আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩১৭ টি

হাদীস নং: ২৪৩৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরো এক প্রকার তাসবীহ
২৪৩৫. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) আমাকে দেখলেন যে, আমি আমার ওষ্ঠদ্বয় নাড়াচাড়া করছি। তিনি বললেন, হে আবু উমামা! কি পড়তে ঠোঁট নাড়াচ্ছ? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর যিকির করছি। তিনি বললেন, তোমার সারারাত ও সারা দিনের যিকিরের চেয়ে উত্তম যিকরের সন্ধান কি আমি দেব না? আমি বললাম, অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, তুমি এই তাসবীহটি পাঠ করবেঃ
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ وَسُبْحَانَ اللَّهِ مِلْءَ مَا خَلَقَ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَسُبْحَانَ اللَّهِ مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا أَحْصَى كِتَابُهُ وَسُبْحَانَ اللَّهِ مِلْءَ مَا أَحْصَى كِتَابُهُ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِلْءَ مَا خَلَقَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَدَدَ مَا أَحْصَى كِتَابُهُ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِلْءَ مَا أَحْصَى كِتَابُهُ والحمد لله عدد كل شيء والحمد لله مِن كُلِّ شَيْءٍ
"আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা অনুপাতে, আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর সৃষ্টি যা ভরে ফেলে, সেই পরিমাণ, আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সেই পরিমাণ, যে পরিমাণ সৃষ্টি যমীনে রয়েছে, আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই পরিমাণ, যে পরিমাণ আসমান-যমীনকে ভরে দেয়। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই পরিমাণ, যেই পরিমাণ তাঁর কিতাব লিপিবদ্ধ করেছে, আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই পরিমাণ, যেই পরিমাণ তাঁর লিপির লিখনীকে ভরে দেয়। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সকল বস্তুর সংখ্যা হিসেবে। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই সংখ্যায়, যা সকল বস্তুকে ভরে দেয়। অনুরূপভাবে আমি আল্লাহর প্রশংসা করছি।"
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের নিজ নিজ 'সহীহ' গ্রন্থে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। হাকিম এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।
তাবারানী এ হাদীসটি দু'টি সনদে বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সনদ উত্তম। এর-ভাষ্য হলঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃঃ আমি কি তোমাকে এমন বস্তুর কথা বলব না যে, তোমার সারারাত ও সারা দিনের সাধনাও তার সমান হবে না? আমি বললাম জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি এরূপ বলবেঃ
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِلء كُلِّ شَيْءٍ
এ বর্ণনায় প্রথমে আলহামদু লিল্লাহ, পরে সুবহানাল্লাহ এবং সবশেষে আল্লাহু আকবর পাঠের কথা রয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2435- عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ رَآنِي النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَنا أحرك شفتي فَقَالَ لي بِأَيّ شَيْء تحرّك شفتيك يَا أَبَا أُمَامَة فَقلت أذكر الله يَا رَسُول الله فَقَالَ أَلا أخْبرك بِأَكْثَرَ وَأفضل من ذكرك بِاللَّيْلِ وَالنَّهَار قلت بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ تَقول سُبْحَانَ الله
عدد مَا خلق سُبْحَانَ الله ملْء مَا خلق سُبْحَانَ الله عدد مَا فِي الأَرْض سُبْحَانَ الله ملْء مَا فِي الأَرْض وَالسَّمَاء سُبْحَانَ الله عدد مَا أحصى كِتَابه سُبْحَانَ الله ملْء مَا أحصى كِتَابه سُبْحَانَ الله عدد كل شَيْء سُبْحَانَ الله ملْء كل شَيْء الْحَمد لله عدد مَا خلق وَالْحَمْد لله ملْء مَا خلق وَالْحَمْد لله عدد مَا فِي الأَرْض وَالسَّمَاء وَالْحَمْد لله ملْء مَا فِي الأَرْض وَالسَّمَاء وَالْحَمْد لله عدد مَا أحصى كِتَابه وَالْحَمْد لله ملْء مَا أحصى كِتَابه وَالْحَمْد لله عدد كل شَيْء وَالْحَمْد لله ملْء كل شَيْء

رَوَاهُ أَحْمد وَابْن أبي الدُّنْيَا وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا بِاخْتِصَار وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَادَيْنِ أَحدهمَا حسن وَلَفظه قَالَ أَفلا أخْبرك بِشَيْء إِذا قلته ثمَّ دأبت اللَّيْل وَالنَّهَار لم تبلغه قلت بلَى
قَالَ تَقول الْحَمد لله عدد مَا أحصى كِتَابه وَالْحَمْد لله ملْء مَا أحصى كِتَابه وَالْحَمْد لله عدد مَا أحصى خلقه وَالْحَمْد لله ملْء مَا فِي خلقه وَالْحَمْد لله ملْء سمواته وأرضه وَالْحَمْد لله عدد كل شَيْء وَالْحَمْد لله على كل شَيْء وتسبح مثل ذَلِك وتكبر مثل ذَلِك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৩৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৩৬. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদেরকে বলেছেনঃ আল্লাহর এক বান্দা বলেছিল, "হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার মহান সত্তা ও নিখিল রাজত্বের পক্ষে মানানসই প্রশংসা করছি।" আমল লিখক ফিরিশতাদ্বয় তখন সমস্যায় পড়ে গেলেন, তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না যে, এটি কিভাবে তাঁরা লিখবেন। তাই তাঁরা এটি নিয়ে আসমানে আরোহণ করলেন এবং বললেন, হে আমাদের প্রতিপালক। তোমার বান্দা এমন এক কথা বলেছে, আমরা বুঝতেই পারছি না যে, এটি কিভাবে লিখব। বান্দা কি বলেছে তা জানা থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, আমার বান্দা কি বলেছে? ফিরিশতাদ্বয় বললেন, হে আমাদের প্রতিপালক। সে তো এই বলেছে। হে আমার প্রতিপালক। আমি তোমার মহান সত্তা ও নিখিল রাজত্বের পক্ষে মানানসই প্রশংসা করছি। আল্লাহ তখন ফিরিশতাদ্বয়কে বললেন, এটি তোমরা সেভাবেই লিখে রাখ যেভাবে আমার বান্দা বলেছে- যতক্ষণ না সে আমার সাথে সাক্ষাত করে এবং আমি তাকে এর বিনিময় দিয়ে দেই।
(হাদীসটি আহমদ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি মুত্তাসিল, রাবীগণও নির্ভরযোগ্য। কিন্তু উমরের আযাদকৃত গোলাম সাদাকা ইব্‌ন বশীর নামক রাবীটির নির্ভরযোগ্যতা ও সমালোচনা সম্পর্কে আমি উপস্থিত কিছু বলতে পারছি না।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2436- عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَدثهمْ أَن عبدا من عباد الله قَالَ يَا رب لَك الْحَمد كَمَا يَنْبَغِي لجلال وَجهك ولعظيم سلطانك فعضلت بالملكين فَلم يدريا كَيفَ يكتبانها فصعدا إِلَى السَّمَاء فَقَالَا يَا رَبنَا إِن عَبدك قد قَالَ مقَالَة لَا نَدْرِي كَيفَ نكتبها قَالَ الله وَهُوَ أعلم بِمَا قَالَ عَبده مَاذَا قَالَ عَبدِي قَالَا يَا رب إِنَّه قد قَالَ يَا رب لَك الْحَمد كَمَا يَنْبَغِي لجلال وَجهك ولعظيم سلطانك فَقَالَ الله لَهما اكتباها كَمَا قَالَ عَبدِي حَتَّى يلقاني فأجزيه بهَا

رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه وَإِسْنَاده مُتَّصِل وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَنه لَا يحضرني الْآن فِي صَدَقَة بن بشير مولى العمريين جرح وَلَا عَدَالَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৩৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৩৭. উক্ত হযরত ইবন উমর (রা) সূত্রেই রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই দু'আটি পাঠ করেঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ عَلَى كُلِّ حَالَঃ حَمْدًا يُوَافِي نِعَمَهُ. ويكافي مزيده .
"সকল প্রশংসাই বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য, আমি তাঁর অসংখ্য প্রশংসা করছি, সর্বাবস্থায় নির্ভেজাল ও বরকতময় প্রশংসার অধিকারী তিনিই। আমি তাঁর নিয়ামতের অনুপাতে প্রশংসা করছি এবং এমন প্রশংসা করছি যা তাঁর অনুগ্রহের বিনিময় হতে পারে।"
আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতাগণ তখন বলতে থাকেন, হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার এ বান্দা তোমার যে পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করেছে, আমরা এর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারছি না, আমরা বুঝতেই পারছি না যে, এটি কিভাবে লিখব। আল্লাহ তখন তাদের নিকট ওহী প্রেরণ করে বলেন, আমার বান্দা যেরূপ বলেছে, তোমরা ঠিক সেরূপই লিখে রাখ হে!
(হাদীসটি বুখারী কিতাবুয-যু'আফায় বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2437- رُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَيْضا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ الْحَمد لله رب الْعَالمين حمدا طيبا مُبَارَكًا فِيهِ على كل حَال حمدا يوافي نعمه ويكافىء مزيده ثَلَاث مَرَّات فَتَقول الْحفظَة رَبنَا لَا نحسن كنه مَا قدسك عَبدك هَذَا وحمدك وَمَا نَدْرِي كَيفَ نَكْتُبهُ فَيُوحِي الله إِلَيْهِم أَن اكتبوه كَمَا قَالَ عَبدِي

رَوَاهُ البُخَارِيّ فِي الضُّعَفَاء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৩৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৩৮. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উবাই ইবন কা'ব একদিন বললেন, আমি অবশ্যই মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করব এবং আল্লাহর এমন প্রশংসাই করব, যা আর কেউ ইতোপূর্বে করেনি। তিনি সালাত আদায় করে যখন আল্লাহর প্রশংসা করতে বসলেন, হঠাৎ শুনলেন, কে যেন পিছন থেকে উচ্চেস্বরে বলছেঃ
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كُلُّهُ ، وَلَكَ الْمُلْكُ كُلُّهُ ، بِيَدِكَ الْخَيْرُ كُلُّهُ ، إِلَيْكَ يرْجَعُ الأَمْرُ كُلُّهُ ، عَلاَنِيَتُهُ وَسِرُّهُ ، فَأَهْلٌ أَنْ تُحْمَدَ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، اغْفِرْ لِي مَا مَضَى مِنْ ذُنُوبِي ، وَاعْصِمْنِي فِيمَا بَقِيَ مِنْ عُمْرِي ، وَارْزُقْنِي عَمَلاً زَاكِية تَرْضَى بِها عَنِّي وَتُبْ عَلَى
"হে আল্লাহ। তোমার জন্যই সকল প্রশংসা। তোমার জন্যই নিখিল রাজত্ব, তোমার হাতেই সকল কল্যাণ এবং সকল প্রকাশ্য ও গোপন বিষয় তোমার দিকেই ফিরে যায়। তোমার জন্যই প্রশংসা, তুমি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আমার বিগত গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, অনাগত জীবনে আমাকে গুনাহ থেকে রক্ষা কর, আমাকে এমন পবিত্র আমলের তাওফীক দাও, যাতে তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে এবং তুমি আমার তওবা কবুল কর।"
পরে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এসে ঘটনাটি বললেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ ইনি হলেন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম।
(হাদীসটি ইব্‌ন আবুদ-দুনিয়া 'কিতাবুয যিক্‌র' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2438- عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ أبي بن كَعْب لأدخلن الْمَسْجِد فلأصلين ولأحمدن الله بِمَحَامِد لم يحمده بهَا أحد فَلَمَّا صلى وَجلسَ ليحمد الله ويثني عَلَيْهِ فَإِذا هُوَ بِصَوْت عَال من خَلفه يَقُول اللَّهُمَّ لَك الْحَمد كُله وَلَك الْملك كُله وبيدك الْخَيْر كُله وَإِلَيْك يرجع الْأَمر كُله عَلَانِيَته وسره
لَك الْحَمد إِنَّك على كل شَيْء قدير اغْفِر لي مَا مضى من ذُنُوبِي واعصمني فِيمَا بَقِي من عمري وارزقني أعمالا زاكية ترْضى بهَا عني
وَتب عَليّ
فَأتى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقص عَلَيْهِ فَقَالَ ذَاك جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام

رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الذّكر وَلم يسم تابعيه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৩৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৩৯. মুসআব ইবন সাদ সূত্রে তাঁর পিতা হযরত সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক বেদুঈন নবী করীম (ﷺ)-কে বললঃ আমাকে একটি দু'আ শিখিয়ে দিন, হয়ত এরদ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। তিনি বললেনঃ তুমি বল,
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كُلَّهُ وَإِلَيْكَ يَرْجِعُ الأمر كله
"হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সকল প্রশংসা আর তোমার দিকেই ফিরে যায় সকল বিষয়।"
(হাদীসটি বায়হাকী আবু বাল্‌জ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাঁর নাম হল ইয়াহইয়া ইব্‌ন সুলায়ম অথবা ইয়াহইয়া ইবন আবু সুলায়ম।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2439- وَعَن مُصعب بن سعد عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ أَن أَعْرَابِيًا قَالَ للنَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَلمنِي دُعَاء لَعَلَّ الله أَن يَنْفَعنِي بِهِ
قَالَ قل اللَّهُمَّ لَك الْحَمد كُله وَإِلَيْك يرجع الْأَمر كُله

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ من رِوَايَة أبي بلج واسْمه يحيى بن سليم أَو ابْن أبي سليم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৪০. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) -কে প্রশ্ন করল, উত্তম দু'আ কোনটি যা দিয়ে আমি সালাতে দু'আ করব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন ও জিবরাঈল আলাইহিস সালাম অবতরণ করে বলছেন, উত্তম দু'আ যা তুমি সালাতে বলবে সেটি হলঃ
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كُلُّهُ , وَلَكَ الْمُلْكُ كُلُّهُ , وَلَكَ الْخَلْقُ كُلُّهُ , وَإِلَيْكَ يُرْجَعُ الْأَمْرُ كُلُّهُ , أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُلِّهِ , وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّرِّ كُلِّهِ "
"হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সকল প্রশংসা, তোমার জন্যই সকল রাজত্ব, তোমার জন্যই সকল সৃষ্টি আর তোমার দিকেই সকল বিষয় ফিরে যায়। তোমার নিকট সকল কল্যাণ প্রার্থনা করছি আর তোমার নিকটর সকল অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।"
( এ হাদীসটিও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2440- وَرُوِيَ عَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا قَالَ للنَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَي الدُّعَاء خير أَدْعُو بِهِ فِي صَلَاتي قَالَ نزل جِبْرَائِيل عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام فَقَالَ إِن خير الدُّعَاء أَن تَقول فِي الصَّلَاة اللَّهُمَّ لَك الْحَمد كُله وَلَك الْملك كُله وَلَك الْخلق كُله وَإِلَيْك يرجع الْأَمر كُله أَسأَلك من الْخَيْر كُله وَأَعُوذ بك من الشَّرّ كُله

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ أَيْضا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৪১. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি; যে ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে পুণ্য লাভের আশায় এ দু'আটি পাঠ করবে, দু'আটি এইঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي تَوَاضَعَ كُلُّ شَيْءٍ لِعَظَمَتِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ذَلَّ كُلُّ شَيْءٍ لِعِزَّتِهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي خَضَعَ كُلُّ شَيْءٍ لِمُلْكِهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي اسْتَسْلَمَ كُلُّ شَيْءٍ لِقُدْرَتِهِ
"ঐ আল্লাহর প্রশংসা, যাঁর মাহাত্ম্যের সামনে সকল বস্তু বিনীত হয়ে গিয়েছে, ঐ আল্লাহর প্রশংসা যাঁর গৌরবের সামনে সকল বস্তু হীন হয়ে গিয়েছে, ঐ আল্লাহর প্রশংসা যাঁর রাজত্বের সামনে সকল বস্তু নত হয়ে গিয়েছে, ঐ আল্লাহর প্রশংসা যাঁর শক্তির সামনে সকল কিছু আত্মসমর্পণ করে নিয়েছে।"
আল্লাহ্ এর বিনিময়ে তার জন্য এক হাজার নেকী লিখে দিবেন, এক হাজার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তার সাথে সত্তর হাজার ফিরিশতা নির্দিষ্ট করে দিবেন, যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2441- رُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قَالَ
الْحَمد لله الَّذِي تواضع كل شَيْء لعظمته وَالْحَمْد لله الَّذِي ذل كل شَيْء لعزته وَالْحَمْد لله الَّذِي خضع كل شَيْء لملكه وَالْحَمْد لله الَّذِي استسلم كل شَيْء لقدرته فَقَالَهَا يطْلب بهَا مَا عِنْد الله كتب الله لَهُ بهَا ألف حَسَنَة وَرفع لَهُ بهَا ألف دَرَجَة ووكل بِهِ سَبْعُونَ ألف ملك يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ إِلَى يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৪২. হযরত আবু আইয়ুব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বাক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে বললঃ "আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান তাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহি।" রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, এ কথাটি কে বলেছে? লোকটি চুপ করে রইল এবং মনে করল যে, সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সামনে তাঁর অপসন্দনীয় কোন কাজে লিপ্ত হয়ে গিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবার বললেন, লোকটি কে? সে তো ঠিকই বলেছে। এবার লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি বলেছি এবং এরদ্বারা আমি কল্যাণের আশা পোষণ করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন, ঐ সত্তার শপথ। যাঁর হাতে আমার জীবন। আমি তেরজন ফিরিশতাকে দেখেছি, তারা তোমার বাক্যটি মহান আল্লাহর নিকট উঠিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিযোগিতা করছে।
(হাদীসটি ইব্‌ন আবুদ-দুনিয়া বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2442- عَن أبي أَيُّوب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رجل عِنْد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْحَمد لله حمدا كثيرا طيبا مُبَارَكًا فِيهِ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَاحب الْكَلِمَة فَسكت الرجل وَرَأى أَنه قد هجم من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على شَيْء يكرههُ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من هُوَ فَإِنَّهُ لم يقل إِلَّا صَوَابا فَقَالَ الرجل أَنا قلتهَا يَا رَسُول الله أَرْجُو بهَا الْخَيْر فَقَالَ وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ لقد رَأَيْت ثَلَاثَة عشر ملكا يبتدرون كلمتك أَيهمْ يرفعها إِلَى الله تبَارك وَتَعَالَى

رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৪৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে এক মজলিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও উপস্থিত লোকদের আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম করল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু বলে সালামের উত্তর দিলেন। লোকটি যখন মজলিসে বসল তখন বললঃ "সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, আমি আল্লাহর অনেক প্রশংসা করছি, পবিত্র এবং বরকতময় প্রশংসাবাদ করছি, আমাদের প্রতিপালক যেমন পসন্দ করেন এবং তাঁর যেমনটি প্রশংসা করা উচিত।" রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কিরূপে যেন বললে হে? লোকটি তখন পূর্বের কথাটির পুনরাবৃত্তি করল। নবী করীম (ﷺ) বললেন, ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন, এ বাক্যটি দশজন ফিরিশতা লুফে নিয়েছেন। এঁদের সবাই আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন, এটি লিখার জন্য। কিন্তু কিভাবে লিখবেন তা বুঝে উঠতে পারেননি। শেষে তাঁরা এটি সকল সম্মানের অধিকারী আল্লাহর দরবারে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। আল্লাহ্ বললেন, আমার বান্দা যেভাবে বলেছে, তোমরা এটি ঠিক সেভাবেই লিখে রাখ।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য। নাসাঈ এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা বলেছেনঃ "আমাদের প্রতিপালক যেমনটি পসন্দ করেন এবং যেভাবে সন্তুষ্ট হন।")
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2443- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ كنت مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَالِسا فِي الْحلقَة إِذْ جَاءَ رجل فَسلم على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالْقَوْم فَقَالَ السَّلَام عَلَيْكُم وَرَحْمَة الله فَرد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَعَلَيْكُم السَّلَام وَرَحْمَة الله وَبَرَكَاته فَلَمَّا جلس الرجل قَالَ الْحَمد لله حمدا كثيرا طيبا مُبَارَكًا فِيهِ كَمَا يحب رَبنَا أَن يحمد وَيَنْبَغِي لَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَيفَ قلت فَرد عَلَيْهِ كَمَا قَالَ فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ لقد ابتدرها عشرَة أَمْلَاك كلهم حَرِيص على أَن يَكْتُبهَا فَمَا دروا كَيفَ يكتبونها حَتَّى رفعوها إِلَى ذِي الْعِزَّة فَقَالَ اكتبوها كَمَا قَالَ عَبدِي

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَ كَمَا يحب رَبنَا ويرضى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৪৪. হযরত সালমান (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ এক ব্যক্তি বললঃ আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান। ফিরিশতা এটি লিখতে গিয়ে ঘাবড়ে গেলেন। অতএব তিনি এ বিষয়ে মহান আল্লাহর শরণাপন্ন হলেন। আল্লাহ্ বললেন, আমার বান্দা যেভাবে বলেছে, তুমি ঠিক সেভাবেই তা লিখে রাখ।
(হাদীসটি তাবারানী একটি সমালোচিত সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2444- عَن سلمَان رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قَالَ رجل الْحَمد لله كثيرا فأعظمها الْملك أَن يَكْتُبهَا فراجع فِيهَا ربه عز وَجل فَقَالَ اُكْتُبْهَا كَمَا قَالَ عَبدِي

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد فِيهِ نظر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৪৫. আবুশ শায়খ ও ইবন হিব্বান 'আতিয়্যা সূত্রে হযরত আবু সাঈদ থেকে মরফু' সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, বান্দা যখন বলে 'আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান' অর্থাৎ আল্লাহর জন্যই অনেক অনেক প্রশংসা, তখন মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা আমার বান্দার জন্য অনেক অনেক রহমত লিপিবদ্ধ কর হে!
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2445- وروى أَبُو الشَّيْخ وَابْن حبَان من طَرِيق عَطِيَّة عَن أبي سعيد مَرْفُوعا أَيْضا إِذا قَالَ العَبْد الْحَمد لله كثيرا
قَالَ الله تَعَالَى اكتبوا لعبدي رَحْمَتي كثيرا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরেক প্রকার তাসবীহ
২৪৪৬. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) -এর নিকট জিবরাঈল (আ) আসলেন এবং বললেনঃ হে মুহাম্মদ। যখন কোন রাত্রে অথবা দিনে আল্লাহর হক পরিমাণ ইবাদত করতে আপনার আনন্দ হয়, তখন বলবেনঃ
اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا خَالِدًا مَعَ خُلُودِكَ، وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا لَا مُنْتَهَى لَهُ دُونَ عِلْمِكَ، وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا لَا مُنْتَهَى لَهُ دُونَ مَشِيئَتِكَ وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا لَا أَخرَ لِقَائِلِهِِ إِلَّا رِضَاكَ
"হে আল্লাহ। তোমার তামার অনেক অনেক প্রশংসা। তোমার স্থায়িত্বের অনুরূপ তোমার স্থায়ী প্রশংসা, তোনার জন্য এমন প্রশংসা তোমার জ্ঞান ছাড়া যার কোন সীমা নেই। তোমার এমন প্রশংসা, যার কোন শেষ নেই, তোমার ইচ্ছা ছাড়া। তোমার জন্য এমন প্রশংসা যে, তোমার সন্তুষ্টি ছাড়া এই প্রশংসাকারীর অন্য কোন উদিষ্ট নেই।"
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী বলেনঃ আমি এটি এভাবেই কেবল লিখেছি। এ হাদীসটিতে আলী (রা) এবং তাঁর নীচের রাবীর মধ্যে বর্ণনা পরম্পরায় ছেদ রয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2446- عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نزل عَلَيْهِ جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَقَالَ يَا مُحَمَّد إِذا سرك أَن تعبد الله لَيْلَة حق عِبَادَته أَو يَوْمًا فَقل اللَّهُمَّ لَك الْحَمد حمدا كثيرا خَالِدا مَعَ خلودك وَلَك الْحَمد حمدا لَا مُنْتَهى لَهُ دون علمك وَلَك الْحَمد حمدا لَا مُنْتَهى لَهُ دون مشيئتك وَلَك الْحَمد حمدا لَا آخر لقائله إِلَّا رضاك

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ لم أكتبه إِلَّا هَكَذَا وَفِيه انْقِطَاع بَين عَليّ وَمن دونه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান

(সংকলক বলেন)ঃ পূর্বে উল্লিখিত অনেকগুলো হাদীসে 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা' প্রসঙ্গ এসে গিয়েছে। যেমনঃ হযরত আবু হুরায়রা, উম্মে হানী, আবু সাঈদ, আবদুল্লাহ ইবন আমর এবং আবুল মুনযির (রা)-এর বর্ণিত হাদীসসমূহ। অতএব এগুলোর পুনরাবৃত্তির কোন প্রয়োজন নেই।
২৪৪৭. হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁকে বলেছিলেনঃ তুমি 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বল।' কেননা এটি জান্নাতের ভাণ্ডারসমূহের একটি ভাণ্ডার।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ قد تقدم قَرِيبا فِي أَحَادِيث كَثِيرَة ذكر لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
مِنْهَا حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَحَدِيث أم هانىء وَحَدِيث أبي سعيد وَحَدِيث عبد الله بن عَمْرو وَحَدِيث أبي الْمُنْذر وَغَيرهَا فأغنى قربهَا عَن إِعَادَتهَا
2448- وَعَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَهُ قل لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه فَإِنَّهَا كنز من كنوز الْجنَّة

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৪৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ তুমি বেশি পরিমাণে 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম' পাঠ কর। কেননা এটি জান্নাতের একটি ভাণ্ডারবিশেষ।
মাকহুল বলেনঃ যে ব্যক্তি 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি, লা-মালজাআ মিনাল্লাহি ইল্লা ইলায়হি' পাঠ করবে, আল্লাহ তার অনিষ্টের সত্তরটি দরজা রুদ্ধ করে দিবেন। এর মধ্যে সর্বনিম্নটি হল দারিদ্র্য।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ মুত্তাসিল নয়। কেননা মাকহূল আবূ হুরায়রা (রা) থেকে হাদীস শুনেননি। এ হাদীসটি নাসাঈ এবং বায্‌যার আরও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন এবং 'ওয়ালা মালজাআ মিনাল্লাহি ইল্লা ইলায়হি'-এ অংশটিও মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ দু'টি বর্ণনার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য এবং তাঁদের বর্ণনা গ্রহণযোগ্য। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ এবং এতে কোন গোপন দোষ নেই। তাঁর ভাষ্যটি হলঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি কি তোমাকে আরশের নীচের ও জান্নাতের একটি ভাণ্ডারের কথা শিখিয়ে দিব না অথবা বলেছেনঃঃ সন্ধান দিব না? তুমি বলবেঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।' আল্লাহ তখন বললেনঃ আমার বান্দা আত্মসমর্পণ করল এবং চরম আনুগত্য প্রদর্শন করল।
হাকিমেরই অপর এক বর্ণনায় রয়েছে এবং এটিকেও তিনি সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হে আবু হুরায়রা। আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি ভাণ্ডারের সন্ধানে দিব না? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবশ্যই। তিনি বললেন, তুমি বলবে, "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা মাল্‌জাআ ওয়ালা মানজা মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি।" হাকিম এটি একটি দীর্ঘ হাদীসের আলোচনায় বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2448- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَكثر من قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه الْعلي الْعَظِيم فَإِنَّهَا من كنز الْجنَّة
قَالَ مَكْحُول فَمن قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه وَلَا ملْجأ من الله إِلَّا إِلَيْهِ كشف الله عَنهُ سبعين بَابا من الضّر أدناهن الْفقر

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ هَذَا حَدِيث إِسْنَاده لَيْسَ بِمُتَّصِل
مَكْحُول لم يسمع من أبي هُرَيْرَة
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْبَزَّار مطولا ورفعا وَلَا ملْجأ من الله إِلَّا إِلَيْهِ
ورواتهما ثِقَات مُحْتَج بهم
وَرَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح وَلَا عِلّة لَهُ وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَلا أعلمك أَو أَلا أدلك على كلمة من تَحت الْعَرْش من كنز الْجنَّة تَقول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه فَيَقُول الله أسلم عَبدِي واستسلم
وَفِي رِوَايَة لَهُ وصححها أَيْضا قَالَ يَا أَبَا هُرَيْرَة أَلا أدلك على كنز من كنوز الْجنَّة قلت بلَى يَا رَسُول الله قَالَ تَقول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه وَلَا ملْجأ وَلَا منجى من الله إِلَّا إِلَيْهِ
ذكره فِي حَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৪৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৪৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ করবে, তার ৯৯টি রোগের উপশম হয়ে যাবে। যার মধ্যে সহজতরটি হল দুশ্চিন্তা।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, এর সনদটি সহীহ।
(হাফিয বলেনঃ) বরং এ হাদীসটির সনদে আবুল আসবাত বিশর ইব্‌ন রাফি নামক একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন, যার আলোচনা সামনে আসবে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2449- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه كَانَ دَوَاء من تِسْعَة وَتِسْعين دَاء أيسرها الْهم

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد

قَالَ الْحَافِظ بل فِي إِسْنَاده بشر بن رَافع أَبُو الأسباط وَيَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৫০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৫০. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি দরজার সন্ধান দিব না? সে বলল, সেটা কি? রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ 'লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।"
(হাদীসটি আহমদ ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন। তবে তাবারানী বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি ভাণ্ডারের সন্ধান দিব না? এর সনদটি আল্লাহ চাহে তো সহীহ। কেননা 'আতা ইবনুস-সাইব নির্ভরযোগ্য রাবী। হাম্মাদ ইবন সালামা তাঁর স্মৃতিভ্রমের পূর্বে তাঁর বরাতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2450- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَلا أدلك على بَاب من أَبْوَاب الْجنَّة قَالَ وَمَا هُوَ قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه

رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ إِلَّا أَنه قَالَ أَلا أدلك على كنز من كنوز الْجنَّة
وَإِسْنَاده صَحِيح إِن شَاءَ الله فَإِن عَطاء بن السَّائِب ثِقَة وَقد حدث عَنهُ حَمَّاد بن سَلمَة قبل اخْتِلَاطه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৫১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৫১. হযরত সা'দ ইব্‌ন উবাদা (রা)-এর পুত্র কায়স থেকে বর্ণিত যে, পিতা সা'দ তাঁকে নবী করীম (ﷺ) -এর খিদমতের জন্য নিয়ে গেলেন। কায়স বলেনঃ আমি যখন দু'রাকআত সালাত আদায় করলাম তখন নবী করীম (ﷺ) আমার কাছে আসলেন এবং তাঁর পা দিয়ে আমাকে খোঁচা দিলেন এবং বললেনঃ আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি দরজার সন্ধান দিব না? আমি বললাম জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি বল, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2451- وَعَن قيس بن سعد بن عبَادَة رَضِي الله عَنهُ أَن أَبَاهُ رَفعه إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَخْدمه
قَالَ فَأتى عَليّ نَبِي الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقد صليت رَكْعَتَيْنِ فضربني بِرجلِهِ وَقَالَ أَلا أدلك على بَاب من أَبْوَاب الْجنَّة
قلت بلَى
قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৫২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৫২. হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত যে, মি'রাজ রজনীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত ইবরাহীম (আ)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে জিবরাঈল। তোমার সাথে ইনি কে? তিনি বললেন, ইনি মুহাম্মদ! ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তখন বললেনঃ হে মুহাম্মদ। আপনি আপনার উম্মতকে হুকুম করবেন তারা যেন জান্নাতের চারা অধিক পরিমাণে রোপণ করে। কেননা জান্নাতের মাটি খুবই উর্বর এবং এর ভূমি খুবই বিস্তৃত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, জান্নাতের চারা কি? তিনি বললেনঃ "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।"
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। ইব্‌ন আবুদ-দুনিয়া এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবন আবুদ-দুনিয়া 'কিতাবুয যিকরে' এবং তাবারানী এ হাদীসটি ইবন উমর (রা) থেকে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ তোমরা বেশি করে জান্নাতের চারা রোপণ করবে। কেননা এর পানি মিঠা ও মাটি উর্বর। অতএব এতে বেশি। পরিমাণে চারা রোপণ করবে। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। জান্নাতের চারা কি? তিনি বললেনঃ মা শাআল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2452- وَعَن أبي أَيُّوب الْأنْصَارِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْلَة أسرِي بِهِ مر على إِبْرَاهِيم عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام فَقَالَ من مَعَك يَا جِبْرَائِيل قَالَ هَذَا مُحَمَّد فَقَالَ لَهُ إِبْرَاهِيم عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام يَا مُحَمَّد مر أمتك فليكثروا من غراس الْجنَّة فَإِن تربَتهَا طيبَة وأرضها وَاسِعَة
قَالَ وَمَا غراس الْجنَّة قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَابْن أبي الدُّنْيَا وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي الذّكر وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن عمر قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَكْثرُوا من غراس الْجنَّة فَإِنَّهُ عذب مَاؤُهَا طيب ترابها فَأَكْثرُوا من غراسها
قَالُوا يَا رَسُول الله وَمَا غراسها قَالَ مَا شَاءَ الله لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৫৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৫৩. আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন নবী করীম (ﷺ) -এর পিছনে পথ চলছিলাম। তিনি তখন আমাকে বললেন, হে আবু যর। আমি কি তোমাকে জান্নাতের ভাণ্ডারসমূহের একটি ভাণ্ডারের সন্ধান দিব না? আমি বললাম জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন (এটি হল)ঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ, ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2453- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ كنت أَمْشِي خلف النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لي يَا أَبَا ذَر أَلا أدلك على كنز من كنوز الْجنَّة قلت بلَى
قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن أبي الدُّنْيَا وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৫৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৫৪. হযরত উকবা ইব্‌ন আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ যাকে কোন নিয়ামত দান করেছেন এবং সে এর স্থায়িত্ব কামনা করে, সে যেন অধিক পরিমাণে "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠ করে।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
2454- وَرُوِيَ عَن عقبَة بن عَامر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أنعم الله عَلَيْهِ نعْمَة فَأَرَادَ بقاءها فليكثر من قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
tahqiq

তাহকীক: