আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩১৭ টি

হাদীস নং: ২৪৯৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৪৯৫. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি সালাতের উদ্দেশ্যে নিজ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলেঃ
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِحَقِّ السَّائِلِينَ عَلَيْكَ، وَأَسْأَلُكَ بِحَقِّ مَمْشَايَ هَذَا، فَإِنِّي لَمْ أَخْرُجْ أَشَرًا، وَلاَ بَطَرًا، وَلاَ رِيَاءً، وَلاَ سُمْعَةً، وَخَرَجْتُ اتِّقَاءَ سُخْطِكَ، وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِكَ، فَأَسْأَلُكَ أَنْ تُعِيذَنِي مِنَ النَّارِ، وَأَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ
"হে আল্লাহ। আমি প্রার্থনাকারীদের অধিকার সূত্রে তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এবং আমি যে তোমার দিকে রওয়ানা হয়ে আসছি এ সূত্রেও প্রার্থনা করছি। তুমি অবশ্যই জান যে, আমাকে কোন পাপ, কোন প্রকার অহংকার, কোন ধরনের খ্যাতির আশা এবং লোক দেখানোর মনোবৃত্তি ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসেনি। আমি কেবল গুনাহর ভয়ে এবং এ থেকে পলায়নের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এসেছি। তোমার রহমতের আশায় এবং আযাবের ভয়ে আমি ঘর ছেড়েছি। তোমার ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য এবং তোমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি যে, তুমি আপন দয়ার দ্বারা আমাকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করবে।"
আল্লাহ তার পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা মোতায়েন করে দেন এবং সালাত শেষ না করা পর্যন্ত আল্লাহ তার প্রতি তাঁর রহমতের দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন।
হাদীসটি রযীন বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীসের মূল গ্রন্থসমূহে আমি এটি দেখিনি। কেবল ইবন মাজাহ এটি একটি দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য আমার উস্তাদ আবুল হাসান (র) হাদীসটির ব্যাপারে ভাল মন্তব্য করেছেন। শব্দমালা হলঃ
আমি রাসূলুল্লাহ প্রায় কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি সালাতের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলেঃ
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِحَقِّ السَّائِلِينَ عَلَيْكَ، وَأَسْأَلُكَ بِحَقِّ مَمْشَايَ هَذَا، فَإِنِّي لَمْ أَخْرُجْ أَشَرًا، وَلاَ بَطَرًا، وَلاَ رِيَاءً، وَلاَ سُمْعَةً، وَخَرَجْتُ اتِّقَاءَ سُخْطِكَ، وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِكَ، فَأَسْأَلُكَ أَنْ تُعِيذَنِي مِنَ النَّارِ، وَأَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ
"হে আল্লাহ্। প্রার্থনাকারীদের অধিকার সূত্রে এবং আমার এ পথ চলার অধিকার সূত্রে তোমার কাছে আমি প্রার্থনা করছি। কেননা আমি কোন পাপের উদ্দেশ্যে, অহংকার প্রদর্শনের জন্য, লোক দেখানোর জন্য এবং সুখ্যাতি লাভের আশায় ঘর থেকে বের হয়ে আসিনি; বরং আমি তোমার ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য এবং তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য বেরিয়ে এসেছি। আমি তোমার কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছি যে, তুমি আমাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর এবং আমার গুনাহ মাফ করে দাও। তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।"
আল্লাহ তার প্রতি তাঁর রহমতের দৃষ্টিপাত করেন এবং সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2495- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من خرج من بَيته إِلَى الصَّلَاة فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بِحَق السَّائِلين عَلَيْك وبحق خروجي إِلَيْك إِنَّك تعلم أَنه لم يخرجني أشر وَلَا بطر وَلَا سمعة وَلَا رِيَاء خرجت هربا وفرارا من ذُنُوبِي إِلَيْك خرجت رَجَاء رحمتك وشفقا من عذابك خرجت اتقاء سخطك وابتغاء مرضاتك أَسأَلك أَن تنقذني من النَّار بِرَحْمَتك وكل الله بِهِ سبعين ألف ملك يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ وَأَقْبل الله عَلَيْهِ بِوَجْهِهِ حَتَّى يفرغ من صلَاته

ذكره رزين وَلم أره فِي شَيْء من
الْأُصُول الَّتِي جمعهَا إِنَّمَا رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد فِيهِ مقَال وَحسنه شَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن رَحمَه الله

وَلَفظه قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من خرج من بَيته إِلَى الصَّلَاة فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بِحَق السَّائِلين عَلَيْك وبحق ممشاي هَذَا فَإِنِّي لم أخرج أشرا وَلَا بطرا وَلَا رِيَاء وَلَا سمعة وَخرجت اتقاء سخطك وابتغاء مرضاتك أَسأَلك أَن تعيذني من النَّار وَأَن تغْفر لي ذُنُوبِي إِنَّه لَا يغْفر الذُّنُوب إِلَّا أَنْت أقبل الله إِلَيْهِ بِوَجْهِهِ واستغفر لَهُ سَبْعُونَ ألف ملك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৪৯৬. হায়ওয়া ইবন শুরায়হ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি উক্‌বা ইবন মুসলিমের সাক্ষাৎ পেয়ে তাঁকে বললামঃ আমি অবগত হয়েছি যে, আপনি হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন তখন বলতেন।
أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
"আমি মহান আল্লাহ, তাঁর পূত সত্তা এবং তাঁর নিখিল রাজত্বের ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।"
উকবা বললেন, এতটুকুই? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তখন বললেন, কেউ যখন এ কথাটি বলে, তখন শয়তান বলে উঠে। সারা দিনের জন্য সে আমার দিক থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।
(আবূ দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2496- وَعَن حَيْوَة بن شُرَيْح قَالَ لقِيت عقبَة بن مُسلم فَقلت لَهُ بَلغنِي أَنَّك حدثت عَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَقُول إِذا دخل الْمَسْجِد أعوذ بِاللَّه الْعَظِيم وبوجهه الْكَرِيم وسلطانه الْقَدِيم من الشَّيْطَان الرَّجِيم
قَالَ أقط قلت نعم
قَالَ فَإِذا قَالَ ذَلِك قَالَ الشَّيْطَان حفظ مني سَائِر ذَلِك الْيَوْم

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৪৯৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি ঘর থেকে মসজিদের দিকে বের হয় এবং বলেঃ
أعوذ بالله العظيم وسلطانه القديم من الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ، رَبِّي اللَّهُ تَوَكَّلْتُ عَلَى الله فَوَّضتُ أمرى إلى الله ، لاحول ولا قوة الا بالله
"আমি মহান আল্লাহ ও তাঁর নিখিল রাজত্বের ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাই। আল্লাহ্ আমার প্রভু, আমি তাঁর উপরই ভরসা করলাম, আমার সকল বিষয় তাঁরই হাতে ন্যস্ত করলাম। আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোন কল্যাণ লাভের ও অকল্যাণ থেকে বাঁচার সাধ্য নাই।" ফিরিশতারা তাকে বলেঃ তোমার সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করা হল, তোমাকে পথের সন্ধান দেয়া হল এবং সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা হল।
(হাদীসটি রযীন উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2497- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد فَقَالَ أعوذ بِاللَّه الْعَظِيم وسلطانه الْقَدِيم من الشَّيْطَان الرَّجِيم رَبِّي الله توكلت على الله فوضت أَمْرِي إِلَى الله لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه قَالَ لَهُ الْملك كفيت وهديت ووقيت

ذكره رزين
হাদীস নং: ২৪৯৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৪৯৮. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি নিজের ঘরে প্রবেশ করে এবং প্রবেশের সময় ও খাদ্য গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, শয়তান তখন (তার সহচরদেরকে) বলে। এখানে রাত্রে তোমাদের অবস্থানের ও রাতের খাবারে অংশগ্রহণের কোন অবকাশ নেই। আর কেউ যখন আল্লাহর নাম না নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে, তখন শয়তান বলে। তোমরা রাত্রি যাপনের সুযোগ পেয়ে গেলে। আর যখন খাদ্য গ্রহণের সময় আল্লাহকে স্বরণ না করে, তখন শয়তান বলে। তোমরা রাত্রি যাপন এবং খাদ্য গ্রহণের সুযোগ পেয়ে গেলে।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2498- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِذا دخل الرجل بَيته فَذكر الله عِنْد دُخُوله وَعند طَعَامه قَالَ الشَّيْطَان لَا مبيت لكم وَلَا عشَاء وَإِذا دخل فَلم يذكر الله عِنْد دُخُوله قَالَ الشَّيْطَان أدركتم الْمبيت وَإِذا لم يذكر الله عِنْد طَعَامه قَالَ الشَّيْطَان أدركتم الْمبيت وَالْعشَاء

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ২৪৯৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৪৯৯. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ হে বৎস। তুমি যখন তোমার নিজের পরিবার-পরিজনের নিকট প্রবেশ কর, তখন আসসালামু আলাইকুম বল। এটি তোমার এবং তোমার পরিবারের জন্য বরকতের হেতু হবে।
(হাদীসটি তিরমিযী আলী ইবন যায়দ সূত্রে ইবনুল মুসাইয়েবের মাধ্যমে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীব।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2499- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا بني إِذا
دخلت على أهلك فَسلم فَتكون بركَة عَلَيْك وعَلى أهل بَيْتك

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ عَن عَليّ بن زيد عَن ابْن الْمسيب عَنهُ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح غَرِيب
হাদীস নং: ২৫০০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৫০০. হযরত সালমান ফারসী (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এ বিষয়টি পসন্দ করে যে, শয়তান তার নিকট আহার, দুপুরের নিদ্রা ও রাত্রি যাপনে শরীক না হোক, সে যেন ঘরে প্রবেশের সময় সালাম করে এবং খাদ্য গ্রহণের সময় বিসমিল্লাহ বলে।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2500- وَرُوِيَ عَن سلمَان الْفَارِسِي رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من سره أَن لَا يجد الشَّيْطَان عِنْده طَعَاما وَلَا مقيلا وَلَا مبيتا فليسلم إِذا دخل بَيته وليسم على طَعَامه

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ঘর থেকে মসজিদের দিকে অথবা অন্য কোথাও রওয়ানা হবার সময় এবং সেখানে প্রবেশের
সময় দু'আ পাঠে উৎসাহ দান
২৫০১. হযরত আবূ উমামা (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির দায়িত্ব মহান আল্লাহর উপর। ঐ ব্যক্তি, যে মহান আল্লাহর পথে জিহাদে বের হয়েছে, তার দায়িত্ব আল্লাহর উপর, যে পর্যন্ত না তিনি তাকে মৃত্যু দিয়ে তার অর্জিত পুণ্য ও গণীমতসহ জান্নাতে দাখিল করবেন। দ্বিতীয় ঐ ব্যক্তি যে মসজিদের দিকে বেরিয়ে গেছে, তার দায়িত্বও আল্লাহর উপর, যে পর্যন্ত না আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিয়ে জান্নাতে দাখিল করবেন অথবা পূণ্য ও গণীমতসহ ফিরিয়ে আনবেন। তৃতীয় ঐ ব্যক্তি, যে নিজের বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে, সেও মহান আল্লাহর দায়িত্বে থাকে।
(হাদীসটি আবু দাউদ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানের ভাষ্যটি হলঃ তিন ব্যক্তি আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। তারা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে তাদেরকে জীবিকা প্রদান করা হয় এবং তাদের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে দেয়া হয়। আর যদি মারা যায়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করে। ঐ ব্যক্তি, যে সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে, সে আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। তারপর আনুপূর্বিক হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُول إِذا خرج من بَيته إِلَى الْمَسْجِد وَغَيره وَإِذا دخلهما
2501- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة كلهم ضَامِن على الله عز وَجل رجل خرج غازيا فِي سَبِيل الله عز وَجل فَهُوَ ضَامِن على الله حَتَّى يتوفاه فيدخله الْجنَّة بِمَا نَالَ من أجر أَو غنيمَة وَرجل رَاح إِلَى الْمَسْجِد فَهُوَ ضَامِن على الله حَتَّى يتوفاه فيدخله الْجنَّة أَو يردهُ بِمَا نَالَ من أجر أَو غنيمَة وَرجل دخل بَيته بِسَلام فَهُوَ ضَامِن على الله عز وَجل

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَلَفظه قَالَ ثَلَاثَة كلهم ضَامِن على الله إِن عَاشَ رزق وكفي وَإِن مَاتَ دخل الْجنَّة رجل دخل بَيته بِسَلام فَهُوَ ضَامِن على الله
فَذكر الحَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সালাতরত অবস্থায় বা অন্য সময়ে কারো অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হলে বিশেষ দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৫০২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কারো কাছে শয়তান এসে বলে থাকেঃ তোমাকে কে সৃষ্টি করেছে? সে বলে আল্লাহ্! তখন শয়তান বলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? অতএব তোমাদের কেউ যখন এ অবস্থার সম্মুখীন হয়, তখন যেন সে বলেঃ امنت بالله ورسوله এমনটি করলে তা দূর হয়ে যাবে।
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে এবং আবু ইয়ালা ও বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাবারানী এটি তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাতে' হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আহমদ এটি খুযায়মা ইবন সাবিত থেকেও বর্ণনা করেছেন। যিক্‌র অনুচ্ছেদে ইতোপূর্বেও হারিস আশআরীর হাদীসটি এসেছে যেখানে বলা হয়েছেঃ আমি তোমাদেরকে অধিক পরিমাণে যিক্‌র করার নির্দেশ দিচ্ছি। আর এর উদাহরণ হল ঐ ব্যক্তির মত, যাকে দ্রুত শত্রু ধাওয়া করেছে আর এসে কোন দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করে নিজেকে সুরক্ষিত করে নিয়েছে। অনুরূপভাবে কোন বান্দা শয়তান থেকে রক্ষা পায় না; তবে আল্লাহর যিকরের দ্বারা সে রক্ষা পেতে পারে। এ হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বান প্রমুখও এটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله من حصلت لَهُ وَسْوَسَة فِي الصَّلَاة وَغَيرهَا
2502- عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن أحدكُم يَأْتِيهِ الشَّيْطَان فَيَقُول من خلقك فَيَقُول الله فَيَقُول من خلق الله فَإِذا وجد ذَلِك أحدكُم فَلْيقل آمَنت بِاللَّه وَرَسُوله فَإِن ذَلِك يذهب عَنهُ

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد وَأَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط من حَدِيث عبد الله بن عَمْرو

وَرَوَاهُ أَحْمد أَيْضا من حَدِيث خُزَيْمَة بن ثَابت رَضِي الله عَنهُ وَتقدم فِي الذّكر وَغَيره حَدِيث الْحَارِث الْأَشْعَرِيّ وَفِيه وآمركم بِذكر الله كثيرا وَمثل ذَلِك كَمثل رجل طلبه الْعَدو سرَاعًا فِي أَثَره حَتَّى أَتَى حصنا حصينا فأحرز نَفسه فِيهِ وَكَذَلِكَ العَبْد لَا ينجو من
الشَّيْطَان إِلَّا بِذكر الله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان وَغَيرهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সালাতরত অবস্থায় বা অন্য সময়ে কারো অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হলে বিশেষ দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৫০৩. হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম যে, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে কিসে রক্ষা পাওয়া যায়, এ বিষয়টি যদি আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট জিজ্ঞাসা করতে পারতাম! হযরত আবু বকর (রা) তখন বললেন, আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে জিজ্ঞাস করেছিলাম। তিনি তখন বলেছিলেন। আমার চাচাকে (আবু তালিব) যে কথাটি বলতে আমি অনুরোধ করেছিলাম আর তিনি তা কোনমতেই বলেননি, সে কথাটিই তোমাদের মনের ওয়াসওয়াসাকে দূর করতে পারে।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি খুবই সুন্দর। আবদুর রহমান ইবন মু'আবিয়া আবুল খুয়ায়রিসকে ইবন হিব্বান নির্ভরযোগ্য রাবী বলে বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া এর পোষকতায় আরও অনেক বর্ণনা রয়েছে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله من حصلت لَهُ وَسْوَسَة فِي الصَّلَاة وَغَيرهَا
2503- وَعَن عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ قَالَ تمنيت أَن أكون سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَاذَا ينجينا مِمَّا يلقِي الشَّيْطَان من أَنْفُسنَا فَقَالَ أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ قد سَأَلته عَن ذَلِك فَقَالَ ينجيكم مِنْهُ مَا أمرت بِهِ عمي أَن يَقُوله فَلم يقلهُ

رَوَاهُ أَحْمد وَإِسْنَاده جيد حسن
وَعبد الرَّحْمَن بن مُعَاوِيَة أَبُو الْحُوَيْرِث وَثَّقَهُ ابْن حبَان وَله شَوَاهِد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সালাতরত অবস্থায় বা অন্য সময়ে কারো অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হলে বিশেষ দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৫০৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ শয়তান তোমাদের কারো নিকট এসে বলতে থাকে। এ জিনিসটি কে সৃষ্টি করেছেন? এ জিনিসটি কে সৃষ্টি করেছেন? এমনকি সে বলে উঠেঃ তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছেন? অতএব তোমাদের কেউ যখন এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়, তখন সে যেন 'আউযুবিল্লাহ' পাঠ করে নেয় এবং এ খেয়াল থেকে ফিরে আসে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।
মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় "امنت بالله ورسوله পড়তে বলা হয়েছে।
আবু দাউদ ও নাসাঈর এক বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ তোমরা তখন বলে দাওঃ আল্লাহ্ এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে কেউ জন্ম দেয়নি আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। তারপর বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে এবং শয়তান থেকে পানাহ চাইবে।
নাসাঈর এক বর্ণনায়ঃ শয়তান ও তার ফিৎনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله من حصلت لَهُ وَسْوَسَة فِي الصَّلَاة وَغَيرهَا
2504- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَأْتِي الشَّيْطَان أحدكُم فَيَقُول من خلق كَذَا من خلق كَذَا حَتَّى يَقُول من خلق رَبك فَإِذا بلغه فليستعذ بِاللَّه ولينته

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وَفِي رِوَايَة لمُسلم فَلْيقل آمَنت بِاللَّه وَرَسُوله

وَفِي رِوَايَة لابي دَاوُد وَالنَّسَائِيّ فَقولُوا الله أحد الله الصَّمد لم يلد وَلم يُولد وَلم يكن لَهُ كفوا أحد ثمَّ ليتفل عَن يسَاره ثَلَاثًا وليستعذ بِاللَّه من الشَّيْطَان

وَفِي رِوَايَة للنسائي فليستعذ بِاللَّه مِنْهُ وَمن فتنه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সালাতরত অবস্থায় বা অন্য সময়ে কারো অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হলে বিশেষ দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৫০৫. আবু যুমায়ল সিমাক ইবনুল ওলীদ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হযরত ইবন আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এটি, কি জিনিস, যা আমি অন্তরে অনুভব করি? তিনি বললেন, এটি কি? আমি বললাম,, আল্লাহর শপথ! আমি এটি মুখেই আনতে পারব না। তখন ইবন আব্বাস (রা) আমাকে বললেনঃ সংশয় জাতীয় কোন জিনিস? এ বলে ইবন আব্বাস হাসলেন এবং বললেনঃ এ থেকে কেউ রেহাই পায়নি। পরিশেষে মহান আল্লাহ এ আয়াতটি নাযিল করলেনঃ "সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক, যা আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। অতএব তুমি কখনো সন্দেহকারী হয়ো না।" (১০ঃ ৯৪)
তারপর তিনি বললেন, তোমার মনে যখন এমন কিছু সৃষ্টি হয়, তখন বলে দিওঃ তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।
(হাদীসটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله من حصلت لَهُ وَسْوَسَة فِي الصَّلَاة وَغَيرهَا
2505- وَعَن أبي زميل سماك بن الْوَلِيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت ابْن عَبَّاس فَقلت مَا شَيْء أَجِدهُ فِي صَدْرِي
قَالَ مَا هُوَ قلت وَالله لَا أَتكَلّم بِهِ
قَالَ فَقَالَ لي أَشَيْء من شكّ قَالَ وَضحك قَالَ مَا نجا من ذَلِك أحد
قَالَ حَتَّى أنزل الله عز وَجل فَإِن كنت فِي شكّ مِمَّا أنزلنَا إِلَيْك فاسأل الَّذين يقرؤون الْكتاب من قبلك لقد جَاءَك الْحق من رَبك فَلَا تكونن من الممترين الْبَقَرَة 741
قَالَ فَقَالَ لي إِذا وجدت فِي نَفسك شَيْئا فَقل هُوَ الأول وَالْآخر وَالظَّاهِر وَالْبَاطِن وَهُوَ بِكُل شَيْء عليم

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ সালাতরত অবস্থায় বা অন্য সময়ে কারো অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হলে বিশেষ দু'আ পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৫০৬. হযরত উসমান ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) -এর নিকট এসে বলেছিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! শয়তান আমার ও আমার সালাতের মধ্যে এবং কিরাআত পাঠের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা ও সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয়। রাসূলুল্লাহ বললেন, এটি হল খিনুযাব নামক শয়তান। অতএব যখন তুমি তার উপস্থিতি আঁচ করবে, তখন 'আউযুবিল্লাহ' পাঠ করবে এবং বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে। উসমান বলেনঃ আমি এমন করলাম আর আল্লাহ্ আমার এ অবস্থাটি দূর করে দিলেন।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِيمَا يَقُوله من حصلت لَهُ وَسْوَسَة فِي الصَّلَاة وَغَيرهَا
2506- وَعَن عُثْمَان بن العَاصِي رَضِي الله عَنهُ أَنه أَتَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله إِن الشَّيْطَان قد حَال بيني وَبَين صَلَاتي وقراءتي يلبسهَا عَليّ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَاك شَيْطَان يُقَال لَهُ خنزب فَإِذا أحسسته فتعوذ بِاللَّه واتفل عَن يسارك
قَالَ فَفعلت ذَلِك فأذهبه الله عني

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫০৭. হযরত আবু যর (রা) সূত্রে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ মহান আল্লাহ্ বলেনঃ হে আদম সন্তান। তোমরা সবাই গুনাহগার, তবে আমি যাকে ক্ষমা করে দিয়েছি (সে নয়)। অতএব, তোমরা আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করব। তোমাদের সবাই দরিদ্র, তবে আমি যাকে সম্পদশালী করে দিয়েছি (সে নয়)। অতএব তোমরা আমার নিকট চাও, আমি তোমাদেরকে দান করব। তোমরা সবাই পথহারা, তবে আমি যাকে পথ দেখিয়েছি (সে নয়)। অতএব তোমরা আমার নিকট হিদায়াতের প্রার্থনা জানাও, আমি তোমাদেরকে হিদায়াত দান করব। আর যে ব্যক্তি এ বিশ্বাস নিয়ে আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে যে, তাকে ক্ষমা করে দেয়ার উপর আমার শক্তি রয়েছে, আমি কোন কিছুর পরওয়া না করে তাকে ক্ষমা করে দিব। তোমাদের প্রথম ও শেষ ব্যক্তিটি, তোমাদের জীবিত ও মৃত এবং তোমাদের যুবক ও বৃদ্ধ সবাই যদি তোমাদের সর্বাধিক পাপাচারী লোকটির অন্তরের অধিকারী হয়ে যায়, তবুও এটি আমার রাজত্বে মাছির ডানা পরিমাণ ক্ষতিও করতে পারবে না। আর তোমাদের প্রথম ও শেষ ব্যক্তিটি, তোমাদের জীবিত ও মৃত এবং যুবক ও বৃদ্ধ সবাই যদি তোমাদের সর্বাধিক মুত্তাকী ব্যক্তিটির অন্তরের অধিকারী হয়ে যায়, তবুও এটি আমার রাজত্বে মাছির ডানা পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটাতে পারবে না। আর যদি তোমাদের প্রথম ও শেষ ব্যক্তিটি, তোমাদের জীবিত ও মৃত এবং যুবক ও বৃদ্ধ সবাই আমার নিকট তাদের চরম আকাঙ্ক্ষার শেষ সীমায় পৌছে যায় এবং আমি তাদের সবার কাঙ্ক্ষিত বস্তু দিয়েও দেই, তবুও এটি আমার ভাণ্ডার থেকে এতটুকু হ্রাস করতে পারবে না, একটি সূঁচ সাগরের পানিতে চুবিয়ে তুলে নিলে যতটুকু পানি হ্রাস পায়। এটি এজন্য যে, আমি দাতা, সম্মানিত এবং ক্ষমতার অধিকারী। আমার দান একটি কথার ব্যাপার মাত্র। আর আমার আযাবও একটি কথার ব্যাপার মাত্র। আমি যখন কোন বিষয় সম্পাদন করতে চাই, তখন বলিঃ 'হয়ে যাও' আর সাথে সাথে তা হয়ে যায়।
(হাদীসটি মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। ইবন মাজাহ এবং বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা বায়হাকীর। এর সনদে শাহর ইবন হাওশাব এবং ইবরাহীম ইব্‌ন তাহমান নামক দু'জন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছে। তিরমিযীর ভাষ্যটিও এইরূপ। তবে তিনি, 'হে আমার বান্দাগণ!' কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। মুসলিমের ভাষ্যটি একটি অনুচ্ছেদের পরেই আসবে ইনশা আল্লাহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2507- عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ يَقُول الله عز وَجل يَا ابْن آدم كلكُمْ مذنب إِلَّا من عافيت فاستغفروني أَغفر لكم وكلكم فَقير إِلَّا من أغنيت فاسألوني أعطكم وكلكم ضال إِلَّا من هديت فاسألوني الْهدى أهدكم وَمن استغفرني وَهُوَ يعلم أَنِّي ذُو قدرَة على أَن أَغفر لَهُ غفرت لَهُ وَلَا أُبَالِي وَلَو أَن أولكم وآخركم وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم اجْتَمعُوا على قلب أَشْقَى رجل وَاحِد مِنْكُم مَا نقص ذَلِك من سلطاني مثل جنَاح بعوضة وَلَو أَن أولكم وآخركم وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم اجْتَمعُوا على أتقى قلب رجل وَاحِد مِنْكُم مَا زادوا فِي سلطاني مثل جنَاح بعوضة وَلَو أَن أولكم وآخركم وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم سَأَلُونِي حَتَّى تَنْتَهِي مَسْأَلَة كل وَاحِد مِنْهُم فأعطيتهم مَا سَأَلُونِي مَا نقص ذَلِك مِمَّا عِنْدِي كمغرز إبرة لَو غمسها أحدكُم فِي الْبَحْر وَذَلِكَ أَنِّي جواد ماجد وَاحِد عطائي كَلَام وعذابي كَلَام إِنَّمَا أَمْرِي لشَيْء إِذا أردته أَن أَقُول لَهُ كن فَيكون

رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَفِي إِسْنَاده شهر بن حَوْشَب وَإِبْرَاهِيم بن طهْمَان وَلَفظ التِّرْمِذِيّ نَحوه إِلَّا أَنه قَالَ يَا عبَادي وَيَأْتِي لفظ لمُسلم فِي الْبَاب بعده إِن شَاءَ الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫০৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫০৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ বলেনঃ হে আদম সন্তান। তুমি আমাকে যত ডাকবে ও আশা পোষণ করবে, আমি তোমার সকল গুনাহ মাফ করে দিব, আর এতে মোটেও পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান। তোমার গুনাহরাশি যদি আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত গিয়ে পৌছে, তারপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, তবুও আমি তোমাকে মার্জনা করে দিব। আর এতে আমি কোন পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান। তুমি যদি পৃথিবী পূর্ণ পাপরাশি নিয়েও আমার সাথে সাক্ষাত কর আর আমার সাথে কোন কিছু শরীক করা ব্যতীত সাক্ষাত কর, তবে আমি পৃথিবীপূর্ণ মাগফিরাত নিয়ে তোমার কাছে আসব।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি হাসান-গরীব হাদীস।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2508- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول قَالَ الله يَا ابْن آدم إِنَّك مَا دعوتني ورجوتني غفرت لَك على مَا كَانَ مِنْك وَلَا أُبَالِي
يَا ابْن آدم لَو بلغت ذنوبك
عنان السَّمَاء ثمَّ استغفرتني غفرت لَك وَلَا أُبَالِي
يَا ابْن آدم إِنَّك لَو أتيتني بقراب الأَرْض خَطَايَا ثمَّ لقيتني لَا تشرك بِي شَيْئا لأتيتك بقرابها مغْفرَة

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
হাদীস নং: ২৫০৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫০৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ইবলীস বলেছিল, তোমার সম্মানের শপথ। আমি তোমার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে থাকব, যতদিন তাদের দেহে আত্মা থাকবে। আল্লাহ বললেনঃ আমার সম্মান ও মহত্বের শপথ। আমি তাদেরকে ক্ষমা করে থাকব, যে পর্যন্ত তারা আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
(হাদীসটি আহমদ ও হাকিম দাররাজ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2509- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قَالَ إِبْلِيس وَعزَّتك لَا أَبْرَح أغوي عِبَادك مَا دَامَت أَرْوَاحهم فِي أَجْسَادهم فَقَالَ وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا أَزَال أَغفر لَهُم مَا استغفروني

رَوَاهُ أَحْمد وَالْحَاكِم من طَرِيق دراج وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫১০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫১০. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের রোগ ও ঔষধের কথা বলব না? মনে রেখো। তোমাদের রোগ হল গুনাহ আর তোমাদের ঔষধ হল ইসতিগফার।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। আর এটি কাতাদা সূত্রে আনাসের বাণী হিসেবেও বর্ণিত হয়েছে। সম্ভবত এটিই সঠিক।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2510- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أدلكم على دائكم ودوائكم أَلا إِن داءكم الذُّنُوب ودواءكم الاسْتِغْفَار

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقد رُوِيَ عَن قَتَادَة من قَوْله وَهُوَ أشبه بِالصَّوَابِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫১১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫১১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃঃ ও যে ব্যক্তি সর্বদা ইসতিগফার অবলম্বন করবে, আল্লাহ তাকে সকল চিন্তা থেকে মুক্তি দিবেন, সকল সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি দিবেন এবং তার ধারণাতীত স্থান থেকে তাকে জীবিকা সরবরাহ করবেন।
(হাদীসটি আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই এটি হাকাম ইবন মুসআব-এর বরাতে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2511- وَعَن عبد الله بن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لزم الاسْتِغْفَار جعل الله لَهُ من كل هم فرجا وَمن كل ضيق مخرجا ورزقه من حَيْثُ لَا يحْتَسب

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من رِوَايَة الحكم بن مُصعب وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫১২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫১২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন বুসর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ ভাগ্যবান সেই ব্যক্তি, যার আমলনামায় অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার পাওয়া যাবে।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ সহীহ সনদে এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2512- وَعَن عبد بن بسر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول طُوبَى لمن وجد فِي صَحِيفَته اسْتِغْفَار كثير

رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد صَحِيح وَالْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫১৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫১৩. হযরত যুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের আমলনামা দেখে খুশি হতে চায়, সে যেন এতে অধিক পরিমাণ ইসতিগফার অন্তর্ভুক্ত করে নেয়।
(হাদীসটি বায়হাকী একটি নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2513- وَعَن الزبير رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أحب أَن تسرهُ صَحِيفَته فليكثر فِيهَا من الاسْتِغْفَار

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫১৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি অনুপ্রেরণা দান
২৫১৪. হযরত উম্মে ইসমা আউসীয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন মুসলমান যখন কোন গুনাহ্ করে বসে, ফিরিশতা তখন তিন ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।* সে যদি গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে নেয়, তবে ফিরিশতা তা লিপিবদ্ধ করেন না এবং কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাকে শাস্তি দিবেন না।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এর সনদ সহীহ।)

*আমল লিপিবদ্ধকারী ফিরিশতা।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي الاسْتِغْفَار
2514- وَعَن أم عصمَة العوصية رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من مُسلم يعْمل ذَنبا إِلَّا وقف الْملك ثَلَاث سَاعَات فَإِن اسْتغْفر من ذَنبه لم يَكْتُبهُ عَلَيْهِ وَلم يعذبه الله يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক: