আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩১৭ টি

হাদীস নং: ২৫৩৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৩৫. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যার জন্য দু'আর দ্বার খুলে দেয়া হয়েছে, তার জন্য রহমতের অনেক দ্বার খুলে দেয়া হয়েছে। আর সুস্থতার চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় কোন বস্তুর প্রার্থনা করা হয় না। ইবন উমর (রা) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরও বলেছেনঃ নিশ্চয়ই দু'আ আগত বিপদের ক্ষেত্রেও উপকারী এবং অনাগত বিপদের ক্ষেত্রেও উপকারী। অতএব হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা দু'আকে আঁকড়ে থাক।
(হাদীসটি তিরমিযী ও হাকিম আবদুর রহমান ইবন আবূ বকর মুলায়কী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি হলেন খুবই দুর্বল রাবী। আবদুর রহমান ইবন আবু বকর এটি মূসা ইবন উকবা থেকে, মূসা ইবন উকবা নাফি থেকে এবং নাফি ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। হাকিম বলেন, এর সনদটি সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2535- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من فتح لَهُ مِنْكُم بَاب الدُّعَاء فتحت لَهُ أَبْوَاب الرَّحْمَة وَمَا سُئِلَ الله شَيْئا يَعْنِي أحب إِلَيْهِ من أَن يسْأَل الْعَافِيَة
وَقَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الدُّعَاء ينفع مِمَّا نزل وَمِمَّا لم ينزل فَعَلَيْكُم عباد الله بِالدُّعَاءِ

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم كِلَاهُمَا من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن أبي بكر الْمليكِي وَهُوَ ذَاهِب الحَدِيث عَن مُوسَى بن عقبَة عَن نَافِع عَنهُ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৩৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৩৬. হযরত সালমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অত্যন্ত লজ্জাশীল, বদান্যশীল। যখন কোন ব্যক্তি তাঁর দরবারে হাত পাতে, তখন তিনি শূন্য হাতে ও বঞ্চনাগ্রস্থ অবস্থায় তাকে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। ইবন মাজাহ এবং ইবন হিফধানও এটি তার 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2536- وَعَن سلمَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله حييّ كريم يستحيي إِذا رفع الرجل إِلَيْهِ يَدَيْهِ أَن يردهما صفرا خائبتين

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৩৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৩৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ অত্যন্ত দয়াশীল ও অনুগ্রহশীল। তাঁর কোন বান্দা যখন তাঁর দরবারে হাত উঠায়, তখন তিনি এতে কোন কল্যাণ না ঢেলে শূন্য ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এর সনদ সহীহ। কিন্তু এতে আপত্তি রয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2537- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله رَحِيم كريم يستحيي من عَبده أَن يرفع إِلَيْهِ يَدَيْهِ ثمَّ لَا يضع فيهمَا خيرا

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَفِي ذَلِك نظر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৩৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৩৮. হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন প্রকার অভাবের শিকার হয়ে মানুষের কাছে তা উত্থাপন করণ, তার অভাব কখনও মোচন করা হবে না। আর যে অভাবের শিকার হয়ে তা আল্লাহর কাছে পেশ করল, আল্লাহ তাকে সত্বর অথবা বিলম্বে রিয্‌ক দিয়ে সাহায্য করবেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ, তিরমিযী ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ ও সুপ্রমাণিত।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2538- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من نزلت بِهِ فاقة فأنزلها بِالنَّاسِ لم تسد فاقته وَمن نزلت بِهِ فاقة فأنزلها بِاللَّه فيوشك الله لَهُ برزق عَاجل أَو آجل

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَصَححهُ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح ثَابت
হাদীস নং: ২৫৩৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৩৯. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দু'আ ব্যতীত অন্য কিছু তাকদীরকে রদ করতে পারে না, সদাচার ছাড়া অন্য কিছু আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে না, আর মানুষ নিজের পাপাচার দ্বারা রিয্‌ক থেকে বঞ্চিত হয়।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। হাকিম বলেন, এর সনদটি সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2539- وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يرد الْقدر إِلَّا الدُّعَاء وَلَا يزِيد فِي الْعُمر إِلَّا الْبر وَإِن الرجل ليحرم الرزق بالذنب يذنبه

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৪০. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সতর্কতা তাকদীরের লিখন খণ্ডাতে পারে না আর দু'আ আগত ও অনাগত বিপদের ক্ষেত্রে উপকারী হয়। (অনেক সময় এমন হয় যে,) বিপদ আসতে থাকে আর পথিমধ্যে দু'আর সাথে তার সাক্ষাত হয়। তখন কিয়ামত পর্যন্ত এ দু'য়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে।
(হাদীসটি বাযযার, তাবারানী ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2540- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يُغني حذر من قدر وَالدُّعَاء ينفع مِمَّا نزل وَمِمَّا لم ينزل وَإِن الْبلَاء لينزل فيلقاه الدُّعَاء فيعتلجان إِلَى يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৪১. হযরত সালমান ফারসী (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তাকদীরকে দু'আ ছাড়া অন্য কিছু রদ করতে পারে না। আর সদাচার ছাড়া অন্য কিছু আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে না।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি হাসান-গরীব হাদীস।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2541- وَعَن سلمَان الْفَارِسِي رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يرد الْقَضَاء إِلَّا الدُّعَاء وَلَا يزِيد فِي الْعُمر إِلَّا الْبر

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৪২. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট তাঁর করুণা প্রার্থনা কর। কেননা আল্লাহ তাঁর নিকট প্রার্থনা করাকে পসন্দ করেন। আর সর্বোত্তম ইবাদত হল স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক্ষা করা।
(হাদীসটি তিরমিযী ও ইবন আবুদ-দুনিয়া বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাম্মাদ ইব্‌ন ওয়াকিদ এভাবেই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাম্মাদ ইবন ওয়াকিদ তেমন সংরক্ষণকারী নন। এ হাদীসটি আবূ নুআয়ম ইসরাঈল থেকে, তিনি হাকীম ইবন জুবায়র থেকে এবং তিনি জনৈক সাহাবী সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত আবূ নু'আয়ম-এর বর্ণনাটি অধিক বিশুদ্ধ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2542- وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سلوا الله من فَضله فَإِن الله يحب أَن يسْأَل وَأفضل الْعِبَادَة انْتِظَار الْفرج

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن أبي الدُّنْيَا وَقَالَ التِّرْمِذِيّ هَكَذَا روى حَمَّاد بن وَاقد هَذَا الحَدِيث وَحَمَّاد بن وَاقد لَيْسَ بِالْحَافِظِ وروى أَبُو نعيم هَذَا الحَدِيث عَن إِسْرَائِيل عَن حَكِيم بن جُبَير عَن رجل عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَحَدِيث أبي نعيم أشبه أَن يكون أصح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৪৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ দু'আ হচ্ছে ইবাদতের সার নির্যাস।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃঃ হাদীসটি গরীব।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2543- وَرُوِيَ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الدُّعَاء مخ الْعِبَادَة

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বহুল পরিমাণে দু'আ করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৫৪৪. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের সন্ধান দিব না, যা তোমাদেরকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করবে এবং তোমাদের রিয্‌ক-এর প্রাচুর্য এনে দেবে? তোমরা তোমাদের দিনে ও রাতে আল্লাহকে ডাকবে। কেননা দু'আই হল মুমিনের অস্ত্র স্বরূপ।
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الدُّعَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله
2544- رُوِيَ عَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أدلكم على مَا ينجيكم من عَدوكُمْ ويدر لكم أرزاقكم تدعون الله فِي ليلكم ونهاركم فَإِن الدُّعَاء سلَاح الْمُؤمن

رَوَاهُ أَبُو يعلى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৪৫. হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন বুরায়দা সূত্রে তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেনঃ "হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এই সুবাদে যে, আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ্, তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তুমি অমুখাপেক্ষী, তুমি ঐ সত্তা, যে কাউকে জন্ম দেয়নি এবং কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেনি এবং তার কোন সমকক্ষ নেই।" তিনি বললেন, তুমি আল্লাহকে 'ইসমে আযম' দিয়ে ডাকছ যে, এ নামে প্রার্থনা করা হলে তিনি দান করেন এবং দু'আ করা হলে তা তিনি কবুল করেন।
(হাদীসটি আবূ দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেও মন্তব্য করেছেন। ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি বলেছেনঃ তুমি আল্লাহকে ইসমে আযম দ্বারা ডেকেছ। হাকিম বলেছেনঃ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ। (সংকলক বলেন)ঃ আমাদের উস্তাদ হাফিয আবুল হাসান মাকদাসী বলেছেনঃ এই সনদে কোন দোষ নেই এবং এ বিষয়ে এর চেয়ে কোন উত্তম হাদীস নেই'।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2545- عَن عبد الله بن بُرَيْدَة عَن أَبِيه رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سمع رجلا يَقُول اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بِأَنِّي أشهد أَنَّك أَنْت الله لَا إِلَه إِلَّا أَنْت الْأَحَد الصَّمد الَّذِي لم يلد وَلم يُولد وَلم يكن لَهُ كفوا أحد فَقَالَ لقد سَأَلت الله بِالِاسْمِ الْأَعْظَم الَّذِي إِذا سُئِلَ بِهِ أعْطى وَإِذا دعِي بِهِ أجَاب

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ لقد سَأَلت الله باسمه الْأَعْظَم
وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
قَالَ المملي قَالَ شَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن الْمَقْدِسِي وَإِسْنَاده لَا مطْعن فِيهِ وَلم يرد فِي هَذَا الْبَاب حَدِيث أَجود إِسْنَادًا مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৪৬. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জনৈক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন। ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম। "হে পরাক্রমশালী ও মহাসম্মানের অধিকারী।” তিনি বললেন, তোমার দু'আ কবুল করা হবে, অতএব, তুমি প্রার্থনা কর।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2546 - وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رجلا وَهُوَ يَقُول يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام فَقَالَ قد اسْتُجِيبَ لَك فسل

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৪৭. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফিরিশতা নির্দিষ্ট রয়েছেন। কোন ব্যক্তি যখন, "ইয়া আরহামার রাহিমীন" কথাটি-তিনবার বলে, তখন ফিরিশতা বলতে থাকেন। আরহামার রাহিমীন তোমার প্রতি করুণার দৃষ্টি দিয়েছেন, অতএব তুমি প্রার্থনা কর।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2547 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن لله ملكا موكلا بِمن يَقُول يَا أرْحم الرَّاحِمِينَ فَمن قَالَهَا ثَلَاثًا قَالَ الْملك إِن أرْحم الرَّاحِمِينَ قد أقبل عَلَيْك فسل

رَوَاهُ الْحَاكِم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৪৮. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন নবী করীম (ﷺ) আবূ আয়্যাশ যায়দ ইবন সামিত যুরাকীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন। আবু আয়‍্যাশ তখন সালাতরত ছিলেন এবং তিনি বলছিলেনঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এইজন্য যে, সকল প্রশংসা তোমারই এবং তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। হে দয়াময় ও করুণাময়, হে আকাশ ও যমীনসমূহের সৃষ্টিকারী, হে পরাক্রমশালী মহা সম্মানের অধিকারী। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শুনে বললেনঃ তুমি, আল্লাহকে তাঁর ঐ মহান নাম নিয়ে ডেকেছ যে নামে ডাকা হলে তিনি সাড়া দেন এবং কোন কিছু প্রার্থনা করা হলে তিনি প্রদান করেন।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ, নাসাঈ ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেন। তাঁরা চারজনই "ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়ুম-হে চিরঞ্জীব ও সব কিছুর ধারক" কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেন। হাকিম বলেছেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ। হাকিম তাঁর অপর এক বর্ণনায়, "আমি তোমার নিকট জান্নাত চাই ও জাহান্নাম থেকে পানাহ্ চাই" কথাটিও উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2548- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ مر النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِأبي عَيَّاش زيد بن الصَّامِت الزرقي وَهُوَ يُصَلِّي وَهُوَ يَقُول اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بِأَن لَك الْحَمد لَا إِلَه إِلَّا أَنْت يَا حنان يَا منان يَا بديع السَّمَوَات وَالْأَرْض يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لقد سَأَلت الله باسمه الْأَعْظَم الَّذِي إِذا دعِي بِهِ أجَاب وَإِذا سُئِلَ بِهِ أعْطى

رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه

وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَزَاد هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَة يَا حَيّ يَا قيوم وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم وَزَاد الْحَاكِم فِي رِوَايَة لَهُ أَسأَلك الْجنَّة وَأَعُوذ بك من النَّار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৪৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৪৯. সাররী ইবন ইয়াহইয়া সূত্রে বনু তায় গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমি মহান আল্লাহর নিকট আমাকে ঐ নামটি দেখানোর জন্য প্রার্থনা করতাম, যে নামে দু'আ করা হলে তিনি কবুল করেন। তারপর আমি আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জে লিখা দেখতামঃ "ইয়া বাদীউস সামাওয়াতি ওয়াল-আবদ ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম।"
(হাদীসটি আবু আলী বর্ণনা করেছেন। এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2549- وَعَن السّري بن يحيى رَضِي الله عَنهُ عَن رجل من طيىء وَأثْنى عَلَيْهِ خيرا قَالَ كنت أسأَل الله عز وَجل أَن يريني الِاسْم الَّذِي إِذا دعِي بِهِ أجَاب فَرَأَيْت مَكْتُوبًا فِي الْكَوَاكِب فِي السَّمَاء يَا بديع السَّمَوَات وَالْأَرْض يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام

رَوَاهُ أَبُو عَليّ وَرُوَاته ثِقَات
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৫০. হযরত মু'আবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এই পাঁচটি বাক্য দ্বারা দু'আ করবে। সে আল্লাহর কাছে যা চাইবে তা-ই পাবেঃ "আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। নিখিল রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসাও তাঁরই এবং তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং তাঁর সাহায্য ছাড়া সৎকর্ম সম্পাদন ও মন্দ থেকে বেঁচে থাকার কোন সাধ্য নেই।"
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাতে' উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2550- وَعَن مُعَاوِيَة بن أبي سُفْيَان رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من دَعَا بهؤلاء الْكَلِمَات الْخمس لم يسْأَل الله شَيْئا إِلَّا أعطَاهُ لَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير لَا إِلَه إِلَّا الله وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৫১. হযরত আসমা বিনত ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর মহান নামাটি (ইসমে আযম) এ দু' আয়াতের মধ্যে রয়েছেঃ وَإِلهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ এবং সূরা আলে-ইমরানের প্রথম অংশঃ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
(হাদীসটি আবূ দাউদ, তিরমিযী এবং ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান-গরীব।)
[শ্রুতি লিখিয়ে আবদুল আযীম বলেন)ঃ পূর্বোক্ত হাদীসটি সবাই উবায়দুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ কাদ্‌দাহ সূত্রে শাহর ইবন হাওশাব-এর মাধ্যমে আসমা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। উবায়দুল্লাহ এবং শাহর ইবন হাওশাব প্রসঙ্গে আলোচনা সামনে আসবে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2551- وَعَن أَسمَاء بنت يزِيد رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اسْم الله الْأَعْظَم فِي هَاتين الْآيَتَيْنِ وإلهكم إِلَه وَاحِد لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الرَّحْمَن الرَّحِيم الْبَقَرَة 361 وفاتحة سُورَة آل عمرَان الله لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم آل عمرَان 2

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
قَالَ المملي عبد الْعَظِيم رَوَوْهُ كلهم عَن عبيد الله بن أبي زِيَاد القداح عَن شهر بن حَوْشَب عَن أَسمَاء وَيَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৫২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) কে এ দু'আটি পাঠ করতে শুনলাম, "হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট তোমার ঐ পবিত্র, পূত বরকতময় ও সর্বাধিক প্রিয় নামটির ওসীলায় প্রার্থনা করছি, যে নামে তোমাকে ডাকা হলে তুমি সাড়া দাও, প্রার্থনা করা হলে তুমি দান কর, দয়া ভিক্ষা করা হলে তুমি দয়া কর এবং বিপদ থেকে পরিত্রাণ চাওয়া হলে তুমি বিপদমুক্ত কর। একদিন তিনি বললেন, হে আয়েশা। তুমি কি জান যে, আল্লাহ আমাকে ঐ নামটি বলে দিয়েছেন, যে নামে তাঁকে ডাকা হলে তিনি সাড়া দেন? আয়েশা বলেন। আমি বললাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোন। আমাকে তা শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, এটি তোমার জন্য উচিত নয়। আয়েশা বলেন, আমি একটু দূরে সরে গেলাম এবং কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। তারপর দাঁড়িয়ে তাঁর মাথায় চুমু খেলাম এবং তাঁকে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্। আমাকে এটি শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, হে আয়েশা। তোমাকে এটি শিক্ষা দেয়া আমার জন্য উচিত নয়। এরদ্বারা তুমি দুনিয়ার কিছু প্রার্থনা করবে, এটি উচিত হবে না। আয়েশা বলেন, আমি উঠে দাঁড়ালাম এবং উযু করে দু'রাকা'আত সালাত আদায় করলাম। তারপর আমি বললামঃ হে আল্লাহ। আমি তোমাকে আল্লাহ বলে ডাকছি, তোমাকে রহমান বলে ডাকছি, তোমাকে পূণ্যময় ও দয়াময় বলে ডাকছি এবং তোমাকে আমার জানা অজানা তাবৎ সুন্দর নামে ডাকছি যে, তুমি আমাকে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি দয়া কর। আয়েশা বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তখন হেসে ফেললেন এবং বললেন, ঐ নামটি তোমার দু'আর মধ্যেই রয়েছে, যে নামগুলো দিয়ে তুমি দু'আ করেছ।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2552- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بِاسْمِك الطَّاهِر الطّيب الْمُبَارك الأحب إِلَيْك الَّذِي إِذا دعيت بِهِ أجبْت وَإِذا سُئِلت بِهِ أَعْطَيْت وَإِذا استرحمت بِهِ رحمت وَإِذا استفرجت بِهِ فرجت
قلت فَقَالَ يَوْمًا يَا عَائِشَة هَل علمت أَن الله قد دلَّنِي على الِاسْم الَّذِي إِذا دعِي بِهِ أجَاب قَالَت فَقلت بِأبي أَنْت وَأمي يَا رَسُول الله فعلمنيه قَالَ إِنَّه لَا يَنْبَغِي لَك يَا عَائِشَة
قَالَت فتنحيت وَجَلَست سَاعَة ثمَّ قُمْت فَقبلت رَأسه ثمَّ قلت لَهُ يَا رَسُول الله علمنيه قَالَ إِنَّه لَا يَنْبَغِي لَك يَا عَائِشَة أَن أعلمك إِنَّه لَا يَنْبَغِي أَن تسألي بِهِ شَيْئا للدنيا
قَالَت فَقُمْت فَتَوَضَّأت ثمَّ صليت رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قلت اللَّهُمَّ إِنِّي أَدْعُوك الله وأدعوك الرَّحْمَن وأدعوك الْبر الرَّحِيم وأدعوك بأسمائك الْحسنى كلهَا مَا علمت مِنْهَا وَمَا لم أعلم أَن تغْفر لي وترحمني
قَالَت فاستضحك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثمَّ قَالَ إِنَّه لفي الْأَسْمَاء الَّتِي دَعَوْت بهَا

رَوَاهُ ابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৫৩. হযরত ফুযালা ইবন উবায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মসজিদে) বসা ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে নামায পড়ল এবং বলতে লাগলঃ "হে আল্লাহ! আমাকে মার্জনা কর ও আমাকে দয়া কর।" রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে মুসল্লী। তুমি খুব তাড়াতাড়ি করে ফেললে। যখন তুমি নামায পড়তে শুরু করবে এবং (তাশাহহুদ পড়তে) বসবে, তখন আল্লাহর প্রশংসা করবে, যেমন প্রশংসার তিনি যোগ্য, তারপর আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, এরপর দু'আ করবে। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর আরেক ব্যক্তি এসে নামায পড়ল ও আল্লাহর প্রশংসা করল এবং নবী করীম (ﷺ) -এর উপর দরূদ পাঠ করল। নবী করীম (ﷺ) তখন বললেনঃ হে মুসল্লী। এখন দু'আ কর, তোমার দু'আ কবুল করা হবে।
(হাদীসটি আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। নাসাঈ, ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2553- وَعَن فضَالة بن عبيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ بَينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَاعد إِذْ دخل رجل فصلى فَقَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر لي وارحمني فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عجلت أَيهَا الْمُصَلِّي إِذا صليت فَقَعَدت فاحمد الله بِمَا هُوَ أَهله وصل عَليّ ثمَّ ادْعُه
قَالَ ثمَّ صلى رجل آخر بعد ذَلِك فَحَمدَ الله وَصلى على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيهَا الْمُصَلِّي ادْع تجب

رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وَالنَّسَائِيّ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৫৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ এমন কিছু বাক্য যা দিয়ে দু'আ শুরু করা চাই এবং ইসমে আযম প্রসঙ্গ
২৫৫৪. হযরত সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মাছওয়ালা অর্থাৎ ইউনুস (আ)) মাছের পেটে থেকে যে দু'আটি করেছিলেন সেটি ছিল "লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনায যালিমীন।" কোন মুসলমান যে কোন সমস্যায় পড়ে এ দু'আটি পাঠ করলে আল্লাহ্ তার ডাকে সাড়া দেন।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। নাসাঈ এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।
হাকিম অন্য এক সূত্রে এ অংশটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। জনৈক ব্যক্তি তখন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। এটি কি বিশেষভাবে ইউনুস (আ)-এর জন্যেই, না কি সাধারণভাবে সকল মুমিনদের জন্যও? রাসুলুল্লাহ্ বললেন, তুমি কি মহান আল্লাহর এ বাণী শোননি? "অতঃপর আমি তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম আর আমি এমনিভাবে মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।” (সূরা আম্বিয়া- আয়াত নং- ৮৮)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يستفتح بهَا الدُّعَاء وَبَعض مَا جَاءَ فِي اسْم الله الْأَعْظَم
2554- وَعَن سعد بن أبي وَقاص رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعْوَة ذِي النُّون إِذْ دَعَاهُ وَهُوَ فِي بطن الْحُوت لَا إِلَه إِلَّا أَنْت سُبْحَانَكَ إِنِّي كنت من الظَّالِمين الْأَنْبِيَاء 78 فَإِنَّهُ لم يدع بهَا رجل مُسلم فِي شَيْء قطّ إِلَّا اسْتَجَابَ الله لَهُ

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
للْمُؤْمِنين عَامَّة فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا تسمع إِلَى قَول الله عز وَجل فنجيناه من الْغم وَكَذَلِكَ ننجي الْمُؤمنِينَ الْأَنْبِيَاء
tahqiq

তাহকীক: