আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২১৮ টি
হাদীস নং: ১৭৬৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৬৫. ইব্ন হিব্বান এ হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে সংক্ষিপ্ত আকারে এভাবে বর্ণনা করেছেন: নবী করীম ﷺ বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর স্পর্শ সম্পূর্ণরূপে গুনাহকে মিটিয়ে দেয়।
[হাফিয বলেন,। এরা সবাই হাদীসটি আতা ইবনুস সায়িব সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন উবায়দ থেকে বর্ণনা করেন।)
[হাফিয বলেন,। এরা সবাই হাদীসটি আতা ইবনুস সায়িব সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন উবায়দ থেকে বর্ণনা করেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1765- وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه مُخْتَصرا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مسح الْحجر والركن الْيَمَانِيّ يحط الْخَطَايَا حطا
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ كلهم عَن عَطاء بن السَّائِب عَن عبد الله
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ كلهم عَن عَطاء بن السَّائِب عَن عبد الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৬৬. মুহাম্মদ ইবনুল মুনাকাদির তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বেহুদা কথা না বলে সাতবার বায়তুল্লাহর তওয়াফ করে, তার জন্য একটি দাস মুক্তির পুণ্য রয়েছে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1766- وَعَن مُحَمَّد بن الْمُنْكَدر عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من طَاف بِالْبَيْتِ أسبوعا لَا يَلْغُو فِيهِ كَانَ كَعدْل رَقَبَة يعتقها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৬৭. হযরত হুমায়দ ইবন আবু সাবিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন হিশামকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আতা ইবন আবু রাবাহকে তাওয়াফরত অবস্থায় রুকনে ইয়ামানী সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। আতা তখন বললেন, হযরত আবু হুরায়রা (রা) আমাকে এ মর্মে হাদীস শুনিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: রুকনে ইয়ামানীর কাছে সত্তরজন ফিরিশতা মোতায়েন রাখা আছে। অতএব যে ব্যক্তি বলে:
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ {رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا}
আর এই ফিরিশতাগণ বলেন, 'আমীন'। তিনি যখন হাজরে আসওয়াদে পৌঁছলেন, তখন হিশাম আবার প্রশ্ন করলেন, হে আবু মুহাম্মদ। হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে আপনার কি জানা আছে? আতা বললেন, আমাকে হযরত আবু হুরায়রা (রা) হাদীসটি বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছেন যে, ব্যক্তি এটি স্পর্শ করল, সে যেন আল্লাহর হাত স্পর্শ করল। ইব্ন হিশাম আবার তাঁকে প্রশ্ন করলেন, তাওয়াফ-এর বিষয়টি কি? আতা বললেন, আমাকে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) এ মর্মে হাদীস বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি তাওয়াফের সময় এই দু'আটি-
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لله، ولا إله إلا الله وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ الا بالله
ছাড়া অন্য কোন কথা না বলে, তার দশটি গুনাহ মোচন করা হবে, দশটি নেকী লিখা হবে এবং এর বিনিময়ে দশটি সোপান উর্ধ্বে তাকে উন্নীত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তওয়াফ অবস্থায় কথা বলে, সে যেন রহমতের দরিয়ায় শুধু পা ঢুকিয়ে ক্ষান্ত রইল, যেমন কেউ পানিতে শুধু পা দিয়েই ক্ষান্ত থাকে।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ ইসমাঈল ইবন 'আয়্যাশ সূত্রে হুমায়দ ইব্ন আবু সাবিয়্যা থেকে বর্ণনা করেছেন। আমাদের কোন কোন উস্তাদ হাদীসটি হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।)
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ {رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا}
আর এই ফিরিশতাগণ বলেন, 'আমীন'। তিনি যখন হাজরে আসওয়াদে পৌঁছলেন, তখন হিশাম আবার প্রশ্ন করলেন, হে আবু মুহাম্মদ। হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে আপনার কি জানা আছে? আতা বললেন, আমাকে হযরত আবু হুরায়রা (রা) হাদীসটি বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছেন যে, ব্যক্তি এটি স্পর্শ করল, সে যেন আল্লাহর হাত স্পর্শ করল। ইব্ন হিশাম আবার তাঁকে প্রশ্ন করলেন, তাওয়াফ-এর বিষয়টি কি? আতা বললেন, আমাকে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) এ মর্মে হাদীস বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি তাওয়াফের সময় এই দু'আটি-
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لله، ولا إله إلا الله وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ الا بالله
ছাড়া অন্য কোন কথা না বলে, তার দশটি গুনাহ মোচন করা হবে, দশটি নেকী লিখা হবে এবং এর বিনিময়ে দশটি সোপান উর্ধ্বে তাকে উন্নীত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তওয়াফ অবস্থায় কথা বলে, সে যেন রহমতের দরিয়ায় শুধু পা ঢুকিয়ে ক্ষান্ত রইল, যেমন কেউ পানিতে শুধু পা দিয়েই ক্ষান্ত থাকে।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ ইসমাঈল ইবন 'আয়্যাশ সূত্রে হুমায়দ ইব্ন আবু সাবিয়্যা থেকে বর্ণনা করেছেন। আমাদের কোন কোন উস্তাদ হাদীসটি হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1767- وَعَن حميد بن أبي سوية رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت ابْن هِشَام يسْأَل عَطاء بن أبي رَبَاح عَن الرُّكْن الْيَمَانِيّ وَهُوَ يطوف بِالْبَيْتِ فَقَالَ عَطاء حَدثنِي أَبُو هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ
أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ وكل بِهِ سَبْعُونَ ملكا فَمن قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك الْعَفو والعافية فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَة رَبنَا آتنا فِي الدُّنْيَا حَسَنَة وَفِي الْآخِرَة حَسَنَة وقنا عَذَاب النَّار
قَالُوا آمين
فَلَمَّا بلغ الرُّكْن الْأسود قَالَ يَا أَبَا مُحَمَّد مَا بلغك فِي هَذَا الرُّكْن الْأسود فَقَالَ عَطاء حَدثنِي أَبُو هُرَيْرَة أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من فاوضه فَإِنَّمَا يفاوض يَد الرَّحْمَن
قَالَ لَهُ ابْن هِشَام يَا أَبَا مُحَمَّد فالطواف قَالَ عَطاء حَدثنِي أَبُو هُرَيْرَة أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من طَاف بِالْبَيْتِ سبعا وَلَا يتَكَلَّم إِلَّا بسبحان الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه محيت عَنهُ عشر سيئات وكتبت لَهُ عشر حَسَنَات وَرفع لَهُ بهَا عشر دَرَجَات وَمن طَاف فَتكلم وَهُوَ فِي تِلْكَ الْحَال خَاضَ فِي الرَّحْمَة برجليه كخائض المَاء برجليه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش حَدثنِي حميد بن أبي سوية وَحسنه بعض مَشَايِخنَا
أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ وكل بِهِ سَبْعُونَ ملكا فَمن قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك الْعَفو والعافية فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَة رَبنَا آتنا فِي الدُّنْيَا حَسَنَة وَفِي الْآخِرَة حَسَنَة وقنا عَذَاب النَّار
قَالُوا آمين
فَلَمَّا بلغ الرُّكْن الْأسود قَالَ يَا أَبَا مُحَمَّد مَا بلغك فِي هَذَا الرُّكْن الْأسود فَقَالَ عَطاء حَدثنِي أَبُو هُرَيْرَة أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من فاوضه فَإِنَّمَا يفاوض يَد الرَّحْمَن
قَالَ لَهُ ابْن هِشَام يَا أَبَا مُحَمَّد فالطواف قَالَ عَطاء حَدثنِي أَبُو هُرَيْرَة أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من طَاف بِالْبَيْتِ سبعا وَلَا يتَكَلَّم إِلَّا بسبحان الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه محيت عَنهُ عشر سيئات وكتبت لَهُ عشر حَسَنَات وَرفع لَهُ بهَا عشر دَرَجَات وَمن طَاف فَتكلم وَهُوَ فِي تِلْكَ الْحَال خَاضَ فِي الرَّحْمَة برجليه كخائض المَاء برجليه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش حَدثنِي حميد بن أبي سوية وَحسنه بعض مَشَايِخنَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৬৮. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আল্লাহ তাঁর পবিত্র ঘরের হজ্জ পালনকারীদের উপর প্রতিদিন একশ' বিশটি রহমত নাযিল করেন। ষাটটি তাওয়াফকারীদের জন্য, চল্লিশটি সালাত আদায়কারীদের জন্য আর বিশটি কাবাঘরের দিকে দৃষ্টিপাতকারীদের জন্য।
(হাদীসটি বায়হাকী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বায়হাকী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1768- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ينزل الله كل يَوْم على حجاج بَيته الْحَرَام عشْرين وَمِائَة رَحْمَة سِتِّينَ للطائفين وَأَرْبَعين للمصلين وَعشْرين للناظرين
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৬৯. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত যে নবী করীম ﷺ বলেছেন: বায়তুল্লাহর চতুষ্পার্শ্বে তাওয়াফ করা সালাতের মতই। তবে ব্যতিক্রম এই যে, তোমরা এতে কথা বলতে পার। অতএব যে ব্যক্তি তাওয়াফের সময় কথা বলে, সে যেন উত্তম কথা ছাড়া অন্য কিছু না বলে।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। ইব্ন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে মাওকুফ পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। এটি মারফু হাদীস হিসেবে কেবল আতা ইবনুস সায়িব সূত্রেই বর্ণিত হয়েছে।)
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। ইব্ন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে মাওকুফ পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। এটি মারফু হাদীস হিসেবে কেবল আতা ইবনুস সায়িব সূত্রেই বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1769- وَعَن ابْن عَبَّاس أَيْضا رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الطّواف حول الْبَيْت صَلَاة إِلَّا أَنكُمْ تتكلمون فِيهِ فَمن تكلم فِيهِ فَلَا يتَكَلَّم إِلَّا بِخَير
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ التِّرْمِذِيّ وَقد رُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس مَوْقُوفا وَلَا نعرفه مَرْفُوعا إِلَّا من حَدِيث عَطاء بن السَّائِب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ التِّرْمِذِيّ وَقد رُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس مَوْقُوفا وَلَا نعرفه مَرْفُوعا إِلَّا من حَدِيث عَطاء بن السَّائِب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭০. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পঞ্চাশবার বায়তুল্লাহর তওয়াফ করল, সে তার গুনাহরাশি থেকে ঠিক তেমনি পবিত্র হয়ে গেল যেমন সে ঐ দিন ছিল যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং একে গরীব বলে মন্তব্য করেছেন। তিরমিযী বলেন, আমি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে এ হাদীসটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি তখন বললেন, এটি হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর নিজস্ব বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত হয়ে থাকে।)
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং একে গরীব বলে মন্তব্য করেছেন। তিরমিযী বলেন, আমি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে এ হাদীসটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি তখন বললেন, এটি হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর নিজস্ব বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত হয়ে থাকে।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1770- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من طَاف بِالْبَيْتِ خمسين مرّة خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب سَأَلت مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ عَن هَذَا الحَدِيث فَقَالَ إِنَّمَا يرْوى عَن ابْن عَبَّاس من قَوْله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب سَأَلت مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ عَن هَذَا الحَدِيث فَقَالَ إِنَّمَا يرْوى عَن ابْن عَبَّاس من قَوْله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন আম্র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তওয়াফ করল এবং দু'রাকাআত সালাত আদায় করল, সে যেন একটি দাস-মুক্ত করে দিল।
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি ইতিপূর্বেও এসেছে।)
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি ইতিপূর্বেও এসেছে।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1771- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من طَاف بِالْبَيْتِ وَصلى رَكْعَتَيْنِ كَانَ كعتق رَقَبَة
رَوَاهُ ابْن ماجة وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحَة وَتقدم
رَوَاهُ ابْن ماجة وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحَة وَتقدم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭২. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহর তওয়াফ করল, তার প্রতি কদমে আল্লাহ্ একটি করে গুনাহ মাফ করে দিবেন, এর বিনিময়ে একটি নেকী লিখে দিবেন এবং মর্যাদার একটি সোপান উন্নীত করে দিবেন।।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইবন হিব্বান বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইবন হিব্বানের।)
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইবন হিব্বান বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইবন হিব্বানের।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1772- وَعنهُ أَيْضا رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من طَاف بِالْبَيْتِ أسبوعا لَا يضع قدما وَلَا يرفع أُخْرَى إِلَّا حط الله عَنهُ بهَا خَطِيئَة وَكتب لَهُ بهَا حَسَنَة وَرفع لَهُ بهَا دَرَجَة
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَابْن حبَان وَاللَّفْظ لَهُ
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَابْن حبَان وَاللَّفْظ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭৩. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযূ করল, তারপর হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতে আসল, সে যেন রহমতের মধ্যে ঢুকে পড়ল। তারপর যে যখন হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করে এই দু'আ পাঠ করতে থাকে।
بِسْمِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
তখন রহমত তাকে ঢেকে ফেলে। সে যখন বায়তুল্লাহর তওয়াফ শুরু করে, তখন আল্লাহ তার প্রতি কদমে। সত্তর হাজার করে নেকী লিখে দেন, সত্তর হাজার করে গুনাহ মিটিয়ে দেন এবং সত্তর হাজার করে দরজা। বুলন্দ করে দেন। আর তাকে নিজ পরিবারের সত্তরজন মানুষের জন্য সুপারিশ করার অধিকার দেয়া হয়। সে যখন মাকামে ইবরাহীমে এসে দু'রাকআত সালাত আদায় করে, তখন তাকে বনী ইসমাঈলের একজন দাস মুক্ত করার সমপরিমাণ পুণ্য দান করা হয় এবং সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর ন্যায় গুনাহরাশি থেকে পবিত্র হয়ে যায়।
(হাদীসটি আবুল কাসিম ইস্পাহানী মাওকুফ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন।)
بِسْمِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
তখন রহমত তাকে ঢেকে ফেলে। সে যখন বায়তুল্লাহর তওয়াফ শুরু করে, তখন আল্লাহ তার প্রতি কদমে। সত্তর হাজার করে নেকী লিখে দেন, সত্তর হাজার করে গুনাহ মিটিয়ে দেন এবং সত্তর হাজার করে দরজা। বুলন্দ করে দেন। আর তাকে নিজ পরিবারের সত্তরজন মানুষের জন্য সুপারিশ করার অধিকার দেয়া হয়। সে যখন মাকামে ইবরাহীমে এসে দু'রাকআত সালাত আদায় করে, তখন তাকে বনী ইসমাঈলের একজন দাস মুক্ত করার সমপরিমাণ পুণ্য দান করা হয় এবং সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর ন্যায় গুনাহরাশি থেকে পবিত্র হয়ে যায়।
(হাদীসটি আবুল কাসিম ইস্পাহানী মাওকুফ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1773 - وَرُوِيَ عَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ من تَوَضَّأ فأسبغ الْوضُوء ثمَّ أَتَى الرُّكْن يستلمه خَاضَ فِي الرَّحْمَة فَإِذا استلمه فَقَالَ بِسم الله وَالله أكبر أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ وَأشْهد أَن مُحَمَّدًا عَبده وَرَسُوله غمرته الرَّحْمَة فَإِذا طَاف بِالْبَيْتِ كتب الله لَهُ بِكُل قدم سبعين ألف حَسَنَة وَحط عَنهُ سبعين ألف سَيِّئَة وَرفع لَهُ سبعين ألف دَرَجَة وشفع فِي سبعين من أهل بَيته فَإِذا أَتَى مقَام إِبْرَاهِيم فصلى عِنْده رَكْعَتَيْنِ إِيمَانًا واحتسابا كتب الله لَهُ عتق رَقَبَة محررة من ولد إِسْمَاعِيل وَخرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه
رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ مَوْقُوفا
رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ مَوْقُوفا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭৪. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে বলেছেন। আল্লাহর শপথ। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ এটিকে এমন অবস্থায় উঠাবেন যে, তার দু'টি চোখ থাকবে যা দিয়ে সে দেখবে এবং একটি জিহবা থাকবে যা দিয়ে সে কথা বলবে। যারা তাকে স্পর্শ করেছে, তাদের ব্যাপারে সে ন্যায় সাক্ষ্য দিবে।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান হাদীস। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান হাদীস। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1774- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي الْحجر وَالله ليبعثنه الله يَوْم الْقِيَامَة لَهُ عينان يبصر بهما ولسان ينْطق بِهِ يشْهد على من استلمه بِحَق
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭৫. তাবারানী এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে কিয়ামতের দিন উপস্থিত করবেন। তখন তাদের দু'টি চোখ দু'টি জিহবা এবং দু'টি ঠোঁট থাকবে। যারা নিষ্ঠার সাথে এগুলোকে স্পর্শ করেছিল, তাদের বেলায় এ দু'টি সাক্ষ্য প্রদান করবে।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1775- وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَلَفظه يبْعَث الله الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ يَوْم الْقِيَامَة وَلَهُمَا عينان ولسانان وشفتان يَشْهَدَانِ لمن استلمهما بِالْوَفَاءِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কিয়ামতের দিন রুকনে ইয়ামানী আবু কুবায়স পাহাড়ের চেয়েও বিরাট আকৃতিতে উপস্থিত হবে। তার দু'টি জিহ্ববা ও দু'টি ঠোঁট থাকবে।
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি 'আওসাতে' বর্ণনা করেন। তারাবানী এ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন: রুকনে ইয়ামানী তার স্পর্শকারীর জন্য সত্য সত্য সাক্ষ্য দিবে। আর এটি যেন আল্লাহর ডান হাত, যা দিয়ে তিনি আপন বান্দাদের সাথে মুসাফাহা করেন। ইবন খুযায়মাও হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এতটুকু অতিরিক্তসহ বর্ণনা করেছেনঃ যে ব্যক্তি তাকে (খালেস) নিয়্যত সহকারে স্পর্শ করেছে, তার বেলায় সে কথা বলবে। আর এটি যেন। আল্লাহর ডান হাত যা দিয়ে তিনি আপন বান্দাদের সাথে মুসাফাহা করেন।)
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি 'আওসাতে' বর্ণনা করেন। তারাবানী এ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন: রুকনে ইয়ামানী তার স্পর্শকারীর জন্য সত্য সত্য সাক্ষ্য দিবে। আর এটি যেন আল্লাহর ডান হাত, যা দিয়ে তিনি আপন বান্দাদের সাথে মুসাফাহা করেন। ইবন খুযায়মাও হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এতটুকু অতিরিক্তসহ বর্ণনা করেছেনঃ যে ব্যক্তি তাকে (খালেস) নিয়্যত সহকারে স্পর্শ করেছে, তার বেলায় সে কথা বলবে। আর এটি যেন। আল্লাহর ডান হাত যা দিয়ে তিনি আপন বান্দাদের সাথে মুসাফাহা করেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1776- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَأْتِي الرُّكْن الْيَمَانِيّ يَوْم الْقِيَامَة أعظم من أبي قبيس لَهُ لسانان وشفتان
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
وَزَاد يشْهد لمن استلمه بِالْحَقِّ وَهُوَ يَمِين الله عز وَجل يُصَافح بهَا خلقه
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَزَاد يتَكَلَّم عَمَّن استلمه بِالنِّيَّةِ وَهُوَ يَمِين الله الَّتِي يُصَافح بهَا خلقه
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
وَزَاد يشْهد لمن استلمه بِالْحَقِّ وَهُوَ يَمِين الله عز وَجل يُصَافح بهَا خلقه
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَزَاد يتَكَلَّم عَمَّن استلمه بِالنِّيَّةِ وَهُوَ يَمِين الله الَّتِي يُصَافح بهَا خلقه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭৭. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন । এ পাথরটিকে (আসওয়াদকে) তোমরা তোমাদের কল্যাণের সাক্ষী রাখ। কেননা এটি কিয়ামতের দিন এমন সুপারিশকারী হবে যার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়। তার দু'টি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট থাকবে। সে তার স্পর্শকারীদের জন্য সাক্ষ্য দেবে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে ওলীদ ইবন আব্বাদের হাদীস বর্ণনায় কোন পরিচিতি নেই।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে ওলীদ ইবন আব্বাদের হাদীস বর্ণনায় কোন পরিচিতি নেই।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1777- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أشهدوا هَذَا الْحجر خيرا فَإِنَّهُ يَوْم الْقِيَامَة شَافِع يشفع لَهُ لسانان وشفتان يشْهد لمن استلمه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن الْوَلِيد بن عباد مَجْهُول
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن الْوَلِيد بن عباد مَجْهُول
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭৮. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে অবতরণ করে এসেছে। তখন এটি দুধের চেয়ে অধিক সাদা ছিল। তারপর আদম সন্তানের গুনাহসমূহ একে কালো করে দিয়েছে।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান-সহীহ। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন: "বরফের চেয়ে অধিক সাদা।")
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান-সহীহ। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন: "বরফের চেয়ে অধিক সাদা।")
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1778- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نزل الْحجر الْأسود من الْجنَّة وَهُوَ أَشد بَيَاضًا من اللَّبن فسودته خَطَايَا بني آدم
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ أَشد بَيَاضًا من الثَّلج
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ أَشد بَيَاضًا من الثَّلج
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৭৯. তাবারানীও এ হাদীসটি তাঁর 'আওসাতে' ও 'কবীরে' হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। তাঁর শব্দমালা হল: হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথরসমূহের একটি। পৃথিবীতে এটি ছাড়া জান্নাতের আর কোন বস্তু নেই। এটি স্ফটিকের মত সাদা ছিল। জালিহিয়্যাতের অপবিত্রতা যদি তাকে স্পর্শ না করত, তবে কোন বিকলাঙ্গ ব্যক্তি তাকে স্পর্শ করলে সুস্থ হয়ে যেত।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1779- وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْكَبِير بِإِسْنَاد حسن وَلَفظه قَالَ الْحجر الْأسود من حِجَارَة الْجنَّة وَمَا فِي الأَرْض من الْجنَّة غَيره وَكَانَ أَبيض كالمها وَلَوْلَا مَا مَسّه من رِجْس الْجَاهِلِيَّة مَا مَسّه ذُو عاهة إِلَّا برأَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮০. ইবন খুযায়মার এক বর্ণনায় রয়েছে: হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের সাদা চুণি পাথরসমূহের একটি পাথর বিশেষ। মুশরিকদের পাপরাশি এটিকে কালো করে দিয়েছে। এ পাথরটি কিয়ামতের দিন উহুদ পাহাড়ের মত আকৃতিতে উপস্থিত হবে। দুনিয়ায় যারা তাকে স্পর্শ করেছে, অথবা চুম্বন করেছে, তাদের ব্যাপারে সে সাক্ষ্য দিবে।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1780- وَفِي رِوَايَة لِابْنِ خُزَيْمَة قَالَ الْحجر الْأسود ياقوتة بَيْضَاء من يَوَاقِيت الْجنَّة وَإِنَّمَا سودته خَطَايَا الْمُشْركين يبْعَث يَوْم الْقِيَامَة مثل أحد يشْهد لمن استلمه وَقَبله من أهل الدُّنْيَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮১. বায়হাকী এ হাদীসটি সংক্ষিপ্ত আকারে এভাবে বর্ণনা করেছেন। হাজরে আসওয়াদ একটি বেহেশতী পাথর। এটি বরফের চেয়েও অধিক সাদা ছিল। পরে মুশরিকদের পাপরাশি একে কালো করে ফেলেছে।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1781- وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ مُخْتَصرا قَالَ الْحجر الْأسود من الْجنَّة وَكَانَ أَشد بَيَاضًا من الثَّلج حَتَّى سودته خَطَايَا أهل الشّرك
المها مَقْصُورا جمع مهاة وَهِي البلورة
المها مَقْصُورا جمع مهاة وَهِي البلورة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮২. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজরে আসওয়াদ আসমান থেকে অবতরণ করে আসে। তাকে আবু কুবায়স পাহাড়ে রাখা হয়। এখন এটি শুভ্র স্ফটিকের মত ছিল। চল্লিশ বছর পর্যন্ত এটি এখানেই থাকে। তারপর এটি ইবরাহীম (আ)-এর ভিত্তির উপর স্থাপন করা হয়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কারীরে' মাওকুফ পদ্ধতিতে সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কারীরে' মাওকুফ পদ্ধতিতে সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1782- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ نزل الرُّكْن الْأسود من السَّمَاء فَوضع على أبي قبيس كَأَنَّهُ مهاة بَيْضَاء فَمَكثَ أَرْبَعِينَ سنة ثمَّ وضع على قَوَاعِد إِبْرَاهِيم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮৩. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে কাবায় হেলান দিয়ে একথা বলতে শুনেছি: হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীম বেহেশতী চুণিসমূহের মধ্যকার দু'টি চুণি। আল্লাহ্ তা'আলা যদি এ দুটোকে নিষ্প্রভ করে না দিতেন, তবে এগুলো পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সকল কিছুকে উজ্জ্বল করে রাখত।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটি রাজা ইবন সাবীহ সূত্রে বর্ণনা করেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেন। এ সূত্রেই বায়হাকীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটি রাজা ইবন সাবীহ সূত্রে বর্ণনা করেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেন। এ সূত্রেই বায়হাকীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1783- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ مُسْند ظَهره إِلَى الْكَعْبَة يَقُول الرُّكْن وَالْمقَام ياقوتتان من يَوَاقِيت الْجنَّة وَلَوْلَا أَن الله تَعَالَى طمس نورهما لأضاءتا مَا بَين الْمشرق وَالْمغْرب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة رَجَاء بن صبيح وَالْحَاكِم وَمن طَرِيقه الْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة رَجَاء بن صبيح وَالْحَاكِم وَمن طَرِيقه الْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ তওয়াফ, হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীকে স্পর্শ করার প্রতি উৎসাহ দান ও দু'টির ফযীলত প্রসঙ্গ, মাকামে ইবরাহীম ও বায়তুল্লাহয় প্রবেশের ফযীলত
১৭৮৪. বায়হাকীর অপর এক বর্ণনায় রয়েছে: হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীম জান্নাতের চুণি বিশেষ। আদম সন্তানের পাপরাশি যদি এটিকে স্পর্শ না করত তাহলে এটি পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল করে রাখত এবং কোন বিকলাঙ্গ ও রোগী এ দু'টিকে স্পর্শ করলে সুস্থ হয়ে যেত।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الطّواف واستلام الْحجر الْأسود والركن الْيَمَانِيّ وَمَا جَاءَ فِي فضلهما وَفضل الْمقَام وَدخُول الْبَيْت
1784- وَفِي رِوَايَة للبيهقي قَالَ إِن الرُّكْن وَالْمقَام من ياقوت الْجنَّة وَلَوْلَا مَا مَسّه من خَطَايَا بني آدم لأضاء مَا بَين الْمشرق وَالْمغْرب وَمَا مسهما من ذِي عاهة وَلَا سقيم إِلَّا شفي
তাহকীক: