আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩১৭ টি
হাদীস নং: ২৪৫৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৫৫. হযরত মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হযরত মালিক আশজাঈ (রা) নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে এসে বললেনঃ আমার ছেলে আউফ শত্রুদের হাতে বন্দী হয়ে গিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তার কাছে এ পয়গাম দিয়ে লোক প্রেরণ কর যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তোমাকে অধিক পরিমাণে "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠের নির্দেশ দিচ্ছেন। প্রেরিত লোকটি তার কাছে আসল এবং বার্তা পৌঁছে ছিল। আউফ তখন উপুড় হয়ে 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পড়তে লাগল। শত্রুরা তাকে একটি রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। কিন্তু রশিটি হঠাৎ পড়ে গেল এবং সে মুক্ত হয়ে গেল। হঠাৎ সে তাদের একটি উষ্ট্রী দেখতে পেল। সে এতে আরোহণ করে অগ্রসর হতে লাগল। অকস্মাৎ সে নিজেকে শত্রুদের পশুপালের মধ্যে দেখতে গেল। তখন সে সজোরে চিৎকার দিল আর সাথে সাথে সকল পশু তার পিছনে ছুটল। অতঃপর 'আউফের পিতা-মাতা অপ্রত্যাশিতভাবে দেখল যে, সে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার পিতা বলে উঠল, কা'বার মালিকের শপথ। আর মা বলতে লাগল, হায় রে, 'আউফের অনিষ্ট।। এদিকে আউফকে রশিতে বেঁধে রাখার কারণে খুবই বিষন্ন দেখাচ্ছিল। তাই তার পিতা ও খাদিম তার দিকে এগিয়ে গেল। হঠাৎ দেখা গেল আউফ উট দিয়ে তার আঙ্গিনা ভরে ফেলেছে। সে তখন তার পিতার নিকট নিজের এবং উটের ঘটনাটি ব্যক্ত করল। তার পিতা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট গিয়ে আউফ এবং উটগুলোর বিষয় খুলে বলল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার খুশীমত এবং তোমার ইচ্ছামত উটের ব্যাপারে যা করতে চাও, কর। তখন আয়াতটি নাযিল হলঃ
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا - وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
"আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ্ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযক দেবেন।" (সূরা আত্ব-ত্বলাক্বঃ- আয়াত নং- ২-৩)
(হাদীসটি আদম ইব্ন আবু আয়্যাস তাঁর তাফসীরে বর্ণনা করেছেন। তবে মুহাম্মদ ইবন ইসহাক মালিক আশজাঈর সাক্ষাত লাভ করেন নাই।)
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا - وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
"আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ্ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযক দেবেন।" (সূরা আত্ব-ত্বলাক্বঃ- আয়াত নং- ২-৩)
(হাদীসটি আদম ইব্ন আবু আয়্যাস তাঁর তাফসীরে বর্ণনা করেছেন। তবে মুহাম্মদ ইবন ইসহাক মালিক আশজাঈর সাক্ষাত লাভ করেন নাই।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2455- وَعَن مُحَمَّد بن إِسْحَاق رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَ مَالك الْأَشْجَعِيّ إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ أسر ابْني عَوْف فَقَالَ أرسل إِلَيْهِ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَأْمُرك أَن تكْثر من قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه فَأَتَاهُ الرَّسُول فَأخْبرهُ فأكب عَوْف يَقُول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه وَكَانُوا قد شدوه بالقد فَسقط الْقد عَنهُ فَخرج فَإِذا هُوَ بِنَاقَة لَهُم فركبها فَأقبل فَإِذا هُوَ بسرح الْقَوْم فصاح بهم
فأتبع آخرهَا أَولهَا فَلم يفجأ أَبَوَيْهِ إِلَّا وَهُوَ يُنَادي بِالْبَابِ فَقَالَ أَبوهُ عَوْف وَرب الْكَعْبَة فَقَالَت أمه وأسوأتاه وعَوْف كئيب بألم مَا فِيهِ من الْقد فَاسْتَبق الْأَب وَالْخَادِم إِلَيْهِ فَإِذا عَوْف قد مَلأ الفناء إبِلا فَقص على أَبِيه أمره وَأمر الْإِبِل
فَأتى أَبوهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأخْبرهُ بِخَبَر عَوْف وَخبر الْإِبِل فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اصْنَع بهَا مَا أَحْبَبْت وَمَا كنت صانعا بإبلك
وَنزل وَمن يتق الله يَجْعَل لَهُ مخرجا وَيَرْزقهُ من حَيْثُ لَا يحْتَسب وَمن يتوكل على الله فَهُوَ حَسبه الطَّلَاق 2
رَوَاهُ آدم بن أبي إِيَاس فِي تَفْسِيره وَمُحَمّد بن إِسْحَاق لم يدْرك مَالِكًا
فأتبع آخرهَا أَولهَا فَلم يفجأ أَبَوَيْهِ إِلَّا وَهُوَ يُنَادي بِالْبَابِ فَقَالَ أَبوهُ عَوْف وَرب الْكَعْبَة فَقَالَت أمه وأسوأتاه وعَوْف كئيب بألم مَا فِيهِ من الْقد فَاسْتَبق الْأَب وَالْخَادِم إِلَيْهِ فَإِذا عَوْف قد مَلأ الفناء إبِلا فَقص على أَبِيه أمره وَأمر الْإِبِل
فَأتى أَبوهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأخْبرهُ بِخَبَر عَوْف وَخبر الْإِبِل فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اصْنَع بهَا مَا أَحْبَبْت وَمَا كنت صانعا بإبلك
وَنزل وَمن يتق الله يَجْعَل لَهُ مخرجا وَيَرْزقهُ من حَيْثُ لَا يحْتَسب وَمن يتوكل على الله فَهُوَ حَسبه الطَّلَاق 2
رَوَاهُ آدم بن أبي إِيَاس فِي تَفْسِيره وَمُحَمّد بن إِسْحَاق لم يدْرك مَالِكًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৫৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৫৬. হযরত আবূ মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি, রাত্রে সূরা বাকারার শেষের দু'টি আয়াত পাঠ করে নিল, এ আয়াত দু'টি তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ তিরমিযী নাসাঈ ইবন মাজাহ ও ইব্ন খুযায়মা বর্ণনা করেছেন।)
( كفتاه ) এখানে যথেষ্ট হয়ে যাওয়ার অর্থ হল কিয়ামুল লায়ল-এর ক্ষেত্রে এটিই যথেষ্ট। কেউ কেউ বলেনঃ এর অর্থ হল এ রাত্রের সকল অনিষ্ট থেকে হিফাযতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেন, শয়তান থেকে হিফাযতের বেলায় যথেষ্ট হয়ে যাবে। অতএব এ রাতে শয়তান তার কাছে আসবে না। কেউ বলেন, ফযীলত এবং পুণ্যলাভের জন্য এটিই যথেষ্ট। ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে 'কিয়ামুল লায়লে "ন্যূনতম কিরাআতের পরিমাণ" শিরোনামে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এতেও প্রথম মতটির সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। আল্লাহই ভাল জানেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ তিরমিযী নাসাঈ ইবন মাজাহ ও ইব্ন খুযায়মা বর্ণনা করেছেন।)
( كفتاه ) এখানে যথেষ্ট হয়ে যাওয়ার অর্থ হল কিয়ামুল লায়ল-এর ক্ষেত্রে এটিই যথেষ্ট। কেউ কেউ বলেনঃ এর অর্থ হল এ রাত্রের সকল অনিষ্ট থেকে হিফাযতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেন, শয়তান থেকে হিফাযতের বেলায় যথেষ্ট হয়ে যাবে। অতএব এ রাতে শয়তান তার কাছে আসবে না। কেউ বলেন, ফযীলত এবং পুণ্যলাভের জন্য এটিই যথেষ্ট। ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে 'কিয়ামুল লায়লে "ন্যূনতম কিরাআতের পরিমাণ" শিরোনামে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এতেও প্রথম মতটির সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2456- عَن أبي مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ بالآيتين من آخر
سُورَة الْبَقَرَة فِي لَيْلَة كفتاه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة
كفتاه أَي أَجْزَأَتَاهُ عَن قيام تِلْكَ اللَّيْلَة وَقيل كفتاه مَا يكون من الْآفَات تِلْكَ اللَّيْلَة وَقيل كفتاه من كل شَيْطَان فَلَا يقربهُ ليلته وَقيل مَعْنَاهُ حَسبه بهما فضلا وَأَجرا وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بَاب ذكر أقل مَا يجزىء من الْقِرَاءَة فِي قيام اللَّيْل ثمَّ ذكره وَهَذَا ظَاهر وَالله أعلم
سُورَة الْبَقَرَة فِي لَيْلَة كفتاه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة
كفتاه أَي أَجْزَأَتَاهُ عَن قيام تِلْكَ اللَّيْلَة وَقيل كفتاه مَا يكون من الْآفَات تِلْكَ اللَّيْلَة وَقيل كفتاه من كل شَيْطَان فَلَا يقربهُ ليلته وَقيل مَعْنَاهُ حَسبه بهما فضلا وَأَجرا وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بَاب ذكر أقل مَا يجزىء من الْقِرَاءَة فِي قيام اللَّيْل ثمَّ ذكره وَهَذَا ظَاهر وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৫৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৫৭. হযরত জুনদুব ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় যে ব্যক্তি রাত্রি বেলায় সুরা 'ইয়াসীন' পাঠ করবে, তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি ইবনুস-সুন্নী এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবনুস-সুন্নী এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2457 - وَعَن جُنْدُب بن عبد الله رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ يس فِي لَيْلَة ابْتِغَاء وَجه الله غفر لَهُ
رَوَاهُ ابْن السّني وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن السّني وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৫৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৫৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রে কুরআনের দশটি আয়াত পাঠ করে নিবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত লিখা হবে না।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2458 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله من قَرَأَ عشر آيَات فِي لَيْلَة لم يكْتب من الغافلين
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৫৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৫৯. তাবারানী হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, হযরত আবূ উমামা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রে কুরআনের দশটি আয়াত পাঠ করে নিবে, তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত বলে লিপিবদ্ধ করা হবে না। আর যে ব্যক্তি একশ আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য পূর্ণ রাত্রির তাহাজ্জুদ আদায়ের পূণ্য লিখে দেয়া হবে। যে ব্যক্তি দু'শ আয়াত পাঠ করবে, তাকে একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে গণ্য করা হবে। যে ব্যক্তি চার'শ আয়াত পাঠ করবে, তাকে আবিদরূপে গণ্য করা হবে, যে ব্যক্তি পাঁচ'শ আয়াত পাঠ করবে, তাকে হাফিযদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করা হবে। যে ব্যক্তি ছয়শ' আয়াত পাঠ করবে, তাকে বিনীত হিসেবে গণ্য করা হবে। যে ব্যক্তি আটশ' আয়াত পাঠ করবে, তাকে একান্তই অনুগত বান্দাদের মধ্যে গণ্য করা হবে, আর যে ব্যক্তি এক হাজার আয়াত পাঠ করবে। সে একটি 'কিনতার' নিয়ে প্রভাত করবে। এক কিনতার হল বারশ' উকিয়ার সমান, আর একটি উকিয়া আসমান-যমীনের মধ্যস্থিত সবকিছু থেকে উত্তম। অথবা বলেছেনঃ দুনিয়ার সকল কিছু থেকে উত্তম। আর যে ব্যক্তি দু'হাজার আয়াত পাঠ করবে, জান্নাতের অধিকারী লোকদের মধ্যে তার নাম লিখিত হবে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2459- وروى الطَّبَرَانِيّ عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ عشر آيَات فِي لَيْلَة لم يكْتب من الغافلين وَمن قَرَأَ مائَة آيَة كتب لَهُ قنوت لَيْلَة وَمن قَرَأَ مِائَتي آيَة كتب من القانتين وَمن قَرَأَ أَرْبَعمِائَة آيَة كتب من العابدين وَمن قَرَأَ خَمْسمِائَة آيَة كتب من الحافظين وَمن قَرَأَ سِتّمائَة آيَة كتب من الخاشعين وَمن قَرَأَ ثَمَانمِائَة آيَة كتب من المخبتين وَمن قَرَأَ ألف آيَة أصبح لَهُ قِنْطَار وَالْقِنْطَار ألف وَمِائَتَا أُوقِيَّة وَالْأُوقِية خير مِمَّا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض أَو قَالَ خير مِمَّا طلعت عَلَيْهِ الشَّمْس وَمن قَرَأَ ألفي آيَة كَانَ فِي الموجبين
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬০. হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের কেউ কি এক রাত্রে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করতে অক্ষম? সাহাবাদের নিকট বিষয়টি অনেক কষ্টসাধ্য বলে মনে হল। তাই তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমাদের মধ্যে কে এটি করতে পারবে? তিনি তখন বললেনঃ সূরা ইখলাসটি কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2460- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيعْجزُ أحدكُم أَن يقْرَأ ثلث الْقُرْآن فِي لَيْلَة فشق ذَلِك عَلَيْهِم وَقَالُوا أَيّنَا يُطيق ذَلِك يَا رَسُول الله فَقَالَ الله الْوَاحِد الصَّمد ثلث الْقُرْآن
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬১. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক দু'শত বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মোচন করা হবে। কিন্তু তার উপর যদি কারো কিছু পাওনা থাকে (তবে তার কথা স্বতন্ত্র)।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ সাবিত সূত্রে বর্ণিত আনাসের এ হাদীসটি গরীব।)
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ সাবিত সূত্রে বর্ণিত আনাসের এ হাদীসটি গরীব।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2461- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَرَأَ كل يَوْم مِائَتي مرّة قل هُوَ الله أحد مُحي عَنهُ ذنُوب خمسين سنة إِلَّا أَن يكون عَلَيْهِ دين
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب من حَدِيث ثَابت عَن أنس
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب من حَدِيث ثَابت عَن أنس
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা 'তাবারাকাল্লাযী' পাঠ করবে, মহান আল্লাহ কবরের আযাব থেকে তাকে রক্ষা করবেন। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে সূরাটিকে বহিরাগত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষাকারী নামে অভিহিত করতাম। আর আল্লাহর কালামে এটি এমন একটি সূরা যে, যে ব্যক্তি রাত্রে এটি পাঠ করে নিল, সে অনেক কিছু এবং উত্তম কিছু পাঠ করে ফেলল।
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2462- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ من قَرَأَ تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك كل لَيْلَة مَنعه الله عز وَجل بهَا من عَذَاب الْقَبْر وَكُنَّا فِي عهد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نسميها الْمَانِعَة وَإِنَّهَا فِي كتاب الله عز وَجل سُورَة من قَرَأَ بهَا فِي لَيْلَة فقد أَكثر وأطاب
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬৩. হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি রাত্রিবেলা এ আয়াতটি পাঠ করবেঃ
فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
"যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে" (সূরা কাহ্ফঃ আয়াত নং-১১০)। তার জন্য আদান থেকে মক্কা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি বিশেষ আলোক রশ্মি হবে, যার মধ্যে থাকবে ফিরিশতাদের দল।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য। তবে আমার জানামতে আবু ফারওয়া আসাদী থেকে নায়র ইবন ওমায়ল ব্যতীত অন্য কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেননি।)
فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
"যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে" (সূরা কাহ্ফঃ আয়াত নং-১১০)। তার জন্য আদান থেকে মক্কা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি বিশেষ আলোক রশ্মি হবে, যার মধ্যে থাকবে ফিরিশতাদের দল।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য। তবে আমার জানামতে আবু ফারওয়া আসাদী থেকে নায়র ইবন ওমায়ল ব্যতীত অন্য কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেননি।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2463- وَعَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ فِي لَيْلَة فَمن كَانَ يَرْجُو لِقَاء ربه فليعمل عملا صَالحا وَلَا يُشْرك بِعبَادة ربه أحدا الْكَهْف 11
كَانَ لَهُ نور من عدن أبين إِلَى مَكَّة حشوه الْمَلَائِكَة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن أَبَا فَرْوَة الْأَسدي لم يرو عَنهُ فِيمَا أعلم غير النَّضر بن شُمَيْل
كَانَ لَهُ نور من عدن أبين إِلَى مَكَّة حشوه الْمَلَائِكَة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن أَبَا فَرْوَة الْأَسدي لم يرو عَنهُ فِيمَا أعلم غير النَّضر بن شُمَيْل
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬৪. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, তার উপর দারিদ্র্য আপতিত হবে না। আর তাসবীহবিশিষ্ট সূরাসমূহের মধ্যে একটি আয়াত রয়েছে, যা হাজার আয়াতের সমান।
(হাদীসটি রযীন তাঁর 'জামি' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আমি হাদীসের মূল গ্রন্থসমূহে এর সন্ধান পাইনি। আবুল কাসিম ইস্পাহানী এটি তাঁর গ্রন্থে সনদ উল্লেখ না করে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি রযীন তাঁর 'জামি' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আমি হাদীসের মূল গ্রন্থসমূহে এর সন্ধান পাইনি। আবুল কাসিম ইস্পাহানী এটি তাঁর গ্রন্থে সনদ উল্লেখ না করে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2464- وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَرَأَ كل لَيْلَة سُورَة الْوَاقِعَة لم تصبه فاقة وَفِي المسبحات آيَة كألف آيَة
ذكره رزين فِي جَامعه وَلم أره فِي شَيْء من الْأُصُول وَذكره أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ فِي كِتَابه بِغَيْر إِسْنَاد
ذكره رزين فِي جَامعه وَلم أره فِي شَيْء من الْأُصُول وَذكره أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ فِي كِتَابه بِغَيْر إِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সূরা দুখান পাঠ করবে, সে এমন অবস্থায় প্রভাতে উপনীত হবে যে, সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জন্য ইস্তিগফার করতে থাকবে।
(হাদীসটি তিরমিযী ও দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন।
দারা কুতনীর এক বর্ণনায় রয়েছে। যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, সে মার্জনাপ্রাপ্ত অবস্থায় প্রভাত করবে। আর যে ব্যক্তি জুমুআর রাত্রে সূরা দুখান পাঠ করবে, সে মার্জনা প্রাপ্ত অবস্থায় প্রভাত করবে।)
(হাদীসটি তিরমিযী ও দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন।
দারা কুতনীর এক বর্ণনায় রয়েছে। যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, সে মার্জনাপ্রাপ্ত অবস্থায় প্রভাত করবে। আর যে ব্যক্তি জুমুআর রাত্রে সূরা দুখান পাঠ করবে, সে মার্জনা প্রাপ্ত অবস্থায় প্রভাত করবে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2465- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَرَأَ سُورَة الدُّخان فِي لَيْلَة أصبح يسْتَغْفر لَهُ سَبْعُونَ ألف ملك
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ
وَفِي رِوَايَة للدارقطني من قَرَأَ سُورَة يس فِي لَيْلَة أصبح مغفورا لَهُ وَمن قَرَأَ الدُّخان لَيْلَة الْجُمُعَة أصبح مغفورا لَهُ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ
وَفِي رِوَايَة للدارقطني من قَرَأَ سُورَة يس فِي لَيْلَة أصبح مغفورا لَهُ وَمن قَرَأَ الدُّخان لَيْلَة الْجُمُعَة أصبح مغفورا لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬৬. হযরত আবুল মুনযির জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী। আমাকে উত্তম বাক্য শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, হে আবুল মুনযির। তুমি দৈনিক একশবার এ দু'আটি পাঠ কর।
لا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لاشَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكِ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
এটি পাঠ করলে সে দিন তুমিই সকল মানুষের মধ্যে উত্তম আমলকারী হিসেবে গণ্য হবে। তবে কেউ যদি তুমি যা বলেছ তা বলে ফেলে থাকে, তবে তার কথা স্বতন্ত্র।
(হাদীসটি বাযযার জাবির জু'ফীর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
لا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لاشَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكِ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
এটি পাঠ করলে সে দিন তুমিই সকল মানুষের মধ্যে উত্তম আমলকারী হিসেবে গণ্য হবে। তবে কেউ যদি তুমি যা বলেছ তা বলে ফেলে থাকে, তবে তার কথা স্বতন্ত্র।
(হাদীসটি বাযযার জাবির জু'ফীর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2466- وَعَن أبي الْمُنْذر الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا نَبِي الله عَلمنِي أفضل الْكَلَام قَالَ يَا أَبَا الْمُنْذر قل لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير مائَة مرّة فِي يَوْم فَإنَّك يَوْمئِذٍ أفضل
النَّاس عملا إِلَّا من قَالَ مثل مَا قلت
الحَدِيث
رَوَاهُ الْبَزَّار من رِوَايَة جَابر الْجعْفِيّ
النَّاس عملا إِلَّا من قَالَ مثل مَا قلت
الحَدِيث
رَوَاهُ الْبَزَّار من رِوَايَة جَابر الْجعْفِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬৭. নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক একশবার 'লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ করবে, দারিদ্র্য কখনো তাকে স্পর্শ করবে না।
(হাদীসটি ইব্ন আবুদ-দুনিয়া আসাদ ইবন বিদাআ সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আসাদ ব্যতীত এর সকল রাবী নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি ইব্ন আবুদ-দুনিয়া আসাদ ইবন বিদাআ সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আসাদ ব্যতীত এর সকল রাবী নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2467- وَرُوِيَ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه مائَة مرّة فِي كل يَوْم لم يصبهُ فقر أبدا
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا عَن أَسد بن ودَاعَة عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أسدا
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا عَن أَسد بن ودَاعَة عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أسدا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি 'দৈনিক একশবার এ দু'আটি পাঠ করবেঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" সে দশটি দাসমুক্তির পুণ্য লাভ করবে, তার জন্য একশ নেকী লিখিত হবে, তার একশ পাপ মোচন করা হবে এবং সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদে থাকে। আর কোন ব্যক্তি তার চেয়ে উত্তম আমল নিয়ে আসতে পারবে না, তবে যদি কেউ তার চেয়ে অধিক আমল করে থাকে (তবে তার কথা স্বতন্ত্র)।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।
মুসলিম, তিরমিযী এবং নাসাঈ এ অংশটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক একশবার * 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী" পাঠ করবে, তার গুনাহসমূহ মার্জনা করে দেয়া হবে যদিও তা সাগরের ফেনার সমান হয়।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।
মুসলিম, তিরমিযী এবং নাসাঈ এ অংশটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক একশবার * 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী" পাঠ করবে, তার গুনাহসমূহ মার্জনা করে দেয়া হবে যদিও তা সাগরের ফেনার সমান হয়।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2468- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير فِي يَوْم مائَة مرّة كَانَت لَهُ عدل عشر رِقَاب وكتبت لَهُ مائَة حَسَنَة ومحيت عَنهُ مائَة سَيِّئَة وَكَانَت لَهُ حرْزا من الشَّيْطَان يَوْمه ذَلِك حَتَّى يُمْسِي وَلم يَأْتِ أحد بِأَفْضَل مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلَّا أحد عمل أَكثر من ذَلِك
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَزَاد مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَمن قَالَ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ فِي يَوْم مائَة مرّة حطت خطاياه وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَزَاد مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَمن قَالَ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ فِي يَوْم مائَة مرّة حطت خطاياه وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৬৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৬৯. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক দু'শবার "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" পাঠ করবে, তার পূর্বের কেউ তার অগ্রগামী হতে পারবে না এবং তার পরের কেউ তাকে ধরতে পারবে না। তবে যে ব্যক্তি তার চেয়েও উত্তম আমল করেছে।
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে এবং তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে এবং তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2469- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير مِائَتي مرّة فِي يَوْم لم يسْبقهُ أحد كَانَ قبله وَلم يُدْرِكهُ أحد بعده إِلَّا من عمل بِأَفْضَل من عمله
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَالطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৭০. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে কোন বান্দা একশবার "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠাবেন যে, তার চেহারাটি পূর্ণিমা রাতের চন্দ্রের মত হবে। আর এদিন তার আমলের তুলনায় অন্য কারো উত্তম আমল উঠানো হবে না। হ্যাঁ, তবে কেউ যদি তার মত অথবা তার চেয়েও অধিক আমল করে থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2470- وَرُوِيَ عَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَيْسَ من عبد يَقُول لَا إِلَه إِلَّا الله مائَة مرّة إِلَّا بَعثه الله يَوْم الْقِيَامَة وَوَجهه كَالْقَمَرِ لَيْلَة الْبَدْر وَلم يرفع يَوْمئِذٍ لَاحَدَّ عمل أفضل من عمله إِلَّا من قَالَ مثل قَوْله أَو زَاد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে দিন-রাত্রে পঠিত যিকিরসমূহে উৎসাহ দান
২৪৭১. হযরত আলী (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তাঁর কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ। আপনার নিকট যদি কোন পূর্ণ রাত আল্লাহর ইবাদত করতে খুশি অনুভূত হয়। তবে বলুন।
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ حَمَّدًا خَالِدًا مع خلودك ولك الحمد حمدا دائمًا لَا مُنْتَهَى لَهُ دُونَ مَشِيتِكَ وعند كل طرفة عين أو تنفس نفس
"হে আল্লাহ! আপনার সত্তা যেমন চিরস্থায়ী, আমি তেমনি আপনার স্থায়ী প্রশংসা করছি। আপনার জন্য এমন চিরস্থায়ী প্রশংসা যে, আপনার ইচ্ছা ব্যতীত এর কোন শেষ নেই। আমি চোখের প্রতিটি পলক অথবা প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে আপনার প্রশংসা করছি।"
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' এবং আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানের ভাষ্যটি হলঃ জিবরাঈল আলাইহিস্ সালাম বলছেনঃ হে মুহাম্মদ। যদি কোন রাত্রে অথবা দিনে আল্লাহর যথোপযুক্ত ইবাদত করতে আপনার খুশি অনুভূত হয়, তাহলে বলুন।
اللهم لك الحمد حمدا خالدا مع خلودك، ولك الحمد حمدا دائما لا منتهى له دون مشيتك، وعند كل طرفة عين وتنفس نفس.
"হে আল্লাহ! আপনার চিরস্থায়ী সত্তার উপযোগী আপনার জন্য স্থায়ী প্রশংসা। আপনার জন্য এমন প্রশংসা যে, আপনার সন্তষ্টি ব্যতীত এ প্রশংসাকারীর অন্য কোন বিনিময় নেই। চোখের প্রতিটি পালক অথবা প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে আপনার জন্য প্রশংসা।"
এ দু'টি বর্ণনা সূত্রেই আলী ইবনুস সাল্ত নামক একজন রাবী রয়েছেন, যাঁর অবস্থা বর্তমানে আমার মনে নেই। ইতিপূর্বে বায়হাকী সূত্রেও এটি বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।)
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ حَمَّدًا خَالِدًا مع خلودك ولك الحمد حمدا دائمًا لَا مُنْتَهَى لَهُ دُونَ مَشِيتِكَ وعند كل طرفة عين أو تنفس نفس
"হে আল্লাহ! আপনার সত্তা যেমন চিরস্থায়ী, আমি তেমনি আপনার স্থায়ী প্রশংসা করছি। আপনার জন্য এমন চিরস্থায়ী প্রশংসা যে, আপনার ইচ্ছা ব্যতীত এর কোন শেষ নেই। আমি চোখের প্রতিটি পলক অথবা প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে আপনার প্রশংসা করছি।"
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' এবং আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানের ভাষ্যটি হলঃ জিবরাঈল আলাইহিস্ সালাম বলছেনঃ হে মুহাম্মদ। যদি কোন রাত্রে অথবা দিনে আল্লাহর যথোপযুক্ত ইবাদত করতে আপনার খুশি অনুভূত হয়, তাহলে বলুন।
اللهم لك الحمد حمدا خالدا مع خلودك، ولك الحمد حمدا دائما لا منتهى له دون مشيتك، وعند كل طرفة عين وتنفس نفس.
"হে আল্লাহ! আপনার চিরস্থায়ী সত্তার উপযোগী আপনার জন্য স্থায়ী প্রশংসা। আপনার জন্য এমন প্রশংসা যে, আপনার সন্তষ্টি ব্যতীত এ প্রশংসাকারীর অন্য কোন বিনিময় নেই। চোখের প্রতিটি পালক অথবা প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে আপনার জন্য প্রশংসা।"
এ দু'টি বর্ণনা সূত্রেই আলী ইবনুস সাল্ত নামক একজন রাবী রয়েছেন, যাঁর অবস্থা বর্তমানে আমার মনে নেই। ইতিপূর্বে বায়হাকী সূত্রেও এটি বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي أذكار تقال بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار غير مُخْتَصَّة بالصباح والمساء
2471- وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه نزل عَلَيْهِ جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَقَالَ يَا مُحَمَّد إِن سرك أَن تعبد الله لَيْلَة حق عِبَادَته فَقل اللَّهُمَّ لَك الْحَمد حمدا خَالِدا مَعَ خلودك وَلَك الْحَمد حمدا دَائِما لَا مُنْتَهى لَهُ دون مشيئتك وَعند كل طرفَة عين أَو تنفس نفس
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان
وَلَفظه قَالَ يَا مُحَمَّد إِن سرك أَن تعبد الله لَيْلًا حق عِبَادَته أَو يَوْمًا فَقل اللَّهُمَّ لَك الْحَمد حمدا خَالِدا مَعَ خلودك وَلَك الْحَمد حمدا لَا جَزَاء لقائله إِلَّا رضاك وَلَك الْحَمد عِنْد كل طرفَة عين أَو تنفس نفس
وَفِي إسنادهما عَليّ بن الصَّلْت العامري لَا يحضرني حَاله وَتقدم بِنَحْوِهِ عِنْد الْبَيْهَقِيّ وَالله أعلم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان
وَلَفظه قَالَ يَا مُحَمَّد إِن سرك أَن تعبد الله لَيْلًا حق عِبَادَته أَو يَوْمًا فَقل اللَّهُمَّ لَك الْحَمد حمدا خَالِدا مَعَ خلودك وَلَك الْحَمد حمدا لَا جَزَاء لقائله إِلَّا رضاك وَلَك الْحَمد عِنْد كل طرفَة عين أَو تنفس نفس
وَفِي إسنادهما عَليّ بن الصَّلْت العامري لَا يحضرني حَاله وَتقدم بِنَحْوِهِ عِنْد الْبَيْهَقِيّ وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, দরিদ্র মুহাজিরগণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, সম্পদশালী লোকেরা তো উচ্চ মর্যাদাসমূহ এবং স্থায়ী নিয়ামত নিয়ে গেল। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটি কিভাবে? তারা বললঃ তারা আমাদের মত সালাত আদায় করে এবং আমাদের মতই সওম পালন করে। আর তারা দান-খয়রাত করে, অথচ আমরা দান-খয়রাত করি না। তারা দাস মুক্ত করে, অথচ আমরা তা করি না। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন জিনিস শিখিয়ে দেব না যদ্বারা তোমরা তোমাদের অগ্রগামীদেরকে ধরে ফেলবে এবং তোমাদের পিছনে থেকে যাওয়া লোকজন থেকে অগ্রগামী হয়ে যাবে এবং তোমাদের চেয়ে উত্তম আমলকারী আর কেউ হবে না, তবে কেউ যদি তোমাদের মত আমল করে নিয়ে থাকে। তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। অবশ্যই। তিনি বললেন। প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশবার করে সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবর ও আল্হামদু লিল্লাহ পাঠ করবে।
আবু সালিহ বলেনঃ দরিদ্র মুহাজিরগণ আবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আসল এবং বলল, আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা আমাদের আমলের কথা শুনে নিজেরাও আমাদের মত আমল করতে শুরু করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এটি হল আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে চান তা দান করেন।
সুমাই বলেন। আমি এ হাদীসটি আমার পরিবারের কিছু লোকের কাছে বর্ণনা করলে তারা বলতে লাগল। তুমি ভুল শুনেছ, প্রকৃতপক্ষে আবূ সালিহ বলেছেনঃ তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আল্হামদু লিল্লাহ ও চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর বলবে। সুমাই বলেনঃ আমি তখন আবু সালিহ-এর নিকট ফিরে গেলাম এবং বিষয়টির কথা উল্লেখ করলাম। আবু সালিহ তখন আমার হাত ধরলেন এবং বললেনঃ আল্লাহু আকবর, সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ। এভাবে তিনি প্রতিটি বাক্যকে তেত্রিশবার উল্লেখ করলেন।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা মুসলিমের।)
আবু সালিহ বলেনঃ দরিদ্র মুহাজিরগণ আবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আসল এবং বলল, আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা আমাদের আমলের কথা শুনে নিজেরাও আমাদের মত আমল করতে শুরু করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এটি হল আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে চান তা দান করেন।
সুমাই বলেন। আমি এ হাদীসটি আমার পরিবারের কিছু লোকের কাছে বর্ণনা করলে তারা বলতে লাগল। তুমি ভুল শুনেছ, প্রকৃতপক্ষে আবূ সালিহ বলেছেনঃ তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আল্হামদু লিল্লাহ ও চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর বলবে। সুমাই বলেনঃ আমি তখন আবু সালিহ-এর নিকট ফিরে গেলাম এবং বিষয়টির কথা উল্লেখ করলাম। আবু সালিহ তখন আমার হাত ধরলেন এবং বললেনঃ আল্লাহু আকবর, সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ। এভাবে তিনি প্রতিটি বাক্যকে তেত্রিশবার উল্লেখ করলেন।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা মুসলিমের।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2472- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن فُقَرَاء الْمُهَاجِرين أَتَوا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالُوا ذهب أهل الدُّثُور بالدرجات العلى وَالنَّعِيم الْمُقِيم
قَالَ وَمَا ذَاك قَالُوا يصلونَ كَمَا نصلي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُوم وَيَتَصَدَّقُونَ وَلَا نتصدق ويعتقون وَلَا نعتق فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَفلا أعلمكُم شَيْئا تدركون بِهِ من سبقكم وتسبقون بِهِ من بعدكم وَلَا يكون أحد أفضل مِنْكُم إِلَّا من صنع مثل مَا صَنَعْتُم قَالُوا بلَى يَا رَسُول الله قَالَ تسبحون وتكبرون وتحمدون دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة
قَالَ أَبُو صَالح فَرجع فُقَرَاء الْمُهَاجِرين إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالُوا سمع إِخْوَاننَا أهل الْأَمْوَال بِمَا فعلنَا فَفَعَلُوا مثله فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَلِك فضل الله يؤتيه من يَشَاء
قَالَ سمي فَحدثت بعض أَهلِي بِهَذَا الحَدِيث فَقَالَ وهمت إِنَّمَا قَالَ لَك تسبح ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتحمد ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ
قَالَ فَرَجَعت إِلَى أبي صَالح فَقلت لَهُ ذَلِك فَأخذ بيَدي فَقَالَ الله أكبر وَسُبْحَان الله وَالْحَمْد لله الله أكبر وَسُبْحَان الله وَالْحَمْد لله حَتَّى يبلغ من جَمِيعهنَّ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ
قَالَ وَمَا ذَاك قَالُوا يصلونَ كَمَا نصلي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُوم وَيَتَصَدَّقُونَ وَلَا نتصدق ويعتقون وَلَا نعتق فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَفلا أعلمكُم شَيْئا تدركون بِهِ من سبقكم وتسبقون بِهِ من بعدكم وَلَا يكون أحد أفضل مِنْكُم إِلَّا من صنع مثل مَا صَنَعْتُم قَالُوا بلَى يَا رَسُول الله قَالَ تسبحون وتكبرون وتحمدون دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة
قَالَ أَبُو صَالح فَرجع فُقَرَاء الْمُهَاجِرين إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالُوا سمع إِخْوَاننَا أهل الْأَمْوَال بِمَا فعلنَا فَفَعَلُوا مثله فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَلِك فضل الله يؤتيه من يَشَاء
قَالَ سمي فَحدثت بعض أَهلِي بِهَذَا الحَدِيث فَقَالَ وهمت إِنَّمَا قَالَ لَك تسبح ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتحمد ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ
قَالَ فَرَجَعت إِلَى أبي صَالح فَقلت لَهُ ذَلِك فَأخذ بيَدي فَقَالَ الله أكبر وَسُبْحَان الله وَالْحَمْد لله الله أكبر وَسُبْحَان الله وَالْحَمْد لله حَتَّى يبلغ من جَمِيعهنَّ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৩. মুসলিমেরই অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ ও তেত্রিশবার আল্লাহু আকবর বলবে, এতে হবে নিরান্নব্বই। অতঃপর একশ পূর্ণ করার জন্য "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" একবার পাঠ করবে, তার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে-যদিও তা সাগরের ফেনার মত হয়।
এ হাদীসটি মালিক এবং ইবন খুযায়মা ও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এরূপই বর্ণনা করেছেন। তবে মালিক বলেছেনঃ সাগরের ফেনাতুল্য হলেও তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
আবু দাউদ ও এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেনঃ হযরত আবু যর (রা) বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। সম্পদশালীরা তো সব পূণ্য নিয়ে গেল। কেননা তারা আমাদের মত সালাত আদায় ও সওম পালন করে। উপরন্তু তাদের রয়েছে অতিরিক্ত সম্পদ, যা তারা দান করে থাকে, অথচ আমাদের এমন সম্পদ নেই, যা আমরা দান করতে পারি। রাসূলুল্লাহ বললেনঃ হে আবু যর। আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না যার দ্বারা তুমি তোমার চেয়ে অগ্রগামীদেরকে ধরে ফেলতে পারবে এবং তোমার পিছনে থেকে যাওয়া ব্যক্তিটি তোমার নাগাল পাবে না? তবে কেউ যদি তোমার আমলের মত করে ফেলে থাকে, তবে তার কথা স্বতন্ত্র। হযরত আবু যর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি তখন বললেন। প্রত্যেকবার সালাত অন্তে তেত্রিশবার আল্লাহু আকবর, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ বলবে এবং "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শরীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" দিয়ে এটি শেষ করবে। তোমার গুনাহ সাগরের ফেনা পরিমাণ হলেও তা মার্জনা করে দেয়া হবে।
হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। নাসাঈও এটি ইবন আব্বাসের হাদীসরূপে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা অবশ্য এ হাদীসে এও বলেছেনঃ
তোমরা যখন সালাত সমাপ্ত করবে, তখন তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর এবং দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে। এতে তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদেরকে ধরে ফেলবে এবং তোমাদের পিছনের কেউ তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হতে পারবে না।
এ হাদীসটি মালিক এবং ইবন খুযায়মা ও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এরূপই বর্ণনা করেছেন। তবে মালিক বলেছেনঃ সাগরের ফেনাতুল্য হলেও তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
আবু দাউদ ও এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেনঃ হযরত আবু যর (রা) বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। সম্পদশালীরা তো সব পূণ্য নিয়ে গেল। কেননা তারা আমাদের মত সালাত আদায় ও সওম পালন করে। উপরন্তু তাদের রয়েছে অতিরিক্ত সম্পদ, যা তারা দান করে থাকে, অথচ আমাদের এমন সম্পদ নেই, যা আমরা দান করতে পারি। রাসূলুল্লাহ বললেনঃ হে আবু যর। আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না যার দ্বারা তুমি তোমার চেয়ে অগ্রগামীদেরকে ধরে ফেলতে পারবে এবং তোমার পিছনে থেকে যাওয়া ব্যক্তিটি তোমার নাগাল পাবে না? তবে কেউ যদি তোমার আমলের মত করে ফেলে থাকে, তবে তার কথা স্বতন্ত্র। হযরত আবু যর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি তখন বললেন। প্রত্যেকবার সালাত অন্তে তেত্রিশবার আল্লাহু আকবর, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ বলবে এবং "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শরীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" দিয়ে এটি শেষ করবে। তোমার গুনাহ সাগরের ফেনা পরিমাণ হলেও তা মার্জনা করে দেয়া হবে।
হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। নাসাঈও এটি ইবন আব্বাসের হাদীসরূপে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা অবশ্য এ হাদীসে এও বলেছেনঃ
তোমরা যখন সালাত সমাপ্ত করবে, তখন তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর এবং দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে। এতে তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদেরকে ধরে ফেলবে এবং তোমাদের পিছনের কেউ তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হতে পারবে না।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2473- وَفِي رِوَايَة لمُسلم أَيْضا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سبح فِي دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَحمد الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَكبر الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَتلك تِسْعَة وَتسْعُونَ ثمَّ قَالَ تَمام الْمِائَة لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير غفرت لَهُ خطاياه وَإِن كَانَت مثل زبد الْبَحْر
وَرَوَاهُ مَالك وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِلَفْظ هَذِه إِلَّا أَن مَالِكًا قَالَ غفرت لَهُ ذنُوبه وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَلَفظه قَالَ أَبُو هُرَيْرَة قَالَ أَبُو ذَر يَا رَسُول الله ذهب أَصْحَاب الدُّثُور بِالْأُجُورِ يصلونَ كَمَا نصلي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُوم وَلَهُم فضل أَمْوَال يتصدقون بهَا وَلَيْسَ لنا مَال نتصدق بِهِ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا ذَر أَلا أعلمك كَلِمَات تدْرك بهَا من سَبَقَك وَلَا يلحقك من خَلفك إِلَّا من أَخذ بِمثل عَمَلك قَالَ بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ تكبر الله دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَتَحْمَدهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتسبحه ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتختمها بِلَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير غفرت ذنوبك وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ من حَدِيث ابْن عَبَّاس نَحوه
وَقَالا فِيهِ فَإِذا صليتم فَقولُوا سُبْحَانَ الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالْحَمْد لله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالله أكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ مرّة وَلَا إِلَه إِلَّا الله عشر مَرَّات فَإِنَّكُم تدركون من سبقكم وَلَا يسبقكم من بعدكم
وَرَوَاهُ مَالك وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِلَفْظ هَذِه إِلَّا أَن مَالِكًا قَالَ غفرت لَهُ ذنُوبه وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَلَفظه قَالَ أَبُو هُرَيْرَة قَالَ أَبُو ذَر يَا رَسُول الله ذهب أَصْحَاب الدُّثُور بِالْأُجُورِ يصلونَ كَمَا نصلي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُوم وَلَهُم فضل أَمْوَال يتصدقون بهَا وَلَيْسَ لنا مَال نتصدق بِهِ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا ذَر أَلا أعلمك كَلِمَات تدْرك بهَا من سَبَقَك وَلَا يلحقك من خَلفك إِلَّا من أَخذ بِمثل عَمَلك قَالَ بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ تكبر الله دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَتَحْمَدهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتسبحه ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتختمها بِلَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير غفرت ذنوبك وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ من حَدِيث ابْن عَبَّاس نَحوه
وَقَالا فِيهِ فَإِذا صليتم فَقولُوا سُبْحَانَ الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالْحَمْد لله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالله أكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ مرّة وَلَا إِلَه إِلَّا الله عشر مَرَّات فَإِنَّكُم تدركون من سبقكم وَلَا يسبقكم من بعدكم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৪. হযরত কা'ব ইবন উজরা (রা) সূত্রে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ পুনঃ পুনঃ ও উপর্যুপরি পঠিতব্য কয়েকটি বাক্য রয়েছে, যেগুলোর পাঠক অথবা যেগুলোর আমলকারী বঞ্চনাগ্রস্থ হয় না। প্রত্যেক ফরয সালাতের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ ও চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর পাঠ করা।
( হাদীসটি মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
( হাদীসটি মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2474- وَعَن كَعْب بن عجْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مُعَقِّبَات لَا يخيب قائلهن أَو فاعلهن دبر كل صَلَاة مَكْتُوبَة ثَلَاث وَثَلَاثُونَ تَسْبِيحَة وَثَلَاث وَثَلَاثُونَ تَحْمِيدَة وَأَرْبع وَثَلَاثُونَ تَكْبِيرَة
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক: