আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩১৭ টি
হাদীস নং: ২৫৭৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) -কে একথা বলতে শুনেছেন। তোমরা যখন মুয়াযযিনকে আযান দিতে শুনবে, তখন সে যা বলছে, তোমরাও তার অনুরূপ বলবে। অতঃপর আমার উপর দরূদ পড়বে। কেননা যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন। এরপর তোমরা ওসীলা তথা জান্নাতে আমার বিশেষ মর্যাদার জন্য দু'আ করবে। কেননা এটি জান্নাতের এক বিশেষ মর্যাদা, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল একজন বান্দার জন্যই শোভনীয়। আর আমি আশা করছি যে, এ বান্দাটি আমিই হব। অতএব যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসীলা তথা বিশেষ মর্যাদার প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার শাফাআত অনিবার্য হয়ে যাবে।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2575- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِذا سَمِعْتُمْ الْمُؤَذّن فَقولُوا مثل مَا يَقُول ثمَّ صلوا عَليّ فَإِنَّهُ من صلى عَليّ صَلَاة صلى الله عَلَيْهِ
بهَا عشرا ثمَّ سلوا لي الْوَسِيلَة فَإِنَّهَا منزلَة من الْجنَّة لَا تنبغي إِلَّا لعبد من عباد الله وَأَرْجُو أَن أكون أَنا هُوَ فَمن سَأَلَ الله لي الْوَسِيلَة حلت لَهُ الشَّفَاعَة
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
بهَا عشرا ثمَّ سلوا لي الْوَسِيلَة فَإِنَّهَا منزلَة من الْجنَّة لَا تنبغي إِلَّا لعبد من عباد الله وَأَرْجُو أَن أكون أَنا هُوَ فَمن سَأَلَ الله لي الْوَسِيلَة حلت لَهُ الشَّفَاعَة
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৭৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৬. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ তার প্রতি সত্তরটি রহমত প্রেরণ করবেন।
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2576- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ من صلى على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَاحِدَة صلى الله عَلَيْهِ وَمَلَائِكَته سبعين صَلَاة
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৭৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৭. হযরত আবু তালহা আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদিন অত্যন্ত প্রফুল্ল মনে প্রভাত করলেন। তাঁর চেহারায় আনন্দের চিহ্ন ফুটে উঠছিল। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ আপনি খুব প্রফুল্ল মনে প্রভাত করেছেন যে, আপনার চেহারায় এ আনন্দের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। তিনি বললেন, সত্যিই। আমার মহান প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এক আগন্তুক এসে বলেছেঃ আপনার উম্মতের যে ব্যক্তি আপনার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য দশটি নেকী লিখবেন, তার দশটি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। উপরন্তু তিনি তাকে অনুরূপ উত্তর প্রদান করবেন।
(হাদীসটি আহমদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। আহমদের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে। একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের নিকট এমন অবস্থায় আসলেন যে, তাঁর চেহারায় আনন্দের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনার চেহারায় আনন্দের চিহ্ন লক্ষ্য করছি। তিনি বললেনঃ আমার নিকট ফিরিশতা এসে বলল, হে মুহাম্মদ। এ বিষয়টি কি আপনাকে আনন্দ দিবে না যে, আপনার মহান প্রতিপালক বলেছেনঃ আপনার উম্মতের কেউ আপনার প্রতি দরূদ প্রেরণ করলে আমি তার প্রতি দশটি রহমত প্রেরণ করব, আর আপনার উম্মতের কেউ আপনার প্রতি সালাম পেশ করলে আমি তার প্রতি দশবার সালাম পেশ করব? তিনি বললেন, জ্বী হ্যাঁ।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
হযরত আবু তালহা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট গেলাম, তখন তাঁর চেহারার ভাঁজগুলো চমকাচ্ছিল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আপনাকে আজকের চেয়ে অধিক হর্ষিত মনও প্রফুল্ল বদনে আর কখনও দেখিনি। তিনি বললেন, কেন আমার হর্ষিত মন ও প্রফুল্ল বদন হবে না। এইমাত্র জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার নিকট থেকে এ কথা বলে বিদায় নিলেন যে, হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতের কেউ আপনার উপর একবার দরূদ পাঠ করলে আল্লাহ্ এর বিনিময়ে তার জন্য দশটি পুণ্য লিখে দিবেন, দশটি গুনাহ মুছে দিবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। আর সে আপনার জন্য যা বলেছে, ফিরিশতা তার জন্য অনুরূপ বলবে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল। এ কোন্ ফিরিশতা? জিবরাঈল বললেনঃ মহান আল্লাহ আপনার সৃষ্টিলগ্ন থেকে পুনরুত্থানকাল পর্যন্ত একজন ফিরিশতা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, যিনি আপনার উম্মতের কেউ আপনার উপর দরূদ পাঠ করলে তার উদ্দেশ্যে বলেনঃ "আল্লাহও তোমার প্রতি রহমত প্রেরণ করুন।)
(হাদীসটি আহমদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। আহমদের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে। একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের নিকট এমন অবস্থায় আসলেন যে, তাঁর চেহারায় আনন্দের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনার চেহারায় আনন্দের চিহ্ন লক্ষ্য করছি। তিনি বললেনঃ আমার নিকট ফিরিশতা এসে বলল, হে মুহাম্মদ। এ বিষয়টি কি আপনাকে আনন্দ দিবে না যে, আপনার মহান প্রতিপালক বলেছেনঃ আপনার উম্মতের কেউ আপনার প্রতি দরূদ প্রেরণ করলে আমি তার প্রতি দশটি রহমত প্রেরণ করব, আর আপনার উম্মতের কেউ আপনার প্রতি সালাম পেশ করলে আমি তার প্রতি দশবার সালাম পেশ করব? তিনি বললেন, জ্বী হ্যাঁ।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
হযরত আবু তালহা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট গেলাম, তখন তাঁর চেহারার ভাঁজগুলো চমকাচ্ছিল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আপনাকে আজকের চেয়ে অধিক হর্ষিত মনও প্রফুল্ল বদনে আর কখনও দেখিনি। তিনি বললেন, কেন আমার হর্ষিত মন ও প্রফুল্ল বদন হবে না। এইমাত্র জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার নিকট থেকে এ কথা বলে বিদায় নিলেন যে, হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতের কেউ আপনার উপর একবার দরূদ পাঠ করলে আল্লাহ্ এর বিনিময়ে তার জন্য দশটি পুণ্য লিখে দিবেন, দশটি গুনাহ মুছে দিবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। আর সে আপনার জন্য যা বলেছে, ফিরিশতা তার জন্য অনুরূপ বলবে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল। এ কোন্ ফিরিশতা? জিবরাঈল বললেনঃ মহান আল্লাহ আপনার সৃষ্টিলগ্ন থেকে পুনরুত্থানকাল পর্যন্ত একজন ফিরিশতা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, যিনি আপনার উম্মতের কেউ আপনার উপর দরূদ পাঠ করলে তার উদ্দেশ্যে বলেনঃ "আল্লাহও তোমার প্রতি রহমত প্রেরণ করুন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2577- وَعَن أبي طَلْحَة الْأنْصَارِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ أصبح رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْمًا طيب النَّفس يرى فِي وَجهه الْبشر
قَالُوا يَا رَسُول الله أَصبَحت الْيَوْم طيب النَّفس يرى فِي وَجهك الْبشر قَالَ أجل أَتَانِي آتٍ من رَبِّي عز وَجل فَقَالَ من صلى عَلَيْك من أمتك صَلَاة كتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرفع لَهُ عشر دَرَجَات ورد عَلَيْهِ مثلهَا
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ
وَفِي رِوَايَة لاحمد أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَاءَ ذَات يَوْم وَالسُّرُور يرى فِي وَجهه فَقَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّا لنرى السرُور فِي وَجهك فَقَالَ إِنَّه أَتَانِي الْملك فَقَالَ يَا مُحَمَّد أما يرضيك أَن رَبك عز وَجل يَقُول إِنَّه لَا يُصَلِّي عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا صليت عَلَيْهِ عشرا وَلَا يسلم عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا سلمت عَلَيْهِ عشرا قَالَ بلَى
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه بِنَحْوِ هَذِه وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَلَفظه قَالَ دخلت على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وأسارير وَجهه تبرق فَقلت يَا رَسُول الله مَا رَأَيْتُك أطيب نفسا وَلَا أظهر بشرا من يَوْمك هَذَا
قَالَ وَمَا لي لَا تطيب نَفسِي وَيظْهر بشري وَإِنَّمَا فارقني جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام السَّاعَة فَقَالَ يَا مُحَمَّد من صلى عَلَيْك من أمتك صَلَاة كتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرَفعه بهَا عشر دَرَجَات وَقَالَ لَهُ الْملك مثل مَا قَالَ لَك
فَقلت يَا جِبْرِيل وَمَا ذَاك الْملك قَالَ إِن الله عز وَجل وكل ملكا من لدن خلقك إِلَى أَن يَبْعَثك لَا يُصَلِّي عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا قَالَ وَأَنت صلى الله عَلَيْك
قَالُوا يَا رَسُول الله أَصبَحت الْيَوْم طيب النَّفس يرى فِي وَجهك الْبشر قَالَ أجل أَتَانِي آتٍ من رَبِّي عز وَجل فَقَالَ من صلى عَلَيْك من أمتك صَلَاة كتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرفع لَهُ عشر دَرَجَات ورد عَلَيْهِ مثلهَا
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ
وَفِي رِوَايَة لاحمد أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَاءَ ذَات يَوْم وَالسُّرُور يرى فِي وَجهه فَقَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّا لنرى السرُور فِي وَجهك فَقَالَ إِنَّه أَتَانِي الْملك فَقَالَ يَا مُحَمَّد أما يرضيك أَن رَبك عز وَجل يَقُول إِنَّه لَا يُصَلِّي عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا صليت عَلَيْهِ عشرا وَلَا يسلم عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا سلمت عَلَيْهِ عشرا قَالَ بلَى
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه بِنَحْوِ هَذِه وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَلَفظه قَالَ دخلت على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وأسارير وَجهه تبرق فَقلت يَا رَسُول الله مَا رَأَيْتُك أطيب نفسا وَلَا أظهر بشرا من يَوْمك هَذَا
قَالَ وَمَا لي لَا تطيب نَفسِي وَيظْهر بشري وَإِنَّمَا فارقني جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام السَّاعَة فَقَالَ يَا مُحَمَّد من صلى عَلَيْك من أمتك صَلَاة كتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرَفعه بهَا عشر دَرَجَات وَقَالَ لَهُ الْملك مثل مَا قَالَ لَك
فَقلت يَا جِبْرِيل وَمَا ذَاك الْملك قَالَ إِن الله عز وَجل وكل ملكا من لدن خلقك إِلَى أَن يَبْعَثك لَا يُصَلِّي عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا قَالَ وَأَنت صلى الله عَلَيْك
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৭৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জুমুআর দিন তোমরা আমার উপর বেশি করে দরূদ পাঠ করবে। কেননা এইমাত্র জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তাঁর প্রভূর পক্ষ থেকে আমার নিকট এসে বলেছেনঃ পৃথিবীর বুকে কোন মুসলিম যখন আপনার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, তখন আমি এবং আমার ফিরিশতাগণ তার প্রতি দশটি রহমত প্রেরণ করি।
(হাদীসটি তাবারানী আবু যিলাল সূত্রে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবু যিলালকে অনেকেই নির্ভরযোগ্য রাবী বলে বর্ণনা করেছেন। অন্য হাদীসের সমর্থনে এ ধরনের বর্ণনায় কোন ক্ষতি নেই।)
(হাদীসটি তাবারানী আবু যিলাল সূত্রে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবু যিলালকে অনেকেই নির্ভরযোগ্য রাবী বলে বর্ণনা করেছেন। অন্য হাদীসের সমর্থনে এ ধরনের বর্ণনায় কোন ক্ষতি নেই।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2578- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَكْثرُوا الصَّلَاة عَليّ يَوْم الْجُمُعَة فَإِنَّهُ أَتَانِي جِبْرِيل آنِفا عَن ربه عز وَجل فَقَالَ مَا على الأَرْض من مُسلم يُصَلِّي عَلَيْك مرّة وَاحِدَة إِلَّا صليت أَنا وملائكتي عَلَيْهِ عشرا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ عَن أبي ظلال عَنهُ وَأَبُو ظلال وثق وَلَا يضر فِي المتابعات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ عَن أبي ظلال عَنهُ وَأَبُو ظلال وثق وَلَا يضر فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৭৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৯. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত বর্ষণ করেন। আর আমার উম্মতের দরূদ আমার নিকট পৌছে দেয়ার জন্য ফিরিশতা নির্দিষ্ট রয়েছে।
(হাদীসটি তাবরানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবরানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2579- وَرُوِيَ عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى عَليّ مرّة صلى الله عَلَيْهِ عشرا ملك مُوكل بهَا حَتَّى يبلغنيها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮০. হযরত ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহর কিছু পর্যটক ফিরিশতা রয়েছেন, যাঁরা আমার উম্মতের দরূদ ও সালাম আমার নিকট পৌছিয়ে দিয়ে থাকেন।
(হাদীসটি নাসাঈ ও ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ ও ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2580- وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن لله مَلَائِكَة سياحين يبلغوني عَن أمتِي السَّلَام
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮১. হযরত হাসান ইবন আলী (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা যেখানেই থাক, আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করবে। তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2581- وَعَن الْحسن بن عَليّ رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حَيْثُمَا كُنْتُم فصلوا عَليّ
فَإِن صَلَاتكُمْ تبلغني
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد حسن
فَإِن صَلَاتكُمْ تبلغني
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮২. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে কেউ আমার প্রতি দুরূদ প্রেরণ করে, তার এ দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে এবং আমি তাকে দু'আ দিয়ে থাকি। উপরন্তু তার জন্য দশটি নেকী লিখা হয়ে থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' একটি নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' একটি নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2582- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى عَليّ بلغتني صلَاته وَصليت عَلَيْهِ وَكتب لَهُ سوى ذَلِك عشر حَسَنَات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কেউ আমাকে সালাম করলে আল্লাহ আমাকে বাকশক্তি দান করেন, এমন কি আমি যথারীতি তার সালামের উত্তর দিয়ে থাকি।
(হাদীসটি আহমদ ও আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আহমদ ও আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2583- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أحد يسلم عَليّ إِلَّا رد الله إِلَيّ روحي حَتَّى أرد عَلَيْهِ السَّلَام
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮৪. হযরত আমার ইবন ইয়াসির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার কবরে এমন একজন ফিরিশতা মোতায়েন করে রেখেছেন, যাকে তিনি সকল সৃষ্টজীবের নামও বলে দিয়েছেন। অতএব কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, সেই ফিরিশতা ঐ ব্যক্তি ও তার পিতার নাম উল্লেখ করে বলবে, অমুকের পুত্র অমুক আপনার উপর দরূদ পাঠ করেছে।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহর একজন ফিরিশতা রয়েছেন, যাকে তিনি সকল সৃষ্টির নাম বলে দিয়েছেন। উক্ত ফিরিশতা মৃত্যুর পরও আমার কবরের পাশে দণ্ডায়মান থাকবেন। যখন কেউ আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, তখন ঐ ফিরিশতা বলবেনঃ হে মুহাম্মদ! অমুকের পুত্র অমুক আপনার উপর দরূদ পাঠ করেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ ঐ ব্যক্তির প্রতিবারের দরূদের বিনিময়ে মহান আল্লাহ্ তাকে দশটি রহমত দান করবেন।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে এভাবেই বর্ণনা করেছেন। (হাফিয বলেন)ঃ তাঁরা সবাই হাদীসটি নু'আয়ম ইবন যমযম থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁর ব্যাপারে কথা রয়েছে। নু'আয়ম এ হাদীসটি ইমরান হিময়ারী থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁরও কোন পরিচিতি নেই।)
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহর একজন ফিরিশতা রয়েছেন, যাকে তিনি সকল সৃষ্টির নাম বলে দিয়েছেন। উক্ত ফিরিশতা মৃত্যুর পরও আমার কবরের পাশে দণ্ডায়মান থাকবেন। যখন কেউ আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, তখন ঐ ফিরিশতা বলবেনঃ হে মুহাম্মদ! অমুকের পুত্র অমুক আপনার উপর দরূদ পাঠ করেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ ঐ ব্যক্তির প্রতিবারের দরূদের বিনিময়ে মহান আল্লাহ্ তাকে দশটি রহমত দান করবেন।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে এভাবেই বর্ণনা করেছেন। (হাফিয বলেন)ঃ তাঁরা সবাই হাদীসটি নু'আয়ম ইবন যমযম থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁর ব্যাপারে কথা রয়েছে। নু'আয়ম এ হাদীসটি ইমরান হিময়ারী থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁরও কোন পরিচিতি নেই।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2584- وَعَن عمار بن يَاسر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله وكل بقبري ملكا أعطَاهُ الله أَسمَاء الْخَلَائق فَلَا يُصَلِّي عَليّ أحد إِلَى يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا أبلغني باسمه وَاسم أَبِيه هَذَا فلَان بن فلَان قد صلى عَلَيْك
رَوَاهُ الْبَزَّار وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن لله تبَارك وَتَعَالَى ملكا أعطَاهُ أَسمَاء الْخَلَائق فَهُوَ قَائِم على قَبْرِي إِذا مت فَلَيْسَ أحد يُصَلِّي عَليّ صَلَاة إِلَّا قَالَ يَا مُحَمَّد صلى عَلَيْك فلَان بن فلَان
قَالَ فَيصَلي الرب تبَارك وَتَعَالَى على ذَلِك الرجل بِكُل وَاحِدَة عشرا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِنَحْوِهِ
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ كلهم عَن نعيم بن ضَمْضَم وَفِيه خلاف عَن عمرَان بن الْحِمْيَرِي وَلَا يعرف
رَوَاهُ الْبَزَّار وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن لله تبَارك وَتَعَالَى ملكا أعطَاهُ أَسمَاء الْخَلَائق فَهُوَ قَائِم على قَبْرِي إِذا مت فَلَيْسَ أحد يُصَلِّي عَليّ صَلَاة إِلَّا قَالَ يَا مُحَمَّد صلى عَلَيْك فلَان بن فلَان
قَالَ فَيصَلي الرب تبَارك وَتَعَالَى على ذَلِك الرجل بِكُل وَاحِدَة عشرا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِنَحْوِهِ
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ كلهم عَن نعيم بن ضَمْضَم وَفِيه خلاف عَن عمرَان بن الْحِمْيَرِي وَلَا يعرف
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮৫. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তিই আমার সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে, যে আমার প্রতি বহুল পরিমাণে দরূদ পাঠ করে।
(হাদীসটি তিরমিযী এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়ের এটি মুসা ইবন ইয়াকুব যাম'য়ী সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তিরমিযী এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়ের এটি মুসা ইবন ইয়াকুব যাম'য়ী সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2585- وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أولى النَّاس بِي يَوْم الْقِيَامَة أَكْثَرهم عَليّ صَلَاة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة مُوسَى بن يَعْقُوب الزمعِي
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة مُوسَى بن يَعْقُوب الزمعِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮৬. আমির ইব্ন রবীআ সূত্রে তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এক ভাষণে এ কথা বলতে শুনেছি। কোন ব্যক্তি যখন আমার উপর দরূদ পাঠ করে, ফিরিশতাগণ তার জন্য রহমতের দু'আ করতে থাকেন। অতএব আল্লাহর কোন বান্দা এটি বেশি করে করুক অথবা কম করুক।
(হাদীসটি আহমদ, আবূ বকর ইবন শায়বা ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই এটি আসিম ইবন উবায়দুল্লাহ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন আমির-এর বরাতে তাঁর পিতা আমির থেকে বর্ণনা করেন। আসিম যদিও হাদীস বর্ণনায় দুর্বল, তবুও তাঁর এ হাদীসটি অনেকেই গ্রহণ করেছেন এবং তিরমিযীও এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেনঃ অন্য হাদীসের সমর্থনে এ হাদীসটি খুবই সুন্দর। বাকী আল্লাহই ভাল জানেন।)
(হাদীসটি আহমদ, আবূ বকর ইবন শায়বা ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই এটি আসিম ইবন উবায়দুল্লাহ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন আমির-এর বরাতে তাঁর পিতা আমির থেকে বর্ণনা করেন। আসিম যদিও হাদীস বর্ণনায় দুর্বল, তবুও তাঁর এ হাদীসটি অনেকেই গ্রহণ করেছেন এবং তিরমিযীও এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেনঃ অন্য হাদীসের সমর্থনে এ হাদীসটি খুবই সুন্দর। বাকী আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2586- وَعَن عَامر بن ربيعَة عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يخْطب وَيَقُول من صلى عَليّ صَلَاة لم تزل الْمَلَائِكَة تصلي عَلَيْهِ مَا صلى عَليّ فَلْيقل عبد من ذَلِك أَو ليكْثر
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو بكر بن أبي شيبَة وَابْن مَاجَه كلهم عَن عَاصِم بن عبيد الله عَن عبد الله بن عَامر عَن أَبِيه وَعَاصِم وَإِن كَانَ واهي الحَدِيث فقد مَشاهُ بَعضهم وَصحح لَهُ التِّرْمِذِيّ وَهَذَا الحَدِيث حسن فِي المتابعات وَالله أعلم
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو بكر بن أبي شيبَة وَابْن مَاجَه كلهم عَن عَاصِم بن عبيد الله عَن عبد الله بن عَامر عَن أَبِيه وَعَاصِم وَإِن كَانَ واهي الحَدِيث فقد مَشاهُ بَعضهم وَصحح لَهُ التِّرْمِذِيّ وَهَذَا الحَدِيث حسن فِي المتابعات وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮৭. হযরত উবাই ইবন কা'ব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতের এক-চতুর্থাংশ অতিবাহিত হলে উঠে গেলেন এবং বলতে লাগলেনঃ হে লোক সকল। তোমরা আল্লাহর যিক্র কর, তোমরা আল্লাহর যিক্র কর। প্রকম্পিতকারী এসে গিয়েছে যার পিছনে আসবে পশ্চাদগামী মৃত্যু তার তিক্ততা নিয়ে এসে গিয়েছে, মৃত্যু তার তিক্ততা নিয়ে এসে গিয়েছে। উবাই ইবন কা'ব বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি তো দু'আর মধ্যে অনেক সময় কাটাই, অতএব আপনার উপর দুরূদের জন্য কতটুকু সময় দেব? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা। আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা, তবে আরে বাড়িয়ে নিলে তোমার জন্য বেশি ভাল হয়। উবাই বলেন, আমি বললাম, তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার ইচ্ছা, তবে আরো বেশি করলে তোমার জন্য ভাল হবে। আমি বললাম তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা, তবে আরো বাড়িয়ে দিতে পারলে বেশি ভাল। উবাই তখন বললেনঃ আমার দু'আর সবটুকু সময় আপনার উপর দুরূদ পড়ার জন্য দিয়ে দিব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাহলে তোমার সব দুশ্চিন্তার জন্যে যথেষ্ট করে দেয়া হবে এবং তোমার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি আহমদ, তিরমিযী ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম এটিকে সহীহ বলেও মন্তব্য করেছেন। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
আহমদের অপর এক বর্ণনা উবাই থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, জনৈক ব্যাক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনি বলুনতো, আমি যদি আমার দু'আর সবটুকু সময় আপনার উপর দরূদ পাঠের জন্য রেখে দেই? তিনি বললেন। তাহলে মহান আল্লাহ তোমার দুনিয়া ও আখিরাতের দুশ্চিন্তার ব্যাপারে যথেষ্ট হয়ে যাবেন।
এর সনদটি খুবই উত্তম।)
(হাদীসটি আহমদ, তিরমিযী ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম এটিকে সহীহ বলেও মন্তব্য করেছেন। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
আহমদের অপর এক বর্ণনা উবাই থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, জনৈক ব্যাক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনি বলুনতো, আমি যদি আমার দু'আর সবটুকু সময় আপনার উপর দরূদ পাঠের জন্য রেখে দেই? তিনি বললেন। তাহলে মহান আল্লাহ তোমার দুনিয়া ও আখিরাতের দুশ্চিন্তার ব্যাপারে যথেষ্ট হয়ে যাবেন।
এর সনদটি খুবই উত্তম।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2587- وَعَن أبي بن كَعْب رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا ذهب ربع اللَّيْل قَامَ فَقَالَ يَا أَيهَا النَّاس اذْكروا الله اذْكروا الله جَاءَت الراجفة تتبعها الرادفة جَاءَ الْمَوْت بِمَا فِيهِ جَاءَ الْمَوْت بِمَا فِيهِ
قَالَ أبي بن كَعْب فَقلت يَا رَسُول الله إِنِّي أَكثر الصَّلَاة فكم أجعَل لَك من صَلَاتي
قَالَ مَا شِئْت قَالَ قلت الرّبع
قَالَ مَا شِئْت وَإِن زِدْت فَهُوَ خير لَك قَالَ فَقلت فثلثين قَالَ مَا شِئْت فَإِن زِدْت فَهُوَ خير لَك
قلت النّصْف قَالَ مَا شِئْت وَإِن زِدْت فَهُوَ خير لَك
قَالَ أجعَل لَك صَلَاتي كلهَا قَالَ إِذا يكفى همك وَيغْفر لَك ذَنْبك
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَصَححهُ قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
وَفِي رِوَايَة لاحمد عَنهُ قَالَ قَالَ رجل يَا رَسُول الله أَرَأَيْت إِن جعلت صَلَاتي كلهَا عَلَيْك قَالَ إِذا يَكْفِيك الله تبَارك وَتَعَالَى مَا أهمك من دنياك وآخرتك وَإسْنَاد هَذِه جيد
قَالَ أبي بن كَعْب فَقلت يَا رَسُول الله إِنِّي أَكثر الصَّلَاة فكم أجعَل لَك من صَلَاتي
قَالَ مَا شِئْت قَالَ قلت الرّبع
قَالَ مَا شِئْت وَإِن زِدْت فَهُوَ خير لَك قَالَ فَقلت فثلثين قَالَ مَا شِئْت فَإِن زِدْت فَهُوَ خير لَك
قلت النّصْف قَالَ مَا شِئْت وَإِن زِدْت فَهُوَ خير لَك
قَالَ أجعَل لَك صَلَاتي كلهَا قَالَ إِذا يكفى همك وَيغْفر لَك ذَنْبك
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَصَححهُ قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
وَفِي رِوَايَة لاحمد عَنهُ قَالَ قَالَ رجل يَا رَسُول الله أَرَأَيْت إِن جعلت صَلَاتي كلهَا عَلَيْك قَالَ إِذا يَكْفِيك الله تبَارك وَتَعَالَى مَا أهمك من دنياك وآخرتك وَإسْنَاد هَذِه جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮৮. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন হিব্বান তাঁর পিতা ও পিতামহ সূত্রে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমার দু'আর সময়টির এক-তৃতীয়াংশ কি আপনার উপর দরূদ পাঠের জন্য রেখে দিব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি যদি চাও। লোকটি এবার বলল, দুই-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি যদি চাও। এবার লোকটি বলল, আমার দু'আর সবটুকু সময় কি দরদের জন্য রেখে দিব? রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এমন হলে আল্লাহ তোমার দুনিয়া ও আখিরাতের সব দুশ্চিন্তায় জন্যে যথেষ্ট হয়ে যাবেন।
(হাদীসটি তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2588- وَعَن مُحَمَّد بن يحيى بن حبَان عَن أَبِيه عَن جده رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا قَالَ يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أجعَل ثلث صَلَاتي عَلَيْك قَالَ نعم إِن شِئْت
قَالَ الثُّلثَيْنِ قَالَ نعم إِن شِئْت
قَالَ فصلاتي كلهَا قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا يَكْفِيك الله مَا أهمك من أَمر دنياك وآخرتك
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
قَالَ الثُّلثَيْنِ قَالَ نعم إِن شِئْت
قَالَ فصلاتي كلهَا قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا يَكْفِيك الله مَا أهمك من أَمر دنياك وآخرتك
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৮৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একদিনে আমার উপর এক হাজারবার দরূদ পাঠ করবে, সে জান্নাতে তার ঠিকানা না দেখে মৃত্যুমুখে পতিত হবে না।
(হাদীসটি আবু হাফস ইবন শাহীন বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আবু হাফস ইবন শাহীন বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2589- وَرُوِيَ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى عَليّ فِي يَوْم ألف مرّة لم يمت حَتَّى يرى مَقْعَده من الْجنَّة
رَوَاهُ أَبُو حَفْص بن شاهين
رَوَاهُ أَبُو حَفْص بن شاهين
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৯০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৯০. হযরত আবু কাহিল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে আবু কাহিল। যে ব্যক্তি দৈনিক দিনে ও রাত্রে আমার প্রতি ভালবাসা ও ভক্তি নিয়ে তিনবার করে দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহর উপর তার এ দিনের ও রাতের গুনাহ মাফ করে দেয়া অনিবার্য হয়ে যাবে।
(হাদীসটি ইবন আবু আসিম ও তাবারানী একটি দীর্ঘ হাদীসের আলোচনায় বর্ণনা করেছেন। তবে তাবারানী বলেছেনঃ প্রতিবারের দরূদে আল্লাহ্ তার এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। কিন্তু এ শব্দমালায় হাদীসটি মুনকার। আবু কাহিল আহমাস গোত্রীয়। কেউ কেউ বলেন, তিনি বাজালী। তাঁর নাম সম্পর্কে কেউ বলেছেনঃঃ আবদুল্লাহ ইবন মালিক। আবার কেউ বলেন, কায়স ইবন আ’ইদ। এছাড়া অন্য নামও বলা হয়ে থাকে। আল্লাহই ভাল জানেন।)
(হাদীসটি ইবন আবু আসিম ও তাবারানী একটি দীর্ঘ হাদীসের আলোচনায় বর্ণনা করেছেন। তবে তাবারানী বলেছেনঃ প্রতিবারের দরূদে আল্লাহ্ তার এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। কিন্তু এ শব্দমালায় হাদীসটি মুনকার। আবু কাহিল আহমাস গোত্রীয়। কেউ কেউ বলেন, তিনি বাজালী। তাঁর নাম সম্পর্কে কেউ বলেছেনঃঃ আবদুল্লাহ ইবন মালিক। আবার কেউ বলেন, কায়স ইবন আ’ইদ। এছাড়া অন্য নামও বলা হয়ে থাকে। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2590- وَرُوِيَ عَن أبي كَاهِل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا كَاهِل من صلى عَليّ كل يَوْم ثَلَاث مَرَّات وكل لَيْلَة ثَلَاث مَرَّات حبا وشوقا إِلَيّ كَانَ حَقًا على الله أَن يغْفر لَهُ ذنُوبه تِلْكَ اللَّيْلَة وَذَلِكَ الْيَوْم
رَوَاهُ ابْن أبي عَاصِم وَالطَّبَرَانِيّ فِي حَدِيث طَوِيل إِلَّا أَنه قَالَ حَقًا على الله أَن يغْفر لَهُ بِكُل مرّة ذنُوب حول
وَهُوَ بِهَذَا اللَّفْظ مُنكر وَأَبُو كَاهِل أحمسي وَقيل بجلي يُقَال اسْمه عبد الله بن مَالك وَقيل قيس بن عَائِد وَقيل غير ذَلِك وَالله أعلم
رَوَاهُ ابْن أبي عَاصِم وَالطَّبَرَانِيّ فِي حَدِيث طَوِيل إِلَّا أَنه قَالَ حَقًا على الله أَن يغْفر لَهُ بِكُل مرّة ذنُوب حول
وَهُوَ بِهَذَا اللَّفْظ مُنكر وَأَبُو كَاهِل أحمسي وَقيل بجلي يُقَال اسْمه عبد الله بن مَالك وَقيل قيس بن عَائِد وَقيل غير ذَلِك وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৯১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৯১. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ যে মুসলমানের নিকট সাদকা করার মত কিছু নেই, সে যেন নিজের দু'আর মধ্যে এই দরূদটি পাঠ করে নেয়ঃ
اللهُم صَلِ عَلى مُحمدٍ عَبدِك ورسُولِك، وصَلِ عَلى المُؤمنينَ والمُؤمنَاتِ والمُسلمينَ والمُسلِمات
কেননা এটি তার জন্য পবিত্রতাকারী হবে। তিনি আরও বলেছেনঃ মুমিন কখনও কল্যাণে পরিতৃপ্ত হয় না, যাবত না সে জান্নাতে প্রবেশ করে।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে দাররাজ সূত্রে আবুল হায়সাম থেকে বর্ণনা করেছেন।)
اللهُم صَلِ عَلى مُحمدٍ عَبدِك ورسُولِك، وصَلِ عَلى المُؤمنينَ والمُؤمنَاتِ والمُسلمينَ والمُسلِمات
কেননা এটি তার জন্য পবিত্রতাকারী হবে। তিনি আরও বলেছেনঃ মুমিন কখনও কল্যাণে পরিতৃপ্ত হয় না, যাবত না সে জান্নাতে প্রবেশ করে।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে দাররাজ সূত্রে আবুল হায়সাম থেকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2591- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ أَيّمَا رجل مُسلم لم يكن عِنْده صَدَقَة فَلْيقل فِي دُعَائِهِ اللَّهُمَّ صل على مُحَمَّد عَبدك وَرَسُولك وصل على الْمُؤمنِينَ وَالْمُؤْمِنَات وَالْمُسْلِمين وَالْمُسلمَات فَإِنَّهَا زَكَاة
وَقَالَ لَا يشْبع مُؤمن خيرا حَتَّى يكون منتهاه الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم
وَقَالَ لَا يشْبع مُؤمن خيرا حَتَّى يكون منتهاه الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৯২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৯২. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা প্রতি শুক্রবারে আমার প্রতি বেশি করে দরূদ পাঠ করবে। কেননা এ দিনটি ফিরিশতাদের উপস্থিতির দিন। আর যে কেউ দরূদ পাঠ করলে তা আমার নিকট পেশ করা হয়, যে পর্যন্ত না সে তা থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি বললাম, আপনার মৃত্যুর পরেও কি তা আপনার নিকট পেশ করা হবে? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাত ওয়াস-সালাম-এর দেহসমূহ ভক্ষণ করা মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন।
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2592- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَكْثرُوا عَليّ من الصَّلَاة كل يَوْم الْجُمُعَة فَإِنَّهُ مشهود تشهده الْمَلَائِكَة وَإِن أحدا لن يُصَلِّي عَليّ إِلَّا عرضت عَليّ صلَاته حَتَّى يفرغ مِنْهَا قَالَ قلت وَبعد الْمَوْت قَالَ إِن الله حرم على الأَرْض أَن تَأْكُل أجساد الْأَنْبِيَاء عَلَيْهِم الصَّلَاة وَالسَّلَام
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد جيد
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৯৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৯৩. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা প্রতি শুক্রবারে আমার প্রতি বেশি করে দরূদ প্রেরণ করবে। কেননা প্রতি শুক্রবারে আমার উম্মতের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। অতএব আমার উম্মতের মধ্যে যারা অধিক দরূদ পাঠকারী হবে, মর্যাদার দিক দিয়ে তারা আমার সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে।
(হাদীসটি বায়হাকী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে বলা হয় যে, মাকহুল আবু উমামা থেকে হাদীস শুনেননি।)
(হাদীসটি বায়হাকী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে বলা হয় যে, মাকহুল আবু উমামা থেকে হাদীস শুনেননি।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2593- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَكْثرُوا عَليّ من الصَّلَاة فِي كل يَوْم الْجُمُعَة فَإِن صَلَاة أمتِي تعرض عَليّ فِي كل يَوْم جُمُعَة فَمن كَانَ أَكْثَرهم عَليّ صَلَاة كَانَ أقربهم مني منزلَة
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد حسن إِلَّا أَن مَكْحُولًا
قيل لم يسمع من أبي أُمَامَة
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد حسن إِلَّا أَن مَكْحُولًا
قيل لم يسمع من أبي أُمَامَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৯৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৯৪. হযরত আউস ইবন আউস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের সর্বোত্তম দিবস হ'ল জুমুআর দিন। এ দিনেই আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এদিনেই তাঁকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, এ দিনেই শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে এবং এ দিনেই সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে। অতএব এ দিবসে তোমরা আমার উপর বেশি করে দরূদ পাঠ করবে। কেননা তোমাদের দরূদ আমার নিকট পেশ করা হবে। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের দরূদ কিভাবে আপনার নিকট পেশ করা হবে অথচ আপনি মাটিতে মিশে যাবেন? তিনি তখন বললেনঃ মহান আল্লাহ্ নবীদের দেহ ভক্ষণ করা মাটির পক্ষে হারাম করে দিয়েছেন।
(হাদীসটি আহমদ, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটি সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
(হাদীসটি আহমদ, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটি সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2594- وَعَن أَوْس بن أَوْس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أفضل أيامكم يَوْم الْجُمُعَة فِيهِ خلق آدم وَفِيه قبض وَفِيه النفخة وَفِيه الصَّفْقَة فَأَكْثرُوا عَليّ من الصَّلَاة فِيهِ فَإِن صَلَاتكُمْ معروضة عَليّ
قَالُوا يَا رَسُول الله وَكَيف تعرض صَلَاتنَا عَلَيْك وَقد أرمت يَعْنِي بليت فَقَالَ إِن الله عز وَجل حرم على الأَرْض أَن تَأْكُل أجساد الْأَنْبِيَاء
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَصَححهُ
قَالُوا يَا رَسُول الله وَكَيف تعرض صَلَاتنَا عَلَيْك وَقد أرمت يَعْنِي بليت فَقَالَ إِن الله عز وَجل حرم على الأَرْض أَن تَأْكُل أجساد الْأَنْبِيَاء
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَصَححهُ
তাহকীক: