আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩১৭ টি
হাদীস নং: ২৪১৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪১৫. হযরত নু'মান ইবন বশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর মাহাত্ম্য ঘোষণায় যে তাসবীহ, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠ করে থাক, এগুলো আল্লাহর আরশের চতুষ্পার্শ্বে উড়তে থাকে এবং মৌমাছির শব্দের মত গুণগুণ করে তার পাঠকারীর কথা বলতে থাকে। তোমাদের কেউ কি চায় না যে, তার কথা স্মরণ করানোর জন্য কেউ থাকুক অথবা এমন কেউ হোক, যে সর্বদা তার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে থাকবে?
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইব্ন মাজাহর। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইব্ন মাজাহর। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2415- وَعَن النُّعْمَان بن بشير رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن مِمَّا تذكرُونَ من جلال الله التَّسْبِيح والتهليل والتحميد ينعطفن حول الْعَرْش لَهُنَّ دوِي كَدَوِيِّ النَّحْل تذكر بصاحبها أما يحب أحدكُم أَن يكون لَهُ أَو لَا يزَال لَهُ من يذكر بِهِ
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪১৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪১৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যখন তোমাদের নিকট কোন হাদীস বর্ণনা করি, তখন কুরআন থেকে এর সত্যতার প্রমাণও উপস্থাপন করে থাকি। বান্দা যখন "সুবহানাল্লাহ আলহামদু লিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবর ওয়া তাবারাকাল্লাহ" পাঠ করে তখন একজন ফিরিশতা এগুলো লুফে নেন এবং তার ডানার নীচে ধারণ করে রাখেন। তারপর এগুলো নিয়ে ঊর্ধ্ব আকাশে উঠতে থাকেন। ফিরিশতাদের যে কোন দলের নিকট দিয়ে তিনি যখন উঠতে থাকেন, তখন তারা এর পাঠকারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। এমনিভাবে এগুলো আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। তারপর আবদুল্লাহ (রা) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন। إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ অর্থাৎ তাঁরই দিকে আরোহণ করে সৎবাক্য এবং সৎকর্ম তাকে তুলে নেয়। (সূরা ফাতির, আয়াত নং-১০)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলেছেনঃ)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলেছেনঃ)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2416- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ إِذا حدثتكم بِحَدِيث أَتَيْنَاكُم بِتَصْدِيق ذَلِك فِي كتاب الله إِن العَبْد إِذا قَالَ سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وتبارك الله قبض عَلَيْهِنَّ ملك فَضَمَّهُنَّ تَحت جنَاحه وَصعد بِهن لَا يمر بِهن على جمع من الْمَلَائِكَة إِلَّا اسْتَغْفرُوا لِقَائِلِهِنَّ حَتَّى يحيا بِهن وَجه الرَّحْمَن ثمَّ تَلا عبد الله
إِلَيْهِ يصعد الْكَلم الطّيب وَالْعَمَل الصَّالح يرفعهُ
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
إِلَيْهِ يصعد الْكَلم الطّيب وَالْعَمَل الصَّالح يرفعهُ
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪১৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪১৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ পৃথিবীর বুকে কেউ যখন "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবর, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ করে, তখন তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনার সমান হয়।
(হাদীসটি নাসাঈ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তিরমিযীর। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। শুবা এ হাদীসটি আবু বাল্জ সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি হাদীসটিকে মারফু বলে উল্লেখ করেননি। হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং হাকিমও বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়ে 'সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ' অংশটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ হাতিম ইবন আবু সগীরা নির্ভরযোগ্য রাবী। তাই তাঁর অতিরিক্ত বর্ণনাটি গ্রহণযোগ্য।)
(হাদীসটি নাসাঈ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তিরমিযীর। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। শুবা এ হাদীসটি আবু বাল্জ সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি হাদীসটিকে মারফু বলে উল্লেখ করেননি। হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং হাকিমও বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়ে 'সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ' অংশটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ হাতিম ইবন আবু সগীরা নির্ভরযোগ্য রাবী। তাই তাঁর অতিরিক্ত বর্ণনাটি গ্রহণযোগ্য।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2417- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا على الأَرْض أحد يَقُول لَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه إِلَّا كفرت عَنهُ خطاياه وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وروى شُعْبَة هَذَا الحَدِيث من أبي بلج بِهَذَا الْإِسْنَاد نَحوه وَلم يرفعهُ انْتهى
وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالْحَاكِم وَزَادا وَسُبْحَان الله وَالْحَمْد لله
وَقَالَ الْحَاكِم حَاتِم ثِقَة وزيادته مَقْبُولَة يَعْنِي حَاتِم بن أبي صَغِيرَة
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وروى شُعْبَة هَذَا الحَدِيث من أبي بلج بِهَذَا الْإِسْنَاد نَحوه وَلم يرفعهُ انْتهى
وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالْحَاكِم وَزَادا وَسُبْحَان الله وَالْحَمْد لله
وَقَالَ الْحَاكِم حَاتِم ثِقَة وزيادته مَقْبُولَة يَعْنِي حَاتِم بن أبي صَغِيرَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪১৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪১৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি গাছের শাখা ধরে ঝাঁকি দিলেন। কিন্তু এর পাতাগুলো ঝরল না। আবার ঝাঁকি দিলেন, এবারও পাতা পড়ল না। তৃতীয়বার এতে ঝাঁকি দিলেন আর পাতাগুলো ঝরতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেনঃ "সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবর" মানুষের গুনাহকে এভাবেই ঝেড়ে পরিষ্কার করে দেয় যেমন বৃক্ষটি তার পাতাগুলোকে ঝেড়ে ফেলছে।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনাকারীদের মতই। তিরমিযীও এটি বর্ণনা করেন। তাঁর ভাষ্যটি হলঃ
নবী করীম (ﷺ) একটি শুকনো পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং এতে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করলেন। সাথে সাথে এর পাতাগুলো ঝরে গেল। তিনি তখন বললেন, "আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবর" মানুষের গুনাহকে এভাবে ঝরিয়ে দেয় যেমন এ বৃক্ষটি তার পাতাগুলোকে ঝরিয়ে ফেলছে।
(তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গরীব। আমাদের জানামতে আ'মাশ আনাস (রা) থেকে হাদীস শুনেননি। তবে ওনি আনাসকে দেখেছেন। (হাফিয বলেন)ঃ আহমদ এটি আ'মাশ সূত্রে বর্ণনা করেননি।)
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনাকারীদের মতই। তিরমিযীও এটি বর্ণনা করেন। তাঁর ভাষ্যটি হলঃ
নবী করীম (ﷺ) একটি শুকনো পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং এতে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করলেন। সাথে সাথে এর পাতাগুলো ঝরে গেল। তিনি তখন বললেন, "আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবর" মানুষের গুনাহকে এভাবে ঝরিয়ে দেয় যেমন এ বৃক্ষটি তার পাতাগুলোকে ঝরিয়ে ফেলছে।
(তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গরীব। আমাদের জানামতে আ'মাশ আনাস (রা) থেকে হাদীস শুনেননি। তবে ওনি আনাসকে দেখেছেন। (হাফিয বলেন)ঃ আহমদ এটি আ'মাশ সূত্রে বর্ণনা করেননি।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2418- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَخذ غصنا فنفضه فَلم ينتفض ثمَّ نفضه فَلم ينتفض ثمَّ نفضه فانتفض فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر تنفض الْخَطَايَا كَمَا تنفض الشَّجَرَة وَرقهَا
رَوَاهُ أَحْمد وَرِجَاله رجال الصَّحِيح وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفظه أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر بشجرة يابسة الْوَرق فضربها بعصا فَتَنَاثَرَ وَرقهَا فَقَالَ إِن الْحَمد لله وَسُبْحَان الله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر لتساقط من ذنُوب العَبْد كَمَا تساقط ورق هَذِه الشَّجَرَة
وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَلَا نَعْرِف للأعمش سَمَاعا من أنس إِلَّا أَنه قد رَآهُ وَنظر إِلَيْهِ انْتهى
قَالَ الْحَافِظ لم يروه أَحْمد من طَرِيق الْأَعْمَش
رَوَاهُ أَحْمد وَرِجَاله رجال الصَّحِيح وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفظه أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر بشجرة يابسة الْوَرق فضربها بعصا فَتَنَاثَرَ وَرقهَا فَقَالَ إِن الْحَمد لله وَسُبْحَان الله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر لتساقط من ذنُوب العَبْد كَمَا تساقط ورق هَذِه الشَّجَرَة
وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَلَا نَعْرِف للأعمش سَمَاعا من أنس إِلَّا أَنه قد رَآهُ وَنظر إِلَيْهِ انْتهى
قَالَ الْحَافِظ لم يروه أَحْمد من طَرِيق الْأَعْمَش
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪১৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪১৯. হযরত মুয়ায ইবন আবদুল্লাহ ইবন রাফি (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি অবদুল্লাহ ইবন উমর, আবদুল্লাহ ইবন জা'ফর ও আবদুল্লাহ ইবন আবু আমীরা (রা)-এর সাথে এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। ইবন আবু আমীরা বললেন, আমি মুয়ায ইবন জাবাল (রা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। দু'টি বাক্য রয়েছে। এর একটি এমন যে, আরশ পর্যন্ত পৌছতে এর কোন প্রতিবন্ধক নেই, আর দ্বিতীয়টি এমন যে, এটি আসমান-যমীনের মধ্যবর্তী সব কিছুকে পূর্ণ করে দেয়। বাক্য দু'টি হলঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর।" ইবন উমর তখন আবু আমীরাকে বললেন, আপনি নিজে কি তাঁকে এ কথা বলতে শুনেছেন? আবূ আমীরা বললেন, হ্যাঁ। আবদুল্লাহ ইবন উমর তখন কাঁদতে লাগলেন। এমনকি তাঁর অশ্রুতে নিজের দাঁড়ি ভিজে গেল। তিনি বললেনঃ এ দু'টি এমন বাক্যকে যেগুলো 'আমি জড়িয়ে থাকব এবং প্রিয় জ্ঞান করব।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। ইবন লাহীয়াহ ব্যতীত মুয়ায পর্যন্ত এর সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য। আর এ হাদীসের পোষকতায় অন্য অনেক বর্ণনাও রয়েছে।)
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। ইবন লাহীয়াহ ব্যতীত মুয়ায পর্যন্ত এর সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য। আর এ হাদীসের পোষকতায় অন্য অনেক বর্ণনাও রয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2419 - وَعَن معَاذ بن عبد الله بن رَافع رَضِي الله عَنْهُم قَالَ كنت فِي مجْلِس فِيهِ عبد الله بن عمر وَعبد الله بن جَعْفَر وَعبد الله بن أبي عميرَة رَضِي الله عَنْهُم فَقَالَ ابْن أبي عميرَة سَمِعت معَاذ بن جبل يَقُول سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول كلمتان إِحْدَاهمَا لَيْسَ لَهَا ناهية دون الْعَرْش وَالْأُخْرَى تملأ مَا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض لَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر فَقَالَ ابْن عمر لِابْنِ أبي عميرَة أَنْت سمعته يَقُول ذَلِك قَالَ نعم فَبكى عبد الله بن عمر حَتَّى اختضبت لحيته بدموعه وَقَالَ هما كلمتان نعلقهما ونألفهما
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته إِلَى معَاذ بن عبد الله ثِقَات سوى ابْن لَهِيعَة ولحديثه هَذَا شَوَاهِد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته إِلَى معَاذ بن عبد الله ثِقَات سوى ابْن لَهِيعَة ولحديثه هَذَا شَوَاهِد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২০. হযরত আবুদ্-দারদা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একবার "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর" পাঠ করবে, আল্লাহ তার এক-চতুর্থাংশকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন, যে ব্যক্তি এটি দু'বার পাঠ করবে, আল্লাহ তার অর্ধেক অংশকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিবেন। আর সে যদি এটি চারবার পাঠ করে, তবে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করে দিবেন।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2420- وَرُوِيَ عَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر أعتق الله ربعه من النَّار وَلَا يَقُولهَا اثْنَتَيْنِ إِلَّا أعتق الله شطره من النَّار وَإِن قَالَهَا أَرْبعا أعْتقهُ الله من النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২১. হযরত ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন উহুদ পরিমাণ আমল করতে পারবে না? সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। দৈনিক উত্তম পরিমাণ আমল কে করতে পারবে? রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তোমাদের সবাই তা পারবে। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) এটি কি? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ, উহুদের চেয়ে অনেক বড়, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ উহুদের চেয়ে অনেক বড়, আলহামদু লিল্লাহ উহুদের চেয়ে অনেক বড়, আল্লাহু আকবর উহুদের চেয়ে অনেক বড়।
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া, নাসাঈ, তাবারানী এবং বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই এটি হাসান সূত্রে ইমরান থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাসান ইমরান থেকে হাদীস শুনেননি। অবশ্য কারো কারো মতে তিনি হাদীস শুনেছেন। এঁদের রাবীগণ সহীহ গ্রন্থের রাবীদের মতই। তবে নাসাঈর উস্তাদ আমর ইবন মনসূর হচ্ছেন এর ব্যতিক্রম। অবশ্য তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী।)
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া, নাসাঈ, তাবারানী এবং বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই এটি হাসান সূত্রে ইমরান থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাসান ইমরান থেকে হাদীস শুনেননি। অবশ্য কারো কারো মতে তিনি হাদীস শুনেছেন। এঁদের রাবীগণ সহীহ গ্রন্থের রাবীদের মতই। তবে নাসাঈর উস্তাদ আমর ইবন মনসূর হচ্ছেন এর ব্যতিক্রম। অবশ্য তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2421 - وَعَنْ عِمْرَانَ يَعْنِي ابْنَ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَا يَسْتَطِيعُ احدكُمْ أَن يَعْمَلَ كُلَّ يَوْمٍ مِثْلَ أحدٍ عَمَلاً ؟ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَمَنْ يَسْتَطِعُ أَنْ يَعْمَلَ كُلَّ يَوْمٍ عَمَلًا مِثْلِ أحدٍ ؟ قَالَ كُلُّكُمْ يَسْتَطِيعُهُ - قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَاذَا ؟ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ أَعْظَمُ مِنْ أحدٍ ؟ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَعْظَمُ مِنْ أحدٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ أَعْظَمُ مِنْ أحدٍ وَاللَّهُ أَكْبَرُ أَعْظَمُ من أحد -
رواه ابن ابی الدنيا والنسائي والطبراني والبزار كلهم عن الحسن عن عمران لم يسمع منه، وقيل سمع ورجالهم رجال الصحيح الا شيخ النسائي عمرو بن منصور ، وهو ثقة
رواه ابن ابی الدنيا والنسائي والطبراني والبزار كلهم عن الحسن عن عمران لم يسمع منه، وقيل سمع ورجالهم رجال الصحيح الا شيخ النسائي عمرو بن منصور ، وهو ثقة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের মধ্যে মানবীয় গুণাবলী বণ্টন করে দিয়েছেন, যেভাবে তিনি তোমাদের মধ্যে রিয্ক বণ্টন করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ যাকে ভালবাসেন- তাকেও অর্থ-সম্পদ দিয়ে থাকেন এবং যাকে ভালবাসেন না, তাকেও দিয়ে থাকেন। কিন্তু ঈমান শুধু তাকেই দান করেন যাকে তিনি ভালবাসেন। অতএব যে ব্যক্তি সম্পদ খরচ করতে কৃপণতার শিকার হয়, শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করতে ভয় পায় এবং রাত্রির সাধনায় সাহসহারা হয়ে যায়, সে যেন অধিক পরিমাণে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবর, আলহামদুলিল্লাহ ও সুবহানাল্লাহ" পাঠ করে।
(হাদীসটি তাবরানী বর্ণনা করেছেন। এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে মূলত এটি মারফু হাদীস নয়।)
(হাদীসটি তাবরানী বর্ণনা করেছেন। এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে মূলত এটি মারফু হাদীস নয়।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2422- وَعَن عبد الله يَعْنِي ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ إِن الله قسم بَيْنكُم أخلاقكم كَمَا قسم بَيْنكُم أرزاقكم وَإِن الله يُؤْتِي المَال من يحب وَمن لَا يحب وَلَا يُؤْتى الْإِيمَان إِلَّا من أحب فَإِذا أحب الله عبدا أعطَاهُ الْإِيمَان فَمن ضن بِالْمَالِ أَن يُنْفِقهُ وهاب الْعَدو أَن يجاهده وَاللَّيْل أَن يكابده فليكثر من قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَالْحَمْد لله وَسُبْحَان الله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات وَلَيْسَ فِي أَصله رَفعه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات وَلَيْسَ فِي أَصله رَفعه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২৩. হযরত আবুল মুনযির জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী। আমাকে সর্বোত্তম কথা শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, হে আবুল মুনযির। তুমি বল, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ইউহয়ী ওয়া ইউমিতু, বিয়াদিহিল খায়রু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।" এটি তুমি প্রতিদিন একশত বার পাঠ করবে। এভাবে তুমি সেদিন সকল মানুষের মধ্যে উত্তম আমলকারী হিসেবে গণ্য হবে। তবে অন্য কেউ যদি তোমার মত এটি বলে থাকে, তবে তার কথা স্বতন্ত্র। আর তুমি বেশি করে "সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওলা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ করবে। কেননা এটি হল মার্জনা ভিক্ষার সর্বশ্রেষ্ঠ দু'আ এবং এটি গুনাহ মোচনের কারণ। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি এও বলেছেনঃ এটি জান্নাতকে অবধারিত করে দেয়।
(হাদীসটি বাযযার জাবির জুফী থেকে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বাযযার জাবির জুফী থেকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2423- وَعَن أبي الْمُنْذر الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا نَبِي الله عَلمنِي أفضل الْكَلَام قَالَ يَا أَبَا الْمُنْذر قل لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير مائَة مرّة فِي كل يَوْم فَإنَّك يَوْمئِذٍ أفضل النَّاس عملا إِلَّا من قَالَ مثل مَا قلت وَأكْثر من قَول سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه فَإِنَّهَا سيد الاسْتِغْفَار وَإِنَّهَا ممحاة للخطايا أَحْسبهُ قَالَ مُوجبَة للجنة
رَوَاهُ الْبَزَّار من رِوَايَة جَابر الْجعْفِيّ
رَوَاهُ الْبَزَّار من رِوَايَة جَابر الْجعْفِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি "সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর" পাঠ করবে, এর প্রতিটি অক্ষরের বিনিময়ে তার জন্য দশটি করে নেকী লিখে দেয়া হবে।
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া একটি নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া একটি নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2424- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر كتب لَهُ بِكُل حرف عشر حَسَنَات
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি "সুবহানাল্লাহ আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবর ও লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম"-এ দু'আটি পাঠ করে, আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আত্মসমর্পণ করল এবং নিজেকে সঁপে দিল।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এর সনদটি সহীহ।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এর সনদটি সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2425- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قَالَ سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه الْعلي الْعَظِيم قَالَ الله أسلم عَبدِي واستسلم
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা যখন জান্নাতের বাগানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে, তখন তাতে মনের সাধে চরে নেবে। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ। জান্নাতের বাগান কি? তিনি বললেন, মসজিদ। আমি প্রশ্ন করলাম, মনের সাধে চরে বেড়ানোটা কি? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার*
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃঃ এটি গরীব হাদীস।
(হাফিয বলেনঃ) হাদীসটি গরীব হলেও এর সনদটি উত্তম।)
*হুযুর পাক (ﷺ) এ হাদীসে উক্ত যিক্রসমূহকেই জান্নাতের বাগিচায় স্বচ্ছন্দে চরে বেড়ানো বলে উল্লেখ করেছেন।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃঃ এটি গরীব হাদীস।
(হাফিয বলেনঃ) হাদীসটি গরীব হলেও এর সনদটি উত্তম।)
*হুযুর পাক (ﷺ) এ হাদীসে উক্ত যিক্রসমূহকেই জান্নাতের বাগিচায় স্বচ্ছন্দে চরে বেড়ানো বলে উল্লেখ করেছেন।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2426- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا مررتم برياض الْجنَّة فارتعوا
قلت يَا رَسُول الله وَمَا رياض الْجنَّة قَالَ الْمَسَاجِد
قلت وَمَا الرتع قَالَ سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ وَهُوَ مَعَ غرابته حسن الْإِسْنَاد
قلت يَا رَسُول الله وَمَا رياض الْجنَّة قَالَ الْمَسَاجِد
قلت وَمَا الرتع قَالَ سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ وَهُوَ مَعَ غرابته حسن الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২৭. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সর্বাগ্রে যাদেরকে জান্নাতের দিকে আহ্বান করা হবে, তারা হল ঐ সকল লোক যারা সুখে-দুঃখে মহান আল্লাহর প্রশংসা করে।
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি তাঁর গ্রন্থত্রয়ে বিভিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সনদ উত্তম। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি তাঁর গ্রন্থত্রয়ে বিভিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সনদ উত্তম। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2427- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أول من يدعى إِلَى الْجنَّة الَّذين يحْمَدُونَ الله عز وَجل فِي السَّرَّاء وَالضَّرَّاء
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الثَّلَاثَة بأسانيد أَحدهَا حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الثَّلَاثَة بأسانيد أَحدهَا حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২৮. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ধীরত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে। আল্লাহর চেয়ে অধিক ওযর-আপত্তি কবুলকারী আর কেউ নেই এবং আল্লাহর নিকট প্রশংসার চেয়ে প্রিয় কোন বস্তু নেই।
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনাকারীদের মতই।)
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনাকারীদের মতই।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2428- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ التأني من الله والعجلة من الشَّيْطَان وَمَا أحد أَكثر معاذير من الله وَمَا من شَيْء أحب إِلَى الله من الْحَمد
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪২৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪২৯. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে কোন নিয়ামত দান করেন আর সে আলহামদু লিল্লাহ বলে, তখন সে এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করে ফেলে। সে যদি দ্বিতীয়বার আলহামদু লিল্লাহ বলে, আল্লাহ নূতন করে তাকে এর পুণ্য দান করেন। আর যদি তৃতীয়বার সে আলহামদু লিল্লাহ বলে, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এর সনদ সহীহ।
(হাফিয বলেনঃ)এই বর্ণনায় আবদুর রহমান ইবন কায়স আবু মু'আবিয়া যাফরানী নামক একজন অত্যন্ত দুর্বল রাবী রয়েছেন। এ হাদীসটি মুনকার হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এর সনদ সহীহ।
(হাফিয বলেনঃ)এই বর্ণনায় আবদুর রহমান ইবন কায়স আবু মু'আবিয়া যাফরানী নামক একজন অত্যন্ত দুর্বল রাবী রয়েছেন। এ হাদীসটি মুনকার হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2429- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أنعم الله على عبد من نعْمَة فَقَالَ الْحَمد لله إِلَّا أدّى شكرها فَإِن قَالَهَا ثَانِيًا جدد الله لَهُ ثَوَابهَا فَإِن قَالَهَا الثَّالِثَة غفر الله لَهُ ذنُوبه
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده عبد الرَّحْمَن بن قيس أَبُو مُعَاوِيَة الزَّعْفَرَانِي واهي الحَدِيث وَهَذَا الحَدِيث مِمَّا أنكر عَلَيْهِ
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده عبد الرَّحْمَن بن قيس أَبُو مُعَاوِيَة الزَّعْفَرَانِي واهي الحَدِيث وَهَذَا الحَدِيث مِمَّا أنكر عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৩০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪৩০. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে কোন নিয়ামত দান করেন আর সে এই নিয়ামতের উপর আল্লাহর প্রশংসা করে নেয়, তখন তার এই প্রশংসা ঐ নিয়ামতটির চেয়েও উত্তম হয়ে যায়, চাই নিয়ামতটি যত বড়ই হোক না কেন।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। হাদীসটিতে মুনকার হওয়ার দোষ রয়েছে।)
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। হাদীসটিতে মুনকার হওয়ার দোষ রয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2430- وَرُوِيَ عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أنعم الله
عز وَجل على عبد نعْمَة فَحَمدَ الله عز وَجل عَلَيْهَا إِلَّا كَانَ ذَلِك أفضل من تِلْكَ النِّعْمَة وَإِن عظمت
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَفِيه نَكَارَة
عز وَجل على عبد نعْمَة فَحَمدَ الله عز وَجل عَلَيْهَا إِلَّا كَانَ ذَلِك أفضل من تِلْكَ النِّعْمَة وَإِن عظمت
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَفِيه نَكَارَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৩১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪৩১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে কোন কথা আল্লাহর প্রশংসা ছাড়া শুরু করা হয়, সেটি বরকতশূন্য হয়ে থাকে।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ, নাসাঈ এবং ইব্ন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা বলেছেনঃ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহর প্রশংসাবাদ ছাড়া শুরু করা হয়, সেটি বরকতশূন্য হয়ে থাকে।
[হাফিয বলেন)ঃ পরবর্তী পরিচ্ছেদেও আল্লাহর প্রশংসা প্রসঙ্গে অনেক হাদীস রয়েছে।)
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ, নাসাঈ এবং ইব্ন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা বলেছেনঃ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহর প্রশংসাবাদ ছাড়া শুরু করা হয়, সেটি বরকতশূন্য হয়ে থাকে।
[হাফিয বলেন)ঃ পরবর্তী পরিচ্ছেদেও আল্লাহর প্রশংসা প্রসঙ্গে অনেক হাদীস রয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2431- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كل كَلَام لَا يبْدَأ فِيهِ بِالْحَمْد لله فَهُوَ أَجْذم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا كل أَمر ذِي بَال لَا يبْدَأ فِيهِ بِحَمْد الله فَهُوَ أقطع
قَالَ الْحَافِظ وَفِي الْبَاب بعده أَحَادِيث فِي الْحَمد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا كل أَمر ذِي بَال لَا يبْدَأ فِيهِ بِحَمْد الله فَهُوَ أقطع
قَالَ الْحَافِظ وَفِي الْبَاب بعده أَحَادِيث فِي الْحَمد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৩২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'সুবহানাল্লাহ', 'আলহামদু লিল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' ও 'আল্লাহু আকবার' সমন্বিত দু'আ
পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৩২. হযরত জুওয়াইরিয়া (রা) থেকে বর্ণিত যে, একদিন নবী করীম (ﷺ) তাঁর নিকট থেকে বেরিয়ে গেলেন। তারপর দুপুরে ফিরে আসলেন। আর এতক্ষণ জুওয়াইরিয়া (রা) বসা ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাকে যে অবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিলাম, তুমি কি সারাক্ষণ এ অবস্থাতেই ছিলে? তিনি বললেন জ্বী হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমার নিকট থেকে যাওয়ার পর আমি এমন চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি যে, তুমি আজ সারাদিনে যা পড়েছঃ এর তুলনায় ঐগুলো বেশি ভারী হবে।"
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ ، وَرِضَا نَفْسِهِ ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
"আমি আল্লাহর সপ্রশংসা পবিত্রতা ঘোষণা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যার পরিমাণ, তাঁর সত্তার সন্তুষ্টি পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ ও তাঁর বাণীর কালি পরিমাণ।"
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় "সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী সুবহানল্লাহি ওয়া রিযা নাফসিহী, সুবহানাল্লাহি যীনাতা আরশিহী সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহী"-এভাবে উল্লেখিত হয়েছে। নাসাঈ এর শেষে আলহামদু লিল্লাহর উল্লেখও করেছেন। নাসাঈর অপর বর্ণনায় তাসবিহটি এভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর আদাদা খালকিহী ওয়া রিযা নাফসিহী ওয়া যীনাতা আরশিহী ওয়া মিদাদা কালিমাতিহী। এ প্রসঙ্গে তিরমিযীর ভাষ্যটি এইঃ নবী করীম (ﷺ) একদিন জুওয়াইরিয়ার কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তিনি তখন মুসাল্লাতে বসা ছিলেন। তারপর দ্বি-প্রহরের কাছাকাছি সময়ে আবার তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, আর তিনি তখনও মুসাল্লায় বসা। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি সারাক্ষণ এ অবস্থায়ই ছিলে? তিনি বললেন জী হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাকে আমি কয়েকটি বাক্য শিখিয়ে দিচ্ছি, তুমি এগুলো পাঠ করবে। সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী সুবহানাল্লাহি আদাদ খালকিহী, সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী তিনবার। সুবহানাল্লাহি রিযা নাফসিহী, সুবহানাল্লাহি রিযা নাফসিহী, সুবহানাল্লাহি রিযা নাফসিহী তিনবার। যীনাতা আরশিহী এবং মিদাদা কালিমাতিহী যুক্ত করেও তিনবার পাঠ করবে। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। নাসাঈর এক বর্ণনাতেও প্রত্যেকটি বাক্য তিনবার করে পাঠ করার কথা উল্লেখিত হয়েছে।)
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ ، وَرِضَا نَفْسِهِ ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
"আমি আল্লাহর সপ্রশংসা পবিত্রতা ঘোষণা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যার পরিমাণ, তাঁর সত্তার সন্তুষ্টি পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ ও তাঁর বাণীর কালি পরিমাণ।"
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় "সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী সুবহানল্লাহি ওয়া রিযা নাফসিহী, সুবহানাল্লাহি যীনাতা আরশিহী সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহী"-এভাবে উল্লেখিত হয়েছে। নাসাঈ এর শেষে আলহামদু লিল্লাহর উল্লেখও করেছেন। নাসাঈর অপর বর্ণনায় তাসবিহটি এভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর আদাদা খালকিহী ওয়া রিযা নাফসিহী ওয়া যীনাতা আরশিহী ওয়া মিদাদা কালিমাতিহী। এ প্রসঙ্গে তিরমিযীর ভাষ্যটি এইঃ নবী করীম (ﷺ) একদিন জুওয়াইরিয়ার কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তিনি তখন মুসাল্লাতে বসা ছিলেন। তারপর দ্বি-প্রহরের কাছাকাছি সময়ে আবার তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, আর তিনি তখনও মুসাল্লায় বসা। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি সারাক্ষণ এ অবস্থায়ই ছিলে? তিনি বললেন জী হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাকে আমি কয়েকটি বাক্য শিখিয়ে দিচ্ছি, তুমি এগুলো পাঠ করবে। সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী সুবহানাল্লাহি আদাদ খালকিহী, সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী তিনবার। সুবহানাল্লাহি রিযা নাফসিহী, সুবহানাল্লাহি রিযা নাফসিহী, সুবহানাল্লাহি রিযা নাফসিহী তিনবার। যীনাতা আরশিহী এবং মিদাদা কালিমাতিহী যুক্ত করেও তিনবার পাঠ করবে। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। নাসাঈর এক বর্ণনাতেও প্রত্যেকটি বাক্য তিনবার করে পাঠ করার কথা উল্লেখিত হয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي جَوَامِع من التَّسْبِيح والتحميد والتهليل وَالتَّكْبِير
2432- عَن جوَيْرِية رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خرج من عِنْدهَا ثمَّ رَجَعَ بعد أَن أضحى وَهِي جالسة فَقَالَ مَا زلت على الْحَال الَّتِي فارقتك عَلَيْهَا
قَالَت نعم
قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لقد قلت بعْدك أَربع كَلِمَات ثَلَاث مَرَّات لَو وزنت بِمَا قلت مُنْذُ الْيَوْم لوزنتهن سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ عدد خلقه ورضاء نَفسه وزنة عَرْشه ومداد كَلِمَاته
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ
وَفِي رِوَايَة لمُسلم سُبْحَانَ الله عدد خلقه سُبْحَانَ الله رِضَاء نَفسه سُبْحَانَ الله زنة عَرْشه سُبْحَانَ الله مداد كَلِمَاته
زَاد النَّسَائِيّ فِي آخِره وَالْحَمْد لله كَذَلِك
وَفِي رِوَايَة لَهُ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر عدد خلقه ورضاء نَفسه وزنة عَرْشه ومداد كَلِمَاته
وَلَفظ التِّرْمِذِيّ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر عَلَيْهَا وَهِي فِي الْمَسْجِد ثمَّ مر بهَا وَهِي فِي الْمَسْجِد قريب نصف النَّهَار فَقَالَ مَا زلت على حالك فَقَالَت نعم فَقَالَ أعلمك كَلِمَات تقولينها سُبْحَانَ الله عدد خلقه سُبْحَانَ الله عدد خلقه سُبْحَانَ الله عدد خلقه
ثَلَاث مَرَّات سُبْحَانَ الله رضَا نَفسه سُبْحَانَ الله رضَا نَفسه سُبْحَانَ الله رضَا نَفسه ثَلَاث مَرَّات وَذكر زنة عَرْشه ومداد كَلِمَاته ثَلَاثًا ثَلَاثًا
وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
وَفِي رِوَايَة للنسائي تكْرَار كل وَاحِدَة وَاحِدَة ثَلَاثًا أَيْضا
قَالَت نعم
قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لقد قلت بعْدك أَربع كَلِمَات ثَلَاث مَرَّات لَو وزنت بِمَا قلت مُنْذُ الْيَوْم لوزنتهن سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ عدد خلقه ورضاء نَفسه وزنة عَرْشه ومداد كَلِمَاته
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ
وَفِي رِوَايَة لمُسلم سُبْحَانَ الله عدد خلقه سُبْحَانَ الله رِضَاء نَفسه سُبْحَانَ الله زنة عَرْشه سُبْحَانَ الله مداد كَلِمَاته
زَاد النَّسَائِيّ فِي آخِره وَالْحَمْد لله كَذَلِك
وَفِي رِوَايَة لَهُ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر عدد خلقه ورضاء نَفسه وزنة عَرْشه ومداد كَلِمَاته
وَلَفظ التِّرْمِذِيّ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر عَلَيْهَا وَهِي فِي الْمَسْجِد ثمَّ مر بهَا وَهِي فِي الْمَسْجِد قريب نصف النَّهَار فَقَالَ مَا زلت على حالك فَقَالَت نعم فَقَالَ أعلمك كَلِمَات تقولينها سُبْحَانَ الله عدد خلقه سُبْحَانَ الله عدد خلقه سُبْحَانَ الله عدد خلقه
ثَلَاث مَرَّات سُبْحَانَ الله رضَا نَفسه سُبْحَانَ الله رضَا نَفسه سُبْحَانَ الله رضَا نَفسه ثَلَاث مَرَّات وَذكر زنة عَرْشه ومداد كَلِمَاته ثَلَاثًا ثَلَاثًا
وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
وَفِي رِوَايَة للنسائي تكْرَار كل وَاحِدَة وَاحِدَة ثَلَاثًا أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৩৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরো এক প্রকার তাসবীহ
২৪৩৩. হযরত আয়িশা বিনত সা'দ ইবন আবু ওয়াককাস সূত্রে তাঁর পিতা হযরত সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদিন রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে এক মহিলার নিকট গেলেন। মহিলাটির সামনে কিছু খেজুরদানা অথবা কঙ্কর ছিল। সে এগুলো দিয়ে তাসবীহ পাঠ করছিল। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে সহজ অথবা উত্তম পদ্ধতি বলে দিব না? তারপর তিনি বললেন, (তুমি এরূপ বলবে ঃ) 'সুবহানাল্লাহ্ আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি এই পরিমাণ যে পরিমাণ মাখলুক তিনি আসমানে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি এই পরিমাণ যে পরিমাণ মাখলুক তিনি যমীনে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর পবিত্রতা এই পরিমাণ যে পরিমাণ মাখলুক আসমান-যমীনের মধ্যে তিনি সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহর পবিত্রতা এই পরিমাণ যে, পরিমাণ মাখলুক তিনি ভবিষ্যতে সৃষ্টি করবেন। 'আল্লাহু আকবরও অনুরূপভাবে বলবে, আলহামদু লিল্লাহও অনুরূপভাবে বলবে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহও অনুরূপ বলবে এবং লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতাও অনুরূপ বলবে।
(হাদীসটি আবূ দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, সাদ সূত্রে বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-গরীব। নাসাঈ ও ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ এর সনদ বলে মন্তব্য করেছেন।)
(হাদীসটি আবূ দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, সাদ সূত্রে বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-গরীব। নাসাঈ ও ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ এর সনদ বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2433- عَن عَائِشَة بنت سعد بن أبي وَقاص عَن أَبِيهَا رَضِي الله عَنهُ أَنه دخل مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على امْرَأَة وَبَين يَديهَا نوى أَو حَصى تسبح بِهِ فَقَالَ أخْبرك بِمَا هُوَ أيسر عَلَيْك من هَذَا أَو أفضل فَقَالَ سُبْحَانَ الله عدد مَا خلق فِي السَّمَاء سُبْحَانَ الله عدد مَا خلق فِي الأَرْض سُبْحَانَ الله عدد مَا بَين ذَلِك سُبْحَانَ الله عدد مَا هُوَ خَالق وَالله أكبر مثل ذَلِك وَالْحَمْد لله مثل ذَلِك وَلَا إِلَه إِلَّا الله مثل ذَلِك وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه مثل ذَلِك
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب من حَدِيث سعد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب من حَدِيث سعد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৩৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ আরো এক প্রকার তাসবীহ
২৪৩৪. তিরমিযী এবং হাকিম হযরত সাফিয়্যা (রা) থেকেও বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম (ﷺ) একবার তাঁর কাছে গিয়ে দেখলেন যে, তাঁর সামনে চার হাজার খেজুরদানা রয়েছে এবং তিনি এগুলো গুণে তাসবীহ পাঠ করছেন। তিনি বললেন, তুমি যে পরিমাণ তাসবীহ পাঠ করেছ, এর চেয়ে অধিক পূণ্যময় তাসবীহ-এর কথা কি আমি তোমাকে বলবনা? সফিয়্যা বললেনঃ জ্বী হ্যাঁ, আমাকে তা শিখিয়ে দিন। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন। তুমি বলবেঃ সুবাহানাল্লাহি আদাদা মা খালক্বিহী। হাকিমের বর্ণনায়ঃ তুমি পাঠ করবেঃ সুবহানাল্লাহি আদাদা মা খালাকা মিন শাইয়িন।
তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গরীব। হাশিম ইবন সাঈদ কুফীর এ সূত্রটি ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে সাফিয়্যা (রা) থেকে এটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আর এ সূত্রটি সুপরিচিত নয়।)
তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গরীব। হাশিম ইবন সাঈদ কুফীর এ সূত্রটি ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে সাফিয়্যা (রা) থেকে এটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আর এ সূত্রটি সুপরিচিত নয়।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
نوع آخر
2434- وروى التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم أَيْضا عَن صَفِيَّة رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دخل عَلَيْهَا وَبَين يَديهَا أَرْبَعَة آلَاف نواة تسبح بِهن فَقَالَ أَلا أعلمك بِأَكْثَرَ مِمَّا سبحت بِهِ فَقَالَت بلَى عَلمنِي فَقَالَ قولي سُبْحَانَ الله عدد خلقه
وَقَالَ الْحَاكِم قولي سُبْحَانَ الله عدد مَا خلق من شَيْء وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه من حَدِيث صَفِيَّة إِلَّا من هَذَا الْوَجْه من حَدِيث هَاشم بن سعيد الْكُوفِي وَلَيْسَ إِسْنَاده بِمَعْرُوف
وَقَالَ الْحَاكِم قولي سُبْحَانَ الله عدد مَا خلق من شَيْء وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه من حَدِيث صَفِيَّة إِلَّا من هَذَا الْوَجْه من حَدِيث هَاشم بن سعيد الْكُوفِي وَلَيْسَ إِسْنَاده بِمَعْرُوف
তাহকীক: