আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২১৮ টি
হাদীস নং: ১৭৮৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮৫. বায়হাকীরই অপর এক বর্ণনায় মারফু' সূত্রে উল্লেখিত হয়েছে যে, জাহিলিয়্যাতের অপবিত্রতা যদি একে স্পর্শ না করত, তাহলে কোন বিকলাঙ্গ ব্যক্তি একে স্পর্শ করবে সুস্থ হয়ে যেত। আর পৃথিবীতে এটি ছাড়া জান্নাতের আর কোন বস্তু নেই।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1785- وَفِي أُخْرَى لَهُ رَضِي الله عَنهُ أَيْضا رَفعه قَالَ لَوْلَا مَا مَسّه من أنجاس الْجَاهِلِيَّة مَا مَسّه ذُو عاهة إِلَّا شفي وَمَا على الأَرْض شَيْء من الْجنَّة غَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮৬. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ একদা হাজরে আসওয়াদের সম্মুখে আসলেন। তারপর তাঁর পবিত্র ওষ্ঠদ্বয় এর উপর রেখে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাঁদতে থাকলেন। হঠাৎ পিছনদিকে তাকিয়ে দেখলেন উমর (রা)-ও কাঁদছেন। তিনি তখন বললেন, হে উমর। এটিই অশ্রুপাত করার উপযুক্ত স্থান।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। এ সূত্রেই বায়হাকীও বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এও বলেছেন যে, মুহাম্মদ ইবন আউন এককভাবে এটি বর্ণনা করেছেন।(হাফিয বলেন): মুহাম্মদ ইবন আউন সূত্রেই আমরা এ হাদীসটি চিনি। অথচ তিনি একজন পরিত্যক্ত রাবী।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। এ সূত্রেই বায়হাকীও বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এও বলেছেন যে, মুহাম্মদ ইবন আউন এককভাবে এটি বর্ণনা করেছেন।(হাফিয বলেন): মুহাম্মদ ইবন আউন সূত্রেই আমরা এ হাদীসটি চিনি। অথচ তিনি একজন পরিত্যক্ত রাবী।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1786- وعن ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ اسْتَقْبَلَ رَسُولُ الله ﷺ الْحَجَرَ، ثُمَّ وَضَعَ شَفَتَيْه علَيْهِ يبكي طويلاً، ثم التفت فإذا هو بعمر بن الخطاب يبكي فَقَالَ يَا عُمَرُ ههنَا تُسكب العبرات .
رواه ابن ماجه وابن خزيمة في صحيحه، والحاكم وصححه، ومن طريقه البيهقي ، وقال . تفرد به محمد بن عون
قال الحافظ : ولا تعرفه الا من حديثه، وهو متروك .
رواه ابن ماجه وابن خزيمة في صحيحه، والحاكم وصححه، ومن طريقه البيهقي ، وقال . تفرد به محمد بن عون
قال الحافظ : ولا تعرفه الا من حديثه، وهو متروك .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮৭. হযরত জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা দ্বিপ্রহরের সময় মক্কায় প্রবেশ করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ মসজিদুল হারামের দরজার কাছে আসলেন এবং বাহনকে বসালেন। একটু পরে তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং প্রথমেই হাজরে আসওয়াদের নিকট গেলেন এবং এটি স্পর্শ করলেন। কান্নায় তার দু'চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। তারপর হযরত জাবির (রা) দীর্ঘ হাদীসটি বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে বীরোচিত ভঙ্গিতে দ্রুত চললেন এবং চার চক্কর স্বাভাবিক গতিতে হেঁটে চললেন। এভাবে তিনি তাওয়াফ শেষ করলেন। তাওয়াফ শেষে তিনি হাজরে আসওয়াদে চুমু খেলেন এবং নিজের দু'হাত তার উপর স্থাপন করলেন। তারপর দু'হাতে মুখ মুছে নিলেন।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1787- وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ فَدَخَلْنَا مَكَّة ارْتِفَاع الضُّحَى فَأتى يَعْنِي النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بَاب الْمَسْجِد فَأَنَاخَ رَاحِلَته ثمَّ دخل الْمَسْجِد فَبَدَأَ بِالْحجرِ فاستلمه وفاضت عَيناهُ بالبكاء فَذكر الحَدِيث قَالَ وَرمل ثَلَاثًا وَمَشى أَرْبعا حَتَّى فرغ فَلَمَّا فرغ قبل الْحجر وَوضع يَدَيْهِ عَلَيْهِ ثمَّ مسح بهما وَجهه
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮৮. হযরত ইবন আববাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ শরীফে প্রবেশ করল, সে পুণ্যের ভিতর প্রবেশ করল এবং পাপ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসল।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে আবদুল্লাহ্ ইব্ন মুআম্মাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে আবদুল্লাহ্ ইব্ন মুআম্মাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1788- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من دخل الْبَيْت دخل فِي حَسَنَة وَخرج من سَيِّئَة مغفورا لَهُ
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه من رِوَايَة عبد الله بن المؤمل
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه من رِوَايَة عبد الله بن المؤمل
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৮৯. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন। মহান আল্লাহর নিকট যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক পসন্দনীয় কোন ইবাদত নেই। লোকেরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাহে জিহাদও নয়? তিনি বললেন, আল্লাহর রাহে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি নিজের জান ও মাল নিয়ে জিহাদে গেল, আর এর কোন একটি নিয়েও ফিরে আসল না।
(হাদীসটি বুখারী, তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি তাঁর 'কাবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, তাঁর শব্দমালা নিম্নরূপঃ
রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন, আল্লাহর কাছে যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের চেয়ে ইবাদতের জন্য উত্তম ও প্রিয় কোন দিন নেই। অতএব তোমরা এ দিনগুলোতে অধিক পরিমাণে 'সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার' পাঠ কর।
