে ইবনে মাজার শব্দমালা পেছনে বর্ণিত রয়েছে। বাযযার নিজশব্দে ও বায়হাকী বর্ণিত। বায়হাকী (র) নিজ শব্দে ইবনে উমার (রা) হতে এরূপা বর্ণনা করেনঃ তোমাদের মধ্যে যখন পাঁচটি অপরাধ দেখা দেবে, তখন তোমাদের অবস্থা কেমন হবে, আমি তোমাদের মধ্যে তা পতিত না হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি অথবা তিনি বলেছেন: তোমরা যেন সেগুলোর শিকার না হও। তা হলঃ ১. যে জাতির মধ্যে খোলাখুলি ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, তাদের মধ্যে 'তাউন' ব্যাধি প্রসার লাভ করবে এবং তা এমন রোগ, যা তাদের পূর্ববর্তীগণের মধ্যে ছিল না। ২. যে জাতি যাকাত আদায় করবে না, আকাশের বৃষ্টি তাদের জন্য বন্ধ থাকবে, চতুষ্পদ জন্তু না হলে তাদের উপর মোটেই বৃষ্টি হতো না। ৩. যে জাতি ওযনে কম দেবে, তারা দুর্ভিক্ষ এবং কঠিন বিপদের শিকার হবে এবং ৪. যে সকল শাসক আল্লাহর আইন পরিপন্থি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবে, তাদের উপর আল্লাহ্ বিজাতির শাসন চাপিয়ে দেবেন। এরপর তারা তাদের সব কিছু ছিনিয়ে নেবে। ৫. আর যে দেশে আল্লাহর আইন এবং নবী (ﷺ)-এর সুন্নাত বন্ধ করে দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সংঘাত শুরু হবে।
হাকিম (র) বুরায়দা (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তিনি (হাকিম) বলেন: হাদীসটি মুসলিমের বর্ণনানুসারে, বিশুদ্ধ।)
(ইবনে মাজা বর্ণিত। তবে ইবনে মাজার শব্দমালা পেছনে বর্ণিত রয়েছে। বাযযার নিজশব্দে ও বায়হাকী বর্ণিত। বায়হাকী (র) নিজ শব্দে ইবনে উমার (রা) হতে এরূপা বর্ণনা করেনঃ তোমাদের মধ্যে যখন পাঁচটি অপরাধ দেখা দেবে, তখন তোমাদের অবস্থা কেমন হবে, আমি তোমাদের মধ্যে তা পতিত না হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি অথবা তিনি বলেছেন: তোমরা যেন সেগুলোর শিকার না হও। তা হলঃ ১. যে জাতির মধ্যে খোলাখুলি ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, তাদের মধ্যে 'তাউন' ব্যাধি প্রসার লাভ করবে এবং তা এমন রোগ, যা তাদের পূর্ববর্তীগণের মধ্যে ছিল না। ২. যে জাতি যাকাত আদায় করবে না, আকাশের বৃষ্টি তাদের জন্য বন্ধ থাকবে, চতুষ্পদ জন্তু না হলে তাদের উপর মোটেই বৃষ্টি হতো না। ৩. যে জাতি ওযনে কম দেবে, তারা দুর্ভিক্ষ এবং কঠিন বিপদের শিকার হবে এবং ৪. যে সকল শাসক আল্লাহর আইন পরিপন্থি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবে, তাদের উপর আল্লাহ্ বিজাতির শাসন চাপিয়ে দেবেন। এরপর তারা তাদের সব কিছু ছিনিয়ে নেবে। ৫. আর যে দেশে আল্লাহর আইন এবং নবী (ﷺ)-এর সুন্নাত বন্ধ করে দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সংঘাত শুরু হবে।
হাকিম (র) বুরায়দা (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তিনি (হাকিম) বলেন: হাদীসটি মুসলিমের বর্ণনানুসারে, বিশুদ্ধ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3329- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ السُّلْطَان ظلّ الله فِي الأَرْض يأوي إِلَيْهِ كل مظلوم من عباده فَإِن عدل كَانَ لَهُ الْأجر وَكَانَ يَعْنِي على الرّعية الشُّكْر وَإِن جَار أَو حاف أَو ظلم كَانَ عَلَيْهِ الْوزر وعَلى الرّعية الصَّبْر وَإِذا جارت الْوُلَاة قحطت السَّمَاء وَإِذا منعت الزَّكَاة هَلَكت الْمَوَاشِي وَإِذا ظهر الزِّنَا ظهر الْفقر والمسكنة وَإِذا أخفرت الذِّمَّة أديل الْكفَّار أَو كلمة نَحْوهَا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه
وَتقدم لَفظه وَالْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَيْهَقِيّ وَلَفظه عَن ابْن عمر قَالَ كُنَّا عِنْد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ كَيفَ أَنْتُم إِذا وَقعت فِيكُم خمس وَأَعُوذ بِاللَّه أَن تكون فِيكُم أَو تدركوهن مَا ظَهرت الْفَاحِشَة فِي قوم قطّ يعْمل بهَا فيهم عَلَانيَة إِلَّا ظهر فيهم الطَّاعُون والأوجاع الَّتِي لم تكن فِي أسلافهم وَمَا منع قوم الزَّكَاة إِلَّا منعُوا الْقطر من السَّمَاء وَلَوْلَا الْبَهَائِم لم يمطروا وَمَا بخس قوم الْمِكْيَال وَالْمِيزَان إِلَّا أخذُوا بِالسِّنِينَ وَشدَّة الْمُؤْنَة وجور السُّلْطَان وَلَا حكم أمراؤهم بِغَيْر مَا أنزل الله إِلَّا سلط عَلَيْهِم عدوهم فاستنقذوا بعض
مَا فِي أَيْديهم وَمَا عطلوا كتاب الله وَسنة نبيه إِلَّا جعل الله بأسهم بَينهم
رَوَاهُ الْحَاكِم بِنَحْوِهِ من حَدِيث بُرَيْدَة وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه
وَتقدم لَفظه وَالْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَيْهَقِيّ وَلَفظه عَن ابْن عمر قَالَ كُنَّا عِنْد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ كَيفَ أَنْتُم إِذا وَقعت فِيكُم خمس وَأَعُوذ بِاللَّه أَن تكون فِيكُم أَو تدركوهن مَا ظَهرت الْفَاحِشَة فِي قوم قطّ يعْمل بهَا فيهم عَلَانيَة إِلَّا ظهر فيهم الطَّاعُون والأوجاع الَّتِي لم تكن فِي أسلافهم وَمَا منع قوم الزَّكَاة إِلَّا منعُوا الْقطر من السَّمَاء وَلَوْلَا الْبَهَائِم لم يمطروا وَمَا بخس قوم الْمِكْيَال وَالْمِيزَان إِلَّا أخذُوا بِالسِّنِينَ وَشدَّة الْمُؤْنَة وجور السُّلْطَان وَلَا حكم أمراؤهم بِغَيْر مَا أنزل الله إِلَّا سلط عَلَيْهِم عدوهم فاستنقذوا بعض
مَا فِي أَيْديهم وَمَا عطلوا كتاب الله وَسنة نبيه إِلَّا جعل الله بأسهم بَينهم
رَوَاهُ الْحَاكِم بِنَحْوِهِ من حَدِيث بُرَيْدَة وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৩০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩০. হযরত বুকায়র ইবনে ওহাব (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আনাস (রা) বলেছেন: আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস শোনাব, যা আমি সকলের কাছে বলি না। একদা রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘরের দরজায় দণ্ডায়মান ছিলেন, আর তখন আমরা ঘরের মধ্যে ছিলাম। তখন তিনি বলেন: শাসক হবে কুরায়শদের মধ্য থেকে। তোমাদের উপর আমার কতিপয় দায়িত্ব রয়েছে, যেরূপ তাদের উপর তোমাদের কতিপয় দায়িত্ব রয়েছে। তাদের অনুগ্রহ চাওয়া হলে, তারা যেন অনুগ্রহ করে, অঙ্গীকার করলে তারা যেন তা পূরণ করে। বিচার করলে তারা যেন সুবিচার করে। আর তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তা না করবে, তার প্রতি আল্লাহ্,ফিরিশতা কূল ও সমস্ত মানুষের অভিশাপ।
(আহমাদ (র) উত্তম সনদে নিজ শব্দে, আবু ই'আলা ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
(আহমাদ (র) উত্তম সনদে নিজ শব্দে, আবু ই'আলা ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3330- وَعَن بكير بن وهب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي أنس أحَدثك حَدِيثا مَا أحدثه كل أحد إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَامَ على بَاب الْبَيْت وَنحن فِيهِ فَقَالَ الْأَئِمَّة من قُرَيْش إِن لي عَلَيْكُم حَقًا وَلَهُم عَلَيْكُم حَقًا مثل ذَلِك مَا إِن استرحموا رحموا وَإِن عَاهَدُوا وفوا وَإِن حكمُوا عدلوا فَمن لم يفعل ذَلِك مِنْهُم فَعَلَيهِ لعنة الله وَالْمَلَائِكَة وَالنَّاس أَجْمَعِينَ
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৩১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩১. হযরত সায়্যার ইব্ন সালামা আবু মিনহাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে আবূ বারযা (রা)-এর নিকট গেলাম। তখন আমি ছিলাম একজন যুবক এবং আমার দুই কানে গহনা ছিল। তিনি বলেন, নবী বলেছেন। শাসক হবে কুরায়শদের মধ্য থেকে, যতক্ষণে তারা তিনটি কাজ করবে- এই কথাটি তিনি তিনবার বলেন। কাজ তিনটি হল। ১. যতদিন তারা নিষ্ঠার সাথে সুবিচার করবে, ২. তাদের কাছে দয়া চাওয়া হলে দয়া করবে এবং ৩. অঙ্গীকার করলে তা পূরণ করবে। যে ব্যক্তি তা করবে না, তার প্রতি আল্লাহ্, ফিরিশতাকুল ও সমস্ত মানুষের অভিশাপ বর্ষিত হবে।
(আহমাদ (র) বর্ণিত তার বর্ণনাকারীগণের বর্ণনা সহীহ। বাযযার ও আবু ই'আলা নিজ শব্দে বর্ণনা করেন।)
(আহমাদ (র) বর্ণিত তার বর্ণনাকারীগণের বর্ণনা সহীহ। বাযযার ও আবু ই'আলা নিজ শব্দে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3331- وَعَن سيار بن سَلامَة أبي الْمنْهَال رَضِي الله عَنهُ قَالَ دخلت مَعَ أبي على أبي بَرزَة وَإِن فِي أُذُنِي لقرطين وَأَنا غُلَام قَالَ قَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْأُمَرَاء من قُرَيْش ثَلَاثًا مَا فعلوا ثَلَاثًا مَا حكمُوا فعدلوا واسترحموا فرحموا وعاهدوا فوفوا فَمن لم يفعل ذَلِك مِنْهُم فَعَلَيهِ لعنة الله وَالْمَلَائِكَة وَالنَّاس أَجْمَعِينَ
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات وَالْبَزَّار وَأَبُو يعلى بنصه
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات وَالْبَزَّار وَأَبُو يعلى بنصه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৩২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩২. হযরত আবু মুসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: একটি ঘরে কুরায়শদের কিছু লোক ছিল। তিনি সেই ঘরের দরজার কপাট ধরে দাঁড়ান এবং বলেন, ঘরে কুরায়শদের ব্যতীত আর কোন লোক আছে কি? এক ব্যক্তি বলল: আমাদের একজন ভাগিনা ব্যতীত আর কেউ নেই। তিনি বলেন, জাগিনাও সেই বংশের অন্তর্ভুক্ত। এরপর তিনি বলেন, শাসনভার কুরায়শদের হাতে ঐ সময় পর্যন্ত থাকবে, যখন তাদের কাছে দয়া চাওয়া হবে, তখন তারা দয়া করবে। বিচার কার্যে ন্যয়বিচার করবে। সম্পদ বণ্টনে নিষ্ঠার আশ্রয় নেবে। তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এরূপ না করবে, তার প্রতি আল্লাহ তাঁর ফিরিশতাকূল ও সমস্ত মানুষের অভিশাপ বর্ষিত হবে। তার নফল ফরয কোন ইবাদত কবুল করা হবে না।
(আহমাদ (র) বিশ্বস্ত সনদসূত্রে এবং বাযযার ও তাবারানী উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আহমাদ (র) বিশ্বস্ত সনদসূত্রে এবং বাযযার ও তাবারানী উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3332- وَعَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على بَاب بَيت فِيهِ نفر من قُرَيْش وَأخذ بِعضَادَتَيْ الْبَاب فَقَالَ هَل فِي الْبَيْت إِلَّا قرشي قَالَ فَقيل يَا رَسُول الله غير فلَان ابْن أُخْتنَا فَقَالَ ابْن أُخْت الْقَوْم مِنْهُم ثمَّ قَالَ إِن هَذَا الْأَمر فِي قُرَيْش مَا إِذا استرحموا رحموا وَإِذا حكمُوا عدلوا وَإِذا قسموا أقسطوا فَمن لم يفعل ذَلِك مِنْهُم فَعَلَيهِ لعنة الله وَالْمَلَائِكَة وَالنَّاس أَجْمَعِينَ لَا يقبل مِنْهُ صرف وَلَا عدل
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৩৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩৩. হযরত মু'আবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: ঐ জাতি সভ্য জাতি নয়, যাদের মধ্যে ন্যায়বিচার নেই এবং যাদের দুর্বলতা সকলের কাছ থেকে কষ্ট স্বীকার না করে অধিকার আদায় করতে পারে না।
(তাবারানীর বর্ণিত। তার বর্ণনাকারীদের সবাই বিশ্বস্ত। বাযযার (র) আয়েশা (রা) সূত্রে অনুরূপ সংক্ষেপে এবং তাবারানী (র) হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে উত্তম সনদে এবং ইবনে মাজা দীর্ঘ হাদীস হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন।)
(তাবারানীর বর্ণিত। তার বর্ণনাকারীদের সবাই বিশ্বস্ত। বাযযার (র) আয়েশা (রা) সূত্রে অনুরূপ সংক্ষেপে এবং তাবারানী (র) হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে উত্তম সনদে এবং ইবনে মাজা দীর্ঘ হাদীস হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3333- وَعَن مُعَاوِيَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تقدس أمة لَا يقْضى فِيهَا بِالْحَقِّ وَلَا يَأْخُذ الضَّعِيف حَقه من الْقوي غير متعتع
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات
وَرَوَاهُ الْبَزَّار بِنَحْوِهِ من حَدِيث عَائِشَة مُخْتَصرا وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن مَسْعُود بِإِسْنَاد جيد وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه مطولا من حَدِيث أبي سعيد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات
وَرَوَاهُ الْبَزَّار بِنَحْوِهِ من حَدِيث عَائِشَة مُخْتَصرا وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن مَسْعُود بِإِسْنَاد جيد وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه مطولا من حَدِيث أبي سعيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৩৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলমানের শাসক হতে চায়, এমন কি সে শাসক নির্বাচিত হয়, এরপর তার অত্যাচার ন্যায়পরায়ণতার উপর বিজয়ী হয়, সে জাহান্নামী।
(আবু দাউদ বর্ণিত।)
(আবু দাউদ বর্ণিত।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3334- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من طلب قَضَاء
الْمُسلمين حَتَّى يَنَالهُ ثمَّ غلب عدله جوره فَلهُ النَّار
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
الْمُسلمين حَتَّى يَنَالهُ ثمَّ غلب عدله جوره فَلهُ النَّار
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৩৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
পরিচ্ছেদঃ মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩৩৫. হযরত আবু বুরদা (রা) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। নবী (ﷺ) বলেছেন: বিচারক তিন প্রকার। দুই প্রকার বিচারক জাহান্নামী এবং এক প্রকার বিচারক জান্নাতী। তারা হল ১. যে ব্যক্তি জেনে শুনে অন্যায় বিচার করবে, সে জাহান্নামী, ২. যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশত বিচার করবে এবং মানুষের অধিকার বিনষ্ট করবে সেও জাহান্নামী। এবং ৩. যে ব্যক্তি সুবিচার করবে সে জান্নাতী।
(আবূ দাউদ বর্ণিত। তার শব্দমালা পেছনে অতিবাহিত হয়েছে, ইবনে মাজা এবং তিরমিযী নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
(আবূ দাউদ বর্ণিত। তার শব্দমালা পেছনে অতিবাহিত হয়েছে, ইবনে মাজা এবং তিরমিযী নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3335- وَعَن أبي بُرَيْدَة عَن أَبِيه رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْقُضَاة ثَلَاثَة قاضيان فِي النَّار وقاض فِي الْجنَّة رجل قضى بِغَيْر حق يعلم بذلك فَذَلِك فِي النَّار وقاض لَا يعلم فَأهْلك حُقُوق النَّاس فَهُوَ فِي النَّار وقاض قضى بِالْحَقِّ فَذَلِك فِي الْجنَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَتقدم لَفظه وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَتقدم لَفظه وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
তাহকীক: