আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৬. অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬৩ টি
হাদীস নং: ৩০৩৪
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৩৪. হযরত তাবারানী (রা) আওফ ইবনে মালিক (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি তার তিনটি কন্যা সন্তানকে বিবাহ দেওয়া পর্যন্ত অথবা তাদের মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিপালন করবে, তারা তার জন্য জাহান্নামের আড়াল হবে। এক মহিলা তাঁকে বলল: যদি দু'টি কন্যা হয়? তিনি বললেন: দু'টি হলেও।
এ হাদীসের সমর্থনে অনেক বর্ণনা রয়েছে।
এ হাদীসের সমর্থনে অনেক বর্ণনা রয়েছে।
كتاب النكاح
فصل
3034 - وروى الطَّبْرَانِي عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَا مِنْ
مُسْلِم يَكُونُ لَهُ ثَلاثُ بَنَات فَيُنْفِقُ عَلَيْهِنَّ حَتَّى يبن أَو يَمُتْنَ إِلَّا كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النَّارِ .فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَة : أَو بِنْتَانِ ؟ قَالَ : وَبِنْتان : وشواهده كثيرة
مُسْلِم يَكُونُ لَهُ ثَلاثُ بَنَات فَيُنْفِقُ عَلَيْهِنَّ حَتَّى يبن أَو يَمُتْنَ إِلَّا كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النَّارِ .فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَة : أَو بِنْتَانِ ؟ قَالَ : وَبِنْتان : وشواهده كثيرة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৩৫
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৩৫. আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যার তিনটি কন্যা সন্তান অথবা তিনটি বোন অথবা দু'টি কন্যা অথবা দু'টি বোন রয়েছে এবং সে তাদের সাথে সদয় আচরণ করে এবং তাদের হক আদায়ের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে, সে জান্নাতী।
(ইমাম তিরমিযী (র) নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন এবং আবু দাউদ (র)ও। তবে তাঁর বর্ণনায় আরো আছে, তিনি বলেন: "যে তাদের শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে এবং তাদের সদয় আচরণ করেছে এবং তাদের বিবাহ দিয়েছে। সে জান্নাতী"। ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।
ইমাম তিরমিযী (র)-এর বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে অথবা তিনটি বোন রয়েছে এবং সে তাদের সাথে সদাচরণ করে, সে জান্নাতী। (হাফিয মুনযিরী (র) বলেন, সনদ সূত্রের ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে এবং আমি তা অন্য জায়গায় উল্লেখ করেছি।)
(ইমাম তিরমিযী (র) নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন এবং আবু দাউদ (র)ও। তবে তাঁর বর্ণনায় আরো আছে, তিনি বলেন: "যে তাদের শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে এবং তাদের সদয় আচরণ করেছে এবং তাদের বিবাহ দিয়েছে। সে জান্নাতী"। ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।
ইমাম তিরমিযী (র)-এর বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে অথবা তিনটি বোন রয়েছে এবং সে তাদের সাথে সদাচরণ করে, সে জান্নাতী। (হাফিয মুনযিরী (র) বলেন, সনদ সূত্রের ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে এবং আমি তা অন্য জায়গায় উল্লেখ করেছি।)
كتاب النكاح
فصل
3035 - وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِي رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رسول الله صلى الله عليه وسلم: من كَانَ لَهُ ثَلَاث بَنَات أَو ثَلَاث أَخَوَات أَو بنتان أَو أختَان فَأحْسن صحبتهن وَاتَّقَى الله فِيهِنَّ فَلهُ الْجنَّة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد إِلَّا أَنه قَالَ فأدبهن وَأحسن إلَيْهِنَّ وزوجهن فَلهُ الْجنَّة
وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَفِي رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يكون لاحدكم ثَلَاث بَنَات أَو ثَلَاث أَخَوَات فَيحسن إلَيْهِنَّ إِلَّا دخل الْجنَّة
قَالَ الْحَافِظ وَفِي أسانيدهم اخْتِلَاف ذكرته فِي غير هَذَا الْكتاب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد إِلَّا أَنه قَالَ فأدبهن وَأحسن إلَيْهِنَّ وزوجهن فَلهُ الْجنَّة
وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَفِي رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يكون لاحدكم ثَلَاث بَنَات أَو ثَلَاث أَخَوَات فَيحسن إلَيْهِنَّ إِلَّا دخل الْجنَّة
قَالَ الْحَافِظ وَفِي أسانيدهم اخْتِلَاف ذكرته فِي غير هَذَا الْكتاب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৩৬
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৩৬. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তির একটি কন্যা সন্তান রয়েছে অথচ সে তাকে জীবন্ত প্রেথিত করে না, তাকে কষ্ট দেয় না এবং তার উপর পুত্র সন্তানকে অগ্রাধিকার দেয় না, আল্লাহ তা'আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
(আবূ দাউদ ও হাকিম (র) বর্ণিত। তারা উভয় ইবনে হাদীর সূত্রে, তিনি ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণনা করেন। তবে ইবনে হাদী একজন অপ্রসিদ্ধ রাবী। হাকিম বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।
لم يئدها সে তাকে জীবন্ত প্রোথিত করে না। তারা (জাহিলিয়্যা যুগের লোকেরা) কন্যা সন্তানদের জীবও দাফন করত। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ যখন জীবন সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে। (সূরা তাক্বীর: ৮১)
(আবূ দাউদ ও হাকিম (র) বর্ণিত। তারা উভয় ইবনে হাদীর সূত্রে, তিনি ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণনা করেন। তবে ইবনে হাদী একজন অপ্রসিদ্ধ রাবী। হাকিম বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।
لم يئدها সে তাকে জীবন্ত প্রোথিত করে না। তারা (জাহিলিয়্যা যুগের লোকেরা) কন্যা সন্তানদের জীবও দাফন করত। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ যখন জীবন সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে। (সূরা তাক্বীর: ৮১)
كتاب النكاح
فصل
3036- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَانَت لَهُ أُنْثَى فَلم يئدها وَلم يهنها وَلم يُؤثر وَلَده يَعْنِي الذُّكُور عَلَيْهَا أدخلهُ الله الْجنَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالْحَاكِم كِلَاهُمَا عَن ابْن حدير وَهُوَ غير مَشْهُور عَن ابْن عَبَّاس وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَوْله لم يئدها أَي لم يدفنها حَيَّة وَكَانُوا يدفنون الْبَنَات أَحيَاء وَمِنْه قَوْله تَعَالَى وَإِذا الموءودة سُئِلت التكوير 8
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالْحَاكِم كِلَاهُمَا عَن ابْن حدير وَهُوَ غير مَشْهُور عَن ابْن عَبَّاس وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَوْله لم يئدها أَي لم يدفنها حَيَّة وَكَانُوا يدفنون الْبَنَات أَحيَاء وَمِنْه قَوْله تَعَالَى وَإِذا الموءودة سُئِلت التكوير 8
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৩৭
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৩৭. হযরত মুত্তালিব ইবনে আবদুল্লাহ মাখযুমী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর সহধর্মিনী উন্মু সালামা (রা)-এর নিকট গেলাম। তিনি বললেন: হে প্রিয় বৎস! আমি যে হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি, তা কি আমি তোমাকে অবহিত করব না? আমি বললামঃ জ্বি-হাঁ, হে জননী। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি তার দু'টি কন্যা সন্তান অথবা দু'টি বোন অথবা তার দু'জন নিকটাত্মীয়ের জন্য সাওয়াবের আশায় (সম্পদ) ব্যয় করবে, এমন কি তারা আল্লাহর অনুগ্রহে ধনী হয়ে যায় অথবা তাদের জন্য যথেষ্ট হয়, তারা দু'জন তার জন্য জাহান্নাম হতে আড়ালকারী হবে।
(আহমাদ, তাবারানী (র) মুহাম্মাদ ইবনে আবু হুমায়দ মাদানী, যিনি মুহাদ্দিসগণের নিকট গ্রহণযোগ্য, তার থেকে বর্ণনা করেন। কারো কারো দ্বারা তিনি সমালোচিত হলেও মুতাবা'আতের ক্ষেত্রে তাঁর হাদীস গ্রহণে কোন অসুবিধা নেই।)
(আহমাদ, তাবারানী (র) মুহাম্মাদ ইবনে আবু হুমায়দ মাদানী, যিনি মুহাদ্দিসগণের নিকট গ্রহণযোগ্য, তার থেকে বর্ণনা করেন। কারো কারো দ্বারা তিনি সমালোচিত হলেও মুতাবা'আতের ক্ষেত্রে তাঁর হাদীস গ্রহণে কোন অসুবিধা নেই।)
كتاب النكاح
فصل
3037- وَعَن الْمطلب بن عبد الله المَخْزُومِي رَضِي الله عَنهُ قَالَ دخلت على أم سَلمَة زوج النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَت يَا بني أَلا أحَدثك بِمَا سَمِعت من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قلت بلَى يَا أمه
قَالَت سَمِعت رَسُول الله يَقُول من أنْفق على ابْنَتَيْن أَو أُخْتَيْنِ أَو ذواتي قرَابَة يحْتَسب النَّفَقَة عَلَيْهِمَا حَتَّى يغنيهما من فضل الله أَو يكفيهما كَانَتَا لَهُ سترا من النَّار
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة مُحَمَّد بن أبي حميد الْمدنِي وَلم يتْرك وَمَشاهُ بَعضهم وَلَا يضر فِي المتابعات
قَالَت سَمِعت رَسُول الله يَقُول من أنْفق على ابْنَتَيْن أَو أُخْتَيْنِ أَو ذواتي قرَابَة يحْتَسب النَّفَقَة عَلَيْهِمَا حَتَّى يغنيهما من فضل الله أَو يكفيهما كَانَتَا لَهُ سترا من النَّار
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة مُحَمَّد بن أبي حميد الْمدنِي وَلم يتْرك وَمَشاهُ بَعضهم وَلَا يضر فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৩৮
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৩৮. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং সে তাদের আশ্রয় দেয়, তাদের প্রতি দয়াপ্রদর্শন করে এবং তাদের যিম্মা গ্রহণ করে, সে অবশ্যই জান্নাতী। বলা হল ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যার দু'টি কন্যা সন্তান রয়েছে (তার সম্পর্কে আপনার কি অভিমত)। তিনি বলেন: দু'টি হলেও। রাবী বলেন: লোকেরা বলাবলি করল যে, সে যদি একটির কথা বলত, তাহলে তিনিও একটির কথা বলতেন।
(আহমাদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেন, বাযযার ও তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। তবে তিনি আরো বলেছেনঃ এবং সে তাদের বিয়ে দেয়।)
(আহমাদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেন, বাযযার ও তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে বর্ণিত। তবে তিনি আরো বলেছেনঃ এবং সে তাদের বিয়ে দেয়।)
كتاب النكاح
فصل
3038- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كن لَهُ ثَلَاث بَنَات يؤويهن ويرحمهنئ ويكفلهن وَجَبت لَهُ الْجنَّة أَلْبَتَّة
قيل يَا رَسُول الله فَإِن كَانَتَا اثْنَتَيْنِ قَالَ وَإِن كَانَتَا اثْنَتَيْنِ
قَالَ فَرَأى بعض الْقَوْم أَن لَو قَالَ وَاحِدَة لقَالَ وَاحِدَة
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَزَاد ويزوجهن
قيل يَا رَسُول الله فَإِن كَانَتَا اثْنَتَيْنِ قَالَ وَإِن كَانَتَا اثْنَتَيْنِ
قَالَ فَرَأى بعض الْقَوْم أَن لَو قَالَ وَاحِدَة لقَالَ وَاحِدَة
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَزَاد ويزوجهن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৩৯
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৩৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং সে স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল অবস্থায় তাদের প্রতিপালনের ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর নিজ অনুগ্রহে তাদের প্রতিপালনের জন্য তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এক ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসুলাল্লাহ। দু'টি হলে? এক ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ্। একটি হলে? তিনি বলেন: একটি হলেও।
(হাকিম (র) বর্ণিত তিনি বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত। ইনশাআল্লাহ্ সামনের অনুচ্ছেদে ইয়াতীমের যিম্মাদারী, মিসকিনের ভরণ পোষণ ও বিধবাদের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কিত আলোচনা আসবে।)
(হাকিম (র) বর্ণিত তিনি বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত। ইনশাআল্লাহ্ সামনের অনুচ্ছেদে ইয়াতীমের যিম্মাদারী, মিসকিনের ভরণ পোষণ ও বিধবাদের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কিত আলোচনা আসবে।)
كتاب النكاح
فصل
3039- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من كن لَهُ ثَلَاث بَنَات فَصَبر على لأوائهن وضرائهن وسرائهن أدخلهُ الله الْجنَّة برحمته إياهن فَقَالَ رجل وَاثْنَتَانِ يَا رَسُول الله قَالَ وَاثْنَتَانِ
قَالَ رجل يَا رَسُول الله وَوَاحِدَة قَالَ وَوَاحِدَة
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَيَأْتِي بَاب فِي كَفَالَة الْيَتِيم وَالنَّفقَة على الْمِسْكِين والأرملة إِن شَاءَ الله
قَالَ رجل يَا رَسُول الله وَوَاحِدَة قَالَ وَوَاحِدَة
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَيَأْتِي بَاب فِي كَفَالَة الْيَتِيم وَالنَّفقَة على الْمِسْكِين والأرملة إِن شَاءَ الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪০
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ উত্তম নাম রাখার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং মন্দ নাম রাখার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এবং তা পরিবর্তন করে রাখা
৩০৪০. হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের পিতার নাম ধরে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা তোমাদের ভাল নাম রাখ।
(আবু দাউদ, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে আবদুল্লাহ ইবনে আবু যাকারিয়া (র) থেকে বর্ণনা করেন। আবদুল্লাহ ইবনে আবু যাকারিয়া (র) একজন নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত ইবাদতগুযার লোক ছিলেন।
ওয়াকিদী (র) বলেন, উমার ইবনে আবদুল আযীয (র) তাঁকে একজন নিষ্ঠাবান লোক বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি আবু দারদা (রা) থেকে এ হাদীসটি শুনেন নি।
আবু যাকারিয়া নাম ইয়াস ইবনে ইয়াযীদ।)
(আবু দাউদ, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে আবদুল্লাহ ইবনে আবু যাকারিয়া (র) থেকে বর্ণনা করেন। আবদুল্লাহ ইবনে আবু যাকারিয়া (র) একজন নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত ইবাদতগুযার লোক ছিলেন।
ওয়াকিদী (র) বলেন, উমার ইবনে আবদুল আযীয (র) তাঁকে একজন নিষ্ঠাবান লোক বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি আবু দারদা (রা) থেকে এ হাদীসটি শুনেন নি।
আবু যাকারিয়া নাম ইয়াস ইবনে ইয়াযীদ।)
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي الْأَسْمَاء الْحَسَنَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن الْأَسْمَاء القبيحة وتغييرها
3040- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّكُم تدعون يَوْم الْقِيَامَة بأسمائكم وَأَسْمَاء آبائكم فحسنوا أسماءكم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا عَن عبد الله بن أبي زَكَرِيَّا عَنهُ وَعبد الله بن أبي زَكَرِيَّا ثِقَة عَابِد
قَالَ الْوَاقِدِيّ كَانَ يعدل بعمر بن عبد الْعَزِيز لكنه لم يسمع من أبي الدَّرْدَاء وَاسم أبي زَكَرِيَّا إِيَاس بن يزِيد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا عَن عبد الله بن أبي زَكَرِيَّا عَنهُ وَعبد الله بن أبي زَكَرِيَّا ثِقَة عَابِد
قَالَ الْوَاقِدِيّ كَانَ يعدل بعمر بن عبد الْعَزِيز لكنه لم يسمع من أبي الدَّرْدَاء وَاسم أبي زَكَرِيَّا إِيَاس بن يزِيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪১
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ উত্তম নাম রাখার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং মন্দ নাম রাখার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এবং তা পরিবর্তন করে রাখা
৩০৪১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: নামসমূহের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম হল: আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান।
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ বর্ণিত।)
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ বর্ণিত।)
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي الْأَسْمَاء الْحَسَنَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن الْأَسْمَاء القبيحة وتغييرها
3041- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أحب الْأَسْمَاء إِلَى الله تَعَالَى عبد الله وَعبد الرَّحْمَن
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪২
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ উত্তম নাম রাখার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং মন্দ নাম রাখার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এবং তা পরিবর্তন করে রাখা
৩০৪২. নবী (ﷺ)-এর সাহাবী আবূ ওয়াহব জুশামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা আম্বিয়া কিরামের নামে নাম রাখ। আল্লাহর নিকট আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান নাম সর্বাধিক প্রিয়।
হারিস ও হাম্মাম সর্বাপেক্ষা যথার্থ নাম এবং সবচেয়ে মন্দ নাম হল হারব ও মুররা।
(আবু দাউদ (র) নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন। নাসাঈ (র) বলেনঃ হারিস ও হাম্মাম সর্বাপেক্ষা যথার্থ নাম।
কেননা, হারিস অর্থ উপার্জনকারী এবং হাম্মাম অর্থঃ যে একটির পর আরেকটি সংকল্প নেয়। প্রত্যেক মানুষ এ দু'টি থেকে মুক্ত নয়।)
হারিস ও হাম্মাম সর্বাপেক্ষা যথার্থ নাম এবং সবচেয়ে মন্দ নাম হল হারব ও মুররা।
(আবু দাউদ (র) নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন। নাসাঈ (র) বলেনঃ হারিস ও হাম্মাম সর্বাপেক্ষা যথার্থ নাম।
কেননা, হারিস অর্থ উপার্জনকারী এবং হাম্মাম অর্থঃ যে একটির পর আরেকটি সংকল্প নেয়। প্রত্যেক মানুষ এ দু'টি থেকে মুক্ত নয়।)
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي الْأَسْمَاء الْحَسَنَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن الْأَسْمَاء القبيحة وتغييرها
3042- وَعَن أبي وهب الْجُشَمِي وَكَانَت لَهُ صُحْبَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تسموا بأسماء الْأَنْبِيَاء وَأحب الْأَسْمَاء إِلَى الله عبد الله وَعبد الرَّحْمَن
وَأصْدقهَا حَارِث وَهَمَّام
وأقبحها حَرْب وَمرَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَإِنَّمَا كَانَ حَارِث وَهَمَّام أصدق الْأَسْمَاء لَان الْحَارِث هُوَ الكاسب والهمام هُوَ الَّذِي يهم مرّة بعد أُخْرَى وكل إِنْسَان لَا يَنْفَكّ عَن هذَيْن
وَأصْدقهَا حَارِث وَهَمَّام
وأقبحها حَرْب وَمرَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَإِنَّمَا كَانَ حَارِث وَهَمَّام أصدق الْأَسْمَاء لَان الْحَارِث هُوَ الكاسب والهمام هُوَ الَّذِي يهم مرّة بعد أُخْرَى وكل إِنْسَان لَا يَنْفَكّ عَن هذَيْن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪৩
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ উত্তম নাম রাখার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং মন্দ নাম রাখার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এবং তা পরিবর্তন করে রাখা
৩০৪৩. হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহর কাছে চারটি বাক্য সর্বাধিক প্রিয়। তা হলঃ ১. সুবাহানাল্লাহ, ২. আল-হামদুলিল্লাহ, ৩. লা-ই-লাহা ইল্লাল্লাহ এবং ৪. আল্লাহু আকবার। এগুলোর যে কোন একটি পাঠ করলে. তোমার কোন ক্ষতি হবে না। তুমি কখনো তোমার ছেলেদের নাম ইয়াসার, রাবাহ্, নাজীহ্ ও আফলাহ্ রেখো না। কেননা, যখন তুমি (তার নাম ধরে) বলবে, অমুক কি আছে? সে সেখানে উপস্থিত না থাকলে কেউ বলবে, 'না'। এ কেবল চারটি নাম, তিনি এর বেশী আমাকে বাড়িয়ে বলেন নি।
(মুসলিম (র) নিজ শব্দযোগে, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইবনে মাজাহ (র) নিজ শব্দযোগে সংক্ষেপে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে আফলাহ, নাফি', রাবাহ এবং ইয়াসার- এই চারটি নাম রাখতে নিষেধ করেছেন।)
(মুসলিম (র) নিজ শব্দযোগে, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। ইবনে মাজাহ (র) নিজ শব্দযোগে সংক্ষেপে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে আফলাহ, নাফি', রাবাহ এবং ইয়াসার- এই চারটি নাম রাখতে নিষেধ করেছেন।)
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي الْأَسْمَاء الْحَسَنَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن الْأَسْمَاء القبيحة وتغييرها
3043- وَعَن سَمُرَة بن جُنْدُب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أحب الْكَلَام إِلَى الله أَربع سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر لَا يَضرك بأيهن بدأت لَا تسمين غلامك يسارا وَلَا رباحا وَلَا نجيحا وَلَا أَفْلح فَإنَّك تَقول أَثم هُوَ فَلَا يكون فَيَقُول لَا إِنَّمَا هن أَربع فَلَا تزيدن عَليّ
رَوَاهُ مُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا وَلَفظه قَالَ نَهَانَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن نسمي رقيقنا أَرْبَعَة أَسمَاء أَفْلح وَنَافِع ورباح ويسار
رَوَاهُ مُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا وَلَفظه قَالَ نَهَانَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن نسمي رقيقنا أَرْبَعَة أَسمَاء أَفْلح وَنَافِع ورباح ويسار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪৪
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ উত্তম নাম রাখার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং মন্দ নাম রাখার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এবং তা পরিবর্তন করে রাখা
৩০৪৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: মালিকুল আমলাক (রাজাধিরাজ) নাম
রাখা আল্লাহ্ তা'আলার কাছে সর্বাধিক ঘৃণিত নাম।
অন্য বর্ণনায় আছে, আল্লাহ্ তা'আলা একমাত্র 'বাদশাহ'। সুফিয়ান (র) বলেনঃ উদাহরণ স্বরূপ 'শাহানশাহ'। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র) বলেন, আমি আবু আমর শায়বানী (র)-এর কাছে خنع। (ঘৃণিত নাম) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন : أوضح
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত। মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ঘৃণিত হবে ঐ ব্যক্তি, যার নাম হবে 'শাহানশাহ' (রাজাধিরাজ)। কেননা আল্লাহ্ তা'আলাই একমাত্র বাদশাহ।)
রাখা আল্লাহ্ তা'আলার কাছে সর্বাধিক ঘৃণিত নাম।
অন্য বর্ণনায় আছে, আল্লাহ্ তা'আলা একমাত্র 'বাদশাহ'। সুফিয়ান (র) বলেনঃ উদাহরণ স্বরূপ 'শাহানশাহ'। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র) বলেন, আমি আবু আমর শায়বানী (র)-এর কাছে خنع। (ঘৃণিত নাম) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন : أوضح
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত। মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ঘৃণিত হবে ঐ ব্যক্তি, যার নাম হবে 'শাহানশাহ' (রাজাধিরাজ)। কেননা আল্লাহ্ তা'আলাই একমাত্র বাদশাহ।)
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي الْأَسْمَاء الْحَسَنَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن الْأَسْمَاء القبيحة وتغييرها
3044- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن أخنع اسْم عِنْد الله عز وَجل رجل تسمى ملك الْأَمْلَاك
زَاد فِي رِوَايَة لَا ملك إِلَّا الله
قَالَ سُفْيَان مثل شاهنشاه وَقَالَ أَحْمد بن حَنْبَل سَأَلت أَبَا عَمْرو يَعْنِي الشَّيْبَانِيّ عَن أخنع فَقَالَ أوضع
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
وَلمُسلم أَغيظ رجل على الله يَوْم الْقِيَامَة وأخبثه رجل كَانَ تسمى ملك الْأَمْلَاك لَا ملك إِلَّا الله
زَاد فِي رِوَايَة لَا ملك إِلَّا الله
قَالَ سُفْيَان مثل شاهنشاه وَقَالَ أَحْمد بن حَنْبَل سَأَلت أَبَا عَمْرو يَعْنِي الشَّيْبَانِيّ عَن أخنع فَقَالَ أوضع
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
وَلمُسلم أَغيظ رجل على الله يَوْم الْقِيَامَة وأخبثه رجل كَانَ تسمى ملك الْأَمْلَاك لَا ملك إِلَّا الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪৫
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৪৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মন্দনাম পরিবর্তন করে রাখতেন।
(তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ আবু বকর ইবনে নাফি এবং উমার ইবনে আলী (র) এই হাদীস সম্পর্কে বলেনঃ হিশাম ইবনে উরওয়া থেকে তাঁর পিতার সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত। এ বর্ণনায় আয়েশা (রা)-এর নামের উল্লেখ নেই।)
(তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ আবু বকর ইবনে নাফি এবং উমার ইবনে আলী (র) এই হাদীস সম্পর্কে বলেনঃ হিশাম ইবনে উরওয়া থেকে তাঁর পিতার সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত। এ বর্ণনায় আয়েশা (রা)-এর নামের উল্লেখ নেই।)
كتاب النكاح
فصل
3045- عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يُغير الِاسْم الْقَبِيح
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ قَالَ أَبُو بكر بن نَافِع وَرُبمَا قَالَ عمر بن عَليّ فِي هَذَا الحَدِيث هِشَام بن عُرْوَة عَن أَبِيه عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مُرْسل وَلم يذكر فِيهِ عَائِشَة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ قَالَ أَبُو بكر بن نَافِع وَرُبمَا قَالَ عمر بن عَليّ فِي هَذَا الحَدِيث هِشَام بن عُرْوَة عَن أَبِيه عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مُرْسل وَلم يذكر فِيهِ عَائِشَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪৬
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৪৬. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। উমার (রা)-এর এক কন্যাকে 'আসীয়া' নামে ডাকা হত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার নাম (পরিবর্তন করে) জামীলা (অনিন্দ্য সুন্দরী) রাখেন।
(তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। ইমাম মুসলিম (র) ও সংক্ষেপে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসীয়ার নাম পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তিনি বলেন: তুমি (আসীয়া নও বরং) জমীলা।)
(তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। ইমাম মুসলিম (র) ও সংক্ষেপে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসীয়ার নাম পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তিনি বলেন: তুমি (আসীয়া নও বরং) জমীলা।)
كتاب النكاح
فصل
3034 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن ابْنة لعمر كَانَ يُقَال لَهَا عاصية فسماها رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جميلَة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن
وَرَوَاهُ مُسلم بِاخْتِصَار قَالَ إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم غير اسْم عاصية قَالَ أَنْت جميلَة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن
وَرَوَاهُ مُسلم بِاخْتِصَار قَالَ إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم غير اسْم عاصية قَالَ أَنْت جميلَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪৭
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৪৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। যায়নাব বিনত আবু সালামা (রা)-এর নাম ছিল 'বাররা'। তাকে বলা হল, নিজের পবিত্রতা নিজে যাহির করছ? এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নাম রাখেন 'যায়নাব'।
(বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ ও অপরাপর গ্রন্থে বর্ণিত।)
(বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ ও অপরাপর গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب النكاح
فصل
3047- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن زَيْنَب بنت أبي سَلمَة كَانَ اسْمهَا برة فَقيل تزكي نَفسهَا فسماها رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم زَيْنَب
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَابْن مَاجَه وَغَيرهم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَابْن مَاجَه وَغَيرهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪৮
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ
৩০৪৮. হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার কন্যার নাম 'বাররা' রাখলাম। তখন যায়নাব বিনত আবু সালামা (রা) (আমাকে) বললেন। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। আমার নাম 'বাররা' রাখা হলে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: তোমরা নিজেরা নিজেদের পবিত্রতা যাহির করো না। তোমাদের মধ্যেকে পূর্ণবান তা আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক জ্ঞাত। তারা বলল: আমরা তার কি নাম রাখব? তিনি বললেন। তোমরা তার নাম রাখ 'যায়নাব'।
(মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণিত। ইমাম আবু দাউদ (র) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসী, আযীয়, আতালা, শায়তান, হাকাম, গুরাব, হুবাব, শিহাব প্রভৃতি নাম পরিবর্তন করে রাখেন। এরপর তিনি তার নাম রাখেন হিশাম। হারব এর নাম রাখেন সিলম। মুদতাজি'এর নাম রাখে 'মুনবায়িস'। যমীনকে বলা হত 'আফিরা'। তিনি তার নাম রাখেন 'খাদিরা'। শি'বুদ দালালাহ'-এর নাম রাখেন, শি'বুল হুদা। বানুয যানীয়্যা-এর নাম রাখেন, বানু রাশেদা। বানু মুগরিয়া-এর নামকরণ করেন, বানু রিশদাহ। আবু দাউদ (র) আরো বলেন, সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে আমি এগুলোর সনদ বর্জন করেছি।
খাত্তাবী (র) বলেন, 'আসী' অর্থ: অবাধ্য, এই অপসন্দনীয় অর্থ হওয়ায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই নাম পরিবর্তন করেন। কেননা, মু'মিনের বৈশিষ্ট্য হল, আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ। তিনি আযীয নাম পরিবর্তন করেন। কেননা, যাবতীয় পরাক্রমতা আল্লাহরই জন্য। অথচ বান্দার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিনয়ী ও নম্র হওয়া। 'আজলা' অর্থ : কঠোর ও কঠিন মনের অধিকারী হওয়া। যেমন আরবীদের ভাষায় رجل عتل অর্থ লোকটি কঠোর প্রকৃতির আর মু'মিনের বৈশিষ্ট্য হল, বিনয়ী ও নম্র হওয়া। শায়তান: শব্দটি الشطن ধাতু থেকে উৎসারিত। অর্থঃ কল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী, এটি অভিশপ্ত জিন এবং মানুষেরও নাম বটে। 'আল-হাকাম' অর্থ: এমন বিচারক, যার নির্দেশ অমান্য করার সাধ্য কারও নেই। এই বৈশিষ্ট্য কেবল আল্লাহ্ তা'আলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। হাকাম নামটি আল্লাহ্ তা'আলার অন্যতম গুণবাচক নাম। গুরাব: শব্দটি الغرب ধাতু থেকে উৎসারিত। অর্থ, দূরে অবস্থান করা। এতদ্ব্যতীত এটি একটি অপবিত্র বস্তুর ভক্ষণকারী প্রাণীর নাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিল-হারাম উভয় স্থানে যার হত্যা বৈধ ঘোষণা করেছেন। হুবারঃ এক ধরনের সাপ। এক বর্ণনানুযায়ী শয়তানের নাম। শিহাব অর্থ: অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। জাহান্নামের রয়েছে আল্লাহ তা'আলার শাস্তি। আফিরা: যমীনের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যে যমীনে উদ্ভিদ অংকুরিত হয় না। এরপর নবী (ﷺ) তার নামকরণ করেন খাদিরা-সবুজ ও উর্বর। অর্থাৎ এমন যমীন যাতে চমৎকার ফসল উৎপাদিত হয়, ফলে তা সবুজ রং ধারণ করে।)
(মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণিত। ইমাম আবু দাউদ (র) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসী, আযীয়, আতালা, শায়তান, হাকাম, গুরাব, হুবাব, শিহাব প্রভৃতি নাম পরিবর্তন করে রাখেন। এরপর তিনি তার নাম রাখেন হিশাম। হারব এর নাম রাখেন সিলম। মুদতাজি'এর নাম রাখে 'মুনবায়িস'। যমীনকে বলা হত 'আফিরা'। তিনি তার নাম রাখেন 'খাদিরা'। শি'বুদ দালালাহ'-এর নাম রাখেন, শি'বুল হুদা। বানুয যানীয়্যা-এর নাম রাখেন, বানু রাশেদা। বানু মুগরিয়া-এর নামকরণ করেন, বানু রিশদাহ। আবু দাউদ (র) আরো বলেন, সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে আমি এগুলোর সনদ বর্জন করেছি।
খাত্তাবী (র) বলেন, 'আসী' অর্থ: অবাধ্য, এই অপসন্দনীয় অর্থ হওয়ায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই নাম পরিবর্তন করেন। কেননা, মু'মিনের বৈশিষ্ট্য হল, আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ। তিনি আযীয নাম পরিবর্তন করেন। কেননা, যাবতীয় পরাক্রমতা আল্লাহরই জন্য। অথচ বান্দার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিনয়ী ও নম্র হওয়া। 'আজলা' অর্থ : কঠোর ও কঠিন মনের অধিকারী হওয়া। যেমন আরবীদের ভাষায় رجل عتل অর্থ লোকটি কঠোর প্রকৃতির আর মু'মিনের বৈশিষ্ট্য হল, বিনয়ী ও নম্র হওয়া। শায়তান: শব্দটি الشطن ধাতু থেকে উৎসারিত। অর্থঃ কল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী, এটি অভিশপ্ত জিন এবং মানুষেরও নাম বটে। 'আল-হাকাম' অর্থ: এমন বিচারক, যার নির্দেশ অমান্য করার সাধ্য কারও নেই। এই বৈশিষ্ট্য কেবল আল্লাহ্ তা'আলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। হাকাম নামটি আল্লাহ্ তা'আলার অন্যতম গুণবাচক নাম। গুরাব: শব্দটি الغرب ধাতু থেকে উৎসারিত। অর্থ, দূরে অবস্থান করা। এতদ্ব্যতীত এটি একটি অপবিত্র বস্তুর ভক্ষণকারী প্রাণীর নাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিল-হারাম উভয় স্থানে যার হত্যা বৈধ ঘোষণা করেছেন। হুবারঃ এক ধরনের সাপ। এক বর্ণনানুযায়ী শয়তানের নাম। শিহাব অর্থ: অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। জাহান্নামের রয়েছে আল্লাহ তা'আলার শাস্তি। আফিরা: যমীনের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যে যমীনে উদ্ভিদ অংকুরিত হয় না। এরপর নবী (ﷺ) তার নামকরণ করেন খাদিরা-সবুজ ও উর্বর। অর্থাৎ এমন যমীন যাতে চমৎকার ফসল উৎপাদিত হয়, ফলে তা সবুজ রং ধারণ করে।)
كتاب النكاح
فصل
3048- وَعَن مُحَمَّد بن عَمْرو بن عَطاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ سميت ابْنَتي برة فَقَالَت زَيْنَب بنت أبي سَلمَة إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن هَذَا الِاسْم وَسميت برة فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تزكوا أَنفسكُم الله أعلم بِأَهْل الْبر مِنْكُم فَقَالُوا بِمَ نسميها فَقَالَ سَموهَا زَيْنَب
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد
قَالَ أَبُو دَاوُد وَغير رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْم العَاصِي وعزيز وعتلة وَشَيْطَان وَالْحكم وغراب وحباب وشهاب فَسَماهُ هشاما وسمى حَربًا سلما وسمى المضطجع المنبعث وأرضا تسمى عفرَة سَمَّاهَا خضرَة وَشعب الضَّلَالَة سَمَّاهُ شعب
الْهدى وَبني الزنية سماهم بني الرشدة وسمى بني مغوية بني رشدة
قَالَ أَبُو دَاوُد تركت أسانيدها اختصارا
قَالَ الْخطابِيّ أما العَاصِي فَإِنَّمَا غَيره كَرَاهِيَة لِمَعْنى الْعِصْيَان وَإِنَّمَا سمة الْمُؤمن الطَّاعَة والاستسلام والعزيز إِنَّمَا غَيره لِأَن الْعِزَّة لله وشعار العَبْد الذلة والاستكانة
وعتلة مَعْنَاهَا الشدَّة والغلظ وَمِنْه قَوْلهم رجل عتل أَي شَدِيد غليظ
وَمن صفة الْمُؤمن اللين والسهولة
وَشَيْطَان اشتقاقه من الشطن وَهُوَ الْبعد من الْخَيْر وَهُوَ اسْم المارد الْخَبيث من الْجِنّ وَالْإِنْس
وَالْحكم هُوَ الْحَاكِم الَّذِي لَا يرد حكمه وَهَذِه الصّفة لَا تلِيق إِلَّا بِاللَّه تَعَالَى وَمن أَسْمَائِهِ الحكم
وغراب مَأْخُوذ من الغرب وَهُوَ الْبعد ثمَّ هُوَ حَيَوَان خَبِيث الْمطعم أَبَاحَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَتله فِي الْحل وَالْحرم
وحباب يَعْنِي بِضَم الْحَاء الْمُهْملَة وَتَخْفِيف الْبَاء الْمُوَحدَة نوع من الْحَيَّات وَرُوِيَ أَنه اسْم شَيْطَان
والشهاب الشعلة من النَّار وَالنَّار عُقُوبَة الله وَأما عفرَة يَعْنِي بِفَتْح الْعين وَكسر الْفَاء فَهِيَ نعت الأَرْض الَّتِي لَا تنْبت شَيْئا
فسماها خضرَة على معنى التفاؤل حَتَّى تخضر
انْتهى
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد
قَالَ أَبُو دَاوُد وَغير رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْم العَاصِي وعزيز وعتلة وَشَيْطَان وَالْحكم وغراب وحباب وشهاب فَسَماهُ هشاما وسمى حَربًا سلما وسمى المضطجع المنبعث وأرضا تسمى عفرَة سَمَّاهَا خضرَة وَشعب الضَّلَالَة سَمَّاهُ شعب
الْهدى وَبني الزنية سماهم بني الرشدة وسمى بني مغوية بني رشدة
قَالَ أَبُو دَاوُد تركت أسانيدها اختصارا
قَالَ الْخطابِيّ أما العَاصِي فَإِنَّمَا غَيره كَرَاهِيَة لِمَعْنى الْعِصْيَان وَإِنَّمَا سمة الْمُؤمن الطَّاعَة والاستسلام والعزيز إِنَّمَا غَيره لِأَن الْعِزَّة لله وشعار العَبْد الذلة والاستكانة
وعتلة مَعْنَاهَا الشدَّة والغلظ وَمِنْه قَوْلهم رجل عتل أَي شَدِيد غليظ
وَمن صفة الْمُؤمن اللين والسهولة
وَشَيْطَان اشتقاقه من الشطن وَهُوَ الْبعد من الْخَيْر وَهُوَ اسْم المارد الْخَبيث من الْجِنّ وَالْإِنْس
وَالْحكم هُوَ الْحَاكِم الَّذِي لَا يرد حكمه وَهَذِه الصّفة لَا تلِيق إِلَّا بِاللَّه تَعَالَى وَمن أَسْمَائِهِ الحكم
وغراب مَأْخُوذ من الغرب وَهُوَ الْبعد ثمَّ هُوَ حَيَوَان خَبِيث الْمطعم أَبَاحَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَتله فِي الْحل وَالْحرم
وحباب يَعْنِي بِضَم الْحَاء الْمُهْملَة وَتَخْفِيف الْبَاء الْمُوَحدَة نوع من الْحَيَّات وَرُوِيَ أَنه اسْم شَيْطَان
والشهاب الشعلة من النَّار وَالنَّار عُقُوبَة الله وَأما عفرَة يَعْنِي بِفَتْح الْعين وَكسر الْفَاء فَهِيَ نعت الأَرْض الَّتِي لَا تنْبت شَيْئا
فسماها خضرَة على معنى التفاؤل حَتَّى تخضر
انْتهى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৪৯
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ সন্তান-সন্ততিকে শিষ্টাচার শিক্ষাদানের প্রতি অনুপ্রেরণা
৩০৪৯. হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: সন্তানকে শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া এক সা' বস্তু দান করা অপেক্ষা অধিক উত্তম।
(তিরমিযী (র) নাসিহ (র) থেকে সিমাক সূত্রে এটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব।
(হাফিয মুনাযিরী (র) বলেন) নাসিহ এর প্রকৃত নাম ইবনে আবদুল্লাহ মাহলামী। মুহাদ্দিসগণের নিকট তিনি অপরিচিত।)
(তিরমিযী (র) নাসিহ (র) থেকে সিমাক সূত্রে এটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব।
(হাফিয মুনাযিরী (র) বলেন) নাসিহ এর প্রকৃত নাম ইবনে আবদুল্লাহ মাহলামী। মুহাদ্দিসগণের নিকট তিনি অপরিচিত।)
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي تَأْدِيب الْأَوْلَاد
3049 - عَن جَابر بن سَمُرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لِأَن يُؤَدب الرجل وَلَده خير لَهُ من أَن يتَصَدَّق بِصَاع
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة نَاصح عَن سماك عَنهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ نَاصح هَذَا هُوَ ابْن عبد الله المحلمي واه وَهَذَا مِمَّا أنكرهُ عَلَيْهِ الْحفاظ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة نَاصح عَن سماك عَنهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ نَاصح هَذَا هُوَ ابْن عبد الله المحلمي واه وَهَذَا مِمَّا أنكرهُ عَلَيْهِ الْحفاظ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৫০
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ সন্তান-সন্ততিকে শিষ্টাচার শিক্ষাদানের প্রতি অনুপ্রেরণা
৩০৫০. হযরত আইউব ইবনে মূসা (র) তাঁর পিতা ও তাঁর দাদার সূত্রে পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: পিতার পক্ষে সন্তানকে শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়ার চেয়ে উত্তম কোন দান নেই।
(তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি গরীব এবং এই হাদীসটি আমার নিকট মুরসাল সনদে বর্ণিত। نحل দান করা, কিছু দেওয়া ইত্যাদি।)
(তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি গরীব এবং এই হাদীসটি আমার নিকট মুরসাল সনদে বর্ণিত। نحل দান করা, কিছু দেওয়া ইত্যাদি।)
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي تَأْدِيب الْأَوْلَاد
3050- وَعَن أَيُّوب بن مُوسَى عَن أَبِيه عَن جده رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا نحل وَالِد ولدا من نحل أفضل من أدب حسن
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ أَيْضا وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَهَذَا عِنْدِي مُرْسل
نحل بِفَتْح النُّون والحاء الْمُهْملَة أَي أعْطى ووهب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ أَيْضا وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَهَذَا عِنْدِي مُرْسل
نحل بِفَتْح النُّون والحاء الْمُهْملَة أَي أعْطى ووهب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৫১
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ সন্তান-সন্ততিকে শিষ্টাচার শিক্ষাদানের প্রতি অনুপ্রেরণা
৩০৫১. হযরত ইমাম ইবনে মাজাহ (র) ইবনে আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তোমরা তোমাদের সন্তানের প্রতি সদয় হও এবং তাদেরকে উত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।
كتاب النكاح
التَّرْغِيب فِي تَأْدِيب الْأَوْلَاد
3051- وروى ابْن مَاجَه عَن ابْن عَبَّاس عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أكْرمُوا أَوْلَادكُم وأحسنوا أدبهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৫২
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পিতা ব্যতীত অন্যের প্রতি পিতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন এবং তাকে (পিতা) ব্যতীত অন্য কাউকে অভিভাবক বানানো
৩০৫২. হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি জ্ঞাতসারে নিজ
পিতাকে বাদ দিয়ে কারো প্রতি পিতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে, তার জন্য জান্নাত হারাম।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ (র) প্রমুখ সা'দ ও আবু বাকার (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন।)
পিতাকে বাদ দিয়ে কারো প্রতি পিতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে, তার জন্য জান্নাত হারাম।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ (র) প্রমুখ সা'দ ও আবু বাকার (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب النكاح
التَّرْهِيب أَن ينتسب الْإِنْسَان إِلَى غير أَبِيه أَو يتَوَلَّى غير موَالِيه
3052- عَن سعد بن أبي وَقاص رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ادّعى إِلَى غير أَبِيه وَهُوَ يعلم أَنه غير أَبِيه فالجنة عَلَيْهِ حرَام
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه عَن سعد وَأبي بكرَة جَمِيعًا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه عَن سعد وَأبي بكرَة جَمِيعًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০৫৩
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদঃ পিতা ব্যতীত অন্যের প্রতি পিতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন এবং তাকে (পিতা) ব্যতীত অন্য কাউকে অভিভাবক বানানো
৩০৫৩. হযরত আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্ঞাতসারে নিজ পিতা ব্যতীত অন্যকে পিতা বানিয়ে নিল, সে কুফরী করল। যে ব্যক্তি (নিজ পিতা ব্যতীত) কাউকে পিতা ডাকল, সে আমাদের দলভূক্ত নয় এবং সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা করে নিল। যে ব্যক্তি কাউকে কাফির বলে ডাকল অথবা বলল, আল্লাহর দুশমন অথচ সে তা নয়, তাহলে তা তার প্রতি বর্তাবে।
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।
حار - প্রত্যাবর্তন করা, অর্থ: সে যা বলেছে তা তার উপর বর্তাবে।)
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।
حار - প্রত্যাবর্তন করা, অর্থ: সে যা বলেছে তা তার উপর বর্তাবে।)
كتاب النكاح
التَّرْهِيب أَن ينتسب الْإِنْسَان إِلَى غير أَبِيه أَو يتَوَلَّى غير موَالِيه
3053- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَيْسَ من رجل ادّعى بِغَيْر أَبِيه وَهُوَ يعلم إِلَّا كفر وَمن ادّعى مَا لَيْسَ لَهُ فَلَيْسَ منا وليتبوأ مَقْعَده من النَّار وَمن دَعَا رجلا بالْكفْر أَو قَالَ عَدو الله وَلَيْسَ كَذَلِك إِلَّا حَار عَلَيْهِ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
حَار بِالْحَاء الْمُهْملَة وَالرَّاء أَي رَجَعَ عَلَيْهِ مَا قَالَ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
حَار بِالْحَاء الْمُهْملَة وَالرَّاء أَي رَجَعَ عَلَيْهِ مَا قَالَ
তাহকীক: