আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২১৮ টি

হাদীস নং: ১৮৪৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) যখন বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণের কাজ শেষ করলেন, তখন মহান আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করলেন: (১) আল্লাহ যেন তাঁকে এমন বিচারকার্যের ক্ষমতা দান করেন, যা তাঁর বিধানের অনুকূল হবে। (২) এমন রাজত্ব দান করেন, যা তাঁর পরবর্তী আর কারও ভাগ্যে না জুটে এবং (৩) যে কেউ এই মসজিদে একমাত্র সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে এলো, সে যেন সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় গুনাহরাশি থেকে বের হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, বস্তুত দু'টি তো তাঁকে দিয়েই দেয়া হয়েছে। আমি আশা করি যে, তাঁকে তৃতীয়টিও দেয়া হবে।
(হাদীসটি আহমদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইবন মাজাহর। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেন। হাকীম এটি আরও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ এবং এতে কোন দোষ নেই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1845- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لما فرغ سُلَيْمَان بن دَاوُد عَلَيْهِمَا السَّلَام من بِنَاء بَيت الْمُقَدّس سَأَلَ الله عز وَجل ثَلَاثًا أَن يؤتيه حكما يُصَادف حكمه وملكا لَا يَنْبَغِي لَاحَدَّ من بعده وَأَنه لَا يَأْتِي هَذَا الْمَسْجِد أحد لَا يُرِيد إِلَّا الصَّلَاة فِيهِ إِلَّا خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما اثْنَتَيْنِ فقد أعطيهما وَأَرْجُو أَن يكون قد أعطي الثَّالِثَة

رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم أطول من هَذَا وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا وَلَا عِلّة لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৪৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪৬. হযরত আবু হুরায়রা ও হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন: রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, আমার এই মসজিদে একটি সালাত অন্য যে কোন মসজিদের হাজার সালাত অপেক্ষা উত্তম। তবে মসজিদুল আকসা ব্যতীত।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারীদের মতই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1846- وَعَن أبي هُرَيْرَة وَعَائِشَة رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَا قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَلَاة فِي مَسْجِدي خير من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ من الْمَسَاجِد إِلَّا الْمَسْجِد الْأَقْصَى

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৪৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪৭. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, বায়তুল মুকাদ্দাসে সালাত আদায় অধিক উত্তম, নাকি মসজিদে নববীতে? তিনি বলেছিলেন, আমার মসজিদে একটি সালাত বায়তুল মুকাদ্দাসে চারটি সালাত অপেক্ষা উত্তম। এটি সালাতের জন্য কতই না উত্তম স্থান। এটি হাশর ও পুনরুত্থান ভূমি। মানুষের উপর এমন এক সময় আসবে যে, বায়তুল মুকাদ্দাস দেখা যায় এমন স্থানের একটি ছড়ি পরিমাণ জায়গা অথবা একটি ধনুক বরাবর জায়গা তার নিকট সম্পূর্ণ পৃথিবী অপেক্ষা উত্তম অথবা প্রিয় মনে হবে।
(হাদীসটি বায়হাকী নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য এর মতনটি অপরিচিত।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1847- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ أَنه سَأَلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن الصَّلَاة فِي بَيت الْمُقَدّس أفضل أَو فِي مَسْجِد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ صَلَاة فِي مَسْجِدي هَذَا أفضل من أَربع صلوَات فِيهِ ولنعم الْمصلى هُوَ أَرض الْمَحْشَر والمنشر وليأتين على النَّاس زمَان ولقيد سَوط أَو قَالَ قَوس الرجل حَيْثُ يرى مِنْهُ بَيت الْمُقَدّس خير لَهُ أَو أحب إِلَيْهِ من الدُّنْيَا جَمِيعًا

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَفِي مَتنه غرابة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৪৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪৮. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার এই মসজিদে একটি সালাত অন্যত্র এক হাজার সালাত অপেক্ষা উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত। আমার এই মসজিদে একটি জুমুআ অন্যত্র এক হাজার জুমুআর চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত। আমার এই মসজিদে একটি রমযান মাস অন্যত্র হাজার রমযান মাস অপেক্ষা উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী এবং অন্যরাও এটি হযরত ইব্‌ন উমর (রা) এর হাদীস হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। ইতিপূর্বে হযরত বিলাল (রা)-এর হাদীসটিও সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1848- وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الصَّلَاة فِي
مَسْجِدي هَذَا أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام وَالْجُمُعَة فِي مَسْجِدي هَذَا أفضل من ألف جُمُعَة فِيمَا سواهُ إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام وَشهر رَمَضَان فِي مَسْجِدي هَذَا أفضل من ألف شهر رَمَضَان فِيمَا سواهُ إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ أَيْضا هُوَ وَغَيره من حَدِيث ابْن عمر بِنَحْوِهِ وَتقدم حَدِيث بِلَال مُخْتَصرا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৪৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪৯. হযরত উসায়দ ইবন যুহায়র আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী করীম-এর সাহাবী ছিলেন। তিনি হাদীস বর্ণনা করেন যে, নবী করীম ﷺ বলেছেন: মসজিদে কুবায় সালাত আদায় একটি উমরা পালনের সমতুল্য।
(হাদীসটি তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব। (হাফিয বলেন): এই হাদীসটি ছাড়া উসায়দ (রা)-এর অন্য কোন সহীহ হাদীস আমাদের জানা নেই। আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1849- وَعَنْ أُسَيْدِ بْنِ ظُهَيْرِ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَكَانَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ يُحْدِثُ عَنِ النبي ﷺ أَنَّهُ قَالَ : صَلَاةُ فِي مَسْجِدِ قُبَاءَ كَعُمْرَة -
رواه الترمذي وابن ماجه والبيهقى ، وقال : الترمذي : حديث حسن غريب . قال الحافظ ] : ولا نعرف لأسيد حَدِيثًا صَحِيْحًا غَيْرَ هذَا وَاللَّهُ اعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৫০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫০. হযরত সাহল ইবন হুনায়ফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে উযু করে মসজিদে কুবায় আসল, অতঃপর সেখনে সালাত আদায় করল, সে একটি উমরার পুণ্য পাবে।
(হাদীসটি আহমদ, নাসাঈ ও ইব্‌ন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইবন মাজাহর। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। বায়হাকী এটি বর্ণনা করে বলেছেন: ইউসুফ ইবন তাহমান আবু উমামা ইবন সাহল থেকে ও তিনি তাঁর পিতা হযরত সাহল (রা) থেকে এবং তিনি নবী করীম ﷺ থেকে হাদীসটির মর্ম বর্ণনা করেছেন এবং এ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ ও যে ব্যক্তি উযু করে এই মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এলো, এটি তার জন্য হজ্জতুল্য হবে।
(হাফিয (র) বলেন: এই অতিরিক্ত অংশটি ইউসূফ ইব্‌ন তাহমান একাই বর্ণনা করেন। আর তিনি উপেক্ষণীয় রাবী। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1850- وَعَن سهل بن حنيف رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من تطهر فِي بَيته ثمَّ أَتَى مَسْجِد قبَاء فصلى فِيهِ صَلَاة كَانَ لَهُ كَأَجر عمْرَة

رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ وَرَوَاهُ يُوسُف بن طهْمَان عَن أبي أُمَامَة بن سهل عَن أَبِيه عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِمَعْنَاهُ وَزَاد وَمن خرج على طهر لَا يُرِيد إِلَّا مَسْجِدي هَذَا يُرِيد مَسْجِد الْمَدِينَة ليُصَلِّي فِيهِ كَانَت بِمَنْزِلَة حجَّة
قَالَ الْحَافِظ انْفَرد بِهَذِهِ الزِّيَادَة يُوسُف بن طهْمَان وَهُوَ واه وَالله أعلم
হাদীস নং: ১৮৫১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫১. তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে হযরত সাহল (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু করে মসজিদে কুবায় প্রবেশ করল এবং চার রাকআত সালাত আদায় করল, সে একটি গোলাম আযাদ করার পুণ্য লাভ করবে।।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1851- وروى الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من تَوَضَّأ فَأحْسن الْوضُوء ثمَّ دخل مَسْجِد قبَاء فيركع فِيهِ أَربع رَكْعَات كَانَ ذَلِك عدل رَقَبَة
হাদীস নং: ১৮৫২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫২. হযরত কা'ব ইব্‌ন উজরা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে মসজিদে কুবার উদ্দেশ্যেই আসে এবং সালাতই তাকে মসজিদে কুবায় নিয়ে আসে, অতঃপর সে সেখানে চার রাকআত সালাত আদায় করে এবং প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করে, সে বায়তুল্লায় উমরা পালনকারীর সমান পুণ্য লাভ করবে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসে উল্লেখিত অতিরিক্ত বিষয়গুলো প্রসিদ্ধ বর্ণনাকারীদের বর্ণনায় নাই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1852- وَرُوِيَ عَن كَعْب بن عجْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من تَوَضَّأ فأسبغ الْوضُوء ثمَّ عمد إِلَى مَسْجِد قبَاء لَا يُرِيد غَيره وَلَا يحملهُ على الغدو إِلَّا الصَّلَاة فِي مَسْجِد قبَاء فصلى فِيهِ أَربع رَكْعَات يقْرَأ فِي كل رَكْعَة بِأم الْقُرْآن كَانَ لَهُ كَأَجر الْمُعْتَمِر إِلَى بَيت الله تَعَالَى

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَهَذِه الزِّيَادَة فِي الحَدِيث مُنكرَة
হাদীস নং: ১৮৫৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫৩. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ বাহনের উপর সওয়ার হয়ে এবং পায়ে হেঁটে মসজিদে কুবার যিয়ারতে আসতেন।
অন্য বর্ণনায় এ কথাটিও রয়েছে। অতঃপর তিনি সেখানে দু'রাকআত সালাত আদায় করতেন।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1853- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كَانَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يزور قبَاء أَو يَأْتِي قبَاء رَاكِبًا
وماشيا

زَاد فِي رِوَايَة فَيصَلي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ১৮৫৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫৪. বুখারী ও নাসাঈর অপর বর্ণনায় রয়েছে। রাসুলুল্লাহ ﷺ প্রতি শনিবারে সওয়ার হয়ে এবং পায়ে হেঁটে মসজিদে কুবায় আসতেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-ও এমন করতেন।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1854- وَفِي رِوَايَة للْبُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَأْتِي مَسْجِد قبَاء كل سبت رَاكِبًا وماشيا وَكَانَ عبد الله يَفْعَله
হাদীস নং: ১৮৫৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫৫. আমির ইবন সা'দ ও আয়েশা বিনত সা'দ তাঁদের পিতা হযরত সা'দ (রা)-কে বলতে শুনেছেন যে, মসজিদে কুবায় সালাত আদায় আমার নিকট বায়তুল মুকাদ্দাসে সালাত আদায়ের চাইতেও বেশি প্রিয়।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, এটি বুখারী ও মুসলিমের মাপকাঠিতে সহীহ।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1855- وَعَن عَامر بن سعد وَعَائِشَة بنت سعد سمعا أباهما رَضِي الله عَنهُ يَقُول لِأَن أُصَلِّي فِي مَسْجِد قبَاء أحب إِلَيّ من أَن أُصَلِّي فِي مَسْجِد بَيت الْمُقَدّس

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ إِسْنَاده صَحِيح على شَرطهمَا
হাদীস নং: ১৮৫৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫৬. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার 'আওসাত' নামক স্থানে সা'দ ইবন উবাদার বাড়িতে জানাযায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি পায়ে হেঁটে বনু আমর ইবন আউফের হারিস ইবনুল খাযরাজ-এর আঙ্গিনায় রওয়ানা হলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হল, আপনি কোথায় যাচ্ছেন হে আবূ আবদুর রাহমান? তিনি বললেন, আমি বনু আমর ইবন আউফের মসজিদ (মসজিদে কুবা)-এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি এই মসজিদে সালাত আদায় করবে, সে একটি উমরা আদায়ের পুণ্য লাভ করবে।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1856- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه شهد جَنَازَة بالأوساط فِي دَار سعد بن عبَادَة فَأقبل مَاشِيا إِلَى بني عَمْرو بن عَوْف بِفنَاء الْحَارِث بن الْخَزْرَج فَقيل لَهُ أَيْن تؤم يَا أَبَا عبد الرَّحْمَن قَالَ أؤم هَذَا الْمَسْجِد فِي بني عَمْرو بن عَوْف فَإِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صلى فِيهِ كَانَ كَعدْل عمْرَة

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৫৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫৭. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ মসজিদুল ফাতহে সোম, মঙ্গল ও বুধবার এই তিনদিন দু'আ করলেন। বুধবার দিন দু'সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁর দু'আ কবুল করা হল। তখন তাঁর চেহারায় আনন্দের চিহ্ন ফুটে উঠল। হযরত জাবির (রা) বলেন। কোন গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন বিষয় আমার সামনে আসলে আমি এই সময়টি খুঁজে বের করি এবং এতে দু'আ করি। আমি তখন কবূলের নিদর্শনও পেয়ে যাই।
(হাদীসটি আহমদ ও বাযযার প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন। আহমদের সনদটি উত্তম।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1857- وَعَن جَابر يَعْنِي ابْن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعَا فِي مَسْجِد الْفَتْح ثَلَاثًا يَوْم الِاثْنَيْنِ وَيَوْم الثُّلَاثَاء وَيَوْم الْأَرْبَعَاء فاستجيب لَهُ يَوْم الْأَرْبَعَاء بَين الصَّلَاتَيْنِ فَعرف الْبشر فِي وَجهه
قَالَ جَابر فَلم ينزل بِي أَمر مُهِمّ غليظ إِلَّا توخيت تِلْكَ السَّاعَة فأدعو فِيهَا فأعرف الْإِجَابَة

رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَغَيرهمَا وَإسْنَاد أَحْمد جيد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৫৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আমৃত্যু মদীনায় বসবাসের প্রতি উৎসাহ দান এবং মদীনা, উজ্বল ও আকীক উপত্যকার ফযীলত প্রসঙ্গ

(হাফিয (র) বলেন): এর পূর্বের অধ্যায়ে বর্ণিত অনেক হাদীসই এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। এগুলোর মধ্যে এ বিষয়ের নিকটবর্তী হাদীস হল হযরত বিলাল ইবনুল হারিসের বর্ণিত এই হাদীসটি: মদীনায় একটি রমযান অন্যান্য শহরে এক হাজার রমযান অপেক্ষা উত্তম। আর মদীনায় একটি জুমুআ অন্যান্য শহরে এক হাজার জুমুআ অপেক্ষা উত্তম। হযরত জাবির (রা) বর্ণিত হাদীসটিও এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, যেখানে "মসজিদুল হারাম ব্যতীত" কথাটির উল্লেখ রয়েছে।
১৮৫৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার উম্মতের যে কেউ মদীনার অভাব-অনটন ও কষ্টের উপর ধৈর্য ধরে থাকবে, আমি তার জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী অথবা সাক্ষীদাতা হব।
(হাদীসটি মুসলিম ও তিরমিযী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي سُكْنى الْمَدِينَة إِلَى الْمَمَات وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا وَفضل أحد ووادي العقيق قَالَ الْحَافِظ تقدم فِي الْبَاب قبله مِمَّا يَنْتَظِم فِي سلكه وَيقرب مِنْهُ حَدِيث بِلَال بن الْحَارِث
رَمَضَان بِالْمَدِينَةِ خير من ألف رَمَضَان فِيمَا سواهَا من الْبلدَانِ وجمعة بِالْمَدِينَةِ خير من ألف جُمُعَة فِيمَا سواهَا من الْبلدَانِ
وَحَدِيث جَابر أَيْضا وَفِيه إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام
1858- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يصبر على لأواء الْمَدِينَة وشدتها أحد من أمتِي إِلَّا كنت لَهُ شَفِيعًا يَوْم الْقِيَامَة أَو شَهِيدا

رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَغَيرهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৫৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আমৃত্যু মদীনায় বসবাসের প্রতি উৎসাহ দান এবং মদীনা, উজ্বল ও আকীক উপত্যকার ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮৫৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, যে কেউ মদীনার অভাব-অনটন ও কষ্টের উপর ধৈর্যধারণ করে থাকবে, আমি তার জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী অথবা সাক্ষী হব যদি সে মুসলমান হয়।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي سُكْنى الْمَدِينَة إِلَى الْمَمَات وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا وَفضل أحد ووادي العقيق
1859- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَا يصبر أحد على لأوائها إِلَّا كنت لَهُ شَفِيعًا أَو شَهِيدا يَوْم الْقِيَامَة إِذا كَانَ مُسلما

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৬০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আমৃত্যু মদীনায় বসবাসের প্রতি উৎসাহ দান এবং মদীনা, উজ্বল ও আকীক উপত্যকার ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮৬০. হযরত সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমি মদীনার দু'প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থানকে নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণা করছি যে, এর গাছপালা কাটা যাবে না এবং এর শিকারকে হত্যা করা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন, মদীনাই তাদের জন্য উত্তম, যদি তারা জানত। কেউ যদি মুখ ফিরিয়ে মদীনা ত্যাগ করে চলে যায়, তবে আল্লাহ্ তার চেয়ে আরও উত্তম ব্যক্তিকে এখানে এনে দিবেন। আর কেউ এর অভাব-অনটন ও কষ্টের উপর দৃঢ়পদ থাকলে আমি তার জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী অথবা সাক্ষী হব। অন্য বর্ণনায় এ অংশটি অতিরিক্ত রয়েছে। সেই মদীনাবাসীর সঙ্গে মন্দ আচরণ করতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে এমনভাবে গালিয়ে দিবেন, যেমন শীসাকে আগুনে গালানো হয় অথবা লবণ পানিতে গলে যায়।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي سُكْنى الْمَدِينَة إِلَى الْمَمَات وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا وَفضل أحد ووادي العقيق
1860- وَعَن سعد رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِنِّي أحرم مَا بَين لابتي الْمَدِينَة أَن يقطع عضاهها أَو يقتل صيدها وَقَالَ الْمَدِينَة خير لَهُم لَو كَانُوا يعلمُونَ لَا يَدعهَا أحد رَغْبَة عَنْهَا إِلَّا أبدل الله فِيهَا من هُوَ خير مِنْهُ وَلَا يثبث أحد على لأوائها وجهدها إِلَّا كنت لَهُ شَفِيعًا أَو شَهِيدا يَوْم الْقِيَامَة

وَزَاد فِي رِوَايَة وَلَا يُرِيد أحد أهل الْمَدِينَة بِسوء إِلَّا أذابه الله فِي النَّار ذوب الرصاص أَو ذوب الْملح فِي المَاء

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৬১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আমৃত্যু মদীনায় বসবাসের প্রতি উৎসাহ দান এবং মদীনা, উজ্বল ও আকীক উপত্যকার ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮৬১. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মদীনাবাসীর উপর এমন এক যুগ আসবে যে, তখন কিছু লোক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের আশায় শস্য-শ্যামল পল্লীসমূহের দিকে চলে যাবে। সেখানে গিয়ে তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পাবে। তারপর তারা আপন পরিজনকেও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মদীনাই তাদের জন্য উত্তম, যদি তারা জানত।
(হাদীসটি আহমদ ও বাযযার বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা বাযযারের। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারীগণের মতই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي سُكْنى الْمَدِينَة إِلَى الْمَمَات وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا وَفضل أحد ووادي العقيق
1861- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ليَأْتِيَن على أهل الْمَدِينَة زمَان ينْطَلق النَّاس مِنْهَا إِلَى الأرياف يَلْتَمِسُونَ الرخَاء فيجدون رخاء ثمَّ يأْتونَ فيتحملون بأهليهم إِلَى الرخَاء وَالْمَدينَة خير لَهُم لَو كَانُوا يعلمُونَ

رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৬২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আমৃত্যু মদীনায় বসবাসের প্রতি উৎসাহ দান এবং মদীনা, উজ্বল ও আকীক উপত্যকার ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮৬২. হযরত সুফিয়ান ইবন আবূ যুহায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ মা ﷺ -কে বলতে শুনেছি, ইয়েমেন বিজিত হবে। তখন একদল লোক দ্রুত ইয়েমেনের দিকে ছুটে যাবে এবং নিজের পরিবার-পরিজন ও অধীনস্থদেরকেও নিয়ে যাবে। অথচ মদীনাই তাদের জন্য উত্তম, যদি তারা জানত। এক সময় সিরিয়া বিজিত হবে। তখন একদল লোক দ্রুত সেখানে চলে যাবে এবং নিজের পরিবার-পরিজন ও অধীনস্থদেরকেও নিয়ে যাবে কিন্তু মদীনাই তাদের জন্য উত্তম, যদি তারা জানত। ইরাক বিজিত হবে। তখনও একদল লোক দ্রুত ইরাকের দিকে ছুটে যাবে এবং নিজের পরিবার-পরিজন ও অনুসারীদেরকেও নিয়ে যাবে। কিন্তু মদীনাই তাদের জন্য উত্তম, যদি তারা জানত।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي سُكْنى الْمَدِينَة إِلَى الْمَمَات وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا وَفضل أحد ووادي العقيق
1862- وَعَن سُفْيَان بن أبي زُهَيْر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول تفتح الْيمن فَيَأْتِي قوم يبسون فيتحملون بأهليهم وَمن أطاعهم وَالْمَدينَة خير لَهُم لَو كَانُوا يعلمُونَ وتفتح الشَّام فَيَأْتِي قوم يبسون فيتحملون بأهليهم وَمن أطاعهم وَالْمَدينَة خير لَهُم لَو كَانُوا يعلمُونَ وتفتح الْعرَاق فَيَأْتِي قوم يبسون فيتحملون بأهليهم وَمن أطاعهم وَالْمَدينَة خير لَهُم لَو كَانُوا يعلمُونَ

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৬৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আমৃত্যু মদীনায় বসবাসের প্রতি উৎসাহ দান এবং মদীনা, উজ্বল ও আকীক উপত্যকার ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮৬৩. হযরত আবু উসায়দ সায়িদী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে হযরত হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর কবরের পাশে উপস্থিত ছিলাম। লোকেরা তাঁর চেহারার উপর চাদর টেনে দিতে লাগল কিন্তু তখন তাঁর পা দু'টি খুলে যাচ্ছিল। আর যখন পা ঢাকতে যাচ্ছিল, তখন তাঁর মুখ খুলে যাচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: চাদরটি তাঁর মুখের উপর রেখে দাও আর পায়ের উপর এ গাছের কিছু পাতা দিয়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, একটু পরে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ মাথা উত্তোলন করলেন। তিনি দেখলেন, সাহাবীগণ কাঁদছেন। রাসুলুল্লাহ তখন বললেন, মানুষের উপর এমন একটি সময় আসবে, যখন তারা শস্য শ্যামল পল্লীর দিকে চলে যাবে এবং সেখানে খাদ্য, পোশাক ও বাহন পাবে অথবা বললেন, বিভিন্ন রকমের বাহন পাবে। তারা তখন তাদের পরিবার-পরিজনকে লিখবে, আমাদের নিকট এসে যাও। কেননা তোমরা হিজাযের ঊষর ভূমিতে রয়েছ। অথচ মদীনাই তাদের জন্য উত্তম, যদি তারা জানত।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي سُكْنى الْمَدِينَة إِلَى الْمَمَات وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا وَفضل أحد ووادي العقيق
1863- وَعَن أبي أسيد السَّاعِدِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على قبر حَمْزَة بن عبد الْمطلب فَجعلُوا يجرونَ النمرة على وَجهه فتنكشف قدماه ويجرونها على قَدَمَيْهِ فينكشف وَجهه فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اجْعَلُوهَا على وَجهه وَاجْعَلُوا على قَدَمَيْهِ من هَذَا الشّجر
قَالَ فَرفع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رَأسه فَإِذا أَصْحَابه يَبْكُونَ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّه يَأْتِي على النَّاس زمَان يخرجُون إِلَى الأرياف فيصيبون مِنْهَا مطعما وملبسا ومركبا أَو قَالَ مراكب فيكتبون إِلَى أَهْليهمْ هَلُمَّ إِلَيْنَا فَإِنَّكُم بِأَرْض حجاز جدوبة وَالْمَدينَة خير لَهُم لَو كَانُوا يعلمُونَ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৬৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আমৃত্যু মদীনায় বসবাসের প্রতি উৎসাহ দান এবং মদীনা, উজ্বল ও আকীক উপত্যকার ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮৬৪. হযরত উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মদীনায় একবার দারুণ আক্রা দেখা দিল, ফলে জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠল। রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর। কেননা আমি তোমাদের পরিমাপ পাত্র ও বাটখারার মধ্যে বরকতের দু'আ করছি। তোমরা একত্রে বসে আহার করবে, ভিন্ন ভিন্নভাবে নয়, কেননা একজনের আহার্য দু'জনের জন্য যথেষ্ট, আর দু'ব্যক্তির আহার্য চারজনের জন্য যথেষ্ট, আর চারজনের আহার্য পাঁচ ও ছয়জনের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। নিশ্চয়ই একত্রে থাকার বরকত রয়েছে। যে ব্যক্তি মদীনার অভাব-অনটন ও কষ্টে ধৈর্যধারণ করবে, আমি কিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশকারী ও সাক্ষী হব। আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে মদীনা থেকে বের হয়ে যাবে, আল্লাহ্ তার পরিবর্তে এখানে তার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি এনে দিবেন। যে কেউ মদীনার ক্ষতির ইচ্ছা করবে, আল্লাহ তাকে এমনভাবে গালিয়ে দিবেন, যেমন লবণ পানিতে গলে যায়।
(হাদীসটি বাযযার উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي سُكْنى الْمَدِينَة إِلَى الْمَمَات وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا وَفضل أحد ووادي العقيق
1864- وَعَن عمر رَضِي الله عَنهُ قَالَ غلا السّعر بِالْمَدِينَةِ فَاشْتَدَّ الْجهد فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اصْبِرُوا وَأَبْشِرُوا فَإِنِّي قد باركت على صاعكم ومدكم وكلوا وَلَا تتفرقوا فَإِن طَعَام الْوَاحِد يَكْفِي الِاثْنَيْنِ وَطَعَام الِاثْنَيْنِ يَكْفِي الْأَرْبَعَة وَطَعَام الْأَرْبَعَة يَكْفِي الْخَمْسَة والستة وَإِن الْبركَة فِي الْجَمَاعَة فَمن صَبر على لأوائها وشدتها كنت لَهُ شَفِيعًا وشهيدا يَوْم الْقِيَامَة وَمن خرج عَنْهَا رَغْبَة عَمَّا فِيهَا أبدل الله بِهِ من هُوَ خير مِنْهُ فِيهَا وَمن أرادها بِسوء أذابه الله كَمَا يذوب الْملح فِي المَاء

رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد جيد