(হাদীসটি বুখারী, তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি তাঁর 'কাবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, তাঁর শব্দমালা নিম্নরূপঃ
রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন, আল্লাহর কাছে যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের চেয়ে ইবাদতের জন্য উত্তম ও প্রিয় কোন দিন নেই। অতএব তোমরা এ দিনগুলোতে অধিক পরিমাণে 'সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার' পাঠ কর।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1789- عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من أَيَّام الْعَمَل الصَّالح فِيهَا أحب إِلَى الله عز وَجل من هَذِه الْأَيَّام
يَعْنِي أَيَّام الْعشْر قَالُوا يَا رَسُول الله وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله إِلَّا رجل خرج بِنَفسِهِ وَمَاله ثمَّ
لم يرجع من ذَلِك بِشَيْء
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد جيد وَلَفظه قَالَ مَا من أَيَّام أعظم عِنْد الله وَلَا أحب إِلَى الله الْعَمَل فِيهِنَّ من أَيَّام الْعشْر فَأَكْثرُوا فِيهِنَّ من التَّسْبِيح والتحميد والتهليل وَالتَّكْبِير
يَعْنِي أَيَّام الْعشْر قَالُوا يَا رَسُول الله وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله إِلَّا رجل خرج بِنَفسِهِ وَمَاله ثمَّ
لم يرجع من ذَلِك بِشَيْء
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد جيد وَلَفظه قَالَ مَا من أَيَّام أعظم عِنْد الله وَلَا أحب إِلَى الله الْعَمَل فِيهِنَّ من أَيَّام الْعشْر فَأَكْثرُوا فِيهِنَّ من التَّسْبِيح والتحميد والتهليل وَالتَّكْبِير
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯০. বায়হাকীর এক বর্ণনায় রয়েছে। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কুরবানীর মাসের দশদিনের ইবাদতের চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক পুণ্যময় ও মহান কোন ইবাদত নেই। প্রশ্ন করা হল, আল্লাহর পথের জিহাদও নয়? তিনি বললেন, আল্লাহর পথের জিহাদও নয়। তবে কোন ব্যক্তি যদি নিজের জান ও মাল নিয়ে জিহাদে বের হয় আর এর কোন একটি নিয়েও ফিরে না আসে।
বর্ণনাকারী বলেন, এজন্য সাঈদ ইবন জুবায়র যিলহজ্জের দশ দিন আসলে কঠোর ইবাদত ও মুজাহিদা করতেন। এমনকি তাঁকে খুঁজেও বের করা সম্ভব হতো না।
বর্ণনাকারী বলেন, এজন্য সাঈদ ইবন জুবায়র যিলহজ্জের দশ দিন আসলে কঠোর ইবাদত ও মুজাহিদা করতেন। এমনকি তাঁকে খুঁজেও বের করা সম্ভব হতো না।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1790- وَفِي رِوَايَة للبيهقي قَالَ مَا من عمل أزكى عِنْد الله وَلَا أعظم أجرا من خير يعمله فِي عشر الْأَضْحَى
قيل وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله إِلَّا رجل خرج بِنَفسِهِ وَمَاله فَلم يرجع من ذَلِك بِشَيْء فَقَالَ فَكَانَ سعيد بن جُبَير إِذا دخل أَيَّام الْعشْر اجْتهد اجْتِهَادًا شَدِيدا حَتَّى مَا يكَاد يقدر عَلَيْهِ
قيل وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله إِلَّا رجل خرج بِنَفسِهِ وَمَاله فَلم يرجع من ذَلِك بِشَيْء فَقَالَ فَكَانَ سعيد بن جُبَير إِذا دخل أَيَّام الْعشْر اجْتهد اجْتِهَادًا شَدِيدا حَتَّى مَا يكَاد يقدر عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যিলহজ্জের দশ দিনের ইবাদতের চেয়ে উত্তম কোন ইবাদত নেই। প্রশ্ন করা হল, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? তিনি বললেন, আল্লাহর পথের জিহাদও নয়।
(হাদীসটি তাবারানী বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1791- وَعَن عبد الله يَعْنِي ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من أَيَّام الْعَمَل الصَّالح فِيهَا أفضل من أَيَّام الْعشْر
قيل وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
قيل وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا الْجِهَاد فِي سَبِيل الله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯২. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: পৃথিবীর দিনসমূহের মধ্যে উত্তম দিবস হল যিলহজ্জের দশ দিন। প্রশ্ন করা হল; আল্লাহর পথের অর্থাৎ জিহাদের দিবসসমূহও কি এর সমতুল্য নয়? তিনি বললেন, আল্লাহর পথের অর্থাৎ জিহাদের দিবসসমূহও এর সমতুল্য নয়। তবে যার চেহারাটিও ভূলণ্ঠিত হয়ে যায়... হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
(হাদীসটি বায্যার হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়ালা এটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। তার শব্দমালা নিম্নরূপ: রাসূলুল্লাহ বলেছেন: যিলহজ্জের দশ দিনের চেয়ে আল্লাহর নিকট কোন উত্তম দিন নেই। জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এগুলো উত্তম না এর সমসংখ্যক দিবস জিহাদে কাটিয়ে দেয়া? তিনি বললেন, এর সমসংখ্যক দিবস জিহাদে অতিবাহিত করার চাইতে এগুলোই উত্তম। তবে কোন মুজাহিদের চেহারাটিও যদি ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায় (তবে তার কথা স্বতন্ত্র)..........।
(ইবন হিব্বানও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। পূর্ণ হাদীসটি সামনে আসবে ইনশা আল্লাহ।)
(হাদীসটি বায্যার হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়ালা এটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। তার শব্দমালা নিম্নরূপ: রাসূলুল্লাহ বলেছেন: যিলহজ্জের দশ দিনের চেয়ে আল্লাহর নিকট কোন উত্তম দিন নেই। জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এগুলো উত্তম না এর সমসংখ্যক দিবস জিহাদে কাটিয়ে দেয়া? তিনি বললেন, এর সমসংখ্যক দিবস জিহাদে অতিবাহিত করার চাইতে এগুলোই উত্তম। তবে কোন মুজাহিদের চেহারাটিও যদি ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায় (তবে তার কথা স্বতন্ত্র)..........।
(ইবন হিব্বানও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। পূর্ণ হাদীসটি সামনে আসবে ইনশা আল্লাহ।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1792- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أفضل أَيَّام الدُّنْيَا الْعشْر يَعْنِي عشر ذِي الْحجَّة
قيل وَلَا مِثْلهنَّ فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا مِثْلهنَّ فِي سَبِيل الله إِلَّا رجل عفر وَجهه بِالتُّرَابِ
الحَدِيث
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد حسن وَأَبُو يعلى بِإِسْنَاد صَحِيح وَلَفظه قَالَ مَا من أَيَّام أفضل عِنْد الله من أَيَّام عشر ذِي الْحجَّة
قَالَ فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله هن أفضل أم عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله قَالَ هن أفضل من عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله إِلَّا عفير يعفر وَجهه فِي التُّرَاب
الحَدِيث
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ إِن شَاءَ الله
قيل وَلَا مِثْلهنَّ فِي سَبِيل الله قَالَ وَلَا مِثْلهنَّ فِي سَبِيل الله إِلَّا رجل عفر وَجهه بِالتُّرَابِ
الحَدِيث
رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد حسن وَأَبُو يعلى بِإِسْنَاد صَحِيح وَلَفظه قَالَ مَا من أَيَّام أفضل عِنْد الله من أَيَّام عشر ذِي الْحجَّة
قَالَ فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله هن أفضل أم عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله قَالَ هن أفضل من عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله إِلَّا عفير يعفر وَجهه فِي التُّرَاب
الحَدِيث
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ إِن شَاءَ الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যিলহজ্জ মাসেরদশদিনের ইবাদতের চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় কোন ইবাদত নেই। এর একদিনের রোযা এক বছরের রোযার সমান এবং এক রাতের ইবাদত লায়লাতুল কদরের ইবাদতের সমান।
(হাদীসটি তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি গরীব, মাসউদ ইবন ওয়াসিল নাহহাস ইবন কাহম সূত্রেই কেবল আমরা এটি জানি। আমি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনিও এ সূত্র ছাড়া হাদীসটি চিনেন নি।
হাফিয বলেন।: বায়হাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবন ঈসা রামাল্লী... ইয়াহইয়া ইবন আইয়ূব বাজালী ... আদী ইব্ন সাবিত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর এঁরা তিনজনই প্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য রাবী। অবশ্য তাঁদের ব্যাপারে সমালোচনাও রয়েছে।)
(হাদীসটি তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি গরীব, মাসউদ ইবন ওয়াসিল নাহহাস ইবন কাহম সূত্রেই কেবল আমরা এটি জানি। আমি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনিও এ সূত্র ছাড়া হাদীসটি চিনেন নি।
হাফিয বলেন।: বায়হাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবন ঈসা রামাল্লী... ইয়াহইয়া ইবন আইয়ূব বাজালী ... আদী ইব্ন সাবিত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর এঁরা তিনজনই প্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য রাবী। অবশ্য তাঁদের ব্যাপারে সমালোচনাও রয়েছে।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1793- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من أَيَّام أحب إِلَى الله أَن يتعبد لَهُ فِيهَا من عشر ذِي الْحجَّة يعدل صِيَام كل يَوْم مِنْهَا بصيام سنة وَقيام كل لَيْلَة مِنْهَا بِقِيَام لَيْلَة الْقدر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث مَسْعُود بن وَاصل عَن النهاس بن قهم وَسَأَلت مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ عَن هَذَا الحَدِيث فَلم يعرفهُ من غير هَذَا الْوَجْه
قَالَ الْحَافِظ روى الْبَيْهَقِيّ وَغَيره عَن يحيى بن عِيسَى الرَّمْلِيّ
حَدثنَا يحيى بن أَيُّوب البَجلِيّ عَن عدي بن ثَابت وَهَؤُلَاء الثَّلَاثَة ثِقَات مَشْهُورُونَ تكلم فيهم
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث مَسْعُود بن وَاصل عَن النهاس بن قهم وَسَأَلت مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ عَن هَذَا الحَدِيث فَلم يعرفهُ من غير هَذَا الْوَجْه
قَالَ الْحَافِظ روى الْبَيْهَقِيّ وَغَيره عَن يحيى بن عِيسَى الرَّمْلِيّ
حَدثنَا يحيى بن أَيُّوب البَجلِيّ عَن عدي بن ثَابت وَهَؤُلَاء الثَّلَاثَة ثِقَات مَشْهُورُونَ تكلم فيهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯৪. হযরত সাঈদ ইব্ন জুবায়র সূত্রে হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: আল্লাহর নিকট এই দিবসসমূহ অর্থাৎ যিলহজ্জের দশদিনের চাইতে উত্তম কোন দিন নেই এবং এগুলোতে ইবাদত করার চাইতে আল্লাহর নিকট আর প্রিয় কোন ইবাদত নেই। তাই তোমরা দিনগুলোতে অধিক পরিমাণে 'লা-ইলাহা ইল্লাহ্, আল্লাহু আকবর' ও আল্লাহর অন্যান্য যিকির কর। এর একদিনের রোযা এক বছরের রোযার তুল্য। এ দিনগুলোর ইবাদতের পুণ্য সাতশ' গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1794- وَعَن سعيد بن جُبَير عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من أَيَّام أفضل عِنْد الله وَلَا الْعَمَل فِيهِنَّ أحب إِلَى الله عز وَجل من هَذِه الْأَيَّام يَعْنِي من الْعشْر فَأَكْثرُوا فِيهِنَّ من التهليل وَالتَّكْبِير وَذكر الله وَإِن صِيَام يَوْم مِنْهَا يعدل بصيام سنة وَالْعَمَل فِيهِنَّ يُضَاعف بسبعمائة ضعف
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯৫. হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: বলা হতো যে, যিলহজ্জের দশদিনের প্রতিটি দিন একহাজার দিনের সমান আর আরাফার দিনটি দশ হাজার দিনের সমান। অর্থাৎ ফযীলত ও মর্যাদা বিবেচনায়।
(হাদীসটি বায়হাকী ও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীর সনদটিতে কোন দোষ নেই।)
(হাদীসটি বায়হাকী ও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীর সনদটিতে কোন দোষ নেই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1795- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ يُقَال فِي أَيَّام الْعشْر بِكُل يَوْم ألف يَوْم وَيَوْم عَرَفَة عشرَة آلَاف يَوْم
قَالَ يَعْنِي فِي الْفضل
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ والأصبهاني وَإسْنَاد الْبَيْهَقِيّ لَا بَأْس بِهِ
قَالَ يَعْنِي فِي الْفضل
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ والأصبهاني وَإسْنَاد الْبَيْهَقِيّ لَا بَأْس بِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯৬. ইমাম আওযাঈ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নিকট হাদীস পৌঁছেছে যে, যিলহজ্জের প্রথম দশকে একদিনের ইবাদত আল্লাহর পথে দিনে রোযা রেখে ও রাত্রে প্রতিরক্ষায় ব্যস্ত থেকে জিহাদ করার সমতুল্য। হ্যাঁ, তবে যদি কেউ শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করে বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় (তবে তার কথা স্বতন্ত্র)। আওযাই বলেন, আমাকে বনী মাখযুমের জনৈক ব্যক্তি নবী করীম ﷺ থেকে এ হাদীসটি শুনিয়েছেন।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْعَمَل الصَّالح فِي عشر ذِي الْحجَّة وفضله
1796- وَعَن الْأَوْزَاعِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ بَلغنِي أَن الْعَمَل فِي الْيَوْم من أَيَّام الْعشْر كَقدْر غَزْوَة فِي سَبِيل الله يصام نَهَارهَا ويحرس لَيْلهَا إِلَّا أَن يخْتَص امْرُؤ بِشَهَادَة
قَالَ الْأَوْزَاعِيّ حَدثنِي بِهَذَا الحَدِيث رجل من بني مَخْزُوم عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
قَالَ الْأَوْزَاعِيّ حَدثنِي بِهَذَا الحَدِيث رجل من بني مَخْزُوم عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯৭. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যিলহজ্জের দশ দিনের চেয়ে আল্লাহর কাছে উত্তম আর কোন দিন নেই। জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এগুলো অধিক উত্তম, না এর সমসংখ্যক দিন জিহাদে অতিবাহিত করা? তিনি বললেন, এর সমসংখ্যক দিন জিহাদে অতিবাহিত করার চেয়েও এগুলো উত্তম। আর আল্লাহর নিকট আরাফার দিনের চেয়ে উত্তম কোন দিন নেই। এ দিন মহান আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং আকাশের অধিবাসীদের নিকট যমীনের অধিবাসীদেরকে নিয়ে গর্ব করেন। আল্লাহ্ (ফিরিশতাদেরকে) বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে দেখ, ওরা প্রখর রৌদ্র মাথায় নিয়ে এলোকেশী বেশে দূর-দূরান্ত থেকে আমার রহমতের আশায় এসেছে। অথচ আমার আযাব ওরা দেখেনি। অতএব আরাফার দিনের চেয়ে অন্য কোন দিনে অধিক সংখ্যক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিতে দেখা যায়নি।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা, বাযযার, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত। শব্দমালা ইবন হিব্বানের। বায়হাকীও এটি নিম্নোক্ত শব্দসমূহে বর্ণনা করেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন আরাফার দিন আসে, তখন মহান আল্লাহ্ ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করে বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে দেখ, তারা এলোকেশী বেশে ও প্রচণ্ড রৌদ্র মাথায় নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আমার কাছে এসেছে। আমি তোমারদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, ওদেরকে মার্জনা করে দিলান। ফিরিশতাগণ বলেন, তাদের মধ্যে তো অমুক অমুক পাপাচারীও রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ তখন বলেন, আমি এদেরকেও মার্জনা করে দিলাম। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ আরাফার দিনের চেয়ে অন্য কোন দিনে অধিক সংখ্যক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয় না। ইবন খুযায়মার বর্ণনাটিও এরূপ। তবে দু'-একটি শব্দের হেরফের রয়েছে। )
(হাদীসটি আবু ইয়ালা, বাযযার, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত। শব্দমালা ইবন হিব্বানের। বায়হাকীও এটি নিম্নোক্ত শব্দসমূহে বর্ণনা করেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন আরাফার দিন আসে, তখন মহান আল্লাহ্ ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করে বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে দেখ, তারা এলোকেশী বেশে ও প্রচণ্ড রৌদ্র মাথায় নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আমার কাছে এসেছে। আমি তোমারদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, ওদেরকে মার্জনা করে দিলান। ফিরিশতাগণ বলেন, তাদের মধ্যে তো অমুক অমুক পাপাচারীও রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ তখন বলেন, আমি এদেরকেও মার্জনা করে দিলাম। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ আরাফার দিনের চেয়ে অন্য কোন দিনে অধিক সংখ্যক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয় না। ইবন খুযায়মার বর্ণনাটিও এরূপ। তবে দু'-একটি শব্দের হেরফের রয়েছে। )
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1797- عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من أَيَّام عِنْد الله أفضل من عشر ذِي الْحجَّة
قَالَ فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله هن أفضل أم من عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله قَالَ هن أفضل من عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله وَمَا من يَوْم أفضل عِنْد الله من يَوْم عَرَفَة ينزل الله تبَارك وَتَعَالَى إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا فيباهي بِأَهْل الأَرْض أهل السَّمَاء فَيَقُول انْظُرُوا إِلَى عبَادي جاؤوني شعثا غبرا ضاحين جاؤوا من كل فج عميق يرجون رَحْمَتي وَلم يرَوا عَذَابي فَلم ير يَوْم أَكثر عتيقا من النَّار من يَوْم عَرَفَة
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
وَالْبَيْهَقِيّ وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا كَانَ يَوْم عَرَفَة فَإِن الله تبَارك وَتَعَالَى يباهي بهم الْمَلَائِكَة فَيَقُول انْظُرُوا إِلَى عبَادي أَتَوْنِي شعثا غبرا ضاحين من كل فج عميق أشهدكم أَنِّي قد غفرت
لَهُم فَتَقول الْمَلَائِكَة إِن فيهم فلَانا مرهقا وَفُلَانًا
قَالَ يَقُول الله عز وَجل قد غفرت لَهُم
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من يَوْم أَكثر عتيقا من النَّار من يَوْم عَرَفَة وَلَفظ ابْن خُزَيْمَة نَحوه لم يختلفا إِلَّا فِي حرف أَو حرفين
المرهق هُوَ الَّذِي يغشى الْمَحَارِم ويرتكب الْمَفَاسِد
قَوْله ضاحين هُوَ بالضاد الْمُعْجَمَة والحاء الْمُهْملَة أَي بارزين للشمس غير مستترين مِنْهَا يُقَال لكل من برز للشمس من غير شَيْء يظله ويكنه إِنَّه لضاح
قَالَ فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله هن أفضل أم من عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله قَالَ هن أفضل من عدتهن جهادا فِي سَبِيل الله وَمَا من يَوْم أفضل عِنْد الله من يَوْم عَرَفَة ينزل الله تبَارك وَتَعَالَى إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا فيباهي بِأَهْل الأَرْض أهل السَّمَاء فَيَقُول انْظُرُوا إِلَى عبَادي جاؤوني شعثا غبرا ضاحين جاؤوا من كل فج عميق يرجون رَحْمَتي وَلم يرَوا عَذَابي فَلم ير يَوْم أَكثر عتيقا من النَّار من يَوْم عَرَفَة
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
وَالْبَيْهَقِيّ وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا كَانَ يَوْم عَرَفَة فَإِن الله تبَارك وَتَعَالَى يباهي بهم الْمَلَائِكَة فَيَقُول انْظُرُوا إِلَى عبَادي أَتَوْنِي شعثا غبرا ضاحين من كل فج عميق أشهدكم أَنِّي قد غفرت
لَهُم فَتَقول الْمَلَائِكَة إِن فيهم فلَانا مرهقا وَفُلَانًا
قَالَ يَقُول الله عز وَجل قد غفرت لَهُم
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من يَوْم أَكثر عتيقا من النَّار من يَوْم عَرَفَة وَلَفظ ابْن خُزَيْمَة نَحوه لم يختلفا إِلَّا فِي حرف أَو حرفين
المرهق هُوَ الَّذِي يغشى الْمَحَارِم ويرتكب الْمَفَاسِد
قَوْله ضاحين هُوَ بالضاد الْمُعْجَمَة والحاء الْمُهْملَة أَي بارزين للشمس غير مستترين مِنْهَا يُقَال لكل من برز للشمس من غير شَيْء يظله ويكنه إِنَّه لضاح
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯৮. হযরত তালহা ইব্ন উবায়দুল্লাহ ইব্ন কুরায়য (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: শয়তানকে আরাফার দিনের চেয়ে অধিক অপমানিত, অধিক হীন ও অধিক ক্রোধান্বিত আর কখনও দেখা যায়নি। আর এটা এজন্য যে, সে এদিন আল্লাহর রহমতের অবতরণ ও আল্লাহকে গুরুতর গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিতে দেখতে পায়। হ্যাঁ, তবে বদরের যুদ্ধের দিনও তাকে এমন দেখা গিয়েছিল। কেননা সে দেখেছিল যে, জিবরাঈল (আ) ফিরিশতাদেরকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করাচ্ছেন।
(হাদীসটি মালিক ও বায়হাকী তালহা ও অন্যান্য সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসটি মুরসাল।)
(হাদীসটি মালিক ও বায়হাকী তালহা ও অন্যান্য সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসটি মুরসাল।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1798- وَعَن طَلْحَة بن عبيد الله بن كريز رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا رئي الشَّيْطَان يَوْمًا هُوَ فِيهِ أَصْغَر وَلَا أَدْحَر وَلَا أَحْقَر وَلَا أَغيظ مِنْهُ فِي يَوْم عَرَفَة وَمَا ذَاك إِلَّا لما يرى فِيهِ من تنزل الرَّحْمَة وَتجَاوز الله عَن الذُّنُوب الْعِظَام إِلَّا مَا رأى يَوْم بدر فَإِنَّهُ رأى جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام يَزع الْمَلَائِكَة
رَوَاهُ مَالك وَالْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه وَغَيرهمَا وَهُوَ مُرْسل
رَوَاهُ مَالك وَالْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه وَغَيرهمَا وَهُوَ مُرْسل
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৭৯৯. হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আরাফার দিন বলেছিলেন, হে লোক সকল। মহান আল্লাহ্ এই দিনে তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। অতএব তিনি তোমাদের পারস্পরিক হক ও দাবি ব্যতীত সকল গুনাহ মার্জনা করে দিয়েছেন এবং তোমাদের পুণ্যশীলদের খাতিরে পাপীদেরকেও ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর তোমাদের পুণ্যশীলরা যা প্রার্থনা করেছে, তা তিনি প্রদান করেছেন। অতএব তোমরা আল্লাহর নামে রওয়ানা হও। অতঃপর তিনি যখন মুযদালিফায় গেলেন তখন বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের পুণ্যশীলদের ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তোমাদের পাপীদের পক্ষে তাদের সুপারিশ গ্রহণ করে নিয়েছেন। এ সময় আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয় এবং তাদেরকে ঢেকে নেয়। তারপর পৃথিবীবাসীর উপর মাগফিরাত বিতরণ করা হয়। আর এই মাগফিরাত এমন সকল তওবাকারীর ভাগেই আসে যারা নিজেদের হাত ও জিহ্বার হিফাযত করে। এ দিকে ইবলীস ও তার অনুচরগণ আরাফার পাহাড়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের সাথে কি আচরণ করেন, তার প্রত্যক্ষ করতে থাকে। যখন রহমত অবতীর্ণ হতে থাকে, তখন ইবলীস ও তার সৈন্য-সামন্তগণ ধ্বংস ও মৃত্যুকে আহ্বান করতে থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারীদের মতই নির্ভরযোগ্য। তবে এঁদের মধ্যে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারীদের মতই নির্ভরযোগ্য। তবে এঁদের মধ্যে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1799- وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْم عَرَفَة أَيهَا النَّاس إِن الله عز وَجل تطول عَلَيْكُم فِي هَذَا الْيَوْم فغفر لكم إِلَّا التَّبعَات فِيمَا بَيْنكُم ووهب مسيئكم لمحسنكم وَأعْطى لمحسنكم مَا سَأَلَ فادفعوا باسم الله فَلَمَّا كَانَ بِجمع قَالَ إِن الله عز وَجل قد غفر لصالحيكم وشفع صالحيكم فِي طالحيكم تنزل الرَّحْمَة فتعمهم ثمَّ تفرق الْمَغْفِرَة فِي الأَرْض فَتَقَع على كل تائب مِمَّن حفظ لِسَانه وَيَده وإبليس وَجُنُوده على جبال عَرَفَات ينظرُونَ مَا يصنع الله بهم فَإِذا نزلت الرَّحْمَة دَعَا إِبْلِيس وَجُنُوده بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح إِلَّا أَن فيهم رجلا لم يسم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح إِلَّا أَن فيهم رجلا لم يسم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০০. এ হাদীসটি আবু ইয়ালা হযরত আনাস (রা)-এর হাদীস থেকে বর্ণনা করেছেন। এর শব্দমালা নিম্নরূপঃ হযরত আনাস (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আরাফাবাসীর উপর অনুগ্রহ করেন এবং তাদেরকে নিয়ে ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন। তিনি বলেনঃ হে আমার ফিরিশতাগণ! আমার বান্দাদের প্রতি চেয়ে দেখ, ওরা অবিন্যস্ত কেশে ও মলিন দেহে দূর-দূরান্ত থেকে সফর করে আমার কাছে এসেছে। আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি এদের দু'আ কবুল করে নিলাম, তাদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করে দিলাম, তাদের পাপীদেরকেও পুণ্যশীলদের খাতিরে ক্ষমা করে দিলাম। আর পারস্পরিক হক ও দাবি ব্যতীত পুণ্যশীলদের সকল আবদার গ্রহণ করে নিলাম। তারপর লোকজন যখন মুযদালিফায় রওয়ানা হয় এবং সেখানে অবস্থান করে, পুনরায় আল্লাহর কাছে মনের আকাঙ্ক্ষা ও আবদার পেশ করে, তখন তিনি বলেন, হে আমার ফিরিশতাগণ! আমার বান্দাগণ আবার এখানে অবস্থান নিয়েছে এবং পুনরায় আকাঙ্ক্ষা ও আবদার পেশ করেছে। অতএব আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রাখছি যে, তাদের দু'আ কবুল করে নিলাম, তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে দিলাম। তাদের পাপীদেরকে পুণ্যশীলদের খাতিরে ক্ষমা করে দিলাম। তাদের পুণ্যশীলরা যা চেয়েছে, তাদেরকে সব কিছু দিয়ে দিলাম। আর তাদের পারস্পরিক হক ও দাবির দায়িত্ব আমি নিজে গ্রহণ করলাম।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1800- وَرَوَاهُ أَبُو يعلى من حَدِيث أنس وَلَفظه قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الله تطول على أهل عَرَفَات يباهي بهم الْمَلَائِكَة يَقُول يَا ملائكتي انْظُرُوا إِلَى عبَادي شعثا غبرا أَقبلُوا يضْربُونَ إِلَيّ من كل فج عميق فأشهدكم أَنِّي قد أجبْت دعاءهم وشفعت
رغبتهم ووهبت مسيئهم لمحسنهم وَأعْطيت لمحسنهم جَمِيع مَا سَأَلُونِي غير التَّبعَات الَّتِي بَينهم فَإِذا أَفَاضَ الْقَوْم إِلَى جمع ووقفوا وعادوا فِي الرَّغْبَة والطلب إِلَى الله تَعَالَى فَيَقُول يَا ملائكتي عبَادي وقفُوا فعادوا فِي الرَّغْبَة والطلب فأشهدكم أَنِّي قد أجبْت دعاءهم وشفعت رغبتهم ووهبت مسيئهم لمحسنهم وَأعْطيت محسنيهم جَمِيع مَا سَأَلُونِي وكفلت عَنْهُم التَّبعَات الَّتِي بَينهم
رغبتهم ووهبت مسيئهم لمحسنهم وَأعْطيت لمحسنهم جَمِيع مَا سَأَلُونِي غير التَّبعَات الَّتِي بَينهم فَإِذا أَفَاضَ الْقَوْم إِلَى جمع ووقفوا وعادوا فِي الرَّغْبَة والطلب إِلَى الله تَعَالَى فَيَقُول يَا ملائكتي عبَادي وقفُوا فعادوا فِي الرَّغْبَة والطلب فأشهدكم أَنِّي قد أجبْت دعاءهم وشفعت رغبتهم ووهبت مسيئهم لمحسنهم وَأعْطيت محسنيهم جَمِيع مَا سَأَلُونِي وكفلت عَنْهُم التَّبعَات الَّتِي بَينهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০১. হযরত আব্বাস ইবন মিরদাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আরাফার দিনের অপরাহ্নে আপন উম্মতের জন্য দু'আ করলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তর দেয়া হল যুলম ব্যতীত তাদের সবকিছু আমি ক্ষমা করে দিলাম। কেননা আমি যালিম থেকে মযলুমের হক অবশ্যই আদায় করে ছাড়ব। রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে আমার প্রতিপালক। তুমি তো ইচ্ছা করলে মযলুমকে জান্নাত দান করে যালিমকে ক্ষমা করে দিতে পার। কিন্তু আরাফার দিনের সন্ধ্যা পর্যন্ত এর কোন উত্তর দেয়া হল না। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ পরে যখন। মুযদালিফায় প্রভাত করলেন, এ দাবিটির পুনরাবৃত্তি করলেন, তখন তাঁর আবদার গ্রহণ করে নেয়া হল। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তখন হাসলেন, অথবা মুচকি হাসি দিলেন। আবু বকর ও উমর (রা) তাঁকে বললেন, আমাদের পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোন। এমন সময়ে তো আপনি কখনও হাসেন। না, তবে কোন্ জিনিস আপনাকে হাসাল? আল্লাহ আপনাকে আনন্দিত রাখুন। উত্তরে তিনি বললেন, আল্লাহর দুশমন ইবলীস যখন জানতে পারল যে, আল্লাহ আমার দু'আ কবুল করে নিয়েছেন এবং আমার উম্মতকে মার্জনা করে দিয়েছেন, তখন সে আঁজলাভরে ধূলি নিয়ে নিজের মাথায় নিক্ষেপ করতে লাগল এবং ধ্বংস ও মৃত্যুকে আহবান করতে শুরু করল। তার এ অস্থিরতা দেখেই আমার হাসি পেল।
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ আবদুল্লাহ ইব্ন কিনানা ইব্ন আব্বাস ইবন মিরদাস সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ আবদুল্লাহ ইব্ন কিনানা ইব্ন আব্বাস ইবন মিরদাস সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1801- وَعَن عَبَّاس بن مرداس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعَا لامته عَشِيَّة عَرَفَة فَأُجِيب أَنِّي قد غفرت لَهُم مَا خلا الْمَظَالِم فَإِنِّي آخذ للمظلوم مِنْهُ
قَالَ أَي رب إِن شِئْت أَعْطَيْت الْمَظْلُوم الْجنَّة وغفرت للظالم فَلم يجب عَشِيَّة عَرَفَة فَلَمَّا أصبح بِالْمُزْدَلِفَةِ أعَاد فَأُجِيب إِلَى مَا سَأَلَ
قَالَ فَضَحِك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو قَالَ تَبَسم فَقَالَ لَهُ أَبُو بكر وَعمر رَضِي الله عَنْهُمَا بِأبي أَنْت وَأمي إِن هَذِه لساعة مَا كنت تضحك فِيهَا فَمَا الَّذِي أضْحكك أضْحك الله سنك
قَالَ إِن عَدو الله إِبْلِيس لما علم أَن الله قد اسْتَجَابَ دعائي وَغفر لامتي أَخذ التُّرَاب فَجعل يحثوه على رَأسه وَيَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور فأضحكني مَا رَأَيْت من جزعه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن عبد الله بن كنَانَة بن عَبَّاس بن مرداس أَن أَبَاهُ أخبرهُ عَن أَبِيه
قَالَ أَي رب إِن شِئْت أَعْطَيْت الْمَظْلُوم الْجنَّة وغفرت للظالم فَلم يجب عَشِيَّة عَرَفَة فَلَمَّا أصبح بِالْمُزْدَلِفَةِ أعَاد فَأُجِيب إِلَى مَا سَأَلَ
قَالَ فَضَحِك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو قَالَ تَبَسم فَقَالَ لَهُ أَبُو بكر وَعمر رَضِي الله عَنْهُمَا بِأبي أَنْت وَأمي إِن هَذِه لساعة مَا كنت تضحك فِيهَا فَمَا الَّذِي أضْحكك أضْحك الله سنك
قَالَ إِن عَدو الله إِبْلِيس لما علم أَن الله قد اسْتَجَابَ دعائي وَغفر لامتي أَخذ التُّرَاب فَجعل يحثوه على رَأسه وَيَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور فأضحكني مَا رَأَيْت من جزعه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن عبد الله بن كنَانَة بن عَبَّاس بن مرداس أَن أَبَاهُ أخبرهُ عَن أَبِيه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০২. হাদীসটি বায়হাকী এভাবে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ আরাফার দিন বিকালে তাঁর উম্মতের মাগফিরাত ও রহমতের জন্য খুব বেশি করে দু'আ করলেন। তখন আল্লাহ তাঁর নিকট ওহী প্রেরণ করলেন যে, আমি আপনার দু'আ কবুল করে নিলাম। কিন্তু তারা একে অন্যের উপর যে যুলম করেছে, তা নয়। আর যে সকল গুনাহর সম্পর্ক কেবল আমার ও তাদের মধ্যে, সেগুলো আমি মার্জনা করে দিলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যে আমার রব। তুমিতো পার যে, এই মযলুমকে তার উপর কৃত যুলমের উত্তম বিনিময় দিয়ে দেবে আর এই যালিমকে ক্ষমা করে দেবে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহ্ তার কোন উত্তর দিলেন না। মুযদালিফার প্রভাতে তিনি আবার এই দু'আর পুনরাবৃত্তি করলেন। আল্লাহ তখন উত্তরে বললেন, আমি যালিমদেরকেও মার্জনা করে দিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন মুচকি হাসলেন। সাহাবীগণের মধ্যে থেকে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ আপনি এমন সময়ে হাসলেন, যে সময় সাধারণত আপনি হাসেন না? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর দুশমন ইবলীসকে দেখে হেসেছি। সে যখন জানতে পেল যে, আল্লাহ্ আমার উম্মতের পক্ষে আমার দু'আটি কবুল করে নিয়েছেন, তখন সে ধ্বংস ও মৃত্যুকে ডাকতে লাগল এবং অঞ্জলিভরে তার মাথায় ধূলি নিক্ষেপ করতে শুরু করল।
(হাদীসটি বায়হাকী আবদুল্লাহ ইবন কিনানা ইবন আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর পিতা সূত্রে পিতামহ আব্বাস ইবন মিরদাস থেকে বর্ণনা করেছেন, একথার উল্লেখ নেই। বায়হাকী বলেন, এ হাদীসটির সমর্থনে আরও অনেক হাদীস রয়েছে, যেগুলো আমরা 'পুনরুত্থান অধ্যায়ে' বর্ণনা করেছি। অতএব হাদীসটিকে যদি এ সকল পোষকতাকারী বর্ণনার কারণে সহীহ গণ্য করা হয়, তবে এটি এ কথার দলীল হবে যে, যুলমও ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যদি হাদীসটিকে সহীহ্ মনে না করা হয়, তবে আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণীই এ কথা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ বলেন: وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُ অর্থাৎ "আল্লাহ্ শিরক ছাড়া অন্য সবকিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।" আর পারস্পরিক যুলম তো শিরক নয়; বরং তার চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের।
(হাদীসটি বায়হাকী আবদুল্লাহ ইবন কিনানা ইবন আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর পিতা সূত্রে পিতামহ আব্বাস ইবন মিরদাস থেকে বর্ণনা করেছেন, একথার উল্লেখ নেই। বায়হাকী বলেন, এ হাদীসটির সমর্থনে আরও অনেক হাদীস রয়েছে, যেগুলো আমরা 'পুনরুত্থান অধ্যায়ে' বর্ণনা করেছি। অতএব হাদীসটিকে যদি এ সকল পোষকতাকারী বর্ণনার কারণে সহীহ গণ্য করা হয়, তবে এটি এ কথার দলীল হবে যে, যুলমও ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যদি হাদীসটিকে সহীহ্ মনে না করা হয়, তবে আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণীই এ কথা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ বলেন: وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُ অর্থাৎ "আল্লাহ্ শিরক ছাড়া অন্য সবকিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।" আর পারস্পরিক যুলম তো শিরক নয়; বরং তার চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1802- وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعَا عَشِيَّة عَرَفَة لامته بالمغفرة وَالرَّحْمَة فَأكْثر الدُّعَاء فَأوحى الله إِلَيْهِ أَنِّي فعلت إِلَّا ظلم بَعضهم بَعْضًا وَأما ذنوبهم فِيمَا بيني وَبينهمْ فقد غفرتها فَقَالَ يَا رب إِنَّك قَادر على أَن تثيب هَذَا الْمَظْلُوم خيرا من مظلمته وَتغْفر لهَذَا الظَّالِم فَلم يجبهُ تِلْكَ العشية فَلَمَّا كَانَ غَدَاة الْمزْدَلِفَة أعَاد الدُّعَاء فَأَجَابَهُ الله أَنِّي قد غفرت لَهُم
قَالَ فَتَبَسَّمَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَهُ بعض أَصْحَابه يَا رَسُول الله تبسمت فِي سَاعَة لم تكن تتبسم قَالَ تبسمت من عَدو الله إِبْلِيس إِنَّه لما علم أَن الله قد اسْتَجَابَ لي فِي أمتِي أَهْوى يَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور ويحثو التُّرَاب على رَأسه
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ من حَدِيث ابْن كنَانَة بن الْعَبَّاس بن مرداس السّلمِيّ وَلم يسمه عَن أَبِيه عَن جده عَبَّاس ثمَّ قَالَ وَهَذَا الحَدِيث لَهُ شَوَاهِد كَثِيرَة وَقد ذَكرنَاهَا فِي كتاب الْبَعْث فَإِن صَحَّ بشواهده فَفِيهِ الْحجَّة وَإِن لم يَصح فقد قَالَ الله تَعَالَى {وَيغْفر مَا دون ذَلِك لمن يَشَاء} النِّسَاء 84 وظلم بَعضهم بَعْضًا دون الشّرك انْتهى
قَالَ فَتَبَسَّمَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَهُ بعض أَصْحَابه يَا رَسُول الله تبسمت فِي سَاعَة لم تكن تتبسم قَالَ تبسمت من عَدو الله إِبْلِيس إِنَّه لما علم أَن الله قد اسْتَجَابَ لي فِي أمتِي أَهْوى يَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور ويحثو التُّرَاب على رَأسه
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ من حَدِيث ابْن كنَانَة بن الْعَبَّاس بن مرداس السّلمِيّ وَلم يسمه عَن أَبِيه عَن جده عَبَّاس ثمَّ قَالَ وَهَذَا الحَدِيث لَهُ شَوَاهِد كَثِيرَة وَقد ذَكرنَاهَا فِي كتاب الْبَعْث فَإِن صَحَّ بشواهده فَفِيهِ الْحجَّة وَإِن لم يَصح فقد قَالَ الله تَعَالَى {وَيغْفر مَا دون ذَلِك لمن يَشَاء} النِّسَاء 84 وظلم بَعضهم بَعْضًا دون الشّرك انْتهى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০৩. ইবনুল মুবারক (র) সুফয়ান সাওরী থেকে, তিনি হযরত যুবায়র ইবন আদী থেকে তিনি হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন। হযরত আনাস বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ আরাফাতে অবস্থান করলেন। সূর্য যখন অস্তমিত প্রায়, তখন তিনি বললেন, হে বিলাল। লোকদেরকে আমার কথা শোনার জন্য চুপ করতে বল। বিলাল তখন দাঁড়ালেন এবং বললেন, তোমরা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর কথা শোনার জন্য চুপ কর। লোকগণ চুপ হয়ে গেল। তিনি বললেন, হে লোক সকল! এইমাত্র জিবরাঈল (আ) আমার কাছে এসে আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সালাম বললেন এবং তিনি বললেন যে, মহান আল্লাহ আরাফবাসী ও মুযদালিফায় অবস্থানকারীদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তাদের উপর অন্যদের দায়-দাবির দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করে নিয়েছেন। তখন হযরত উমর (রা) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা কি শুধু আমাদের জন্যই? রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, এ ব্যাপারটি তোমাদের জন্যও এবং তোমাদের পরে কিয়ামত পর্যন্ত যারা আসবে, তাদের জন্যও। হযরত উমর (রা) তখন বললেন, আল্লাহর মঙ্গল অনেক বেশি ও আনন্দদায়ক হল।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1803- وروى ابْن الْمُبَارك عَن سُفْيَان الثَّوْريّ عَن الزبير بن عدي عَن أنس بن مَالك رَضِي
الله عَنهُ قَالَ وقف النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِعَرَفَات وَقد كَادَت الشَّمْس أَن تؤوب فَقَالَ يَا بِلَال أنصت لي النَّاس فَقَامَ بِلَال فَقَالَ أَنْصتُوا لرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فأنصت النَّاس فَقَالَ معشر النَّاس أَتَانِي جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام آنِفا فأقرأني من رَبِّي السَّلَام وَقَالَ إِن الله عز وَجل غفر لاهل عَرَفَات وَأهل الْمشعر وَضمن عَنْهُم التَّبعَات فَقَامَ عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ فَقَالَ يَا رَسُول الله هَذَا لنا خَاصَّة قَالَ هَذَا لكم وَلمن أَتَى من بعدكم إِلَى يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ كثر خير الله وطاب
الله عَنهُ قَالَ وقف النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِعَرَفَات وَقد كَادَت الشَّمْس أَن تؤوب فَقَالَ يَا بِلَال أنصت لي النَّاس فَقَامَ بِلَال فَقَالَ أَنْصتُوا لرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فأنصت النَّاس فَقَالَ معشر النَّاس أَتَانِي جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام آنِفا فأقرأني من رَبِّي السَّلَام وَقَالَ إِن الله عز وَجل غفر لاهل عَرَفَات وَأهل الْمشعر وَضمن عَنْهُم التَّبعَات فَقَامَ عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ فَقَالَ يَا رَسُول الله هَذَا لنا خَاصَّة قَالَ هَذَا لكم وَلمن أَتَى من بعدكم إِلَى يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ كثر خير الله وطاب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আরাফাবাসীকে নিয়ে আসমানের অধিবাসীদের সাথে গর্ব করেন। তিনি তাদেরকে বলেন: আমার বান্দাদেরকে দেখ, তারা আমার কাছে অবিন্যস্ত কেশে ও মলিন বদনে এসে হাযির হয়েছে।
(হাদীসটি আহমদ এবং ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
(হাদীসটি আহমদ এবং ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1804- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله يباهي بِأَهْل عَرَفَات أهل السَّمَاء فَيَقُول لَهُم انْظُرُوا إِلَى عبَادي جاؤوني شعثا غبرا
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
তাহকীক: