আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২১৮ টি
হাদীস নং: ১৮২৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ যমযমের পানিপানের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮২৫. হযরত সাইব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন। তোমরা আব্বাসের পানপাত্র থেকে পানিপান কর। কেননা এটি সুন্নত।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে এমন একজন রাবী রয়েছেন, যার নাম নেয়া হয়নি। অন্যান্য রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে এমন একজন রাবী রয়েছেন, যার নাম নেয়া হয়নি। অন্যান্য রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي شرب مَاء زَمْزَم وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1825- وَعَن السَّائِب رَضِي الله عَنهُ أَنه كَانَ يَقُول اشربوا من سِقَايَة الْعَبَّاس فَإِنَّهُ من السّنة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي إِسْنَاده رجل لم يسم وبقيته ثِقَات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي إِسْنَاده رجل لم يسم وبقيته ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮২৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮২৬. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন পাথেয় ও বাহনের মালিক হল, যা তাকে আল্লাহর পবিত্র ঘরে পৌঁছাতে পারে, অথচ সে হজ্জ আদায় করল না, তার উপর কোন আক্ষেপ নেই, সে ইয়াহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করুক অথবা নাসারা হয়ে। কারণ এই যে, আল্লাহ্ বলেন:
وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا
অর্থ: আর এ ঘরের হজ্জ করা হল মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত নং ৯৭)
(হাদীসটি তিরমিযী ও বায়হাকী হারিস সূত্রে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। এ সূত্রটি ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা এটি জানি না।)
وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا
অর্থ: আর এ ঘরের হজ্জ করা হল মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত নং ৯৭)
(হাদীসটি তিরমিযী ও বায়হাকী হারিস সূত্রে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। এ সূত্রটি ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা এটি জানি না।)
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1826- رُوِيَ عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ملك زادا وراحلة تبلغه إِلَى بَيت الله الْحَرَام فَلم يحجّ فَلَا عَلَيْهِ أَن يَمُوت يَهُودِيّا أَو نَصْرَانِيّا وَذَلِكَ أَن الله يَقُول {وَللَّه على النَّاس حج الْبَيْت من اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلا} آل عمرَان 79
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْبَيْهَقِيّ من رِوَايَة الْحَارِث عَن عَليّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من هَذَا الْوَجْه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْبَيْهَقِيّ من رِوَايَة الْحَارِث عَن عَليّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من هَذَا الْوَجْه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮২৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮২৭. বায়হাকীও এ হাদীসটি আবদুর রহমান ইবন সাবিত হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: প্রকাশ্য কোন বাঁধা, প্রতিবন্ধক, কোন রোগ অথবা অত্যাচারী বাদশাহ যাকে হজ্জ পালনে বাধা দেয়নি অথচ সে হজ্জ করল না, সে চাই ইয়াহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করুক অথবা নাসারা হয়ে মৃত্যুবরণ করুক, তাতে কিছু আসে যায় না।
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1827- وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ أَيْضا عَن عبد الرَّحْمَن بن سابط عَن أبي أُمَامَة عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من لم تحبسه حَاجَة ظَاهِرَة أَو مرض حَابِس أَو سُلْطَان جَائِر وَلم يحجّ فليمت إِن شَاءَ يَهُودِيّا وَإِن شَاءَ نَصْرَانِيّا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮২৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮২৮. ইতিপূর্বে হুযায়ফা (রা) থেকে নবী করীম ﷺ -এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন। ইসলামের আটটি অংশ। ইসলাম (তথা আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য) একটি অংশ, সালাত একটি অংশ, যাকাত একটি অংশ, বায়তুল্লাহর হজ্জ একটি অংশ, সৎকাজের আদেশ দান একটি অংশ, অন্যায় কাজে বাধা প্রাধান একটি অশে আর আল্লাহর পথে জিহাদ একটি অংশ। যার একটি অংশও কম রয়েছে, সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1828- وَتقدم حَدِيث حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْإِسْلَام ثَمَانِيَة أسْهم الْإِسْلَام سهم وَالصَّلَاة سهم وَالزَّكَاة سهم وَحج الْبَيْت سهم وَالْأَمر بِالْمَعْرُوفِ سهم وَالنَّهْي عَن الْمُنكر سهم وَالْجهَاد فِي سَبِيل الله سهم وَقد خَابَ من لَا سهم لَهُ
رَوَاهُ الْبَزَّار
رَوَاهُ الْبَزَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮২৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮২৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: মহান আল্লাহ্ বলেন, আমি যে বান্দার শরীরকে সুস্থ রেখেছি ও জীবিকার প্রশস্ততা দান করেছি, সে যখন পাঁচটি বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আমার দিকে মেহমান হয়ে আসে না, তখন সে নিশ্চিতভাবেই বঞ্চিত।
(হাদীসটি ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী বলেন, আলী ইবনুল মুনযির বলেছেন, আমার কিছু সাথী বর্ণনা করেছেন যে, হাসান ইবন হুয়াই এ হাদীসটি খুব পসন্দ করতেন এবং এ অনুযায়ী মত পোষণ করে সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত হজ্জ বিলম্বিত করা অপসন্দ করতেন।)
(হাদীসটি ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী বলেন, আলী ইবনুল মুনযির বলেছেন, আমার কিছু সাথী বর্ণনা করেছেন যে, হাসান ইবন হুয়াই এ হাদীসটি খুব পসন্দ করতেন এবং এ অনুযায়ী মত পোষণ করে সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত হজ্জ বিলম্বিত করা অপসন্দ করতেন।)
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1829- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَقُول الله عز وَجل إِن عبدا صححت لَهُ جِسْمه ووسعت عَلَيْهِ فِي الْمَعيشَة تمْضِي عَلَيْهِ خَمْسَة أَعْوَام لَا يفد إِلَيّ لمحروم
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ قَالَ عَليّ بن الْمُنْذر أَخْبرنِي بعض أَصْحَابنَا قَالَ كَانَ حسن بن حييّ يُعجبهُ هَذَا الحَدِيث وَبِه يَأْخُذ
وَيُحب للرجل الْمُوسر الصَّحِيح أَن لَا يتْرك الْحَج خمس سِنِين
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ قَالَ عَليّ بن الْمُنْذر أَخْبرنِي بعض أَصْحَابنَا قَالَ كَانَ حسن بن حييّ يُعجبهُ هَذَا الحَدِيث وَبِه يَأْخُذ
وَيُحب للرجل الْمُوسر الصَّحِيح أَن لَا يتْرك الْحَج خمس سِنِين
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮৩০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ বিদায় হজে আপন সহধর্মিনীদেরকে বলেছিলেন, এটিই তোমাদের হজ্জ, তারপর চাটাইয়ের পিঠ আঁকড়ে থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তী সময়ে তাঁদের সবাই হজ্জ করতে যেতেন, কিন্তু যয়নব বিনত জাহশ ও সাওদা বিনত যাম'আ (রা) এর ব্যতিক্রম ছিলেন। তাঁরা বলতেন, আল্লাহর শপথ। নবী করীম ﷺ থেকে একথা শোনার পর আমাদেরকে কোন বাহন আর ঝাঁকুনি দিতে পারবে না।
ইসহাক তাঁর বর্ণনায় বলেন, তাঁরা বলতেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর বাণীঃ "এটিই তোমাদের হজ্জ। তারপর চাটাইয়ের পিঠ আঁকড়ে থাকবে" শোনার পর আমাদেরকে আর কোন বাহন ঝাঁকুনি দিতে পারবে না।
(হাদীসটি আহমদ ও আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি উত্তম। ইসহাক এ হাদীসটি তাওয়ামা ইধন আবূ যি’ব-এর আযাদকৃত গোলাম সালিহ থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হাদীসটি তিনি সালিহ থেকে স্মৃতিভ্রম সৃষ্টির পূর্বে শুনেছিলেন।)
ইসহাক তাঁর বর্ণনায় বলেন, তাঁরা বলতেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর বাণীঃ "এটিই তোমাদের হজ্জ। তারপর চাটাইয়ের পিঠ আঁকড়ে থাকবে" শোনার পর আমাদেরকে আর কোন বাহন ঝাঁকুনি দিতে পারবে না।
(হাদীসটি আহমদ ও আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি উত্তম। ইসহাক এ হাদীসটি তাওয়ামা ইধন আবূ যি’ব-এর আযাদকৃত গোলাম সালিহ থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হাদীসটি তিনি সালিহ থেকে স্মৃতিভ্রম সৃষ্টির পূর্বে শুনেছিলেন।)
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1830- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لنسائه عَام حجَّة الْوَدَاع هَذِه ثمَّ ظُهُور الْحصْر
قَالَ وَكن كُلهنَّ يحججن إِلَّا زَيْنَب بنت جحش وَسَوْدَة بنت زَمعَة رَضِي الله عَنْهُن وكانتا تقولان وَالله لَا تحركنا دَابَّة بعد إِذْ سمعنَا ذَلِك من النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ إِسْحَاق فِي حَدِيثه قَالَتَا وَالله لَا تحركنا دَابَّة بعد قَول رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هَذِه ثمَّ ظُهُور الْحصْر
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَإِسْنَاده حسن رَوَاهُ عَن صَالح مولى التَّوْأَمَة بن أبي ذِئْب وَقد سمع مِنْهُ قبل اخْتِلَاطه
قَالَ وَكن كُلهنَّ يحججن إِلَّا زَيْنَب بنت جحش وَسَوْدَة بنت زَمعَة رَضِي الله عَنْهُن وكانتا تقولان وَالله لَا تحركنا دَابَّة بعد إِذْ سمعنَا ذَلِك من النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ إِسْحَاق فِي حَدِيثه قَالَتَا وَالله لَا تحركنا دَابَّة بعد قَول رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هَذِه ثمَّ ظُهُور الْحصْر
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَإِسْنَاده حسن رَوَاهُ عَن صَالح مولى التَّوْأَمَة بن أبي ذِئْب وَقد سمع مِنْهُ قبل اخْتِلَاطه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮৩১. হযরত উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিদায় হজ্জে আমাদেরকে বলেছিলেন: এই এটিই তোমাদের হজ্জ। অতঃপর তোমরা ঘরে চাটাইয়ের উপর বসে থাকবে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে এবং আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে এবং আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1831- وَعَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ لنا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي حجَّة الْوَدَاع هِيَ هَذِه الْحجَّة ثمَّ الْجُلُوس على ظُهُور الْحصْر فِي الْبيُوت
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَأَبُو يعلى وَرُوَاته ثِقَات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَأَبُو يعلى وَرُوَاته ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮৩২. তাবারানী এ হাদীসটি 'আওসাত' নামক গ্রন্থে হযরত ইবন উমর (রা) থেকেও বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম ﷺ যখন তাঁর স্ত্রীদেরকে নিয়ে হজ্জ করেছিলেন তখন বলেছিলেন। তোমাদের জন্য কেবল এ হজ্জটিই। তারপর তোমরা চাটাইয়ের পিঠকে আঁকড়ে থাকবে।
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1832- وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لما حج بنسائه قَالَ إِنَّمَا هِيَ هَذِه ثمَّ عَلَيْكُم بِظُهُور الْحصْر
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করে না, তার প্রতি সতর্কবাণী ও ফরয হজ্জ আদায়ের পর মহিলাদের ঘর আঁকড়ে থাকা প্রসঙ্গ
১৮৩৩. আবু ওয়াকিদ লায়সীর এক পুত্র তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বিদায় হজ্জে আপন সহধর্মিণীদেরকে বলছিলেন: এটিই তোমাদের হজ্জ, তারপর চাটাইয়ের পিঠ* আঁকড়ে থাকবে।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি আবু ওয়াকিদের পুত্রের নাম। উল্লেখ করেননি।)
* অর্থাৎ তারপর তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা, আর নড়চড় করার দরকার নেই।-সম্পাদক
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি আবু ওয়াকিদের পুত্রের নাম। উল্লেখ করেননি।)
* অর্থাৎ তারপর তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা, আর নড়চড় করার দরকার নেই।-সম্পাদক
كتاب الْحَج
ترهيب من قدر على الْحَج فَلم يحجّ وَمَا جَاءَ فِي لُزُوم الْمَرْأَة بَيتهَا بعد قَضَاء فرض الْحَج
1833- وعن ابن لأبي واقد الليثى عَنْ أَبِيهِ رَضى اللهُ عَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ لازواجِه فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ : هذه ثُمَّ ظهور الحصر
رواه ابو داؤد، ولم يسم ابن ابي واقد
رواه ابو داؤد، ولم يسم ابن ابي واقد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৩৪. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: আমার এই মসজিদে একটি সালাত আদায় অন্য যে কোন মসজিদে এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত।
(হাদীসটি মুসলিম, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি মুসলিম, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1834- عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صَلَاة فِي مَسْجِدي هَذَا أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৩৫. হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন যুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার এই মসজিদে একটি সালাত অন্য যে কোন মসজিদের এক হাজার সালাতের চাইতে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত। আর মসজিদুল হারামে একটি সালাত এই মসজিদের একশত সালাতের চেয়ে উত্তম।
(হাদীসটি আহমদ ও ইবন খুযায়মা বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বান এ কথাটি অতিরিক্ত বলেছেন: অর্থাৎ মদীনার মসজিদে। বাযযারও এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমার এই মসজিদে একটি সালাত যে কোন মসজিদের এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত। কেননা এখানে সালাত আদায় মসজিদে নববীর একশ' সালাতের চেয়ে উত্তম। এর সনদটিও সহীহ।)
(হাদীসটি আহমদ ও ইবন খুযায়মা বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বান এ কথাটি অতিরিক্ত বলেছেন: অর্থাৎ মদীনার মসজিদে। বাযযারও এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমার এই মসজিদে একটি সালাত যে কোন মসজিদের এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত। কেননা এখানে সালাত আদায় মসজিদে নববীর একশ' সালাতের চেয়ে উত্তম। এর সনদটিও সহীহ।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1835- وَعَن عبد الله بن الزبير رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَلَاة فِي مَسْجِدي هَذَا أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ من الْمَسَاجِد إِلَّا
الْمَسْجِد الْحَرَام وَصَلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام أفضل من مائَة صَلَاة فِي هَذَا
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَزَاد يَعْنِي فِي مَسْجِد الْمَدِينَة وَالْبَزَّار وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صَلَاة فِي مَسْجِدي هَذَا أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ من الْمَسَاجِد إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام فَإِنَّهُ يزِيد عَلَيْهِ مائَة صَلَاة
وَإِسْنَاده صَحِيح أَيْضا
الْمَسْجِد الْحَرَام وَصَلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام أفضل من مائَة صَلَاة فِي هَذَا
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَزَاد يَعْنِي فِي مَسْجِد الْمَدِينَة وَالْبَزَّار وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صَلَاة فِي مَسْجِدي هَذَا أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ من الْمَسَاجِد إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام فَإِنَّهُ يزِيد عَلَيْهِ مائَة صَلَاة
وَإِسْنَاده صَحِيح أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৩৬. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার মসজিদে একটি নামায অন্য যে কোন মসজিদের এক হাজার সালাতের চাইতে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত। আর মসজিদুল হারামে একটি নামায অন্যত্র এক লাখ নামাযের চাইতে উত্তম।
(হাদীসটি আহমদ ও ইব্ন মাজাহ দু'টি পৃথক সহীহ্ সনদে বর্ণনা করেছেন)
(হাদীসটি আহমদ ও ইব্ন মাজাহ দু'টি পৃথক সহীহ্ সনদে বর্ণনা করেছেন)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1836- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صَلَاة فِي مَسْجِدي أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام وَصَلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام أفضل من مائَة ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه بِإِسْنَادَيْنِ صَحِيحَيْنِ
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه بِإِسْنَادَيْنِ صَحِيحَيْنِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৩৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার এই মসজিদে একটি সালাত অন্যত্র এক হাজার সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত।
(হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন।)
(হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1837- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صَلَاة فِي مَسْجِدي هَذَا خير من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৩৮. বাযযার হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমি শেষ নবী। আর আমার এই মসজিদটি নবীদের শেষ মসজিদ। যিয়ারত করার অধিক উপযুক্ত ও দূর থেকে সফর করে আসার যোগ্য মসজিদ হল মসজিদুল হারাম ও আমার মসজিদ। আর আমার মসজিদের একটি সালাত অন্য কোন মসজিদে এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1838- وروى الْبَزَّار عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنا خَاتم الْأَنْبِيَاء ومسجدي خَاتم مَسَاجِد الْأَنْبِيَاء
أَحَق الْمَسَاجِد أَن يزار وتشد إِلَيْهِ الرَّوَاحِل الْمَسْجِد الْحَرَام ومسجدي وَصَلَاة فِي مَسْجِدي أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ من الْمَسَاجِد إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام
أَحَق الْمَسَاجِد أَن يزار وتشد إِلَيْهِ الرَّوَاحِل الْمَسْجِد الْحَرَام ومسجدي وَصَلَاة فِي مَسْجِدي أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ من الْمَسَاجِد إِلَّا الْمَسْجِد الْحَرَام
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৩৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৩৯. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার মসজিদে একাধারে চল্লিশ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে, তার জন্য জাহান্নাম ও আযাব থেকে মুক্তির ফয়সালা লিখে দেয় হবে এবং সে নিফাক' থেকেও মুক্তি পাবে।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ্ গ্রন্থের বর্ণনাকারীদের মতই। তাবারানীও এটি 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী অন্য শব্দমালায় এটি বর্ণনা করেন।)
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ্ গ্রন্থের বর্ণনাকারীদের মতই। তাবারানীও এটি 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী অন্য শব্দমালায় এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1839- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صلى فِي مَسْجِدي أَرْبَعِينَ صَلَاة لَا تفوته صَلَاة كتبت لَهُ بَرَاءَة من النَّار وَبَرَاءَة من الْعَذَاب وبرىء من النِّفَاق
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَهُوَ عِنْد التِّرْمِذِيّ بِغَيْر هَذَا اللَّفْظ
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَهُوَ عِنْد التِّرْمِذِيّ بِغَيْر هَذَا اللَّفْظ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৪০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪০. হযরত আনাস (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। কোন ব্যক্তির তার ঘরের সালাত আদায় একটি সালাত বলে গণ্য হবে, মহল্লার মসজিদে তার সালাত পঁচিশটি সালাতের সমান, জামে মসজিদে তার সালাত আদায় পাঁচশত সালাতের সমান, মসজিদুল আক্সার একটি সালাত পঞ্চাশ হাজার সালাতের সমান, আমার মসজিদে একটি সালাত পঞ্চাশ হাজার সালাতের সমান, আর মসজিদুল হারামে একটি সালাত এক লক্ষ সালাতের সমান।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য; তবে আবুল খাত্তাব দিমাশকীর পরিচিতিটি এখন আমার মনে আসছে না। ইবন মাজাহ ব্যতীত সিহাহ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ তাঁর কোন বর্ণনা নিজেদের সংকলনে উল্লেখ করেন নি। আল্লাহই ভাল জানেন।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য; তবে আবুল খাত্তাব দিমাশকীর পরিচিতিটি এখন আমার মনে আসছে না। ইবন মাজাহ ব্যতীত সিহাহ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ তাঁর কোন বর্ণনা নিজেদের সংকলনে উল্লেখ করেন নি। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1840- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَلَاة الرجل فِي بَيته بِصَلَاة وَصلَاته فِي مَسْجِد الْقَبَائِل بِخمْس وَعشْرين صَلَاة وَصَلَاة فِي الْمَسْجِد الَّذِي يجمع فِيهِ بِخَمْسِمِائَة صَلَاة وَصَلَاة فِي الْمَسْجِد الْأَقْصَى بِخَمْسِينَ ألف صَلَاة وَصَلَاة فِي مَسْجِدي بِخَمْسِينَ ألف صَلَاة وَصَلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام بِمِائَة ألف صَلَاة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن أَبَا الْخطاب الدِّمَشْقِي لَا تحضرني الْآن تَرْجَمته وَلم يخرج لَهُ من أَصْحَاب الْكتب السِّتَّة أحد إِلَّا ابْن مَاجَه وَالله أعلم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن أَبَا الْخطاب الدِّمَشْقِي لَا تحضرني الْآن تَرْجَمته وَلم يخرج لَهُ من أَصْحَاب الْكتب السِّتَّة أحد إِلَّا ابْن مَاجَه وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৪১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪১. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নিকট তাঁর জনৈকা সহধর্মিণীর ঘরে অবস্থানকালে প্রবেশ করলাম। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাকওয়ার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটি কোন্ মসজিদ? তিনি তখন একমুষ্ঠি কঙ্কর নিয়ে মসজিদে নববীর দিকে ইশারা করে মাটিতে নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, এটি তোমাদের এই মসজিদ।
(হাদীসটি মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেন:
দু'ব্যক্তি এ বিষয় নিয়ে তর্ক করছিল যে, প্রথম দিন থেকেই যে মসজিদটি তাক্ওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি কোন মসজিদ? একজন বলছিল, এটি কুবার মসজিদ। অপরজন বলছিল যে, এটি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর মসজিদ। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তখন বললেন, এটি আমার এই মসজিদ।)
(হাদীসটি মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেন:
দু'ব্যক্তি এ বিষয় নিয়ে তর্ক করছিল যে, প্রথম দিন থেকেই যে মসজিদটি তাক্ওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি কোন মসজিদ? একজন বলছিল, এটি কুবার মসজিদ। অপরজন বলছিল যে, এটি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর মসজিদ। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তখন বললেন, এটি আমার এই মসজিদ।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1841- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ دخلت على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي بَيت بعض نِسَائِهِ فَقلت يَا رَسُول الله أَي المسجدين الَّذِي أسس على التَّقْوَى فَأخذ كفا من حَصْبَاء فَضرب بِهِ الأَرْض ثمَّ قَالَ هُوَ مَسْجِدكُمْ هَذَا لمَسْجِد الْمَدِينَة
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه قَالَ تمارى رجلَانِ فِي الْمَسْجِد الَّذِي أسس على التَّقْوَى من أول يَوْم فَقَالَ رجل هُوَ مَسْجِد قبَاء وَقَالَ رجل هُوَ مَسْجِد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هُوَ مَسْجِدي هَذَا
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه قَالَ تمارى رجلَانِ فِي الْمَسْجِد الَّذِي أسس على التَّقْوَى من أول يَوْم فَقَالَ رجل هُوَ مَسْجِد قبَاء وَقَالَ رجل هُوَ مَسْجِد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هُوَ مَسْجِدي هَذَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৪২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪২. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাক্ওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ কোন্টি, এ নিয়ে দু'ব্যক্তি মতবিরোধ করছিল। তাদের একজন বলছিল, এটি মদীনার মসজিদ, অপরজন বলছিল, এটি মসজিদে কুবা। তারপর তারা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর নিকট আসল। তিনি বললেন, এটি আমার এই মসজিদ।
(হাদীসটি ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1842- وَعَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنهُ قَالَ اخْتلف رجلَانِ فِي الْمَسْجِد الَّذِي أسس على التَّقْوَى
فَقَالَ أَحدهمَا هُوَ مَسْجِد الْمَدِينَة وَقَالَ الآخر هُوَ مَسْجِد قبَاء فَأتوا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ هُوَ مَسْجِدي هَذَا
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
فَقَالَ أَحدهمَا هُوَ مَسْجِد الْمَدِينَة وَقَالَ الآخر هُوَ مَسْجِد قبَاء فَأتوا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ هُوَ مَسْجِدي هَذَا
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৪৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪৩. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: মসজিদুল হারামে সালাত আদায় এক লক্ষ সালাতের সমান, আমার মসজিদে সালাত আদায় এক হাজার সালাতের সমান আর বায়তুল মুকাদ্দাসে সালাত আদায় পাঁচশ' সালাতের সমান।
(হাদীসটি তাবারানী 'করীরে' বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণিত পাঠ নিম্নরূপঃ
মসজিদুল হারামে সালাত আদয় অন্যান্য মসজিদে এক লক্ষ সালাতের চেয়ে উত্তম, মদীনার মসজিদে সালাত আদায় অন্যত্র এক হাজার সালাতের চেয়েও উত্তম আর বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদে সালাত আদায় অন্য কোন মসজিদে পাঁচশ' সালাতের চেয়ে উত্তম।
বাযযারও এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
মসজিদুল হারামে সালাত আদায়ের ফযীলত অন্যত্র সালাত আদায়ের তুলনায় এক লক্ষ গুণ, আমার মসজিদে সালাত আদায়ের ফযীলত এক হাজার গুণ আর বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদে পাঁচশ' গুণ। বাযযার বলেন, হাদীসটির সনদ উত্তম।)
(হাদীসটি তাবারানী 'করীরে' বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণিত পাঠ নিম্নরূপঃ
মসজিদুল হারামে সালাত আদয় অন্যান্য মসজিদে এক লক্ষ সালাতের চেয়ে উত্তম, মদীনার মসজিদে সালাত আদায় অন্যত্র এক হাজার সালাতের চেয়েও উত্তম আর বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদে সালাত আদায় অন্য কোন মসজিদে পাঁচশ' সালাতের চেয়ে উত্তম।
বাযযারও এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
মসজিদুল হারামে সালাত আদায়ের ফযীলত অন্যত্র সালাত আদায়ের তুলনায় এক লক্ষ গুণ, আমার মসজিদে সালাত আদায়ের ফযীলত এক হাজার গুণ আর বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদে পাঁচশ' গুণ। বাযযার বলেন, হাদীসটির সনদ উত্তম।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1843- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام بِمِائَة ألف صَلَاة وَالصَّلَاة فِي مَسْجِدي بِأَلف صَلَاة وَالصَّلَاة فِي بَيت الْمُقَدّس بِخَمْسِمِائَة صَلَاة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه قَالَ صَلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام أفضل مِمَّا سواهُ من الْمَسَاجِد بِمِائَة ألف صَلَاة وَصَلَاة فِي مَسْجِد الْمَدِينَة أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ وَصَلَاة فِي مَسْجِد بَيت الْمُقَدّس أفضل مِمَّا سواهُ من الْمَسَاجِد بِخَمْسِمِائَة صَلَاة
وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَلَفظه قَالَ
فضل الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام على غَيره بِمِائَة ألف صَلَاة وَفِي مَسْجِدي ألف صَلَاة وَفِي مَسْجِد بَيت الْمُقَدّس خَمْسمِائَة صَلَاة
وَقَالَ الْبَزَّار إِسْنَاده حسن كَذَا قَالَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه قَالَ صَلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام أفضل مِمَّا سواهُ من الْمَسَاجِد بِمِائَة ألف صَلَاة وَصَلَاة فِي مَسْجِد الْمَدِينَة أفضل من ألف صَلَاة فِيمَا سواهُ وَصَلَاة فِي مَسْجِد بَيت الْمُقَدّس أفضل مِمَّا سواهُ من الْمَسَاجِد بِخَمْسِمِائَة صَلَاة
وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَلَفظه قَالَ
فضل الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام على غَيره بِمِائَة ألف صَلَاة وَفِي مَسْجِدي ألف صَلَاة وَفِي مَسْجِد بَيت الْمُقَدّس خَمْسمِائَة صَلَاة
وَقَالَ الْبَزَّار إِسْنَاده حسن كَذَا قَالَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৪৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৪৪. হযরত বিলাল ইবনুল হারিস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মদীনায় একটি রমযান উদযাপন করা অন্যান্য শহরে এক হাজার রমযান যাপনের চেয়ে উত্তম। আর মদীনায় একটি জুমু'আ আদায় অন্যান্য শহরে এক হাজার জুমু'আ আদায়ের চেয়ে উত্তম।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1844- وَرُوِيَ عَن بِلَال بن الْحَارِث رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رَمَضَان بِالْمَدِينَةِ خير من ألف رَمَضَان فِيمَا سواهَا من الْبلدَانِ وجمعة بِالْمَدِينَةِ خير من ألف جُمُعَة فِيمَا سواهَا من الْبلدَانِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
তাহকীক: