আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩১৭ টি

হাদীস নং: ২৪৭৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৫. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন ফাতিমাকে তাঁর নিকট বিয়ে দিয়েছিলেন, তখন তার সাথে চাদর, খেজুর গাছের আঁশ ভর্তি একটি চামড়ার বালিশ, দু'টি যাঁতার চাক্কি, একটি মশক এবং দু'টি মটকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। একদিন আলী (রা) ফাতিমা (রা)-কে বললেনঃ আল্লাহর কসম! পানি উত্তোলন করতে করতে আমার বুকে ব্যথা হয়ে গিয়েছে। এদিকে তোমার পিতার নিকট আল্লাহ কিছু দাস-দাসী পাঠিয়েছেন। অতএব তুমি গিয়ে তাঁর কাছে একজন খাদিমের প্রার্থনা জানাও। ফাতিমা বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমারও তো আটা পিষতে পিষতে হাতে ফোস্কা পড়ে গিয়েছে। এরপর ফাতিমা (রা) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট আসলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন। তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে, হে কন্যা! ফাতিমা বললেন আপনাকে সালাম দিতে এসেছি। তিনি কোন যাচ্ঞা করতে লজ্জাবোধ করলেন এবং এভাবেই ফিরে আসলেন। আলী (রা) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি করে এসেছ? ফাতিমা বললেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট কোন কিছু চাইতে আমি খুব লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম। পরে তাঁরা দু'জনই একত্রে নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে আসলেন। আলী (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ। পানি উঠাতে উঠাতে আমার বুকে ব্যথা হয়ে গিয়েছে। ফাতিমা বললেন, আটা পিষতে পিষতে আমার হাতে ফোস্কা পড়ে গিয়েছে। আর আপনাকে তো আল্লাহ অনেক দাস-দাসী ও প্রাচুর্য দান করেছেন। অতএব আমাদেরকে একজন খাদিম দান করুন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম। আমি সুফফাবাসীকে উপোস রেখে তোমাদেরকে কিছুই দিব না। শেষে তাদের জন্য খরচ করার মত কিছুই থাকবে না। বরং আমি এসব দাস-দাসী বিক্রি করে এদের মূল্য সুফফাবাসীদের জন্যে ব্যয় করব (এ কথা শুনে তারা উভয়ে ফিরে গেলেন)। পরে নবী করীম (ﷺ) নিজে তাঁদের কাছে আসলেন। তখন তাঁরা নিজেদের চাদরে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিন্তু অবস্থা এই ছিল যে, তাঁরা যখন তাঁদের মাথা ঢাকতেন, পা খুলে যেত; আর যখন পা ঢাকতে চেষ্টা করতেন, তখন মাথা অনাবৃত হয়ে থাকত। তাঁরা উভয়ে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দেখে। দ্রুত উঠতে চাইলেন। তিনি বললেন, তোমরা নিজেদের অবস্থায় থাক। তারপর তিনি বললেন, তোমরা আমার নিকট যা চেয়েছ, এর চেয়ে উত্তম জিনিসের সন্ধান কি আমি তোমাদেরকে দিব না? তারা বললেন, জ্বী হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাকে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম কয়েকটি শব্দ শিখিয়ে দিয়েছেন। তারপর বললেনঃ প্রত্যেক সালাতের পর তোমরা দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং দশবার আল্লাহু আকবর বলবে। আর যখন শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর পাঠ করবে।
হযরত আলী (রা) বলেনঃ আল্লাহর কসম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এগুলো শুনার পর আমি কখনও এগুলো ছাড়ি নাই। ইবনুল কাওয়া জিজ্ঞেস করলেনঃ সিফ্‌ফীন যুদ্ধের রাত্রেও কি আপনি এগুলো ছাড়েন নি? হযরত আলী (রা) বললেনঃ হে ইরাকবাসী! আল্লাহ তোমাদেরকে ধ্বংস করুন। সিফ্‌ফীনের রাতেও না।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ এবং তিরমিযীও এটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি "শয়নকালে কি বলবে" শিরোনামে এ প্রসঙ্গের উল্লেখ ছাড়া বর্ণিত হয়েছে। এখানে বর্ণিত প্রসঙ্গ বিবেচনায় হাদীসটি গরীব মনে হয়। তবে এর সনদটি উত্তম এবং রাবীগণ নির্ভরযোগ্য। আতা ইবনুস সাইব বিশ্বস্ত রাবী। তাঁর স্মৃতিভ্রমের পূর্বে হাম্মাদ ইবন সালামা তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ্ ভাল জানেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2475- وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لما زوجه فَاطِمَة بعث مَعهَا بخميلة ووسادة من أَدَم حشوها لِيف ورحيين وسقاء وجرتين فَقَالَ عَليّ رَضِي الله عَنهُ لفاطمة رَضِي الله عَنْهَا ذَات يَوْم وَالله لقد سنوت حَتَّى اشتكيت صَدْرِي وَقد جَاءَ الله
أَبَاك بسبي فاذهبي فاستخدميه فَقَالَت وَأَنا وَالله لقد طحنت حَتَّى مجلت يداي فَأَتَت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ مَا جَاءَ بك أَي بنية قَالَت جِئْت لاسلم عَلَيْك واستحيت أَن تسأله وَرجعت فَقَالَ عَليّ مَا فعلت قَالَت استحييت أَن أسأله فَأتيَا جَمِيعًا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ عَليّ يَا رَسُول الله لقد سنوت حَتَّى اشتكيت صَدْرِي وَقَالَت فَاطِمَة قد طحنت حَتَّى مجلت يداي وَقد جَاءَك الله بسبي وسعة فأخدمنا فَقَالَ وَالله لَا أُعْطِيكُم وأدع أهل الصّفة تطوى بطونهم من الْجُوع لَا أجد مَا أنْفق عَلَيْهِم وَلَكِن أبيعهم وَأنْفق عَلَيْهِم أثمانهم فَرَجَعَا فأتاهما النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقد دخلا فِي قطيفتهما إِذا غطت رؤوسهما تكشفت أقدامهما وَإِذا غطت أقدامهما تكشفت رؤوسهما فثارا فَقَالَ مَكَانكُمَا ثمَّ قَالَ أَلا أخبركما بِخَير مِمَّا سألتماني قَالَا بلَى
قَالَ كَلِمَات علمنيهن جِبْرَائِيل فَقَالَ تسبحان الله فِي دبر كل صَلَاة عشرا وتحمدان عشرا وتكبران عشرا فَإِذا أويتما إِلَى فراشكما فسبحا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ واحمدا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وكبرا أَرْبعا وَثَلَاثِينَ
قَالَ عَليّ كرم الله وَجهه فوَاللَّه مَا تركتهن مُنْذُ سَمِعتهنَّ من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
قَالَ فَقَالَ لَهُ ابْن الكوا وَلَا لَيْلَة صفّين فَقَالَ قاتلكم الله يَا أهل الْعرَاق وَلَا لَيْلَة صفّين

رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَتقدم فِيمَا يَقُول إِذا أَوَى إِلَى فرَاشه بِغَيْر هَذَا السِّيَاق وَفِي هَذَا السِّيَاق مَا يستغرب وَإِسْنَاده جيد وَرُوَاته ثِقَات وَعَطَاء بن السَّائِب ثِقَة وَقد سمع مِنْهُ حَمَّاد بن سَلمَة قبل اخْتِلَاطه وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৭৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দুটি বিষয় এমন যে, কোন বান্দা যখন এগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখবে, সে নিশ্চিত জান্নাতে প্রবেশ করবে। বিষয় দু'টি সহজ, কিন্তু এর উপর আমলকারী খুবই কম। তোমাদের কেউ প্রত্যেক সালাতের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং দশবার আল্লাহু আকবর বলবে। এখানে মুখে হল একশ' পঞ্চাশ (পাঁচ ওয়াক্তের হিসাবে)। কিন্তু মীযানের পাল্লায় হবে একহাজার পাঁচ'শ। আর সে যখন শয্যাগ্রহণ করবে, তখন তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর বলবে। এখানেও মুখে একশ, কিন্তু মীযানে এক হাজার।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে দিন-রাতে দু'হাজার পাঁচ'শ গুনাহ করে? আবদুল্লাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এগুলো হাতে গুণতে দেখেছি। আবদুল্লাহ বলেন, প্রশ্ন করা হ'ল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কেন এ দু'টি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে পারব না? তিনি বললেন, তোমাদের কেউ যখন সালাতরত থাকে, তখন শয়তান তার নিকট এসে বলতে থাকে; তুমি ঐ বিষয়টি স্মরণ কর, ঐ বিষয়টি স্মরণ কর। তেমনিভাবে শয্যাকালে শয়তান এসে তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে।
(হাদীসটি আবূ দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই।
(সংকলক বলেনঃ) তাঁরা সবাই এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবন যায়দ………………আতা ইবনুস সাইব ... সাইব,......... 'আবদুল্লাহ ইবন আমর-এ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2476- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خصلتان لَا يحصيهما عبد إِلَّا دخل الْجنَّة وهما يسير وَمن يعْمل بهما قَلِيل يسبح الله أحدكُم دبر كل صَلَاة عشرا وَيَحْمَدهُ عشرا ويكبره عشرا فَتلك مائَة وَخَمْسُونَ بِاللِّسَانِ وَألف وَخَمْسمِائة فِي الْمِيزَان إِذا أَوَى إِلَى فرَاشه يسبح ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ويحمد ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَيكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ فَتلك مائَة بِاللِّسَانِ وَألف فِي الْمِيزَان قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَيكُمْ يعْمل فِي يَوْمه وَلَيْلَته أَلفَيْنِ وَخَمْسمِائة سَيِّئَة قَالَ عبد الله رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يعقدهن بِيَدِهِ
قَالَ قيل يَا رَسُول الله كَيفَ لَا تحصيها قَالَ يَأْتِي أحدكُم الشَّيْطَان وَهُوَ فِي صلَاته فَيَقُول لَهُ اذكر كَذَا اذكر كَذَا ويأتيه عِنْد مَنَامه فينومه

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ

قَالَ المملي رَوَوْهُ كلهم عَن حَمَّاد بن زيد عَن عَطاء بن السَّائِب عَن أَبِيه عَن عبد الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৭৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৭. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া তার বেহেশতে প্রবেশে অন্য কোন অন্তরায় থাকবে না।
(হাদীসটি নাসাঈ এবং তাবারানী বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তন্মধ্যে একটি সূত্র বিশুদ্ধ। আমার উস্তাদ আবুল হাসান বলেছেনঃ হাদীসটি বুখারীর শর্ত অনুসারে সহীহ। ইবন হিব্বানও এটি 'সালাত' অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। তাবারানী কোন কোন বর্ণনা সূত্রে এখানে আয়াতুল কুরসীর সাথে সূরা ইখলাসকেও যোগ করেছেন। বর্ধিত বর্ণনা সম্বলিত এ সূত্রটিও বিশুদ্ধ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2477- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ آيَة الْكُرْسِيّ دبر كل صَلَاة لم يمنعهُ من دُخُول الْجنَّة إِلَّا أَن يَمُوت
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالطَّبَرَانِيّ بأسانيد أَحدهَا صَحِيح
وَقَالَ شَيخنَا أَبُو الْحسن هُوَ على شَرط البُخَارِيّ وَابْن حبَان فِي كتاب الصَّلَاة وَصَححهُ

وَزَاد الطَّبَرَانِيّ فِي بعض طرقه وَقل هُوَ الله أحد
وَإِسْنَاده بِهَذِهِ الزِّيَادَة جيد أَيْضا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৭৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৮. হযরত হাসান ইবন আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি করণ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, সে পরবর্তী সালাত পর্যন্ত আল্লাহর দায়িত্বে থাকবে।
(হাদীসটি তাবারানী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2478- وَعَن الْحسن بن عَليّ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ آيَة الْكُرْسِيّ فِي دبر الصَّلَاة الْمَكْتُوبَة كَانَ فِي ذمَّة الله إِلَى الصَّلَاة الْأُخْرَى

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৭৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৯. বনু হাশিমের আযাদকৃত দাস আবু কাসীর থেকে বর্ণিত যে, তিনি সাহাবী হযরত আবু যর গিফারী (রা)-কে বলতে শুনেছেন যে, কয়েকটি এমন বাক্য রয়েছে যে, কেউ যদি প্রত্যেক সালাতের পর এগুলো পাঠ করে, তবে তার গুনাহ সাগরের ফেনা পরিমাণ হলেও এ বাক্যগুলো সব মুছে দেবে। বাক্যগুলো এইঃ "আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ আলহামদু লিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।"
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। আর এটি মাওকুফ হাদীস।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2479- وَعَن أبي كثير مولى بني هَاشم أَنه سمع أَبَا ذَر الْغِفَارِيّ رَضِي الله عَنهُ صَاحب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول كَلِمَات من ذكرهن مائَة مرّة دبر كل صَلَاة الله أكبر وَسُبْحَان الله
وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه ثمَّ لَو كَانَت خطاياه مثل زبد الْبَحْر لمحتهن

رَوَاهُ أَحْمد
وَهُوَ مَوْقُوف
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৮০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৮০. আবদুল্লাহ ইবন আরকাম সূত্রে তাঁর পিতা (রা)-এর মাধ্যমে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর এ দু'আটি পাঠ করলঃ "সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইযযাতি আম্মা ইয়াসিফুন, ওয়া সালামুন আলাল মুরসালীন, ওয়ালহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন" সে পরিপূর্ণ পাত্রদ্বারা পুণ্য মেপে নিল।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2480- وَرُوِيَ عَن عبد الله بن أَرقم عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ دبر كل صَلَاة سُبْحَانَ رَبك رب الْعِزَّة عَمَّا يصفونَ وَسَلام على الْمُرْسلين وَالْحَمْد لله رب الْعَالمين فقد اكتال بالجريب الأوفى من الْأجر

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৮১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৮১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতের পর এ দু'আটি পাঠ করবে "সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়া বিহামদিহী, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" সে সেখান থেকে মার্জনাপ্রাপ্ত অবস্থায় উঠবে।
(হাদীসটি বাযযার আবু যাহরা সুত্রে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবু যাহ্‌রা পর্যন্ত সনদটি ভাল, তবে আবু যাহ্‌রাকে আমি চিনি না।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2481- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ دبر الصَّلَاة سُبْحَانَ الله الْعَظِيم وَبِحَمْدِهِ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه قَامَ مغفورا لَهُ

رَوَاهُ الْبَزَّار عَن أبي الزهراء عَن أنس وَسَنَده إِلَى أبي الزهراء جيد
وَأَبُو الزهراء لَا أعرفهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৮২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৮২. হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই শব্দসমূহ অথবা বলেছেনঃঃ এই দু'আসমূহ দ্বারা প্রত্যেক ফরয নামাযের পর দু'আ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে। দু'অটি এইঃ
اللَّهُمَّ أَعْطِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ ، وَاجْعَلْ فِي الْمُصْطَفَيْنَ مَحَبَّتَهُ، وَ فِي الْعالِيْنَ دَرَجَتَهُ، وَفِي الْمُقَرَّبِينَ دارَهُ
"হে আল্লাহ্! তুমি মুহাম্মদকে ব্যাপক শাফাআতের মর্যাদা দান কর। নির্বাচিত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর ভালবাসা সৃষ্টি করে দাও, উচ্চ মর্যাদসম্পন্ন লোকদের মধ্যে তাঁর বিশেষ মর্যাদা দান কর এবং নৈকট্যবানদের মধ্যে তাঁর আবাস নির্ধারণ কর।"
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। আর এটি গরীব হাদীস।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2482- وَرُوِيَ عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من دَعَا بهؤلاء الْكَلِمَات أَو الدَّعْوَات فِي دبر كل صَلَاة مَكْتُوبَة حلت لَهُ الشَّفَاعَة مني يَوْم الْقِيَامَة اللَّهُمَّ اعط مُحَمَّدًا الْوَسِيلَة وَاجعَل فِي المصطفين محبته وَفِي العالين دَرَجَته وَفِي المقربين دَاره

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَهُوَ غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৮৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৮৩. হযরত বারা ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতি নামাযের পর "আসতাগফিরুল্লাহ ওয়াআতুবু ইলাইহি" পাঠ করবে, তার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। এমন কি সে যদি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নও করে থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2483- وَرُوِيَ عَن الْبَراء بن عَازِب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ دبر كل صَلَاة أسْتَغْفر الله وَأَتُوب إِلَيْهِ غفر لَهُ وَإِن كَانَ فر من الزَّحْف

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৮৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৮৪. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) একদিন তাঁর হাতে ধরলেন। তারপর বললেনঃ হে মুয়ায! আল্লাহর শপথ! আমি তোমাকে ভালবাসি। মুয়ায বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আল্লাহর শপথ! আমিও আপনাকে ভালবাসি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে মুয়ায। আমি তোমাকে ওসীয়ত করে বলছি, তুমি প্রত্যেক নামাযের পর এ কথাটি বলতে ভুলে যেয়োনাঃ
اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
“হে আল্লাহ! তোমার যিকির, তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও উত্তমরূপে তোমার ইবাদত করতে তুমি আমাকে সাহায্য কর।"
পরবর্তীতে মুয়ায এ বিষয়ে সুনাবিহীকে ওসীয়াত করেছিলেন। সুনাবিহী আবু আবদুর রহমানকে এবং আবূ আবদুর রহমান উকবা ইবন মুসলিমকেও এ বিষয়ে ওসীয়ত করেছিলেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা নাসাঈর। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2484- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَخذ بِيَدِهِ يَوْمًا ثمَّ قَالَ يَا معَاذ وَالله إِنِّي لَأحبك فَقَالَ لَهُ معَاذ بِأبي أَنْت وَأمي يَا رَسُول الله وَأَنا وَالله أحبك قَالَ أوصيك يَا معَاذ لَا تدعن فِي دبر كل صَلَاة أَن تَقول اللَّهُمَّ أَعنِي على ذكرك وشكرك وَحسن عبادتك وَأوصى بذلك معَاذ الصنَابحِي وَأوصى بهَا الصنَابحِي أَبَا عبد الرَّحْمَن وَأوصى بهَا عبد الرَّحْمَن عقبَة بن مُسلم

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
হাদীস নং: ২৪৮৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কেউ স্বপ্নে খারাপ কোন কিছু দেখলে কি বলবে এবং কি করবে?
২৪৮৫. হযরত জাবির (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন স্বপ্নে খারাপ কোন কিছু দেখে, তখন সে যেন তার বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করে ও "আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজীম" পাঠ করে নেয় এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে ফেলে।
(হাদীসটি মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله ويفعله من رأى فِي مَنَامه مَا يكره
2485- عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ إِذا رأى أحدكُم الرُّؤْيَا يكرهها فليبصق عَن يسَاره ثَلَاثًا وليستعذ بِاللَّه من الشَّيْطَان الرَّجِيم ثَلَاثًا وليتحول عَن جنبه الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ২৪৮৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কেউ স্বপ্নে খারাপ কোন কিছু দেখলে কি বলবে এবং কি করবে?
২৪৮৬. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) -কে একথা বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন ভাল স্বপ্ন দেখবে, তখন মনে করবে যে, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং স্বপ্নে যা দেখেছে, তার আলোচনা করে। আর যখন এর বিপরীত কোন খারাপ স্বপ্ন দেখবে, তখন মনে করবে যে, এটি শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব সে যেন আল্লাহর নিকট এর অনিষ্ট থেকে পানাহ চায় এবং কারো কাছে এ স্বপ্নের কথা না বলে। এমন করলে এটি তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃঃ এটি হাসান-সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله ويفعله من رأى فِي مَنَامه مَا يكره
2486- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِذا رأى أحدكُم الرُّؤْيَا يُحِبهَا فَإِنَّمَا هِيَ من الله فليحمد الله عَلَيْهَا وليحدث بِمَا رأى وَإِذا رأى غير ذَلِك مِمَّا يكره فَإِنَّمَا هِيَ من الشَّيْطَان فليستعذ بِاللَّه من شَرها وَلَا يذكرهَا لَاحَدَّ فَإِنَّهَا لَا تضره

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
হাদীস নং: ২৪৮৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কেউ স্বপ্নে খারাপ কোন কিছু দেখলে কি বলবে এবং কি করবে?
২৪৮৭. হযরত আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব যে ব্যক্তি কোন অবাঞ্ছিত স্বপ্ন দেখে, সে যেন তার বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করে এবং শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এমন করলে এটি তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বুখারী ও মুসলিমে আবু সালামার বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ আর যখন কোন অবাঞ্ছিত স্বপ্ন দেখবে, তখন যেন সে এই স্বপ্নের অনিষ্ট ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর শরণ প্রার্থনা করে এবং তার বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করে। আর কারো নিকট এটি ব্যক্ত না করে। এমনটি করলে এটি কস্মিণকালেও অনিষ্ট করতে পারবে না।
বুখারী ও মুসলিম এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রেও বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনায় রয়েছেঃ যে ব্যক্তি কোন অবাঞ্ছিত স্বপ্ন দেখে, সে যেন এটি কারো কাছে ব্যক্ত না করে; বরং সে যেন শয্যা ত্যাগ করে এবং সালাতে রত হয়।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله ويفعله من رأى فِي مَنَامه مَا يكره
2487- وَعَن أبي قَتَادَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الرُّؤْيَا الصَّالِحَة من الله والحلم من الشَّيْطَان فَمن رأى شَيْئا يكرههُ فلينفث عَن شِمَاله ثَلَاثًا وليتعوذ بِاللَّه من الشَّيْطَان فَإِنَّهَا لَا تضره

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه

وَفِي رِوَايَة للْبُخَارِيّ وَمُسلم عَن أبي سَلمَة وَإِذا رأى مَا يكره فليتعوذ بِاللَّه من شَرها وَشر الشَّيْطَان وليتفل عَن يسَاره ثَلَاثًا وَلَا يحدث بهَا أحدا فَإِنَّهَا لن تضره
وروياه أَيْضا عَن أبي هُرَيْرَة وَفِيه فَمن رأى شَيْئا يكرههُ فَلَا يقصه على أحد وليقم فَليصل
হাদীস নং: ২৪৮৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ অনিদ্রাগ্রস্ত অথবা রাত্রিবেলা ভীতিগ্রস্ত ব্যক্তির দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৮৮. আমর ইবন শুআয়ব (র) তাঁর পিতা-পিতামহ সূত্রে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন যেন সে এ দু'আটি পাঠ করে নেয়ঃ
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ ، مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ ، وَشَرِّ عِبَادِهِ ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ ، وَأَنْ يَحْضُرُونِ
আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহ দ্বারা তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও তাদের উপস্থিতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।"
এ দু'আটি পাঠ করে নিলে তার আর কোন অনিষ্ট হবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আমর তাঁর বয়স্ক সন্তানদেরকে এ দু'আটি শিক্ষা দিতেন আর যারা অবুঝ ছিল, দু'আটি কাগজে লিখে তাদের গলায় লটকিয়ে দিতেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তিরমিযীর। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব। নাসাঈ এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। হাকিমের বর্ণনায় দু'আটি শুধু ঘুমে ভয় পাওয়ার সাথেই সম্পৃক্ত নয়।*)

*অর্থাৎ সাধারণভাবে এবং যে কোন ভয়ের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من يأرق أَو يفزع بِاللَّيْلِ
2488- عَن عَمْرو بن شُعَيْب رَضِي الله عَنهُ عَن أَبِيه عَن جده أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا فزع أحدكُم فِي النّوم فَلْيقل أعوذ بِكَلِمَات الله التامات من غَضَبه وعقابه وَشر عباده وَمن همزات الشَّيَاطِين وَأَن يحْضرُون فَإِنَّهَا لن تضره
قَالَ وَكَانَ عبد الله بن عَمْرو يلقنها من عقل من وَلَده وَمن لم يعقل كتبهَا فِي صك ثمَّ علقها فِي عُنُقه

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَلَيْسَ عِنْده تخصيصها بِالنَّوْمِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৮৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ অনিদ্রাগ্রস্ত অথবা রাত্রিবেলা ভীতিগ্রস্ত ব্যক্তির দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৮৯. নাসাঈর বর্ণনায় এমন রয়েছেঃ হযরত খালিদ ইবন ওলীদ (রা) ঘুমে ভয় পেতেন। বিষয়টি তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - কে বললেন। নবী করীম (ﷺ) বললেন, তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন বিসমিল্লাহ বলে এ দু'আটি পাঠ করে নিবেঃ আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি…………………
অতঃপর পূর্বোক্ত দু'আটির উল্লেখ করলেন। ইমাম মালিক (র) মুয়াত্তা গ্রন্থে বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, খালিদ ইবন ওলীদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বলেছিলেন, "আমি ঘুমে খুব ভয় পাই।" রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন, তুমি বলঃ....তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করলেন।
এ হাদীসটি আহমদ রাবী মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন হিব্বান সূত্রে ওলীদ ইবন ওলীদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ওলীদ বলেছিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি নিঃসঙ্গতা ও ভীতি অনুভব করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন বলবেঃ তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করলেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া ওলীদ থেকে হাদীস শুনেননি।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من يأرق أَو يفزع بِاللَّيْلِ
2489- وَفِي رِوَايَة للنسائي قَالَ كَانَ خَالِد بن الْوَلِيد رجلا يفزع فِي مَنَامه فَذكر ذَلِك لرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا اضطجعت فَقل بِسم الله أعوذ بِكَلِمَات الله التَّامَّة فَذكر مثله
وَقَالَ مَالك فِي الْمُوَطَّإِ بَلغنِي أَن خَالِد بن الْوَلِيد قَالَ لرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنِّي أروع فِي مَنَامِي فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقل
فَذكر مثله

وَرَوَاهُ أَحْمد عَن مُحَمَّد بن يحيى بن حبَان عَن الْوَلِيد بن الْوَلِيد أَنه قَالَ يَا رَسُول الله إِنِّي أجد وَحْشَة
قَالَ إِذا أخذت مضجعك فَقل
فَذكر مثله وَمُحَمّد لم يسمع من الْوَلِيد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ অনিদ্রাগ্রস্ত অথবা রাত্রিবেলা ভীতিগ্রস্ত ব্যক্তির দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৯০. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খালিদ ইবন ওলীদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কিছু ভীতিপ্রদ বিষয়ের উল্লেখ করলেন, যেগুলো তিনি রাতের বেলায় দেখতে পেতেন এবং এগুলো তাঁর তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে খালিদ ইবনুল ওলীদ! আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না, যেগুলো তুমি পাঠ করবে আর এগুলো তিনবার পাঠ করার পূর্বেই আল্লাহ তোমার ভীতি দূর করে দিবেন? খালিদ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার পিতামাতা আপনার জনা কুরবান হোন! আপনি অবশ্যই বলুন। আমি তো এ আশায়ই আপনার কাছে এ অনুযোগটি করেছি। তিনি বললেন, তুমি বলবেঃ
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ ، مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ ، وَشَرِّ عِبَادِهِ ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ ، وَأَنْ يَحْضُرُونِ
"আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহ দ্বারা তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও তাদের উপস্থিতি থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।"
হযরত আয়েশা (রা) বলেন, মাত্র কয়েক রাত যেতে না যেতেই খালিদ ইব্‌ন ওলীদ আসলেন এবং বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতামাতা আপনার প্রতি কুরবান হোন! ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে প্রেরণ করেছেন, আপনার শিখিয়ে দেয়া বাক্যগুলো তিনবার পূর্ণ করার পূর্বেই আল্লাহ আমার মনের ভীতি দূর করে দিয়েছেন। এখন আমার অবস্থা এই যে, রাত্রিবেলায় কোন সিংহের খাঁচায় প্রবেশ করতেও আমি কোন রকম পরওয়া করব না।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من يأرق أَو يفزع بِاللَّيْلِ
2490- وَرُوِيَ عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ حدث خَالِد بن الْوَلِيد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن أهاويل يَرَاهَا بِاللَّيْلِ حَالَتْ بَينه وَبَين صَلَاة اللَّيْل فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا خَالِد بن الْوَلِيد أَلا أعلمك كَلِمَات تقولهن وَلَا تقولهن ثَلَاث مَرَّات حَتَّى يذهب الله عَنْك ذَلِك قَالَ بلَى يَا رَسُول الله بِأبي أَنْت وَأمي فَإِنَّمَا شَكَوْت هَذَا إِلَيْك رَجَاء هَذَا مِنْك
قَالَ قل أعوذ بِكَلِمَات الله التَّامَّة من غَضَبه وعقابه وَشر عباده وَمن همزات الشَّيَاطِين وَأَن يحْضرُون
قَالَت عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا فَلم ألبث إِلَّا ليَالِي حَتَّى جَاءَ خَالِد بن الْوَلِيد فَقَالَ يَا رَسُول الله بِأبي أَنْت وَأمي وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ مَا أتممت الْكَلِمَات الَّتِي علمتني ثَلَاث مَرَّات حَتَّى
أذهب الله عني مَا كنت أجد مَا أُبَالِي لَو دخلت على أَسد فِي خيسته بلَيْل

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ অনিদ্রাগ্রস্ত অথবা রাত্রিবেলা ভীতিগ্রস্ত ব্যক্তির দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৯১. আবুত-তায়‍্যাহ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আবদুর রহমান ইবন খাম্বাশ তামীমী (রা) কে বললাম আর তিনি ছিলেন একজন বয়োবৃদ্ধ সাহাবী, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে পেয়েছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, যে রাত্রে জিন্ন সম্প্রদায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, সে সময় তিনি কিরূপ আমল করেছিলেন? আবদুর রহমান বললেনঃ এ রাতে দুষ্ট জিন্নগুলো বিভিন্ন উপত্যকা এবং দিবি-কন্দর থেকে এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর উপর অবতরণ করল। এদের মধ্যে একজনের হাতে আগুনের হল্কা ছিল। সে এরদ্বারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মুবারক পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। তখন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নেমে আসলেন এবং বললেনঃ হে মুহাম্মদ। আপনি বলুন। তিনি বললেন, আমি কি বলব? জিবরাঈল (আ) বললেন, আপনি এ দু'আটি পাঠ করুনঃ
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ، وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا ، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلاَّ طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ ، يَا رَحْمَنُ
"আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহ দ্বারা তাঁর সর্বপ্রকার সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আরও আশ্রয় প্রার্থনা করছি যা কিছু আসমান থেকে অবতীর্ণ হয় ও আসমানের দিকে আরোহণ করে এগুলোর অনিষ্ট থেকে, রাত্র-দিনের অনিষ্ট থেকে, রাত্রে আগমনকারী সকল কিছুর অনিষ্ট থেকে, তবে যা কোন মঙ্গল নিয়ে আগমন করে, হে রহমান।"
আবদুর রহমান বলেনঃ তখন তাদের আগুন নিভে গেল এবং মহান আল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্র পণ্ড করে দিলেন।
(হাদীসটি আহমাদ ও আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের উভয়ের নিকটই শক্তিশালী ও উত্তম সনদ রয়েছে। মালিকও এটি 'মুয়াত্তা' গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ এ হাদীসটি ইবন মাসউদ (রা) থেকেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من يأرق أَو يفزع بِاللَّيْلِ
2491- وَعَن أبي التياح قَالَ قلت لعبد الرَّحْمَن بن خنبش التَّمِيمِي رَضِي الله عَنهُ وَكَانَ كَبِيرا أدْركْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ نعم
قلت كَيفَ صنع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْلَة كادته الْجِنّ
قَالَ إِن الشَّيَاطِين تحدرت تِلْكَ اللَّيْلَة على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من الأودية والشعاب وَفِيهِمْ شَيْطَان بِيَدِهِ شعلة من نَار يُرِيد أَن يحرق بهَا وَجه رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فهبط إِلَيْهِ جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَقَالَ يَا مُحَمَّد قل قَالَ مَا أَقُول قَالَ قل أعوذ بِكَلِمَات الله التَّامَّة من شَرّ مَا خلق وذرأ وبرأ وَمن شَرّ مَا ينزل من السَّمَاء وَمن شَرّ مَا يعرج فِيهَا وَمن شَرّ فتن اللَّيْل وَالنَّهَار وَمن شَرّ كل طَارق إِلَّا طَارِقًا يطْرق بِخَير يَا رَحْمَن
قَالَ فطفئت نارهم وَهَزَمَهُمْ الله تبَارك وَتَعَالَى

رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَلكُل مِنْهُمَا إِسْنَاد جيد مُحْتَج بِهِ وَقد رَوَاهُ مَالك فِي الْمُوَطَّأ عَن يحيى بن سعيد مُرْسلا وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ من حَدِيث ابْن مَسْعُود بِنَحْوِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ অনিদ্রাগ্রস্ত অথবা রাত্রিবেলা ভীতিগ্রস্ত ব্যক্তির দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৯২. হযরত খালিদ ইব্‌ন ওলীদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, তাঁর একবার অনিদ্রা দেখা দিয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বলেছিলেনঃ আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না, যেগুলো পাঠ করলে তুমি ঘুমিয়ে যাবে? তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظَلَّتْ، وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَمَا أَقَلَّتْ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضَلَّتْ، كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيعًا أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ أَنْ يَطغيَ، عَزَّ وجَارُكَ وتبارك اسمك
"হে সাত আসমানের মালিক এবং এ আসমান যাদের উপর ছায়াপাত করে, তাদের মালিক। হে সাত যমীন ও এ যমীন যাদেরকে বহন করে, তাদের মালিক। শয়তান এবং শয়তান যাদেরকে পথভ্রষ্ট করে, তাদের মালিক। তুমি তোমার সকল সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আমার জন্য প্রতিবেশী (সাহায্যকারী) হয়ে যাও। তারা যেন আমার উপর কোন বাড়াবাড়ি ও যুলম করতে না পারে। তোমার প্রতিবেশী খুবই সম্মানিত এবং তোমার নাম অত্যন্ত বরকতময়।"
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা আওসাতের। এর সনদটি। ভালই। তবে আবদুর রহমান ইবন সাবিত খালিদ থেকে হাদীস শুনেননি। 'কবীর' এ দু'আটির শেষের অংশে এরূপ রয়েছেঃ عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
এ হাদীসটি তিরমিযী বুরায়দা সূত্রে একটি দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনায় দু'আর শেষাংশ হচ্ছে এইঃ عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن من يأرق أَو يفزع بِاللَّيْلِ
2492- وَعَن خَالِد بن الْوَلِيد رَضِي الله عَنهُ أَنه أَصَابَهُ أرق فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أعلمك كَلِمَات إِذا قلتهن نمت قل اللَّهُمَّ رب السَّمَوَات السَّبع وَمَا أظلت وَرب الْأَرْضين وَمَا أقلت وَرب الشَّيَاطِين وَمَا أضلت كن لي جارا من شَرّ خلقك أَجْمَعِينَ أَن يفرط عَليّ أحد مِنْهُم أَو أَن يطغى عز جَارك وتبارك اسْمك

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَاللَّفْظ لَهُ وَإِسْنَاده جيد إِلَّا أَن عبد الرَّحْمَن بن سابط لم يسمع من خَالِد
وَقَالَ فِي الْكَبِير عز جَارك وَجل ثناؤك وَلَا إِلَه غَيْرك
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من حَدِيث بُرَيْدَة بِإِسْنَاد فِيهِ ضعف وَقَالَ فِي آخِره عز جَارك وَجل ثناؤك وَلَا إِلَه غَيْرك لَا إِلَه إِلَّا أَنْت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান

[হাফিয বলেনঃ এ অনুচ্ছেদটি "মসজিদের দিকে যাওয়া" শীর্ষক অনুচ্ছেদের অব্যবহিত পরে আসাটাই সমীচীন ছিল; কিন্তু তখন তা শ্রুতি লিখন করাতে বিস্মৃত হয়ে যাই। যা হোক, সবকিছুর মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে।
২৪৯৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি ঘর থেকে বের হয় এবং বলেঃ بسم الله تَوَكَّلْتُ عَلَى الله ، لاحول ولا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ "আল্লাহর নামে তাঁরই উপর ভরসা করলাম। কোন সৎকাজের শক্তি নেই এবং মন্দ থেকে বিরত থাকারও শক্তি নেই আল্লাহর সাহায্য ছাড়া।" তাকে তখন বলা হয়ঃ তোমার পথ প্রদর্শন করা হল, তোমার দায়িত্ব গ্রহণ করা হল এবং তোমাকে সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা হল। আর এর সাথে শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। নাসাঈ এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনায় করেছেন। মানুষ যখন ঘর থেকে বের হয় এবং বলেঃ بسم الله توكلت على الله ، لأَحَولَ وَلا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ “আল্লাহর নামে, আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা ছাড়া কোন সৎকর্ম সম্পাদনের এবং মন্দ থেকে বাঁচার কারো সাধ্য নেই।" তাকে তখন বলা হয়'ঃ তোমাকে পথের সন্ধান দেয়া হল, তোমার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করা হল এবং সকল অনিষ্ট থেকে তোমার হিফাযত করা হল। আর এর সাথে শয়তান তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়। তখন অন্য এক শয়তান বলেঃ তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করতে পারবে, যাকে পথ প্রদর্শন করা হয়েছে, যার দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছে এবং সকল অনিষ্ট থেকে যাকে রক্ষা করা হয়েছে?)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما قَالَ الْحَافِظ كَانَ الْأَلْيَق بِهَذَا الْبَاب أَن يكون عقيب الْمَشْي إِلَى الْمَسَاجِد لَكِن حصل ذُهُول عَن إمْلَائِهِ هُنَاكَ وَفِي كل خير
2493- عَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا خرج الرجل من بَيته فَقَالَ بِسم الله توكلت على الله وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه يُقَال لَهُ حَسبك هديت وكفيت ووقيت وَتَنَحَّى عَنهُ الشَّيْطَان

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه

وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَلَفظه قَالَ إِذا خرج الرجل من بَيته فَقَالَ بِسم الله توكلت على الله لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه يُقَال لَهُ حِينَئِذٍ هديت وكفيت ووقيت وَتَنَحَّى عَنهُ الشَّيْطَان فَيَقُول لَهُ شَيْطَان آخر كَيفَ لَك بِرَجُل هدي وكفي وَوُقِيَ
হাদীস নং: ২৪৯৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৪৯৪. হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃঃ ঃ যখন কোন মুসলমান সফর অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় এবং এ সময় বলেঃ
آمَنْتُ بِاللَّهِ ، اعْتَصَمْتُ بِاللَّهِ ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ ، لاَ حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
"আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম। তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করলাম এবং তাঁরই উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোন কল্যাণ লাভ ও অকল্যাণ থেকে আত্মরক্ষার সাধ্য নেই।"
তাকে এ সফরের সকল কল্যাণে ধন্য করা হয়।
(হাদীসটি আহমাদ নাম উল্লেখ না করে জনৈক ব্যক্তি সূত্রে হযরত উসমান (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। অন্যান্য রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2494- وَعَن عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من مُسلم يخرج من بَيته يُرِيد سفرا أَو غَيره فَقَالَ حِين يخرج آمَنت بِاللَّه اعتصمت بِاللَّه توكلت على الله لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه إِلَّا رزق خير ذَلِك الْمخْرج

رَوَاهُ أَحْمد عَن رجل لم يسمه عَن عُثْمَان وَبَقِيَّة رُوَاته ثِقَات
tahqiq

তাহকীক: