আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২১৮ টি

হাদীস নং: ১৮০৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০৫. হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ বলতেনঃ মহান আল্লাহ্ আরাফার দিন সন্ধ্যায় আপন ফিরিশতাদের সাথে আরাফায় অবস্থানকারীদেরকে নিয়ে গর্ব করেন। তিনি বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে দেখ, ওরা অবিন্যস্ত কেশ ও মলিন বদনে আমার নিকট এসে হাযির হয়েছে।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি 'কবীর' ও 'সগীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেন। আহমদের সনদটিতে কোন আপত্তি নেই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1805- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَقُول إِن الله عز وَجل يباهي مَلَائكَته عَشِيَّة عَرَفَة بِأَهْل عَرَفَة فَيَقُول انْظُرُوا إِلَى عبَادي شعثا غبرا

وَرَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالصَّغِير وَإسْنَاد أَحْمد لَا بَأْس بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮০৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আরাফার দিনের চেয়ে অন্য কোনদিনে আল্লাহ্ এত অধিক সংখ্যক বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন না। সেদিন তিনি তাদের অত্যন্ত নিকটবর্তী হন এবং তাজাল্লী বিস্তার করেন। তারপর তাদেরকে নিয়ে ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন এবং বলেন, এরা কি চায় ?
(হাদীসটি মুসলিম, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। রযীন তাঁর জামি' নামক কিতাবে এ অংশটি বাড়িয়ে বর্ণনা করেন। 'হে আমার ফিরিশতাকুল। তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমি তাদেরকে মার্জনা করে দিলাম।')
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1806- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من يَوْم أَكثر من أَن يعْتق الله فِيهِ عبيدا من النَّار من يَوْم عَرَفَة وَإنَّهُ ليدنو يتجلى ثمَّ يباهي بهم الْمَلَائِكَة فَيَقُول مَا أَرَادَ هَؤُلَاءِ

رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَزَاد رزين فِي جَامعه فِيهِ اشْهَدُوا ملائكتي أَنِّي قد غفرت لَهُم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮০৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০৭. আবদুল আযীয ইবন কায়স আবাদী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা)-কে বলতে শুনেছি, অমুক ব্যক্তি আরাফার দিন রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর বাহনের পিছনে সহযাত্রীরূপে বসা ছিল। যুবকটি মহিলাদের দিকে তাকাতে লাগল এবং তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ্ তাকে বললেন, ভ্রাতুষ্পুত্র। এটি এমন দিবস যে, যে ব্যক্তি নিজের কান, চোখ ও জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে, তাকে মার্জনা করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি আহমদ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি বর্ণনা করেন। ইব্‌ন আবুদ-দুনিয়া 'নীরবতা অধ্যায়ে' এবং ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাঁদের সবার বর্ণনায় বরা হয়েছে যে, হযরত ফযল ইব্‌ন আব্বাস (রা) রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর বাহনের পিছনে সহযাত্রীরূপে বসা ছিলেন।.... হাদীসের শেষ পর্যন্ত।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1807- وَعَن عبد الْعَزِيز بن قيس الْعَبْدي قَالَ سَمِعت ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا يَقُول كَانَ فلَان ردف رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْم عَرَفَة فَجعل الْفَتى يُلَاحظ النِّسَاء وَينظر إلَيْهِنَّ فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ابْن أخي إِن هَذَا يَوْم من ملك فِيهِ سَمعه وبصره وَلسَانه غفر لَهُ

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح وَالطَّبَرَانِيّ وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الصمت وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَعِنْدهم كَانَ الْفضل بن عَبَّاس رَدِيف رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الحَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮০৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০৮. আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান তাঁর 'কিতাবুস সওয়াবে' এবং বায়হাকী এটি হযরত ফযল ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে এভাবে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন: আরাফার দিনে যে ব্যক্তি জিহ্বা, কান ও চোখের হিফাযত করবে, আরাফা দিবস থেকে পরবর্তী আরাফা পর্যন্ত তার গুনাহরাশি ক্ষমা করে দেয়া হবে।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1808- وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب وَالْبَيْهَقِيّ أَيْضا عَن الْفضل بن الْعَبَّاس عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مُخْتَصرا قَالَ من حفظ لِسَانه وسَمعه وبصره يَوْم عَرَفَة غفر لَهُ من عَرَفَة إِلَى عَرَفَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮০৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০৯. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, মুযদালিফায় অবস্থানকারীগণ যদি জানত যে, তারা কার নিকট অবতরণ করেছে, তবে তারা অবশ্যই মাগফিরাত লাভ ও কৃপা ধন্য হওয়াতে আনন্দিত হতো।
(হাদীসটি তাবারানী ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1809- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَو يعلم أهل الْجمع بِمن حلوا لاستبشروا بِالْفَضْلِ بعد الْمَغْفِرَة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَالْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮১০. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জনৈক আনসারী ব্যক্তি নবী করীম ﷺ -এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করতে চাই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আচ্ছা, তুমি বস। ইতিমধ্যে সাকীফ গোত্রের আর এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমি আপনাকে কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করতে চাই। রাসূলুল্লাহ বললেন, আনসারী ব্যক্তিটি তো তোমার চেয়ে অগ্রগামী হয়ে আছে। আনসারী লোকটি তখন বলল, এই লোকটি মুসাফির। আর দূরাগত লোকের একটি বাড়তি অধিকার রয়েছে। তাই আপনি তাকে দিয়েই শুরু করুন। রাসুলুল্লাহ ﷺ তখন সাকাফী লোকটির দিকে মুখ করে বললেন, তুমি ইচ্ছা করলে আমি বলে দিতে পারি যে, তুমি কি কথা জিজ্ঞেস করতে এসেছ। আর যদি চাও, তবে তুমি প্রশ্ন কর, তবে আমি উত্তর দিয়ে যাব। লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। বরং আপনিই আমার মনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান। তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে রুকু, সিজদা, নামায ও রোযা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে এসেছ। সে বলল, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য দীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, আপনি আমার মনের প্রশ্ন বুঝতে মোটেও ভুল করেন নি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন বললেন, তুমি যখন রুকু করবে, তখন তোমার হাতের তালু দু'টি হাঁটুতে স্থাপন করবে এবং আঙ্গুলগুলো বিস্তৃত রাখবে। তারপর তুমি স্থির হয়ে থাকবে যাতে প্রতিটি আঙ্গুল স্বস্থানে স্থির হয়ে যায়। আর যখন সিজদা করবে তখন তোমার কপালকে দৃঢ়ভবে মাটিতে স্থাপন করবে এবং সিজদা আদায়ে তাড়াহুড়া করবে না। আর দিনের প্রথমভাগে ও শেষভাগে (কিছু নফল) নামায আদায় করবে। লোকটি বলল, হে আল্লাহর নবী। আমি যদি এ দু'টির মাঝেও কিছু নামায পড়ি? রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, তাহলে নামাযী গণ্য হবে। প্রতি মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে তুমি রোযা রাখবে। অতঃপর সাকাফী লোকটি উঠে গেল। এবার তিনি আনসারী লোকটির প্রতি মুখ করলেন এবং বললেন, তুমি যদি ইচ্ছা কর তবে তুমি কি প্রশ্ন করতে এসেছ, তা আমি বলে দিতে পারি। আর ইচ্ছা হলে তুমি প্রশ্ন করে যাও, আমি উত্তর দিয়ে যাব। লোকটি বলল, জ্বী না হে আল্লাহর নবী। বরং আপনিই বলুন, আমি কি জিজ্ঞেস করতে এসেছি। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, তুমি হাজী সম্পর্কে প্রশ্ন করতে এসেছ যে, সে যখন ঘর থেকে বের হয়, তখন তার জন্য কি পুণ্য রয়েছে? সে যখন আরাফায় অবস্থান করে, তখন তার কি পুণ্য হয়? সে যখন শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে, তখন তার কি পুণ্য হয়? সে যখন মাথা মুড়িয়ে নেয়, তখন তার কি পুণ্য হয়? সে যখন বিদায়ী তওয়াফ করে, তখন তার কি পুণ্য হয়? লোকটি বলল, হে আল্লাহর নবী। ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য দীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, আমার অন্তরের প্রশ্নগুলো বুঝতে আপনি মোটেও ভুল করেন নি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন বললেন, হাজী যখন ঘর থেকে বের হয়, তখন তার বাহনটির প্রতি কদমে তার জন্য একটি করে নেকী লিখা হয় অথবা একটি গুনাহ মোচন করা হয়। তারপর যখন সে আরাফায় অবস্থান করে, তখন মহান আল্লাহ্ পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং (ফিরিশতাদেরকে) বলেন, তোমরা আমার এলোকেশী ও মলিনবেশী বান্দাদেরকে দেখ। তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমি তাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিলাম, যদিও তা আকাশের বৃষ্টির ফোঁটার সমান সংখ্যক এবং আলিজের বালুকারাশির সমান হয়। আর হাজী যখন শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে, তখন কেউ বলতে পারে না যে, তার জন্য কি পুণ্য রয়েছে-যে পর্যন্ত না আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার পূর্ণ প্রতিদান দেবেন। হাজী যখন বায়তুল্লাহর বিদায়ী তওয়াফ করে, তখন সে তার গুনাহ থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যায় যেমন তার মা তাকে প্রসব করার দিন সে নিষ্পাপ ছিল।
(হাদীসটি বাযযার ও তাবারানী এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1810 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ جَاءَ رجل من الْأَنْصَار إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله كَلِمَات أسأَل عَنْهُن فَقَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اجْلِسْ وَجَاء رجل من ثَقِيف فَقَالَ يَا رَسُول الله كَلِمَات أسأَل عَنْهُن فَقَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سَبَقَك الْأنْصَارِيّ فَقَالَ الْأنْصَارِيّ إِنَّه رجل غَرِيب وَإِن للغريب حَقًا فابدأ بِهِ فَأقبل على الثَّقَفِيّ فَقَالَ إِن شِئْت أَنْبَأتك عَمَّا كنت تَسْأَلنِي عَنهُ وَإِن شِئْت تَسْأَلنِي وأخبرك فَقَالَ يَا رَسُول الله بل أجبني عَمَّا كنت أَسأَلك قَالَ جِئْت تَسْأَلنِي عَن الرُّكُوع وَالسُّجُود وَالصَّلَاة وَالصَّوْم فَقَالَ وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ مَا أَخْطَأت مِمَّا كَانَ فِي نَفسِي شَيْئا قَالَ فَإِذا ركعت فضع راحتيك على ركبتيك ثمَّ فرج أصابعك ثمَّ اسكن حَتَّى يَأْخُذ كل عُضْو مأخذه وَإِذا سجدت فمكن جبهتك وَلَا تنقر نقرا وصل أول النَّهَار وَآخره فَقَالَ يَا نَبِي الله فَإِن أَنا صليت بَينهمَا قَالَ فَأَنت إِذا مصل وصم من كل شهر ثَلَاث عشرَة وَأَرْبع عشرَة وَخمْس عشرَة فَقَامَ الثَّقَفِيّ ثمَّ أقبل على الْأنْصَارِيّ فَقَالَ إِن شِئْت أَخْبَرتك عَمَّا جِئْت تَسْأَلنِي وَإِن شِئْت تَسْأَلنِي وأخبرك فَقَالَ لَا يَا نَبِي الله أَخْبرنِي بِمَا جِئْت أَسأَلك قَالَ جِئْت تَسْأَلنِي عَن الْحَاج مَا لَهُ حِين يخرج من بَيته وَمَا لَهُ حِين يقوم بِعَرَفَات وَمَا لَهُ حِين يَرْمِي الْجمار وَمَا لَهُ حِين يحلق رَأسه وَمَا لَهُ حِين يقْضِي آخر طواف بِالْبَيْتِ فَقَالَ يَا نَبِي الله وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ مَا أَخْطَأت مِمَّا كَانَ فِي نَفسِي شَيْئا قَالَ فَإِن لَهُ حِين يخرج من بَيته أَن رَاحِلَته لَا تخطو خطْوَة إِلَّا كتب الله بهَا حَسَنَة أَو حط عَنهُ بهَا خَطِيئَة فَإِذا وقف بِعَرَفَات فَإِن الله عز وَجل ينزل إِلَى سَمَاء الدُّنْيَا فَيَقُول انْظُرُوا إِلَى عبَادي شعثا غبرا اشْهَدُوا أَنِّي قد غفرت لَهُم ذنوبهم وَإِن كَانَت عدد قطر السَّمَاء وَرمل عالج وَإِذا رمى الْجمار لَا يدْرِي أحد مَا لَهُ حَتَّى يتوفاه الله يَوْم الْقِيَامَة وَإِذا قضى آخر طواف بِالْبَيْتِ خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮১১. হযরত জাবির ইব্‌ন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কোন মুসলমান যখন আরাফার দিন অপরকে মওকূফে (উকুফস্থলে) দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে এ দু'আটি একশতবার পাঠ করে:
لَا إِلهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
তারপর একশবার সূরা ইখলাস পাঠ করে এবং তারপর এই দরূদ শরীফটি একশবার পাঠ করে:
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حمید مجيد، وعلينا معهم
তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, হে আমার ফিরিশতাগণ! আমার এ বান্দার কি প্রতিদান হতে পারে, যে আমার তসবীহ পাঠ করল, তাহলীল পাঠ করল, আমার মহত্ব প্রকাশ করল, আমার বড়ত্বের স্বীকৃতি দিল, আমাকে চিনল, আমার প্রশংসা করল ও আমার নবীর উপর দরূদ পাঠ করল? হে ফিরিশতাগণ! তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমি তাকে মার্জনা করে দিলাম, তার নিজের ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করে নিলাম। আমার এ বান্দা যদি আরাফায় অবস্থানকারী সকল লোকের জন্যও সুপারিশ করে, তবুও তা আমি কবুল করে নেব।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসের এ পাঠটি গরীব। তবে সনদে এমন কোন বর্ণনাকারী নেই, যাকে মাওযু হাদীস রচনার সাথে সম্পৃক্ত করা চলে। আল্লাহই ভাল জানেন। )
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1811- وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من مُسلم يقف عَشِيَّة عَرَفَة بالموقف فيستقبل الْقبْلَة بِوَجْهِهِ ثمَّ يَقُول لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير مائَة مرّة ثمَّ يقْرَأ قل هُوَ الله أحد مائَة مرّة ثمَّ يَقُول اللَّهُمَّ صل على مُحَمَّد وعَلى آل مُحَمَّد كَمَا صليت على إِبْرَاهِيم وَآل إِبْرَاهِيم إِنَّك حميد مجيد وعلينا مَعَهم مائَة مرّة إِلَّا قَالَ الله تَعَالَى يَا ملائكتي مَا جَزَاء عَبدِي هَذَا سبحني وهللني وكبرني وعظمني وعرفني وَأثْنى عَليّ وَصلى على نبيي
اشْهَدُوا ملائكتي أَنِّي قد غفرت لَهُ وشفعته فِي نَفسه وَلَو سَأَلَني عَبدِي هَذَا لشفعته فِي أهل الْموقف

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ هَذَا متن غَرِيب وَلَيْسَ فِي إِسْنَاده من ينْسب إِلَى الْوَضع وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮১২. আবু সুলামান দারানী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আলী (রা)-কে প্রশ্ন করা হল যে, আরাফায় কেন অবস্থান করতে হয় এবং এটি হারাম শরীফের সীমানায় কেন হয় না? তিনি বললেন, কা'বা হল আল্লাহর ঘর। আর হারাম শরীফ আল্লাহর দরজা। অতএব মানুষ যখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে আসে, তখন তিনি তাদেরকে দরজার কাছে কান্নাকাটি করে অবস্থান করতে বলেন। প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। মুযদালিফায় অবস্থান কিসের জন্য ? তিনি বললেন, লোকদেরকে যখন তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হল, তখন দ্বিতীয় আর একটি পর্দা দ্বারা তাদেরকে দাঁড় করিয়ে রাখলেন। আর এটিই হল মুযদালিফা। তারপর তাদের কান্নাকাটি যখন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলতে থাকল, তখন মিনায় কুরবানী করে নৈকট্যলাভের অনুমতি দিলেন। পরে যখন তারা নিজেদের দেহের ময়লা দূর করে এবং কুরবানী করে গুনাহ থেকে পাক হয়ে গেল, তখন পাক অবস্থায় তাদেরকে যিয়ারতের অনুমতি দিলেন।
প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। আইয়ামে তাশরীকে রোযা রাখা কেন হারাম করা হল? তিনি বললেন, লোকগুলো আল্লাহর যিয়ারতে এসেছে, আর তারা তখন তাঁরই যিয়াফতে। আর কোন মেহমানের জন্য যে মেজবান তাকে যিয়াফত করে এনেছে, তার অনুমতি ব্যতীত রোযা রাখা বৈধ নয়।
প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। কোন ব্যক্তির কা'বার গিলাফকে জড়িয়ে ধরার কি অর্থ? তিনি বললেন, এটি হল এমন, যেমন কোন ব্যক্তি অন্যের কাছে কোন অপরাধ করে ফেললে তার কাপড় জড়িয়ে ধরে, তার শরণ নেয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, যাতে করে সে তার অপরাধ মার্জনা করে দেয়।
(হাদীসটি বায়হাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এভাবে মুনকাতি পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী এটিকে যুন্নন মিসরীর ভাষ্য হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। আমার কাছে এটিই বিশুদ্ধতর মনে হয়। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1812- وَعَن أبي سُلَيْمَان الدراني قَالَ سُئِلَ عَليّ بن أبي طَالب رَضِي الله عَنهُ عَن الْوُقُوف بِالْجَبَلِ وَلم لم يكن فِي الْحرم
قَالَ لَان الْكَعْبَة بَيت الله وَالْحرم بَاب الله فَلَمَّا قصدوه وافدين أوقفهم بِالْبَابِ يَتَضَرَّعُونَ
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فالوقوف بالمشعر الْحَرَام قَالَ لِأَنَّهُ لما أذن لَهُم بِالدُّخُولِ إِلَيْهِ وقفهم بالحجاب الثَّانِي وَهُوَ الْمزْدَلِفَة فَلَمَّا أَن طَال تضرعهم أذن لَهُم بتقريب قُرْبَانهمْ بمنى
فَلَمَّا أَن قضوا تفثهم وقربوا قُرْبَانهمْ فتطهروا بهَا من الذُّنُوب الَّتِي كَانَت عَلَيْهِم أذن لَهُم بالزيارة إِلَيْهِ على الطَّهَارَة
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فَمن أَيْن حرم الصّيام أَيَّام التَّشْرِيق قَالَ لَان الْقَوْم زوار الله وهم فِي ضيافته وَلَا يجوز للضيف أَن يَصُوم دون إِذن من أَضَافَهُ
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فَتعلق الرجل بِأَسْتَارِ الْكَعْبَة لاي معنى هُوَ قَالَ هُوَ مثل الرجل بَينه وَبَين صَاحبه جِنَايَة فَيتَعَلَّق بِثَوْبِهِ ويتنصل إِلَيْهِ ويتخدع لَهُ ليهب لَهُ جِنَايَته

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَغَيره هَكَذَا مُنْقَطِعًا وَرَوَاهُ أَيْضا عَن ذِي النُّون من قَوْله وَهُوَ عِنْدِي أشبه وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ কঙ্কর নিক্ষেপের প্রতি উৎসাহ দান এবং এটি উপরে উঠিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে হাদীস

[হাফিয (র) বলেন)। এর পূর্বের অধ্যায়ে হয়রত ইবন উমর (রা) বর্ণিত সহীহ হাদীসটিতে এসেছে যে, হাজী যখন শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে, তখন কেউ বলতে পারে না যে, তার কি পুণ্য রয়েছে, যাবৎ না মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন পূর্ণ বিনিময় দান করবেন। এটি হল ইবন হিব্বানের শব্দমালা। আর বাযযার-এর বর্ণনা হল: আর তোমার কঙ্কর নিক্ষেপ, এর প্রতিটি কঙ্করের বিনিময়ে একটি করে ধ্বংসকারী কবীরা গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা) বর্ণিত হাদীসটিও ইতিপূর্বে এসেছে যে, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের বিষয়টি, তবে মনে রাখবে যে, মহান আল্লাহ বলেনঃ
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অর্থ: কেউ জানে না, তার জন্য তার কৃতকর্মের কি কি নয়নপ্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত রয়েছে।
(৩২: ১৭)(সূরা হামীম আস-সাজদাহ,আয়াত নং-১৭)
১৮১৩. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি নবী করীম ﷺ -কে কঙ্কর নিক্ষেপ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল যে, আমাদের জন্য এতে কি রয়েছে? আমি তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, এর বিনিময় তুমি তখন পাবে যখন তুমি এর সবচাইতে বেশি মুখাপেক্ষী থাকবে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাত' ও 'কবীর' নামক গ্রন্থে হাজ্জাজ ইবন আরতাত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর হযরত আনাস (রা) বর্ণিত হাদীসটি ইতিপূর্বে এসেছে যে, 'তোমার কঙ্কর নিক্ষেপের পুণ্যটি তোমার প্রতিপালকের নিকট গচ্ছিত থাকবে সেই দিনে জন্য, যেদিন তুমি এর বেশি প্রয়োজন অনুভব করবে।')
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي رمي الْجمار وَمَا جَاءَ فِي رَفعهَا قَالَ الْحَافِظ تقدم فِي الْبَاب قبله فِي حَدِيث ابْن عمر الصَّحِيح وَإِذا رمى الْجمار لَا يدْرِي أحد مَا لَهُ حَتَّى يتوفاه الله عز وَجل يَوْم الْقِيَامَة
لفظ ابْن حبَان وَلَفظ الْبَزَّار وَأما رميك الْجمار فلك بِكُل حَصَاة رميتها تَكْفِير كَبِيرَة من الموبقات
وَتقدم فِي حَدِيث عبَادَة بن الصَّامِت وَأما رميك الْجمار قَالَ الله عز وَجل {فَلَا}
{تعلم نفس مَا أُخْفِي لَهُم من قُرَّة أعين جَزَاء بِمَا كَانُوا يعْملُونَ} السَّجْدَة 71
1813- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رجلا سَأَلَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن رمي الْجمار مَا لنا فِيهِ فَسَمعته يَقُول تَجِد ذَلِك عِنْد رَبك أحْوج مَا تكون إِلَيْهِ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْكَبِير من رِوَايَة الْحجَّاج بن أَرْطَأَة
وَتقدم فِي حَدِيث أنس رَضِي الله عَنهُ وَأما رميك الْجمار فَإِنَّهُ مذخور لَك عِنْد رَبك أحْوج مَا تكون إِلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ কঙ্কর নিক্ষেপের প্রতি উৎসাহ দান এবং এটি উপরে উঠিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে হাদীস
১৮১৪. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আ) যখন কুরবানী করতে আসলেন, তখন জামরাতুল আকাবার নিকট শয়তান তাঁর সামনে এসে দাঁড়াল। তিনি তার দিকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন আর সে মাটিতে ধ্বসে পড়ল। তারপর সে দ্বিতীয় জামরার কাছে আবার তাঁর সামনে আসল। তিনি তার প্রতি সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। সে মাটিতে ধ্বসে গেল। আবার সে তৃতীয় জামরার কাছে তাঁর সামনে আসল। তিনি আবার তার প্রতি সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন, আর সে মাটিতে ধ্বসে গেল।হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) বলেন, তোমরা শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করছ আর তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ)-এর মিল্লাতের অনুসরণ করছ।
(হাদীসটি ইব্‌ন খুযাযমা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। হাকিম বলেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي رمي الْجمار وَمَا جَاءَ فِي رَفعهَا
1814- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا رَفعه إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لما أَتَى إِبْرَاهِيم خَلِيل الله صلوَات الله عَلَيْهِ وَسَلَامه الْمَنَاسِك عرض لَهُ الشَّيْطَان عِنْد جَمْرَة الْعقبَة فَرَمَاهُ بِسبع حَصَيَات حَتَّى ساخ فِي الأَرْض ثمَّ عرض لَهُ عِنْد الْجَمْرَة الثَّانِيَة فَرَمَاهُ بِسبع حَصَيَات حَتَّى ساخ فِي الأَرْض ثمَّ عرض لَهُ عِنْد الْجَمْرَة الثَّالِثَة فَرَمَاهُ بِسبع حَصَيَات حَتَّى ساخ فِي الأَرْض قَالَ ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا الشَّيْطَان ترجمون وملة أبيكم إِبْرَاهِيم تتبعون

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ কঙ্কর নিক্ষেপের প্রতি উৎসাহ দান এবং এটি উপরে উঠিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে হাদীস
১৮১৫. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: তুমি যখন শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করবে, তোমার জন্য এটি কিয়ামতের দিন নূর হয়ে যাবে।
(হাদীসটি বাযযার তাওয়ামার আধাদকৃত দাস সালিহ থেকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي رمي الْجمار وَمَا جَاءَ فِي رَفعهَا
1815- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا رميت الْجمار كَانَ لَك نورا يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ الْبَزَّار من رِوَايَة صَالح مولى التَّوْأَمَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ কঙ্কর নিক্ষেপের প্রতি উৎসাহ দান এবং এটি উপরে উঠিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে হাদীস
১৮১৬. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা প্রশ্ন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই সকল কঙ্কর, যা প্রতি বছর নিক্ষেপ করা হয়, আমরা তো মনে করি এগুলো কমে যায়। তিনি বললেন, যেগুলো কবুল হয়, সেগুলো উপরে উঠিয়ে নেয়া হয়। যদি এমন না হতো তাহলে তোমরা এগুলোকে পাহাড়ের মত (জুপীকৃত) দেখতে পেতে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন: হাদীসটির সনদ সহীহ।
[সংকলক (র) বলেন: তাবারানী ও হাকিমের সনদে ইয়াযীদ ইব্‌ন সিনান তামিলী নামে একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي رمي الْجمار وَمَا جَاءَ فِي رَفعهَا
1816- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُول الله هَذِه الْجمار الَّتِي ترمى كل سنة فنحسب أَنَّهَا تنقص قَالَ مَا تقبل مِنْهَا رفع وَلَوْلَا ذَلِك رأيتموها مثل الْجبَال

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ المملي رَحمَه الله وَفِي إسنادهما يزِيد بن سِنَان التميلي مُخْتَلف فِي توثيقه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মিনায় মাথা মুড়ানোর প্রতি উৎসাহ দান
১৮১৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ দু'আ করলেন, হে আল্লাহ্! মাথা মুণ্ডনকারীদেরকে তুমি ক্ষমা করে দাও। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যারা চুল ছাঁটে, তাদের জন্যও দু'আ করুন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! মাথা মুণ্ডনকারীদেরকে তুমি ক্ষমা করে দাও। তাঁরা আবার বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যারা চুল ছেঁটে ফেলেছে, তাদের জন্যও দু'আ করুন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! মাথা মুণ্ডনকারীদেরকে তুমি ক্ষমা করে দাও। তাঁরা আবার বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যারা চুল ছাঁটে, তাদের জন্যও দু'আ করুন। তিনি এবার বললেন, যারা চুল ছাঁটে, তাদেরকেও ক্ষমা করে দাও।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي حلق الرَّأْس بمنى
1817- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر للمحلقين
قَالُوا يَا رَسُول الله وللمقصرين
قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر للمحلقين
قَالُوا يَا رَسُول الله وللمقصرين
قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر للمحلقين
قَالُوا يَا رَسُول الله وللمقصرين قَالَ وللمقصرين

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মিনায় মাথা মুড়ানোর প্রতি উৎসাহ দান
১৮১৮. হযরত উম্মুল হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহকে মাথা মুণ্ডনকারীদের জন্য তিনবার ও যারা কেবল চুল ছেঁটে ছোট করে নেয়, তাদের জন্য একবার দু'আ করতে শুনেছেন।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي حلق الرَّأْس بمنى
1818- وَعَن أم الْحصين رَضِي الله عَنْهَا أَنَّهَا سَمِعت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي حجَّة الْوَدَاع دَعَا للمحلقين ثَلَاثًا وللمقصرين مرّة وَاحِدَة

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮১৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মিনায় মাথা মুড়ানোর প্রতি উৎসাহ দান
১৮১৯. হযরত মালিক ইবন রাবী'আ (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে এ দু'আ করতে শুনেছেনঃ হে আল্লাহ্। তুমি মাথা মুণ্ডনকারীদেরকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ। তুমি মাথা মুণ্ডণকারীদেরকে ক্ষমা করে দাও। তখন উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি বলল, চুল কর্তনকারীদের জন্যও দু'আ করুন। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তখন তৃতীয় অথবা চতুর্থবারে বললেন, চুল কর্তনকারীদেরকেও ক্ষমা করে দাও। মালিক (রা) বলেন, এদিন আমার মাথাটি মুণ্ডিত ছিল। তাই এই মাথা মুণ্ডনের পরিবর্তে লাল উট লাভও আমার জন্য বেশি আনন্দদায়ক ছিল না।
(হাদীসটি আহমদ এবং তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।
[হাফিয বলেনা: ইতিপূর্বে ইবন উমর (রা)-এর সহীহ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ আনসারী লোকটিকে বলেছিলেনঃ তোমার মুণ্ডিত মাথার প্রতিটি চুলের বিনিময়ে তোমার একটি করে পুণ্য হবে এবং একটি গুনাহ মুছে দেয়া হবে। হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা)-এর হাদীসটিও ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন : তোমার মাথা মুণ্ডনের সময় যে চুলটি মাটিতে পতিত হবে, এটি কিয়ামতের দিন তোমার জন্য নূর হয়ে যাবে।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي حلق الرَّأْس بمنى
1819- وَعَن مَالك بن ربيعَة رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ يَقُول اللَّهُمَّ اغْفِر للمحلقين
اللَّهُمَّ اغْفِر للمحلقين
قَالَ يَقُول رجل من الْقَوْم وللمقصرين فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي الثَّالِثَة أَو الرَّابِعَة وللمقصرين
ثمَّ قَالَ وَأَنا يَوْمئِذٍ محلوق الرَّأْس فَمَا يسرني بحلق رَأْسِي حمر النعم

رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن
قَالَ الْحَافِظ وَتقدم فِي حَدِيث ابْن عمر الصَّحِيح أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ للْأَنْصَارِيِّ وَأما حلاقك رَأسك فلك بِكُل شَعْرَة حلقتها حَسَنَة وتمحى عَنْك بهَا خَطِيئَة
وَتقدم أَيْضا فِي حَدِيث عبَادَة بن الصَّامِت وَأما حلقك رَأسك فَإِنَّهُ لَيْسَ من شعرك شَعْرَة تقع فِي الأَرْض إِلَّا كَانَت لَك نورا يَوْم الْقِيَامَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮২০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যমযমের পানিপানের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮২০. হযরত ইবন আবাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। পৃথিবীপৃষ্ঠে সর্বোত্তম পানি হচ্ছে যমযমের পানি। এতে খাদ্য উপাদান ও রোগের উপশম উভয়টিই রয়েছে। আর পৃথিবীপৃষ্ঠে নিকৃষ্টতম পানি হচ্ছে হাদ্রামাউত-এর বারাহূত উপত্যকার পানি। এটি টিড্ডির পায়ের মত যে, প্রভাতে কিছুটা বেগ ও স্পন্দন থাকে, কিন্তু সন্ধ্যায় আর কোন আর্দ্রতাই থাকে না।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي شرب مَاء زَمْزَم وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1820- عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خير مَاء على وَجه الأَرْض مَاء زَمْزَم فِيهِ طَعَام الطّعْم وشفاء السقم وَشر مَاء على وَجه الأَرْض مَاء بوادي برهوت بقبة بحضرموت كَرجل الْجَرَاد تصبح تتدفق وتمسي لَا بِلَال فِيهَا

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮২১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যমযমের পানিপানের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮২১. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যমযমের পানি হচ্ছে ক্ষুধা নিবারণকারী খাদ্য এবং রোগের উপশম।
(হাদীসটি বাযযার সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي شرب مَاء زَمْزَم وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1821- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم زَمْزَم طَعَام طعم وشفاء سقم
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد صَحِيح
قَوْله طَعَام طعم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮২২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যমযমের পানিপানের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮২২. হযরত আবুত-তুফায়ল (রা) সূত্রে হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাসকে বলতে শুনেছি যে, আমরা যমযমের পানিকে ক্ষুধা নিবারণকারী বলতাম আর পরিবার-পরিজনের জন্য এটিকে উত্তম সহায়ক মনে করতাম।
(হাদীসটি তাবারনী 'কবীর' এ বর্ণনা করেছেন। এটি মওকুফ সনদের একটি সহীহ হাদীস।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي شرب مَاء زَمْزَم وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1822- وَعَن أبي الطُّفَيْل عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سمعته يَقُول كُنَّا نسميها شباعة يَعْنِي زَمْزَم وَكُنَّا نجدها نعم العون على الْعِيَال

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَهُوَ مَوْقُوف صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮২৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যমযমের পানিপানের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮২৩. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হয়, তাই পূর্ণ হয়। তুমি যদি রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে এটি পান কর, তবে আল্লাহ্ তোমাকে রোগমুক্ত করে দিবেন; যদি ক্ষুধা নিবারণের উদ্দেশ্যে পান কর, তবে আল্লাহ তোমাকে পরিতৃপ্ত করে দিবেন, যদি পিপাসা দূর করা উদ্দেশ্যে পান কর, তবে আল্লাহ তোমার পিপাসা নিবৃত্ত করে দিবেন। এটি জিবরাঈল (আ)-এর পদাঘাতে সৃষ্ট ঝর্ণা ও আল্লাহর পক্ষ থেকে ইসমাঈল (আ)-এর জন্য পানিপানের
ব্যবস্থা।
(হাদীসটি দারা কুতনী ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাতিম এ অংশটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেনঃ তুমি যদি এটি কোন অনিষ্ট থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে পান কর, তবে আল্লাহ তোমাকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) যখন যমযমের পানি পান করতেন, তখন বলতেনঃ
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا وَاسِعًا، وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ
অর্থঃ হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে উপাদেয় ইলম, প্রশস্ত জীবিকা ও সকল রোগ থেকে নিরাময় প্রার্থনা করি।
হাকিম বলেন, রাবী হিসেবে জারূদ অর্থাৎ মুহাম্মদ ইবন হাবীবের দুর্বলতা থেকে মুক্ত থাকলে হাদীসটি সহীহ বিবেচিত হবে।
(হাফিয বলেন): হাদীসটি দোষমুক্ত। কেননা জারূদ সত্যাশ্রয়ী রাবী। খতীব বাগদাদী প্রমুখ এরূপই বলেছেন। তবে জারূদ থেকে যিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তাঁকে আমি চিনি না। দারা কুতনী কেবল ইবন আব্বাসের দু'আটি হাফস ইবন উমর আদানী থেকে পৃথকভাবে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي شرب مَاء زَمْزَم وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1823- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَاء زَمْزَم لما شرب لَهُ إِن شربته تستشفي شفاك الله وَإِن شربته لشبعك أشبعك الله وَإِن شربته لقطع ظمئك قطعه الله وَهِي هزمة جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام وسقيا الله إِسْمَاعِيل عَلَيْهِ السَّلَام

رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ وَالْحَاكِم
وَزَاد وَإِن شربته مستعيذا أَعَاذَك الله وَكَانَ ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنهُ إِذا شرب مَاء زَمْزَم قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك علما نَافِعًا وَرِزْقًا وَاسِعًا وشفاء من كل دَاء وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد إِن سلم من الْجَارُود يَعْنِي مُحَمَّد بن حبيب
قَالَ الْحَافِظ سلم مِنْهُ فَإِنَّهُ صَدُوق قَالَه الْخَطِيب الْبَغْدَادِيّ وَغَيره لَكِن الرَّاوِي عَنهُ مُحَمَّد بن هِشَام الْمروزِي لَا أعرفهُ وروى الدَّارَقُطْنِيّ دُعَاء ابْن عَبَّاس مُفردا من رِوَايَة حَفْص بن عمر الْعَدنِي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮২৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যমযমের পানিপানের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮২৪. হযরত সুওয়ায়দ ইবন সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (র)-কে মক্কায় দেখলাম যে, তিনি যমযম কূপের কাছে আসলেন এবং এখান থেকে কিছু পানিপান করতে চাইলেন। তারপর কা'বার দিকে মুখ করে বললেনঃ হে আল্লাহ। ইবন আবুল মাওয়ালী আমাকে মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির সূত্রে হযরত জাবির (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হয়, সে উদ্দেশ্যই সফল হয়। আমি এ পানি আজ কিয়ামত দিবসের পিপাসা থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে পান করছি। তারপর তিনি যমযমের পানি পান করলেন।
(হাদীসটি আহমদ সহীহ্ সনদে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। বায়হাকী বলেন, ইবন আবুল মাওয়ালী ইবনুল মুনকাদির সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি গরীব। ইবনুল মুবারক থেকে কেবল সুওয়ায়দ একা এই সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আহমদ ও ইবন মাজাহ-এর মারফু অংশটি আবদুল্লাহ ইবনুল মুআম্মাল থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি আবুয-যুবায়রকে বলতে শুনেছেন যে, তিনি হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-কে এ হাদীসটি বর্ণনা করতে শুনেছেন। এটি একটি হাসান সনদ।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي شرب مَاء زَمْزَم وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1824- وَعَن سُوَيْد بن سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ رَأَيْت عبد الله بن الْمُبَارك بِمَكَّة أَتَى مَاء زَمْزَم واستسقى مِنْهُ شربة ثمَّ اسْتقْبل الْكَعْبَة فَقَالَ اللَّهُمَّ إِن ابْن أبي الموَالِي حَدثنَا عَن مُحَمَّد بن الْمُنْكَدر عَن جَابر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَاء زَمْزَم لما شرب لَهُ وَهَذَا أشربه لعطش يَوْم الْقِيَامَة ثمَّ شرب

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ غَرِيب من حَدِيث ابْن أبي الموَالِي عَن ابْن الْمُنْكَدر تفرد بِهِ سُوَيْد عَن ابْن الْمُبَارك من هَذَا الْوَجْه عَنهُ انْتهى
وروى أَحْمد وَابْن مَاجَه الْمَرْفُوع مِنْهُ عَن عبد الله بن المؤمل أَنه سمع أَبَا الزبير يَقُول سَمِعت جَابر بن عبد الله يَقُول فَذكره وَهَذَا إِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক: