আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩১৭ টি

হাদীস নং: ২৫৫৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৫৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বান্দা যখন বলে, হে আমার রব! হে আমার প্রতিপালক! হে আমার পরোয়ারদিগার! আল্লাহ তখন বলেনঃ হে আমার বান্দা! আমি হাযির। তুমি প্রার্থনা কর। তোমার প্রার্থনা পূর্ণ করা হবে।
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া এভাবে মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন আবার হযরত আনাস (রা) থেকে মাওকূফ হাদীস হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।
হাকিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ হযরত আবুদ-দরদা ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তাঁরা বলেছেনঃ আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম নাম হচ্ছে রাব্বী, রাব্বী। অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক! হে আমার পরোয়ারদিগার!
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2555 - وَرُوِيَ عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا قَالَ العَبْد يَا رب يَا رب يَا رب
قَالَ الله لبيْك عَبدِي سل تعط
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا مَرْفُوعا هَكَذَا وموقوفا على أنس

وروى الْحَاكِم وَغَيره عَن أبي الدَّرْدَاء وَابْن عَبَّاس أَنَّهُمَا قَالَا اسْم الله الْأَكْبَر رب رب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সিজদা অবস্থায়, নামাযের পর ও রাতের শেষ প্রহরে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান
২৫৫৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ বান্দা সে মুহূর্তটিতে মহান আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয় যখন সে সিজদারত থাকে। অতএব তোমরা তখন অধিক পরিমাণে দু'আ কর।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء فِي السُّجُود ودبر الصَّلَوَات وجوف اللَّيْل الْأَخير
2556- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أقرب مَا يكون العَبْد من ربه عز وَجل وَهُوَ ساجد فَأَكْثرُوا الدُّعَاء

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সিজদা অবস্থায়, নামাযের পর ও রাতের শেষ প্রহরে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান
২৫৫৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাত্রের তৃতীয় প্রহরে এই নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন। কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি যার আহ্বানে সাড়া দিব? কে আমার কাছে প্রার্থনা করবে যে, আমি যাকে দান করব? কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি যাকে ক্ষমা করে দিব?
(হাদীসটি মালিক, বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।
মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ রাতের অর্ধেক অথবা দুই-তৃতীয়াংশ যখন কেটে যায়, তখন মহান আল্লাহ পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেনঃ কোন যাচ্ঞাকারী আছে কি, যাকে দান করা হবে? কোন দু'আকারী আছে কি, যার দু'আ কবুল করা হবে, কোন মার্জনা প্রার্থনাকারী আছে কি যাকে মার্জনা করে দেয়া হবে? এ আহ্বান সুবহে সাদিক বা ফজর পর্যন্ত চলতে থাকে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء فِي السُّجُود ودبر الصَّلَوَات وجوف اللَّيْل الْأَخير
2557- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ينزل رَبنَا كل لَيْلَة إِلَى سَمَاء الدُّنْيَا حِين يبْقى ثلث اللَّيْل الآخر فَيَقُول من يدعوني فأستجيب لَهُ من يسألني فَأعْطِيه من يستغفرني فَأغْفِر لَهُ

رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَغَيرهم

وَفِي رِوَايَة لمُسلم إِذا مضى شطر اللَّيْل أَو ثُلُثَاهُ ينزل الله تبَارك وَتَعَالَى إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا فَيَقُول هَل من سَائل فَيعْطى هَل من دَاع فيستجاب لَهُ هَل من مُسْتَغْفِر يغْفر لَهُ حَتَّى ينفجر الصُّبْح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সিজদা অবস্থায়, নামাযের পর ও রাতের শেষ প্রহরে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান
২৫৫৮. হযরত আমর ইবন আবাসা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেনঃ রাতের মধ্য প্রহরে বান্দা আল্লাহর সর্বাধিক নৈকট্যলাভে ধন্য হয়। অতএব এই মুহূর্তটিতে তুমি যদি আল্লাহর স্বরণকারীদের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পার, তবে থাক।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তিরমিযীর। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি। হাসান-সহীহ। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء فِي السُّجُود ودبر الصَّلَوَات وجوف اللَّيْل الْأَخير
2558- وَعَن عَمْرو بن عبسة رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول أقرب مَا يكون العَبْد من الرب فِي جَوف اللَّيْل فَإِن اسْتَطَعْت أَن تكون مِمَّن يذكر الله فِي تِلْكَ السَّاعَة فَكُن

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সিজদা অবস্থায়, নামাযের পর ও রাতের শেষ প্রহরে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান
২৫৫৯. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। কোন দু'আটি দেশি কবুল হয়? তিনি বললেনঃ বাতের শেষ প্রহরের দু'আ ও ফরয নামাযের পরের দু'আ।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি হাসান।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء فِي السُّجُود ودبر الصَّلَوَات وجوف اللَّيْل الْأَخير
2559- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قيل يَا رَسُول الله أَي الدُّعَاء أسمع قَالَ جَوف اللَّيْل الْأَخير ودبر الصَّلَوَات المكتوبات

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির একথা বলা যে, অনেক দু'আ করেছি; কিন্তু কবুল হয়নি, এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী
২৫৬০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের সবার দু'আ কবুল করা হয় যাবৎ না সে তাড়াতাড়ি ফল লাভের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ সে এমন বলতে থাকে। দু'আ তো অনেক করেছি; কিন্তু কবুল হয়নি।।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। মুসলিম ও তিরমিযীর অপর এক বর্ণনায় রয়েছে। বান্দার দু'আ কবুল করা হতে থাকে, যাবৎ না সে কোন পাপ ও আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদের দু'আ করে এবং তাড়াহুড়া না করে। প্রশ্ন করা হ'ল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। তাড়াহুড়া করার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ কেউ এমন বলতে শুরু করে; অনেক দু'আ করেছি, অনেক দু'আ করেছি; কিন্তু কবুল হওয়ার লক্ষণ দেখি না। এ বলে সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং দু'আ করা ছেড়ে দেয়।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من استبطاء الْإِجَابَة وَقَوله دَعَوْت فَلم يستجب لي
2560- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يُسْتَجَاب لاحدكم مَا لم يعجل يَقُول دَعَوْت فَلم يستجب لي

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

وَفِي رِوَايَة لمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ لَا يزَال يُسْتَجَاب للْعَبد مَا لم يدع بإثم أَو قطيعة رحم مَا لم يستعجل
قيل يَا رَسُول الله مَا الاستعجال قَالَ يَقُول قد دَعَوْت وَقد دَعَوْت فَلم أر يستجب لي فيستحسر عِنْد ذَلِك ويدع الدُّعَاء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির একথা বলা যে, অনেক দু'আ করেছি; কিন্তু কবুল হয়নি, এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী
২৫৬১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ বান্দা সর্বদা কল্যাণ লাভ করতে থাকে, যে পর্যন্ত না যে তাড়াহুড়া করে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর নবী। তাড়াহুড়াটা কিভাবে করে? তিনি বললেন। সে বলতে শুরু করে। আমি আমার প্রভুকে অনেক ডেকেছি; কিন্তু তিনি আমার দু'আ কবুল করলেন না।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। আবু ইয়ালাও এটি বর্ণনা করেছেন। আবু হিলাল রাসিবী ব্যতীত এর সকল বর্ণনাকারীই সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من استبطاء الْإِجَابَة وَقَوله دَعَوْت فَلم يستجب لي
2561- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يزَال العَبْد بِخَير مَا لم يستعجل
قَالُوا يَا نَبِي الله وَكَيف يستعجل قَالَ يَقُول قد دَعَوْت رَبِّي فَلم يستجب لي

رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو يعلى ورواتها مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح إِلَّا أَبَا هِلَال الرَّاسِبِي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ নামাযে আকাশের দিকে মাথা উঁচিয়ে এবং অন্যমনস্কভাবে দু'আ করার ব্যাপারে সতর্কবাণী
২৫৬২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষ যেন সালাতে রত অবস্থায় দু'আ করার সময় আকাশের দিকে চোখ উঠানো থেকে বিরত থাকে। পাছে আল্লাহ তাদের চোখগুলো কেড়ে না নেন।
(হাদীসটি মুসলিম ও নাসাঈ প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من رفع الْمُصَلِّي رَأسه إِلَى السَّمَاء وَقت الدُّعَاء وَأَن يَدْعُو الْإِنْسَان وَهُوَ غافل
2562- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لينتهين أَقوام عَن رفعهم
أَبْصَارهم عِنْد الدُّعَاء فِي الصَّلَاة إِلَى السَّمَاء أَو ليخطفن الله أَبْصَارهم

رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَغَيرهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ নামাযে আকাশের দিকে মাথা উঁচিয়ে এবং অন্যমনস্কভাবে দু'আ করার ব্যাপারে সতর্কবাণী
২৫৬৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষের অন্তরসমূহ। পাত্রের মত। এর কতিপয় অন্য কতক থেকে অধিক সংরক্ষণকারী হয়ে থাকে। হে লোক সকল! তোমরা যখন মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর, তখন তা কবুলের বিশ্বাস নিয়ে দু'আ কর। কেননা আল্লাহ ঐ বান্দার দু'আ কবুল করেন না, যে আল্লাহকে ভাসাভাসাভাবে ও অন্যমনষ্ক অন্তর নিয়ে ডাকে।
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من رفع الْمُصَلِّي رَأسه إِلَى السَّمَاء وَقت الدُّعَاء وَأَن يَدْعُو الْإِنْسَان وَهُوَ غافل
2563- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْقُلُوب أوعية وَبَعضهَا أوعى من بعض فَإِذا سَأَلْتُم الله عز وَجل يَا أَيهَا النَّاس فَاسْأَلُوهُ وَأَنْتُم موقنون بالإجابة فَإِن الله لَا يستجيب لعبد دَعَاهُ عَن ظهر قلب غافل

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ নামাযে আকাশের দিকে মাথা উঁচিয়ে এবং অন্যমনস্কভাবে দু'আ করার ব্যাপারে সতর্কবাণী
২৫৬৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ তোমরা কবুলের বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহকে ডাকবে। মনে রেখো। আল্লাহ্ উদাসীন ও অন্যমনষ্ক অন্তরের কোন দু'আ কবুল করেন না।
(হাদীসটি তিরমিযী ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেছেনঃ হাদীসটি প্রমাণিত। সালিহ মুররী এটি একা বর্ণনা করেন, তিনি বসরার সাধকদের অন্যতম। [হাফিয বলেনঃ সালিহ মুররীর সাধক হওয়ার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। তবে আবু দাউদ ও নাসাঈ তাঁর হাদীস গ্রহণ করেননি।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من رفع الْمُصَلِّي رَأسه إِلَى السَّمَاء وَقت الدُّعَاء وَأَن يَدْعُو الْإِنْسَان وَهُوَ غافل
2564- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ادعوا الله وَأَنْتُم موقنون بالإجابة وَاعْلَمُوا أَن الله لَا يستجيب دُعَاء من قلب غافل لاه

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ مُسْتَقِيم الْإِسْنَاد تفرد بِهِ صَالح المري وَهُوَ أحد زهاد الْبَصْرَة
قَالَ الْحَافِظ صَالح المري لَا شكّ فِي زهده لَكِن تَركه أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মানুষের নিজের প্রতি, সন্তানের প্রতি, সেবক-পরিচারক ও সম্পদের প্রতি বদ-দু'আ করার
ব্যাপারে সতর্কবাণী
২৫৬৫. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা নিজেদের প্রতি বদ-দু'আ করো না, তোমাদের সন্তানদের প্রতি বদ-দু'আ করো না, তোমাদের চাকর-নফরদের প্রতি বদ-দু'আ করো না এবং তোমাদের ধন-সম্পদের প্রতি বদ-দু'আ করো না। এমন যেন না হয় যে, দু'আ কবুলের মুহূর্তে আল্লাহর নিকট কিছু বলে ফেলবে আর তিনি কবুল করে ফেলবেন।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من دُعَاء الْإِنْسَان على نَفسه وَولده وخادمه وَمَاله
2565 - عَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تدعوا على أَنفسكُم وَلَا تدعوا على أَوْلَادكُم وَلَا تدعوا على خدمكم وَلَا تدعوا على أَمْوَالكُم لَا توافقوا من الله سَاعَة يسْأَل فِيهَا عَطاء فيستجيب لكم
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَغَيرهم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মানুষের নিজের প্রতি, সন্তানের প্রতি, সেবক-পরিচারক ও সম্পদের প্রতি বদ-দু'আ করার
ব্যাপারে সতর্কবাণী
২৫৬৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তিনটি দু'আ এমন যে, এগুলোর কবুলের মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। মযলুমের দু'আ, মুসাফির ব্যক্তির দু'আ এবং পুত্রের উপর পিতার বদ-দু'আ।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من دُعَاء الْإِنْسَان على نَفسه وَولده وخادمه وَمَاله
2566- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاث دعوات لَا شكّ فِي إجابتهن دَعْوَة الْمَظْلُوم ودعوة الْمُسَافِر ودعوة الْوَالِد على وَلَده

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মানুষের নিজের প্রতি, সন্তানের প্রতি, সেবক-পরিচারক ও সম্পদের প্রতি বদ-দু'আ করার
ব্যাপারে সতর্কবাণী
২৫৬৭. ইবন মাজাহ উম্মে হাকীম সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ পুত্রের বেলায় পিতার দু'আ পর্দা ভেদ করে যায়।
"কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু'আ করা" শিরোনামে সামনে এমন কিছু হাদীস আসবে যেখানে পিতার দু'আর প্রসঙ্গটিও এসেছে।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من دُعَاء الْإِنْسَان على نَفسه وَولده وخادمه وَمَاله
2567- وروى ابْن ماجة عَن أم حَكِيم عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ دُعَاء الْوَالِد يُفْضِي إِلَى الْحجاب وَيَأْتِي فِي بَاب دُعَاء الْمَرْء لِأَخِيهِ بِظهْر الْغَيْب أَحَادِيث فِيهَا ذكر دُعَاء الْوَالِد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৬৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তার প্রতি দশটি রহমত বর্ষন করেন।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীর অপর এক ভাষ্যে রয়েছে। যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য দশটি পূণ্য লিখেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2568- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صلى عَليّ صَلَاة وَاحِدَة صلى الله عَلَيْهِ عشرا

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه

وَفِي بعض أَلْفَاظ التِّرْمِذِيّ من صلى عَليّ مرّة وَاحِدَة كتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৬৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৬৯. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির সামনে আমার আলোচনা আসল, সে যেন আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি দশটি রহমত বর্ষণ করবেন।
অপর বর্ণনায়ঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তার প্রতি দশটি রহমত বর্ষণ করবেন, আর দশটি গুনাহ মুছে ফেলবেন এবং এর বিনিময়ে তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন।
(হাদীসটি আহমদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা নাসাঈর। ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন এবং তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দিবেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2569- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ذكرت عِنْده فَليصل عَليّ وَمن صلى عَليّ مرّة صلى الله عَلَيْهِ بهَا عشرا

وَفِي رِوَايَة من صلى عَليّ صَلَاة وَاحِدَة صلى الله عَلَيْهِ عشر صلوَات ويحط عَنهُ بهَا عشر سيئات وَرَفعه بهَا عشر دَرَجَات

رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى عَليّ وَاحِدَة صلى الله عَلَيْهِ عشر صلوَات وَحط عَنهُ عشر خطيئات
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭০. তাবারানী তাঁর 'সগীর' ও 'আওসাতে' এ হাদীসটি নিমোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ
রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি দশটি রহমত বর্ষণ করবেন। যে ব্যক্তি আমার প্রতি দশবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি একশটি রহমত বর্ষণ করবেন। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি একশবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তার ললাটে নিফাক থেকে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির সনদ লিখে দিবেন এবং তাকে কিয়ামতের দিন শহীদদের সাথে স্থান দিবেন।
এ হাদীসটির সনদে ইবরাহীম ইবন সালিম ইবন শিবল হুজাঈ নামক একজন রাবী রয়েছেন, যার নির্ভরযোগ্যতা-অনির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে আমি অবগত নই।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2570- وَالطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى عَليّ صَلَاة وَاحِدَة صلى الله عَلَيْهِ عشرا وَمن صلى عَليّ عشرا صلى الله عَلَيْهِ مائَة وَمن صلى عَليّ مائَة كتب الله بَين عَيْنَيْهِ بَرَاءَة من النِّفَاق وَبَرَاءَة من النَّار وَأَسْكَنَهُ الله يَوْم الْقِيَامَة مَعَ الشُّهَدَاء

وَفِي إِسْنَاده إِبْرَاهِيم بن سَالم بن شبْل الهجعي لَا أعرفهُ بِجرح وَلَا عَدَالَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭১. হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘর থেকে বের হলেন। আমি তাঁকে অনুসরণ করলাম। তিনি এক বাগানে ঢুকলেন এবং সিজদা করলেন। তিনি সিজদাটি এত দীর্ঘ করলেন যে, আমি ভয় পেয়ে গেলাম অথবা আশংকা করলাম যে, আল্লাহ্ হয়তো তাঁকে মৃত্যু দিয়ে ফেলেছেন অথবা বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন। আবদুর রহমান বলেনঃ আমি তাঁকে দেখতে আসলাম। তিনি তখন মাথা উঠালেন এবং বললেনঃ হে আবদুর রহমান। তোমার কি হয়েছে? আবদুর রহমান বলেনঃ আমি ব্যাপারটি খুলে বললাম। তিনি তখন বললেনঃ জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এসে আমাকে বললেনঃ আমি কি আপনাকে সুসংবাদ দিব না যে, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আপনার প্রতি দরূদ পাঠ করবে, আমি তার প্রতি রহমত নাযিল করব, আর যে ব্যক্তি আপনাকে সালাম দিবে, আমি তাকে সালাম দিব।
অপর এক বর্ণনায় একথাটিও রয়েছেঃ অতএব, আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে আমি সিজদা করেছি।
(হাদীসটি আহমদ ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2571- وَعَن عبد الرَّحْمَن بن عَوْف رَضِي الله عَنهُ قَالَ خرج رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فاتبعته حَتَّى دخل نخلا فَسجدَ فَأطَال السُّجُود حَتَّى خفت أَو خشيت أَن يكون الله قد توفاه أَو قَبضه
قَالَ فَجئْت أنظر فَرفع رَأسه فَقَالَ مَا لَك يَا عبد الرَّحْمَن قَالَ فَذكرت ذَلِك لَهُ
قَالَ فَقَالَ إِن جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ لي أَلا أُبَشِّرك أَن الله عز وَجل يَقُول من صلى عَلَيْك صليت عَلَيْهِ وَمن سلم عَلَيْك سلمت عَلَيْهِ

زَاد فِي رِوَايَة فسجدت لله شكرا

رَوَاهُ أَحْمد وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭২. এ হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া ও আবু ইয়ালা নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ
আবদুর রহমান ইবন আউফ বলেনঃ আমাদের পাঁচজন অথবা চারজন সাহাবী সর্বদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দৈনন্দিন প্রয়োজনে রাত্রদিন তাঁর সাথে থাকতেন। রাবী বলেন, একদিন আমি এমন সময়ে তাঁর নিকট আসলাম যখন তিনি ঘর থেকে বের হলেন। আমি তাঁর পশ্চাৎ অনুসরণ করলাম। তিনি উঁচু এলাকার এক বাগানে প্রবেশ করলেন এবং সালাতে রত হলেন। তিনি সিজদা করলেন এবং সিজদাটি খুবই দীর্ঘ করলেন। এদিকে আমি কাঁদতে লাগলাম এবং বললাম, আল্লাহ তাঁর রূহ কবয করে ফেলেছেন। রাবী বলেন, একটু পর তিনি মাথা উঠালেন এবং আমাকে ডাকলেন। তিনি বললেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনি এত দীর্ঘ সিজদা করলেন আর এদিকে আমি বলতে লাগলামঃ আল্লাহ তাঁর রাসূলের রহ কবয করে নিয়েছেন, আমি আর কখনও তাঁকে দেখতে পাব না। তিনি বললেন, আমি আমার প্রতিপালকের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সিজদা করেছি। তিনি আমার উম্মতের উপর এই অনুগ্রহ করেছেন যে, আমার উম্মতের যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য দশটি নেকী লিখবেন ও তার দশটি গুনাহ মুছে দিবেন। এ হচ্ছে আবূ ইয়ালার শব্দমালা। আর ইবন আবুদ-দুনিয়া বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি দশটি রহমত বর্ষণ করবেন। এ দু'টি বর্ণনায় মুসা ইবন আবীদাহ রাবাযী নামক একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2572- وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَأَبُو يعلى وَلَفظه قَالَ كَانَ لَا يُفَارق رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم منا خَمْسَة أَو أَرْبَعَة من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لما ينوبه من حَوَائِجه بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار
قَالَ فَجِئْته وَقد خرج فاتبعته فَدخل حَائِطا من حيطان الْأَشْرَاف فصلى فَسجدَ فَأطَال السُّجُود فَبَكَيْت وَقلت قبض الله روحه قَالَ فَرفع رَأسه فدعاني فَقَالَ مَا لَك فَقلت يَا رَسُول الله أطلت السُّجُود وَقلت قبض الله روح رَسُوله لَا أرَاهُ أبدا
قَالَ سجدت شكرا لرَبي فِيمَا أبلاني فِي أمتِي من صلى عَليّ صَلَاة من أمتِي كتب الله لَهُ عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات
لفظ أبي يعلى وَقَالَ ابْن أبي الدُّنْيَا من صلى عَليّ صَلَاة صلى الله عَلَيْهِ عشرا
وَفِي إسنادهما مُوسَى بن عُبَيْدَة الربذي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৩. হযরত বারা ইবন 'আযিব (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য দশটি নেকী লিখবেন। তার দশটি গুনাহ মুছে দিবেন এবং এর বিনিময়ে তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন। আর এগুলো দশটি দাস-মুক্তির পুণ্যের সমান হবে।
(হাদীসটি ইবন আবু আসিম 'সালাত' অধ্যায়ে হযরত বারা ইবন আযিব (রা)-এর একজন আযাদকৃত গোলামের বরাতে বারা থেকে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি গোলামটির নাম বলেননি।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2573- وَعَن الْبَراء بن عَازِب رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صلى عَليّ مرّة كتب الله لَهُ عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرَفعه بهَا عشر دَرَجَات وَكن لَهُ عدل عشر رِقَاب

رَوَاهُ ابْن أبي عَاصِم فِي كتاب الصَّلَاة عَن مولى للبراء لم يسمه عَنهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৭৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৪. হযরত আবু বুরদা ইবন নিয়ার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উম্মতের যে কেউ খাঁটি অন্তরে আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন, এরদ্বারা তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন, দশটি পূণ্য লিখে দিবেন এবং তার দশটি গুনাহ মোচন করবেন।
(হাদীসটি নাসাঈ, তাবারানী এবং বাযযার বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2574- وَعَن أبي بردة بن نيار رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى عَليّ من أمتِي صَلَاة مخلصا من قلبه صلى الله عَلَيْهِ بهَا عشر صلوَات وَرَفعه بهَا عشر دَرَجَات وَكتب لَهُ بهَا عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ بهَا عشر سيئات

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالطَّبَرَانِيّ وَالْبَزَّار
tahqiq

তাহকীক: